ইজাজুল হক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন। এসব মূলত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা সময়ের ব্যবধানে ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রতীক হয়ে উঠেছে।১. কেফিয়েহ
কেফিয়েহকে কুফিয়াও বলা হয়। এটি আরব বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত বর্গাকারের বড় সুতি রুমাল। স্বতন্ত্র প্যাটার্নে নকশা করা এসব রুমাল ফিলিস্তিনি নারী–পুরুষ সবাই পরিধান করে। সাদা জমিনে কালো ডোরের এই কাপড় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুমালে জয়তুন পাতার প্যাটার্ন উদ্যম, শক্তি ও স্থিতির প্রতীক। মাছ ধরার জালের প্যাটার্ন ফিলিস্তিনি জেলে ও জনগণের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরের সম্পর্ক নির্দেশ করে। আর মোটা প্যাটার্নটি ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক রুটকে প্রতিনিধিত্ব করে।
মধ্যপ্রাচ্যে গরম থেকে বাঁচতেই মূলত রুমাল ব্যবহার করা হয়। গত শতকের তিরিশের দশকে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের সময় মূলত এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কেফিয়েহ ফিলিস্তিনের প্রয়াত অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ব্যক্তিগত স্টাইলও ছিল। তিনি একে ত্রিভুজ আকারে ভাঁজ করে কাঁধের ওপর দিয়ে মাথা ঢাকতেন।
এটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন সংস্থা এটি ব্যবহার করে।
২. জয়তুনের ডাল
ফিলিস্তিনের সঙ্গে জয়তুন গাছের গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। জয়তুনের ডাল হাজার বছর ধরে শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
জয়তুন গাছের শক্ত কাণ্ড খরা, শূন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা, তুষারপাত এমনকি আগুনও সহ্য করতে পারে। এটি ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অবিচলতা এবং এখানকার মাটির সঙ্গে তাঁদের নাড়ির সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে।
তেল, সাবানসহ অনেক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে জয়তুন। ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার জয়তুন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর অক্টোবর–নভেম্বরেই জয়তুন ফল সংগ্রহ করা হয়। এ সময়টি তাদের জন্য উৎসবের। তবে এ সময়ে বারবার ইসরায়েলি আগ্রাসনে উবে যায় সব আনন্দ।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ২০২৩ সালের প্রথম ৫ মাসে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ৫ হাজারের বেশি জয়তুন গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৯৭৪ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, ‘আজ আমি এক হাতে জয়তুনের ডাল এবং অন্য হাতে মুক্তিযোদ্ধার বন্দুক নিয়ে এসেছি। আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল যেন পড়ে না যায়। আমি আবার বলছি, আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল পড়ে যেতে দিয়ো না।’
৩. ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি
ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি শিল্পকে তাতরিজও বলা হয়। সুই–সুতার নান্দনিক এক শিল্প, ফিলিস্তিনি নারীদের হাত ধরে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসছে।
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের জীবনধারা ও অভিরুচির আলোকে তাতরিজের একাধিক স্বতন্ত্র শৈলী তৈরি হয়েছে। প্রতিটি শৈলীর পেছনে রয়েছে আলাদা গল্প। গাছের মতো প্রকৃতি অনুপ্রাণিত মোটিফ থেকে শুরু করে জ্যামিতিক আকৃতির মোটিফও এতে ব্যবহৃত হয়।
ফিলিস্তিনি নারীরা এমব্রয়ডারি করা ঢিলেঢালা একটি জামা পরিধান করে, যাকে আরবিতে সওব বলা হয়। এগুলো সাধারণত পাট, তুলা, পশম বা রেশমের তৈরি হয় এবং হাতে বোনা বা মেশিনে তৈরি হয়। লাল এমব্রয়ডারি প্রভাবশালী বর্ণ; যদিও তা অঞ্চল বা শিল্পী ভেদে ভিন্নও হয়।
২০২১ সালে ইউনেসকো ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারিকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে।
৪. ফিলিস্তিনি চাবি
১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনী সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে, যা নাকাবা (নাকবা) বা বিপর্যয় নামে পরিচিত। মানুষ ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদের সময় ঘরের চাবিটি সঙ্গে নিয়ে যায়। কারণ তাদের বিশ্বাস, তারা একদিন নিশ্চিত ঘরে ফিরবে।
অনেক ফিলিস্তিনি এখনো তাদের আসল বাড়ির চাবি ধরে রেখেছে তাদের আশা ও সংকল্পের প্রতীক হিসেবে। এই চাবিগুলো কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এবং ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার অধিকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে, যা ১৯৪৮ সালের নাকবার সময়ের দ্বিগুণ। ফিলিস্তিনিদের জন্য নাকবা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা নয়; এটি তাদের বিরতিহীন বাস্তুচ্যুতির চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে।
৫. ফিলিস্তিনের মানচিত্র
ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মানচিত্রটি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত ভৌগোলিক সীমানার প্রতিনিধিত্ব করে। মানচিত্রটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং স্বাধিকারের দাবির দৃশ্যমান প্রতীক।
১৯৪৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাড়িয়ে এই মানচিত্রের ৭৮ শতাংশ ভূমি দখল করে নেয় ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী। অবশিষ্ট ২২ শতাংশ নামেই ফিলিস্তিনিদের ভাগে রাখা হয়েছে, যা বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নামে পরিচিত।
বর্তমানে ৭০ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি দেশটির ভেতরে ও আশপাশের দেশগুলোর শরণার্থীশিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর একটি।
নেকলেস, টিশার্ট, চাবির তোড়াসহ অনেক উপহারসামগ্রীতে ফিলিস্তিনি মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা দেশটির স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
৬. আল–আকসা প্রাঙ্গণ
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলে রয়েছে আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ, যা জেরুজালেমে অবস্থিত। ৩৫ একরের এই প্রাঙ্গণে রয়েছে আল–কিবলি মসজিদ ও ডোম অব দ্য রকসহ ফিলিস্তিনিদের গভীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য।
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আল–আকসা থেকেই নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গমন করেন। তাই ইসলামে মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীর পরই এটিকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান বিবেচনা করা হয়। প্রাঙ্গণটি মুসলমানদের কাছে আল–হারাম আশ–শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।
এই প্রাঙ্গণ সব সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী এখানে বারবার হামলা চালায় এবং মুসলমানদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে।
৭. হানযালা
হানযালা হলো ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলির আঁকা একটি কার্টুন চরিত্র। এর মাধ্যমে তিনি নিজের শৈশবের শরণার্থী জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯৬৯ সালে একটি কুয়েতি সংবাদপত্রে কার্টুনটি প্রথম ছাপা হয়।
১৯৭৩ সালে অক্টোবরের যুদ্ধের পর আল–আলি পুরো বিশ্ব কীভাবে ফিলিস্তিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তা তুলে ধরতে পিঠ দেখানো হানযালা কার্টুন আঁকতে শুরু করেন। হানযালার মাধ্যমে শিল্পী ১০ বছর বয়সে ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া তালিযুক্ত পোশাক পরা ও খালি পায়ে হাঁটা নিজের শৈশবকে খুঁজে বেড়ান।
ফিলিস্তিনের শুষ্ক এলাকায় উৎপাদিত তিক্ত ফল ‘হানযাল’–এর নামানুসারে এর নামকরণ। এই গাছগুলো কেটে ফেললে আবার বেড়ে ওঠে। আর এর শিকড় থাকে অনেক গভীরে।
১৯৮৭ সালে লন্ডনে কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে খুন হন। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কাউকে অভিযুক্ত পর্যন্ত করা হয়নি।
৮. তরমুজ
তরমুজই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে। জেনিন থেকে গাজা পর্যন্ত জন্মানো এই ফল দেখতে ফিলিস্তিনি পতাকার মতো। পতাকার মতো এই ফলে রয়েছে লাল, সবুজ, সাদা ও কালো অংশ। তাই এটিকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পতাকার প্রতীক হিসেবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় ব্যবহার করে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর, ইসরায়েল যখন পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, তখন দখলদারেরা অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি পতাকা নিষিদ্ধ করে। তবে আইন করে পতাকা নিষিদ্ধ করা যায়নি। মুক্তিকামী মানুষ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে তরমুজ প্রদর্শন করতে শুরু করে। ফলে তরমুজ শিল্পমাধ্যম, টিশার্ট, গ্রাফিতি, পোস্টার এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোজি হিসেবেও ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হতে থাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশকে জনসমাগম স্থল থেকে ফিলিস্তিনি পতাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরে জুনে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতাকা নিষিদ্ধ করার বিল আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা জাজিম তেল আবিবের ডজনখানেক ট্যাক্সিতে তরমুজের ছবি লাগিয়ে দেয়।
চলমান যুদ্ধে গাজার ঘটনা পোস্ট করার ক্ষেত্রে মানুষ তরমুজের ইমোজি ব্যবহার করছে। কারণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিনি পতাকা ব্যবহার কার্যত নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন। এসব মূলত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা সময়ের ব্যবধানে ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রতীক হয়ে উঠেছে।১. কেফিয়েহ
কেফিয়েহকে কুফিয়াও বলা হয়। এটি আরব বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত বর্গাকারের বড় সুতি রুমাল। স্বতন্ত্র প্যাটার্নে নকশা করা এসব রুমাল ফিলিস্তিনি নারী–পুরুষ সবাই পরিধান করে। সাদা জমিনে কালো ডোরের এই কাপড় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুমালে জয়তুন পাতার প্যাটার্ন উদ্যম, শক্তি ও স্থিতির প্রতীক। মাছ ধরার জালের প্যাটার্ন ফিলিস্তিনি জেলে ও জনগণের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরের সম্পর্ক নির্দেশ করে। আর মোটা প্যাটার্নটি ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক রুটকে প্রতিনিধিত্ব করে।
মধ্যপ্রাচ্যে গরম থেকে বাঁচতেই মূলত রুমাল ব্যবহার করা হয়। গত শতকের তিরিশের দশকে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের সময় মূলত এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কেফিয়েহ ফিলিস্তিনের প্রয়াত অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ব্যক্তিগত স্টাইলও ছিল। তিনি একে ত্রিভুজ আকারে ভাঁজ করে কাঁধের ওপর দিয়ে মাথা ঢাকতেন।
এটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন সংস্থা এটি ব্যবহার করে।
২. জয়তুনের ডাল
ফিলিস্তিনের সঙ্গে জয়তুন গাছের গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। জয়তুনের ডাল হাজার বছর ধরে শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
জয়তুন গাছের শক্ত কাণ্ড খরা, শূন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা, তুষারপাত এমনকি আগুনও সহ্য করতে পারে। এটি ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অবিচলতা এবং এখানকার মাটির সঙ্গে তাঁদের নাড়ির সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে।
তেল, সাবানসহ অনেক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে জয়তুন। ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার জয়তুন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর অক্টোবর–নভেম্বরেই জয়তুন ফল সংগ্রহ করা হয়। এ সময়টি তাদের জন্য উৎসবের। তবে এ সময়ে বারবার ইসরায়েলি আগ্রাসনে উবে যায় সব আনন্দ।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ২০২৩ সালের প্রথম ৫ মাসে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ৫ হাজারের বেশি জয়তুন গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৯৭৪ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, ‘আজ আমি এক হাতে জয়তুনের ডাল এবং অন্য হাতে মুক্তিযোদ্ধার বন্দুক নিয়ে এসেছি। আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল যেন পড়ে না যায়। আমি আবার বলছি, আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল পড়ে যেতে দিয়ো না।’
৩. ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি
ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি শিল্পকে তাতরিজও বলা হয়। সুই–সুতার নান্দনিক এক শিল্প, ফিলিস্তিনি নারীদের হাত ধরে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসছে।
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের জীবনধারা ও অভিরুচির আলোকে তাতরিজের একাধিক স্বতন্ত্র শৈলী তৈরি হয়েছে। প্রতিটি শৈলীর পেছনে রয়েছে আলাদা গল্প। গাছের মতো প্রকৃতি অনুপ্রাণিত মোটিফ থেকে শুরু করে জ্যামিতিক আকৃতির মোটিফও এতে ব্যবহৃত হয়।
ফিলিস্তিনি নারীরা এমব্রয়ডারি করা ঢিলেঢালা একটি জামা পরিধান করে, যাকে আরবিতে সওব বলা হয়। এগুলো সাধারণত পাট, তুলা, পশম বা রেশমের তৈরি হয় এবং হাতে বোনা বা মেশিনে তৈরি হয়। লাল এমব্রয়ডারি প্রভাবশালী বর্ণ; যদিও তা অঞ্চল বা শিল্পী ভেদে ভিন্নও হয়।
২০২১ সালে ইউনেসকো ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারিকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে।
৪. ফিলিস্তিনি চাবি
১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনী সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে, যা নাকাবা (নাকবা) বা বিপর্যয় নামে পরিচিত। মানুষ ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদের সময় ঘরের চাবিটি সঙ্গে নিয়ে যায়। কারণ তাদের বিশ্বাস, তারা একদিন নিশ্চিত ঘরে ফিরবে।
অনেক ফিলিস্তিনি এখনো তাদের আসল বাড়ির চাবি ধরে রেখেছে তাদের আশা ও সংকল্পের প্রতীক হিসেবে। এই চাবিগুলো কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এবং ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার অধিকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে, যা ১৯৪৮ সালের নাকবার সময়ের দ্বিগুণ। ফিলিস্তিনিদের জন্য নাকবা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা নয়; এটি তাদের বিরতিহীন বাস্তুচ্যুতির চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে।
৫. ফিলিস্তিনের মানচিত্র
ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মানচিত্রটি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত ভৌগোলিক সীমানার প্রতিনিধিত্ব করে। মানচিত্রটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং স্বাধিকারের দাবির দৃশ্যমান প্রতীক।
১৯৪৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাড়িয়ে এই মানচিত্রের ৭৮ শতাংশ ভূমি দখল করে নেয় ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী। অবশিষ্ট ২২ শতাংশ নামেই ফিলিস্তিনিদের ভাগে রাখা হয়েছে, যা বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নামে পরিচিত।
বর্তমানে ৭০ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি দেশটির ভেতরে ও আশপাশের দেশগুলোর শরণার্থীশিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর একটি।
নেকলেস, টিশার্ট, চাবির তোড়াসহ অনেক উপহারসামগ্রীতে ফিলিস্তিনি মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা দেশটির স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
৬. আল–আকসা প্রাঙ্গণ
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলে রয়েছে আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ, যা জেরুজালেমে অবস্থিত। ৩৫ একরের এই প্রাঙ্গণে রয়েছে আল–কিবলি মসজিদ ও ডোম অব দ্য রকসহ ফিলিস্তিনিদের গভীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য।
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আল–আকসা থেকেই নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গমন করেন। তাই ইসলামে মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীর পরই এটিকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান বিবেচনা করা হয়। প্রাঙ্গণটি মুসলমানদের কাছে আল–হারাম আশ–শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।
এই প্রাঙ্গণ সব সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী এখানে বারবার হামলা চালায় এবং মুসলমানদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে।
৭. হানযালা
হানযালা হলো ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলির আঁকা একটি কার্টুন চরিত্র। এর মাধ্যমে তিনি নিজের শৈশবের শরণার্থী জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯৬৯ সালে একটি কুয়েতি সংবাদপত্রে কার্টুনটি প্রথম ছাপা হয়।
১৯৭৩ সালে অক্টোবরের যুদ্ধের পর আল–আলি পুরো বিশ্ব কীভাবে ফিলিস্তিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তা তুলে ধরতে পিঠ দেখানো হানযালা কার্টুন আঁকতে শুরু করেন। হানযালার মাধ্যমে শিল্পী ১০ বছর বয়সে ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া তালিযুক্ত পোশাক পরা ও খালি পায়ে হাঁটা নিজের শৈশবকে খুঁজে বেড়ান।
ফিলিস্তিনের শুষ্ক এলাকায় উৎপাদিত তিক্ত ফল ‘হানযাল’–এর নামানুসারে এর নামকরণ। এই গাছগুলো কেটে ফেললে আবার বেড়ে ওঠে। আর এর শিকড় থাকে অনেক গভীরে।
১৯৮৭ সালে লন্ডনে কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে খুন হন। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কাউকে অভিযুক্ত পর্যন্ত করা হয়নি।
৮. তরমুজ
তরমুজই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে। জেনিন থেকে গাজা পর্যন্ত জন্মানো এই ফল দেখতে ফিলিস্তিনি পতাকার মতো। পতাকার মতো এই ফলে রয়েছে লাল, সবুজ, সাদা ও কালো অংশ। তাই এটিকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পতাকার প্রতীক হিসেবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় ব্যবহার করে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর, ইসরায়েল যখন পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, তখন দখলদারেরা অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি পতাকা নিষিদ্ধ করে। তবে আইন করে পতাকা নিষিদ্ধ করা যায়নি। মুক্তিকামী মানুষ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে তরমুজ প্রদর্শন করতে শুরু করে। ফলে তরমুজ শিল্পমাধ্যম, টিশার্ট, গ্রাফিতি, পোস্টার এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোজি হিসেবেও ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হতে থাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশকে জনসমাগম স্থল থেকে ফিলিস্তিনি পতাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরে জুনে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতাকা নিষিদ্ধ করার বিল আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা জাজিম তেল আবিবের ডজনখানেক ট্যাক্সিতে তরমুজের ছবি লাগিয়ে দেয়।
চলমান যুদ্ধে গাজার ঘটনা পোস্ট করার ক্ষেত্রে মানুষ তরমুজের ইমোজি ব্যবহার করছে। কারণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিনি পতাকা ব্যবহার কার্যত নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা
ইজাজুল হক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন। এসব মূলত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা সময়ের ব্যবধানে ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রতীক হয়ে উঠেছে।১. কেফিয়েহ
কেফিয়েহকে কুফিয়াও বলা হয়। এটি আরব বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত বর্গাকারের বড় সুতি রুমাল। স্বতন্ত্র প্যাটার্নে নকশা করা এসব রুমাল ফিলিস্তিনি নারী–পুরুষ সবাই পরিধান করে। সাদা জমিনে কালো ডোরের এই কাপড় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুমালে জয়তুন পাতার প্যাটার্ন উদ্যম, শক্তি ও স্থিতির প্রতীক। মাছ ধরার জালের প্যাটার্ন ফিলিস্তিনি জেলে ও জনগণের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরের সম্পর্ক নির্দেশ করে। আর মোটা প্যাটার্নটি ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক রুটকে প্রতিনিধিত্ব করে।
মধ্যপ্রাচ্যে গরম থেকে বাঁচতেই মূলত রুমাল ব্যবহার করা হয়। গত শতকের তিরিশের দশকে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের সময় মূলত এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কেফিয়েহ ফিলিস্তিনের প্রয়াত অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ব্যক্তিগত স্টাইলও ছিল। তিনি একে ত্রিভুজ আকারে ভাঁজ করে কাঁধের ওপর দিয়ে মাথা ঢাকতেন।
এটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন সংস্থা এটি ব্যবহার করে।
২. জয়তুনের ডাল
ফিলিস্তিনের সঙ্গে জয়তুন গাছের গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। জয়তুনের ডাল হাজার বছর ধরে শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
জয়তুন গাছের শক্ত কাণ্ড খরা, শূন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা, তুষারপাত এমনকি আগুনও সহ্য করতে পারে। এটি ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অবিচলতা এবং এখানকার মাটির সঙ্গে তাঁদের নাড়ির সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে।
তেল, সাবানসহ অনেক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে জয়তুন। ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার জয়তুন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর অক্টোবর–নভেম্বরেই জয়তুন ফল সংগ্রহ করা হয়। এ সময়টি তাদের জন্য উৎসবের। তবে এ সময়ে বারবার ইসরায়েলি আগ্রাসনে উবে যায় সব আনন্দ।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ২০২৩ সালের প্রথম ৫ মাসে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ৫ হাজারের বেশি জয়তুন গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৯৭৪ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, ‘আজ আমি এক হাতে জয়তুনের ডাল এবং অন্য হাতে মুক্তিযোদ্ধার বন্দুক নিয়ে এসেছি। আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল যেন পড়ে না যায়। আমি আবার বলছি, আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল পড়ে যেতে দিয়ো না।’
৩. ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি
ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি শিল্পকে তাতরিজও বলা হয়। সুই–সুতার নান্দনিক এক শিল্প, ফিলিস্তিনি নারীদের হাত ধরে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসছে।
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের জীবনধারা ও অভিরুচির আলোকে তাতরিজের একাধিক স্বতন্ত্র শৈলী তৈরি হয়েছে। প্রতিটি শৈলীর পেছনে রয়েছে আলাদা গল্প। গাছের মতো প্রকৃতি অনুপ্রাণিত মোটিফ থেকে শুরু করে জ্যামিতিক আকৃতির মোটিফও এতে ব্যবহৃত হয়।
ফিলিস্তিনি নারীরা এমব্রয়ডারি করা ঢিলেঢালা একটি জামা পরিধান করে, যাকে আরবিতে সওব বলা হয়। এগুলো সাধারণত পাট, তুলা, পশম বা রেশমের তৈরি হয় এবং হাতে বোনা বা মেশিনে তৈরি হয়। লাল এমব্রয়ডারি প্রভাবশালী বর্ণ; যদিও তা অঞ্চল বা শিল্পী ভেদে ভিন্নও হয়।
২০২১ সালে ইউনেসকো ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারিকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে।
৪. ফিলিস্তিনি চাবি
১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনী সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে, যা নাকাবা (নাকবা) বা বিপর্যয় নামে পরিচিত। মানুষ ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদের সময় ঘরের চাবিটি সঙ্গে নিয়ে যায়। কারণ তাদের বিশ্বাস, তারা একদিন নিশ্চিত ঘরে ফিরবে।
অনেক ফিলিস্তিনি এখনো তাদের আসল বাড়ির চাবি ধরে রেখেছে তাদের আশা ও সংকল্পের প্রতীক হিসেবে। এই চাবিগুলো কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এবং ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার অধিকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে, যা ১৯৪৮ সালের নাকবার সময়ের দ্বিগুণ। ফিলিস্তিনিদের জন্য নাকবা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা নয়; এটি তাদের বিরতিহীন বাস্তুচ্যুতির চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে।
৫. ফিলিস্তিনের মানচিত্র
ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মানচিত্রটি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত ভৌগোলিক সীমানার প্রতিনিধিত্ব করে। মানচিত্রটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং স্বাধিকারের দাবির দৃশ্যমান প্রতীক।
১৯৪৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাড়িয়ে এই মানচিত্রের ৭৮ শতাংশ ভূমি দখল করে নেয় ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী। অবশিষ্ট ২২ শতাংশ নামেই ফিলিস্তিনিদের ভাগে রাখা হয়েছে, যা বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নামে পরিচিত।
বর্তমানে ৭০ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি দেশটির ভেতরে ও আশপাশের দেশগুলোর শরণার্থীশিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর একটি।
নেকলেস, টিশার্ট, চাবির তোড়াসহ অনেক উপহারসামগ্রীতে ফিলিস্তিনি মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা দেশটির স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
৬. আল–আকসা প্রাঙ্গণ
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলে রয়েছে আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ, যা জেরুজালেমে অবস্থিত। ৩৫ একরের এই প্রাঙ্গণে রয়েছে আল–কিবলি মসজিদ ও ডোম অব দ্য রকসহ ফিলিস্তিনিদের গভীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য।
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আল–আকসা থেকেই নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গমন করেন। তাই ইসলামে মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীর পরই এটিকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান বিবেচনা করা হয়। প্রাঙ্গণটি মুসলমানদের কাছে আল–হারাম আশ–শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।
এই প্রাঙ্গণ সব সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী এখানে বারবার হামলা চালায় এবং মুসলমানদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে।
৭. হানযালা
হানযালা হলো ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলির আঁকা একটি কার্টুন চরিত্র। এর মাধ্যমে তিনি নিজের শৈশবের শরণার্থী জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯৬৯ সালে একটি কুয়েতি সংবাদপত্রে কার্টুনটি প্রথম ছাপা হয়।
১৯৭৩ সালে অক্টোবরের যুদ্ধের পর আল–আলি পুরো বিশ্ব কীভাবে ফিলিস্তিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তা তুলে ধরতে পিঠ দেখানো হানযালা কার্টুন আঁকতে শুরু করেন। হানযালার মাধ্যমে শিল্পী ১০ বছর বয়সে ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া তালিযুক্ত পোশাক পরা ও খালি পায়ে হাঁটা নিজের শৈশবকে খুঁজে বেড়ান।
ফিলিস্তিনের শুষ্ক এলাকায় উৎপাদিত তিক্ত ফল ‘হানযাল’–এর নামানুসারে এর নামকরণ। এই গাছগুলো কেটে ফেললে আবার বেড়ে ওঠে। আর এর শিকড় থাকে অনেক গভীরে।
১৯৮৭ সালে লন্ডনে কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে খুন হন। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কাউকে অভিযুক্ত পর্যন্ত করা হয়নি।
৮. তরমুজ
তরমুজই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে। জেনিন থেকে গাজা পর্যন্ত জন্মানো এই ফল দেখতে ফিলিস্তিনি পতাকার মতো। পতাকার মতো এই ফলে রয়েছে লাল, সবুজ, সাদা ও কালো অংশ। তাই এটিকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পতাকার প্রতীক হিসেবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় ব্যবহার করে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর, ইসরায়েল যখন পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, তখন দখলদারেরা অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি পতাকা নিষিদ্ধ করে। তবে আইন করে পতাকা নিষিদ্ধ করা যায়নি। মুক্তিকামী মানুষ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে তরমুজ প্রদর্শন করতে শুরু করে। ফলে তরমুজ শিল্পমাধ্যম, টিশার্ট, গ্রাফিতি, পোস্টার এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোজি হিসেবেও ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হতে থাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশকে জনসমাগম স্থল থেকে ফিলিস্তিনি পতাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরে জুনে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতাকা নিষিদ্ধ করার বিল আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা জাজিম তেল আবিবের ডজনখানেক ট্যাক্সিতে তরমুজের ছবি লাগিয়ে দেয়।
চলমান যুদ্ধে গাজার ঘটনা পোস্ট করার ক্ষেত্রে মানুষ তরমুজের ইমোজি ব্যবহার করছে। কারণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিনি পতাকা ব্যবহার কার্যত নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন। এসব মূলত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, যা সময়ের ব্যবধানে ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রতীক হয়ে উঠেছে।১. কেফিয়েহ
কেফিয়েহকে কুফিয়াও বলা হয়। এটি আরব বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত বর্গাকারের বড় সুতি রুমাল। স্বতন্ত্র প্যাটার্নে নকশা করা এসব রুমাল ফিলিস্তিনি নারী–পুরুষ সবাই পরিধান করে। সাদা জমিনে কালো ডোরের এই কাপড় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুমালে জয়তুন পাতার প্যাটার্ন উদ্যম, শক্তি ও স্থিতির প্রতীক। মাছ ধরার জালের প্যাটার্ন ফিলিস্তিনি জেলে ও জনগণের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরের সম্পর্ক নির্দেশ করে। আর মোটা প্যাটার্নটি ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক রুটকে প্রতিনিধিত্ব করে।
মধ্যপ্রাচ্যে গরম থেকে বাঁচতেই মূলত রুমাল ব্যবহার করা হয়। গত শতকের তিরিশের দশকে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের সময় মূলত এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কেফিয়েহ ফিলিস্তিনের প্রয়াত অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের ব্যক্তিগত স্টাইলও ছিল। তিনি একে ত্রিভুজ আকারে ভাঁজ করে কাঁধের ওপর দিয়ে মাথা ঢাকতেন।
এটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন সংস্থা এটি ব্যবহার করে।
২. জয়তুনের ডাল
ফিলিস্তিনের সঙ্গে জয়তুন গাছের গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। জয়তুনের ডাল হাজার বছর ধরে শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
জয়তুন গাছের শক্ত কাণ্ড খরা, শূন্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা, তুষারপাত এমনকি আগুনও সহ্য করতে পারে। এটি ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অবিচলতা এবং এখানকার মাটির সঙ্গে তাঁদের নাড়ির সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে।
তেল, সাবানসহ অনেক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে জয়তুন। ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার জয়তুন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর অক্টোবর–নভেম্বরেই জয়তুন ফল সংগ্রহ করা হয়। এ সময়টি তাদের জন্য উৎসবের। তবে এ সময়ে বারবার ইসরায়েলি আগ্রাসনে উবে যায় সব আনন্দ।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ২০২৩ সালের প্রথম ৫ মাসে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ৫ হাজারের বেশি জয়তুন গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৯৭৪ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন, ‘আজ আমি এক হাতে জয়তুনের ডাল এবং অন্য হাতে মুক্তিযোদ্ধার বন্দুক নিয়ে এসেছি। আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল যেন পড়ে না যায়। আমি আবার বলছি, আমার হাত থেকে জয়তুনের ডাল পড়ে যেতে দিয়ো না।’
৩. ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি
ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি শিল্পকে তাতরিজও বলা হয়। সুই–সুতার নান্দনিক এক শিল্প, ফিলিস্তিনি নারীদের হাত ধরে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে আসছে।
ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের জীবনধারা ও অভিরুচির আলোকে তাতরিজের একাধিক স্বতন্ত্র শৈলী তৈরি হয়েছে। প্রতিটি শৈলীর পেছনে রয়েছে আলাদা গল্প। গাছের মতো প্রকৃতি অনুপ্রাণিত মোটিফ থেকে শুরু করে জ্যামিতিক আকৃতির মোটিফও এতে ব্যবহৃত হয়।
ফিলিস্তিনি নারীরা এমব্রয়ডারি করা ঢিলেঢালা একটি জামা পরিধান করে, যাকে আরবিতে সওব বলা হয়। এগুলো সাধারণত পাট, তুলা, পশম বা রেশমের তৈরি হয় এবং হাতে বোনা বা মেশিনে তৈরি হয়। লাল এমব্রয়ডারি প্রভাবশালী বর্ণ; যদিও তা অঞ্চল বা শিল্পী ভেদে ভিন্নও হয়।
২০২১ সালে ইউনেসকো ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারিকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে।
৪. ফিলিস্তিনি চাবি
১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনী সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে, যা নাকাবা (নাকবা) বা বিপর্যয় নামে পরিচিত। মানুষ ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদের সময় ঘরের চাবিটি সঙ্গে নিয়ে যায়। কারণ তাদের বিশ্বাস, তারা একদিন নিশ্চিত ঘরে ফিরবে।
অনেক ফিলিস্তিনি এখনো তাদের আসল বাড়ির চাবি ধরে রেখেছে তাদের আশা ও সংকল্পের প্রতীক হিসেবে। এই চাবিগুলো কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে এবং ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার অধিকারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে, যা ১৯৪৮ সালের নাকবার সময়ের দ্বিগুণ। ফিলিস্তিনিদের জন্য নাকবা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা নয়; এটি তাদের বিরতিহীন বাস্তুচ্যুতির চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে।
৫. ফিলিস্তিনের মানচিত্র
ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মানচিত্রটি ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত ভৌগোলিক সীমানার প্রতিনিধিত্ব করে। মানচিত্রটি ফিলিস্তিনিদের ভূমি এবং স্বাধিকারের দাবির দৃশ্যমান প্রতীক।
১৯৪৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাড়িয়ে এই মানচিত্রের ৭৮ শতাংশ ভূমি দখল করে নেয় ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী। অবশিষ্ট ২২ শতাংশ নামেই ফিলিস্তিনিদের ভাগে রাখা হয়েছে, যা বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নামে পরিচিত।
বর্তমানে ৭০ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি দেশটির ভেতরে ও আশপাশের দেশগুলোর শরণার্থীশিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর একটি।
নেকলেস, টিশার্ট, চাবির তোড়াসহ অনেক উপহারসামগ্রীতে ফিলিস্তিনি মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা দেশটির স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
৬. আল–আকসা প্রাঙ্গণ
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলে রয়েছে আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ, যা জেরুজালেমে অবস্থিত। ৩৫ একরের এই প্রাঙ্গণে রয়েছে আল–কিবলি মসজিদ ও ডোম অব দ্য রকসহ ফিলিস্তিনিদের গভীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য।
ইসলামি বিশ্বাস মতে, আল–আকসা থেকেই নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজে গমন করেন। তাই ইসলামে মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীর পরই এটিকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান বিবেচনা করা হয়। প্রাঙ্গণটি মুসলমানদের কাছে আল–হারাম আশ–শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।
এই প্রাঙ্গণ সব সময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী এখানে বারবার হামলা চালায় এবং মুসলমানদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে।
৭. হানযালা
হানযালা হলো ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলির আঁকা একটি কার্টুন চরিত্র। এর মাধ্যমে তিনি নিজের শৈশবের শরণার্থী জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯৬৯ সালে একটি কুয়েতি সংবাদপত্রে কার্টুনটি প্রথম ছাপা হয়।
১৯৭৩ সালে অক্টোবরের যুদ্ধের পর আল–আলি পুরো বিশ্ব কীভাবে ফিলিস্তিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তা তুলে ধরতে পিঠ দেখানো হানযালা কার্টুন আঁকতে শুরু করেন। হানযালার মাধ্যমে শিল্পী ১০ বছর বয়সে ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া তালিযুক্ত পোশাক পরা ও খালি পায়ে হাঁটা নিজের শৈশবকে খুঁজে বেড়ান।
ফিলিস্তিনের শুষ্ক এলাকায় উৎপাদিত তিক্ত ফল ‘হানযাল’–এর নামানুসারে এর নামকরণ। এই গাছগুলো কেটে ফেললে আবার বেড়ে ওঠে। আর এর শিকড় থাকে অনেক গভীরে।
১৯৮৭ সালে লন্ডনে কার্টুনিস্ট নাজি আল–আলি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে খুন হন। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কাউকে অভিযুক্ত পর্যন্ত করা হয়নি।
৮. তরমুজ
তরমুজই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করে। জেনিন থেকে গাজা পর্যন্ত জন্মানো এই ফল দেখতে ফিলিস্তিনি পতাকার মতো। পতাকার মতো এই ফলে রয়েছে লাল, সবুজ, সাদা ও কালো অংশ। তাই এটিকে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পতাকার প্রতীক হিসেবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় ব্যবহার করে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর, ইসরায়েল যখন পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে, তখন দখলদারেরা অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি পতাকা নিষিদ্ধ করে। তবে আইন করে পতাকা নিষিদ্ধ করা যায়নি। মুক্তিকামী মানুষ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে তরমুজ প্রদর্শন করতে শুরু করে। ফলে তরমুজ শিল্পমাধ্যম, টিশার্ট, গ্রাফিতি, পোস্টার এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোজি হিসেবেও ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হতে থাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশকে জনসমাগম স্থল থেকে ফিলিস্তিনি পতাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরে জুনে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতাকা নিষিদ্ধ করার বিল আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা জাজিম তেল আবিবের ডজনখানেক ট্যাক্সিতে তরমুজের ছবি লাগিয়ে দেয়।
চলমান যুদ্ধে গাজার ঘটনা পোস্ট করার ক্ষেত্রে মানুষ তরমুজের ইমোজি ব্যবহার করছে। কারণ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিনি পতাকা ব্যবহার কার্যত নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
১ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডি বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডি বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডি বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডি বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে তলব করে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসনোটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সব সময়ই ভারতের অবস্থান। ভারত আরও দাবি করে, বাংলাদেশের ‘জনগণের স্বার্থবিরোধী’ কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন—এ নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়’ সহায়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনেরা যেন ভারতে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব।
অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত এবং এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে তলব করে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসনোটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সব সময়ই ভারতের অবস্থান। ভারত আরও দাবি করে, বাংলাদেশের ‘জনগণের স্বার্থবিরোধী’ কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন—এ নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়’ সহায়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনেরা যেন ভারতে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব।
অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত এবং এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
১ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় আকরাম গুলিবিদ্ধ হন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং বর্তমানে তিনি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বর্তমানে বনিরিগের পাতিয়া এলাকায় আকরামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এই সম্পত্তি তাঁর পরিবার এক বছর ধরে ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন, নাভিদ আকরাম পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তবে এ বিষয়ে এখনো তেমন শক্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’। আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্পবেল প্যারেডসংলগ্ন বন্ডি প্যাভিলিয়নের কাছে একটি গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে আসেন। এরপর তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল ও কাউন্সিল অব ইমামস এনএসডব্লিউ এক যৌথ বিবৃতিতে বন্ডি বিচে গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমাজে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পূর্ণ জবাবদিহি ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’
তারা নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ও এই ভয়াবহ হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়সহ সব অস্ট্রেলিয়ানের উচিত ঐক্য, সহানুভূতি ও সংহতি নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়ানো, সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করা এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও সব অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকার নিশ্চিত করা।’

সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় আকরাম গুলিবিদ্ধ হন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং বর্তমানে তিনি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বর্তমানে বনিরিগের পাতিয়া এলাকায় আকরামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এই সম্পত্তি তাঁর পরিবার এক বছর ধরে ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন, নাভিদ আকরাম পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তবে এ বিষয়ে এখনো তেমন শক্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’। আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্পবেল প্যারেডসংলগ্ন বন্ডি প্যাভিলিয়নের কাছে একটি গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে আসেন। এরপর তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল ও কাউন্সিল অব ইমামস এনএসডব্লিউ এক যৌথ বিবৃতিতে বন্ডি বিচে গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমাজে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পূর্ণ জবাবদিহি ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’
তারা নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ও এই ভয়াবহ হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়সহ সব অস্ট্রেলিয়ানের উচিত ঐক্য, সহানুভূতি ও সংহতি নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়ানো, সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করা এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও সব অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকার নিশ্চিত করা।’

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
১ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যে মিছিলগুলো হচ্ছে, তাতে অনেককে সাদাকালো একটি রুমাল গায়ে জড়াতে দেখা যায়। একে কেফিয়েহ বলে। একইভাবে বিক্ষোভকারীদের বড় বড় চাবি বহন করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেখা যায়, শিশুদের পিঠে তুলে ঘোরানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তরমুজ এঁকেও নিয়ে আসেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
১ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগে