নাজমুল হাসান সাগর, রিমন রহমান ও রিপন চন্দ্র রায়, রাজশাহী থেকে

রাজশাহীতে জনসভায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। এটা হলো বাস্তব কথা। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি, ওরা কী করে? মানুষ খুন করে, অগ্নি-সন্ত্রাস করে।’
আজ রোববার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এসব কথা বলেন। রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে। শেখ হাসিনা এই জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজশাহীর মানুষকে ওয়াদা করান। জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত উঁচিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে।
বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতা এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছিলেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটা করে যেতে পারেননি। আপনারা জানেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে। একই সঙ্গে হত্যা করে আমার মা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। ছোট্ট ভাই রাসেলকেও। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। আমরা দেশে আসতে পারিনি। রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছিল ছয়টি বছর। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি। আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। আমি এই দেশে ফিরে আসি—এমন একটি দেশে, যেখানে আমার কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। জাতির পিতার খুনিদেরকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসানো হয়। সেই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে, যেভাবে আমার বাবা জাতির পিতা চেয়েছিলেন এই বাংলাদেশকে গড়তে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি ছিল। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এ দেশের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা দেয়নি, চিন্তাও করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ শুরু করে। রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা চালু করে দেন। এরপর সবই বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আমরা কাজ করি। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাঁধ করে দিয়ে সেই ভাঙন আমরা রোধ করে দিই। এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি রাজশাহীর মানুষের জন্য।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতা এখানে সুগার মিল, টেক্সটাইল মিল, জুটমিল করে দিয়েছিলেন। গোদাগাড়ীতে ডেইরি ফার্ম। এমনকি রেশম শিল্প পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছিল পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকারেরা। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে এটা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। বিএনপি অনেক কথা বলে। তারা আমাদেরকে নোটিশ দেয়। আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। এই বিএনপি-জামায়াত জোট যারা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞেস করি, পালায় কে? আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। পিছু হটে না। ওই জিয়াউর রহমান বাধা দিয়েছিল দেশে আসতে দেবে না। আমি বাধা অতিক্রম করেই দেশে ফিরে আসি। ২০০৭ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে, তখনো আমাকে দেশে ফিরতে দেবে না। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস দেওয়া হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আমি যাব এই কেস মোকাবিলা করব। আমি দেশে ফিরে এসেছি শুধুমাত্র এই বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি আজকে বলে, পালানোর সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ, আমি তাদের বলতে চাই আওয়ামী লীগ পালায় না, পালায় আপনাদের নেতারা। বিএনপির নেতারা কে? বিএনপি নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কাকে নিয়ে? দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত তাদের এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যে নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্ট্যাম্প কাগজে মুচলেকা দিয়েছিল, আর কখনো রাজনীতি করবে না বলে দেশ থেকে ভেগে গিয়েছিল, সেই কথা কি আমাদের বিএনপি নেতাদের মনে নেই। দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা-তারেক। খালেদা জিয়া তারেক-কোকোর মাধ্যমে যে টাকা পাচার করেছিল মানি লন্ডারিং করে, তার ৪০ কোটি টাকা আমরা বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে এসেছি। এর জবাব কি তারা দিতে পারবে? আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে কাজ করে। এই সংগঠন জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। এই সংগঠন যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। ৪০ ভাগ দারিদ্র্যসীমা আমরা ২০ ভাগে নামিয়েছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, সমস্ত ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। মা-বোনদের মাতৃত্বকালীন ভাতা আমরা দেই। আমাদের এই দেশের একটা মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষকে বিনা পয়সায় দুই কাঠা জমিসহ ঘর করে দিচ্ছি, যারা বাকি আছে তাদেরও করে দেব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
রাজশাহীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই রাজশাহী সব সময় অবহেলিত ছিল। আপনারা বিগত মেয়র ইলেকশনে আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমি আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই। এই রাজশাহীতে কিছুক্ষণ আগে কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ১৪ বছরে শুধুমাত্র রাজশাহী জেলা ও মহানগরে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে দিয়েছি। এই মহানগরে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আজকে কিছুক্ষণ আগে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ২৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ৩৭৫ কোটি টাকার ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। এই প্রকল্পগুলি আপনাদের জন্য আমি উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজশাহীতে পানির অভাব। পরিশুদ্ধ পানি যেন রাজশাহীর মানুষ পায়, সেই ব্যবস্থা করেছি। রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছি। বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে খেলাধুলার ট্রেনিং নেওয়া হয়, আমরা রাজশাহীতেও বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে দিচ্ছি যাতে যুবসমাজ খেলাধুলায় আগ্রহী হয়। এই ধরনের কাজগুলো আগামীতেও করে যাব। আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি। রাজশাহীতে আমরা বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক করে দিয়েছি। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছেলেমেয়েরা দেশে-বিদেশে কাজ পাবে। রাজশাহীতেও নভোথিয়েটার করে দিচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই ২০০১ সালের কথা চিন্তা করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায়। প্রতিনিয়ত রাজশাহীতে খুন, হত্যা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন। এই রাজশাহীতে ফাহিমা, মহিমা, নাজুফা কীভাবে তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করেছে ওই বিএনপি ক্যাডার বাহিনী এবং জামায়াত জোট। একটা বাচ্চা মেয়ে, গ্যাং রেপ করা হলো। তার বাবা-মা নৌকায় ভোট দিয়েছিল সেই কারণে। আরে নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। দেশ স্বাধীন না হলে ওদের নেতা জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেলের প্রমোশন পেত না। এটা তারা ভুলে যায়। দেশ স্বাধীন না হলে কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারত না খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী হতে পারত না। নৌকার ওপর এত রাগ কেন? নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ কী পায়? আজকে খাদ্যের নিরাপত্তা পাচ্ছে। পড়ালেখার নিশ্চয়তা পাচ্ছে। রোগে চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি বাড়ির কাছে। মা-বোন হেঁটে গিয়ে চিকিৎসা পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। বিনা পয়সায় ৩০ প্রকার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে সেখানে যেন ডায়াবেটিস পরীক্ষা হয়, প্রেশার পরীক্ষা করা যায়, আমরা ইনসুলিন দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সেইভাবেই আমরা মানুষের সেবা করি। নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। আর রাস্তাঘাট, একই দিনে ১০০ সেতু, একই দিনে ১০০ সড়ক কোন সরকার করতে পেরেছে? কোনো সরকার না। আওয়ামী লীগ সরকার, নৌকা মার্কার সরকার করে দেখিয়েছে।’
করোনার সময় সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘করোনাকালীন সময় যখন সবকিছু বন্ধ, আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলাম বলে বিনা পয়সায় করোনা টেস্ট করার ব্যবস্থা, বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশও তো দেয় নাই। এই আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। কোনো পরিবার যেন কষ্টে না থাকে সেদিকে বিবেচনা করেছি। এখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি। যে জিনিস ৬ ডলারে কিনতাম, তা কিনছি ৬৮ ডলারে। যে জিনিস ২০০ ডলারে কিনতাম, তা কিনছি ৬০০ ডলারে। তারপরও আমরা থেমে থাকিনি। আমরা ১ কোটি মানুষের জন্য টিসিবির কার্ড করে দিয়েছি। মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারবেন। যারা নিম্নবিত্ত, তারা ১৫ টাকা কেজিতে চাল নিতে পারবেন। যারা একেবারে হতদরিদ্র তাদের বিনা পয়সায় ভিজিডি-ভিজিএফের মাধ্যমে বিনা পয়সায় ৩০ কেজি করে চাল দিয়ে যাচ্ছি। চাল, ডাল, তেল, চিনি প্রত্যেকটা জিনিস অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনে আনলেও আমরা কম মূল্যে সাধারণ মানুষকে দিচ্ছি, যেন মানুষের কষ্ট না হয়।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এমনকি প্রথমবার সরকারে এসে আমরা খাদ্যনিরাপত্তা থেকে শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার করে দিয়েছি। ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে সঙ্গে মসজিদভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মসজিদ-মন্দিরে যেন প্রাথমিক শিক্ষা দিতে পারে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে। ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল কোরআন শরিফ করে দিয়েছি, যেখানে আরবিতে লেখা থাকবে, বাংলায় উচ্চারণ তর্জমাসহ সেটি আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। ৫৬০টা মডেল মসজিদ করে দিচ্ছি। কোন সরকার করেছে? বিএনপি ছিল, খালেদা জিয়া-জিয়া এসব কেউ করেছে? কেউ করেনি। করেছে শুধু আওয়ামী লীগ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য নগদ অর্থসহায়তা করেছি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ তহবিল থেকে। সাধারণ মানুষকেও আমরা অর্থসহায়তা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। এটা হলো বাস্তব কথা। আমরা চাই এই দেশ এগিয়ে যাক। দেশকে উন্নত করতে চাই। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি ওরা কী করে? মানুষ খুন করা, অগ্নি-সন্ত্রাস। ৩ হাজার ৮০০ বাস, ২৯টা ট্রেন, লঞ্চ, প্রায় ৭০টা সরকারি অফিস, ৬টা ভূমি অফিস তারা আন্দোলনের নামে পুড়িয়েছে। আমি জানি না, আপনারাই বিবেচনা করেন, কোনো মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে? এই বিএনপি-জামায়াত কীভাবে জীবন্ত মানুষগুলিকে পুড়িয়ে মেরেছে। শুধু সাধারণ মানুষ না। পুলিশকে মাটিতে ফেলে এই রাজশাহীতে পিটিয়েছে! অমানবিক চরিত্র তাদের। তারা মানুষ চেনে না। তারা মানুষের জন্য কিছু করে না। তাদের কাজ খালি নিজে লুটেপুটে খাবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে আপনারা জানেন না, জিয়াউর রহমান যখন মারা গেল, তখন দেখা গেল কী? কিছু রেখে যায় নাই। একটা ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া। পরে দেখা গেল, সে ভাঙা স্যুটকেস কোথায়! খালেদা জিয়ার মূল্যবান শাড়ি ফ্রান্স থেকে কিনে আনে। এত টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে যে, এখন যান আপনারা দেখবেন কীভাবে আয়েশি জীবনযাপন করেছে। আর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের গিবত গায়, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আর মানুষকে উসকানি দেয়—এটাই তাদের কাজ। বাংলাদেশের মানুষের কোনো ভালো তারা সহ্য করতে পারে না। এটা হলো বাস্তবতা। এরা অপকর্ম-লুটপাট করতে পারে। বাংলা ভাই সৃষ্টি করে এই রাজশাহীতে অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে দিবালোকে তারা মিছিল করে, আর পুলিশ দেয় তাদের পাহারা। অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে পুলিশ পাহারা দেয়। এই তো খালেদা জিয়ার ২০০১ থেকে ২০০৬। তাদের দুর্নীতি-অনিয়ম, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যার ফলে বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার হয়। তা ছাড়া কোনো কারণ ছিল না। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণেই এটা হয়েছে। তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ছাড়া কিছু বোঝে না। আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে মানুষের শান্তি থাকে। দেশের উন্নতি হয়। আমরা যে ওয়াদা দেই, তা রক্ষা করি। ২০০৮-এর নির্বাচনে বলেছিলাম, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করব। আমরা তা করেছি। আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আগামীতে বাংলাদেশকে আরও উন্নত করতে চাই। প্রত্যেকটা যুবক কাজ পাবে।’
আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু করে দিয়েছি। এর আগে যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু করে দিয়েছিলাম। সমস্ত বাংলাদেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এসে গেছে। বন্ধ থাকা এয়ারপোর্ট আমরা চালু করে দিয়েছি। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। দেশের উন্নতি হোক। করোনাকালীন সময়ে আমি আসতে পারিনি। আজকে আপনাদের মাঝে এসে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গত নির্বাচনে নৌকা মার্কায় আপনারা ভোট দিয়েছেন। সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলব, আগামী নির্বাচন আসবে এই বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন কি না ওয়াদা চাই।’ এ সময় জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত তুলে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি দেন।
জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

রাজশাহীতে জনসভায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। এটা হলো বাস্তব কথা। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি, ওরা কী করে? মানুষ খুন করে, অগ্নি-সন্ত্রাস করে।’
আজ রোববার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এসব কথা বলেন। রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে। শেখ হাসিনা এই জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজশাহীর মানুষকে ওয়াদা করান। জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত উঁচিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে।
বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতা এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছিলেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটা করে যেতে পারেননি। আপনারা জানেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে। একই সঙ্গে হত্যা করে আমার মা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। ছোট্ট ভাই রাসেলকেও। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। আমরা দেশে আসতে পারিনি। রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছিল ছয়টি বছর। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি। আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। আমি এই দেশে ফিরে আসি—এমন একটি দেশে, যেখানে আমার কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। জাতির পিতার খুনিদেরকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসানো হয়। সেই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে, যেভাবে আমার বাবা জাতির পিতা চেয়েছিলেন এই বাংলাদেশকে গড়তে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি ছিল। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এ দেশের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা দেয়নি, চিন্তাও করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ শুরু করে। রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা চালু করে দেন। এরপর সবই বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আমরা কাজ করি। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাঁধ করে দিয়ে সেই ভাঙন আমরা রোধ করে দিই। এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি রাজশাহীর মানুষের জন্য।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতা এখানে সুগার মিল, টেক্সটাইল মিল, জুটমিল করে দিয়েছিলেন। গোদাগাড়ীতে ডেইরি ফার্ম। এমনকি রেশম শিল্প পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছিল পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকারেরা। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে এটা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। বিএনপি অনেক কথা বলে। তারা আমাদেরকে নোটিশ দেয়। আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। এই বিএনপি-জামায়াত জোট যারা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞেস করি, পালায় কে? আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। পিছু হটে না। ওই জিয়াউর রহমান বাধা দিয়েছিল দেশে আসতে দেবে না। আমি বাধা অতিক্রম করেই দেশে ফিরে আসি। ২০০৭ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে, তখনো আমাকে দেশে ফিরতে দেবে না। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস দেওয়া হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আমি যাব এই কেস মোকাবিলা করব। আমি দেশে ফিরে এসেছি শুধুমাত্র এই বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি আজকে বলে, পালানোর সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ, আমি তাদের বলতে চাই আওয়ামী লীগ পালায় না, পালায় আপনাদের নেতারা। বিএনপির নেতারা কে? বিএনপি নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কাকে নিয়ে? দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত তাদের এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যে নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্ট্যাম্প কাগজে মুচলেকা দিয়েছিল, আর কখনো রাজনীতি করবে না বলে দেশ থেকে ভেগে গিয়েছিল, সেই কথা কি আমাদের বিএনপি নেতাদের মনে নেই। দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা-তারেক। খালেদা জিয়া তারেক-কোকোর মাধ্যমে যে টাকা পাচার করেছিল মানি লন্ডারিং করে, তার ৪০ কোটি টাকা আমরা বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে এসেছি। এর জবাব কি তারা দিতে পারবে? আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে কাজ করে। এই সংগঠন জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। এই সংগঠন যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। ৪০ ভাগ দারিদ্র্যসীমা আমরা ২০ ভাগে নামিয়েছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, সমস্ত ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। মা-বোনদের মাতৃত্বকালীন ভাতা আমরা দেই। আমাদের এই দেশের একটা মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষকে বিনা পয়সায় দুই কাঠা জমিসহ ঘর করে দিচ্ছি, যারা বাকি আছে তাদেরও করে দেব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
রাজশাহীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই রাজশাহী সব সময় অবহেলিত ছিল। আপনারা বিগত মেয়র ইলেকশনে আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমি আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই। এই রাজশাহীতে কিছুক্ষণ আগে কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ১৪ বছরে শুধুমাত্র রাজশাহী জেলা ও মহানগরে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে দিয়েছি। এই মহানগরে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আজকে কিছুক্ষণ আগে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ২৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ৩৭৫ কোটি টাকার ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। এই প্রকল্পগুলি আপনাদের জন্য আমি উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজশাহীতে পানির অভাব। পরিশুদ্ধ পানি যেন রাজশাহীর মানুষ পায়, সেই ব্যবস্থা করেছি। রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছি। বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে খেলাধুলার ট্রেনিং নেওয়া হয়, আমরা রাজশাহীতেও বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে দিচ্ছি যাতে যুবসমাজ খেলাধুলায় আগ্রহী হয়। এই ধরনের কাজগুলো আগামীতেও করে যাব। আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি। রাজশাহীতে আমরা বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক করে দিয়েছি। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছেলেমেয়েরা দেশে-বিদেশে কাজ পাবে। রাজশাহীতেও নভোথিয়েটার করে দিচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই ২০০১ সালের কথা চিন্তা করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায়। প্রতিনিয়ত রাজশাহীতে খুন, হত্যা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন। এই রাজশাহীতে ফাহিমা, মহিমা, নাজুফা কীভাবে তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করেছে ওই বিএনপি ক্যাডার বাহিনী এবং জামায়াত জোট। একটা বাচ্চা মেয়ে, গ্যাং রেপ করা হলো। তার বাবা-মা নৌকায় ভোট দিয়েছিল সেই কারণে। আরে নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। দেশ স্বাধীন না হলে ওদের নেতা জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেলের প্রমোশন পেত না। এটা তারা ভুলে যায়। দেশ স্বাধীন না হলে কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারত না খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী হতে পারত না। নৌকার ওপর এত রাগ কেন? নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ কী পায়? আজকে খাদ্যের নিরাপত্তা পাচ্ছে। পড়ালেখার নিশ্চয়তা পাচ্ছে। রোগে চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি বাড়ির কাছে। মা-বোন হেঁটে গিয়ে চিকিৎসা পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। বিনা পয়সায় ৩০ প্রকার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে সেখানে যেন ডায়াবেটিস পরীক্ষা হয়, প্রেশার পরীক্ষা করা যায়, আমরা ইনসুলিন দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সেইভাবেই আমরা মানুষের সেবা করি। নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। আর রাস্তাঘাট, একই দিনে ১০০ সেতু, একই দিনে ১০০ সড়ক কোন সরকার করতে পেরেছে? কোনো সরকার না। আওয়ামী লীগ সরকার, নৌকা মার্কার সরকার করে দেখিয়েছে।’
করোনার সময় সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘করোনাকালীন সময় যখন সবকিছু বন্ধ, আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলাম বলে বিনা পয়সায় করোনা টেস্ট করার ব্যবস্থা, বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশও তো দেয় নাই। এই আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। কোনো পরিবার যেন কষ্টে না থাকে সেদিকে বিবেচনা করেছি। এখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি। যে জিনিস ৬ ডলারে কিনতাম, তা কিনছি ৬৮ ডলারে। যে জিনিস ২০০ ডলারে কিনতাম, তা কিনছি ৬০০ ডলারে। তারপরও আমরা থেমে থাকিনি। আমরা ১ কোটি মানুষের জন্য টিসিবির কার্ড করে দিয়েছি। মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারবেন। যারা নিম্নবিত্ত, তারা ১৫ টাকা কেজিতে চাল নিতে পারবেন। যারা একেবারে হতদরিদ্র তাদের বিনা পয়সায় ভিজিডি-ভিজিএফের মাধ্যমে বিনা পয়সায় ৩০ কেজি করে চাল দিয়ে যাচ্ছি। চাল, ডাল, তেল, চিনি প্রত্যেকটা জিনিস অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনে আনলেও আমরা কম মূল্যে সাধারণ মানুষকে দিচ্ছি, যেন মানুষের কষ্ট না হয়।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এমনকি প্রথমবার সরকারে এসে আমরা খাদ্যনিরাপত্তা থেকে শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার করে দিয়েছি। ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে সঙ্গে মসজিদভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মসজিদ-মন্দিরে যেন প্রাথমিক শিক্ষা দিতে পারে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে। ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল কোরআন শরিফ করে দিয়েছি, যেখানে আরবিতে লেখা থাকবে, বাংলায় উচ্চারণ তর্জমাসহ সেটি আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। ৫৬০টা মডেল মসজিদ করে দিচ্ছি। কোন সরকার করেছে? বিএনপি ছিল, খালেদা জিয়া-জিয়া এসব কেউ করেছে? কেউ করেনি। করেছে শুধু আওয়ামী লীগ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য নগদ অর্থসহায়তা করেছি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ তহবিল থেকে। সাধারণ মানুষকেও আমরা অর্থসহায়তা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। এটা হলো বাস্তব কথা। আমরা চাই এই দেশ এগিয়ে যাক। দেশকে উন্নত করতে চাই। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি ওরা কী করে? মানুষ খুন করা, অগ্নি-সন্ত্রাস। ৩ হাজার ৮০০ বাস, ২৯টা ট্রেন, লঞ্চ, প্রায় ৭০টা সরকারি অফিস, ৬টা ভূমি অফিস তারা আন্দোলনের নামে পুড়িয়েছে। আমি জানি না, আপনারাই বিবেচনা করেন, কোনো মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে? এই বিএনপি-জামায়াত কীভাবে জীবন্ত মানুষগুলিকে পুড়িয়ে মেরেছে। শুধু সাধারণ মানুষ না। পুলিশকে মাটিতে ফেলে এই রাজশাহীতে পিটিয়েছে! অমানবিক চরিত্র তাদের। তারা মানুষ চেনে না। তারা মানুষের জন্য কিছু করে না। তাদের কাজ খালি নিজে লুটেপুটে খাবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে আপনারা জানেন না, জিয়াউর রহমান যখন মারা গেল, তখন দেখা গেল কী? কিছু রেখে যায় নাই। একটা ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া। পরে দেখা গেল, সে ভাঙা স্যুটকেস কোথায়! খালেদা জিয়ার মূল্যবান শাড়ি ফ্রান্স থেকে কিনে আনে। এত টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে যে, এখন যান আপনারা দেখবেন কীভাবে আয়েশি জীবনযাপন করেছে। আর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের গিবত গায়, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আর মানুষকে উসকানি দেয়—এটাই তাদের কাজ। বাংলাদেশের মানুষের কোনো ভালো তারা সহ্য করতে পারে না। এটা হলো বাস্তবতা। এরা অপকর্ম-লুটপাট করতে পারে। বাংলা ভাই সৃষ্টি করে এই রাজশাহীতে অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে দিবালোকে তারা মিছিল করে, আর পুলিশ দেয় তাদের পাহারা। অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে পুলিশ পাহারা দেয়। এই তো খালেদা জিয়ার ২০০১ থেকে ২০০৬। তাদের দুর্নীতি-অনিয়ম, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যার ফলে বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার হয়। তা ছাড়া কোনো কারণ ছিল না। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণেই এটা হয়েছে। তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ছাড়া কিছু বোঝে না। আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে মানুষের শান্তি থাকে। দেশের উন্নতি হয়। আমরা যে ওয়াদা দেই, তা রক্ষা করি। ২০০৮-এর নির্বাচনে বলেছিলাম, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করব। আমরা তা করেছি। আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আগামীতে বাংলাদেশকে আরও উন্নত করতে চাই। প্রত্যেকটা যুবক কাজ পাবে।’
আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু করে দিয়েছি। এর আগে যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু করে দিয়েছিলাম। সমস্ত বাংলাদেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এসে গেছে। বন্ধ থাকা এয়ারপোর্ট আমরা চালু করে দিয়েছি। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। দেশের উন্নতি হোক। করোনাকালীন সময়ে আমি আসতে পারিনি। আজকে আপনাদের মাঝে এসে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গত নির্বাচনে নৌকা মার্কায় আপনারা ভোট দিয়েছেন। সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলব, আগামী নির্বাচন আসবে এই বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন কি না ওয়াদা চাই।’ এ সময় জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত তুলে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি দেন।
জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
নাজমুল হাসান সাগর, রিমন রহমান ও রিপন চন্দ্র রায়, রাজশাহী থেকে

রাজশাহীতে জনসভায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। এটা হলো বাস্তব কথা। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি, ওরা কী করে? মানুষ খুন করে, অগ্নি-সন্ত্রাস করে।’
আজ রোববার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এসব কথা বলেন। রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে। শেখ হাসিনা এই জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজশাহীর মানুষকে ওয়াদা করান। জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত উঁচিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে।
বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতা এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছিলেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটা করে যেতে পারেননি। আপনারা জানেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে। একই সঙ্গে হত্যা করে আমার মা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। ছোট্ট ভাই রাসেলকেও। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। আমরা দেশে আসতে পারিনি। রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছিল ছয়টি বছর। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি। আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। আমি এই দেশে ফিরে আসি—এমন একটি দেশে, যেখানে আমার কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। জাতির পিতার খুনিদেরকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসানো হয়। সেই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে, যেভাবে আমার বাবা জাতির পিতা চেয়েছিলেন এই বাংলাদেশকে গড়তে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি ছিল। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এ দেশের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা দেয়নি, চিন্তাও করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ শুরু করে। রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা চালু করে দেন। এরপর সবই বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আমরা কাজ করি। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাঁধ করে দিয়ে সেই ভাঙন আমরা রোধ করে দিই। এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি রাজশাহীর মানুষের জন্য।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতা এখানে সুগার মিল, টেক্সটাইল মিল, জুটমিল করে দিয়েছিলেন। গোদাগাড়ীতে ডেইরি ফার্ম। এমনকি রেশম শিল্প পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছিল পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকারেরা। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে এটা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। বিএনপি অনেক কথা বলে। তারা আমাদেরকে নোটিশ দেয়। আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। এই বিএনপি-জামায়াত জোট যারা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞেস করি, পালায় কে? আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। পিছু হটে না। ওই জিয়াউর রহমান বাধা দিয়েছিল দেশে আসতে দেবে না। আমি বাধা অতিক্রম করেই দেশে ফিরে আসি। ২০০৭ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে, তখনো আমাকে দেশে ফিরতে দেবে না। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস দেওয়া হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আমি যাব এই কেস মোকাবিলা করব। আমি দেশে ফিরে এসেছি শুধুমাত্র এই বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি আজকে বলে, পালানোর সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ, আমি তাদের বলতে চাই আওয়ামী লীগ পালায় না, পালায় আপনাদের নেতারা। বিএনপির নেতারা কে? বিএনপি নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কাকে নিয়ে? দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত তাদের এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যে নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্ট্যাম্প কাগজে মুচলেকা দিয়েছিল, আর কখনো রাজনীতি করবে না বলে দেশ থেকে ভেগে গিয়েছিল, সেই কথা কি আমাদের বিএনপি নেতাদের মনে নেই। দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা-তারেক। খালেদা জিয়া তারেক-কোকোর মাধ্যমে যে টাকা পাচার করেছিল মানি লন্ডারিং করে, তার ৪০ কোটি টাকা আমরা বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে এসেছি। এর জবাব কি তারা দিতে পারবে? আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে কাজ করে। এই সংগঠন জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। এই সংগঠন যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। ৪০ ভাগ দারিদ্র্যসীমা আমরা ২০ ভাগে নামিয়েছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, সমস্ত ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। মা-বোনদের মাতৃত্বকালীন ভাতা আমরা দেই। আমাদের এই দেশের একটা মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষকে বিনা পয়সায় দুই কাঠা জমিসহ ঘর করে দিচ্ছি, যারা বাকি আছে তাদেরও করে দেব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
রাজশাহীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই রাজশাহী সব সময় অবহেলিত ছিল। আপনারা বিগত মেয়র ইলেকশনে আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমি আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই। এই রাজশাহীতে কিছুক্ষণ আগে কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ১৪ বছরে শুধুমাত্র রাজশাহী জেলা ও মহানগরে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে দিয়েছি। এই মহানগরে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আজকে কিছুক্ষণ আগে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ২৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ৩৭৫ কোটি টাকার ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। এই প্রকল্পগুলি আপনাদের জন্য আমি উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজশাহীতে পানির অভাব। পরিশুদ্ধ পানি যেন রাজশাহীর মানুষ পায়, সেই ব্যবস্থা করেছি। রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছি। বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে খেলাধুলার ট্রেনিং নেওয়া হয়, আমরা রাজশাহীতেও বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে দিচ্ছি যাতে যুবসমাজ খেলাধুলায় আগ্রহী হয়। এই ধরনের কাজগুলো আগামীতেও করে যাব। আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি। রাজশাহীতে আমরা বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক করে দিয়েছি। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছেলেমেয়েরা দেশে-বিদেশে কাজ পাবে। রাজশাহীতেও নভোথিয়েটার করে দিচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই ২০০১ সালের কথা চিন্তা করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায়। প্রতিনিয়ত রাজশাহীতে খুন, হত্যা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন। এই রাজশাহীতে ফাহিমা, মহিমা, নাজুফা কীভাবে তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করেছে ওই বিএনপি ক্যাডার বাহিনী এবং জামায়াত জোট। একটা বাচ্চা মেয়ে, গ্যাং রেপ করা হলো। তার বাবা-মা নৌকায় ভোট দিয়েছিল সেই কারণে। আরে নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। দেশ স্বাধীন না হলে ওদের নেতা জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেলের প্রমোশন পেত না। এটা তারা ভুলে যায়। দেশ স্বাধীন না হলে কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারত না খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী হতে পারত না। নৌকার ওপর এত রাগ কেন? নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ কী পায়? আজকে খাদ্যের নিরাপত্তা পাচ্ছে। পড়ালেখার নিশ্চয়তা পাচ্ছে। রোগে চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি বাড়ির কাছে। মা-বোন হেঁটে গিয়ে চিকিৎসা পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। বিনা পয়সায় ৩০ প্রকার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে সেখানে যেন ডায়াবেটিস পরীক্ষা হয়, প্রেশার পরীক্ষা করা যায়, আমরা ইনসুলিন দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সেইভাবেই আমরা মানুষের সেবা করি। নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। আর রাস্তাঘাট, একই দিনে ১০০ সেতু, একই দিনে ১০০ সড়ক কোন সরকার করতে পেরেছে? কোনো সরকার না। আওয়ামী লীগ সরকার, নৌকা মার্কার সরকার করে দেখিয়েছে।’
করোনার সময় সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘করোনাকালীন সময় যখন সবকিছু বন্ধ, আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলাম বলে বিনা পয়সায় করোনা টেস্ট করার ব্যবস্থা, বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশও তো দেয় নাই। এই আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। কোনো পরিবার যেন কষ্টে না থাকে সেদিকে বিবেচনা করেছি। এখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি। যে জিনিস ৬ ডলারে কিনতাম, তা কিনছি ৬৮ ডলারে। যে জিনিস ২০০ ডলারে কিনতাম, তা কিনছি ৬০০ ডলারে। তারপরও আমরা থেমে থাকিনি। আমরা ১ কোটি মানুষের জন্য টিসিবির কার্ড করে দিয়েছি। মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারবেন। যারা নিম্নবিত্ত, তারা ১৫ টাকা কেজিতে চাল নিতে পারবেন। যারা একেবারে হতদরিদ্র তাদের বিনা পয়সায় ভিজিডি-ভিজিএফের মাধ্যমে বিনা পয়সায় ৩০ কেজি করে চাল দিয়ে যাচ্ছি। চাল, ডাল, তেল, চিনি প্রত্যেকটা জিনিস অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনে আনলেও আমরা কম মূল্যে সাধারণ মানুষকে দিচ্ছি, যেন মানুষের কষ্ট না হয়।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এমনকি প্রথমবার সরকারে এসে আমরা খাদ্যনিরাপত্তা থেকে শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার করে দিয়েছি। ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে সঙ্গে মসজিদভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মসজিদ-মন্দিরে যেন প্রাথমিক শিক্ষা দিতে পারে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে। ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল কোরআন শরিফ করে দিয়েছি, যেখানে আরবিতে লেখা থাকবে, বাংলায় উচ্চারণ তর্জমাসহ সেটি আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। ৫৬০টা মডেল মসজিদ করে দিচ্ছি। কোন সরকার করেছে? বিএনপি ছিল, খালেদা জিয়া-জিয়া এসব কেউ করেছে? কেউ করেনি। করেছে শুধু আওয়ামী লীগ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য নগদ অর্থসহায়তা করেছি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ তহবিল থেকে। সাধারণ মানুষকেও আমরা অর্থসহায়তা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। এটা হলো বাস্তব কথা। আমরা চাই এই দেশ এগিয়ে যাক। দেশকে উন্নত করতে চাই। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি ওরা কী করে? মানুষ খুন করা, অগ্নি-সন্ত্রাস। ৩ হাজার ৮০০ বাস, ২৯টা ট্রেন, লঞ্চ, প্রায় ৭০টা সরকারি অফিস, ৬টা ভূমি অফিস তারা আন্দোলনের নামে পুড়িয়েছে। আমি জানি না, আপনারাই বিবেচনা করেন, কোনো মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে? এই বিএনপি-জামায়াত কীভাবে জীবন্ত মানুষগুলিকে পুড়িয়ে মেরেছে। শুধু সাধারণ মানুষ না। পুলিশকে মাটিতে ফেলে এই রাজশাহীতে পিটিয়েছে! অমানবিক চরিত্র তাদের। তারা মানুষ চেনে না। তারা মানুষের জন্য কিছু করে না। তাদের কাজ খালি নিজে লুটেপুটে খাবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে আপনারা জানেন না, জিয়াউর রহমান যখন মারা গেল, তখন দেখা গেল কী? কিছু রেখে যায় নাই। একটা ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া। পরে দেখা গেল, সে ভাঙা স্যুটকেস কোথায়! খালেদা জিয়ার মূল্যবান শাড়ি ফ্রান্স থেকে কিনে আনে। এত টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে যে, এখন যান আপনারা দেখবেন কীভাবে আয়েশি জীবনযাপন করেছে। আর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের গিবত গায়, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আর মানুষকে উসকানি দেয়—এটাই তাদের কাজ। বাংলাদেশের মানুষের কোনো ভালো তারা সহ্য করতে পারে না। এটা হলো বাস্তবতা। এরা অপকর্ম-লুটপাট করতে পারে। বাংলা ভাই সৃষ্টি করে এই রাজশাহীতে অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে দিবালোকে তারা মিছিল করে, আর পুলিশ দেয় তাদের পাহারা। অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে পুলিশ পাহারা দেয়। এই তো খালেদা জিয়ার ২০০১ থেকে ২০০৬। তাদের দুর্নীতি-অনিয়ম, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যার ফলে বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার হয়। তা ছাড়া কোনো কারণ ছিল না। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণেই এটা হয়েছে। তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ছাড়া কিছু বোঝে না। আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে মানুষের শান্তি থাকে। দেশের উন্নতি হয়। আমরা যে ওয়াদা দেই, তা রক্ষা করি। ২০০৮-এর নির্বাচনে বলেছিলাম, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করব। আমরা তা করেছি। আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আগামীতে বাংলাদেশকে আরও উন্নত করতে চাই। প্রত্যেকটা যুবক কাজ পাবে।’
আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু করে দিয়েছি। এর আগে যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু করে দিয়েছিলাম। সমস্ত বাংলাদেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এসে গেছে। বন্ধ থাকা এয়ারপোর্ট আমরা চালু করে দিয়েছি। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। দেশের উন্নতি হোক। করোনাকালীন সময়ে আমি আসতে পারিনি। আজকে আপনাদের মাঝে এসে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গত নির্বাচনে নৌকা মার্কায় আপনারা ভোট দিয়েছেন। সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলব, আগামী নির্বাচন আসবে এই বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন কি না ওয়াদা চাই।’ এ সময় জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত তুলে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি দেন।
জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

রাজশাহীতে জনসভায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। এটা হলো বাস্তব কথা। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি, ওরা কী করে? মানুষ খুন করে, অগ্নি-সন্ত্রাস করে।’
আজ রোববার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এসব কথা বলেন। রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে। শেখ হাসিনা এই জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজশাহীর মানুষকে ওয়াদা করান। জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত উঁচিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে।
বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতা এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছিলেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটা করে যেতে পারেননি। আপনারা জানেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে। একই সঙ্গে হত্যা করে আমার মা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। ছোট্ট ভাই রাসেলকেও। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। আমরা দেশে আসতে পারিনি। রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছিল ছয়টি বছর। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি। আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। আমি এই দেশে ফিরে আসি—এমন একটি দেশে, যেখানে আমার কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। জাতির পিতার খুনিদেরকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসানো হয়। সেই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে, যেভাবে আমার বাবা জাতির পিতা চেয়েছিলেন এই বাংলাদেশকে গড়তে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি ছিল। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এ দেশের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা দেয়নি, চিন্তাও করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ শুরু করে। রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা চালু করে দেন। এরপর সবই বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আমরা কাজ করি। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাঁধ করে দিয়ে সেই ভাঙন আমরা রোধ করে দিই। এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি রাজশাহীর মানুষের জন্য।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতা এখানে সুগার মিল, টেক্সটাইল মিল, জুটমিল করে দিয়েছিলেন। গোদাগাড়ীতে ডেইরি ফার্ম। এমনকি রেশম শিল্প পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছিল পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকারেরা। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে এটা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। বিএনপি অনেক কথা বলে। তারা আমাদেরকে নোটিশ দেয়। আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। এই বিএনপি-জামায়াত জোট যারা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞেস করি, পালায় কে? আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। পিছু হটে না। ওই জিয়াউর রহমান বাধা দিয়েছিল দেশে আসতে দেবে না। আমি বাধা অতিক্রম করেই দেশে ফিরে আসি। ২০০৭ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে, তখনো আমাকে দেশে ফিরতে দেবে না। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস দেওয়া হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আমি যাব এই কেস মোকাবিলা করব। আমি দেশে ফিরে এসেছি শুধুমাত্র এই বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি আজকে বলে, পালানোর সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ, আমি তাদের বলতে চাই আওয়ামী লীগ পালায় না, পালায় আপনাদের নেতারা। বিএনপির নেতারা কে? বিএনপি নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কাকে নিয়ে? দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত তাদের এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যে নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্ট্যাম্প কাগজে মুচলেকা দিয়েছিল, আর কখনো রাজনীতি করবে না বলে দেশ থেকে ভেগে গিয়েছিল, সেই কথা কি আমাদের বিএনপি নেতাদের মনে নেই। দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা-তারেক। খালেদা জিয়া তারেক-কোকোর মাধ্যমে যে টাকা পাচার করেছিল মানি লন্ডারিং করে, তার ৪০ কোটি টাকা আমরা বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে এসেছি। এর জবাব কি তারা দিতে পারবে? আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে কাজ করে। এই সংগঠন জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। এই সংগঠন যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। ৪০ ভাগ দারিদ্র্যসীমা আমরা ২০ ভাগে নামিয়েছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, সমস্ত ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। মা-বোনদের মাতৃত্বকালীন ভাতা আমরা দেই। আমাদের এই দেশের একটা মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষকে বিনা পয়সায় দুই কাঠা জমিসহ ঘর করে দিচ্ছি, যারা বাকি আছে তাদেরও করে দেব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
রাজশাহীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই রাজশাহী সব সময় অবহেলিত ছিল। আপনারা বিগত মেয়র ইলেকশনে আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমি আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই। এই রাজশাহীতে কিছুক্ষণ আগে কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ১৪ বছরে শুধুমাত্র রাজশাহী জেলা ও মহানগরে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে দিয়েছি। এই মহানগরে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আজকে কিছুক্ষণ আগে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ২৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ৩৭৫ কোটি টাকার ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। এই প্রকল্পগুলি আপনাদের জন্য আমি উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজশাহীতে পানির অভাব। পরিশুদ্ধ পানি যেন রাজশাহীর মানুষ পায়, সেই ব্যবস্থা করেছি। রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছি। বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে খেলাধুলার ট্রেনিং নেওয়া হয়, আমরা রাজশাহীতেও বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে দিচ্ছি যাতে যুবসমাজ খেলাধুলায় আগ্রহী হয়। এই ধরনের কাজগুলো আগামীতেও করে যাব। আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি। রাজশাহীতে আমরা বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক করে দিয়েছি। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছেলেমেয়েরা দেশে-বিদেশে কাজ পাবে। রাজশাহীতেও নভোথিয়েটার করে দিচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই ২০০১ সালের কথা চিন্তা করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায়। প্রতিনিয়ত রাজশাহীতে খুন, হত্যা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন। এই রাজশাহীতে ফাহিমা, মহিমা, নাজুফা কীভাবে তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করেছে ওই বিএনপি ক্যাডার বাহিনী এবং জামায়াত জোট। একটা বাচ্চা মেয়ে, গ্যাং রেপ করা হলো। তার বাবা-মা নৌকায় ভোট দিয়েছিল সেই কারণে। আরে নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। দেশ স্বাধীন না হলে ওদের নেতা জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেলের প্রমোশন পেত না। এটা তারা ভুলে যায়। দেশ স্বাধীন না হলে কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারত না খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রী হতে পারত না। নৌকার ওপর এত রাগ কেন? নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ কী পায়? আজকে খাদ্যের নিরাপত্তা পাচ্ছে। পড়ালেখার নিশ্চয়তা পাচ্ছে। রোগে চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি বাড়ির কাছে। মা-বোন হেঁটে গিয়ে চিকিৎসা পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। বিনা পয়সায় ৩০ প্রকার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে সেখানে যেন ডায়াবেটিস পরীক্ষা হয়, প্রেশার পরীক্ষা করা যায়, আমরা ইনসুলিন দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সেইভাবেই আমরা মানুষের সেবা করি। নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। আর রাস্তাঘাট, একই দিনে ১০০ সেতু, একই দিনে ১০০ সড়ক কোন সরকার করতে পেরেছে? কোনো সরকার না। আওয়ামী লীগ সরকার, নৌকা মার্কার সরকার করে দেখিয়েছে।’
করোনার সময় সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘করোনাকালীন সময় যখন সবকিছু বন্ধ, আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলাম বলে বিনা পয়সায় করোনা টেস্ট করার ব্যবস্থা, বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশও তো দেয় নাই। এই আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। কোনো পরিবার যেন কষ্টে না থাকে সেদিকে বিবেচনা করেছি। এখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি। যে জিনিস ৬ ডলারে কিনতাম, তা কিনছি ৬৮ ডলারে। যে জিনিস ২০০ ডলারে কিনতাম, তা কিনছি ৬০০ ডলারে। তারপরও আমরা থেমে থাকিনি। আমরা ১ কোটি মানুষের জন্য টিসিবির কার্ড করে দিয়েছি। মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারবেন। যারা নিম্নবিত্ত, তারা ১৫ টাকা কেজিতে চাল নিতে পারবেন। যারা একেবারে হতদরিদ্র তাদের বিনা পয়সায় ভিজিডি-ভিজিএফের মাধ্যমে বিনা পয়সায় ৩০ কেজি করে চাল দিয়ে যাচ্ছি। চাল, ডাল, তেল, চিনি প্রত্যেকটা জিনিস অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনে আনলেও আমরা কম মূল্যে সাধারণ মানুষকে দিচ্ছি, যেন মানুষের কষ্ট না হয়।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এমনকি প্রথমবার সরকারে এসে আমরা খাদ্যনিরাপত্তা থেকে শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার করে দিয়েছি। ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে সঙ্গে মসজিদভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মসজিদ-মন্দিরে যেন প্রাথমিক শিক্ষা দিতে পারে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে। ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছি। আমরা ডিজিটাল কোরআন শরিফ করে দিয়েছি, যেখানে আরবিতে লেখা থাকবে, বাংলায় উচ্চারণ তর্জমাসহ সেটি আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। ৫৬০টা মডেল মসজিদ করে দিচ্ছি। কোন সরকার করেছে? বিএনপি ছিল, খালেদা জিয়া-জিয়া এসব কেউ করেছে? কেউ করেনি। করেছে শুধু আওয়ামী লীগ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য নগদ অর্থসহায়তা করেছি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ তহবিল থেকে। সাধারণ মানুষকেও আমরা অর্থসহায়তা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। এটা হলো বাস্তব কথা। আমরা চাই এই দেশ এগিয়ে যাক। দেশকে উন্নত করতে চাই। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি ওরা কী করে? মানুষ খুন করা, অগ্নি-সন্ত্রাস। ৩ হাজার ৮০০ বাস, ২৯টা ট্রেন, লঞ্চ, প্রায় ৭০টা সরকারি অফিস, ৬টা ভূমি অফিস তারা আন্দোলনের নামে পুড়িয়েছে। আমি জানি না, আপনারাই বিবেচনা করেন, কোনো মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে? এই বিএনপি-জামায়াত কীভাবে জীবন্ত মানুষগুলিকে পুড়িয়ে মেরেছে। শুধু সাধারণ মানুষ না। পুলিশকে মাটিতে ফেলে এই রাজশাহীতে পিটিয়েছে! অমানবিক চরিত্র তাদের। তারা মানুষ চেনে না। তারা মানুষের জন্য কিছু করে না। তাদের কাজ খালি নিজে লুটেপুটে খাবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে আপনারা জানেন না, জিয়াউর রহমান যখন মারা গেল, তখন দেখা গেল কী? কিছু রেখে যায় নাই। একটা ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া। পরে দেখা গেল, সে ভাঙা স্যুটকেস কোথায়! খালেদা জিয়ার মূল্যবান শাড়ি ফ্রান্স থেকে কিনে আনে। এত টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে যে, এখন যান আপনারা দেখবেন কীভাবে আয়েশি জীবনযাপন করেছে। আর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের গিবত গায়, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আর মানুষকে উসকানি দেয়—এটাই তাদের কাজ। বাংলাদেশের মানুষের কোনো ভালো তারা সহ্য করতে পারে না। এটা হলো বাস্তবতা। এরা অপকর্ম-লুটপাট করতে পারে। বাংলা ভাই সৃষ্টি করে এই রাজশাহীতে অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে দিবালোকে তারা মিছিল করে, আর পুলিশ দেয় তাদের পাহারা। অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে পুলিশ পাহারা দেয়। এই তো খালেদা জিয়ার ২০০১ থেকে ২০০৬। তাদের দুর্নীতি-অনিয়ম, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যার ফলে বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার হয়। তা ছাড়া কোনো কারণ ছিল না। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণেই এটা হয়েছে। তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ছাড়া কিছু বোঝে না। আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে মানুষের শান্তি থাকে। দেশের উন্নতি হয়। আমরা যে ওয়াদা দেই, তা রক্ষা করি। ২০০৮-এর নির্বাচনে বলেছিলাম, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করব। আমরা তা করেছি। আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আগামীতে বাংলাদেশকে আরও উন্নত করতে চাই। প্রত্যেকটা যুবক কাজ পাবে।’
আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু করে দিয়েছি। এর আগে যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু করে দিয়েছিলাম। সমস্ত বাংলাদেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এসে গেছে। বন্ধ থাকা এয়ারপোর্ট আমরা চালু করে দিয়েছি। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। দেশের উন্নতি হোক। করোনাকালীন সময়ে আমি আসতে পারিনি। আজকে আপনাদের মাঝে এসে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গত নির্বাচনে নৌকা মার্কায় আপনারা ভোট দিয়েছেন। সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলব, আগামী নির্বাচন আসবে এই বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন কি না ওয়াদা চাই।’ এ সময় জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত তুলে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি দেন।
জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার আততায়ীদের গুলিতে আহত জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি হেনস্তার শিকার হন প্রবীণ সম্পাদক নূরুল কবীরও। জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। তাই সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা এই মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি ও গুরুতর আঘাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আদর্শ, রাজনীতি ও চিন্তাধারা থাকতে পারে এবং তা নিয়ে মতভেদ ও সমালোচনাও থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে, কোনো সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে নয়।
আমরা আরও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে ধর্ম অবমাননা একটি চরম অন্যায় ও গর্হিত কাজ। কিন্তু বিচার নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা এবং সেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। তাই নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনাও গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
শরিফ ওসমান হাদি বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক লড়াই এবং আধিপত্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে উগ্র ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তারা জুলাইবিরোধী শক্তি। একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট, এসব ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেমন আমরা ছাত্র-জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তেমনি মিডিয়াসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের সব ছাত্র-জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার আততায়ীদের গুলিতে আহত জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি হেনস্তার শিকার হন প্রবীণ সম্পাদক নূরুল কবীরও। জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। তাই সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা এই মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি ও গুরুতর আঘাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আদর্শ, রাজনীতি ও চিন্তাধারা থাকতে পারে এবং তা নিয়ে মতভেদ ও সমালোচনাও থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে, কোনো সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে নয়।
আমরা আরও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে ধর্ম অবমাননা একটি চরম অন্যায় ও গর্হিত কাজ। কিন্তু বিচার নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা এবং সেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। তাই নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনাও গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
শরিফ ওসমান হাদি বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক লড়াই এবং আধিপত্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে উগ্র ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তারা জুলাইবিরোধী শক্তি। একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট, এসব ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেমন আমরা ছাত্র-জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তেমনি মিডিয়াসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের সব ছাত্র-জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

শেখ হাসিনা এই জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজশাহীর মানুষকে ওয়াদা করান। জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত উঁচিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শেখ হাসিনা এই জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজশাহীর মানুষকে ওয়াদা করান। জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত উঁচিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৪ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
এতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কাপুরুষোচিত এই হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ঘৃণা প্রকাশ করছি।
‘যে ঘটনা প্রমাণ করে, একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়ে চলেছে।
‘উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের সব দল প্রতিবাদ করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে চলছে।
‘হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এরূপ পরিস্থিতিতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
‘যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
বিএনপি হাদির মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি তালিকাও দিয়েছে:
১) খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারতের হাইকমিশনের কার্যালয় ও বাসভবনে হামলা।
২) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ঢাকার প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৩) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
৪) ছায়ানটের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৫) ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৬) উত্তরাতে ৩২টি দোকান ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
৭) রাজশাহীতে ডেইলি স্টার-প্রথম আলোর কার্যালয় ভাঙচুর।
৮) ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা!
৯) চট্টগ্রামের প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় পুনরায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
১০) সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
১১) নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা।

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
এতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কাপুরুষোচিত এই হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ঘৃণা প্রকাশ করছি।
‘যে ঘটনা প্রমাণ করে, একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়ে চলেছে।
‘উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের সব দল প্রতিবাদ করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে চলছে।
‘হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এরূপ পরিস্থিতিতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
‘যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
বিএনপি হাদির মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি তালিকাও দিয়েছে:
১) খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারতের হাইকমিশনের কার্যালয় ও বাসভবনে হামলা।
২) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ঢাকার প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৩) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
৪) ছায়ানটের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৫) ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৬) উত্তরাতে ৩২টি দোকান ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
৭) রাজশাহীতে ডেইলি স্টার-প্রথম আলোর কার্যালয় ভাঙচুর।
৮) ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা!
৯) চট্টগ্রামের প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় পুনরায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
১০) সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
১১) নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা।

শেখ হাসিনা এই জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজশাহীর মানুষকে ওয়াদা করান। জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত উঁচিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা ডেইলি স্টারে যান।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা ডেইলি স্টারে যান।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

শেখ হাসিনা এই জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজশাহীর মানুষকে ওয়াদা করান। জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত উঁচিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
৫ ঘণ্টা আগে