
নওগাঁয়ে র্যাবের হেফাজতে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম (এইচআরএফবি)।
আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) বলছে, জেসমিনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটেছে। এ ঘটনা আবারও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের নজির স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এইচআরএফবি নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এর আওতায় এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানায়। পাশাপাশি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে এ আইনের আওতায় মানুষের জীবন, নিরাপত্তা, আইনের আশ্রয় লাভের ও স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করার সুযোগ বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিয়েছেন আইন ও সালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী প্রধান জাকির হোসেন, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসের ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মহাসচিব সঞ্জীব দ্রং ও বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ।
২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে প্রতারণার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুলতান জেসমিনকে আটক করা হয় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন বলে র্যাব দাবি করে। তবে স্বজনদের অভিযোগ হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দায়িত্বরত চিকিৎসক সুলতান জেসমিনের মাথাজুড়ে একাধিক ইন্ট্রাক্রানিয়াল রক্তক্ষরণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফ এম শামীম আহাম্মদ সুলতানার মাথার বাইরের দিকে ক্ষত থাকার কথাও জানান।
এইচআরএফবি বলছে, পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বলা হয়েছে, তারা আটকের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল না, বরং গণমাধ্যম থেকে তারা এ তথ্যটি জানতে পেরেছে। আরও জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে মামলায় জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে, সে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তাঁকে আটকের প্রায় ৩১ ঘণ্টা পর ২৩ মার্চ বিকেলে এবং মামলাটি দায়ের করেছেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার অফিসের পরিচালক এনামুল হক।
বিবৃতিতে বলা হয় পুরো ঘটনা বিশ্লেষণ করে এইচআরএফবি মনে করে, পরিবারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত অভিযোগ যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খতিয়ে দেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আবশ্যক। একই সঙ্গে মামলা দায়েরের আগে আটক, বেআইনি জিজ্ঞাসাবাদ ও পুলিশকে না জানানো—সংবিধান, মানবাধিকার মূলনীতি, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের নিকৃষ্ট উদাহরণ। এ ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জবাবদিহি ও বিচার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত র্যাব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে উল্লেখ করে বলা হয়, যাতে তাঁরা তদন্তকে কোনোভাবে প্রভাবিত করতে না পারেন। পাশাপাশি ফোরাম নিহত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।
আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আসক মনে করে, পরিবারের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তবে এবারই প্রথম এমন অভিযোগ উঠল তা নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। অভিযোগগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। আগের ঘটনাগুলোর আইনগত প্রতিকার না পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিচার না হওয়ার যে অপচর্চা বিদ্যমান রয়েছে, তা দূর করা জরুরি। তাই দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে এ অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে সরকারি কর্মজীবী নারীর মৃত্যুর এ ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র ক্ষোভ, উৎকণ্ঠা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি ঘটনাটির নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে র্যাবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান কামাল।
এমএসএফ মনে করে, র্যাব কর্তৃপক্ষ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, সুলতান জেসমিনের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার ও তাঁর ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন নারীকে রাস্তা থেকে তুলে নিতে হবে কেন?
সংবিধান ও বিদ্যমান আইন রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জন্য সমান। এ ছাড়া কোনো অপরাধ আদালত কর্তৃক প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তিনি নিরপরাধ এবং সব মানুষ সমান মর্যাদা লাভের অধিকারী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আটক ব্যক্তির মৃত্যু একটি ভয়াবহ ঘটনা। এমএসএফ এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে এবং জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা গঠন করা আবশ্যক বলে মনে করে। পাশাপাশি সুলতান জেসমিনের মৃত্যু যেভাবেই হোক না কোনো, প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানায়।
আরও খবর পড়ুন:

নওগাঁয়ে র্যাবের হেফাজতে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম (এইচআরএফবি)।
আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) বলছে, জেসমিনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটেছে। এ ঘটনা আবারও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের নজির স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এইচআরএফবি নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এর আওতায় এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানায়। পাশাপাশি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে এ আইনের আওতায় মানুষের জীবন, নিরাপত্তা, আইনের আশ্রয় লাভের ও স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করার সুযোগ বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিয়েছেন আইন ও সালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী প্রধান জাকির হোসেন, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসের ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মহাসচিব সঞ্জীব দ্রং ও বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ।
২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে প্রতারণার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুলতান জেসমিনকে আটক করা হয় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন বলে র্যাব দাবি করে। তবে স্বজনদের অভিযোগ হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দায়িত্বরত চিকিৎসক সুলতান জেসমিনের মাথাজুড়ে একাধিক ইন্ট্রাক্রানিয়াল রক্তক্ষরণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফ এম শামীম আহাম্মদ সুলতানার মাথার বাইরের দিকে ক্ষত থাকার কথাও জানান।
এইচআরএফবি বলছে, পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বলা হয়েছে, তারা আটকের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল না, বরং গণমাধ্যম থেকে তারা এ তথ্যটি জানতে পেরেছে। আরও জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে মামলায় জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে, সে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তাঁকে আটকের প্রায় ৩১ ঘণ্টা পর ২৩ মার্চ বিকেলে এবং মামলাটি দায়ের করেছেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার অফিসের পরিচালক এনামুল হক।
বিবৃতিতে বলা হয় পুরো ঘটনা বিশ্লেষণ করে এইচআরএফবি মনে করে, পরিবারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত অভিযোগ যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খতিয়ে দেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আবশ্যক। একই সঙ্গে মামলা দায়েরের আগে আটক, বেআইনি জিজ্ঞাসাবাদ ও পুলিশকে না জানানো—সংবিধান, মানবাধিকার মূলনীতি, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের নিকৃষ্ট উদাহরণ। এ ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জবাবদিহি ও বিচার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত র্যাব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে উল্লেখ করে বলা হয়, যাতে তাঁরা তদন্তকে কোনোভাবে প্রভাবিত করতে না পারেন। পাশাপাশি ফোরাম নিহত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।
আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আসক মনে করে, পরিবারের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তবে এবারই প্রথম এমন অভিযোগ উঠল তা নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। অভিযোগগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। আগের ঘটনাগুলোর আইনগত প্রতিকার না পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিচার না হওয়ার যে অপচর্চা বিদ্যমান রয়েছে, তা দূর করা জরুরি। তাই দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে এ অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে সরকারি কর্মজীবী নারীর মৃত্যুর এ ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র ক্ষোভ, উৎকণ্ঠা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি ঘটনাটির নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে র্যাবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান কামাল।
এমএসএফ মনে করে, র্যাব কর্তৃপক্ষ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, সুলতান জেসমিনের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার ও তাঁর ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন নারীকে রাস্তা থেকে তুলে নিতে হবে কেন?
সংবিধান ও বিদ্যমান আইন রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জন্য সমান। এ ছাড়া কোনো অপরাধ আদালত কর্তৃক প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তিনি নিরপরাধ এবং সব মানুষ সমান মর্যাদা লাভের অধিকারী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আটক ব্যক্তির মৃত্যু একটি ভয়াবহ ঘটনা। এমএসএফ এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে এবং জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা গঠন করা আবশ্যক বলে মনে করে। পাশাপাশি সুলতান জেসমিনের মৃত্যু যেভাবেই হোক না কোনো, প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানায়।
আরও খবর পড়ুন:

নওগাঁয়ে র্যাবের হেফাজতে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম (এইচআরএফবি)।
আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) বলছে, জেসমিনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটেছে। এ ঘটনা আবারও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের নজির স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এইচআরএফবি নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এর আওতায় এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানায়। পাশাপাশি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে এ আইনের আওতায় মানুষের জীবন, নিরাপত্তা, আইনের আশ্রয় লাভের ও স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করার সুযোগ বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিয়েছেন আইন ও সালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী প্রধান জাকির হোসেন, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসের ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মহাসচিব সঞ্জীব দ্রং ও বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ।
২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে প্রতারণার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুলতান জেসমিনকে আটক করা হয় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন বলে র্যাব দাবি করে। তবে স্বজনদের অভিযোগ হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দায়িত্বরত চিকিৎসক সুলতান জেসমিনের মাথাজুড়ে একাধিক ইন্ট্রাক্রানিয়াল রক্তক্ষরণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফ এম শামীম আহাম্মদ সুলতানার মাথার বাইরের দিকে ক্ষত থাকার কথাও জানান।
এইচআরএফবি বলছে, পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বলা হয়েছে, তারা আটকের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল না, বরং গণমাধ্যম থেকে তারা এ তথ্যটি জানতে পেরেছে। আরও জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে মামলায় জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে, সে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তাঁকে আটকের প্রায় ৩১ ঘণ্টা পর ২৩ মার্চ বিকেলে এবং মামলাটি দায়ের করেছেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার অফিসের পরিচালক এনামুল হক।
বিবৃতিতে বলা হয় পুরো ঘটনা বিশ্লেষণ করে এইচআরএফবি মনে করে, পরিবারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত অভিযোগ যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খতিয়ে দেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আবশ্যক। একই সঙ্গে মামলা দায়েরের আগে আটক, বেআইনি জিজ্ঞাসাবাদ ও পুলিশকে না জানানো—সংবিধান, মানবাধিকার মূলনীতি, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের নিকৃষ্ট উদাহরণ। এ ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জবাবদিহি ও বিচার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত র্যাব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে উল্লেখ করে বলা হয়, যাতে তাঁরা তদন্তকে কোনোভাবে প্রভাবিত করতে না পারেন। পাশাপাশি ফোরাম নিহত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।
আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আসক মনে করে, পরিবারের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তবে এবারই প্রথম এমন অভিযোগ উঠল তা নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। অভিযোগগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। আগের ঘটনাগুলোর আইনগত প্রতিকার না পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিচার না হওয়ার যে অপচর্চা বিদ্যমান রয়েছে, তা দূর করা জরুরি। তাই দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে এ অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে সরকারি কর্মজীবী নারীর মৃত্যুর এ ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র ক্ষোভ, উৎকণ্ঠা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি ঘটনাটির নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে র্যাবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান কামাল।
এমএসএফ মনে করে, র্যাব কর্তৃপক্ষ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, সুলতান জেসমিনের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার ও তাঁর ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন নারীকে রাস্তা থেকে তুলে নিতে হবে কেন?
সংবিধান ও বিদ্যমান আইন রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জন্য সমান। এ ছাড়া কোনো অপরাধ আদালত কর্তৃক প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তিনি নিরপরাধ এবং সব মানুষ সমান মর্যাদা লাভের অধিকারী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আটক ব্যক্তির মৃত্যু একটি ভয়াবহ ঘটনা। এমএসএফ এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে এবং জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা গঠন করা আবশ্যক বলে মনে করে। পাশাপাশি সুলতান জেসমিনের মৃত্যু যেভাবেই হোক না কোনো, প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানায়।
আরও খবর পড়ুন:

নওগাঁয়ে র্যাবের হেফাজতে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম (এইচআরএফবি)।
আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) বলছে, জেসমিনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটেছে। এ ঘটনা আবারও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের নজির স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এইচআরএফবি নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এর আওতায় এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানায়। পাশাপাশি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে এ আইনের আওতায় মানুষের জীবন, নিরাপত্তা, আইনের আশ্রয় লাভের ও স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করার সুযোগ বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিয়েছেন আইন ও সালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী প্রধান জাকির হোসেন, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসের ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মহাসচিব সঞ্জীব দ্রং ও বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ।
২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে প্রতারণার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুলতান জেসমিনকে আটক করা হয় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন বলে র্যাব দাবি করে। তবে স্বজনদের অভিযোগ হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দায়িত্বরত চিকিৎসক সুলতান জেসমিনের মাথাজুড়ে একাধিক ইন্ট্রাক্রানিয়াল রক্তক্ষরণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফ এম শামীম আহাম্মদ সুলতানার মাথার বাইরের দিকে ক্ষত থাকার কথাও জানান।
এইচআরএফবি বলছে, পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বলা হয়েছে, তারা আটকের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল না, বরং গণমাধ্যম থেকে তারা এ তথ্যটি জানতে পেরেছে। আরও জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে মামলায় জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে, সে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তাঁকে আটকের প্রায় ৩১ ঘণ্টা পর ২৩ মার্চ বিকেলে এবং মামলাটি দায়ের করেছেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার অফিসের পরিচালক এনামুল হক।
বিবৃতিতে বলা হয় পুরো ঘটনা বিশ্লেষণ করে এইচআরএফবি মনে করে, পরিবারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত অভিযোগ যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খতিয়ে দেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা আবশ্যক। একই সঙ্গে মামলা দায়েরের আগে আটক, বেআইনি জিজ্ঞাসাবাদ ও পুলিশকে না জানানো—সংবিধান, মানবাধিকার মূলনীতি, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের নিকৃষ্ট উদাহরণ। এ ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জবাবদিহি ও বিচার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত র্যাব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে উল্লেখ করে বলা হয়, যাতে তাঁরা তদন্তকে কোনোভাবে প্রভাবিত করতে না পারেন। পাশাপাশি ফোরাম নিহত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।
আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আসক মনে করে, পরিবারের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তবে এবারই প্রথম এমন অভিযোগ উঠল তা নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। অভিযোগগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। আগের ঘটনাগুলোর আইনগত প্রতিকার না পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিচার না হওয়ার যে অপচর্চা বিদ্যমান রয়েছে, তা দূর করা জরুরি। তাই দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে এ অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে সরকারি কর্মজীবী নারীর মৃত্যুর এ ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র ক্ষোভ, উৎকণ্ঠা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি ঘটনাটির নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে র্যাবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান কামাল।
এমএসএফ মনে করে, র্যাব কর্তৃপক্ষ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, সুলতান জেসমিনের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার ও তাঁর ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন নারীকে রাস্তা থেকে তুলে নিতে হবে কেন?
সংবিধান ও বিদ্যমান আইন রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জন্য সমান। এ ছাড়া কোনো অপরাধ আদালত কর্তৃক প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তিনি নিরপরাধ এবং সব মানুষ সমান মর্যাদা লাভের অধিকারী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আটক ব্যক্তির মৃত্যু একটি ভয়াবহ ঘটনা। এমএসএফ এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে এবং জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা গঠন করা আবশ্যক বলে মনে করে। পাশাপাশি সুলতান জেসমিনের মৃত্যু যেভাবেই হোক না কোনো, প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানায়।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
৬ মিনিট আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেআমানুর রহমান রনি, ঢাকা

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। কেউ পথের কাঁটা হলে হত্যাও করানো হচ্ছে। এর সর্বশেষ শিকার পল্লবীর যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া।
মিরপুরে সরেজমিনে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ফোর স্টার গ্রুপের চাঁদাবাজিতে মিরপুরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। মামলা, জিডি, আন্দোলন করেও তাঁরা চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। পরিবহন খাতেও চলছে চাঁদাবাজি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের তথ্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিরপুরে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন মফিজুর রহমান মামুন, ‘কিলার’ ইব্রাহীম, শাহাদাত হোসেন ও মোক্তার হোসেন। তাঁদের মধ্যে মামুন মালয়েশিয়ায়, ইব্রাহীম ফ্রান্সে, শাহাদাত ইতালিতে এবং মোক্তার ভারতে অবস্থান করছেন। মামুনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১২, পল্লবী, সাগুফতা ও বাউনিয়া এলাকা। ইব্রাহিমের নিয়ন্ত্রণ মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪, ভাষানটেক ও কালশীতে। শাহাদাতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১, মিরপুর ২, মিরপুর ৬, মিরপুর ৭। মোক্তার হোসেনের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১০ ও ১১ এলাকা। বিদেশে বসেই তাঁরা দেড় শতাধিক অনুসারীকে দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। একজনের অনুসারীরা অন্যজনের এলাকায় যাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ নভেম্বর মিরপুর ১২ নম্বরের সি ব্লকের একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ মামুনের অনুসারীরা। কারণ, সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া এলাকায় মাদক কারবারসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করায় মামুন ক্ষিপ্ত হন।
র্যাব-৪ সূত্র বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামুনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় মাদক কারবার, পরিবহন ও আবাসন খাতে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় তাঁর অনুসারীরা। গত জানুয়ারিতে পল্লবীর আলব্দিরটেকে এ কে বিল্ডার্সের অফিসে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান বলেন, মামুনের রেফারেন্স দিয়ে ‘জামিল’ পরিচয়ে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ওই চাঁদা দাবি করেছিলেন।
বিহঙ্গ পরিবহনের একজন লাইনম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিরপুরের প্রতিটি বাস, বাসস্ট্যান্ডে মাসিক ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা টাকা পায়। তারা এলাকা ভাগ করে এই চাঁদা নেয়।
ইব্রাহীমের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় বিহারি ক্যাম্পগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের কারবার করছে তার অনুসারীরা। এসব এলাকায় মাদকের অন্তত ১১টি বড় স্পট রয়েছে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন ইতালিতে থেকে অনুসারীদের দিয়ে তাঁর এলাকায় একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শাহ আলীর স্বাধীন মার্কেটে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আসিফ সিকদারের নেতৃত্বে ভাঙচুর চালায় শাহাদাত বাহিনী। এ ঘটনায় ওই মার্কেটের ম্যানেজার তরিকুল মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসিফ পুলিশকে জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ অপরজন মোক্তার ভারতে আত্মগোপনে থেকে অপরাধের কলকাঠি নাড়ান। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশনে তাঁর অনুসারীরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। মিরপুর ১০ নম্বরের বেনারসিপল্লির ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকির অভিযোগে পল্লবী থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
চাঁদাবাজদের ভয়ে কয়েক দিন দোকান বন্ধ রাখা সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য গত ১০ মে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১২ বার তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
‘ফোর স্টার গ্রুপের’ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। এর নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মিরপুরের কয়েকজন সন্ত্রাসীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। কেউ পথের কাঁটা হলে হত্যাও করানো হচ্ছে। এর সর্বশেষ শিকার পল্লবীর যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া।
মিরপুরে সরেজমিনে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ফোর স্টার গ্রুপের চাঁদাবাজিতে মিরপুরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। মামলা, জিডি, আন্দোলন করেও তাঁরা চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। পরিবহন খাতেও চলছে চাঁদাবাজি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের তথ্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিরপুরে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন মফিজুর রহমান মামুন, ‘কিলার’ ইব্রাহীম, শাহাদাত হোসেন ও মোক্তার হোসেন। তাঁদের মধ্যে মামুন মালয়েশিয়ায়, ইব্রাহীম ফ্রান্সে, শাহাদাত ইতালিতে এবং মোক্তার ভারতে অবস্থান করছেন। মামুনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১২, পল্লবী, সাগুফতা ও বাউনিয়া এলাকা। ইব্রাহিমের নিয়ন্ত্রণ মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪, ভাষানটেক ও কালশীতে। শাহাদাতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১, মিরপুর ২, মিরপুর ৬, মিরপুর ৭। মোক্তার হোসেনের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১০ ও ১১ এলাকা। বিদেশে বসেই তাঁরা দেড় শতাধিক অনুসারীকে দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। একজনের অনুসারীরা অন্যজনের এলাকায় যাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ নভেম্বর মিরপুর ১২ নম্বরের সি ব্লকের একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ মামুনের অনুসারীরা। কারণ, সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া এলাকায় মাদক কারবারসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করায় মামুন ক্ষিপ্ত হন।
র্যাব-৪ সূত্র বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামুনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় মাদক কারবার, পরিবহন ও আবাসন খাতে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় তাঁর অনুসারীরা। গত জানুয়ারিতে পল্লবীর আলব্দিরটেকে এ কে বিল্ডার্সের অফিসে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান বলেন, মামুনের রেফারেন্স দিয়ে ‘জামিল’ পরিচয়ে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ওই চাঁদা দাবি করেছিলেন।
বিহঙ্গ পরিবহনের একজন লাইনম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিরপুরের প্রতিটি বাস, বাসস্ট্যান্ডে মাসিক ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা টাকা পায়। তারা এলাকা ভাগ করে এই চাঁদা নেয়।
ইব্রাহীমের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় বিহারি ক্যাম্পগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের কারবার করছে তার অনুসারীরা। এসব এলাকায় মাদকের অন্তত ১১টি বড় স্পট রয়েছে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন ইতালিতে থেকে অনুসারীদের দিয়ে তাঁর এলাকায় একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শাহ আলীর স্বাধীন মার্কেটে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আসিফ সিকদারের নেতৃত্বে ভাঙচুর চালায় শাহাদাত বাহিনী। এ ঘটনায় ওই মার্কেটের ম্যানেজার তরিকুল মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসিফ পুলিশকে জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ অপরজন মোক্তার ভারতে আত্মগোপনে থেকে অপরাধের কলকাঠি নাড়ান। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশনে তাঁর অনুসারীরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। মিরপুর ১০ নম্বরের বেনারসিপল্লির ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকির অভিযোগে পল্লবী থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
চাঁদাবাজদের ভয়ে কয়েক দিন দোকান বন্ধ রাখা সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য গত ১০ মে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১২ বার তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
‘ফোর স্টার গ্রুপের’ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। এর নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মিরপুরের কয়েকজন সন্ত্রাসীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’

নওগাঁয়ে র্যাবের হেফাজতে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম (এইচআরএফবি)।
২৭ মার্চ ২০২৩
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মৌলভীবাজারে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করে, চালায় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের নানান দলিলপত্রে এসব উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে এসব গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করে কয়েকটি বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। তবে যেসব স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ঠিক করা হয়েছে, সেসব স্থান বছরের পর বছর ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। মাঝেমধ্যে বিজয় দিবসে পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ২০টি বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে মাত্র আটটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই সংরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো সব সময় ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। গরু-ছাগল চরে বেড়ায়।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শমশেরনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ, দেওড়াছড়া বধ্যভূমিতে সরকারিভাবে স্থাপনা তৈরি করা হলেও বাইর থেকে বোঝার উপায় নেই এগুলো বধ্যভূমি। যে কেউ দেখলে মনে হবে এটা একটা ভূতের বাড়ি। ঘন জঙ্গলে ভরা।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন নথি সূত্রে জানা যায়, জেলার চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, দেওড়াছড়া; শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া গণকবর; কুলাউড়া উপজেলার হাকাতির দিঘিরপাড়ের গণকবর; কুলাউড়া রেলস্টেশনের দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব পাশের গণকবর; রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের হিরনারায়ণ দাসের দিঘিরপাড়ের গণকবর, বড়লেখা উপজেলার সায়পুর গণকবর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাড়ন্তি-নালিউড়ি সড়কের উত্তর পাশের গণকবর ও আপার কাগাবলা ইউপির নড়িয়া গ্রামের কামিনী দেবের বাড়ির দক্ষিণ পাশের গণকবরসহ বেশ কিছু বধ্যভূমি।
মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নিদর্শন। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ এই স্থানগুলো এখনো গরু-ছাগল ও মানুষের মলমূত্র ত্যাগের জায়গা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজয় দিবসের আগে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়া বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। বয়স হয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। শমশেরনগর বধ্যভূমিতে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। দেওড়াছড়ায় একসাথে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। এ স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হলেও কোনো কদর নেই। শুধু এই দুটি নয়, সারা জেলায় অনেক গণকবর ও বধ্যভূমি আছে, যার চিহ্ন এখন নেই।’
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভায় একটি বধ্যভূমি আছে, যা বিজয় দিবসের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলে দেওয়া হবে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মৌলভীবাজারে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করে, চালায় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের নানান দলিলপত্রে এসব উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে এসব গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করে কয়েকটি বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। তবে যেসব স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ঠিক করা হয়েছে, সেসব স্থান বছরের পর বছর ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। মাঝেমধ্যে বিজয় দিবসে পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ২০টি বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে মাত্র আটটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই সংরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো সব সময় ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। গরু-ছাগল চরে বেড়ায়।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শমশেরনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ, দেওড়াছড়া বধ্যভূমিতে সরকারিভাবে স্থাপনা তৈরি করা হলেও বাইর থেকে বোঝার উপায় নেই এগুলো বধ্যভূমি। যে কেউ দেখলে মনে হবে এটা একটা ভূতের বাড়ি। ঘন জঙ্গলে ভরা।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন নথি সূত্রে জানা যায়, জেলার চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, দেওড়াছড়া; শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া গণকবর; কুলাউড়া উপজেলার হাকাতির দিঘিরপাড়ের গণকবর; কুলাউড়া রেলস্টেশনের দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব পাশের গণকবর; রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের হিরনারায়ণ দাসের দিঘিরপাড়ের গণকবর, বড়লেখা উপজেলার সায়পুর গণকবর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাড়ন্তি-নালিউড়ি সড়কের উত্তর পাশের গণকবর ও আপার কাগাবলা ইউপির নড়িয়া গ্রামের কামিনী দেবের বাড়ির দক্ষিণ পাশের গণকবরসহ বেশ কিছু বধ্যভূমি।
মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নিদর্শন। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ এই স্থানগুলো এখনো গরু-ছাগল ও মানুষের মলমূত্র ত্যাগের জায়গা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজয় দিবসের আগে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়া বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। বয়স হয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। শমশেরনগর বধ্যভূমিতে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। দেওড়াছড়ায় একসাথে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। এ স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হলেও কোনো কদর নেই। শুধু এই দুটি নয়, সারা জেলায় অনেক গণকবর ও বধ্যভূমি আছে, যার চিহ্ন এখন নেই।’
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভায় একটি বধ্যভূমি আছে, যা বিজয় দিবসের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলে দেওয়া হবে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।

নওগাঁয়ে র্যাবের হেফাজতে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম (এইচআরএফবি)।
২৭ মার্চ ২০২৩
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

নওগাঁয়ে র্যাবের হেফাজতে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম (এইচআরএফবি)।
২৭ মার্চ ২০২৩
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
৬ মিনিট আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

নওগাঁয়ে র্যাবের হেফাজতে ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে দেশের মানবাধিকার সংগঠনের জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম (এইচআরএফবি)।
২৭ মার্চ ২০২৩
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
৬ মিনিট আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে