নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চের যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে এর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে এবং তাদের সঙ্গে আরও কিছু পার্টি দাঁড়াল। আরেকটি জিনিস খুব অবাক লাগে—কোথায় বামপন্থী আর কোথায় ডানপন্থী। যারা বামপন্থী, তারা মনে হয় ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে।’
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ রোববার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত, বিএনপির সঙ্গে আমাদের বাম, অতি বাম, স্বল্প বাম, তীব্র বাম, কঠিন বাম—সব যেন এক হয়ে এক প্ল্যাটফর্মে। ওই যে বলেছিল না—কী বিচিত্র এই দেশ, সেলুকাস। সেই কথায় মনে হয় কোথায় তাদের আদর্শ? কোথায় তাদের নীতি? আর কোথায় কী? আর কী কারণে যারা হত্যাকারী, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারিতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যায় যার বিচার হয়েছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, দেশের টাকা পাচারকারী, সব ধরনের অপকর্ম, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা, ব্যাংকে রেখে সেই টাকার মুনাফা খাওয়া, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের নেতৃত্বে আমাদের বড় বড় তাত্ত্বিক, বড় বড় কথা বলে, তারা এক হয়ে যায় কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন।’
স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই দলে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে? এদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের সমর্থন করে কীভাবে? এটা ভাবলে আমার অবাক লাগে। এরা তো ইতিহাস জানে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? আওয়ামী লীগ তো ক্ষমতায় বসে নিজে খাচ্ছে না। দেশের মানুষকে খাবার দিচ্ছে।’ গৃহহীনদের ঘর দেওয়া, রোগের চিকিৎসা করাসহ বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি ডিসেম্বর মাসে বিজয়ের অনুষ্ঠান করবে। সেদিন আসলে আন্দোলন করে সরকার উৎখাত করবে। এতই সোজা! (এটা) আওয়ামী লীগ পারে।’
টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পারে, আইয়ুব খানকে আমরা উৎখাত করেছি, ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি, জিয়াকে পাই নাই হাতে, কিন্তু জিয়া যখনই যেখানে গেছে আন্দোলন তো তাঁর বিরুদ্ধে হয়েছে। এরশাদকে উৎখাত করেছি। খালেদা জিয়া (১৯৯৬ সাল) ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি, তাকে উৎখাত করা হয়েছে। আবার ২০০৬-এ ভোট চুরি করেছিল, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট করতে চেয়েছিল সেটাও বাতিল হয়েছে।’
‘কাজেই আওয়ামী লীগ পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসলে...হ্যাঁ চক্রান্ত করতে পারবে, ষড়যন্ত্র করতে পারবে।’

নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘চক্রান্ত করে ২০০১-এ আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। তার ভোগান্তি এ দেশের মানুষের হয়েছে। মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। আবার সেই ভোগান্তিতে পড়তে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে আমরা এগিয়ে যাব উন্নয়নের পথে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। গড়ে তুলব ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই দেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে সরকার জনগণের সেবক এবং সরকার ইচ্ছে করলেই মানুষের উন্নতি করতে পারে, সেটা প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় আসাটা খুব সহজ ছিল না। এত সহজে আসতে দেয়নি। জনগণ আমাদের সমর্থন করে। ভোট আমাদের আছে। কিন্তু নির্বাচনে বারবার কারচুপি করে হোক, ষড়যন্ত্র করে হোক, চক্রান্ত করে হোক আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের শক্তি বড় শক্তি। আর বিশ্বাস। মানুষের শক্তি নিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।’
২০৪১-এর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে সে বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে বাংলাদেশে প্রত্যেকটা মানুষ কম্পিউটার ব্যবহারে পারদর্শী হবে। আমাদের অর্থনীতি আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য। আমাদের সবকিছু আমরা ই-গভর্নেন্স, ই-বিজনেস সবকিছু আমরা এভাবে করব। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা থেকে শিক্ষা—সবকিছুতেই আমরা গড়ে তুলব। সেইভাবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় আমরা এনেছি, এই বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে চলতে হবে। আর যেন ওই খুনি, যুদ্ধাপরাধী, যাদের আমরা বিচার করেছি, এরা যেন এই দেশটাকে আবার ধ্বংস করতে না পারে। সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন জানানো বিদেশিদের সম্মাননা দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জন্য এতটুকু কেউ করলে আমরা সেটা স্বীকার করি। আবার কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে প্রতিবাদও করতে জানি।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোশারফ হোসেন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রমুখ।

বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চের যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে এর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে এবং তাদের সঙ্গে আরও কিছু পার্টি দাঁড়াল। আরেকটি জিনিস খুব অবাক লাগে—কোথায় বামপন্থী আর কোথায় ডানপন্থী। যারা বামপন্থী, তারা মনে হয় ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে।’
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ রোববার আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত, বিএনপির সঙ্গে আমাদের বাম, অতি বাম, স্বল্প বাম, তীব্র বাম, কঠিন বাম—সব যেন এক হয়ে এক প্ল্যাটফর্মে। ওই যে বলেছিল না—কী বিচিত্র এই দেশ, সেলুকাস। সেই কথায় মনে হয় কোথায় তাদের আদর্শ? কোথায় তাদের নীতি? আর কোথায় কী? আর কী কারণে যারা হত্যাকারী, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারিতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যায় যার বিচার হয়েছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, দেশের টাকা পাচারকারী, সব ধরনের অপকর্ম, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা, ব্যাংকে রেখে সেই টাকার মুনাফা খাওয়া, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের নেতৃত্বে আমাদের বড় বড় তাত্ত্বিক, বড় বড় কথা বলে, তারা এক হয়ে যায় কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন।’
স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই দলে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে? এদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের সমর্থন করে কীভাবে? এটা ভাবলে আমার অবাক লাগে। এরা তো ইতিহাস জানে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? আওয়ামী লীগ তো ক্ষমতায় বসে নিজে খাচ্ছে না। দেশের মানুষকে খাবার দিচ্ছে।’ গৃহহীনদের ঘর দেওয়া, রোগের চিকিৎসা করাসহ বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি ডিসেম্বর মাসে বিজয়ের অনুষ্ঠান করবে। সেদিন আসলে আন্দোলন করে সরকার উৎখাত করবে। এতই সোজা! (এটা) আওয়ামী লীগ পারে।’
টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পারে, আইয়ুব খানকে আমরা উৎখাত করেছি, ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি, জিয়াকে পাই নাই হাতে, কিন্তু জিয়া যখনই যেখানে গেছে আন্দোলন তো তাঁর বিরুদ্ধে হয়েছে। এরশাদকে উৎখাত করেছি। খালেদা জিয়া (১৯৯৬ সাল) ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি, তাকে উৎখাত করা হয়েছে। আবার ২০০৬-এ ভোট চুরি করেছিল, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট করতে চেয়েছিল সেটাও বাতিল হয়েছে।’
‘কাজেই আওয়ামী লীগ পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসলে...হ্যাঁ চক্রান্ত করতে পারবে, ষড়যন্ত্র করতে পারবে।’

নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘চক্রান্ত করে ২০০১-এ আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। তার ভোগান্তি এ দেশের মানুষের হয়েছে। মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। আবার সেই ভোগান্তিতে পড়তে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে আমরা এগিয়ে যাব উন্নয়নের পথে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। গড়ে তুলব ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই দেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে সরকার জনগণের সেবক এবং সরকার ইচ্ছে করলেই মানুষের উন্নতি করতে পারে, সেটা প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় আসাটা খুব সহজ ছিল না। এত সহজে আসতে দেয়নি। জনগণ আমাদের সমর্থন করে। ভোট আমাদের আছে। কিন্তু নির্বাচনে বারবার কারচুপি করে হোক, ষড়যন্ত্র করে হোক, চক্রান্ত করে হোক আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের শক্তি বড় শক্তি। আর বিশ্বাস। মানুষের শক্তি নিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।’
২০৪১-এর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে সে বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে বাংলাদেশে প্রত্যেকটা মানুষ কম্পিউটার ব্যবহারে পারদর্শী হবে। আমাদের অর্থনীতি আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য। আমাদের সবকিছু আমরা ই-গভর্নেন্স, ই-বিজনেস সবকিছু আমরা এভাবে করব। এমনকি স্বাস্থ্যসেবা থেকে শিক্ষা—সবকিছুতেই আমরা গড়ে তুলব। সেইভাবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় আমরা এনেছি, এই বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে চলতে হবে। আর যেন ওই খুনি, যুদ্ধাপরাধী, যাদের আমরা বিচার করেছি, এরা যেন এই দেশটাকে আবার ধ্বংস করতে না পারে। সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন জানানো বিদেশিদের সম্মাননা দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জন্য এতটুকু কেউ করলে আমরা সেটা স্বীকার করি। আবার কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে প্রতিবাদও করতে জানি।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোশারফ হোসেন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রমুখ।

ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
৭ মিনিট আগে
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
১৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজার আগে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
নিজেদের পরিবারের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে হাদির বড় ভাই বলেন, ‘আজকে ওর সন্তানের মুখের দিকে তাকানো যায় না। আমার মা প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন, বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। আমার ভাই-বোন সবাই পাগলপ্রায়। আমার ছয় ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল হাদি। আজ ওর লাশ আমার কাঁধে বহন করতে হচ্ছে। ’
‘আপনাদের কাছে আমার বড় কোনো দাবি নেই, শুধু একটিই কথা—আজ সাত থেকে আট দিন হয়ে গেল, দিবালোকে প্রকাশ্যে রাজধানী ঢাকায় জুমার নামাজের পর খুনিরা গুলি করে গেল। খুনিরা যদি পার পেয়ে যায়, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। বর্ডার পার হতে যেখানে পাঁচ-সাত ঘণ্টা সময় লাগে, তারা কীভাবে পালিয়ে গেল—এই প্রশ্ন আমি জাতির কাছে রেখে গেলাম।’
আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘আমার ভাই ওসমান হাদি শহীদি মৃত্যু কামনা করত। হয়তো আল্লাহ তায়ালা ওর সেই চাওয়া কবুল করে নিয়েছেন। কিন্তু আমি আপনাদের বলে রাখি, আমার ভাই উসমান হাদির খুনিদের বিচার যেন প্রকাশ্যে এই বাংলার জমিনে দেখতে পাই। আজ সাত দিন পার হলেও কিছুই করতে পারলাম না—এই দুঃখে কলিজা ফেটে যাচ্ছে।’
হাদি এবং তাঁর স্ত্রী, আট মাস বয়সী সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যেন আমার ভাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করেন। আল্লাহ তাআলার কাছে আরও দোয়া করছি, আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা যেন ইমানের সঙ্গে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি এবং তৌহিদের এই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারি।’

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজার আগে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
নিজেদের পরিবারের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে হাদির বড় ভাই বলেন, ‘আজকে ওর সন্তানের মুখের দিকে তাকানো যায় না। আমার মা প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন, বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। আমার ভাই-বোন সবাই পাগলপ্রায়। আমার ছয় ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল হাদি। আজ ওর লাশ আমার কাঁধে বহন করতে হচ্ছে। ’
‘আপনাদের কাছে আমার বড় কোনো দাবি নেই, শুধু একটিই কথা—আজ সাত থেকে আট দিন হয়ে গেল, দিবালোকে প্রকাশ্যে রাজধানী ঢাকায় জুমার নামাজের পর খুনিরা গুলি করে গেল। খুনিরা যদি পার পেয়ে যায়, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। বর্ডার পার হতে যেখানে পাঁচ-সাত ঘণ্টা সময় লাগে, তারা কীভাবে পালিয়ে গেল—এই প্রশ্ন আমি জাতির কাছে রেখে গেলাম।’
আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘আমার ভাই ওসমান হাদি শহীদি মৃত্যু কামনা করত। হয়তো আল্লাহ তায়ালা ওর সেই চাওয়া কবুল করে নিয়েছেন। কিন্তু আমি আপনাদের বলে রাখি, আমার ভাই উসমান হাদির খুনিদের বিচার যেন প্রকাশ্যে এই বাংলার জমিনে দেখতে পাই। আজ সাত দিন পার হলেও কিছুই করতে পারলাম না—এই দুঃখে কলিজা ফেটে যাচ্ছে।’
হাদি এবং তাঁর স্ত্রী, আট মাস বয়সী সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যেন আমার ভাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করেন। আল্লাহ তাআলার কাছে আরও দোয়া করছি, আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা যেন ইমানের সঙ্গে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি এবং তৌহিদের এই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারি।’

বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চের যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে তার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে এবং তাদের সঙ্গে আরও কিছু পার্টি দাঁড়াল। আরেকটি জিনিস খুব অবাক লাগে কোথায় বামপন্থী, আর কোথায় ডানপন্থী। যারা বামপন্থী, তারা মনে হয় ৯০ ডিগ্রি
১৮ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
১৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
পোস্টে বলা হয়, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করায় এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গতকাল ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে মর্মে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।’
পোস্টে আরও বলা হয়, কিছু অনলাইন সংবাদমাধ্যম এবং বিভিন্ন ফেসবুক পেজে উক্ত বিষয়টি ‘‘অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা’’ করা হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ করে, বিষয়টি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক।
পোস্টে বলা হয়, ‘দেশের সকল দর্শক, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সংবাদকর্মীদের অবগতির জন্যে জানাচ্ছে যে, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে নিয়মিত চলবে। একাডেমি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।’
এর আগে, গতকাল শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক (প্রশাসন) পূর্ণলাক্ষ চাকমা স্বাক্ষরিত একটি স্মারকপত্রে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা দেন তিনি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
পোস্টে বলা হয়, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করায় এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গতকাল ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে মর্মে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।’
পোস্টে আরও বলা হয়, কিছু অনলাইন সংবাদমাধ্যম এবং বিভিন্ন ফেসবুক পেজে উক্ত বিষয়টি ‘‘অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা’’ করা হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ করে, বিষয়টি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক।
পোস্টে বলা হয়, ‘দেশের সকল দর্শক, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সংবাদকর্মীদের অবগতির জন্যে জানাচ্ছে যে, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে নিয়মিত চলবে। একাডেমি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।’
এর আগে, গতকাল শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক (প্রশাসন) পূর্ণলাক্ষ চাকমা স্বাক্ষরিত একটি স্মারকপত্রে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা দেন তিনি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চের যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে তার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে এবং তাদের সঙ্গে আরও কিছু পার্টি দাঁড়াল। আরেকটি জিনিস খুব অবাক লাগে কোথায় বামপন্থী, আর কোথায় ডানপন্থী। যারা বামপন্থী, তারা মনে হয় ৯০ ডিগ্রি
১৮ ডিসেম্বর ২০২২
ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের দপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিক মহাসচিবের এই বার্তার কথা জানান।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক বলেন, ‘তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের একটি দ্রুত, নিরপেক্ষ, পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গুতেরেস। তিনি দেশের সবাইকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে এবং সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। আজ শনিবার পরিবারের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এবং যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়েছে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের দপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিক মহাসচিবের এই বার্তার কথা জানান।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক বলেন, ‘তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের একটি দ্রুত, নিরপেক্ষ, পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গুতেরেস। তিনি দেশের সবাইকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে এবং সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। আজ শনিবার পরিবারের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এবং যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়েছে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চের যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে তার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে এবং তাদের সঙ্গে আরও কিছু পার্টি দাঁড়াল। আরেকটি জিনিস খুব অবাক লাগে কোথায় বামপন্থী, আর কোথায় ডানপন্থী। যারা বামপন্থী, তারা মনে হয় ৯০ ডিগ্রি
১৮ ডিসেম্বর ২০২২
ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
৭ মিনিট আগে
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
১৮ মিনিট আগে
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্বৃত্তের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি নিহত হওয়ার খবরে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। একই সঙ্গে ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানান তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে সি আর আবরার বলেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাতের হৃদয়বিদারক ঘটনায় যখন গোটা জাতি শোকাহত, তখন এ ঘটনার অপসুযোগ নিয়ে কিছুসংখ্যক উগ্র, অবিবেচক গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই গোষ্ঠী বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের ভবন আক্রমণ করেছে। তাতে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানের অনেক সংগীত ও শিক্ষা উপকরণ ধ্বংস করেছে। ছায়ানটের পরিচালনায় ওই ভবনে নালন্দা নামে যে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়, এই আক্রমণে সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর কার্যালয়ে আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানাই।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের দুটি সংবাদপত্র প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে সংঘটিত আক্রমণ এবং এ দেশের প্রবীণ ও সাহসী সাংবাদিক নূরুল কবীরকে অপদস্থ করার হীন কর্মকাণ্ডে আমি গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কার্যকলাপ জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কালিমালিপ্ত করার অপপ্রয়াসই শুধু নয়; এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।’

দুর্বৃত্তের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি নিহত হওয়ার খবরে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। একই সঙ্গে ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানান তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা মনে করেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করছে। এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে সি আর আবরার বলেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাতের হৃদয়বিদারক ঘটনায় যখন গোটা জাতি শোকাহত, তখন এ ঘটনার অপসুযোগ নিয়ে কিছুসংখ্যক উগ্র, অবিবেচক গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই গোষ্ঠী বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের ভবন আক্রমণ করেছে। তাতে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানের অনেক সংগীত ও শিক্ষা উপকরণ ধ্বংস করেছে। ছায়ানটের পরিচালনায় ওই ভবনে নালন্দা নামে যে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়, এই আক্রমণে সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর কার্যালয়ে আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা জানাই।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের দুটি সংবাদপত্র প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে সংঘটিত আক্রমণ এবং এ দেশের প্রবীণ ও সাহসী সাংবাদিক নূরুল কবীরকে অপদস্থ করার হীন কর্মকাণ্ডে আমি গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। স্বার্থান্বেষী মহলের এ ধরনের কার্যকলাপ জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কালিমালিপ্ত করার অপপ্রয়াসই শুধু নয়; এর ফলে বাংলাদেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।’

বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চের যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে তার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে এবং তাদের সঙ্গে আরও কিছু পার্টি দাঁড়াল। আরেকটি জিনিস খুব অবাক লাগে কোথায় বামপন্থী, আর কোথায় ডানপন্থী। যারা বামপন্থী, তারা মনে হয় ৯০ ডিগ্রি
১৮ ডিসেম্বর ২০২২
ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওসমান হাদি আর ফিরে আসবে না। ওসমান, তুমি দেখে যাও—এই লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা তোমার জন্য পাগল। তুমি আজ নেই, আমাদের পাগল বানিয়ে দিয়ে গেছ।’
৭ মিনিট আগে
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত ঘোষণার পর আবারও চালু হচ্ছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোকপালন শেষে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চলবে।
১৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
৩২ মিনিট আগে