নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ঠিক সেই সময়েও সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন কয়েজন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটে অংশ নিতে তিন প্রার্থী এবং মাঠ থেকে ছয় প্রার্থীকে সরিয়ে দিতে করা আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
ভোটের মাঠে ফিরতে আবেদন করেছেন বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং নোয়াখালী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিন।
আর ভোটের মাঠ থেকে বাদ দিতে আবেদন করা হয়েছে ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক, যশোর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুল, ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিক, গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ, সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান এবং লালমনিরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। শেষ পর্যন্ত কেউ প্রার্থিতা ফিরে পেলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আর ওই আসনে ব্যালট ছাপানো হয়ে গেলেও নতুন করে ব্যালট ছাপাতে হবে।
সাদিক আবদুল্লাহ:
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলে ইসিতে আপিল করেছিলেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। পরে হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান সাদিক। তবে জাহিদ ফারুক চেম্বার আদালতে আবেদন করলে আবারও আটকে যান সাদিক আব্দুল্লাহ। অবশেষে ভোটে ফিরতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন সাদিক, যা আজ শুনানির জন্য রয়েছে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে।
শাম্মী আহমেদ:
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেও বিফল হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। এমনকি চেম্বার আদালতে গিয়েও সাড়া মেলেনি। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে লিভ টু আপিল করেন তিনি, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
খন্দকার রুহুল আমিন:
দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিল করতে ইসিতে আবেদন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান। তাতে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। দুই সংস্থার প্রতিবেদনে রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ মেলায় তার প্রার্থিতা বাতিল করে হাইকোর্ট। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রুহুল আমিন।
শামীম হক:
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদের আবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে শামীম হক রিট করলেও তা খারিজ হয়। তবে চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন শামীম। পরবর্তী সময়ে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন এ কে আজাদ। যা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গে বেঞ্চে রয়েছে।
আলম আহমেদ:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল এবং হাইকোর্টে সাড়া না পেলেও চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন আলম। তবে আলমের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি চেম্বার আদালতে আবেদন করেন, যা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়।
এনামুল হক বাবুল:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায়ের আবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের প্রার্থিতা বাতিল করেন ইসি। পরে হাইকোর্টে গিয়ে সাড়া না পেলেও চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন তিনি। পরবর্তীতে বাবুলের প্রার্থিতা বাতিল করতে চেম্বার আদালতে যান রণজিত, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
হাসিবুর রহমান মানিক:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ইসিতে আপিল করেও সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফিরলেও নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে আবেদন করে। এখন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সিদ্ধান্ত হবে।
আতাউর রহমান প্রধান:
অবসর গ্রহণের পর তিন বছর পার হয়নি–এমন অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের প্রার্থিতা বাতিল করতে ইসিতে আবেদন করেছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহার হোসেন। তবে সেখানে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টেও সাড়া না পেয়ে যান চেম্বার আদালতে। চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।
মুহিবুর রহমান:
মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করায় ইসিতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ ভোটের মাঠে ফেরেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান। তবে নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে তার প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আবেদন করেন, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কমিশন এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ঠিক সেই সময়েও সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন কয়েজন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটে অংশ নিতে তিন প্রার্থী এবং মাঠ থেকে ছয় প্রার্থীকে সরিয়ে দিতে করা আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
ভোটের মাঠে ফিরতে আবেদন করেছেন বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং নোয়াখালী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিন।
আর ভোটের মাঠ থেকে বাদ দিতে আবেদন করা হয়েছে ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক, যশোর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুল, ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিক, গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ, সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান এবং লালমনিরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। শেষ পর্যন্ত কেউ প্রার্থিতা ফিরে পেলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আর ওই আসনে ব্যালট ছাপানো হয়ে গেলেও নতুন করে ব্যালট ছাপাতে হবে।
সাদিক আবদুল্লাহ:
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলে ইসিতে আপিল করেছিলেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। পরে হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান সাদিক। তবে জাহিদ ফারুক চেম্বার আদালতে আবেদন করলে আবারও আটকে যান সাদিক আব্দুল্লাহ। অবশেষে ভোটে ফিরতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন সাদিক, যা আজ শুনানির জন্য রয়েছে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে।
শাম্মী আহমেদ:
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেও বিফল হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। এমনকি চেম্বার আদালতে গিয়েও সাড়া মেলেনি। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে লিভ টু আপিল করেন তিনি, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
খন্দকার রুহুল আমিন:
দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিল করতে ইসিতে আবেদন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান। তাতে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। দুই সংস্থার প্রতিবেদনে রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ মেলায় তার প্রার্থিতা বাতিল করে হাইকোর্ট। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রুহুল আমিন।
শামীম হক:
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদের আবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে শামীম হক রিট করলেও তা খারিজ হয়। তবে চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন শামীম। পরবর্তী সময়ে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন এ কে আজাদ। যা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গে বেঞ্চে রয়েছে।
আলম আহমেদ:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল এবং হাইকোর্টে সাড়া না পেলেও চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন আলম। তবে আলমের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি চেম্বার আদালতে আবেদন করেন, যা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়।
এনামুল হক বাবুল:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায়ের আবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের প্রার্থিতা বাতিল করেন ইসি। পরে হাইকোর্টে গিয়ে সাড়া না পেলেও চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন তিনি। পরবর্তীতে বাবুলের প্রার্থিতা বাতিল করতে চেম্বার আদালতে যান রণজিত, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
হাসিবুর রহমান মানিক:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ইসিতে আপিল করেও সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফিরলেও নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে আবেদন করে। এখন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সিদ্ধান্ত হবে।
আতাউর রহমান প্রধান:
অবসর গ্রহণের পর তিন বছর পার হয়নি–এমন অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের প্রার্থিতা বাতিল করতে ইসিতে আবেদন করেছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহার হোসেন। তবে সেখানে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টেও সাড়া না পেয়ে যান চেম্বার আদালতে। চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।
মুহিবুর রহমান:
মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করায় ইসিতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ ভোটের মাঠে ফেরেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান। তবে নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে তার প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আবেদন করেন, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কমিশন এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ঠিক সেই সময়েও সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন কয়েজন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটে অংশ নিতে তিন প্রার্থী এবং মাঠ থেকে ছয় প্রার্থীকে সরিয়ে দিতে করা আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
ভোটের মাঠে ফিরতে আবেদন করেছেন বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং নোয়াখালী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিন।
আর ভোটের মাঠ থেকে বাদ দিতে আবেদন করা হয়েছে ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক, যশোর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুল, ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিক, গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ, সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান এবং লালমনিরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। শেষ পর্যন্ত কেউ প্রার্থিতা ফিরে পেলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আর ওই আসনে ব্যালট ছাপানো হয়ে গেলেও নতুন করে ব্যালট ছাপাতে হবে।
সাদিক আবদুল্লাহ:
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলে ইসিতে আপিল করেছিলেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। পরে হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান সাদিক। তবে জাহিদ ফারুক চেম্বার আদালতে আবেদন করলে আবারও আটকে যান সাদিক আব্দুল্লাহ। অবশেষে ভোটে ফিরতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন সাদিক, যা আজ শুনানির জন্য রয়েছে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে।
শাম্মী আহমেদ:
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেও বিফল হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। এমনকি চেম্বার আদালতে গিয়েও সাড়া মেলেনি। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে লিভ টু আপিল করেন তিনি, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
খন্দকার রুহুল আমিন:
দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিল করতে ইসিতে আবেদন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান। তাতে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। দুই সংস্থার প্রতিবেদনে রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ মেলায় তার প্রার্থিতা বাতিল করে হাইকোর্ট। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রুহুল আমিন।
শামীম হক:
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদের আবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে শামীম হক রিট করলেও তা খারিজ হয়। তবে চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন শামীম। পরবর্তী সময়ে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন এ কে আজাদ। যা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গে বেঞ্চে রয়েছে।
আলম আহমেদ:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল এবং হাইকোর্টে সাড়া না পেলেও চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন আলম। তবে আলমের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি চেম্বার আদালতে আবেদন করেন, যা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়।
এনামুল হক বাবুল:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায়ের আবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের প্রার্থিতা বাতিল করেন ইসি। পরে হাইকোর্টে গিয়ে সাড়া না পেলেও চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন তিনি। পরবর্তীতে বাবুলের প্রার্থিতা বাতিল করতে চেম্বার আদালতে যান রণজিত, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
হাসিবুর রহমান মানিক:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ইসিতে আপিল করেও সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফিরলেও নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে আবেদন করে। এখন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সিদ্ধান্ত হবে।
আতাউর রহমান প্রধান:
অবসর গ্রহণের পর তিন বছর পার হয়নি–এমন অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের প্রার্থিতা বাতিল করতে ইসিতে আবেদন করেছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহার হোসেন। তবে সেখানে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টেও সাড়া না পেয়ে যান চেম্বার আদালতে। চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।
মুহিবুর রহমান:
মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করায় ইসিতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ ভোটের মাঠে ফেরেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান। তবে নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে তার প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আবেদন করেন, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কমিশন এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ঠিক সেই সময়েও সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন কয়েজন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটে অংশ নিতে তিন প্রার্থী এবং মাঠ থেকে ছয় প্রার্থীকে সরিয়ে দিতে করা আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে তাঁদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
ভোটের মাঠে ফিরতে আবেদন করেছেন বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং নোয়াখালী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিন।
আর ভোটের মাঠ থেকে বাদ দিতে আবেদন করা হয়েছে ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক, যশোর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুল, ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিক, গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ, সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান এবং লালমনিরহাট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। শেষ পর্যন্ত কেউ প্রার্থিতা ফিরে পেলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আর ওই আসনে ব্যালট ছাপানো হয়ে গেলেও নতুন করে ব্যালট ছাপাতে হবে।
সাদিক আবদুল্লাহ:
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলে ইসিতে আপিল করেছিলেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। পরে হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান সাদিক। তবে জাহিদ ফারুক চেম্বার আদালতে আবেদন করলে আবারও আটকে যান সাদিক আব্দুল্লাহ। অবশেষে ভোটে ফিরতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন সাদিক, যা আজ শুনানির জন্য রয়েছে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে।
শাম্মী আহমেদ:
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন ও হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেও বিফল হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। এমনকি চেম্বার আদালতে গিয়েও সাড়া মেলেনি। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে লিভ টু আপিল করেন তিনি, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
খন্দকার রুহুল আমিন:
দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিল করতে ইসিতে আবেদন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান। তাতে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। দুই সংস্থার প্রতিবেদনে রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ মেলায় তার প্রার্থিতা বাতিল করে হাইকোর্ট। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রুহুল আমিন।
শামীম হক:
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদের আবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে শামীম হক রিট করলেও তা খারিজ হয়। তবে চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন শামীম। পরবর্তী সময়ে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন এ কে আজাদ। যা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গে বেঞ্চে রয়েছে।
আলম আহমেদ:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল এবং হাইকোর্টে সাড়া না পেলেও চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন আলম। তবে আলমের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি চেম্বার আদালতে আবেদন করেন, যা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়।
এনামুল হক বাবুল:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায়ের আবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের প্রার্থিতা বাতিল করেন ইসি। পরে হাইকোর্টে গিয়ে সাড়া না পেলেও চেম্বার আদালতের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফেরেন তিনি। পরবর্তীতে বাবুলের প্রার্থিতা বাতিল করতে চেম্বার আদালতে যান রণজিত, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
হাসিবুর রহমান মানিক:
ঋণখেলাপির অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ইসিতে আপিল করেও সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটের মাঠে ফিরলেও নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে আবেদন করে। এখন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সিদ্ধান্ত হবে।
আতাউর রহমান প্রধান:
অবসর গ্রহণের পর তিন বছর পার হয়নি–এমন অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের প্রার্থিতা বাতিল করতে ইসিতে আবেদন করেছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহার হোসেন। তবে সেখানে সাড়া না পেয়ে রিট করেন তিনি। হাইকোর্টেও সাড়া না পেয়ে যান চেম্বার আদালতে। চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।
মুহিবুর রহমান:
মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করায় ইসিতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ ভোটের মাঠে ফেরেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান। তবে নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে তার প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আবেদন করেন, যা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কমিশন এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩৩ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় শোক পালনে আজ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
গতকাল শুক্রবার হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। তাঁর মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আরও বলা হয়েছে, এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় শোক পালনে আজ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
গতকাল শুক্রবার হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। তাঁর মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আরও বলা হয়েছে, এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ঠিক সেই সময়েও সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন কয়েজন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটে অংশ নিতে তিন প্রার্থী এবং মাঠ থেকে ছয় প্রার
০২ জানুয়ারি ২০২৪
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ঠিক সেই সময়েও সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন কয়েজন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটে অংশ নিতে তিন প্রার্থী এবং মাঠ থেকে ছয় প্রার
০২ জানুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩৩ মিনিট আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ঠিক সেই সময়েও সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন কয়েজন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটে অংশ নিতে তিন প্রার্থী এবং মাঠ থেকে ছয় প্রার
০২ জানুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩৩ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ঠিক সেই সময়েও সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন কয়েজন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটে অংশ নিতে তিন প্রার্থী এবং মাঠ থেকে ছয় প্রার
০২ জানুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩৩ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে