বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩

সেকশন

 

সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ

সীমান্তের ওপার থেকে লোক আনার ছক

আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, ১০:৩৩

ফাইল ছবি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) পাশের দুই দেশ থেকে লোক এনে শক্তি বাড়াতে চাইছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পেজে সন্ত্রাসী সংগঠনটি স্বীকারও করেছে, তারা ভারতের মিজোরাম ও মিয়ানমার থেকে লোক আনার কাজ শুরু করে দিয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের উৎপাতে বান্দরবানের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শক্তি বৃদ্ধি করতে এখন সংগঠনটি সীমান্তের ওপার থেকেও লোক আনার ছক কষছে। 

বান্দরবানের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে নজরে আসায় সরকারের উচ্চ মহলকে জানানো হয়েছে। কেএনএফের তৎপরতা থামাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ চলছে। 

সূত্র বলেছে, কেএনএফ নিজেদের শক্তি বাড়াতে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের ত্রিদেশীয় সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে তুলেছে। এলাকাটি পড়েছে বান্দরবানের সীমান্তবর্তী অংশে। এ ছাড়া নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে পাহাড়ের দুর্গম স্থানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংগঠনটি। বিষয়টি নজরে আসার পর যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে ইতিমধ্যে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নব্য জঙ্গি সংগঠনটির অর্ধশত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেএনএফের অনেক সদস্যও গ্রেপ্তার হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ পিছু হটলেও এখনো মাঝেমধ্যে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। সবশেষ ১৬ মে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের ওপর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুই সেনাসদস্য নিহত হন। আহত হন দুই সেনা কর্মকর্তা। 

জেলা প্রশাসন সূত্র বলেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রয়েছে। 
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেএনএফের নেতা নাথান বমের নির্দেশে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে। গত অক্টোবর থেকে কেএনএফ, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও মগ বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে ১৩ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া কেএনএফ হামলায় তিন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। নাথান বমের বিরুদ্ধে রুমা থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাঁকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। 

জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন নিরাপত্তার মুখ্য দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর উত্তম) বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করার মতো ভুল সিদ্ধান্তের ফলে পরিস্থিতি আবার অস্থির হচ্ছে। এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত সেনা তৎপরতা বাড়ানো না গেলে অস্থিরতা আরও বাড়বে। 

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    পঠিতসর্বশেষ

    এলাকার খবর

     
     

    ফ্লাইটে অনিয়ম ও প্রবাসীর মৃত্যু: বৈমানিক তোফায়েল চাকরিচ্যুত

    ভোটের মাঠে

    লালমনিরহাট-৩: জাপা-বিএনপিতে একক, আ.লীগে ছড়াছড়ি

    এসবিএসি ব্যাংকের সিএফওকে শোকজ

    সোয়া আট কোটি টাকা মূলধন ঘাটতিতে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স

    ইসলাম

    ভুল শুধরে দেওয়ার আদব

    সার কেলেঙ্কারি: পোটনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান দ্রুত শেষ করতে চায় দুদক

    জ্যৈষ্ঠের গরমে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে লোডশেডিং

    গাজীপুর মেট্রোপলিটন থেকে ব্যাটলিয়নে বদলি মোল্লা নজরুল

    শীতলক্ষ্যায় পড়ে নিরাপত্তা প্রহরী নিখোঁজ

    দক্ষিণখানে পুঁতে রাখা কানাডা প্রবাসী নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক  

    ‘ঘুষ দিয়ে চেয়ারে বসেছি, ফ্রিতে সেবা দিতে আসিনি’ সংবাদ মিথ্যা বলে দাবি সিএমপির