
গরমে টিকে থাকাটাই এখন মুশকিল। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া এর প্রহর গুনছি সবাই। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। কোথাও কোথাও বছরে বৃষ্টি হয় না একবারও। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হয় বছরে হাতে গুনা কয়েক বার। এমন কিছু এলাকার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আজ। লেখাটি পড়া শেষে নিজেকে যে অনেক সৌভাগ্যবান ভাববেন সন্দেহ নেই।
আতাকামা মরুভূমি, চিলি
দক্ষিণ আমেরিকার আতাকামা মরুভূমিকে অনেকেই বিবেচনা করেন পৃথিবীর সবচেয়ে শুকনো জায়গা হিসেবে। এখনকার কোনো কোনো আবহাওয়া স্টেশন নাকি ১৬ শতক থেকে বিশ শতক পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পায়নি। এমনকি অফিশিয়ালি দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার রেকর্ডও আতাকামার আরিকার। উত্তর আতাকামার এ জায়গাটিতে বিশ শতকের গোড়ার দিকে টানা ১৭৩ মাস বৃষ্টি হয়নি।
আতাকামা মরুভূমি এতটাই শুষ্ক যে এখানকার পর্বতগুলোর উচ্চতা অনেক হওয়ার পরও একেবারেই হিমবাহমুক্ত। এই মরুভূমি এতো শুকনো হওয়ার কারণ বৃষ্টি সৃষ্টি করতে পারে এমন মেঘমালা সৃষ্টিতে বাধা দেয় অ্যান্টার্কটিকা থেকে আসা শীতল বাতাস। এই শুষ্ক মরুভূমি নিয়ে একটি মজার ঘটনা আছে। প্রতি পাঁচ কী ১০ বছরে এর কিছু কিছু অংশে বৃষ্টি হয়, আর এতে মরুর বুকে গজিয়ে ওঠে উজ্জ্বল ফুল, উদ্ভিদে। যদিও রঙের এই খেলা দীর্ঘস্থায়ী হয় কেবল সপ্তাহ খানিক।
অউলেফ, আলজেরিয়া
মরুভূমি ঘিরে রাখা ছোট্ট এক শহর অউলেফ। চারপাশের মরুভূমি থেকে ধেয়ে আসা উষ্ণ বায়ুর প্রভাবে এটি আলজেরিয়ার উষ্ণ এবং শুকনো জায়গাগুলির অন্যতম। বছরে এখানে ১২.১৯ মিলিমিটারের কম বৃষ্টি হয়। শহরের বিপুল সংখ্যক খেজুর গাছ অবশ্য এর বাসিন্দাদের তীব্র উত্তাপ থেকে কিছুটা রেহাই দেয়। উষ্ণতম মাস জুলাই। তখন চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়ানের বেশি তাপমাত্রা অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কখনো ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় এমনকি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে এখানে পরিষ্কার থাকে বছরজুড়েই।
লুক্সর, মিশর
নীল নদের তীরে অবস্থান দক্ষিণ মিসরের এ শহরটির। পৃথিবীর উষ্ণ, শুকনো ও রৌদ্রোজ্জ্বল শহরগুলোর একটি হিসেবে নাম আছে এর। বছরজুড়ে এখানে ৪ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যতাপ মেলে। বছরে এখানে গড় বৃষ্টিপাত কত শুনবেন? মাত্র ০.৮৬২ মিলিমিটার। নিয়মিতই বালুঝড়ের কবলে পড়তে হয় শহরটিকে। প্রাচীন মন্দির, সমাধিসহ নানা আর্টিফেক্টের জন্য বিখ্যাত শহরটি পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য।
আসওয়ান, মিশর
মিশরতো বটেই গোটা পৃথিবীর শুকনো ও উষ্ণ জায়গাগুলির অন্যতম। এর অবস্থান দক্ষিণ মিশরে, যেখানে গড় উচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। শহরটিতে বছরে এক মিলিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হয়। কোনো কোনো বছরে এমনকি বৃষ্টির দেখাই পায় না শহরের মাটি। ট্রপিক অব ক্যানসারের নিকটবর্তী হওয়াই এর এমন শুকনো ও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণ।

পেলিকান পয়েন্ট, নামিবিয়া
বালিয়াড়িতে ভরা আফ্রিকান দেশ নামিবিয়ায় অবস্থান পেলিকান পয়েন্টে। এখানে বছরে কেবল ৮.১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে মজার ঘটনা পেলিকান পয়েন্টের পাশের সাগর সার্ফারদের খুব পছন্দের জায়গা। উপসাগরের কাছে শীতল বায়ুর উপস্থিতির কারণে এখানে কখনোই আবহাওয়া খুব গরম বা ঠান্ডা হয় না।
ম্যাকমারডো ড্রাই ভ্যালি, অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকার নাম শুনলে বরফ আর হিমবাহের কথাই মাথায় আসে। তবে আশ্চর্যজনক হলেও এখানকার ড্রাই ভ্যালি বা শুকনো উপত্যকা পৃথিবীর শুকনো বা বৃষ্টিহীন জায়গাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। উপত্যকায় সে অর্থে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। মহাদেশের বরফমুক্ত সবচেয়ে বড় এলাকাও এটি। শুকনো আবহাওয়া ও বিশেষ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা একে মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে তুলনা করেন।

ওয়াদি হালফা, সুদান
গরমে নাভিশ্বাস ওঠা শহরটির অবস্থান সুদানের উত্তরাঞ্চলে, নুবিয়া হ্রদের তীরে। বছরে এখানে মাত্র ২.৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে প্রচণ্ড উষ্ণ আর শুকনো হওয়ার পরও শহরটিতে মোটামুটি ১৫ হাজার মানুষের বাস।
লিস্ট ভার্স ও ম্যাপ কোয়েস্ট ডট কম অবলম্বনে ইশতিয়াক হাসান

গরমে টিকে থাকাটাই এখন মুশকিল। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া এর প্রহর গুনছি সবাই। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। কোথাও কোথাও বছরে বৃষ্টি হয় না একবারও। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হয় বছরে হাতে গুনা কয়েক বার। এমন কিছু এলাকার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আজ। লেখাটি পড়া শেষে নিজেকে যে অনেক সৌভাগ্যবান ভাববেন সন্দেহ নেই।
আতাকামা মরুভূমি, চিলি
দক্ষিণ আমেরিকার আতাকামা মরুভূমিকে অনেকেই বিবেচনা করেন পৃথিবীর সবচেয়ে শুকনো জায়গা হিসেবে। এখনকার কোনো কোনো আবহাওয়া স্টেশন নাকি ১৬ শতক থেকে বিশ শতক পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পায়নি। এমনকি অফিশিয়ালি দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার রেকর্ডও আতাকামার আরিকার। উত্তর আতাকামার এ জায়গাটিতে বিশ শতকের গোড়ার দিকে টানা ১৭৩ মাস বৃষ্টি হয়নি।
আতাকামা মরুভূমি এতটাই শুষ্ক যে এখানকার পর্বতগুলোর উচ্চতা অনেক হওয়ার পরও একেবারেই হিমবাহমুক্ত। এই মরুভূমি এতো শুকনো হওয়ার কারণ বৃষ্টি সৃষ্টি করতে পারে এমন মেঘমালা সৃষ্টিতে বাধা দেয় অ্যান্টার্কটিকা থেকে আসা শীতল বাতাস। এই শুষ্ক মরুভূমি নিয়ে একটি মজার ঘটনা আছে। প্রতি পাঁচ কী ১০ বছরে এর কিছু কিছু অংশে বৃষ্টি হয়, আর এতে মরুর বুকে গজিয়ে ওঠে উজ্জ্বল ফুল, উদ্ভিদে। যদিও রঙের এই খেলা দীর্ঘস্থায়ী হয় কেবল সপ্তাহ খানিক।
অউলেফ, আলজেরিয়া
মরুভূমি ঘিরে রাখা ছোট্ট এক শহর অউলেফ। চারপাশের মরুভূমি থেকে ধেয়ে আসা উষ্ণ বায়ুর প্রভাবে এটি আলজেরিয়ার উষ্ণ এবং শুকনো জায়গাগুলির অন্যতম। বছরে এখানে ১২.১৯ মিলিমিটারের কম বৃষ্টি হয়। শহরের বিপুল সংখ্যক খেজুর গাছ অবশ্য এর বাসিন্দাদের তীব্র উত্তাপ থেকে কিছুটা রেহাই দেয়। উষ্ণতম মাস জুলাই। তখন চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়ানের বেশি তাপমাত্রা অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কখনো ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় এমনকি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে এখানে পরিষ্কার থাকে বছরজুড়েই।
লুক্সর, মিশর
নীল নদের তীরে অবস্থান দক্ষিণ মিসরের এ শহরটির। পৃথিবীর উষ্ণ, শুকনো ও রৌদ্রোজ্জ্বল শহরগুলোর একটি হিসেবে নাম আছে এর। বছরজুড়ে এখানে ৪ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যতাপ মেলে। বছরে এখানে গড় বৃষ্টিপাত কত শুনবেন? মাত্র ০.৮৬২ মিলিমিটার। নিয়মিতই বালুঝড়ের কবলে পড়তে হয় শহরটিকে। প্রাচীন মন্দির, সমাধিসহ নানা আর্টিফেক্টের জন্য বিখ্যাত শহরটি পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য।
আসওয়ান, মিশর
মিশরতো বটেই গোটা পৃথিবীর শুকনো ও উষ্ণ জায়গাগুলির অন্যতম। এর অবস্থান দক্ষিণ মিশরে, যেখানে গড় উচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। শহরটিতে বছরে এক মিলিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হয়। কোনো কোনো বছরে এমনকি বৃষ্টির দেখাই পায় না শহরের মাটি। ট্রপিক অব ক্যানসারের নিকটবর্তী হওয়াই এর এমন শুকনো ও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণ।

পেলিকান পয়েন্ট, নামিবিয়া
বালিয়াড়িতে ভরা আফ্রিকান দেশ নামিবিয়ায় অবস্থান পেলিকান পয়েন্টে। এখানে বছরে কেবল ৮.১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে মজার ঘটনা পেলিকান পয়েন্টের পাশের সাগর সার্ফারদের খুব পছন্দের জায়গা। উপসাগরের কাছে শীতল বায়ুর উপস্থিতির কারণে এখানে কখনোই আবহাওয়া খুব গরম বা ঠান্ডা হয় না।
ম্যাকমারডো ড্রাই ভ্যালি, অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকার নাম শুনলে বরফ আর হিমবাহের কথাই মাথায় আসে। তবে আশ্চর্যজনক হলেও এখানকার ড্রাই ভ্যালি বা শুকনো উপত্যকা পৃথিবীর শুকনো বা বৃষ্টিহীন জায়গাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। উপত্যকায় সে অর্থে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। মহাদেশের বরফমুক্ত সবচেয়ে বড় এলাকাও এটি। শুকনো আবহাওয়া ও বিশেষ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা একে মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে তুলনা করেন।

ওয়াদি হালফা, সুদান
গরমে নাভিশ্বাস ওঠা শহরটির অবস্থান সুদানের উত্তরাঞ্চলে, নুবিয়া হ্রদের তীরে। বছরে এখানে মাত্র ২.৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে প্রচণ্ড উষ্ণ আর শুকনো হওয়ার পরও শহরটিতে মোটামুটি ১৫ হাজার মানুষের বাস।
লিস্ট ভার্স ও ম্যাপ কোয়েস্ট ডট কম অবলম্বনে ইশতিয়াক হাসান

গরমে টিকে থাকাটাই এখন মুশকিল। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া এর প্রহর গুনছি সবাই। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। কোথাও কোথাও বছরে বৃষ্টি হয় না একবারও। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হয় বছরে হাতে গুনা কয়েক বার। এমন কিছু এলাকার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আজ। লেখাটি পড়া শেষে নিজেকে যে অনেক সৌভাগ্যবান ভাববেন সন্দেহ নেই।
আতাকামা মরুভূমি, চিলি
দক্ষিণ আমেরিকার আতাকামা মরুভূমিকে অনেকেই বিবেচনা করেন পৃথিবীর সবচেয়ে শুকনো জায়গা হিসেবে। এখনকার কোনো কোনো আবহাওয়া স্টেশন নাকি ১৬ শতক থেকে বিশ শতক পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পায়নি। এমনকি অফিশিয়ালি দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার রেকর্ডও আতাকামার আরিকার। উত্তর আতাকামার এ জায়গাটিতে বিশ শতকের গোড়ার দিকে টানা ১৭৩ মাস বৃষ্টি হয়নি।
আতাকামা মরুভূমি এতটাই শুষ্ক যে এখানকার পর্বতগুলোর উচ্চতা অনেক হওয়ার পরও একেবারেই হিমবাহমুক্ত। এই মরুভূমি এতো শুকনো হওয়ার কারণ বৃষ্টি সৃষ্টি করতে পারে এমন মেঘমালা সৃষ্টিতে বাধা দেয় অ্যান্টার্কটিকা থেকে আসা শীতল বাতাস। এই শুষ্ক মরুভূমি নিয়ে একটি মজার ঘটনা আছে। প্রতি পাঁচ কী ১০ বছরে এর কিছু কিছু অংশে বৃষ্টি হয়, আর এতে মরুর বুকে গজিয়ে ওঠে উজ্জ্বল ফুল, উদ্ভিদে। যদিও রঙের এই খেলা দীর্ঘস্থায়ী হয় কেবল সপ্তাহ খানিক।
অউলেফ, আলজেরিয়া
মরুভূমি ঘিরে রাখা ছোট্ট এক শহর অউলেফ। চারপাশের মরুভূমি থেকে ধেয়ে আসা উষ্ণ বায়ুর প্রভাবে এটি আলজেরিয়ার উষ্ণ এবং শুকনো জায়গাগুলির অন্যতম। বছরে এখানে ১২.১৯ মিলিমিটারের কম বৃষ্টি হয়। শহরের বিপুল সংখ্যক খেজুর গাছ অবশ্য এর বাসিন্দাদের তীব্র উত্তাপ থেকে কিছুটা রেহাই দেয়। উষ্ণতম মাস জুলাই। তখন চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়ানের বেশি তাপমাত্রা অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কখনো ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় এমনকি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে এখানে পরিষ্কার থাকে বছরজুড়েই।
লুক্সর, মিশর
নীল নদের তীরে অবস্থান দক্ষিণ মিসরের এ শহরটির। পৃথিবীর উষ্ণ, শুকনো ও রৌদ্রোজ্জ্বল শহরগুলোর একটি হিসেবে নাম আছে এর। বছরজুড়ে এখানে ৪ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যতাপ মেলে। বছরে এখানে গড় বৃষ্টিপাত কত শুনবেন? মাত্র ০.৮৬২ মিলিমিটার। নিয়মিতই বালুঝড়ের কবলে পড়তে হয় শহরটিকে। প্রাচীন মন্দির, সমাধিসহ নানা আর্টিফেক্টের জন্য বিখ্যাত শহরটি পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য।
আসওয়ান, মিশর
মিশরতো বটেই গোটা পৃথিবীর শুকনো ও উষ্ণ জায়গাগুলির অন্যতম। এর অবস্থান দক্ষিণ মিশরে, যেখানে গড় উচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। শহরটিতে বছরে এক মিলিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হয়। কোনো কোনো বছরে এমনকি বৃষ্টির দেখাই পায় না শহরের মাটি। ট্রপিক অব ক্যানসারের নিকটবর্তী হওয়াই এর এমন শুকনো ও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণ।

পেলিকান পয়েন্ট, নামিবিয়া
বালিয়াড়িতে ভরা আফ্রিকান দেশ নামিবিয়ায় অবস্থান পেলিকান পয়েন্টে। এখানে বছরে কেবল ৮.১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে মজার ঘটনা পেলিকান পয়েন্টের পাশের সাগর সার্ফারদের খুব পছন্দের জায়গা। উপসাগরের কাছে শীতল বায়ুর উপস্থিতির কারণে এখানে কখনোই আবহাওয়া খুব গরম বা ঠান্ডা হয় না।
ম্যাকমারডো ড্রাই ভ্যালি, অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকার নাম শুনলে বরফ আর হিমবাহের কথাই মাথায় আসে। তবে আশ্চর্যজনক হলেও এখানকার ড্রাই ভ্যালি বা শুকনো উপত্যকা পৃথিবীর শুকনো বা বৃষ্টিহীন জায়গাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। উপত্যকায় সে অর্থে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। মহাদেশের বরফমুক্ত সবচেয়ে বড় এলাকাও এটি। শুকনো আবহাওয়া ও বিশেষ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা একে মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে তুলনা করেন।

ওয়াদি হালফা, সুদান
গরমে নাভিশ্বাস ওঠা শহরটির অবস্থান সুদানের উত্তরাঞ্চলে, নুবিয়া হ্রদের তীরে। বছরে এখানে মাত্র ২.৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে প্রচণ্ড উষ্ণ আর শুকনো হওয়ার পরও শহরটিতে মোটামুটি ১৫ হাজার মানুষের বাস।
লিস্ট ভার্স ও ম্যাপ কোয়েস্ট ডট কম অবলম্বনে ইশতিয়াক হাসান

গরমে টিকে থাকাটাই এখন মুশকিল। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া এর প্রহর গুনছি সবাই। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। কোথাও কোথাও বছরে বৃষ্টি হয় না একবারও। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হয় বছরে হাতে গুনা কয়েক বার। এমন কিছু এলাকার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আজ। লেখাটি পড়া শেষে নিজেকে যে অনেক সৌভাগ্যবান ভাববেন সন্দেহ নেই।
আতাকামা মরুভূমি, চিলি
দক্ষিণ আমেরিকার আতাকামা মরুভূমিকে অনেকেই বিবেচনা করেন পৃথিবীর সবচেয়ে শুকনো জায়গা হিসেবে। এখনকার কোনো কোনো আবহাওয়া স্টেশন নাকি ১৬ শতক থেকে বিশ শতক পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পায়নি। এমনকি অফিশিয়ালি দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার রেকর্ডও আতাকামার আরিকার। উত্তর আতাকামার এ জায়গাটিতে বিশ শতকের গোড়ার দিকে টানা ১৭৩ মাস বৃষ্টি হয়নি।
আতাকামা মরুভূমি এতটাই শুষ্ক যে এখানকার পর্বতগুলোর উচ্চতা অনেক হওয়ার পরও একেবারেই হিমবাহমুক্ত। এই মরুভূমি এতো শুকনো হওয়ার কারণ বৃষ্টি সৃষ্টি করতে পারে এমন মেঘমালা সৃষ্টিতে বাধা দেয় অ্যান্টার্কটিকা থেকে আসা শীতল বাতাস। এই শুষ্ক মরুভূমি নিয়ে একটি মজার ঘটনা আছে। প্রতি পাঁচ কী ১০ বছরে এর কিছু কিছু অংশে বৃষ্টি হয়, আর এতে মরুর বুকে গজিয়ে ওঠে উজ্জ্বল ফুল, উদ্ভিদে। যদিও রঙের এই খেলা দীর্ঘস্থায়ী হয় কেবল সপ্তাহ খানিক।
অউলেফ, আলজেরিয়া
মরুভূমি ঘিরে রাখা ছোট্ট এক শহর অউলেফ। চারপাশের মরুভূমি থেকে ধেয়ে আসা উষ্ণ বায়ুর প্রভাবে এটি আলজেরিয়ার উষ্ণ এবং শুকনো জায়গাগুলির অন্যতম। বছরে এখানে ১২.১৯ মিলিমিটারের কম বৃষ্টি হয়। শহরের বিপুল সংখ্যক খেজুর গাছ অবশ্য এর বাসিন্দাদের তীব্র উত্তাপ থেকে কিছুটা রেহাই দেয়। উষ্ণতম মাস জুলাই। তখন চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়ানের বেশি তাপমাত্রা অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কখনো ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় এমনকি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে এখানে পরিষ্কার থাকে বছরজুড়েই।
লুক্সর, মিশর
নীল নদের তীরে অবস্থান দক্ষিণ মিসরের এ শহরটির। পৃথিবীর উষ্ণ, শুকনো ও রৌদ্রোজ্জ্বল শহরগুলোর একটি হিসেবে নাম আছে এর। বছরজুড়ে এখানে ৪ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যতাপ মেলে। বছরে এখানে গড় বৃষ্টিপাত কত শুনবেন? মাত্র ০.৮৬২ মিলিমিটার। নিয়মিতই বালুঝড়ের কবলে পড়তে হয় শহরটিকে। প্রাচীন মন্দির, সমাধিসহ নানা আর্টিফেক্টের জন্য বিখ্যাত শহরটি পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য।
আসওয়ান, মিশর
মিশরতো বটেই গোটা পৃথিবীর শুকনো ও উষ্ণ জায়গাগুলির অন্যতম। এর অবস্থান দক্ষিণ মিশরে, যেখানে গড় উচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। শহরটিতে বছরে এক মিলিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হয়। কোনো কোনো বছরে এমনকি বৃষ্টির দেখাই পায় না শহরের মাটি। ট্রপিক অব ক্যানসারের নিকটবর্তী হওয়াই এর এমন শুকনো ও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণ।

পেলিকান পয়েন্ট, নামিবিয়া
বালিয়াড়িতে ভরা আফ্রিকান দেশ নামিবিয়ায় অবস্থান পেলিকান পয়েন্টে। এখানে বছরে কেবল ৮.১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে মজার ঘটনা পেলিকান পয়েন্টের পাশের সাগর সার্ফারদের খুব পছন্দের জায়গা। উপসাগরের কাছে শীতল বায়ুর উপস্থিতির কারণে এখানে কখনোই আবহাওয়া খুব গরম বা ঠান্ডা হয় না।
ম্যাকমারডো ড্রাই ভ্যালি, অ্যান্টার্কটিকা
অ্যান্টার্কটিকার নাম শুনলে বরফ আর হিমবাহের কথাই মাথায় আসে। তবে আশ্চর্যজনক হলেও এখানকার ড্রাই ভ্যালি বা শুকনো উপত্যকা পৃথিবীর শুকনো বা বৃষ্টিহীন জায়গাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। উপত্যকায় সে অর্থে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। মহাদেশের বরফমুক্ত সবচেয়ে বড় এলাকাও এটি। শুকনো আবহাওয়া ও বিশেষ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা একে মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে তুলনা করেন।

ওয়াদি হালফা, সুদান
গরমে নাভিশ্বাস ওঠা শহরটির অবস্থান সুদানের উত্তরাঞ্চলে, নুবিয়া হ্রদের তীরে। বছরে এখানে মাত্র ২.৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে প্রচণ্ড উষ্ণ আর শুকনো হওয়ার পরও শহরটিতে মোটামুটি ১৫ হাজার মানুষের বাস।
লিস্ট ভার্স ও ম্যাপ কোয়েস্ট ডট কম অবলম্বনে ইশতিয়াক হাসান

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৯ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৮ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গরমে টিকে থাকাটাই এখন মুশকিল। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া এর প্রহর গুনছি সবাই। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। কোথাও কোথাও বছরে বৃষ্টি হয় না একবারও। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হয় বছরে হাতে গুনা কয়েক বার। এমন কিছু এলাকার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আজ। লেখাটি পড়া
১৭ এপ্রিল ২০২৩
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৮ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

গরমে টিকে থাকাটাই এখন মুশকিল। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া এর প্রহর গুনছি সবাই। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। কোথাও কোথাও বছরে বৃষ্টি হয় না একবারও। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হয় বছরে হাতে গুনা কয়েক বার। এমন কিছু এলাকার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আজ। লেখাটি পড়া
১৭ এপ্রিল ২০২৩
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৯ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৮ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

গরমে টিকে থাকাটাই এখন মুশকিল। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া এর প্রহর গুনছি সবাই। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। কোথাও কোথাও বছরে বৃষ্টি হয় না একবারও। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হয় বছরে হাতে গুনা কয়েক বার। এমন কিছু এলাকার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আজ। লেখাটি পড়া
১৭ এপ্রিল ২০২৩
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৯ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

গরমে টিকে থাকাটাই এখন মুশকিল। কখন বৃষ্টি নামবে, একটু শীতল হবে আবহাওয়া এর প্রহর গুনছি সবাই। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। কোথাও কোথাও বছরে বৃষ্টি হয় না একবারও। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হয় বছরে হাতে গুনা কয়েক বার। এমন কিছু এলাকার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আজ। লেখাটি পড়া
১৭ এপ্রিল ২০২৩
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৯ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৮ ঘণ্টা আগে