Ajker Patrika

কানাডায় উচ্চশিক্ষা: যে ৬টি বিষয় বিদেশিদের জানা জরুরি

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫: ২১
কানাডায় উচ্চশিক্ষা: যে ৬টি বিষয় বিদেশিদের জানা জরুরি

যাঁরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক, তাঁদের কাছে কানাডা বরাবরই জনপ্রিয় গন্তব্য। এর অন্যতম কারণ, কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি দুই রকমের বৃত্তির ব্যবস্থা আছে। অন্য দেশের তুলনায় বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার সুযোগও দেওয়া হয় কানাডায়।

উচ্চশিক্ষায় কানাডা যাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় জানা থাকা ভালো। এতে সম্পূর্ণ নতুন একটি দেশে পড়তে গিয়ে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় শিক্ষার্থীদের, তা কাটিয়ে ওঠা অনেকটা সহজ হয়। কানাডায় উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা রিদম সাচদেভা নামের এক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। টরন্টোভিত্তিক গণমাধ্যম নারসিটি ডট কমে এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা রিদম বলেন, কানাডায় পড়তে যাওয়ার আগে তিনি কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতেন না, যা জানা থাকলে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর জন্য দেশটিতে পড়াশোনা অনেকটা সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি। এমন কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানা যাক—

অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া
বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে প্রথম সেমিস্টার শুরু হওয়ার আগেই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ফ্রশ’ নামে একটি ইভেন্ট থাকে। এসব ইভেন্টে বিভিন্ন খেলাধুলা, র‍্যালি ও কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হয়। রিদমের পরামর্শ, এসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করা উচিত সবার। কারণ তিনি এমন অনুষ্ঠান থেকেই জীবনের সেরা বন্ধুকে খুঁজে পেয়েছিলেন। আর এমন ভালো বন্ধু পাওয়া সম্পূর্ণ নতুন একটি দেশে শিক্ষাজীবন শুরুর প্রথম দিনগুলোকে একটু কম ভীতিকর করবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রয়োজনীয় কিছু রান্না শেখা
অনেকেই ভাবেন, বিদেশে পড়তে গেলে রান্নাবান্না কোনো বিষয় না। তবে রিদমের পরামর্শ, রান্নাটা শিখে যাওয়াই উত্তম। রিদমের পরিবার থেকে যখন তাঁকে রান্না শিখতে বলা হয়, তিনি বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বেলা খাবারের সুব্যবস্থা আছে ভেবে স্বস্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু বিপত্তি বাধল যখন দেখলেন, সপ্তাহান্তে খাবারের দোকান বন্ধ রাখা হয়। আর অন্য দিনগুলোতেও সন্ধ্যা ৬টার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় খাবার দেওয়া। এরপর অনেকটা অনিচ্ছায় কষ্ট করে ভাত ও ডিম থেকে শুরু করে অন্য রান্না শিখেছেন রিদম। রিদম বলেন, ‘সব সময় আপনার বাবা-মায়ের কথা শুনুন এবং বিদেশে পড়তে যাওয়ার আগেই কিছু রান্না শিখুন।’

এসআইএন নম্বর সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা রাখা 
একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে অবশ্যই শুরুতে আপনাকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি পরিশোধ করতে এটি সবার আগে প্রয়োজন। আর কানাডায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে অবশ্যই সোশ্যাল ইনস্যুরেন্স নম্বর-এসআইএন লাগবে। এই নম্বর ছাড়া আপনি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না দেশটিতে। এ ছাড়া অন্যান্য আর্থিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে এই নম্বর গুরুত্বপূর্ণ। রিদম জানান, তিনি অনলাইনে আবেদন করার এক সপ্তাহ পর পেয়েছিলেন এসআইএন। তাই তাঁর পরামর্শ, কানাডায় গিয়েই যত দ্রুত সম্ভব এসআইএন নম্বরের জন্য আবেদন করা।

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন রিদম সাচদেভাভালো বন্ধু তৈরি করা
বিদেশে পড়তে গিয়ে অবশ্যই কিছু ভালো বন্ধু থাকা উচিত বলে মনে করেন রিদম সাচদেভা। কারণ একটা নতুন দেশে পরিবার ও স্বজনদের ছাড়া থাকতে হয় সবাইকে। সেখানে অসুস্থতার মতো সংকটের সময় পাশে থাকার জন্য প্রয়োজন ভালো বন্ধুর। রিদম জানান, তিনি কানাডা যাওয়ার পর বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন বন্ধুরা তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া এবং দেখভাল করেন। এ ছাড়া রিদমের পরিবারের সদস্যদের তাঁর খবর জানানো ও সেরে ওঠার পর বাসায় পৌঁছে দিয়েছিলেন বন্ধুরা। তাই বিদেশে ভালো বন্ধু তৈরি করার পরামর্শ তাঁর। 

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন
কানাডায় ঘুরে দেখার মতো দারুণ সব জায়গা রয়েছে। কিন্তু গণপরিবহনে আপনি খুব ভালোভাবে এসব দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন না। তাই রিদমের পরামর্শ, নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে আপনি ইচ্ছেমতো ঘুরে দেখতে পারবেন বিভিন্ন শহর। তা ছাড়া গণপরিবহনে সবাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। রিদম মনে করেন, যত তাড়াতাড়ি জি-ওয়ান বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন, তত তাড়াতাড়ি আপনি স্নাতক সম্পন্ন করার পরে বা তার আগেই নিজে থেকে গাড়ি চালাতে পারবেন। 

কানাডায় কাজের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত চার মাসের গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়া হয়। রিদম এই ছুটিতে ভারতে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরে যেতেন। পরিবার ও পুরোনো স্কুল বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি দেশটির কয়েকটি গণমাধ্যমে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেছেন তিন। এ ছাড়া কানাডার বিচ মেট্রো কমিউনিটি নিউজ নামে স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে কাজ করেন রিদম। অদ্ভুত বিষয় হলো, ভারতের বেশ কয়েকটি প্রথম সারির ইংরেজি গণমাধ্যমে কাজ করার তুলনায় ওই স্থানীয় পত্রিকার কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হয় চাকরির সাক্ষাৎকারে। তাই রিদমের পরামর্শ, পড়াশোনার পাশাপাশি কানাডায় কাজের অভিজ্ঞতা পরবর্তী কর্মজীবনে প্রবেশে বেশি সহায়ক হবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাবির ‘সি’ ইউনিটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

মো. ফাহিম ফরহাদ
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৬
জাবির ‘সি’ ইউনিটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এখন একেবারে দোরগোড়ায়। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পর এই শেষ মুহূর্তে সঠিক কৌশল নির্ধারণ করাই পারে একজন শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে। এ সময়ে নতুন করে কিছু পড়ার চেয়ে আগে শেখা বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ধরন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। তাই সামান্য কৌশলগত পরিবর্তনই এনে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।

বাংলা: ‘সি’ ইউনিটে বাংলা থেকে ২০টি প্রশ্ন থাকে। তাই প্রথমেই এইচএসসি বাংলা পাঠ্যবই ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। বিশেষ করে উপন্যাস ও নাটক, গল্প ও কবিতা, শব্দার্থ ও উদ্ধৃতি, লেখক ও পাঠ পরিচিতির দিকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

বাংলা ব্যাকরণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বানান ও উচ্চারণ, সমাস, কারক, ধ্বনি, পুরুষ ও সংখ্যাবাচক শব্দ—এসব বিষয় ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। পাশাপাশি মুখস্থভিত্তিক অংশ যেমন সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, বাগধারা এবং পারিভাষিক শব্দ নিয়মিত রিভিশন দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সাহিত্য ও সাহিত্যযুগ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই এই অংশটি অবহেলা করা যাবে না।

ভর্তি প্রস্তুতির সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছেই প্রশ্নব্যাংক থাকে। প্রতিদিন সেখান থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সমাধান করা এবং ব্যাকরণ বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণগুলো ঝালিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। শেষ সময়ে অফলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ না থাকলে অনলাইনে বিভিন্ন অনুশীলনী পরীক্ষা দেওয়া যেতে পারে। এতে নিজের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা সহজ হয়, প্রস্তুতি আরও দৃঢ় হয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

ইংরেজি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজিতে ভালো করা অনিবার্য। ইংরেজিতে কাঙ্ক্ষিত নম্বর না পেলে মোট স্কোর ভালো হলেও অনেক বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায় না। যেমন আইন ও বিচার, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ এবং ইংরেজি বিষয়ে ভর্তির জন্য আলাদাভাবে ইংরেজিতে অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর অর্জন করতে হয়। তাই ইংরেজি গ্রামারে—পার্টস অব স্পিচ, ভয়েস, আর্টিকেল, সাবজেক্ট-ভার্ব অ্যাগ্রিমেন্ট এবং রাইট ফরম অব ভার্ব—ভালো দখল থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্য, এনালজি, অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপজিশন এবং সিনোনিম -অ্যান্টোনিমের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। বাজারে ভর্তি পরীক্ষার উপযোগী ইংরেজির বেশ কিছু ভালো বই রয়েছে, সেগুলো থেকে নিয়মিত প্রশ্ন সমাধান করা উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যেমন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে, গ্রামার থেকে তুলনামূলকভাবে কম প্রশ্ন এসেছে এবং প্যাসেজ থেকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে। সাধারণত এক বা দুটি প্যাসেজ দেওয়া থাকে এবং সেখান থেকেই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই প্যাসেজ অনুশীলনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা হওয়ায় শেষ মুহূর্তে ইংরেজিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

সাধারণ জ্ঞান ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সাধারণ জ্ঞান ও বিভাগ-সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ের প্রশ্ন ইংরেজিতে ছিল। সাধারণ জ্ঞানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিকের (ইতিহাস, অর্থনীতি, নোবেল পুরস্কার, নদ-নদী, বিশ্বযুদ্ধ, সভ্যতা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, বিভিন্ন জায়গার পূর্বনাম, খেলাধুলা) প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

বিভাগ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ‘সি’ ইউনিটে যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর বিভিন্ন টপিক থেকে প্রশ্ন আসে। সি ইউনিটে বিষয় রয়েছে ৯টি; আইন ও বিচার (বাংলাদেশের সংবিধান, জাতীয় সংসদ, সাংবিধানিক সংস্থা), জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ (বাংলাদেশের গণমাধ্যম, উল্লেখযোগ্য পত্রপত্রিকা, পত্রপত্রিকার প্রকাশকাল ও সম্পাদক), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও কনভেনশন, প্রণালি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেশের পরিচিতি), ইতিহাস (সভ্যতা, বিশ্বের প্রথম, প্রাচীন ও বর্তমান নাম, বিপ্লব, বিশ্বযুদ্ধ, আলোচিত যুদ্ধ), প্রত্নতত্ত্ব (বাংলার দর্শনীয় স্থান-স্থাপত্য, প্রাচীন মসজিদ-মন্দির-দুর্গ, গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল), বাংলা (বাংলা ভাষার ইতিহাস, গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক ও রচনা), দর্শন (বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি, উক্তি-সম্পর্কিত প্রশ্ন), ইংরেজি এবং তুলনামূলক সাহিত্য (ইংরেজি সাহিত্য, ইংরেজি সাহিত্য যুগ, সাহিত্যিক পরিভাষা) এসব টপিক থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

সবশেষে বলা যায়, ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি হলো সময়, ধৈর্য ও কৌশলের একত্রীকরণ। সঠিক কৌশলে প্রস্তুতি নিলে অপ্রয়োজনীয় ভয় অনেকটাই কমে যায়। শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পুনরায় দেখে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার হলে ঘাবড়ানো নয়, আত্মবিশ্বাসী হওয়ায় পার্থক্য গড়ে তুলবে। শেষ পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হবে, পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না।

শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যাংকে ব্যবহৃত ৮টি ইংরেজি বাক্য (পর্ব-৫)

শিক্ষা ডেস্ক
ব্যাংকে ব্যবহৃত ৮টি ইংরেজি বাক্য (পর্ব-৫)

আজ থাকছে আরও ৮টি প্রয়োজনীয় ইংরেজি বাক্য—

  • Please block my card immediately. দয়া করে আমার কার্ডটি দ্রুত ব্লক করুন।
  • How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি?
  • I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই।
  • I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা আছে।
  • My transaction did not go through. আমার লেনদেন সম্পন্ন হয়নি।
  • The ATM did not dispense cash. এটিএম টাকা দেয়নি।
  • I need help with online banking. অনলাইন ব্যাংকিংয়ে সাহায্য প্রয়োজন।
  • My password is not working. আমার পাসওয়ার্ড কাজ করছে না।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বদলে যাচ্ছে আইইএলটিএস পরীক্ষার নিয়ম, নতুন পদ্ধতিতে যা থাকছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৮
ছবি: ব্রিটিশ কাউন্সিল
ছবি: ব্রিটিশ কাউন্সিল

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।

তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত