বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় কলেজছাত্র শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ আশিক (১৮) হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে শাহান নামের একজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ও আশিকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আজ সোমবার উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কলেজছাত্র আশিক হত্যা ছিল ‘ক্লুলেস’। লাশ উদ্ধারের পরপরই রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ শুরু করে।
আশিক উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের পরানবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম বাবলুর ছেলে। তিনি বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রহিমাবাদ বি-বক্ল এলাকায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মেলায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন আশিক। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেননি। ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে একই ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে ভুট্টাখেত থেকে আশিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। আশিকের গলা ও হাত-পায়ের রগ কাটা ছিল। এ ঘটনায় তাঁর মা আরজিনা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে রাতেই থানায় মামলা করেন।
এদিকে, হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতেই কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের একজন রামপুর গ্রামের শাহান (১৮)। তিনি হত্যায় জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যায় ব্যবহার করা চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হত্যার কারণ, কতজন অংশ নিয়েছিলেন এবং কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি শাজাহানপুর থানা-পুলিশ।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কলেজছাত্র আশিক হত্যা ক্লুলেস ছিল। লাশ উদ্ধারের পরপরই রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ শুরু করে। হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কয়েকজনকে আটক করেছি। তাদের মধ্যে শাহান নামের একজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহার করা চাকু উদ্ধার করেছি।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে