
হঠাৎ বাড়ছে ইউরেনিয়ামের দাম। এরই মধ্যে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে এই মূল্যবান তেজস্ক্রিয় ধাতুর দাম। ইউরেনিয়ামের এই মূল্যবৃদ্ধি বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তার মানে, বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুৎশক্তির নবজাগরণ ঘটতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। যেখানে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো জ্বালানি সরবরাহের সংকটের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামকে বলে ‘ইয়েলো কেক’। ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউএক্সসির তথ্য অনুসারে, এই ধাতুর দাম গত মাসে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি পাউন্ড ৬৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউরেনিয়ামের বাজারে গত বছরের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ভেঙেছে গত আগস্টে। ২০১১ সালের পর এত মূল্যবৃদ্ধি কখনো দেখা যায়নি।
তথ্য বলছে, ওয়াশিংটন থেকে সিউল ও প্যারিস পর্যন্ত রাষ্ট্রগুলোর ইউরেনিয়ামের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণেই এত দাম বেড়েছে। বিদ্যমান পারমাণবিক চুল্লিগুলোর জীবনকাল বাড়িয়ে বিদ্যুতে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে এসব দেশ। পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিশ্বব্যাপী গ্যাসের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলো নতুন করে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছে।
ইউরেনিয়ামের দামের এই মাইলফলক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পারমাণবিক শক্তির মতো কার্বনমুক্ত উৎসের পুনরুত্থানে একটি বড় পদক্ষেপ চিহ্নিত করছে। ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর বিশ্বব্যাপীই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অনেক দেশ সরে আসার ঘোষণা দেয়। বিদ্যুতের এই উৎস সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব প্রবল হওয়ার কারণে ইউরেনিয়ামের বাজারেও প্রভাব পড়ে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউরেনিয়াম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ক্যামেকোর প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা গ্রান্ট আইজ্যাক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দেওয়া এবং জ্বালানি সুরক্ষা দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ৪০ ডলারে ইউরেনিয়াম কেনার দিন শেষ এবং সম্ভবত ৫০ বা ৬০ ডলারেও আর পাওয়া যাবে না। আমাদের নতুন করে সরবরাহ দরকার হবে।’
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর ইউরেনিয়ামের চাহিদা ও দামে টানাপোড়েনের ফলে নতুন খনি প্রকল্পও সেভাবে আসেনি। বর্তমান উচ্চমূল্যের জন্য এটিও বড় কারণ।
এর মধ্যে নাইজারে অভ্যুত্থান ইউরেনিয়ামের দামে প্রভাব ফেলেছে। আফ্রিকার এই দেশ বিশ্বের মোট চাহিদার প্রায় ৪ শতাংশ উৎপাদন করে।
ক্যামেকো চলতি সেপ্টেম্বরে তাদের সিগার লেক খনি এবং কানাডার কি লেক মিলের উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় বাৎসরিক পূর্বাভাস কমিয়ে ঘোষণা করেছে।
পরমাণু কোম্পানি ওরানো গত সপ্তাহে বলেছে, জরুরি রাসায়নিকের ঘাটতির কারণে নাইজারে তাদের খনির পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় এগিয়ে আনতে হচ্ছে। ফ্রান্স সরকার এই কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ারের মালিক।
তবে ইউরেনিয়ামের বর্তমান মূল্য ফুকুশিমা বিপর্যয়ের আগের সময়ের চেয়ে কম। ওই ঘটনার আগে পর্যন্ত প্রতি পাউন্ড ইউরেনিয়ামের দাম ছিল ৭৩ ডলার। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর জাপান ও জার্মানি তাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে শুরু করলে বাজারে ইউরেনিয়ামের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়।
কমোডিটি ট্রেডিং কোম্পানি ডব্লিউএমসি এনার্জির ডিরেক্টর পার জ্যান্ডার বলেন, ইউরেনিয়ামের দামের ‘স্থির বৃদ্ধি’ মূলত বিনিয়োগকারীদের পরিবর্তে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলোর অবস্থা ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। আগামী কয়েক বছর সংকট অপেক্ষা করছে।’
চীনের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক শক্তি উন্নয়নের গতির কথা উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, ‘আমরা কেবল ফুকুশিমা-পূর্ব স্তরে ফিরে যাচ্ছি না, আমরা এটিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশন গত সপ্তাহে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ১৪০টিরও বেশি পারমাণবিক চুল্লি প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে চালু থাকতে পারে। আবার ২০৪০ সালের মধ্যে ৩৫ গিগাওয়াট ঘণ্টা ক্ষমতার ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লি বাজারে এসে যেতে পারে। তখন ইউরেনিয়ামের চাহিদা দ্বিগুণ হবে। তখন বার্ষিক ১ লাখ ৩০ হাজার টন ইউরেনিয়ামের চাহিদা মেটাতে নতুন খনি খুঁজতে হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চেইন বড় ধাক্কা খেয়েছে। কারণ রাশিয়া ইউরেনিয়াম রূপান্তর এবং সমৃদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্রোকারেজ হাউস ওশান ওয়ালের প্রধান নির্বাহী নিক লসন বলেন, ‘কিছু সময়ের জন্য সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে একটি ভারসাম্যহীনতা ছিল। এটি এখন ভূরাজনীতির কারণে আরও বেড়েছে।’ তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী হলো, ২০২৫ সাল নাগাদ ইউরেনিয়ামের স্পট মূল্য প্রতি পাউন্ড ২০০ ডলার হবে।

হঠাৎ বাড়ছে ইউরেনিয়ামের দাম। এরই মধ্যে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে এই মূল্যবান তেজস্ক্রিয় ধাতুর দাম। ইউরেনিয়ামের এই মূল্যবৃদ্ধি বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তার মানে, বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুৎশক্তির নবজাগরণ ঘটতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। যেখানে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো জ্বালানি সরবরাহের সংকটের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামকে বলে ‘ইয়েলো কেক’। ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউএক্সসির তথ্য অনুসারে, এই ধাতুর দাম গত মাসে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি পাউন্ড ৬৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউরেনিয়ামের বাজারে গত বছরের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ভেঙেছে গত আগস্টে। ২০১১ সালের পর এত মূল্যবৃদ্ধি কখনো দেখা যায়নি।
তথ্য বলছে, ওয়াশিংটন থেকে সিউল ও প্যারিস পর্যন্ত রাষ্ট্রগুলোর ইউরেনিয়ামের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণেই এত দাম বেড়েছে। বিদ্যমান পারমাণবিক চুল্লিগুলোর জীবনকাল বাড়িয়ে বিদ্যুতে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে এসব দেশ। পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিশ্বব্যাপী গ্যাসের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলো নতুন করে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছে।
ইউরেনিয়ামের দামের এই মাইলফলক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পারমাণবিক শক্তির মতো কার্বনমুক্ত উৎসের পুনরুত্থানে একটি বড় পদক্ষেপ চিহ্নিত করছে। ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর বিশ্বব্যাপীই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অনেক দেশ সরে আসার ঘোষণা দেয়। বিদ্যুতের এই উৎস সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব প্রবল হওয়ার কারণে ইউরেনিয়ামের বাজারেও প্রভাব পড়ে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউরেনিয়াম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ক্যামেকোর প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা গ্রান্ট আইজ্যাক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দেওয়া এবং জ্বালানি সুরক্ষা দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ৪০ ডলারে ইউরেনিয়াম কেনার দিন শেষ এবং সম্ভবত ৫০ বা ৬০ ডলারেও আর পাওয়া যাবে না। আমাদের নতুন করে সরবরাহ দরকার হবে।’
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর ইউরেনিয়ামের চাহিদা ও দামে টানাপোড়েনের ফলে নতুন খনি প্রকল্পও সেভাবে আসেনি। বর্তমান উচ্চমূল্যের জন্য এটিও বড় কারণ।
এর মধ্যে নাইজারে অভ্যুত্থান ইউরেনিয়ামের দামে প্রভাব ফেলেছে। আফ্রিকার এই দেশ বিশ্বের মোট চাহিদার প্রায় ৪ শতাংশ উৎপাদন করে।
ক্যামেকো চলতি সেপ্টেম্বরে তাদের সিগার লেক খনি এবং কানাডার কি লেক মিলের উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় বাৎসরিক পূর্বাভাস কমিয়ে ঘোষণা করেছে।
পরমাণু কোম্পানি ওরানো গত সপ্তাহে বলেছে, জরুরি রাসায়নিকের ঘাটতির কারণে নাইজারে তাদের খনির পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় এগিয়ে আনতে হচ্ছে। ফ্রান্স সরকার এই কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ারের মালিক।
তবে ইউরেনিয়ামের বর্তমান মূল্য ফুকুশিমা বিপর্যয়ের আগের সময়ের চেয়ে কম। ওই ঘটনার আগে পর্যন্ত প্রতি পাউন্ড ইউরেনিয়ামের দাম ছিল ৭৩ ডলার। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর জাপান ও জার্মানি তাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে শুরু করলে বাজারে ইউরেনিয়ামের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়।
কমোডিটি ট্রেডিং কোম্পানি ডব্লিউএমসি এনার্জির ডিরেক্টর পার জ্যান্ডার বলেন, ইউরেনিয়ামের দামের ‘স্থির বৃদ্ধি’ মূলত বিনিয়োগকারীদের পরিবর্তে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলোর অবস্থা ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। আগামী কয়েক বছর সংকট অপেক্ষা করছে।’
চীনের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক শক্তি উন্নয়নের গতির কথা উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, ‘আমরা কেবল ফুকুশিমা-পূর্ব স্তরে ফিরে যাচ্ছি না, আমরা এটিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশন গত সপ্তাহে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ১৪০টিরও বেশি পারমাণবিক চুল্লি প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে চালু থাকতে পারে। আবার ২০৪০ সালের মধ্যে ৩৫ গিগাওয়াট ঘণ্টা ক্ষমতার ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লি বাজারে এসে যেতে পারে। তখন ইউরেনিয়ামের চাহিদা দ্বিগুণ হবে। তখন বার্ষিক ১ লাখ ৩০ হাজার টন ইউরেনিয়ামের চাহিদা মেটাতে নতুন খনি খুঁজতে হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চেইন বড় ধাক্কা খেয়েছে। কারণ রাশিয়া ইউরেনিয়াম রূপান্তর এবং সমৃদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্রোকারেজ হাউস ওশান ওয়ালের প্রধান নির্বাহী নিক লসন বলেন, ‘কিছু সময়ের জন্য সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে একটি ভারসাম্যহীনতা ছিল। এটি এখন ভূরাজনীতির কারণে আরও বেড়েছে।’ তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী হলো, ২০২৫ সাল নাগাদ ইউরেনিয়ামের স্পট মূল্য প্রতি পাউন্ড ২০০ ডলার হবে।

হঠাৎ বাড়ছে ইউরেনিয়ামের দাম। এরই মধ্যে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে এই মূল্যবান তেজস্ক্রিয় ধাতুর দাম। ইউরেনিয়ামের এই মূল্যবৃদ্ধি বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তার মানে, বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুৎশক্তির নবজাগরণ ঘটতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। যেখানে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো জ্বালানি সরবরাহের সংকটের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামকে বলে ‘ইয়েলো কেক’। ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউএক্সসির তথ্য অনুসারে, এই ধাতুর দাম গত মাসে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি পাউন্ড ৬৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউরেনিয়ামের বাজারে গত বছরের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ভেঙেছে গত আগস্টে। ২০১১ সালের পর এত মূল্যবৃদ্ধি কখনো দেখা যায়নি।
তথ্য বলছে, ওয়াশিংটন থেকে সিউল ও প্যারিস পর্যন্ত রাষ্ট্রগুলোর ইউরেনিয়ামের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণেই এত দাম বেড়েছে। বিদ্যমান পারমাণবিক চুল্লিগুলোর জীবনকাল বাড়িয়ে বিদ্যুতে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে এসব দেশ। পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিশ্বব্যাপী গ্যাসের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলো নতুন করে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছে।
ইউরেনিয়ামের দামের এই মাইলফলক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পারমাণবিক শক্তির মতো কার্বনমুক্ত উৎসের পুনরুত্থানে একটি বড় পদক্ষেপ চিহ্নিত করছে। ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর বিশ্বব্যাপীই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অনেক দেশ সরে আসার ঘোষণা দেয়। বিদ্যুতের এই উৎস সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব প্রবল হওয়ার কারণে ইউরেনিয়ামের বাজারেও প্রভাব পড়ে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউরেনিয়াম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ক্যামেকোর প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা গ্রান্ট আইজ্যাক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দেওয়া এবং জ্বালানি সুরক্ষা দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ৪০ ডলারে ইউরেনিয়াম কেনার দিন শেষ এবং সম্ভবত ৫০ বা ৬০ ডলারেও আর পাওয়া যাবে না। আমাদের নতুন করে সরবরাহ দরকার হবে।’
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর ইউরেনিয়ামের চাহিদা ও দামে টানাপোড়েনের ফলে নতুন খনি প্রকল্পও সেভাবে আসেনি। বর্তমান উচ্চমূল্যের জন্য এটিও বড় কারণ।
এর মধ্যে নাইজারে অভ্যুত্থান ইউরেনিয়ামের দামে প্রভাব ফেলেছে। আফ্রিকার এই দেশ বিশ্বের মোট চাহিদার প্রায় ৪ শতাংশ উৎপাদন করে।
ক্যামেকো চলতি সেপ্টেম্বরে তাদের সিগার লেক খনি এবং কানাডার কি লেক মিলের উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় বাৎসরিক পূর্বাভাস কমিয়ে ঘোষণা করেছে।
পরমাণু কোম্পানি ওরানো গত সপ্তাহে বলেছে, জরুরি রাসায়নিকের ঘাটতির কারণে নাইজারে তাদের খনির পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় এগিয়ে আনতে হচ্ছে। ফ্রান্স সরকার এই কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ারের মালিক।
তবে ইউরেনিয়ামের বর্তমান মূল্য ফুকুশিমা বিপর্যয়ের আগের সময়ের চেয়ে কম। ওই ঘটনার আগে পর্যন্ত প্রতি পাউন্ড ইউরেনিয়ামের দাম ছিল ৭৩ ডলার। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর জাপান ও জার্মানি তাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে শুরু করলে বাজারে ইউরেনিয়ামের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়।
কমোডিটি ট্রেডিং কোম্পানি ডব্লিউএমসি এনার্জির ডিরেক্টর পার জ্যান্ডার বলেন, ইউরেনিয়ামের দামের ‘স্থির বৃদ্ধি’ মূলত বিনিয়োগকারীদের পরিবর্তে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলোর অবস্থা ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। আগামী কয়েক বছর সংকট অপেক্ষা করছে।’
চীনের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক শক্তি উন্নয়নের গতির কথা উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, ‘আমরা কেবল ফুকুশিমা-পূর্ব স্তরে ফিরে যাচ্ছি না, আমরা এটিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশন গত সপ্তাহে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ১৪০টিরও বেশি পারমাণবিক চুল্লি প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে চালু থাকতে পারে। আবার ২০৪০ সালের মধ্যে ৩৫ গিগাওয়াট ঘণ্টা ক্ষমতার ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লি বাজারে এসে যেতে পারে। তখন ইউরেনিয়ামের চাহিদা দ্বিগুণ হবে। তখন বার্ষিক ১ লাখ ৩০ হাজার টন ইউরেনিয়ামের চাহিদা মেটাতে নতুন খনি খুঁজতে হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চেইন বড় ধাক্কা খেয়েছে। কারণ রাশিয়া ইউরেনিয়াম রূপান্তর এবং সমৃদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্রোকারেজ হাউস ওশান ওয়ালের প্রধান নির্বাহী নিক লসন বলেন, ‘কিছু সময়ের জন্য সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে একটি ভারসাম্যহীনতা ছিল। এটি এখন ভূরাজনীতির কারণে আরও বেড়েছে।’ তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী হলো, ২০২৫ সাল নাগাদ ইউরেনিয়ামের স্পট মূল্য প্রতি পাউন্ড ২০০ ডলার হবে।

হঠাৎ বাড়ছে ইউরেনিয়ামের দাম। এরই মধ্যে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে এই মূল্যবান তেজস্ক্রিয় ধাতুর দাম। ইউরেনিয়ামের এই মূল্যবৃদ্ধি বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তার মানে, বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুৎশক্তির নবজাগরণ ঘটতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। যেখানে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো জ্বালানি সরবরাহের সংকটের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামকে বলে ‘ইয়েলো কেক’। ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউএক্সসির তথ্য অনুসারে, এই ধাতুর দাম গত মাসে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি পাউন্ড ৬৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউরেনিয়ামের বাজারে গত বছরের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ভেঙেছে গত আগস্টে। ২০১১ সালের পর এত মূল্যবৃদ্ধি কখনো দেখা যায়নি।
তথ্য বলছে, ওয়াশিংটন থেকে সিউল ও প্যারিস পর্যন্ত রাষ্ট্রগুলোর ইউরেনিয়ামের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণেই এত দাম বেড়েছে। বিদ্যমান পারমাণবিক চুল্লিগুলোর জীবনকাল বাড়িয়ে বিদ্যুতে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে এসব দেশ। পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিশ্বব্যাপী গ্যাসের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলো নতুন করে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছে।
ইউরেনিয়ামের দামের এই মাইলফলক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পারমাণবিক শক্তির মতো কার্বনমুক্ত উৎসের পুনরুত্থানে একটি বড় পদক্ষেপ চিহ্নিত করছে। ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর বিশ্বব্যাপীই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অনেক দেশ সরে আসার ঘোষণা দেয়। বিদ্যুতের এই উৎস সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব প্রবল হওয়ার কারণে ইউরেনিয়ামের বাজারেও প্রভাব পড়ে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউরেনিয়াম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ক্যামেকোর প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা গ্রান্ট আইজ্যাক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দেওয়া এবং জ্বালানি সুরক্ষা দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ৪০ ডলারে ইউরেনিয়াম কেনার দিন শেষ এবং সম্ভবত ৫০ বা ৬০ ডলারেও আর পাওয়া যাবে না। আমাদের নতুন করে সরবরাহ দরকার হবে।’
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর ইউরেনিয়ামের চাহিদা ও দামে টানাপোড়েনের ফলে নতুন খনি প্রকল্পও সেভাবে আসেনি। বর্তমান উচ্চমূল্যের জন্য এটিও বড় কারণ।
এর মধ্যে নাইজারে অভ্যুত্থান ইউরেনিয়ামের দামে প্রভাব ফেলেছে। আফ্রিকার এই দেশ বিশ্বের মোট চাহিদার প্রায় ৪ শতাংশ উৎপাদন করে।
ক্যামেকো চলতি সেপ্টেম্বরে তাদের সিগার লেক খনি এবং কানাডার কি লেক মিলের উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় বাৎসরিক পূর্বাভাস কমিয়ে ঘোষণা করেছে।
পরমাণু কোম্পানি ওরানো গত সপ্তাহে বলেছে, জরুরি রাসায়নিকের ঘাটতির কারণে নাইজারে তাদের খনির পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় এগিয়ে আনতে হচ্ছে। ফ্রান্স সরকার এই কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ারের মালিক।
তবে ইউরেনিয়ামের বর্তমান মূল্য ফুকুশিমা বিপর্যয়ের আগের সময়ের চেয়ে কম। ওই ঘটনার আগে পর্যন্ত প্রতি পাউন্ড ইউরেনিয়ামের দাম ছিল ৭৩ ডলার। ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর জাপান ও জার্মানি তাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে শুরু করলে বাজারে ইউরেনিয়ামের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়।
কমোডিটি ট্রেডিং কোম্পানি ডব্লিউএমসি এনার্জির ডিরেক্টর পার জ্যান্ডার বলেন, ইউরেনিয়ামের দামের ‘স্থির বৃদ্ধি’ মূলত বিনিয়োগকারীদের পরিবর্তে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলোর অবস্থা ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। আগামী কয়েক বছর সংকট অপেক্ষা করছে।’
চীনের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক শক্তি উন্নয়নের গতির কথা উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, ‘আমরা কেবল ফুকুশিমা-পূর্ব স্তরে ফিরে যাচ্ছি না, আমরা এটিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশন গত সপ্তাহে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ১৪০টিরও বেশি পারমাণবিক চুল্লি প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে চালু থাকতে পারে। আবার ২০৪০ সালের মধ্যে ৩৫ গিগাওয়াট ঘণ্টা ক্ষমতার ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লি বাজারে এসে যেতে পারে। তখন ইউরেনিয়ামের চাহিদা দ্বিগুণ হবে। তখন বার্ষিক ১ লাখ ৩০ হাজার টন ইউরেনিয়ামের চাহিদা মেটাতে নতুন খনি খুঁজতে হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চেইন বড় ধাক্কা খেয়েছে। কারণ রাশিয়া ইউরেনিয়াম রূপান্তর এবং সমৃদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্রোকারেজ হাউস ওশান ওয়ালের প্রধান নির্বাহী নিক লসন বলেন, ‘কিছু সময়ের জন্য সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে একটি ভারসাম্যহীনতা ছিল। এটি এখন ভূরাজনীতির কারণে আরও বেড়েছে।’ তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী হলো, ২০২৫ সাল নাগাদ ইউরেনিয়ামের স্পট মূল্য প্রতি পাউন্ড ২০০ ডলার হবে।

বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৩ মিনিট আগে
দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জানুয়ারিতে উভয় পক্ষের একটি সমন্বয় সভা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে চীনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সুযোগ নিয়ে আলোচনা করে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান এবং চীনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফ্রাঙ্ক য়ি। বৈঠকে বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক রুমানা রশীদ ও পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল।
চীনা প্রতিনিধিদলে টেক্সটাইল, ফেব্রিকস, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, আইটি, এআই, হাইটেক শিল্প, শিক্ষা ও গবেষণা, আইন পরামর্শ ও বিরোধ নিষ্পত্তি খাতের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। আলোচনায় বাংলাদেশের পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, বিশেষ করে ম্যানমেইড ফাইবার ও উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর জোর দেওয়া হয়।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ইনামুল হক খান চীনা ব্যবসায়ীদের এমএমএফ-ভিত্তিক টেক্সটাইল, কেমিক্যাল ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ ছাড়া এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ের জন্য এআইচালিত প্রযুক্তি, সাপ্লাই চেইন, থ্রিডি ফটো প্রিন্টিং ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট খাতেও সহযোগিতা কামনা করা হয়। পর্যাপ্ত সমন্বয়ের জন্য জানুয়ারিতে বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে বিজিএমইএ ও চীনা ব্যবসায়ীদের একটি নিবিড় সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া শিক্ষা ও গবেষণার জন্য চীনের চেউং কং গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের সঙ্গে একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব এসেছে।

বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জানুয়ারিতে উভয় পক্ষের একটি সমন্বয় সভা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে চীনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সুযোগ নিয়ে আলোচনা করে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান এবং চীনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফ্রাঙ্ক য়ি। বৈঠকে বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক রুমানা রশীদ ও পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল।
চীনা প্রতিনিধিদলে টেক্সটাইল, ফেব্রিকস, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, আইটি, এআই, হাইটেক শিল্প, শিক্ষা ও গবেষণা, আইন পরামর্শ ও বিরোধ নিষ্পত্তি খাতের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। আলোচনায় বাংলাদেশের পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, বিশেষ করে ম্যানমেইড ফাইবার ও উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর জোর দেওয়া হয়।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ইনামুল হক খান চীনা ব্যবসায়ীদের এমএমএফ-ভিত্তিক টেক্সটাইল, কেমিক্যাল ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ ছাড়া এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ের জন্য এআইচালিত প্রযুক্তি, সাপ্লাই চেইন, থ্রিডি ফটো প্রিন্টিং ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট খাতেও সহযোগিতা কামনা করা হয়। পর্যাপ্ত সমন্বয়ের জন্য জানুয়ারিতে বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে বিজিএমইএ ও চীনা ব্যবসায়ীদের একটি নিবিড় সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া শিক্ষা ও গবেষণার জন্য চীনের চেউং কং গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের সঙ্গে একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব এসেছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামকে বলে ‘ইয়েলো কেক’। ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউএক্সসির তথ্য অনুসারে, এই ধাতুর দাম গত মাসে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি পাউন্ড ৬৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউরেনিয়ামের বাজারে গত বছরের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ভেঙেছে গত আগস্টে। ২০
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে। এ পরিস্থিতিতে দেশের স্পিনিং কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী থেকে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা—সবাই মিলে সরকারের কাছে খাতটির জরুরি সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বাজার এখন আর সমান প্রতিযোগিতার জায়গা নয়। এই অবস্থায় বিদেশি সুতার ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যাক্স ও ১০ শতাংশ সেফ গার্ড ডিউটি আরোপ সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে। পাশাপাশি দেশীয় সুতায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বর্তমান ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা বাড়িয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ করার দাবিও জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে সালমা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার ইঞ্জিনিয়ার আজহার আলী বলেন, অনেক দেশ ভর্তুকির কারণে অস্বাভাবিক কম দামে সুতা রপ্তানি করছে, ফলে স্থানীয় উৎপাদন মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাঁর ভাষায়, বিদেশি সুতা এখন এমন দামে দেশে ঢুকছে, যা স্থানীয় মিলগুলোর উৎপাদন খরচেরও নিচে। এটি সরাসরি ডাম্পিং এবং বাজারে ন্যায্য প্রতিযোগিতার সুযোগ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করছে।
আজহার আলী জানান, মহামারি-পরবর্তী মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলার-সংকট এবং জ্বালানি-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি মিলিয়ে স্পিনিং শিল্পের ওপর বহুস্তরীয় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। টানা তিন দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ৩৫০ শতাংশ বেড়ে গেলেও টেক্সটাইল ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে পণ্যমূল্য সমন্বয় করা হয়নি। এতে ক্ষতির বোঝা চেপে বসেছে সরাসরি মিলগুলোর ওপর। গত কয়েক বছরে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ স্পিনিং মিল উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়েছে। যেসব কারখানা এখনো চলছে, সেগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা নেমে এসেছে অর্ধেকে।
এ সংকট মোকাবিলায় তিনি রপ্তানিমুখী কারখানার জন্য দুই বছরের জন্য ৩০ শতাংশ বিল রিবেটসহ বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানান। একই সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে কাঁচামাল আমদানির সক্ষমতা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা আরও কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। তাঁদের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাতিল হওয়া রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সুবিধা আগামী দুই বছর পুনর্বহাল করা উচিত। স্থানীয় কাঁচামালের বাধ্যতামূলক ব্যবহার ৭০ শতাংশে উন্নীত করা, রিসাইকেল ও সাসটেইনেবল পণ্য উৎপাদনে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনে ৫ শতাংশ সুদে ১০ বছরমেয়াদি বিশেষ ঋণ প্যাকেজ চালুর কথাও বলা হয়। তাঁদের দাবি, রপ্তানিনির্ভর কারখানাগুলোকে গ্যাস ও বিদ্যুতের বিলের ওপর ৩০ শতাংশ রিবেট দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও গ্রিনটেক্স কম্পোজিট মিলসের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ডাম্পিংয়ের কারণে দেশীয় সুতা তার স্বাভাবিক বাজার হারাচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ভিত্তিকে ধসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ কম্পোজিট গ্রুপের পরিচালক (অপারেশন) শাহিনুল হক, আরমাডা গ্রুপের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, আহমেদ গ্রুপের অ্যাডভাইজর শান্তিময় দত্ত, যমুনা গ্রুপের পরিচালক এ বি এম সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে। এ পরিস্থিতিতে দেশের স্পিনিং কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী থেকে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা—সবাই মিলে সরকারের কাছে খাতটির জরুরি সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বাজার এখন আর সমান প্রতিযোগিতার জায়গা নয়। এই অবস্থায় বিদেশি সুতার ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যাক্স ও ১০ শতাংশ সেফ গার্ড ডিউটি আরোপ সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে। পাশাপাশি দেশীয় সুতায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বর্তমান ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা বাড়িয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ করার দাবিও জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে সালমা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার ইঞ্জিনিয়ার আজহার আলী বলেন, অনেক দেশ ভর্তুকির কারণে অস্বাভাবিক কম দামে সুতা রপ্তানি করছে, ফলে স্থানীয় উৎপাদন মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাঁর ভাষায়, বিদেশি সুতা এখন এমন দামে দেশে ঢুকছে, যা স্থানীয় মিলগুলোর উৎপাদন খরচেরও নিচে। এটি সরাসরি ডাম্পিং এবং বাজারে ন্যায্য প্রতিযোগিতার সুযোগ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করছে।
আজহার আলী জানান, মহামারি-পরবর্তী মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলার-সংকট এবং জ্বালানি-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি মিলিয়ে স্পিনিং শিল্পের ওপর বহুস্তরীয় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। টানা তিন দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ৩৫০ শতাংশ বেড়ে গেলেও টেক্সটাইল ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে পণ্যমূল্য সমন্বয় করা হয়নি। এতে ক্ষতির বোঝা চেপে বসেছে সরাসরি মিলগুলোর ওপর। গত কয়েক বছরে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ স্পিনিং মিল উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়েছে। যেসব কারখানা এখনো চলছে, সেগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা নেমে এসেছে অর্ধেকে।
এ সংকট মোকাবিলায় তিনি রপ্তানিমুখী কারখানার জন্য দুই বছরের জন্য ৩০ শতাংশ বিল রিবেটসহ বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানান। একই সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে কাঁচামাল আমদানির সক্ষমতা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা আরও কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। তাঁদের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাতিল হওয়া রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সুবিধা আগামী দুই বছর পুনর্বহাল করা উচিত। স্থানীয় কাঁচামালের বাধ্যতামূলক ব্যবহার ৭০ শতাংশে উন্নীত করা, রিসাইকেল ও সাসটেইনেবল পণ্য উৎপাদনে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনে ৫ শতাংশ সুদে ১০ বছরমেয়াদি বিশেষ ঋণ প্যাকেজ চালুর কথাও বলা হয়। তাঁদের দাবি, রপ্তানিনির্ভর কারখানাগুলোকে গ্যাস ও বিদ্যুতের বিলের ওপর ৩০ শতাংশ রিবেট দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও গ্রিনটেক্স কম্পোজিট মিলসের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ডাম্পিংয়ের কারণে দেশীয় সুতা তার স্বাভাবিক বাজার হারাচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ভিত্তিকে ধসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ কম্পোজিট গ্রুপের পরিচালক (অপারেশন) শাহিনুল হক, আরমাডা গ্রুপের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, আহমেদ গ্রুপের অ্যাডভাইজর শান্তিময় দত্ত, যমুনা গ্রুপের পরিচালক এ বি এম সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামকে বলে ‘ইয়েলো কেক’। ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউএক্সসির তথ্য অনুসারে, এই ধাতুর দাম গত মাসে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি পাউন্ড ৬৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউরেনিয়ামের বাজারে গত বছরের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ভেঙেছে গত আগস্টে। ২০
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৩ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে পবিত্র রমজান উপলক্ষে খেজুরের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাব দেয় ট্যারিফ কমিশন। রোজায় খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে পণ্যটির আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং উৎসে করহার ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার সুপারিশ করে সংস্থাটি।
এ ছাড়া খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।

আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে পবিত্র রমজান উপলক্ষে খেজুরের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাব দেয় ট্যারিফ কমিশন। রোজায় খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে পণ্যটির আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং উৎসে করহার ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার সুপারিশ করে সংস্থাটি।
এ ছাড়া খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামকে বলে ‘ইয়েলো কেক’। ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউএক্সসির তথ্য অনুসারে, এই ধাতুর দাম গত মাসে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি পাউন্ড ৬৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউরেনিয়ামের বাজারে গত বছরের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ভেঙেছে গত আগস্টে। ২০
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৩ মিনিট আগে
দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ভাস্কর কুমার দে (হেড অব মার্কেটিং), রিতেশ বড়ুয়া (হেড অব সেলস), গোপাল দ্বিবেদী (হেড অব প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন) এবং শশাঙ্ক পানম্বুর (ডিজিএম হিউম্যান রিসোর্সেস, সার্ক)।
পার্ক অ্যাভিনিউ, গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড একটি গ্রুমিং ব্র্যান্ড। এটি আত্মবিশ্বাসী ও আধুনিক পুরুষদের জন্য প্রিমিয়াম বডি স্প্রে ও পারফিউমসহ ব্যক্তিগত সুগন্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। জামালের ক্যারিয়ারের যাত্রা ও ব্যক্তিগত পরিচয় পার্ক অ্যাভিনিউ ব্র্যান্ডের সঙ্গে মানানসই, যা আত্মবিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে।

বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ভাস্কর কুমার দে (হেড অব মার্কেটিং), রিতেশ বড়ুয়া (হেড অব সেলস), গোপাল দ্বিবেদী (হেড অব প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন) এবং শশাঙ্ক পানম্বুর (ডিজিএম হিউম্যান রিসোর্সেস, সার্ক)।
পার্ক অ্যাভিনিউ, গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড একটি গ্রুমিং ব্র্যান্ড। এটি আত্মবিশ্বাসী ও আধুনিক পুরুষদের জন্য প্রিমিয়াম বডি স্প্রে ও পারফিউমসহ ব্যক্তিগত সুগন্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। জামালের ক্যারিয়ারের যাত্রা ও ব্যক্তিগত পরিচয় পার্ক অ্যাভিনিউ ব্র্যান্ডের সঙ্গে মানানসই, যা আত্মবিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামকে বলে ‘ইয়েলো কেক’। ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউএক্সসির তথ্য অনুসারে, এই ধাতুর দাম গত মাসে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি পাউন্ড ৬৫ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউরেনিয়ামের বাজারে গত বছরের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ভেঙেছে গত আগস্টে। ২০
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৩ মিনিট আগে
দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে