ময়মনসিংহে বাবা-ছেলে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সদর উপজেলার মো. মাহাবুব (২২) ও তাঁর ভাই জাহাবুর সরকার জাফর (২৬)।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বছিলা থেকে মাহবুবকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থেকে জাহাবুর সরকার জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের চুরখাই গ্রামে নিহত আবুল খায়ের ও একই এলাকার কামাল হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবুল খায়ের জমির মাপ দিচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে গিয়ে তাঁর চাচাতো ভাই ট্রাকচালক কামাল হোসেন, তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও শ্যালক নাইম বাধা দেন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কামাল উদ্দিন ও তাঁর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খায়ের ও তাঁর ছেলের ওপর হামলা করেন। এতে আবুল খায়ের (৬০), তাঁর ছেলে ফরহাদ হোসেন (২০), রিফাত হোসেন (২৪), আবুল কাশেমের ছেলে আবু সাঈদ (২২) ও অপর আত্মীয় আবুল হাসেম (৪৭) আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আবুল খায়ের ও তাঁর ছেলে ফরহাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিহত আবুল খায়েরের ছেলে রিফাত মিয়া বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে মাহাবুব ও জাহাবুর সরকার জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
ওসি শাহ কামাল আকন্দ আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাবুব সরকার জাফর বাবা-ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মাহবুব স্বীকার না করায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় অভিযান চালিয়ে চার আসামি কামাল উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী জাহানারা, তাঁদের ১৫ বছর বয়সী ছেলে এবং কামাল উদ্দিনের শ্যালক নাঈমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে