Ajker Patrika

বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩, ১৫: ৫০
বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মো. জাকির হোসেন (২৭) নামে অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রীসহ পাঁচ জন। গতকাল শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান জাকির হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এম এ আজিজ। 

নিহত মো. জাকির হোসেন উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগিরি গ্রামের মো. দুলা মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন জাকির হোসেনের স্ত্রী লিমা আক্তার (২৪), গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাকির মোড় এলাকার মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে অটোরিকশা চালক মো. নাজমুল ইসলাম, সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতলা গ্রামের মো. কছর আলীর ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (৩২), তাঁর স্ত্রী জুই আক্তার (২৪) ও এক বছরের ছেলে মো. রাকিব বাবু। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বামনডাঙ্গা থেকে নিউ সাফা পলাশবাড়ী এক্সপ্রেস নামক একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনসংলগ্ন বামনডাঙ্গা-গাইবান্ধা সড়কে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় অটোরিকশাটি। চালক ও এতে থাকা যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। গুরুতর আহত মো. জাকির হোসেনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এম এ আজিজ বলেন, ‘বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাঁদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে বাস ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশাটি আমাদের হেফাজতে আছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি। লাশ পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের হার ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি, অর্ধেকই পথচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট-২০২৫ এর প্রকাশ অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট-২০২৫ এর প্রকাশ অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম নগরীতে ২০১৭ সাল থেকে সাত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৬২ জন নিহত হয়েছে, যা আগের একই সময় ব্যবধানের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। এই সাত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির অর্ধেকেই ছিলেন পথচারী। আজ বুধবার নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসের সম্মেলনকক্ষে একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশিত চট্টগ্রাম সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট-২০২৫-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে।

২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) কর্মসূচির আওতায় প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সংস্থা ভাইটাল স্ট্যাটেজিস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রাণহানির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটি প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ছিল পথচারীরা। এই সাত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৩ জন পথচারী নিহত হয়েছে। পথচারীদের পর সবচেয়ে ঝুঁকিতে ছিল দুই ও তিন চাকার যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা। এসব যানবাহনের দুর্ঘটনায় ১৯৫ জন নিহত হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম নগরীতে ২০টি উচ্চঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বড়পোল মোড়, অলংকার মোড়, সিইপিজেড গেট, সিটি গেট, নিউমার্কেট বাসস্টপ, কালামিয়া বাজার বাসস্টপ এবং সাগরিকা গোলচত্বর। দ্রুত বিজ্ঞানভিত্তিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে স্থানগুলোর ত্রুটি চিহ্নিত করে পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে মতামত দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্যভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শহরের সড়কে প্রাণহানি প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে পথচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফুটপাত প্রশস্তকরণ, উঁচু জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ, নিরবচ্ছিন্ন ফুটপাত নিশ্চিতকরণ, স্পিড হাম্প স্থাপন এবং পথচারী দ্বীপ নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমাতে মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা-২০২৪ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সড়ক নিরাপত্তা শুধু আইন প্রয়োগের বিষয় নয়, এটি নগরপরিকল্পনা ও সড়ক নকশার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সিএমপি রোড সেফটি সেল গঠন এবং রোড ক্র্যাশের তথ্য সংগ্রহে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যা সড়ক নিরাপত্তায় গতি আনছে।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান সোহেল বলেন, প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে সিএমপির সঙ্গে যৌথভাবে চট্টগ্রাম শহরের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে চসিক।

বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের ইনিশিয়েটিভ কো-অর্ডিনেটর লাবিব তাজওয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী। প্রতিবেদনের মূল তথ্য উপস্থাপন করেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের সার্ভেইল্যান্স কো-অর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ। উপস্থিত ছিলেন বিআইজিআরএস এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর কাজী হেলাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, একাডেমিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ভোলা প্রতিনিধি
সিফাত হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত
সিফাত হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

ভোলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সিফাত হাওলাদারকে (২১) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নিহত সিফাত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি। তার বাবা আলাউদ্দিন হাওলাদার ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ক্লোজার বাজার এলাকার বাসিন্দা।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ক্লোজার বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাত হাওলাদারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এর জেরে আজ দুপুরের দিকে সিফাতের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের হাতাহাতি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ক্লোজার বাজার এলাকায় সিফাতকে একা পেয়ে তারা কয়েকজন মিলে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।

এ সময় সিফাতের ডাক-চিৎকারে তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন।

পরে তাকে ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মণিপুরীদের জীবনধারার আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রদর্শনীতে মণিপুরী সমাজের দৈনন্দিন জীবনের সূক্ষ্ম নান্দনিকতা ও মাধুর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
প্রদর্শনীতে মণিপুরী সমাজের দৈনন্দিন জীবনের সূক্ষ্ম নান্দনিকতা ও মাধুর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

‘মণিপুরী: এন এথনিক কমিউনিটি অব বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রদর্শনীর সময় বাড়ল। প্রদর্শনীটি গত ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। দর্শকের আগ্রহের কারণে আগামী ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বরও প্রদর্শনী দেখার সুযোগ থাকছে। বিকেল ৪টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আর্ট গ্যালারি ৪০২ নম্বর কক্ষে সকল দর্শনার্থীর জন্য প্রদর্শনীটি উন্মুক্ত থাকবে।

প্রদর্শনীতে ৩ জন আলোকচিত্রীর তোলা ১০২টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। তারা হলেন—মো. কাউছার হাবিব সোমেল, মোহা. আসহাবুল হক নান্নু ও মোহাম্মদ হারুন আর রশীদ। চলমান একটি মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

প্রদর্শনীতে মণিপুরী সমাজের দৈনন্দিন জীবনের সূক্ষ্ম নান্দনিকতা ও মাধুর্য ফুটিয়ে তোলা হয়। সীমাহীন আকাশ আর সবুজের অনন্ত সমারোহে শ্রীভূমির প্রকৃতির অপূর্ব বিস্তার, গ্রামের আঙিনায় কাজের ব্যস্ততা, নারীদের বয়নচক্রে সুতো কাটা, কৃষিকাজ ও ধর্মীয় প্রস্তুতি, আর শিশুদের হাসি–খেলার রঙিন চঞ্চলতা মিলেমিশে গড়ে ওঠা এক প্রশান্ত পরিবেশ এই প্রদর্শনীতে দেখা যাবে। আচার-অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতিটি ছবি স্মরণ করিয়ে দেবে—সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই একটি জাতির সত্যিকারের সৌন্দর্য্য।

মেন্টরশিপ কার্যক্রমটি পরিচালনা করছেন বিশিষ্ট প্রশিক্ষক ও আলোকচিত্রী কে এম জাহাঙ্গীর আলম। সার্বিক সমন্বয় করেছেন আলোকচিত্রী ও সংগঠক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫

চীন নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পেলেন ২৯ সাংবাদিক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৬
চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর মূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত গোল্ডেন সিল্ক রোড বাংলাদেশ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পুরস্কার পান আজকের পত্রিকার ফটো সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম সজল (বাম থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: আজকের পত্রিকা
চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর মূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত গোল্ডেন সিল্ক রোড বাংলাদেশ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পুরস্কার পান আজকের পত্রিকার ফটো সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম সজল (বাম থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: আজকের পত্রিকা

চীন বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ ’। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব ফুটিয়ে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পেলেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৯ জন সাংবাদিক।

আজ বুধবার শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রতিটি বিভাগে প্রথম স্থান অর্জনকারীকে এক লাখ টাকা ও সনদ, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দুজনকে ৫০ হাজার টাকা ও সনদ এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজনের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা ও সনদ দেওয়া হয়। মোট পাঁচটি শ্রেণিতে দেওয়া হয় পুরস্কার।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওফেং, চায়না মিডিয়া গ্রুপ—সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দি, চায়নিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জনাব হান খুন, আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টারের প্রেসিডেন্ট জনাব চুয়াং লিফং।

এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ এস এম জাহিদ, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজা উদ্দিন স্ট্যালিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিশিষ্টজনেরা।

পুরস্কার পেলেন যাঁরা

৫টি ক্যাটাগরিতে জমা পড়া মনোনয়ন থেকে বছরের সেরা ২৯টি প্রতিবেদনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়। ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হয়।

অর্থনীতি ও প্রযুক্তি বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ডেইলি সানের মো. মুনির হোসেন, দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের গোলাম মওলা এবং রূপালী বাংলাদেশের আব্দুর রহিম। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ডেইলি সানের রফিকুল ইসলাম, ঢাকা পোস্টের আব্দুর রহমান এবং ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের আসজাদুল কিবরিয়া।

খেলাধুলা ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক ভোরের কাগজের এস এম নাজমুল হক ইমন। দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের তানজিম আহমেদ, সকাল সন্ধ্যার রাহেনুর ইসলাম। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের জোবায়ের হোসেন, স্টার নিউজের ফাসিউর রহমান সিফাত এবং দৈনিক ইনকিলাবের কামরুল হাসান খান।

ভিজ্যুয়ালস শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন বিডিনিউজের মাহমুদ জামান অভি। দ্বিতীয় হয়েছেন সারাবাংলার হাবিবুর রহমান। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আজকের পত্রিকার জাহিদুল ইসলাম সজল, নাগরিক প্রতিদিনের ওলিদ ইবনে শাহ এবং বিডিনিউজের মাসুম বিল্লাহ।

জেনারেল নিউজ ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন রূপালী বাংলাদেশের সেলিম আহমেদ। দ্বিতীয় হয়েছেন ডেইলি সানের মৌসুমি ইসলাম এবং কালের কণ্ঠের মোহাম্মদ শরীফুল আলম। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জাগো নিউজের মফিজুল সাদিক, বিডিনিউজের জেসমিন মলি এবং যমুনা টিভির সালাউদ্দিন আহমেদ।

মিডিয়া ইনোভেশন বিভাগ প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আরটিভির মো. ইমরুল হাসান। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রাশেদুর রহমান, ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়ালিউল আলম বিশ্বাস এবং একই রিপোর্টের জন্য যৌথভাবে বাংলা ট্রিবিউনের আরশাদ আলী ও সুদীপ্ত নুরুল কবীর।

অনুষ্ঠানে দীপ্ত টিভি, চ্যানেল ২৪, আরটিভি, বাংলাভিশন এবং রেডিও টুডেকে আউটস্ট্যান্ডিং পার্টনারশিপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠাগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন সিএমজি বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দি।

বিষয়:

ঢাকা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত