
গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব দেশের নাম ও গোল্ডেন পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়।
১. অস্ট্রিয়া: ৯৫ লাখ ডলার বিনিয়োগে নাগরিকত্ব
আপনি কয়েক মিলিয়ন ডলারের মালিক হলেই অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব কিনতে পারবেন। অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব আইনের ১০ ধারা ৬-এর অধীনে দেশটির সরকার ‘অসাধারণ যোগ্যতা’ দেখিয়ে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিতে পারে। এসব অসাধারণ যোগ্যতার মধ্য রয়েছে—বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক বা অর্থনৈতিকভাবে অস্ট্রিয়ায় ভূমিকা রাখা।
অস্ট্রিয়ান আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আবেদনকারীদের অবশ্যই অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে হবে। এর মধ্যে ব্যবসা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন হতে পারে।
নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পষ্ট নয়। তবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়, এই অঙ্ক প্রায় ৯৫ লাখ ডলার।
২. অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব পাওয়ার চারটি উপায় রয়েছে। সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—দেশটির জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। বিকল্পভাবে আবেদনকারীরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় লাখ ডলার দান করতে পারেন।
আবেদনকারীরা কমপক্ষে চার লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ আবাসন খাতে (রিয়েল এস্টেট) বিনিয়োগ করতে পারেন। এর প্রসেসিং ফি রয়েছে আরও ৩০ হাজার ডলার।
দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—৩০ হাজার ডলার ফিসহ দ্বীপের একটি অনুমোদিত ব্যবসায় কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা।
৩. ডমিনিকা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
কমনওয়েলথ অব ডোমিনিকা সরকারের মতে, বিনিয়োগের মাধ্যমে ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো—দ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার দান করা এবং দ্বিতীয়টি হলো—অনুমোদিত উন্নয়নে দুই লাখ ডলার মূল্যমানের আবাসন কেনা।
৪. গ্রেনাডা: ন্যূনতম দেড় লাখ ডলার
গ্রেনাডা ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য দুটি উপায় রয়েছে, যথা—ন্যাশনাল ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে দেড় লাখ ডলার দান করা, যা পর্যটন, কৃষি এবং বিকল্প জ্বালানিসহ বিভিন্ন শিল্প প্রকল্পে অর্থায়ন করে। এ ছাড়া কমপক্ষে ২ লাখ ২০ হাজার ডলার মূল্যমানের একটি সম্পত্তি কেনা। তবে সেই কেনা সম্পত্তি চার বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
৫. সেন্ট কিটস এবং নেভিস: দেড় লাখ ডলার
দেশটির সরকারি সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে সেন্ট কিটস এবং নেভিসের নাগরিকত্বের পাওয়ার তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো টেকসই উন্নয়ন তহবিলে দেড় লাখ ডলার দান করা। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিকল্প শক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের প্রচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্প চালু করা হয়।
দ্বিতীয়ত, আবেদনকারী ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার অবদান রাখতে পারেন। তৃতীয় এবং চূড়ান্ত বিকল্প হলো— কমপক্ষে ২ লাখ ডলার মূল্যমানের একটি অনুমোদিত রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগ করা।
৬. সেন্ট লুসিয়া: ১ লাখ ডলার
সেন্ট লুসিয়া পূর্ব ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত একটি আগ্নেয় দ্বীপ। দেশটির বিনিয়োগ অভিবাসন কাউন্সিল অনুসারে, চারটি ভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্পের বিনিময়ে দেশটি নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।
সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল উপায় হলো—দ্বীপের জাতীয় অর্থনৈতিক তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে আগ্রহীরা কমপক্ষে তিন লাখ ডলার মূল্যমানে সম্পত্তি কিনতে পারেন, যা পাঁচ বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
উপরন্তু, একটি ‘অনুমোদিত এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পে’ ন্যূনতম ৩৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে, যা রেস্তোরাঁ এবং ক্রুজ পোর্ট থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরিবহন পরিকাঠামোও হতে পারে। প্রকল্পগুলো স্থানীয় অর্থনীতিতে কমপক্ষে তিনটি স্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
চূড়ান্ত বিকল্প হলো—সরকারি বন্ডে ন্যূনতম ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা। বর্তমানে এ প্রকল্পে কোভিড-১৯ ত্রাণ কর্মসূচির অধীনে ৫০ শতাংশ ছাড় চলছে।
৭. জর্ডান: ন্যূনতম ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার
জর্ডান ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী একটি শুষ্ক অঞ্চলের দেশ। হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস অনুসারে, তিনটি বিনিয়োগ পদ্ধতি দেশটির নাগরিকত্ব মেলাতে পারে।
সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—কোনো প্রকল্পে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করা যা দেশটির রাজধানী আম্মানের বাইরে অবস্থিত একটি কমিউনিটিতে কমপক্ষে ১০টি স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি করে। আর মূলধন প্রকল্পগুলোতে ন্যূনতম ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
অন্যান্য বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে—ন্যূনতম তিন বছরের জন্য সেন্ট্রাল ব্যাংক অব জর্ডানে (সিবিজে) ১০ ডলার ডিপোজিট করা, অথবা ১০ লাখ ডলার মূল্যমানের ট্রেজারি বন্ড কেনা এবং ছয় বছরের জন্য রাখা।
অভিবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত বিকল্প হলো—জর্ডানভিত্তিক একটি কোম্পানির শেয়ার কেনা যার মূল্য কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার।
৮. মাল্টা: ৭ লাখ ৩৮ হাজার ইউরো থেকে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ইউরো
মাল্টা ইতালির উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। জটিল হলেও এই দেশেও বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, আন্তর্জাতিক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসার কারণে এই দেশে এখন বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন সদস্য দেশগুলোতে সোনালি পাসপোর্টের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে।
পরামর্শক সংস্থা পিডব্লিউসি অনুসারে, বিনিয়োগের চারটি শর্ত পূরণের মাধ্যমে মাল্টার নাগরিকত্ব অর্জনের পথ এখনো খোলা রয়েছে:
ক. কমপক্ষে ৭ লাখ ইউরো মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট কেনা।
খ. অর্থনীতি ৬ লাখ ইউরো থেকে এবং সাড়ে ৭ লাখ ইউরোর মধ্যে একটি অতিরিক্ত অবদান।
গ. একটি অনুমোদিত বেসরকারি সংস্থায় ১০ হাজার ইউরো অনুদান।
ঘ. একটি বৈধ আবাসিক কার্ডধারী হওয়া যা মাল্টায় ১২ থেকে ৩৬ মাস বসবাস করার পর বছরে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ইউরো মূল্যমানের লিজের অধীনে দেওয়া হয়।
৯. মন্টিনিগ্রো: ন্যূনতম আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ ও ২ লাখ ইউরো অনুদান
মন্টিনিগ্রোর সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশটিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের দুটি উপায় রয়েছে। আবেদনকারীরা হয় সাড়ে ৪ লাখ ইউরো দেশের রাজধানী পোদগোরসিয়ার মধ্যে প্রকল্পে অথবা রাজধানীর বাইরের এলাকায় আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ করতে পারেন। একইসঙ্গে মন্টিনিগ্রোর উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন তহবিলে ২ লাখ ইউরো দান করতে পারেন।
১০. উত্তর মেসিডোনিয়া: সর্বনিম্ন ২ লাখ ইউরো
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, উত্তর মেসিডোনিয়ায় নাগরিকত্বর জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে: ১. একটি ব্যক্তিগত বিনিয়োগ তহবিলে ২ লাখ ইউরো বিনিয়োগ। ২. রেস্তোরাঁ বা শপিং সেন্টার নির্মাণে ৪ লাখ ইউরো বিনিয়োগের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
১১. তুরস্ক: সর্বনিম্ন ৪ লাখ ডলার
বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো তুরস্ক। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, আবেদনের সাতটি ভিন্ন বিনিয়োগের উপায় রয়েছে। এর মধ্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল হলো চার লাখ ডলার মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট সম্পদ কেনা।
এ ছাড়া লাটভিয়া ন্যূনতম ৬০ হাজার ইউরো, পানামা ন্যূনতম ৪০ হাজার ডলার বিনিয়োগ এবং থাইল্যান্ডে ন্যূনতম ১৯ হাজার ডলার ফি দিয়েও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব দেশের নাম ও গোল্ডেন পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়।
১. অস্ট্রিয়া: ৯৫ লাখ ডলার বিনিয়োগে নাগরিকত্ব
আপনি কয়েক মিলিয়ন ডলারের মালিক হলেই অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব কিনতে পারবেন। অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব আইনের ১০ ধারা ৬-এর অধীনে দেশটির সরকার ‘অসাধারণ যোগ্যতা’ দেখিয়ে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিতে পারে। এসব অসাধারণ যোগ্যতার মধ্য রয়েছে—বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক বা অর্থনৈতিকভাবে অস্ট্রিয়ায় ভূমিকা রাখা।
অস্ট্রিয়ান আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আবেদনকারীদের অবশ্যই অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে হবে। এর মধ্যে ব্যবসা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন হতে পারে।
নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পষ্ট নয়। তবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়, এই অঙ্ক প্রায় ৯৫ লাখ ডলার।
২. অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব পাওয়ার চারটি উপায় রয়েছে। সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—দেশটির জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। বিকল্পভাবে আবেদনকারীরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় লাখ ডলার দান করতে পারেন।
আবেদনকারীরা কমপক্ষে চার লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ আবাসন খাতে (রিয়েল এস্টেট) বিনিয়োগ করতে পারেন। এর প্রসেসিং ফি রয়েছে আরও ৩০ হাজার ডলার।
দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—৩০ হাজার ডলার ফিসহ দ্বীপের একটি অনুমোদিত ব্যবসায় কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা।
৩. ডমিনিকা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
কমনওয়েলথ অব ডোমিনিকা সরকারের মতে, বিনিয়োগের মাধ্যমে ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো—দ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার দান করা এবং দ্বিতীয়টি হলো—অনুমোদিত উন্নয়নে দুই লাখ ডলার মূল্যমানের আবাসন কেনা।
৪. গ্রেনাডা: ন্যূনতম দেড় লাখ ডলার
গ্রেনাডা ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য দুটি উপায় রয়েছে, যথা—ন্যাশনাল ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে দেড় লাখ ডলার দান করা, যা পর্যটন, কৃষি এবং বিকল্প জ্বালানিসহ বিভিন্ন শিল্প প্রকল্পে অর্থায়ন করে। এ ছাড়া কমপক্ষে ২ লাখ ২০ হাজার ডলার মূল্যমানের একটি সম্পত্তি কেনা। তবে সেই কেনা সম্পত্তি চার বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
৫. সেন্ট কিটস এবং নেভিস: দেড় লাখ ডলার
দেশটির সরকারি সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে সেন্ট কিটস এবং নেভিসের নাগরিকত্বের পাওয়ার তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো টেকসই উন্নয়ন তহবিলে দেড় লাখ ডলার দান করা। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিকল্প শক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের প্রচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্প চালু করা হয়।
দ্বিতীয়ত, আবেদনকারী ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার অবদান রাখতে পারেন। তৃতীয় এবং চূড়ান্ত বিকল্প হলো— কমপক্ষে ২ লাখ ডলার মূল্যমানের একটি অনুমোদিত রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগ করা।
৬. সেন্ট লুসিয়া: ১ লাখ ডলার
সেন্ট লুসিয়া পূর্ব ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত একটি আগ্নেয় দ্বীপ। দেশটির বিনিয়োগ অভিবাসন কাউন্সিল অনুসারে, চারটি ভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্পের বিনিময়ে দেশটি নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।
সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল উপায় হলো—দ্বীপের জাতীয় অর্থনৈতিক তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে আগ্রহীরা কমপক্ষে তিন লাখ ডলার মূল্যমানে সম্পত্তি কিনতে পারেন, যা পাঁচ বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
উপরন্তু, একটি ‘অনুমোদিত এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পে’ ন্যূনতম ৩৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে, যা রেস্তোরাঁ এবং ক্রুজ পোর্ট থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরিবহন পরিকাঠামোও হতে পারে। প্রকল্পগুলো স্থানীয় অর্থনীতিতে কমপক্ষে তিনটি স্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
চূড়ান্ত বিকল্প হলো—সরকারি বন্ডে ন্যূনতম ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা। বর্তমানে এ প্রকল্পে কোভিড-১৯ ত্রাণ কর্মসূচির অধীনে ৫০ শতাংশ ছাড় চলছে।
৭. জর্ডান: ন্যূনতম ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার
জর্ডান ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী একটি শুষ্ক অঞ্চলের দেশ। হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস অনুসারে, তিনটি বিনিয়োগ পদ্ধতি দেশটির নাগরিকত্ব মেলাতে পারে।
সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—কোনো প্রকল্পে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করা যা দেশটির রাজধানী আম্মানের বাইরে অবস্থিত একটি কমিউনিটিতে কমপক্ষে ১০টি স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি করে। আর মূলধন প্রকল্পগুলোতে ন্যূনতম ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
অন্যান্য বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে—ন্যূনতম তিন বছরের জন্য সেন্ট্রাল ব্যাংক অব জর্ডানে (সিবিজে) ১০ ডলার ডিপোজিট করা, অথবা ১০ লাখ ডলার মূল্যমানের ট্রেজারি বন্ড কেনা এবং ছয় বছরের জন্য রাখা।
অভিবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত বিকল্প হলো—জর্ডানভিত্তিক একটি কোম্পানির শেয়ার কেনা যার মূল্য কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার।
৮. মাল্টা: ৭ লাখ ৩৮ হাজার ইউরো থেকে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ইউরো
মাল্টা ইতালির উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। জটিল হলেও এই দেশেও বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, আন্তর্জাতিক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসার কারণে এই দেশে এখন বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন সদস্য দেশগুলোতে সোনালি পাসপোর্টের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে।
পরামর্শক সংস্থা পিডব্লিউসি অনুসারে, বিনিয়োগের চারটি শর্ত পূরণের মাধ্যমে মাল্টার নাগরিকত্ব অর্জনের পথ এখনো খোলা রয়েছে:
ক. কমপক্ষে ৭ লাখ ইউরো মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট কেনা।
খ. অর্থনীতি ৬ লাখ ইউরো থেকে এবং সাড়ে ৭ লাখ ইউরোর মধ্যে একটি অতিরিক্ত অবদান।
গ. একটি অনুমোদিত বেসরকারি সংস্থায় ১০ হাজার ইউরো অনুদান।
ঘ. একটি বৈধ আবাসিক কার্ডধারী হওয়া যা মাল্টায় ১২ থেকে ৩৬ মাস বসবাস করার পর বছরে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ইউরো মূল্যমানের লিজের অধীনে দেওয়া হয়।
৯. মন্টিনিগ্রো: ন্যূনতম আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ ও ২ লাখ ইউরো অনুদান
মন্টিনিগ্রোর সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশটিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের দুটি উপায় রয়েছে। আবেদনকারীরা হয় সাড়ে ৪ লাখ ইউরো দেশের রাজধানী পোদগোরসিয়ার মধ্যে প্রকল্পে অথবা রাজধানীর বাইরের এলাকায় আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ করতে পারেন। একইসঙ্গে মন্টিনিগ্রোর উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন তহবিলে ২ লাখ ইউরো দান করতে পারেন।
১০. উত্তর মেসিডোনিয়া: সর্বনিম্ন ২ লাখ ইউরো
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, উত্তর মেসিডোনিয়ায় নাগরিকত্বর জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে: ১. একটি ব্যক্তিগত বিনিয়োগ তহবিলে ২ লাখ ইউরো বিনিয়োগ। ২. রেস্তোরাঁ বা শপিং সেন্টার নির্মাণে ৪ লাখ ইউরো বিনিয়োগের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
১১. তুরস্ক: সর্বনিম্ন ৪ লাখ ডলার
বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো তুরস্ক। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, আবেদনের সাতটি ভিন্ন বিনিয়োগের উপায় রয়েছে। এর মধ্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল হলো চার লাখ ডলার মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট সম্পদ কেনা।
এ ছাড়া লাটভিয়া ন্যূনতম ৬০ হাজার ইউরো, পানামা ন্যূনতম ৪০ হাজার ডলার বিনিয়োগ এবং থাইল্যান্ডে ন্যূনতম ১৯ হাজার ডলার ফি দিয়েও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব দেশের নাম ও গোল্ডেন পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়।
১. অস্ট্রিয়া: ৯৫ লাখ ডলার বিনিয়োগে নাগরিকত্ব
আপনি কয়েক মিলিয়ন ডলারের মালিক হলেই অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব কিনতে পারবেন। অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব আইনের ১০ ধারা ৬-এর অধীনে দেশটির সরকার ‘অসাধারণ যোগ্যতা’ দেখিয়ে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিতে পারে। এসব অসাধারণ যোগ্যতার মধ্য রয়েছে—বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক বা অর্থনৈতিকভাবে অস্ট্রিয়ায় ভূমিকা রাখা।
অস্ট্রিয়ান আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আবেদনকারীদের অবশ্যই অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে হবে। এর মধ্যে ব্যবসা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন হতে পারে।
নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পষ্ট নয়। তবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়, এই অঙ্ক প্রায় ৯৫ লাখ ডলার।
২. অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব পাওয়ার চারটি উপায় রয়েছে। সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—দেশটির জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। বিকল্পভাবে আবেদনকারীরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় লাখ ডলার দান করতে পারেন।
আবেদনকারীরা কমপক্ষে চার লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ আবাসন খাতে (রিয়েল এস্টেট) বিনিয়োগ করতে পারেন। এর প্রসেসিং ফি রয়েছে আরও ৩০ হাজার ডলার।
দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—৩০ হাজার ডলার ফিসহ দ্বীপের একটি অনুমোদিত ব্যবসায় কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা।
৩. ডমিনিকা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
কমনওয়েলথ অব ডোমিনিকা সরকারের মতে, বিনিয়োগের মাধ্যমে ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো—দ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার দান করা এবং দ্বিতীয়টি হলো—অনুমোদিত উন্নয়নে দুই লাখ ডলার মূল্যমানের আবাসন কেনা।
৪. গ্রেনাডা: ন্যূনতম দেড় লাখ ডলার
গ্রেনাডা ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য দুটি উপায় রয়েছে, যথা—ন্যাশনাল ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে দেড় লাখ ডলার দান করা, যা পর্যটন, কৃষি এবং বিকল্প জ্বালানিসহ বিভিন্ন শিল্প প্রকল্পে অর্থায়ন করে। এ ছাড়া কমপক্ষে ২ লাখ ২০ হাজার ডলার মূল্যমানের একটি সম্পত্তি কেনা। তবে সেই কেনা সম্পত্তি চার বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
৫. সেন্ট কিটস এবং নেভিস: দেড় লাখ ডলার
দেশটির সরকারি সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে সেন্ট কিটস এবং নেভিসের নাগরিকত্বের পাওয়ার তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো টেকসই উন্নয়ন তহবিলে দেড় লাখ ডলার দান করা। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিকল্প শক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের প্রচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্প চালু করা হয়।
দ্বিতীয়ত, আবেদনকারী ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার অবদান রাখতে পারেন। তৃতীয় এবং চূড়ান্ত বিকল্প হলো— কমপক্ষে ২ লাখ ডলার মূল্যমানের একটি অনুমোদিত রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগ করা।
৬. সেন্ট লুসিয়া: ১ লাখ ডলার
সেন্ট লুসিয়া পূর্ব ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত একটি আগ্নেয় দ্বীপ। দেশটির বিনিয়োগ অভিবাসন কাউন্সিল অনুসারে, চারটি ভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্পের বিনিময়ে দেশটি নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।
সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল উপায় হলো—দ্বীপের জাতীয় অর্থনৈতিক তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে আগ্রহীরা কমপক্ষে তিন লাখ ডলার মূল্যমানে সম্পত্তি কিনতে পারেন, যা পাঁচ বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
উপরন্তু, একটি ‘অনুমোদিত এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পে’ ন্যূনতম ৩৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে, যা রেস্তোরাঁ এবং ক্রুজ পোর্ট থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরিবহন পরিকাঠামোও হতে পারে। প্রকল্পগুলো স্থানীয় অর্থনীতিতে কমপক্ষে তিনটি স্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
চূড়ান্ত বিকল্প হলো—সরকারি বন্ডে ন্যূনতম ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা। বর্তমানে এ প্রকল্পে কোভিড-১৯ ত্রাণ কর্মসূচির অধীনে ৫০ শতাংশ ছাড় চলছে।
৭. জর্ডান: ন্যূনতম ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার
জর্ডান ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী একটি শুষ্ক অঞ্চলের দেশ। হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস অনুসারে, তিনটি বিনিয়োগ পদ্ধতি দেশটির নাগরিকত্ব মেলাতে পারে।
সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—কোনো প্রকল্পে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করা যা দেশটির রাজধানী আম্মানের বাইরে অবস্থিত একটি কমিউনিটিতে কমপক্ষে ১০টি স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি করে। আর মূলধন প্রকল্পগুলোতে ন্যূনতম ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
অন্যান্য বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে—ন্যূনতম তিন বছরের জন্য সেন্ট্রাল ব্যাংক অব জর্ডানে (সিবিজে) ১০ ডলার ডিপোজিট করা, অথবা ১০ লাখ ডলার মূল্যমানের ট্রেজারি বন্ড কেনা এবং ছয় বছরের জন্য রাখা।
অভিবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত বিকল্প হলো—জর্ডানভিত্তিক একটি কোম্পানির শেয়ার কেনা যার মূল্য কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার।
৮. মাল্টা: ৭ লাখ ৩৮ হাজার ইউরো থেকে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ইউরো
মাল্টা ইতালির উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। জটিল হলেও এই দেশেও বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, আন্তর্জাতিক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসার কারণে এই দেশে এখন বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন সদস্য দেশগুলোতে সোনালি পাসপোর্টের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে।
পরামর্শক সংস্থা পিডব্লিউসি অনুসারে, বিনিয়োগের চারটি শর্ত পূরণের মাধ্যমে মাল্টার নাগরিকত্ব অর্জনের পথ এখনো খোলা রয়েছে:
ক. কমপক্ষে ৭ লাখ ইউরো মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট কেনা।
খ. অর্থনীতি ৬ লাখ ইউরো থেকে এবং সাড়ে ৭ লাখ ইউরোর মধ্যে একটি অতিরিক্ত অবদান।
গ. একটি অনুমোদিত বেসরকারি সংস্থায় ১০ হাজার ইউরো অনুদান।
ঘ. একটি বৈধ আবাসিক কার্ডধারী হওয়া যা মাল্টায় ১২ থেকে ৩৬ মাস বসবাস করার পর বছরে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ইউরো মূল্যমানের লিজের অধীনে দেওয়া হয়।
৯. মন্টিনিগ্রো: ন্যূনতম আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ ও ২ লাখ ইউরো অনুদান
মন্টিনিগ্রোর সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশটিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের দুটি উপায় রয়েছে। আবেদনকারীরা হয় সাড়ে ৪ লাখ ইউরো দেশের রাজধানী পোদগোরসিয়ার মধ্যে প্রকল্পে অথবা রাজধানীর বাইরের এলাকায় আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ করতে পারেন। একইসঙ্গে মন্টিনিগ্রোর উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন তহবিলে ২ লাখ ইউরো দান করতে পারেন।
১০. উত্তর মেসিডোনিয়া: সর্বনিম্ন ২ লাখ ইউরো
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, উত্তর মেসিডোনিয়ায় নাগরিকত্বর জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে: ১. একটি ব্যক্তিগত বিনিয়োগ তহবিলে ২ লাখ ইউরো বিনিয়োগ। ২. রেস্তোরাঁ বা শপিং সেন্টার নির্মাণে ৪ লাখ ইউরো বিনিয়োগের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
১১. তুরস্ক: সর্বনিম্ন ৪ লাখ ডলার
বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো তুরস্ক। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, আবেদনের সাতটি ভিন্ন বিনিয়োগের উপায় রয়েছে। এর মধ্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল হলো চার লাখ ডলার মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট সম্পদ কেনা।
এ ছাড়া লাটভিয়া ন্যূনতম ৬০ হাজার ইউরো, পানামা ন্যূনতম ৪০ হাজার ডলার বিনিয়োগ এবং থাইল্যান্ডে ন্যূনতম ১৯ হাজার ডলার ফি দিয়েও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব দেশের নাম ও গোল্ডেন পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়।
১. অস্ট্রিয়া: ৯৫ লাখ ডলার বিনিয়োগে নাগরিকত্ব
আপনি কয়েক মিলিয়ন ডলারের মালিক হলেই অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব কিনতে পারবেন। অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব আইনের ১০ ধারা ৬-এর অধীনে দেশটির সরকার ‘অসাধারণ যোগ্যতা’ দেখিয়ে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিতে পারে। এসব অসাধারণ যোগ্যতার মধ্য রয়েছে—বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক বা অর্থনৈতিকভাবে অস্ট্রিয়ায় ভূমিকা রাখা।
অস্ট্রিয়ান আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আবেদনকারীদের অবশ্যই অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে হবে। এর মধ্যে ব্যবসা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন হতে পারে।
নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পষ্ট নয়। তবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়, এই অঙ্ক প্রায় ৯৫ লাখ ডলার।
২. অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার নাগরিকত্ব পাওয়ার চারটি উপায় রয়েছে। সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—দেশটির জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। বিকল্পভাবে আবেদনকারীরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় লাখ ডলার দান করতে পারেন।
আবেদনকারীরা কমপক্ষে চার লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ আবাসন খাতে (রিয়েল এস্টেট) বিনিয়োগ করতে পারেন। এর প্রসেসিং ফি রয়েছে আরও ৩০ হাজার ডলার।
দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—৩০ হাজার ডলার ফিসহ দ্বীপের একটি অনুমোদিত ব্যবসায় কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা।
৩. ডমিনিকা: ন্যূনতম ১ লাখ ডলার
কমনওয়েলথ অব ডোমিনিকা সরকারের মতে, বিনিয়োগের মাধ্যমে ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো—দ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তহবিলে এক লাখ ডলার দান করা এবং দ্বিতীয়টি হলো—অনুমোদিত উন্নয়নে দুই লাখ ডলার মূল্যমানের আবাসন কেনা।
৪. গ্রেনাডা: ন্যূনতম দেড় লাখ ডলার
গ্রেনাডা ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য দুটি উপায় রয়েছে, যথা—ন্যাশনাল ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে দেড় লাখ ডলার দান করা, যা পর্যটন, কৃষি এবং বিকল্প জ্বালানিসহ বিভিন্ন শিল্প প্রকল্পে অর্থায়ন করে। এ ছাড়া কমপক্ষে ২ লাখ ২০ হাজার ডলার মূল্যমানের একটি সম্পত্তি কেনা। তবে সেই কেনা সম্পত্তি চার বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
৫. সেন্ট কিটস এবং নেভিস: দেড় লাখ ডলার
দেশটির সরকারি সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিনিয়োগের মাধ্যমে সেন্ট কিটস এবং নেভিসের নাগরিকত্বের পাওয়ার তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হলো টেকসই উন্নয়ন তহবিলে দেড় লাখ ডলার দান করা। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিকল্প শক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের প্রচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্প চালু করা হয়।
দ্বিতীয়ত, আবেদনকারী ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার অবদান রাখতে পারেন। তৃতীয় এবং চূড়ান্ত বিকল্প হলো— কমপক্ষে ২ লাখ ডলার মূল্যমানের একটি অনুমোদিত রিয়েল এস্টেট প্রকল্পে বিনিয়োগ করা।
৬. সেন্ট লুসিয়া: ১ লাখ ডলার
সেন্ট লুসিয়া পূর্ব ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত একটি আগ্নেয় দ্বীপ। দেশটির বিনিয়োগ অভিবাসন কাউন্সিল অনুসারে, চারটি ভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্পের বিনিময়ে দেশটি নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে।
সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল উপায় হলো—দ্বীপের জাতীয় অর্থনৈতিক তহবিলে এক লাখ ডলার অনুদান। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগে আগ্রহীরা কমপক্ষে তিন লাখ ডলার মূল্যমানে সম্পত্তি কিনতে পারেন, যা পাঁচ বছরের আগে বিক্রি করা যাবে না।
উপরন্তু, একটি ‘অনুমোদিত এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পে’ ন্যূনতম ৩৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে, যা রেস্তোরাঁ এবং ক্রুজ পোর্ট থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরিবহন পরিকাঠামোও হতে পারে। প্রকল্পগুলো স্থানীয় অর্থনীতিতে কমপক্ষে তিনটি স্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
চূড়ান্ত বিকল্প হলো—সরকারি বন্ডে ন্যূনতম ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা। বর্তমানে এ প্রকল্পে কোভিড-১৯ ত্রাণ কর্মসূচির অধীনে ৫০ শতাংশ ছাড় চলছে।
৭. জর্ডান: ন্যূনতম ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার
জর্ডান ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী একটি শুষ্ক অঞ্চলের দেশ। হেনলি অ্যান্ড পার্টনারস অনুসারে, তিনটি বিনিয়োগ পদ্ধতি দেশটির নাগরিকত্ব মেলাতে পারে।
সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প হলো—কোনো প্রকল্পে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করা যা দেশটির রাজধানী আম্মানের বাইরে অবস্থিত একটি কমিউনিটিতে কমপক্ষে ১০টি স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি করে। আর মূলধন প্রকল্পগুলোতে ন্যূনতম ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
অন্যান্য বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে—ন্যূনতম তিন বছরের জন্য সেন্ট্রাল ব্যাংক অব জর্ডানে (সিবিজে) ১০ ডলার ডিপোজিট করা, অথবা ১০ লাখ ডলার মূল্যমানের ট্রেজারি বন্ড কেনা এবং ছয় বছরের জন্য রাখা।
অভিবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত বিকল্প হলো—জর্ডানভিত্তিক একটি কোম্পানির শেয়ার কেনা যার মূল্য কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার।
৮. মাল্টা: ৭ লাখ ৩৮ হাজার ইউরো থেকে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ইউরো
মাল্টা ইতালির উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। জটিল হলেও এই দেশেও বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, আন্তর্জাতিক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম উঠে আসার কারণে এই দেশে এখন বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন সদস্য দেশগুলোতে সোনালি পাসপোর্টের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে।
পরামর্শক সংস্থা পিডব্লিউসি অনুসারে, বিনিয়োগের চারটি শর্ত পূরণের মাধ্যমে মাল্টার নাগরিকত্ব অর্জনের পথ এখনো খোলা রয়েছে:
ক. কমপক্ষে ৭ লাখ ইউরো মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট কেনা।
খ. অর্থনীতি ৬ লাখ ইউরো থেকে এবং সাড়ে ৭ লাখ ইউরোর মধ্যে একটি অতিরিক্ত অবদান।
গ. একটি অনুমোদিত বেসরকারি সংস্থায় ১০ হাজার ইউরো অনুদান।
ঘ. একটি বৈধ আবাসিক কার্ডধারী হওয়া যা মাল্টায় ১২ থেকে ৩৬ মাস বসবাস করার পর বছরে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ইউরো মূল্যমানের লিজের অধীনে দেওয়া হয়।
৯. মন্টিনিগ্রো: ন্যূনতম আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ ও ২ লাখ ইউরো অনুদান
মন্টিনিগ্রোর সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশটিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের দুটি উপায় রয়েছে। আবেদনকারীরা হয় সাড়ে ৪ লাখ ইউরো দেশের রাজধানী পোদগোরসিয়ার মধ্যে প্রকল্পে অথবা রাজধানীর বাইরের এলাকায় আড়াই লাখ ইউরো বিনিয়োগ করতে পারেন। একইসঙ্গে মন্টিনিগ্রোর উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন তহবিলে ২ লাখ ইউরো দান করতে পারেন।
১০. উত্তর মেসিডোনিয়া: সর্বনিম্ন ২ লাখ ইউরো
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের মতে, উত্তর মেসিডোনিয়ায় নাগরিকত্বর জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে: ১. একটি ব্যক্তিগত বিনিয়োগ তহবিলে ২ লাখ ইউরো বিনিয়োগ। ২. রেস্তোরাঁ বা শপিং সেন্টার নির্মাণে ৪ লাখ ইউরো বিনিয়োগের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
১১. তুরস্ক: সর্বনিম্ন ৪ লাখ ডলার
বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো তুরস্ক। দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, আবেদনের সাতটি ভিন্ন বিনিয়োগের উপায় রয়েছে। এর মধ্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল হলো চার লাখ ডলার মূল্যমানের রিয়েল এস্টেট সম্পদ কেনা।
এ ছাড়া লাটভিয়া ন্যূনতম ৬০ হাজার ইউরো, পানামা ন্যূনতম ৪০ হাজার ডলার বিনিয়োগ এবং থাইল্যান্ডে ন্যূনতম ১৯ হাজার ডলার ফি দিয়েও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

গত বছর রেকর্ডসংখ্যক আমেরিকান টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। টাকার বিনিময়ে মেলে নাগরিকত্ব? ভেবে অবাক হচ্ছেন? তবে মনে রাখুন, টাকায় কি না মেলে! টাকা থাকলে নাগরিকত্ব কেনা যায় অনেক দেশেই। নিচে আলোচিত এমন ১১টি দেশে বিনিয়োগ করলেই পেয়ে যাবেন সোনালি পাসপোর্ট! চলুন জেনে নেওয়
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে