উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

জনপ্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ আগামী অক্টোবরে এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ আগামী জুলাইয়ে শেষ হচ্ছে। এই দুই পদে কারা আসছেন, সে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাসনে।
এরই মধ্যে জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব পদে এবার নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় আছে পাঁচ আমলার নাম। তাঁরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মো. মোকাব্বির হোসেন ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাহ উদ্দিনের নামও বলছেন কেউ কেউ। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রশাসনে শীর্ষ দুটি পদেই বর্তমানে চুক্তির ভিত্তিতে আছেন বিসিএস ১৯৮৬ (অষ্টম) ব্যাচের কর্মকর্তা মো. মাহবুব হোসেন ও নবম ব্যাচের মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এ দুটি পদের মধ্যে মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি। তাঁদের চুক্তি যদি নবায়ন না হয়, তাহলে এই দুই পদে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিসিএস নবম ও দশম ব্যাচ থেকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কারিগরি পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার।
যোগ্য ব্যক্তি না পাওয়া গেলে জনস্বার্থেই এটি করতে হয়। অতীতেও ছিল, এখনো আছে।
জানা যায়, প্রশাসনের শীর্ষ দুটি পদে সাধারণত জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়। এবারও তেমনটি হলে পাঁচ-ছয়জনের মধ্য থেকেই দুজন উঠে আসতে পারেন। নবম ব্যাচের দুজন সচিব নিয়মিত চাকরিতে আছেন। তাঁরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তবে মুনিরুছ সালেহীনের আগামী ২৮ আগস্ট অবসরে যাওয়ার কথা। মেজবাহ উদ্দিনের চাকরির মেয়াদ আছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশাসনের অনেকে বলছেন, সব ঠিক থাকলে মেজবাহ উদ্দিনেরই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাঁদের যুক্তি, আগেও মুখ্য সচিবের সিনিয়র কর্মকর্তাকেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্য সচিব পদের জন্য আলোচনায় আছেন দশম ব্যাচের মোস্তফা কামাল, মো. মোকাব্বির হোসেন ও জাকিয়া সুলতানা। প্রথম দুজন ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর একই প্রজ্ঞাপনে সচিব হন। তাঁদের মধ্যে মোস্তফা কামাল আগামী বছরের ৯ সেপ্টেম্বর, মোকাব্বির হোসেন ৩১ ডিসেম্বর এবং জাকিয়া সুলতানা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। তবে এই পদে মোস্তফা কামালের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। তিনি প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’-এর বর্তমান সভাপতি। আর জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা না হলে ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাহ উদ্দিন মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
তবে নতুন করে আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান না প্রশাসনের বেশির ভাগ কর্মকর্তা। সচিবালয়ে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসনের কেউই চান না, শীর্ষ পর্যায়সহ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হোক। তাঁদের মতে, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জনপ্রশাসন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও টানা ১৬ বছরসহ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছেন। প্রশাসনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় তাঁর নখদর্পণে। তাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আর প্রয়োজন নেই। অনেকে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব দুজনই চুক্তিতে কর্মরত। তাঁরাও কিন্তু একসময় নতুন মুখ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সুতরাং, নতুনেরাও সুযোগ পেলে পুরোনোদের মতো সংশ্লিষ্ট পদে যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। তাই সিনিয়র সচিবদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও মেধায় যাঁরা এগিয়ে, তাঁদেরই এসব পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত। তবে নাম প্রকাশ করে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে রাজি হননি।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তাঁর মতে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আইনের খেলাপ না হলেও চুক্তির সংস্কৃতি থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খানের মতে, সচিব পদে চুক্তিতে একটি নিয়োগ হলে চার স্তরে পদোন্নতি থেমে যায়। এতে অতিরিক্ত সচিব যেমন সচিব হতে পারেন না, তেমনি যুগ্ম সচিবও অতিরিক্ত সচিব হতে পারেন না। একইভাবে উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবেরাও বঞ্চিত হন। তাই শুধু প্রশাসন নয়, সব ক্যাডারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত কর্মকর্তাদেরই নিয়োগ দেওয়া উচিত।

জনপ্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ আগামী অক্টোবরে এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ আগামী জুলাইয়ে শেষ হচ্ছে। এই দুই পদে কারা আসছেন, সে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাসনে।
এরই মধ্যে জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব পদে এবার নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় আছে পাঁচ আমলার নাম। তাঁরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মো. মোকাব্বির হোসেন ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাহ উদ্দিনের নামও বলছেন কেউ কেউ। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রশাসনে শীর্ষ দুটি পদেই বর্তমানে চুক্তির ভিত্তিতে আছেন বিসিএস ১৯৮৬ (অষ্টম) ব্যাচের কর্মকর্তা মো. মাহবুব হোসেন ও নবম ব্যাচের মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এ দুটি পদের মধ্যে মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি। তাঁদের চুক্তি যদি নবায়ন না হয়, তাহলে এই দুই পদে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিসিএস নবম ও দশম ব্যাচ থেকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কারিগরি পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার।
যোগ্য ব্যক্তি না পাওয়া গেলে জনস্বার্থেই এটি করতে হয়। অতীতেও ছিল, এখনো আছে।
জানা যায়, প্রশাসনের শীর্ষ দুটি পদে সাধারণত জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়। এবারও তেমনটি হলে পাঁচ-ছয়জনের মধ্য থেকেই দুজন উঠে আসতে পারেন। নবম ব্যাচের দুজন সচিব নিয়মিত চাকরিতে আছেন। তাঁরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তবে মুনিরুছ সালেহীনের আগামী ২৮ আগস্ট অবসরে যাওয়ার কথা। মেজবাহ উদ্দিনের চাকরির মেয়াদ আছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশাসনের অনেকে বলছেন, সব ঠিক থাকলে মেজবাহ উদ্দিনেরই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাঁদের যুক্তি, আগেও মুখ্য সচিবের সিনিয়র কর্মকর্তাকেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্য সচিব পদের জন্য আলোচনায় আছেন দশম ব্যাচের মোস্তফা কামাল, মো. মোকাব্বির হোসেন ও জাকিয়া সুলতানা। প্রথম দুজন ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর একই প্রজ্ঞাপনে সচিব হন। তাঁদের মধ্যে মোস্তফা কামাল আগামী বছরের ৯ সেপ্টেম্বর, মোকাব্বির হোসেন ৩১ ডিসেম্বর এবং জাকিয়া সুলতানা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। তবে এই পদে মোস্তফা কামালের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। তিনি প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’-এর বর্তমান সভাপতি। আর জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা না হলে ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাহ উদ্দিন মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
তবে নতুন করে আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান না প্রশাসনের বেশির ভাগ কর্মকর্তা। সচিবালয়ে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসনের কেউই চান না, শীর্ষ পর্যায়সহ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হোক। তাঁদের মতে, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জনপ্রশাসন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও টানা ১৬ বছরসহ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছেন। প্রশাসনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় তাঁর নখদর্পণে। তাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আর প্রয়োজন নেই। অনেকে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব দুজনই চুক্তিতে কর্মরত। তাঁরাও কিন্তু একসময় নতুন মুখ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সুতরাং, নতুনেরাও সুযোগ পেলে পুরোনোদের মতো সংশ্লিষ্ট পদে যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। তাই সিনিয়র সচিবদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও মেধায় যাঁরা এগিয়ে, তাঁদেরই এসব পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত। তবে নাম প্রকাশ করে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে রাজি হননি।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তাঁর মতে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আইনের খেলাপ না হলেও চুক্তির সংস্কৃতি থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খানের মতে, সচিব পদে চুক্তিতে একটি নিয়োগ হলে চার স্তরে পদোন্নতি থেমে যায়। এতে অতিরিক্ত সচিব যেমন সচিব হতে পারেন না, তেমনি যুগ্ম সচিবও অতিরিক্ত সচিব হতে পারেন না। একইভাবে উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবেরাও বঞ্চিত হন। তাই শুধু প্রশাসন নয়, সব ক্যাডারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত কর্মকর্তাদেরই নিয়োগ দেওয়া উচিত।
উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

জনপ্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ আগামী অক্টোবরে এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ আগামী জুলাইয়ে শেষ হচ্ছে। এই দুই পদে কারা আসছেন, সে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাসনে।
এরই মধ্যে জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব পদে এবার নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় আছে পাঁচ আমলার নাম। তাঁরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মো. মোকাব্বির হোসেন ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাহ উদ্দিনের নামও বলছেন কেউ কেউ। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রশাসনে শীর্ষ দুটি পদেই বর্তমানে চুক্তির ভিত্তিতে আছেন বিসিএস ১৯৮৬ (অষ্টম) ব্যাচের কর্মকর্তা মো. মাহবুব হোসেন ও নবম ব্যাচের মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এ দুটি পদের মধ্যে মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি। তাঁদের চুক্তি যদি নবায়ন না হয়, তাহলে এই দুই পদে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিসিএস নবম ও দশম ব্যাচ থেকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কারিগরি পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার।
যোগ্য ব্যক্তি না পাওয়া গেলে জনস্বার্থেই এটি করতে হয়। অতীতেও ছিল, এখনো আছে।
জানা যায়, প্রশাসনের শীর্ষ দুটি পদে সাধারণত জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়। এবারও তেমনটি হলে পাঁচ-ছয়জনের মধ্য থেকেই দুজন উঠে আসতে পারেন। নবম ব্যাচের দুজন সচিব নিয়মিত চাকরিতে আছেন। তাঁরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তবে মুনিরুছ সালেহীনের আগামী ২৮ আগস্ট অবসরে যাওয়ার কথা। মেজবাহ উদ্দিনের চাকরির মেয়াদ আছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশাসনের অনেকে বলছেন, সব ঠিক থাকলে মেজবাহ উদ্দিনেরই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাঁদের যুক্তি, আগেও মুখ্য সচিবের সিনিয়র কর্মকর্তাকেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্য সচিব পদের জন্য আলোচনায় আছেন দশম ব্যাচের মোস্তফা কামাল, মো. মোকাব্বির হোসেন ও জাকিয়া সুলতানা। প্রথম দুজন ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর একই প্রজ্ঞাপনে সচিব হন। তাঁদের মধ্যে মোস্তফা কামাল আগামী বছরের ৯ সেপ্টেম্বর, মোকাব্বির হোসেন ৩১ ডিসেম্বর এবং জাকিয়া সুলতানা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। তবে এই পদে মোস্তফা কামালের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। তিনি প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’-এর বর্তমান সভাপতি। আর জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা না হলে ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাহ উদ্দিন মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
তবে নতুন করে আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান না প্রশাসনের বেশির ভাগ কর্মকর্তা। সচিবালয়ে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসনের কেউই চান না, শীর্ষ পর্যায়সহ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হোক। তাঁদের মতে, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জনপ্রশাসন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও টানা ১৬ বছরসহ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছেন। প্রশাসনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় তাঁর নখদর্পণে। তাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আর প্রয়োজন নেই। অনেকে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব দুজনই চুক্তিতে কর্মরত। তাঁরাও কিন্তু একসময় নতুন মুখ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সুতরাং, নতুনেরাও সুযোগ পেলে পুরোনোদের মতো সংশ্লিষ্ট পদে যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। তাই সিনিয়র সচিবদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও মেধায় যাঁরা এগিয়ে, তাঁদেরই এসব পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত। তবে নাম প্রকাশ করে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে রাজি হননি।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তাঁর মতে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আইনের খেলাপ না হলেও চুক্তির সংস্কৃতি থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খানের মতে, সচিব পদে চুক্তিতে একটি নিয়োগ হলে চার স্তরে পদোন্নতি থেমে যায়। এতে অতিরিক্ত সচিব যেমন সচিব হতে পারেন না, তেমনি যুগ্ম সচিবও অতিরিক্ত সচিব হতে পারেন না। একইভাবে উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবেরাও বঞ্চিত হন। তাই শুধু প্রশাসন নয়, সব ক্যাডারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত কর্মকর্তাদেরই নিয়োগ দেওয়া উচিত।

জনপ্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ আগামী অক্টোবরে এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ আগামী জুলাইয়ে শেষ হচ্ছে। এই দুই পদে কারা আসছেন, সে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাসনে।
এরই মধ্যে জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব পদে এবার নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় আছে পাঁচ আমলার নাম। তাঁরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মো. মোকাব্বির হোসেন ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাহ উদ্দিনের নামও বলছেন কেউ কেউ। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রশাসনে শীর্ষ দুটি পদেই বর্তমানে চুক্তির ভিত্তিতে আছেন বিসিএস ১৯৮৬ (অষ্টম) ব্যাচের কর্মকর্তা মো. মাহবুব হোসেন ও নবম ব্যাচের মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এ দুটি পদের মধ্যে মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি। তাঁদের চুক্তি যদি নবায়ন না হয়, তাহলে এই দুই পদে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিসিএস নবম ও দশম ব্যাচ থেকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কারিগরি পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার।
যোগ্য ব্যক্তি না পাওয়া গেলে জনস্বার্থেই এটি করতে হয়। অতীতেও ছিল, এখনো আছে।
জানা যায়, প্রশাসনের শীর্ষ দুটি পদে সাধারণত জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়। এবারও তেমনটি হলে পাঁচ-ছয়জনের মধ্য থেকেই দুজন উঠে আসতে পারেন। নবম ব্যাচের দুজন সচিব নিয়মিত চাকরিতে আছেন। তাঁরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তবে মুনিরুছ সালেহীনের আগামী ২৮ আগস্ট অবসরে যাওয়ার কথা। মেজবাহ উদ্দিনের চাকরির মেয়াদ আছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশাসনের অনেকে বলছেন, সব ঠিক থাকলে মেজবাহ উদ্দিনেরই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাঁদের যুক্তি, আগেও মুখ্য সচিবের সিনিয়র কর্মকর্তাকেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্য সচিব পদের জন্য আলোচনায় আছেন দশম ব্যাচের মোস্তফা কামাল, মো. মোকাব্বির হোসেন ও জাকিয়া সুলতানা। প্রথম দুজন ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর একই প্রজ্ঞাপনে সচিব হন। তাঁদের মধ্যে মোস্তফা কামাল আগামী বছরের ৯ সেপ্টেম্বর, মোকাব্বির হোসেন ৩১ ডিসেম্বর এবং জাকিয়া সুলতানা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। তবে এই পদে মোস্তফা কামালের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। তিনি প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’-এর বর্তমান সভাপতি। আর জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা না হলে ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাহ উদ্দিন মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
তবে নতুন করে আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান না প্রশাসনের বেশির ভাগ কর্মকর্তা। সচিবালয়ে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসনের কেউই চান না, শীর্ষ পর্যায়সহ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হোক। তাঁদের মতে, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জনপ্রশাসন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও টানা ১৬ বছরসহ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছেন। প্রশাসনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় তাঁর নখদর্পণে। তাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আর প্রয়োজন নেই। অনেকে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব দুজনই চুক্তিতে কর্মরত। তাঁরাও কিন্তু একসময় নতুন মুখ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সুতরাং, নতুনেরাও সুযোগ পেলে পুরোনোদের মতো সংশ্লিষ্ট পদে যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। তাই সিনিয়র সচিবদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও মেধায় যাঁরা এগিয়ে, তাঁদেরই এসব পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত। তবে নাম প্রকাশ করে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে রাজি হননি।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তাঁর মতে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আইনের খেলাপ না হলেও চুক্তির সংস্কৃতি থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খানের মতে, সচিব পদে চুক্তিতে একটি নিয়োগ হলে চার স্তরে পদোন্নতি থেমে যায়। এতে অতিরিক্ত সচিব যেমন সচিব হতে পারেন না, তেমনি যুগ্ম সচিবও অতিরিক্ত সচিব হতে পারেন না। একইভাবে উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবেরাও বঞ্চিত হন। তাই শুধু প্রশাসন নয়, সব ক্যাডারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত কর্মকর্তাদেরই নিয়োগ দেওয়া উচিত।

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ এই ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। তবে নতুন প্রস্তাবে এই মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে এই প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর কাঠামো ও রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। তবে ঠিকাদারের কাজের বিল বকেয়া রয়েছে। সংকেত (সিগন্যালিং) ব্যবস্থার কিছু কাজ এবং নতুন একটি প্যাকেজের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ-কাজ এখনো বাকি।
বিশেষ করে নতুন প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়াই শুরু করা যায়নি। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) যমুনা রেলসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে প্রথম সংশোধনীতে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে এই প্রকল্পের ব্রিজ লাইটিংয়ের কিছু মালামাল পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালামাল ঠিকাদার নিজ দায়িত্বে আবার সংগ্রহ করে সরবরাহ করবে। এ ছাড়া ওই অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স কিছুদিন বন্ধ থাকায় সিগন্যালিং-সংক্রান্ত কিছু মালামাল আমদানিতে বিলম্ব হয়েছে। পরে রুট পরিবর্তন করে এসব মালামাল অন্য বন্দর দিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ কারণে কাজ সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় একটি বিশেষ নির্মাণ প্যাকেজের (ডব্লিউডি-৫) অধীনে রেলওয়ে সেতু জাদুঘর, পরিদর্শন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৪ কোটি টাকা। তবে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। সংশোধিত পরিকল্পনায় রেলওয়ে সেতু জাদুঘর বাদ দিয়ে পরিদর্শন বাংলো, অভ্যন্তরীণ সড়ক, ড্রেনেজ এবং সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তিত এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। তবে এখনো এই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে অতিরিক্ত সময় লাগবে।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ‘সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি আলাদা প্যাকেজ যুক্ত করা হয়েছে। এই প্যাকেজ বাস্তবায়নের কাজও বাকি রয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, সার্বিকভাবে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব ইতিমধ্যে রেলপথ উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। প্রকল্পের ভেতর এখনো কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি থাকায় চূড়ান্তভাবে কাজ শেষ করতে এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ শেষ করতে আনুমানিক ছয় মাস লাগতে পারে। তবে এ নিয়ে বড় কোনো জটিলতা নেই। সিগন্যালিংয়ের কাজ আগামী মধ্য জানুয়ারিতে শেষ হবে। বাড়তি সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
প্রকল্পের ব্যয় কমেছে
প্রকল্পের আওতায় যমুনা রেলসেতুসহ ভায়াডাক্ট, অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট, লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। সয়দাবাদ ও ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন আধুনিকীকরণ, ইয়ার্ড রিমডেলিং, সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সেতু রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস ও আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে।
মূল ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। তবে দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে ৪ হাজার ৬০৪ দশমিক ৪১ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে দেশীয় উৎস থেকে এবং বাকি ১১ হাজার ৯০৮ দশমিক ১১ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বহুমুখী সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি সীমিত করা হয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল সেতু চালু হওয়ায় বড় অর্জন হয়েছে। তবে সিগন্যালিং, স্টেশন অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ যৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে কাজ শেষ করাই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। তবে পরিকল্পিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা বন্ধ করা দরকার।
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ এই ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। তবে নতুন প্রস্তাবে এই মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে এই প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর কাঠামো ও রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। তবে ঠিকাদারের কাজের বিল বকেয়া রয়েছে। সংকেত (সিগন্যালিং) ব্যবস্থার কিছু কাজ এবং নতুন একটি প্যাকেজের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ-কাজ এখনো বাকি।
বিশেষ করে নতুন প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়াই শুরু করা যায়নি। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) যমুনা রেলসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে প্রথম সংশোধনীতে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে এই প্রকল্পের ব্রিজ লাইটিংয়ের কিছু মালামাল পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালামাল ঠিকাদার নিজ দায়িত্বে আবার সংগ্রহ করে সরবরাহ করবে। এ ছাড়া ওই অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স কিছুদিন বন্ধ থাকায় সিগন্যালিং-সংক্রান্ত কিছু মালামাল আমদানিতে বিলম্ব হয়েছে। পরে রুট পরিবর্তন করে এসব মালামাল অন্য বন্দর দিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ কারণে কাজ সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় একটি বিশেষ নির্মাণ প্যাকেজের (ডব্লিউডি-৫) অধীনে রেলওয়ে সেতু জাদুঘর, পরিদর্শন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৪ কোটি টাকা। তবে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। সংশোধিত পরিকল্পনায় রেলওয়ে সেতু জাদুঘর বাদ দিয়ে পরিদর্শন বাংলো, অভ্যন্তরীণ সড়ক, ড্রেনেজ এবং সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তিত এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। তবে এখনো এই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে অতিরিক্ত সময় লাগবে।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ‘সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি আলাদা প্যাকেজ যুক্ত করা হয়েছে। এই প্যাকেজ বাস্তবায়নের কাজও বাকি রয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, সার্বিকভাবে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব ইতিমধ্যে রেলপথ উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। প্রকল্পের ভেতর এখনো কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি থাকায় চূড়ান্তভাবে কাজ শেষ করতে এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ শেষ করতে আনুমানিক ছয় মাস লাগতে পারে। তবে এ নিয়ে বড় কোনো জটিলতা নেই। সিগন্যালিংয়ের কাজ আগামী মধ্য জানুয়ারিতে শেষ হবে। বাড়তি সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
প্রকল্পের ব্যয় কমেছে
প্রকল্পের আওতায় যমুনা রেলসেতুসহ ভায়াডাক্ট, অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট, লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। সয়দাবাদ ও ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন আধুনিকীকরণ, ইয়ার্ড রিমডেলিং, সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সেতু রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস ও আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে।
মূল ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। তবে দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে ৪ হাজার ৬০৪ দশমিক ৪১ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে দেশীয় উৎস থেকে এবং বাকি ১১ হাজার ৯০৮ দশমিক ১১ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বহুমুখী সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি সীমিত করা হয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল সেতু চালু হওয়ায় বড় অর্জন হয়েছে। তবে সিগন্যালিং, স্টেশন অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ যৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে কাজ শেষ করাই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। তবে পরিকল্পিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা বন্ধ করা দরকার।

জনপ্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ আগামী অক্টোবরে এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ আগামী জুলাইয়ে শেষ হচ্ছে। এই দুই পদে কারা আসছেন, সে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাস
৩০ মে ২০২৪
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জনপ্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ আগামী অক্টোবরে এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ আগামী জুলাইয়ে শেষ হচ্ছে। এই দুই পদে কারা আসছেন, সে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাস
৩০ মে ২০২৪
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. আহাদ জানান, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতি দেয়। পরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘অপারেশন শেষ হওয়ার পর আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। পরে সরাসরি তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’
এদিকে হাদির মরদেহ শুক্রবার সকালে দেশে এসে পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহাদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. আহাদ জানান, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতি দেয়। পরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘অপারেশন শেষ হওয়ার পর আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। পরে সরাসরি তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’
এদিকে হাদির মরদেহ শুক্রবার সকালে দেশে এসে পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহাদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জনপ্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ আগামী অক্টোবরে এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ আগামী জুলাইয়ে শেষ হচ্ছে। এই দুই পদে কারা আসছেন, সে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাস
৩০ মে ২০২৪
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
৩ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন হাদি। এই উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, তাঁর প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
এ সময় হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এই উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন হাদি। এই উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, তাঁর প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
এ সময় হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এই উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

জনপ্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ আগামী অক্টোবরে এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ আগামী জুলাইয়ে শেষ হচ্ছে। এই দুই পদে কারা আসছেন, সে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাস
৩০ মে ২০২৪
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৩ ঘণ্টা আগে