Ajker Patrika

নিষিদ্ধ জুয়ার প্রচারে শোবিজ তারকারা

নাজমুল হক নাঈম, ঢাকা
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৪, ১১: ২৪
নিষিদ্ধ জুয়ার প্রচারে শোবিজ তারকারা

দেশের প্রচলিত আইনে যেকোনো ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ হলেও নানা কৌশলে অনলাইন জুয়ার প্রচার ও প্রসার চলছে। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে জুয়া প্রতিষ্ঠানগুলো দিচ্ছে বিভিন্ন লোভনীয় অফার। শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে শোবিজ তারকাদের। তাঁদের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এই টাকা ভার্চুয়াল মুদ্রায় রূপান্তরিত হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। সম্প্রতি শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রচারে দেখা গেছে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও পরীমণিকে। নাম এসেছে বুবলীরও। শোবিজ তারকাদের এমন প্রচার শিল্পী হিসেবে তাঁদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নৈতিকতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। 

গত ১৮ মে একটি অনলাইন জুয়া প্রতিষ্ঠান শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও শবনম বুবলীর নাম ঘোষণা করে। প্রতিষ্ঠানটির এমন ঘোষণার সপ্তাহখানেক পর, গত ২৫ মে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় মাহিয়া মাহি তাদের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার খবর জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তখন আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি অবৈধ কিছু করেননি! তিনি জানান, এটা ‘ক্রিকেট রিলেটেড ইনফরমেটিভ প্ল্যাটফর্ম’, কোনো জুয়া প্রতিষ্ঠানের সাইট নয়। কিন্তু মাহির পোস্টে প্রচার করা প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে গেলে জুয়ার বিভিন্ন অফার চোখে পড়ে। 

এ বিষয়ে জানতে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিক ফোন কল ও এসএমএস পাঠালেও সাড়া দেননি। 

অনলাইন জুয়া প্রতিষ্ঠান তাদের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও শবনম বুবলীর নাম ঘোষণা করেগত মার্চে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চিত্রনায়িকা পরীমণির নাম ঘোষণা করে আরেকটি জুয়া প্রতিষ্ঠান। ২ জুন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করে তাদের ওয়েবসাইট ভিজিটের আমন্ত্রণ জানান পরীমণি। এ বিষয়ে জানতে ফোন কল করা হলে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কে বলেছে এটা জুয়া কোম্পানির ওয়েবসাইট? ভালো করে খোঁজ নিয়ে ফোন করুন।’ এরপরই সংযোগ কেটে দেন তিনি। পরীমণি অস্বীকার করলেও ওই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে চলছে জুয়ার বিভিন্ন লোভনীয় অফার। 

এর আগে দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এমন সাইটের বিজ্ঞাপন ও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নাম জড়িয়েছে জয়া আহসান, অপু বিশ্বাস ও নুসরাত ফারিয়ার। এর মধ্যে জয়া ও ফারিয়াকে শুধু বিজ্ঞাপনে পাওয়া গেলেও অপু কাজ করেছেন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। পরে তাঁরা জানান, ভুল তথ্যে এগুলোতে জড়িয়ে পড়েছেন। 

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে নৈতিকতা রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ছাড়া, ১৮৬৭ সাল থেকে চালু প্রকাশ্য জুয়া আইন অনুসারে, কেউ টাকার বিনিময়ে বাজি বা জুয়ার আসর বসালে এবং কেউ তাতে অংশ নিলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২০১৪ সালের ১৮ জুন জুয়াবিরোধী একটি রায় দেন। তাতে বলা হয়, অর্থ দিয়ে সব খেলাই অবৈধ। ১৮৬৭ সালের আইনটি যুগোপযোগী করতে সরকার ‘জুয়া প্রতিরোধ আইন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে। 

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জুয়ার সাইটের কেউ প্রচারক হলে বা শুভেচ্ছাদূত হলে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কঠিন কোনো আইন নেই। এই ফাঁকফোকর দিয়ে তাঁরা বের হয়ে যান। প্রমাণ পেলে সর্বোচ্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা দেওয়া যায়। কিন্তু বিজ্ঞাপনে মডেল হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে সমাজের প্রতি তারকাদের দায়িত্ব রয়েছে, সেই দায়বদ্ধতা থেকে এগুলো তাঁদের বন্ধ করা উচিত। 

জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত পরীমণিসাইটভিত্তিক জুয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে। অর্থ পাচার এবং উগ্রবাদে এসব জুয়ার ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহৃত হয় বলে নজরদারিও করে ডিএমপির এই বিশেষ ইউনিট। এর প্রধান মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু কারও করা উচিত না। আমাদের সাইবার ইউনিট সব সময় মনিটরিং করে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। কেউ বেআইনি কিছু করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

অভিনেত্রী ও নির্মাতা রোজিনার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ধরনের অন্যায় বা অপ্রীতিকর কাজের সঙ্গে শিল্পীদের সম্পৃক্ত থাকা উচিত নয়। তবে এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ, ইদানীং এসব নিয়ে কথা বললে উল্টো সমালোচিত হতে হয়। এসব নিয়ে গণমাধ্যমগুলো তাদের ভূমিকা পালন করলেই ভালো।’ 

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও অভিনেতা ডিএ তায়েব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব অনিয়মের বিপক্ষে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। কোনো শিল্পী যদি জুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকেন সেটা অন্যায়। শিল্পীদের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে বলেই তাঁরা আইডল হন। সেই দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। সে জন্য বিজ্ঞাপন বা শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত হওয়ার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত প্রতিষ্ঠানটি মানব কল্যাণের কি না। যদি কোনো ক্ষতিকর কিছু থাকে তাহলে সেটা থেকে বিরত থাকাই ভালো। আইনে কিন্তু স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে ক্ষতিকারক প্রোডাক্ট কিংবা কোনো অন্যায়কারীর পক্ষে কাজ করলে আপনিও সমান অপরাধী। মনে রাখতে হবে, শিল্পীদের কাছে অর্থটা মুখ্য হওয়া উচিত নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের নাটকে মৌ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বিজয় দিবসের নাটকে মৌ
‘ডাক্তার বাড়ি’ নাটকে মৌ। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হবে নাটকটি।

বিজয় দিবস উপলক্ষে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে নাটক নির্মাণ করছেন অরুণ চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নির্মাণ করেছেন নাটক ডাক্তার বাড়ি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা একটি বাড়ি থেকে কীভাবে সহায়তা পেয়েছিলেন, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের এক ডাক্তারের মেয়ে মল্লিকা তার বাবাকে না জানিয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দেয়। একসময় দুষ্কৃতকারীরা ডাক্তারকে হুমকি দেয় বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বের করে দিতে হবে। ভয় পেয়ে যায় সে। কিন্তু মল্লিকা তার বাবাকে বোঝায় একটা দিন অপেক্ষা করার জন্য। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নবাবগঞ্জে হয়েছে নাটকটির শুটিং।

ডাক্তার বাড়ি নাটকে মল্লিকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌ। তাঁর বাবার চরিত্রে আছেন নরেশ ভুঁইয়া। মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে দেখা যাবে আহসান হাবিব নাসিমকে। নতুন এই নাটক নিয়ে মৌ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের কাজ অনেক কম করা হয়েছে আমার। খুব ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটি গল্পে অভিনয় করতে পেরে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ধারণ করতে।’

নির্মাতা অরুণ চৌধুরী বলেন, ‘এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের একটি বাড়ির গল্প। গল্প অনুযায়ী পর্দায় সেই সময়ের আবহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শুটিং করেছি নবাবগঞ্জের একটি পুরোনো বাড়িতে। দর্শকের ভালো লাগলেই আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।’

এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে মৌ অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম। কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘আর্তনাদ’ উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন আকা রেজা গালিব। প্রাথমিকভাবে নাম রাখা হয়েছে ‘গহীন অতল’। এই ওয়েব ফিল্মে মৌ অভিনয় করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। পুরো গল্প গড়ে উঠেছে তাঁকে ঘিরে। ফিল্মটির গল্পে দেখা যাবে, ঘটনাক্রমে এক রাতে মৌ অভিনীত চরিত্রটি খুন করে ফেলে তার মেয়ের গোপন প্রেমিককে। এই ঘটনা গোপন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরস্কার পেল ‘সুলতানার স্বপ্ন’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আইইউবি থিয়েটার ক্লাবের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
আইইউবি থিয়েটার ক্লাবের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাম্ফিথিয়েটারে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নাটকের জন্য এই আয়োজনের শিরোপা জিতেছে আইইউবি থিয়েটার ক্লাব।

বাংলাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী ছোটগল্প ‘সুলতানাস ড্রিম’-এর বাংলা নাট্যরূপ ‘সুলতানার স্বপ্ন’। বেগম রোকেয়া এতে লেডিল্যান্ড নামে এক কল্পিত সমাজের মাধ্যমে নারী-সমতার ভাবনা তুলে ধরেছেন। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বপ্লীল সোহেল।

আইইউবি থিয়েটার ছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নাট্যদল। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (প্রথম রানার্সআপ), সরকারি তিতুমীর কলেজ (দ্বিতীয় রানার্সআপ), স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। এ প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব ছিলেন অভিনেতা ও নির্দেশক তারিক আনাম খান, কথাসাহিত্যিক মোজাফফর হোসেন এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ নিয়াজ মজুমদার।

গত ১৯ নভেম্বর আইইউবি অডিটরিয়ামে সুলতানার স্বপ্ন নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। এরপর ৬ ডিসেম্বর নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে। ৯ ডিসেম্বর এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তায় মঞ্চস্থ হয় তৃতীয় প্রদর্শনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০ হাজার কোটিতে আধুনিক শহর বানাচ্ছেন সালমান

বিনোদন ডেস্ক
সালমান খান। ছবি: সংগৃহীত
সালমান খান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তেলেঙ্গানায় বড় ধরনের উদ্যোগ শুরু করতে চলেছেন সালমান খান। সে রাজ্যের সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মেগা টাউনশিপ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে সালমান খান ভেঞ্চার্স। যেখানে লাইফস্টাইল, বিনোদন, পর্যটন, সিনেমা, আবাসন, খেলাধুলা—সব ক্ষেত্রকে এক জায়গায় এনে তৈরি করা হবে বিশ্বমানের এক আধুনিক শহর।

প্রস্তাবিত এই টাউনশিপ শুধু আবাসিক এলাকা নয়, এটি হবে এমন এক গ্লোবাল এন্টারটেইনমেন্ট সিটি, যেখানে সবাই উপভোগ করতে পারবে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা। প্রকল্পের লক্ষ্য অনুযায়ী, এখানে ৫০০ একর জায়গাজুড়ে থাকবে অত্যাধুনিক ফিল্ম সিটি ও সিনেমা স্টুডিও, থিমভিত্তিক আন্তর্জাতিক পর্যটন জোন, ওয়েলনেস ভিলেজ ও ন্যাচারাল হিলিং স্পেস, বিলাসবহুল হোটেল, রিসোর্ট, শপিং কমপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, লাইভ ইভেন্ট এরেনা, বিনোদনকেন্দ্র, উন্নত আবাসিক এলাকা, শিক্ষাকেন্দ্র ও স্মার্ট-সিটি সুবিধা।

এই টাউনশিপই হতে পারে ভারতের প্রথম এমন এক প্রকল্প, যেখানে সিনেমা, পর্যটন ও লাইফস্টাইল একসঙ্গে মিলিত হয়ে গড়ে তুলবে পূর্ণাঙ্গ বিনোদন-নগরী। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি কয়েক সপ্তাহ আগে মুম্বাইয়ে সালমান খানের সঙ্গে দেখা করে প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ইতিমধ্যেই জমি, নীতিছাড়, বিনিয়োগ কাঠামো ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্প রাজ্যের পর্যটনশিল্পকে বিপুলভাবে বাড়াবে এবং হাজার হাজার মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তেলেঙ্গানা দক্ষিণ ভারতের বিনোদন রাজধানী হিসেবে উঠে আসতে পারে। দক্ষিণ ভারতের সিনেমাশিল্প ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সেখানে বলিউড সুপারস্টারের উদ্যোগে এমন এক আন্তর্জাতিক মানের টাউনশিপ গড়ে উঠলে ভারতের চলচ্চিত্রশিল্প আরও বৃহৎ বাজার তৈরি করবে। তেলেঙ্গানা সরকারও মনে করছে, এই প্রকল্প আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এ সপ্তাহের ওটিটি

‘ম্যান ভার্সেস বেবি’সহ মুক্তি পেল যেসব সিনেমা-সিরিজ

প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।

বিনোদন ডেস্ক
‘ম্যান ভার্সেস বেবি’ সিরিজের দৃশ্য
‘ম্যান ভার্সেস বেবি’ সিরিজের দৃশ্য

নূর (বাংলা সিনেমা)

  • মুক্তি: বায়স্কোপ প্লাস (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: আরিফিন শুভ, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী
  • গল্পসংক্ষেপ: মফস্বল এলাকার বোকাসোকা ছেলে নূর প্রেমে পড়ে শিউলীর। মিষ্টি প্রেমের সম্পর্ক হঠাৎই বাঁক নেয় করুণ দীর্ঘশ্বাসে। প্রেমিকা শিউলীকে হারিয়ে প্রায় পাগল হয়ে যায় নূর। সময় পেরিয়ে এরপর তাকে দেখা যায় বন্দী অবস্থায়। কেন নূরের জীবন অন্ধকার করে দিল শিউলী, তার রহস্য জানা যাবে গল্পে।

ডিমলাইট (বাংলা ওয়েব সিনেমা)

  • মুক্তি: চরকি (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: মোশাররফ করিম, তানজিকা আমিন, পারশা ইভানা
  • গল্পসংক্ষেপ: এতে শামসুজ্জামান নামের একজন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় এক তরুণীর। তার প্রেমে পড়ে যায়। এই নতুন সম্পর্ক নিয়ে যখন পরিবারে অশান্তি শুরু হয়, তখন নিজের ভুল বুঝতে পারে শামসুজ্জামান।

কারমা কোর্মা (বাংলা সিরিজ)

  • মুক্তি: হইচই (১২ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, ঋতাভরী চক্রবর্তী
  • গল্পসংক্ষেপ: কর্মফল আর জীবনের দ্বন্দ্ব নিয়ে এই মার্ডার মিস্ট্রি। ভিন্ন সামাজিক শ্রেণির দুই নারীর রান্না ক্লাসে দেখা হওয়া এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রতিশোধের এক রহস্যময় আখ্যান। একটি খুনের তদন্ত করতে গিয়ে এই দুই নারীর সঙ্গে আলাপ হয় পুলিশ কর্মকর্তা ভুপেন ভাদুড়ির।

ম্যান ভার্সেস বেবি (ইংরেজি সিরিজ)

  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: রোয়ান অ্যাটকিনসন
  • গল্পসংক্ষেপ: এক স্কুলে কেয়ারটেকারের চাকরি নিয়েছে বিংলি। কয়েক দিন ধরে তার মন বেশ প্রফুল্ল। কারণ, স্কুলে ক্রিসমাসের ছুটি শুরু হচ্ছে। ক্লাসের শেষ দিন স্কুলের আশপাশে নাম-পরিচয়হীন দুই শিশুকে খুঁজে পায় বিংলি। কোনো অভিভাবক না পাওয়ায় তার ওপরই পড়ে শিশুদের দেখাশোনার ভার। তাদের সামলাতে গিয়ে একের পর এক ঝামেলায় পড়ে বিংলি।

সুপারম্যান (ইংরেজি সিনেমা)

  • মুক্তি: জিওহটস্টার (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: ডেভিড কোরেন্সওয়েট, র‍্যাচেল ব্রসনাহান, নিকোলাস হল্ট
  • গল্পসংক্ষেপ: এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে বিতর্কিত হয়ে পড়ে সুপারম্যানের কর্মকাণ্ড। টেক বিলিয়নিয়ার লেক্স লুথর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক সংঘাত সৃষ্টি করে। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় সুপারম্যান। সাহসী রিপোর্টার লোইস লেন এবং পোষা কুকুর ক্রিপ্টোর সাহায্য নিয়ে সুপারম্যান আবার জনসমর্থন ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত