ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ রাজধানীর বঙ্গবাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদা না দেওয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে মোবাইলে ফোন করে গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে।
ইমদাদুল হাসান সোহাগকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে অবগত হয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে খোঁজখবর নিচ্ছি, যাচাই-বাছাই করছি। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, বঙ্গবাজারের ওই ব্যবসায়ী ঢাকা দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা। নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি নাম প্রকাশ করতে চান না। তিনি বলেন, ‘গত ৩০ জানুয়ারি ছাত্রলীগের নেতা সোহাগ আমার কাছে ফোন দিয়ে টাকা চায়, আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমাকে গালিগালাজ করে, হলে এসে দেখা করতে বলে।’
ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়ার কয়েকটি অডিও রেকর্ড আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। এতে ব্যবসায়ীকে উদ্দেশ করে ছাত্রলীগের নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি কোথায়, ভাই? আপনাকে তো আমি খুঁজছি।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘কেন ভাই?’ তখন সোহাগ বলেন, ‘আপনাকে একটু দেখব, ভাই। আপনাকে একটু দেখার শখ হইছে আমার।’ তখন ব্যবসায়ী তাঁকে গুলিস্তানে যেতে বলেন। সোহাগ বলেন, ‘আমার অত দরকার নেই, আপনি হলে এসে দেখা করবেন।’
কথার একপর্যায়ে সোহাগ খেপে গিয়ে ব্যবসায়ীকে গালি দিয়ে বলেন, ‘তুই এত কথা কস ক্যা? তুই আসলে আসবি, না আসলে থাকবি।’ ব্যবসায়ী তখন বলেন, ‘আপনার সঙ্গে লেনাদেনা নেই, কী জন্য দেখা করব? আপনারা ঢাহা ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেহা করেন, আমরা পানিতানি বেইচা খাই।’ এতে সোহাগ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘তরে কী মোবাইলে কইতে হবে? তুই এত তর্ক করিস ক্যা? তুর কলিজায় কী পরিমাণ বল, এত বল আসে কোত্থেকে? তুই সামনাসামনি আয়, তুরে দেখার শখ!’
অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ ইসতিয়াক এম সৈয়দ বলেন, ‘আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। ব্যবসায়ীর কাছে যথেষ্ট প্রমাণ থাকলে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যেতে পারেন।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে