নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরপর দুটি বিকট শব্দ, কেঁপে ওঠে পুরো পুরান ঢাকা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে মুহূর্তেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় সিদ্দিক বাজারের তিনটি ভবন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ১০টি প্রাণ ঝরে পড়ে। শুধু ভবনের ভেতরেই নয়, বাইরে সড়কেও মানুষের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে পথচারী, বাসযাত্রী, দোকান কর্মচারী ও ব্যাংকের কর্মচারী রয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকর্মীরা জানান।
আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সিদ্দিক বাজারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণির ৫ ও ৬ নম্বর ভবনে বিস্ফোরণ হয়। ভবন দুটির পাশেই একটি বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার ছিল, সেটিও বিস্ফোরিত হয়।
৫ নম্বর ভবনটি পাঁচতলা, আর কুইন সেনিটেরি মার্কেট নামে পরিচিতি ৬ নম্বর ভবনটি আট তলা। এই ভবনের বেইজমেন্টে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

কুইন সেনিটেরি মার্কেট ভবনের মালিক রেজাউর রহমান নামে প্রয়াত একজন। তাঁর তিন ছেলে ওয়াহিদুর রহমান, মশিউর রহমান ও মতিউর রহমান উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক। মেজো ভাই মশিউর লন্ডনপ্রবাসী। বাকি দুই ভাই ভবনটি পরিচালনা করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওয়াহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দে ভবন কেঁপে উঠে, সিঁড়ি ভেঙে যায়। পরে ছাদে গিয়ে পাশের ভবন দিয়ে নিচে নেমে আসি। সবাই তখন চিৎকার করে কাঁদছিল। বড় দুটি শব্দ হয়েছে; মুহূর্তেই আমার কান বন্ধ হয়ে যায়।’
ওয়াহিদুর জানান, ভবনটির বেইজমেন্ট থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত স্যানিটারি পণ্যের দোকান। চার তলা থেকে আবাসিক ফ্ল্যাট। দুই ইউনিট করে মোট আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি সপরিবারে ভবনের চার তলায় থাকেন।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেসন্স ও ম্যান্টেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ভবনের সেফটি ট্যাংক থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা। তবে তদন্তের পর কারণ জানা যাবে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, গুলিস্তান বিআরটিসির বাস স্ট্যান্ডের পর সদরঘাটের দিকে যেতে একটি ভবন রেখেই হাতের বামপাশে তিনটি ভবনেরই দেয়াল ভেঙে পড়েছে; ভাঙা কাচ সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভবন তিনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসেরর সদস্যরা।
সড়কটি সারা দিন যানজট লেগেই থাকে; বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। পথচারী, রিকশাযাত্রী, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্যানিটারি জিনিসপত্র কিনতে এখানে খুচরা দোকানিরাও আসেন।

রাজধানীর মালিবাগ থেকে আসা ফয়সাল নামে এক দোকান কর্মচারী রিকশা ভ্যানে করে বৈদ্যুতিক ফ্যান নিয়ে ফিরছিলেন। বিস্ফোরণের সময় তিনি ঘটনাস্থলের আশেপাশে ছিলেন, তার ভ্যানটি ২০ গজের মতো দূরে দাঁড়ানো ছিল।
ঘটনার বর্ননা দিয়ে ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকট দুটি শব্দ হল, এরপর কানে কিছু আর শুনিনি। কেবল দেখলাম ধুলা, সবাই জিরো পয়েন্টের দিকে দৌড়াচ্ছে। চিৎকার করছে মানুষ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভবনের সামনে এসে দেখি আমার ফ্যানসহ ভ্যান পরে আছে; ভ্যান চালককে পাচ্ছি না।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) বিপ্লব কুমরা সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনো ভবনের বেইজমেন্ট ধ্বংস্তুপ হয়ে আছে। প্রতিটি তলায় উদ্ধার অভিযান চলছে। অনেকেই আটকা থাকতে পারেন বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা।

বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে মোট ১৫ জনের মরদেহ রয়েছে বলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনের লাশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অর্ধশতাধিকের বেশি আহত ব্যক্তি জরুরি বিভাগে রয়েছেন।
আরেকটি ভবনের নীচ তলায় স্যানিটারির দোকান, দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্রাক ব্যাংকের গুলিস্তান শাখার অফিস। এই ভবন থেকেও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বামপাশের সাত তলা ভবনটির ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে। ভবন তিনটি থেকে সবাইকে সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। প্রতিটি তলায় তল্লাশি করে দেখছে ফায়ার সার্ভিস।
বিশেষশজ্ঞ প্রকৌশলী আসার পর ফের উদ্ধার অভিযান শুরু হবে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া ভেতরে অভিযান চালানো ঝুকিপূর্ণ হতে পারে।
উদ্ধার অভিযানের জন্য ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পর পুরো গুলিস্তান ও সিদ্দিক বাজার বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।

পরপর দুটি বিকট শব্দ, কেঁপে ওঠে পুরো পুরান ঢাকা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে মুহূর্তেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় সিদ্দিক বাজারের তিনটি ভবন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ১০টি প্রাণ ঝরে পড়ে। শুধু ভবনের ভেতরেই নয়, বাইরে সড়কেও মানুষের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে পথচারী, বাসযাত্রী, দোকান কর্মচারী ও ব্যাংকের কর্মচারী রয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকর্মীরা জানান।
আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সিদ্দিক বাজারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণির ৫ ও ৬ নম্বর ভবনে বিস্ফোরণ হয়। ভবন দুটির পাশেই একটি বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার ছিল, সেটিও বিস্ফোরিত হয়।
৫ নম্বর ভবনটি পাঁচতলা, আর কুইন সেনিটেরি মার্কেট নামে পরিচিতি ৬ নম্বর ভবনটি আট তলা। এই ভবনের বেইজমেন্টে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

কুইন সেনিটেরি মার্কেট ভবনের মালিক রেজাউর রহমান নামে প্রয়াত একজন। তাঁর তিন ছেলে ওয়াহিদুর রহমান, মশিউর রহমান ও মতিউর রহমান উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক। মেজো ভাই মশিউর লন্ডনপ্রবাসী। বাকি দুই ভাই ভবনটি পরিচালনা করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওয়াহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দে ভবন কেঁপে উঠে, সিঁড়ি ভেঙে যায়। পরে ছাদে গিয়ে পাশের ভবন দিয়ে নিচে নেমে আসি। সবাই তখন চিৎকার করে কাঁদছিল। বড় দুটি শব্দ হয়েছে; মুহূর্তেই আমার কান বন্ধ হয়ে যায়।’
ওয়াহিদুর জানান, ভবনটির বেইজমেন্ট থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত স্যানিটারি পণ্যের দোকান। চার তলা থেকে আবাসিক ফ্ল্যাট। দুই ইউনিট করে মোট আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি সপরিবারে ভবনের চার তলায় থাকেন।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেসন্স ও ম্যান্টেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ভবনের সেফটি ট্যাংক থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা। তবে তদন্তের পর কারণ জানা যাবে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, গুলিস্তান বিআরটিসির বাস স্ট্যান্ডের পর সদরঘাটের দিকে যেতে একটি ভবন রেখেই হাতের বামপাশে তিনটি ভবনেরই দেয়াল ভেঙে পড়েছে; ভাঙা কাচ সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভবন তিনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসেরর সদস্যরা।
সড়কটি সারা দিন যানজট লেগেই থাকে; বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। পথচারী, রিকশাযাত্রী, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্যানিটারি জিনিসপত্র কিনতে এখানে খুচরা দোকানিরাও আসেন।

রাজধানীর মালিবাগ থেকে আসা ফয়সাল নামে এক দোকান কর্মচারী রিকশা ভ্যানে করে বৈদ্যুতিক ফ্যান নিয়ে ফিরছিলেন। বিস্ফোরণের সময় তিনি ঘটনাস্থলের আশেপাশে ছিলেন, তার ভ্যানটি ২০ গজের মতো দূরে দাঁড়ানো ছিল।
ঘটনার বর্ননা দিয়ে ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকট দুটি শব্দ হল, এরপর কানে কিছু আর শুনিনি। কেবল দেখলাম ধুলা, সবাই জিরো পয়েন্টের দিকে দৌড়াচ্ছে। চিৎকার করছে মানুষ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভবনের সামনে এসে দেখি আমার ফ্যানসহ ভ্যান পরে আছে; ভ্যান চালককে পাচ্ছি না।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) বিপ্লব কুমরা সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনো ভবনের বেইজমেন্ট ধ্বংস্তুপ হয়ে আছে। প্রতিটি তলায় উদ্ধার অভিযান চলছে। অনেকেই আটকা থাকতে পারেন বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা।

বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে মোট ১৫ জনের মরদেহ রয়েছে বলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনের লাশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অর্ধশতাধিকের বেশি আহত ব্যক্তি জরুরি বিভাগে রয়েছেন।
আরেকটি ভবনের নীচ তলায় স্যানিটারির দোকান, দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্রাক ব্যাংকের গুলিস্তান শাখার অফিস। এই ভবন থেকেও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বামপাশের সাত তলা ভবনটির ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে। ভবন তিনটি থেকে সবাইকে সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। প্রতিটি তলায় তল্লাশি করে দেখছে ফায়ার সার্ভিস।
বিশেষশজ্ঞ প্রকৌশলী আসার পর ফের উদ্ধার অভিযান শুরু হবে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া ভেতরে অভিযান চালানো ঝুকিপূর্ণ হতে পারে।
উদ্ধার অভিযানের জন্য ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পর পুরো গুলিস্তান ও সিদ্দিক বাজার বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরপর দুটি বিকট শব্দ, কেঁপে ওঠে পুরো পুরান ঢাকা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে মুহূর্তেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় সিদ্দিক বাজারের তিনটি ভবন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ১০টি প্রাণ ঝরে পড়ে। শুধু ভবনের ভেতরেই নয়, বাইরে সড়কেও মানুষের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে পথচারী, বাসযাত্রী, দোকান কর্মচারী ও ব্যাংকের কর্মচারী রয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকর্মীরা জানান।
আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সিদ্দিক বাজারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণির ৫ ও ৬ নম্বর ভবনে বিস্ফোরণ হয়। ভবন দুটির পাশেই একটি বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার ছিল, সেটিও বিস্ফোরিত হয়।
৫ নম্বর ভবনটি পাঁচতলা, আর কুইন সেনিটেরি মার্কেট নামে পরিচিতি ৬ নম্বর ভবনটি আট তলা। এই ভবনের বেইজমেন্টে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

কুইন সেনিটেরি মার্কেট ভবনের মালিক রেজাউর রহমান নামে প্রয়াত একজন। তাঁর তিন ছেলে ওয়াহিদুর রহমান, মশিউর রহমান ও মতিউর রহমান উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক। মেজো ভাই মশিউর লন্ডনপ্রবাসী। বাকি দুই ভাই ভবনটি পরিচালনা করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওয়াহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দে ভবন কেঁপে উঠে, সিঁড়ি ভেঙে যায়। পরে ছাদে গিয়ে পাশের ভবন দিয়ে নিচে নেমে আসি। সবাই তখন চিৎকার করে কাঁদছিল। বড় দুটি শব্দ হয়েছে; মুহূর্তেই আমার কান বন্ধ হয়ে যায়।’
ওয়াহিদুর জানান, ভবনটির বেইজমেন্ট থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত স্যানিটারি পণ্যের দোকান। চার তলা থেকে আবাসিক ফ্ল্যাট। দুই ইউনিট করে মোট আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি সপরিবারে ভবনের চার তলায় থাকেন।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেসন্স ও ম্যান্টেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ভবনের সেফটি ট্যাংক থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা। তবে তদন্তের পর কারণ জানা যাবে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, গুলিস্তান বিআরটিসির বাস স্ট্যান্ডের পর সদরঘাটের দিকে যেতে একটি ভবন রেখেই হাতের বামপাশে তিনটি ভবনেরই দেয়াল ভেঙে পড়েছে; ভাঙা কাচ সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভবন তিনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসেরর সদস্যরা।
সড়কটি সারা দিন যানজট লেগেই থাকে; বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। পথচারী, রিকশাযাত্রী, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্যানিটারি জিনিসপত্র কিনতে এখানে খুচরা দোকানিরাও আসেন।

রাজধানীর মালিবাগ থেকে আসা ফয়সাল নামে এক দোকান কর্মচারী রিকশা ভ্যানে করে বৈদ্যুতিক ফ্যান নিয়ে ফিরছিলেন। বিস্ফোরণের সময় তিনি ঘটনাস্থলের আশেপাশে ছিলেন, তার ভ্যানটি ২০ গজের মতো দূরে দাঁড়ানো ছিল।
ঘটনার বর্ননা দিয়ে ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকট দুটি শব্দ হল, এরপর কানে কিছু আর শুনিনি। কেবল দেখলাম ধুলা, সবাই জিরো পয়েন্টের দিকে দৌড়াচ্ছে। চিৎকার করছে মানুষ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভবনের সামনে এসে দেখি আমার ফ্যানসহ ভ্যান পরে আছে; ভ্যান চালককে পাচ্ছি না।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) বিপ্লব কুমরা সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনো ভবনের বেইজমেন্ট ধ্বংস্তুপ হয়ে আছে। প্রতিটি তলায় উদ্ধার অভিযান চলছে। অনেকেই আটকা থাকতে পারেন বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা।

বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে মোট ১৫ জনের মরদেহ রয়েছে বলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনের লাশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অর্ধশতাধিকের বেশি আহত ব্যক্তি জরুরি বিভাগে রয়েছেন।
আরেকটি ভবনের নীচ তলায় স্যানিটারির দোকান, দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্রাক ব্যাংকের গুলিস্তান শাখার অফিস। এই ভবন থেকেও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বামপাশের সাত তলা ভবনটির ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে। ভবন তিনটি থেকে সবাইকে সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। প্রতিটি তলায় তল্লাশি করে দেখছে ফায়ার সার্ভিস।
বিশেষশজ্ঞ প্রকৌশলী আসার পর ফের উদ্ধার অভিযান শুরু হবে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া ভেতরে অভিযান চালানো ঝুকিপূর্ণ হতে পারে।
উদ্ধার অভিযানের জন্য ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পর পুরো গুলিস্তান ও সিদ্দিক বাজার বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।

পরপর দুটি বিকট শব্দ, কেঁপে ওঠে পুরো পুরান ঢাকা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে মুহূর্তেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় সিদ্দিক বাজারের তিনটি ভবন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ১০টি প্রাণ ঝরে পড়ে। শুধু ভবনের ভেতরেই নয়, বাইরে সড়কেও মানুষের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে পথচারী, বাসযাত্রী, দোকান কর্মচারী ও ব্যাংকের কর্মচারী রয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকর্মীরা জানান।
আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সিদ্দিক বাজারে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণির ৫ ও ৬ নম্বর ভবনে বিস্ফোরণ হয়। ভবন দুটির পাশেই একটি বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার ছিল, সেটিও বিস্ফোরিত হয়।
৫ নম্বর ভবনটি পাঁচতলা, আর কুইন সেনিটেরি মার্কেট নামে পরিচিতি ৬ নম্বর ভবনটি আট তলা। এই ভবনের বেইজমেন্টে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

কুইন সেনিটেরি মার্কেট ভবনের মালিক রেজাউর রহমান নামে প্রয়াত একজন। তাঁর তিন ছেলে ওয়াহিদুর রহমান, মশিউর রহমান ও মতিউর রহমান উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক। মেজো ভাই মশিউর লন্ডনপ্রবাসী। বাকি দুই ভাই ভবনটি পরিচালনা করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওয়াহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দে ভবন কেঁপে উঠে, সিঁড়ি ভেঙে যায়। পরে ছাদে গিয়ে পাশের ভবন দিয়ে নিচে নেমে আসি। সবাই তখন চিৎকার করে কাঁদছিল। বড় দুটি শব্দ হয়েছে; মুহূর্তেই আমার কান বন্ধ হয়ে যায়।’
ওয়াহিদুর জানান, ভবনটির বেইজমেন্ট থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত স্যানিটারি পণ্যের দোকান। চার তলা থেকে আবাসিক ফ্ল্যাট। দুই ইউনিট করে মোট আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি সপরিবারে ভবনের চার তলায় থাকেন।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেসন্স ও ম্যান্টেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ভবনের সেফটি ট্যাংক থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা। তবে তদন্তের পর কারণ জানা যাবে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, গুলিস্তান বিআরটিসির বাস স্ট্যান্ডের পর সদরঘাটের দিকে যেতে একটি ভবন রেখেই হাতের বামপাশে তিনটি ভবনেরই দেয়াল ভেঙে পড়েছে; ভাঙা কাচ সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভবন তিনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসেরর সদস্যরা।
সড়কটি সারা দিন যানজট লেগেই থাকে; বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। পথচারী, রিকশাযাত্রী, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্যানিটারি জিনিসপত্র কিনতে এখানে খুচরা দোকানিরাও আসেন।

রাজধানীর মালিবাগ থেকে আসা ফয়সাল নামে এক দোকান কর্মচারী রিকশা ভ্যানে করে বৈদ্যুতিক ফ্যান নিয়ে ফিরছিলেন। বিস্ফোরণের সময় তিনি ঘটনাস্থলের আশেপাশে ছিলেন, তার ভ্যানটি ২০ গজের মতো দূরে দাঁড়ানো ছিল।
ঘটনার বর্ননা দিয়ে ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকট দুটি শব্দ হল, এরপর কানে কিছু আর শুনিনি। কেবল দেখলাম ধুলা, সবাই জিরো পয়েন্টের দিকে দৌড়াচ্ছে। চিৎকার করছে মানুষ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভবনের সামনে এসে দেখি আমার ফ্যানসহ ভ্যান পরে আছে; ভ্যান চালককে পাচ্ছি না।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) বিপ্লব কুমরা সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনো ভবনের বেইজমেন্ট ধ্বংস্তুপ হয়ে আছে। প্রতিটি তলায় উদ্ধার অভিযান চলছে। অনেকেই আটকা থাকতে পারেন বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা।

বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে মোট ১৫ জনের মরদেহ রয়েছে বলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনের লাশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অর্ধশতাধিকের বেশি আহত ব্যক্তি জরুরি বিভাগে রয়েছেন।
আরেকটি ভবনের নীচ তলায় স্যানিটারির দোকান, দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্রাক ব্যাংকের গুলিস্তান শাখার অফিস। এই ভবন থেকেও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বামপাশের সাত তলা ভবনটির ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে। ভবন তিনটি থেকে সবাইকে সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। প্রতিটি তলায় তল্লাশি করে দেখছে ফায়ার সার্ভিস।
বিশেষশজ্ঞ প্রকৌশলী আসার পর ফের উদ্ধার অভিযান শুরু হবে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া ভেতরে অভিযান চালানো ঝুকিপূর্ণ হতে পারে।
উদ্ধার অভিযানের জন্য ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পর পুরো গুলিস্তান ও সিদ্দিক বাজার বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই শিশুসন্তান।
বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শাতংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই শিশুসন্তান।
বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শাতংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পরপর দুটি বিকট শব্দ, কেঁপে ওঠে পুরো পুরান ঢাকা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে মুহূর্তেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় সিদ্দিক বাজারের তিনটি ভবন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ১০টি প্রাণ ঝরে পড়ে। শুধু ভবনের ভেতরেই নয়, বাইরে সড়কেও মানুষের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে পথচারী, বাসযাত্রী, দোকান কর্মচারী ও ব্যাংক
০৭ মার্চ ২০২৩
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন (২২) এবং শহরের পিয়ারাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪৫)। নিহত ব্যক্তিরা সম্পর্কে খালা ও ভাগনে ছিলেন। তাঁরা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বিকেলে লালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ঈশ্বরদী শহরে আসছিল। অটোরিকশাটি শহরের স্কুলপাড়ার মহাসড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন (২২) এবং শহরের পিয়ারাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪৫)। নিহত ব্যক্তিরা সম্পর্কে খালা ও ভাগনে ছিলেন। তাঁরা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বিকেলে লালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ঈশ্বরদী শহরে আসছিল। অটোরিকশাটি শহরের স্কুলপাড়ার মহাসড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পরপর দুটি বিকট শব্দ, কেঁপে ওঠে পুরো পুরান ঢাকা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে মুহূর্তেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় সিদ্দিক বাজারের তিনটি ভবন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ১০টি প্রাণ ঝরে পড়ে। শুধু ভবনের ভেতরেই নয়, বাইরে সড়কেও মানুষের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে পথচারী, বাসযাত্রী, দোকান কর্মচারী ও ব্যাংক
০৭ মার্চ ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরপর দুটি বিকট শব্দ, কেঁপে ওঠে পুরো পুরান ঢাকা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে মুহূর্তেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় সিদ্দিক বাজারের তিনটি ভবন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ১০টি প্রাণ ঝরে পড়ে। শুধু ভবনের ভেতরেই নয়, বাইরে সড়কেও মানুষের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে পথচারী, বাসযাত্রী, দোকান কর্মচারী ও ব্যাংক
০৭ মার্চ ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেআবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

পরপর দুটি বিকট শব্দ, কেঁপে ওঠে পুরো পুরান ঢাকা। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে মুহূর্তেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় সিদ্দিক বাজারের তিনটি ভবন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ১০টি প্রাণ ঝরে পড়ে। শুধু ভবনের ভেতরেই নয়, বাইরে সড়কেও মানুষের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে পথচারী, বাসযাত্রী, দোকান কর্মচারী ও ব্যাংক
০৭ মার্চ ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে