Ajker Patrika

রকেটের গতিতে বয়স বাড়িয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ১২ জুন ২০২৪, ১৭: ০৯
রকেটের গতিতে বয়স বাড়িয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স। 

সে জন্য একাডেমিক সার্টিফিকেট আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন। অনেকেই এসব কাজে মাসের পর মাস ঘুরে হয়রান হলেও পপির কাজ হয়েছে রকেটের গতিতে। তারপর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে জয়ী হয়েছেন জীবনে প্রথমবার নির্বাচন করা পপি। 

তথ্যমতে, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অনুযায়ী কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু পপির শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ হিসাবে তাঁর বয়স ২২ বছর। এতে ২৯ মে অনুষ্ঠিত পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন না। তাই গত বছরের মার্চ থেকে তিনি শিক্ষাগত সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করেন। অবিশ্বাস্য গতিতে তাঁর জন্মতারিখ বদলে যায়। এতে হতবাক নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরাও।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধন করার নজির খুবই কম। সরকারি চাকরিতে সুবিধা পেতে অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার আবেদন করেন। তবে সেগুলো মাসের পর মাস পড়ে থাকে। পপি একটি এফিডেভিটের মাধ্যমে শিক্ষাসনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছেন। আর এ দেখে জাতীয় পরিচয়পত্রেও জন্মতারিখ বদলে দেওয়া হয় পপির। এ ধরনের নজির নেই বললেই চলে। 

কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, পবার ধর্মহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পপি পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। সে সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে দারুশা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। এই সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। স্কুলের টেবুলেশন শিটেও একই জন্মতারিখ। চলতি বছর সর্বশেষ ভোটার তালিকাতেও তার জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। ভোটার ক্রমিক নম্বর-৮১০৮১৩০০০১৮৮। 

তবে নির্বাচনের আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পপি তাঁর সব সনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৮ সালের ১২ জানুয়ারি করার আবেদন করেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের নাম ও বয়স সংশোধন কমিটির সভায় তা পাস হয়।

এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গত ২০ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন করেন পপি। ৩ এপ্রিল এ আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে আরেকটি আবেদন করেন তিনি। এবার রহস্যজনকভাবে পপির আবেদন গ্রহণ করা হয়। বদলে যায় জন্মতারিখ। নতুন তারিখ অনুযায়ী, ভোটের দিন তার বয়স ছিল ২৬ বছর ৪ মাস ১৭ দিন। আগের জন্মতারিখ অনুযায়ী ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন না তিনি। 

পপি খাতুন। ছবি: সংগৃহীতঅভিযোগ রয়েছে, জন্মতারিখ পরিবর্তনের জন্য পপি নির্বাচনে কমিশনে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের সঙ্গে নিজের এসএসসি সনদ সংযুক্ত করার কথা। কিন্তু হযরত আলী নামে একজন শিক্ষার্থীর সনদ সংযুক্ত করেছেন পপি। হযরত আলী ২০১৭ সালে নওহাটা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। হযরত আলীর জন্মতারিখ ২৯ জুন, ২০০১। অথচ এমন ত্রুটিপূর্ণ আবেদন রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় গ্রহণ করে পরদিনই (২৯ এপ্রিল) জাতীয় পরিচয়পত্রটি পরিবর্তন করে দেয়।

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েই পপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত ২ মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন। গত ২৯ মে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে পপি খাতুন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি মাসের ৪ জুন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পপিসহ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। পপি এখন শপথ গ্রহণের অপেক্ষায়। 

অভিযোগের বিষয়ে পপি খাতুন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমার জন্মতারিখ ভুল ছিল। আমি সব নিয়মকানুন মেনেই জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন কমিশন সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। ভোটাররা ভোট দিয়েছে বলে বিজয়ী হয়েছি। এখন প্রতিপক্ষরা এসব কথা সামনে এনে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’ 

পপি খাতুন। ছবি: সংগৃহীতঅপর দিকে জন্মতারিখ সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডে সাধারণত বয়স কমানোর আবেদন আসে। কিন্তু পপির বয়স বাড়ানোর আবেদন আসে। এটা ব্যতিক্রম। তারপরেও এ জন্য রাজনৈতিক চাপ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন দিয়েছে।’ 

ত্রুটিপূর্ণ আবেদন গ্রহণের বিষয়ে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই করেই সব করা হয়েছে।’ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপি খাতুনের বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা গ্রামে। হতদরিদ্র একটি পরিবারের মেয়ে পপির হঠাৎ নির্বাচনে এসে বিজয়ী হওয়ায় হতবাক এলাকার লোকজন। 

পপি খাতুন। ছবি: সংগৃহীতউপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুর রাজি রুবেল বলেন, ‘অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান পপির হঠাৎ উত্থানে আমরা হতবাক। কারণ, তার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় তাদের সংসার চলে। কিন্তু সে শহরেও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তার লাইফ স্টাইল ধনীর মতো। হঠাৎ শুনতে পাই, পপি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। পপির পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তির হাত আছে। যারা পপিকে মাঠে নামিয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স পপির হয়নি। কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল তা জানি না।’ 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু পপির মতো একটা বাচ্চা মেয়ে কীভাবে প্রার্থী হয়ে রানিং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হারিয়ে বিজয়ী হলো তা আমার বুঝে আসে না।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: হবিগঞ্জে পত্রিকা অফিসে হামলা, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
হবিগঞ্জে স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিস ভাঙচুর করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
হবিগঞ্জে স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিস ভাঙচুর করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যার বিচার দাবিতে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার হবিগঞ্জ শহরে ব্লকেড কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর করে তারা। একই সঙ্গে একটি স্থানীয় পত্রিকা অফিসেও হামলা চালানো হয়। এসব ঘটনায় শহরে আতঙ্ক বিরাজ করে।

জানা গেছে, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে ব্লকেড ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচির ডাক দেয় ছাত্র-জনতা। নামাজ শেষে সেখানে বিক্ষুব্ধ জনতা কোর্ট মসজিদের সামনে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। কুশপুত্তলিকা পরে শহরে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কোর্ট মসজিদ থেকে শুরু হয়ে চিড়িয়াকান্দি এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্লগার সুশান্ত দাসের মালিকানাধীন ‘দৈনিক আমার হবিগঞ্জ’ পত্রিকা অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় অফিস থেকে কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, যা পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যদিও পত্রিকাটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। পত্রিকা অফিস থেকে ফেরার পথে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরালে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বিক্ষোভকারীরা হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে গিয়ে আবারও বিক্ষোভ করেন। তাঁরা হাদি হত্যায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং আন্দোলনকারী নেতা ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান। পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন দোষীদের গ্রেপ্তার ও আন্দোলনকারী নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।

কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতা আশরাফুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘হাদি ভাইকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যাক্করজনক। ঘটনার সাত দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে সারা দেশ অচল করে দেওয়া হবে।’

আরেক ছাত্রনেতা মাহদি হাসান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্নের দাবি জানানো হবে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দোলোয়ার হোসেন বলেন বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ

ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মাদারীপুর মোস্তফাপুরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার মোস্তফাপুরে জড়ো হন তাঁরা। পরে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

অবরোধ চলাকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় ব্যানার-ফ্যাস্টুন হাতে স্লোগান দেন বক্তারা। পরে সোয়া ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ সময় মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, এনসিপির জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. হাসিবুল্লাহ, যুগ্ম সমন্বয়কারী রুবেল মৃধা, কার্যকরী সদস্য হাফেজ আব্দুর রহিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহ, সাবেক সদস্যসচিব মাসুম বিল্লাহ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম সানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

নরসিংদী প্রতিনিধি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার বেলা ২টা থেকে নরসিংদী শহরের গুরুত্বপূর্ণ জেলখানা মোড় এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তাঁরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন।

অবরোধের ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দূরপাল্লার যাত্রী ও চালকেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন এনসিপির প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল এবং জামায়াতের প্রার্থী ইব্রাহিম ভূইয়া। এ ছাড়া নরসিংদী ছাত্র ঐক্য জোটের নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবি জানান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিকেল ৪টার দিকে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা তাঁর উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ প্রতিবেদন পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহারের কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শনিবারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি পরীক্ষা স্থগিত

গাজীপুর প্রতিনিধি
শনিবারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি পরীক্ষা স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এলএলবি প্রথম পর্বের শনিবারের (২০ ডিসেম্বর) ইকুইটি, ট্রাস্ট, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার ও হিন্দু আইন বিষয়ের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিতকৃত পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে।

আজ শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০২৪ সালের এলএলবি প্রথম পর্বের অন্যান্য পরীক্ষার সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত