মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি হিমছড়ি থেকে টেকনাফ সৈকতজুড়ে কয়েকটি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তরিকুল ইসলাম জানান, ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটি ৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ওজন ১২০ কেজি। অন্তত সাত-আট দিন আগে এটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধা, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতে পরপর দুটি ইরাবতী ও একটি হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির ডলফিন এবং একটি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী পরপইস ভেসে আসে।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনে ৬৬টি অলিভ রিডলি প্রজাতির মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়া থেকে টেকনাফ হাজমপাড়া এবং সোনাদিয়া উপকূলে ২৪টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।
বোরির বিজ্ঞানীরা গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সমুদ্র উপকূল পরিদর্শন করে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ও মা কচ্ছপ মারা পড়ার এই চিত্র দেখতে পান। মারা পড়া কচ্ছপের পা কাটা, ফ্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত এবং শরীরে জাল প্যাঁচানো দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে, কেন এবং কীভাবে প্রাণীগুলো মারা পড়ছে, তার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে জানিয়ে বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক প্রাণী জেলেদের জালে আটকা পড়ে এবং মাছ ধরার ট্রলার ও জাহাজে ধাক্কা খেয়ে বা অন্য যেকোনোভাবে আঘাত পেয়ে মারা যাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের। একের পর এক বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা পড়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম বলেন, মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করার মতো দক্ষ লোক মাঠ পর্যায়ে নেই। এ নিয়ে বোরির সহায়তায় নেওয়া হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূলের প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে তিন দশক ধরে গবেষণা করে আসছেন কক্সবাজার প্রকৃতি অধ্যয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়ক সাংবাদিক আহমদ গিয়াস।
আহমদ গিয়াস বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপ মারা পড়ার বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না।
এভাবে টানা কচ্ছপ ও সামুদ্রিক প্রাণীর মরদেহ ভেসে আসার ঘটনা নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে কারণ অনুসন্ধান জরুরি।
বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, বোরির বিজ্ঞানীরা মৃত ভেসে আসা প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করে প্রজাতি চিহ্নিত ও মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। এ ছাড়া সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থলে কোনো বিপর্যয় ঘটেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে।
এভাবেই আশঙ্কাজনক হারে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী ও কচ্ছপ মারা পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ও বোরির সাবেক মহাপরিচালক সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে এসে জেলেদের জালে বা মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়ে যে মারা পড়ছে তা সহজেই অনুমেয়। এ ছাড়া গোস্ট নেট বা সমুদ্রে পরিত্যক্ত জাল, নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বিহুন্দি জাল কচ্ছপসহ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর ফাঁদ। এ বিষয়ে জেলেদের প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দেন এই সমুদ্রবিজ্ঞানী।
গত বছরের ৩০ মার্চ সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি মরা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল। এর আগে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ-সংলগ্ন সৈকতে একই প্রজাতির মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল।
এ ছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুই দিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মরা তিমি ভেসে এসেছিল।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি হিমছড়ি থেকে টেকনাফ সৈকতজুড়ে কয়েকটি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তরিকুল ইসলাম জানান, ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটি ৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ওজন ১২০ কেজি। অন্তত সাত-আট দিন আগে এটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধা, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতে পরপর দুটি ইরাবতী ও একটি হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির ডলফিন এবং একটি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী পরপইস ভেসে আসে।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনে ৬৬টি অলিভ রিডলি প্রজাতির মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়া থেকে টেকনাফ হাজমপাড়া এবং সোনাদিয়া উপকূলে ২৪টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।
বোরির বিজ্ঞানীরা গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সমুদ্র উপকূল পরিদর্শন করে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ও মা কচ্ছপ মারা পড়ার এই চিত্র দেখতে পান। মারা পড়া কচ্ছপের পা কাটা, ফ্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত এবং শরীরে জাল প্যাঁচানো দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে, কেন এবং কীভাবে প্রাণীগুলো মারা পড়ছে, তার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে জানিয়ে বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক প্রাণী জেলেদের জালে আটকা পড়ে এবং মাছ ধরার ট্রলার ও জাহাজে ধাক্কা খেয়ে বা অন্য যেকোনোভাবে আঘাত পেয়ে মারা যাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের। একের পর এক বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা পড়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম বলেন, মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করার মতো দক্ষ লোক মাঠ পর্যায়ে নেই। এ নিয়ে বোরির সহায়তায় নেওয়া হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূলের প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে তিন দশক ধরে গবেষণা করে আসছেন কক্সবাজার প্রকৃতি অধ্যয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়ক সাংবাদিক আহমদ গিয়াস।
আহমদ গিয়াস বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপ মারা পড়ার বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না।
এভাবে টানা কচ্ছপ ও সামুদ্রিক প্রাণীর মরদেহ ভেসে আসার ঘটনা নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে কারণ অনুসন্ধান জরুরি।
বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, বোরির বিজ্ঞানীরা মৃত ভেসে আসা প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করে প্রজাতি চিহ্নিত ও মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। এ ছাড়া সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থলে কোনো বিপর্যয় ঘটেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে।
এভাবেই আশঙ্কাজনক হারে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী ও কচ্ছপ মারা পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ও বোরির সাবেক মহাপরিচালক সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে এসে জেলেদের জালে বা মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়ে যে মারা পড়ছে তা সহজেই অনুমেয়। এ ছাড়া গোস্ট নেট বা সমুদ্রে পরিত্যক্ত জাল, নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বিহুন্দি জাল কচ্ছপসহ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর ফাঁদ। এ বিষয়ে জেলেদের প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দেন এই সমুদ্রবিজ্ঞানী।
গত বছরের ৩০ মার্চ সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি মরা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল। এর আগে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ-সংলগ্ন সৈকতে একই প্রজাতির মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল।
এ ছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুই দিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মরা তিমি ভেসে এসেছিল।
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি হিমছড়ি থেকে টেকনাফ সৈকতজুড়ে কয়েকটি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তরিকুল ইসলাম জানান, ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটি ৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ওজন ১২০ কেজি। অন্তত সাত-আট দিন আগে এটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধা, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতে পরপর দুটি ইরাবতী ও একটি হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির ডলফিন এবং একটি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী পরপইস ভেসে আসে।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনে ৬৬টি অলিভ রিডলি প্রজাতির মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়া থেকে টেকনাফ হাজমপাড়া এবং সোনাদিয়া উপকূলে ২৪টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।
বোরির বিজ্ঞানীরা গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সমুদ্র উপকূল পরিদর্শন করে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ও মা কচ্ছপ মারা পড়ার এই চিত্র দেখতে পান। মারা পড়া কচ্ছপের পা কাটা, ফ্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত এবং শরীরে জাল প্যাঁচানো দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে, কেন এবং কীভাবে প্রাণীগুলো মারা পড়ছে, তার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে জানিয়ে বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক প্রাণী জেলেদের জালে আটকা পড়ে এবং মাছ ধরার ট্রলার ও জাহাজে ধাক্কা খেয়ে বা অন্য যেকোনোভাবে আঘাত পেয়ে মারা যাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের। একের পর এক বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা পড়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম বলেন, মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করার মতো দক্ষ লোক মাঠ পর্যায়ে নেই। এ নিয়ে বোরির সহায়তায় নেওয়া হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূলের প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে তিন দশক ধরে গবেষণা করে আসছেন কক্সবাজার প্রকৃতি অধ্যয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়ক সাংবাদিক আহমদ গিয়াস।
আহমদ গিয়াস বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপ মারা পড়ার বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না।
এভাবে টানা কচ্ছপ ও সামুদ্রিক প্রাণীর মরদেহ ভেসে আসার ঘটনা নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে কারণ অনুসন্ধান জরুরি।
বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, বোরির বিজ্ঞানীরা মৃত ভেসে আসা প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করে প্রজাতি চিহ্নিত ও মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। এ ছাড়া সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থলে কোনো বিপর্যয় ঘটেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে।
এভাবেই আশঙ্কাজনক হারে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী ও কচ্ছপ মারা পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ও বোরির সাবেক মহাপরিচালক সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে এসে জেলেদের জালে বা মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়ে যে মারা পড়ছে তা সহজেই অনুমেয়। এ ছাড়া গোস্ট নেট বা সমুদ্রে পরিত্যক্ত জাল, নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বিহুন্দি জাল কচ্ছপসহ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর ফাঁদ। এ বিষয়ে জেলেদের প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দেন এই সমুদ্রবিজ্ঞানী।
গত বছরের ৩০ মার্চ সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি মরা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল। এর আগে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ-সংলগ্ন সৈকতে একই প্রজাতির মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল।
এ ছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুই দিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মরা তিমি ভেসে এসেছিল।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি হিমছড়ি থেকে টেকনাফ সৈকতজুড়ে কয়েকটি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তরিকুল ইসলাম জানান, ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটি ৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ওজন ১২০ কেজি। অন্তত সাত-আট দিন আগে এটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধা, হিমছড়ি ও ইনানী সৈকতে পরপর দুটি ইরাবতী ও একটি হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির ডলফিন এবং একটি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী পরপইস ভেসে আসে।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ দিনে ৬৬টি অলিভ রিডলি প্রজাতির মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এক দিনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়া থেকে টেকনাফ হাজমপাড়া এবং সোনাদিয়া উপকূলে ২৪টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।
বোরির বিজ্ঞানীরা গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সমুদ্র উপকূল পরিদর্শন করে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ও মা কচ্ছপ মারা পড়ার এই চিত্র দেখতে পান। মারা পড়া কচ্ছপের পা কাটা, ফ্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত এবং শরীরে জাল প্যাঁচানো দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে, কেন এবং কীভাবে প্রাণীগুলো মারা পড়ছে, তার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে জানিয়ে বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক প্রাণী জেলেদের জালে আটকা পড়ে এবং মাছ ধরার ট্রলার ও জাহাজে ধাক্কা খেয়ে বা অন্য যেকোনোভাবে আঘাত পেয়ে মারা যাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের। একের পর এক বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা পড়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম বলেন, মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করার মতো দক্ষ লোক মাঠ পর্যায়ে নেই। এ নিয়ে বোরির সহায়তায় নেওয়া হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূলের প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে তিন দশক ধরে গবেষণা করে আসছেন কক্সবাজার প্রকৃতি অধ্যয়ন কেন্দ্রের সমন্বয়ক সাংবাদিক আহমদ গিয়াস।
আহমদ গিয়াস বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপ মারা পড়ার বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না।
এভাবে টানা কচ্ছপ ও সামুদ্রিক প্রাণীর মরদেহ ভেসে আসার ঘটনা নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে কারণ অনুসন্ধান জরুরি।
বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, বোরির বিজ্ঞানীরা মৃত ভেসে আসা প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করে প্রজাতি চিহ্নিত ও মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। এ ছাড়া সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থলে কোনো বিপর্যয় ঘটেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে।
এভাবেই আশঙ্কাজনক হারে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী ও কচ্ছপ মারা পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ও বোরির সাবেক মহাপরিচালক সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়তে এসে জেলেদের জালে বা মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়ে যে মারা পড়ছে তা সহজেই অনুমেয়। এ ছাড়া গোস্ট নেট বা সমুদ্রে পরিত্যক্ত জাল, নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বিহুন্দি জাল কচ্ছপসহ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর ফাঁদ। এ বিষয়ে জেলেদের প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দেন এই সমুদ্রবিজ্ঞানী।
গত বছরের ৩০ মার্চ সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি মরা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল। এর আগে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ-সংলগ্ন সৈকতে একই প্রজাতির মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল।
এ ছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুই দিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মরা তিমি ভেসে এসেছিল।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
২১ মিনিট আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান সমুদ্র বিজ্ঞানীরা।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান সমুদ্র বিজ্ঞানীরা।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
২১ মিনিট আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান সমুদ্র বিজ্ঞানীরা।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
২১ মিনিট আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১৯ ঘণ্টা আগে
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান সমুদ্র বিজ্ঞানীরা।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
২১ মিনিট আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে