Ajker Patrika

‘জঙ্গি আস্তানায়’ আটক নটর ডেমের ছাত্র হতাশ ও বিষণ্ন ছিল, স্বজনদের দাবি

জাহিদ হাসান, যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ২০: ৫২
‘জঙ্গি আস্তানায়’ আটক নটর ডেমের ছাত্র হতাশ ও বিষণ্ন ছিল, স্বজনদের দাবি

নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র সদস্য সন্দেহে মৌলভীবাজারে কুলাউড়ায় পাহাড় থেকে গ্রেপ্তারদের একজন ঢাকায় নটর ডেম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৭)। কয়েক মাস ধরেই তার মধ্যে বিষণ্নতা ও একা থাকার প্রবণতা ছিল বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। 

চরমপন্থী মতাদর্শে দীক্ষিত হওয়ার কোনো আলামত ধরা না পড়লেও ওই তরুণের আচরণে হঠাৎ বেশ পরিবর্তন দেখেছেন স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা। ধর্মচর্চার পাশাপাশি তার বেশভূষায়ও পরিবর্তন আসে। আগে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় উৎফুল্ল থাকলেও সর্বশেষ বাড়ি গিয়ে কারও সঙ্গে তেমন দেখা করত না সে। বাড়িতেই পুরো সময়জুড়ে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকত। 

পরিবার বলছে, পড়াশোনার সুবাদে ঢাকায় কলেজের হোস্টেলেই থাকত। গত কোরবানি ঈদের দুই দিন আগে ছুটিতে যশোরে বাড়ি যায়। এক মাস সে বাড়িতে ছিল। গত ২৮ জুলাই বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি সে। 

যশোর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিখোঁজ ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় জিডি করে আমাদের সঙ্গে শরণাপন্ন হন। এরপর তার মোবাইল ট্র্যাকিং করে জানতে পারি, পাবনার একটি যাত্রীবাহী বাসে করে সে যশোর ছেড়েছে। এরপর পরিবার ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, গত পাঁচ-ছয় মাস তার গতিবিধি পরিবর্তন হয়েছে। ধর্মীয়ভাবে মুখে দাড়ি রেখেছে, বাসায় একা একা থাকে। মোবাইলে ভাই ভাই বলে কথা বলত। এসব বিশেষ লক্ষণ দেখে আমরা বুঝতে পারি ধর্মীয় কোনো সংগঠনে জড়িত হয়ে আত্মগোপনে রয়েছে সে। এরপর আমরা বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরবর্তী সময় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তদন্ত করে ফাহিমের সূত্র ধরেই পাবনা এবং পরবর্তীকালে কুলাউড়াতে অভিযান পরিচালনা করে। এতে দুই দফায় ২৬ জনকে আটক করে তারা।’ 

সে অনুযায়ী ওই শিক্ষার্থী কাউকে না জানিয়ে সোজা পাবনা চলে যায়। এরপর সিরাজগঞ্জে জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র অন্যতম সদস্য চিকিৎসক সোহেল তানজিমের কাছে। এরপর সোহেল তানজিমের সঙ্গে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় চলে যায় বলেও জানান এ কর্মকর্তা। 

গত শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ৬ নারীসহ ১০ জনকে আটক করে। তাঁদের সঙ্গে তিন শিশুও রয়েছে। তাঁরা ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে জানিয়েছে সিটিটিসি। ওই বাড়ি থেকে জিহাদি বই ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় বলেও জানা গেছে। এ ঘটনার পর গত সোমবার একই এলাকা থেকে জঙ্গি সন্দেহে আরও ১৭ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় জনতা।

বর্তমানে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু শোধনাগার টঙ্গীতে রয়েছে ওই তরুণ। তার বাড়ি যশোর জেলা সদরে। তার বাবা পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য ও অতিরিক্ত জেলা রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি (পিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুই স্ত্রীর পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে ওই তরুণ সবার বড়। ছোটবেলায় তার মা মারা যান। 

জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে আটকের ঘটনায় হতবাক তাদের পরিবারসহ স্থানীয়রা। সহজ-সরল ও মেধাবী ছাত্র হিসেবে এলাকায় পরিচিত ওই শিক্ষার্থীর জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি মেলাতে পারছেন না স্বজন ও এলাকাবাসী। 

এলাকায় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর বাবা এলাকায় পরিচিত আইনজীবী ও গণ্যমান্য ব্যক্তি। বাবার মতো এলাকায় মেধাবী ছাত্র হিসেবেই সুনাম রয়েছে তার। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতাও কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছে। বেশির ভাগ সময় বাড়িতে ও অদূরেই তার নানাবাড়িতে সময় কাটাত। রাতে মাঝেমধ্যে শহরে বিভিন্ন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিত। তবে আগে ধর্মীয় লাইনে না থাকলেও সম্প্রতি দাড়ি রেখেছে এবং নামাজ পড়া শুরু করেছে সে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার খবর শুনে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি থেকে তেমন বের হচ্ছেন না কেউই। নিকট স্বজনেরা ছাড়া কেউ তাদের বাড়িতেও আসছেন না। 

বাড়িতে ওই কলেজছাত্রের ছোট মায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সে যখন নার্সারিতে পড়ত তখন ওর মা মারা যায়। আমি যে ওর সৎমা, কখনো তাকে বুঝতে দিইনি। ছোটবেলা থেকেই সে ভালো ছাত্র। তাই এই শহরের ভালো স্কুল-কোচিংয়ে পড়িয়েছি। গত ২৮ জুলাই সকালে সে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুরে খাবার সময় হলে বাড়িতে না আসায় ফোন দিই। তখন ওর ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে বিভিন্ন স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায়নি। পরে ২৯ তারিখ থানায় জিডি করে ওর বাবা। এরপর গত মঙ্গলবার টিভির সংবাদে দেখতে পাই মৌলভীবাজার থেকে ১৬ জন কিশোর-যুবক আটক হয়েছে। পরে নিউজে ছবি ও নাম-পরিচয় দেখে জানতে পারি, সেখানে সেও আছে।’ 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে আসফাকুন্নাহার আরও বলেন, ‘২০২১ সালে যশোর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। জিপিএ-৫ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যশোর বোর্ডে মেধাতালিকায় স্থান করে নেয়। ছোটবেলা থেকে সে লেখাপাড়ায় খুব ভালো। পরে ঢাকার নটর ডেম কলেজে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অসুস্থায় সে বেশি দিন ক্লাস করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানের নিয়মানুযায়ী শিক্ষাবর্ষের ৮০ ভাগ উপস্থিতি না থাকলে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেওয়া হয় না। ফলে সে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারায় চরম হতাশায় ভুগছিল। ঘরে একা একা বসে থাকত। কিন্তু তার মধ্যে জঙ্গি ধরনের কিছু পায়নি।’ 

ওই শিক্ষার্থীর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছোটবেলায় ওর মা মারা যাওয়ায় মনের ভেতরে যন্ত্রণা ছিল। আবার নানা রোগেও ভুগছিল সে। এর মধ্যে বাসায় থাকার সময় মোবাইল নিয়ে থাকত। কিন্তু কোনো আড্ডাবাজি, দলাদলিতে ছিল না। জঙ্গিবাদে জড়ানোর মতো কোনো বিষয় পরিবারের চোখে পড়েনি। সন্দেহজনক কোনো লোকজনকেও আসা-যাওয়া করতে দেখিনি। ছেলের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টা কিছুতেই মেলাতে পারছি না। আমার ছেলে অল্প বয়সী, খুব সহজ-সরল। কেউ হয়তো ফাঁসিয়ে দিয়ে থাকতে পারে।’ 

ওই বাড়ির কয়েক অদূরেই তার নানাবাড়ি। মা হারা নাতিকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে এই খবরে কাতর ষাটোর্ধ্ব নানি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার নাতি অনেক সহজ-সরল। ও কোনো অপরাধ করতে পারে না।’ 

দুজন প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, ওই তরুণেরা দুই ভাই। ওরা যখন অনেক ছোট, তখন ওর বাবা আরেকটা বিয়ে করে। সেই বিয়েটা মেনে নিতে পারে না ওর মা। তাই ওদের মা আত্মহত্যা করেন। দ্বিতীয় পক্ষের ঘরে তার দুই বোন আছে। সৎমাকে নিয়ে তেমন কোনো ঝামেলা ছিল না বলেই জানেন তাঁরা। 

তাঁরা আরও জানান, সে ভদ্র-নম্র ও মেধাবী ছেলে। তার এ ঘটনায় জড়িত বিষয়টি তাঁরাও বিশ্বাস করতে পারছেন না। তার সম্পর্কে এলাকায় ওই ধরনের কোনো অভিযোগ কোনো দিন শোনেননি তাঁরা। 

ওই তরুণের এক বন্ধু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ওর। কিন্তু অসুস্থতার কারণে নিয়মিত কলেজে যেতে পারেনি। এ কারণে নিয়ম অনুযায়ী এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করতে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে অনেক হতাশায় ভুগছিল সে। তবে জঙ্গি বা ধার্মিক বিষয়ের কোনো কথাবার্তা তার মুখে শুনিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত