তানিম আহমেদ, ঢাকা

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নিকাশ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার ভোটের লড়াই হতে পারে দুই জোটের মধ্যে। এক পক্ষে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টি। অন্য পক্ষে থাকতে পারে নতুন নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলের নতুন জোট। এই জোটের সম্ভাব্য নাম ‘জাতীয়তাবাদী জোট’।
এবারের ভোটও জোটগতভাবে হবে এমনটাই জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন জোটগতভাবে হবে। ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তবে জোটের আসনবিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসছে, এটা অনুমেয়। কিন্তু একেবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায় না দলটি। এ কারণে দলের কেউ নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে চাইলে তাঁকে এবার বাধা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে ছোট ছোট দলকেও অবস্থান শক্তিশালী করতে উৎসাহ দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি।
ভোটের দৌড়ে যোগ দেওয়া দলগুলোর মধ্যে কেবল জাতীয় পার্টিরই কোথাও কোথাও স্থানীয় পর্যায়ে কিছু ভিত্তি আছে। আওয়ামী লীগের আশঙ্কা, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে জেতার নিশ্চয়তা না পেলে শেষ মুহূর্তে হয়তো নির্বাচনে না-ও থাকতে পারে জাপা। তাই দলটিকে ভোটে ধরে রাখতে আসন ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীনেরা।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়েছেন জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
জোট গঠনের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্নু গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখা যাক, কী হয়।’
৪ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র বাছাই হয়ে গেছে। এতে বৈধ হওয়া প্রার্থীর তালিকার নানামুখী বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, দল মনোনীত প্রার্থী ও শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থীদের মিলিয়ে এবারের ভোটে প্রায় ২২০ আসনে বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা মহল থেকে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি থাকায় ভোটের পর সরকার পরিচালনায় দেশ-বিদেশে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। এমন বিবেচনায় দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র দলগুলোকে ভোটের পরও যূথবদ্ধ রাখা দরকার বলে মনে করছেন সরকারি দলের কুশীলবেরা। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের অন্তত ৫০টি আসন ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুরোনো মহাজোটকে চাঙা করার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা দলের সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাপার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নির্বাচন করছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালামের মনোনয়নও বাছাইয়ে টিকে গেছে। এখন আসনটি নিয়ে বেশ দোটানায় আওয়ামী লীগ। কারণ, আসনটি জাপা প্রার্থীকে ছেড়ে না দিলে দলটিকে ভোটে রাখা কঠিন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি আসন ছাড়া বিজয়ী হওয়ার মতো তাদের অবস্থান নেই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা তাদের আসন ছাড় না দিলে চার-পাঁচটার বেশি আসনে তারা বিজয়ী হতে পারবে না। এমনটা আমরা চাই না। এ জন্য কিছু আসনে তাদের ছাড় দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।’
ওই নেতা আরও বলেন, ‘জাপাকে আসন ছাড় দিলেও দলীয় প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হবে কি না, সেটা এখনো ঠিক করা হয়নি। প্রার্থী প্রত্যাহার না করেও কীভাবে তাদের ছাড় দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা আমরা করছি। সর্বশেষ ১৫-২০টি আসনে তাদের ছাড়ও দেওয়া হতে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। ছাড়ের আশ্বাস না পেলে তারা নির্বাচনের মাঠ থেকে সরেও যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে আরও বেশি প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা সেটা দিতে চাই না।’
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের শরিক একটি দলের প্রধান বলেন, ‘সরকারের যেমন জাতীয় পার্টিকে দরকার, জাতীয় পার্টিরও তেমনি সরকারকে দরকার। সরকারকে দলটি বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেছে, বিনিময়ে সুবিধাও পেয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান কোথায় থাকবে, সেটা আওয়ামী লীগকেই ঠিক করতে হবে। নির্বাচনের জন্য যদি তাদের মহাজোটে নেয়, সেটা আমরা মেনে নেব।’
জাপার বাইরের ছোট ছোট দলের নেতারাও ভোটের আগেই জোট গঠনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেকে গণভবনে ছুটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেতে। দলগুলোর বড় নেতারা নিজ নিজ আসনে জেতা নিশ্চিত করতে চান। পাশাপাশি কোন দল কত আসন এবং কোন কোন আসন পেতে পারে, তারও পাকা হিসাব করে ফেলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী জোট নামে একটি রাজনৈতিক মঞ্চ গঠনেরও তোড়জোড় চলছে বলে জানান রাজনীতির কুশীলবেরা। জোটবদ্ধ হতে পারলে তারা সব মিলিয়ে ৩০টি আসনে জয় পেতে পারে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জোট ও অন্যান্য দলের আসন ছাড় নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলীয় সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়গুলো বলবেন।

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নিকাশ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার ভোটের লড়াই হতে পারে দুই জোটের মধ্যে। এক পক্ষে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টি। অন্য পক্ষে থাকতে পারে নতুন নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলের নতুন জোট। এই জোটের সম্ভাব্য নাম ‘জাতীয়তাবাদী জোট’।
এবারের ভোটও জোটগতভাবে হবে এমনটাই জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন জোটগতভাবে হবে। ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তবে জোটের আসনবিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসছে, এটা অনুমেয়। কিন্তু একেবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায় না দলটি। এ কারণে দলের কেউ নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে চাইলে তাঁকে এবার বাধা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে ছোট ছোট দলকেও অবস্থান শক্তিশালী করতে উৎসাহ দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি।
ভোটের দৌড়ে যোগ দেওয়া দলগুলোর মধ্যে কেবল জাতীয় পার্টিরই কোথাও কোথাও স্থানীয় পর্যায়ে কিছু ভিত্তি আছে। আওয়ামী লীগের আশঙ্কা, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে জেতার নিশ্চয়তা না পেলে শেষ মুহূর্তে হয়তো নির্বাচনে না-ও থাকতে পারে জাপা। তাই দলটিকে ভোটে ধরে রাখতে আসন ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীনেরা।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়েছেন জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের, দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
জোট গঠনের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে মুজিবুল হক চুন্নু গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখা যাক, কী হয়।’
৪ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র বাছাই হয়ে গেছে। এতে বৈধ হওয়া প্রার্থীর তালিকার নানামুখী বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, দল মনোনীত প্রার্থী ও শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থীদের মিলিয়ে এবারের ভোটে প্রায় ২২০ আসনে বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা মহল থেকে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি থাকায় ভোটের পর সরকার পরিচালনায় দেশ-বিদেশে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। এমন বিবেচনায় দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র দলগুলোকে ভোটের পরও যূথবদ্ধ রাখা দরকার বলে মনে করছেন সরকারি দলের কুশীলবেরা। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিকদের অন্তত ৫০টি আসন ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুরোনো মহাজোটকে চাঙা করার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা দলের সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাপার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নির্বাচন করছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালামের মনোনয়নও বাছাইয়ে টিকে গেছে। এখন আসনটি নিয়ে বেশ দোটানায় আওয়ামী লীগ। কারণ, আসনটি জাপা প্রার্থীকে ছেড়ে না দিলে দলটিকে ভোটে রাখা কঠিন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি আসন ছাড়া বিজয়ী হওয়ার মতো তাদের অবস্থান নেই। এমন পরিস্থিতিতে আমরা তাদের আসন ছাড় না দিলে চার-পাঁচটার বেশি আসনে তারা বিজয়ী হতে পারবে না। এমনটা আমরা চাই না। এ জন্য কিছু আসনে তাদের ছাড় দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।’
ওই নেতা আরও বলেন, ‘জাপাকে আসন ছাড় দিলেও দলীয় প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হবে কি না, সেটা এখনো ঠিক করা হয়নি। প্রার্থী প্রত্যাহার না করেও কীভাবে তাদের ছাড় দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা আমরা করছি। সর্বশেষ ১৫-২০টি আসনে তাদের ছাড়ও দেওয়া হতে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। ছাড়ের আশ্বাস না পেলে তারা নির্বাচনের মাঠ থেকে সরেও যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে আরও বেশি প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা সেটা দিতে চাই না।’
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের শরিক একটি দলের প্রধান বলেন, ‘সরকারের যেমন জাতীয় পার্টিকে দরকার, জাতীয় পার্টিরও তেমনি সরকারকে দরকার। সরকারকে দলটি বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেছে, বিনিময়ে সুবিধাও পেয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান কোথায় থাকবে, সেটা আওয়ামী লীগকেই ঠিক করতে হবে। নির্বাচনের জন্য যদি তাদের মহাজোটে নেয়, সেটা আমরা মেনে নেব।’
জাপার বাইরের ছোট ছোট দলের নেতারাও ভোটের আগেই জোট গঠনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেকে গণভবনে ছুটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পেতে। দলগুলোর বড় নেতারা নিজ নিজ আসনে জেতা নিশ্চিত করতে চান। পাশাপাশি কোন দল কত আসন এবং কোন কোন আসন পেতে পারে, তারও পাকা হিসাব করে ফেলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী জোট নামে একটি রাজনৈতিক মঞ্চ গঠনেরও তোড়জোড় চলছে বলে জানান রাজনীতির কুশীলবেরা। জোটবদ্ধ হতে পারলে তারা সব মিলিয়ে ৩০টি আসনে জয় পেতে পারে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জোট ও অন্যান্য দলের আসন ছাড় নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলীয় সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়গুলো বলবেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে কি না—তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যের স্থান আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে আমরা দেখেছি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে কি না—তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যের স্থান আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে আমরা দেখেছি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
এতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কাপুরুষোচিত এই হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ঘৃণা প্রকাশ করছি।
‘যে ঘটনা প্রমাণ করে, একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়ে চলেছে।
‘উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের সব দল প্রতিবাদ করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে চলছে।
‘হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এরূপ পরিস্থিতিতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
‘যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
বিএনপি হাদির মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি তালিকাও দিয়েছে:
১) খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারতের হাইকমিশনের কার্যালয় ও বাসভবনে হামলা।
২) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ঢাকার প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৩) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
৪) ছায়ানটের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৫) ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৬) উত্তরাতে ৩২টি দোকান ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
৭) রাজশাহীতে ডেইলি স্টার-প্রথম আলোর কার্যালয় ভাঙচুর।
৮) ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা!
৯) চট্টগ্রামের প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় পুনরায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
১০) সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
১১) নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা।

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
এতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কাপুরুষোচিত এই হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ঘৃণা প্রকাশ করছি।
‘যে ঘটনা প্রমাণ করে, একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়ে চলেছে।
‘উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের সব দল প্রতিবাদ করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে চলছে।
‘হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এরূপ পরিস্থিতিতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
‘যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
বিএনপি হাদির মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি তালিকাও দিয়েছে:
১) খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারতের হাইকমিশনের কার্যালয় ও বাসভবনে হামলা।
২) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ঢাকার প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৩) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
৪) ছায়ানটের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৫) ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৬) উত্তরাতে ৩২টি দোকান ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
৭) রাজশাহীতে ডেইলি স্টার-প্রথম আলোর কার্যালয় ভাঙচুর।
৮) ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা!
৯) চট্টগ্রামের প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় পুনরায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
১০) সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
১১) নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা।

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে কি না—তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যের স্থান আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে আমরা দেখেছি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা ডেইলি স্টারে যান।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা ডেইলি স্টারে যান।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে কি না—তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যের স্থান আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে আমরা দেখেছি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে কি না—তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যের স্থান আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে আমরা দেখেছি। এর মাধ্যমে সারা দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপপরিকল্পনা বা অপকৌশল আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তবে কোনো ধরনের উগ্র কার্যকলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণকে কোনোভাবেই রুদ্ধ করা যাবে না।
বিএনপি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সরকারকে আমরা অনুরোধ করব, যেন তারা সব ধরনের কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনারও জায়গা আছে। এ ধরনের পরিস্থিতি আন্দাজ করা উচিত ছিল। গোয়েন্দা প্রতিবেদন থাকা দরকার ছিল এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আগে থেকেই নেওয়া উচিত ছিল।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নিরাপত্তাজনিত সব বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে এবং সরকার এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, এটি কোনো জনসভা নয়। এটি ৩০০ ফুটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে। আজই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তারেক রহমান জনগণের সামনে উপস্থিত হয়ে জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে কি না—তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যের স্থান আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে আমরা দেখেছি। এর মাধ্যমে সারা দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপপরিকল্পনা বা অপকৌশল আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তবে কোনো ধরনের উগ্র কার্যকলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণকে কোনোভাবেই রুদ্ধ করা যাবে না।
বিএনপি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সরকারকে আমরা অনুরোধ করব, যেন তারা সব ধরনের কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনারও জায়গা আছে। এ ধরনের পরিস্থিতি আন্দাজ করা উচিত ছিল। গোয়েন্দা প্রতিবেদন থাকা দরকার ছিল এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আগে থেকেই নেওয়া উচিত ছিল।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নিরাপত্তাজনিত সব বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে এবং সরকার এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, এটি কোনো জনসভা নয়। এটি ৩০০ ফুটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে। আজই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তারেক রহমান জনগণের সামনে উপস্থিত হয়ে জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবেন।

বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়ার মতো শক্তিশালী কোনো দল নেই। ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কেউই ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গ ছাড়তে রাজি নয়। বিগত দুই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোভাবও একই। এই অবস্থায় ভোটের জোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব-নি
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে