সড়কের এক পাশে হেলে আছে দুটি মরা গাছ। দুপাশে রয়েছে আরও কয়েকটি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো গাছ। এসব গাছের ডালপালার নিচ দিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও যানবাহন। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় ডাল ভেঙে ঘটতে পারে হতাহতের ঘটনা। এমন চিত্র নীলফামারীর সৈয়দপুর শহীদ ক্যাপ্টেন মৃধা শামসুল হুদা (বিমানবন্দর) সড়কের।
সৈয়দপুর উপজেলার এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে বিমানের যাত্রীসহ স্থানীয়রা চলাচল করেন। এমনকি এই সড়ক দিয়ে মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরাও চলাচল করেন। সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার।
মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ডাকবাংলো সংলগ্ন সড়কটির পাশে রেলওয়ের জায়গায় মরা দুটি বড় রেইনট্রি গাছ সড়কের ওপরে মাঝখানে হেলে পড়েছে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে সড়কটি দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারীরা।
এ সড়কে নিয়মিত বিমানের যাত্রী নিয়ে যাওয়া-আসা করেন ইজিবাইকচালক আরমান হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই পথে মরা গাছের নিচ দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাতায়াতে আতঙ্কে থাকি। গাড়ির ওপর মরা গাছ ভেঙে পড়লে গাড়িসহ যাত্রীর ক্ষতি হবে।’
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৮৭০ সালে রেলওয়ে কারখানাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে সৈয়দপুর শহর। সে সময় রেলওয়ের অব্যবহৃত জায়গায় এমন অসংখ্য গাছ রোপণ করা হয়। সে হিসেবে গাছগুলোর বয়স প্রায় দুইশ বছর।
সৈয়দপুর সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা শাহিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাছগুলো রেলওয়ের জায়গায়। তাই হেলে পড়া মরা গাছ কাটার ব্যাপারে বন বিভাগের কিছু করণীয় নেই।’
সৈয়দপুর রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (কার্য) মো. শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মরা ও পুরোনো গাছ কাটার অনুমতির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অনুমতিপত্র পেলে সেগুলো কাটা হবে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে