Ajker Patrika

বিদেশি বিনিয়োগের বিশাল কর্মযজ্ঞ আড়াইহাজারে

সাইফুল মাসুম, ঢাকা
বিদেশি বিনিয়োগের বিশাল কর্মযজ্ঞ আড়াইহাজারে

ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাছে ছনপাড়া এলাকায় বিএসইজেডের প্রধান ফটক। ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে যেতে লাগল এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। গত শনিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে রীতিমতো কর্মযজ্ঞ চলতে দেখা যায়। দেশি-বিদেশি শ্রমিকেরা কাজ করছেন পূর্ণোদ্যমে। মহাসড়কের সঙ্গে প্রকল্প এলাকার সংযোগ সড়ক, সীমানাপ্রাচীর তৈরির কাজ শেষ।

একাধিক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে তুরস্কভিত্তিক সিঙ্গার এবং জার্মানির কোম্পানি রুডলফের সঙ্গে। আরও কয়েকটি দেশের অন্তত ৪০টি কোম্পানি এরই মধ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এসবের মধ্যে জাপানেরই ৩০টি। কাল মঙ্গলবার উদ্বোধনের দিনই জাপানের দুটি কোম্পানিসহ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা। এখানে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার (১৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি) বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

জাপানের অংশীদারিতে এক হাজার একর জমির ওপর এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করবেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। 
জাপানের অংশীদারিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়ায় বিএসইজেডটি জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল নামে পরিচিতি পাচ্ছে।

এরই মধ্যে ১৬০ একর জায়গা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছেঅগ্রগতি ৮৫ শতাংশ
বিএসইজেডের প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। বিনিয়োগকারীদের হস্তান্তর করার জন্য ১৬০ একর জায়গা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিদেশি একটি কোম্পানিকে ৩৫ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কারখানা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আর প্রকল্প উদ্বোধনের সময় শতাধিক জাপানিসহ কয়েকটি দেশের বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনের দিনই কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগবিষয়ক চুক্তি করার কথা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবে একটু আগেভাগেই বিশেষ অর্থনৈতিক জোন উদ্বোধন করা হচ্ছে।’

প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধন সামনে রেখে কর্মতৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গার ৭৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।

বিএসইজেডে বেজার মালিকানা ২৪ শতাংশ, জাপানি কোম্পানি সুমিতোমোর ৭৬ শতাংশ এবং জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অংশীদারি ১৫ শতাংশ।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিএসইজেড) প্রকল্প এলাকা৪২ বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহী
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় জানান, বিএসইজেড পুরোপুরি চালু হলে ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। এতে কর্মসংস্থান হবে এক লাখ মানুষের। বিনিয়োগে এরই মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে সিঙ্গার ও জার্মানির রুডলফের সঙ্গে। আরও ৪০টি বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৩০টি জাপানের।

ওনদা, নিক্কা চুক্তি করতে পারে কাল
ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শেখ ইউসুফ হারুন জানান, উদ্বোধনের দিন জাপানের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই দুটি কোম্পানির নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়েছেন তিনি।

মহাসড়কের সঙ্গে প্রকল্প এলাকার সংযোগ সড়ক, সীমানাপ্রাচীর তৈরির কাজ শেষঅন্য একটি সূত্রে জানা যায়, জাপানের ওনদা করপোরেশন ও নিক্কা কেমিক্যালসের সঙ্গে ৬ ডিসেম্বর সরকারের চুক্তি হওয়ার কথা আছে। দুই প্রতিষ্ঠানই বিএসইজেডে ১০ একর করে জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছে। ওনদা সেখানে গ্যাস মিটার তৈরির কারখানা করবে, আর নিক্কা কেমিক্যালস রাসায়নিক পণ্য উৎপাদন করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি, প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ, বেজার নির্বাহী সদস্য ইরফান শরীফ, আবদুল আজীম চৌধুরী, ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ উজ জামান প্রমুখ।

জাইকার উদ্যোগে হবে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র
আগামী গ্রীষ্মে এখানে উৎপাদন শুরুর আশা করে বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাউয়াচি জানান, দুই বিনিয়োগকারীর মধ্যে সিঙ্গার ৩৫ একর জায়গা পেয়েছে। কোম্পানিটি ৭৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। আর রুডলফ পেয়েছে ৫ একর জায়গা, বিনিয়োগ করবে ৭ মিলিয়ন ডলার।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিএসইজেডসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষ জনবল সরবরাহে জাইকার উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে।

 দেশি-বিদেশি শ্রমিকেরা কাজ করছেন পূর্ণোদ্যমেউন্নয়নে জাইকার ২৫০০ কোটি, সুমিতোমোর ১০০০ কোটি টাকা
প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করছে জাইকা। ঠিকাদারির কাজ পেয়েছে জাপানি টোয়া করপোরেশন। উন্নয়নকাজে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সুমিতোমো।
জানা যায়, পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় এখানে উৎপাদিত হবে ওষুধ, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ অনেক মূল্যবান পণ্য।

বদলে যাচ্ছে আড়াইহাজার
রাজধানীর কাছে হলেও আড়াইহাজার উপজেলার অধিকাংশ জনপদ ছিল অনগ্রসর। পাঁচরুখি, ছনপাড়া, সিংহদি, পাঁচগাঁও, পাঁচবাড়িয়া ছিল প্রত্যন্ত গ্রাম। তবে বিএসইজেড প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পাল্টাতে থাকে চেহারা। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ ভূমিমালিক লাভবান হয়েছেন। দরিদ্র মানুষেরা শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়েছেন।

 উদ্বোধন সামনে রেখে কর্মতৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণবিএসইজেডে ফটকের পাশে শীতের পিঠা বিক্রি করেন ছনপাড়ার আনোয়ার-জয়তুন দম্পতি। আনোয়ার জানান, আগে মাছের আড়তে কাজ করতেন। এখন প্রকল্পের শ্রমিকদের কাছে পিঠা বিক্রি করে বেশি আয় করেন।

প্রকল্পের কারণে মাহফুজা বেগমের বাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য তিনি ৭৫ লাখ টাকা পান। কেউ কেউ কোটি টাকাও পেয়েছেন। প্রকল্পে বালু ভরাট কাজের শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘ছনপাড়ায় একের পর এক ভবন ওঠতাছে, শহরে পরিণত অইতাছে।’

বিদেশি বিনিয়োগে আস্থা বাড়বে
বিএসইজেড পুরোপুরি সচল হলে বিদেশি বিনিয়োগে আস্থার সংকট কাটবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক জোন যদি দ্রুত বাস্তবায়িত হয় এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে, তাহলে অবশ্যই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এতে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য আসবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিল নগদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ।

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠান চলাকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ জনের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায় এই অর্থ।

দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া, খাওয়া, হোটেলে অবস্থানসহ অন্য সব খরচ নগদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।

সেরা পারফর্মারদের অভিনন্দন জানিয়ে নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝেও বাজারে নগদ একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের আরও প্রসার ঘটাতে নগদ ভূমিকা রাখবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা রয়েছে। সুতরাং, যত অপপ্রচারই নগদকে নিয়ে হোক না কেন, সেসবে কান না দিয়ে নগদের সাফল্যের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

নগদের সেবার প্রসার ঘটাতে এ সময় মোতাছিম বিল্লাহ ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের কাছ থেকে নগদ বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ জানতে চান। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ প্রশাসক বলেন, অল্প সময়ের ভেতরই সেবার কলেবর আরও বাড়বে নগদে। ফলে লেনদেনের অঙ্ক যেমন অনেক গুণ বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকেরাও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ডাক বিভাগনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. আবু তালেব, নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, আগামী বছরে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স, বাংলা কিউআর, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য আন্তসংযোগ গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে নগদ। ফলে ২০২৬ সাল নগদের সেরা সাফল্যের বছর হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করল ডিএসই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে ডিএসই। ছবি: সংগৃহীত
ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে ডিএসই। ছবি: সংগৃহীত

তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ইনফরমেশন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান আরও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারী ও অন্য অংশীজনদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে ডিএসইর সেবার মান আরও গ্রাহকবান্ধব ও স্বচ্ছ হবে।

ডিএসইর এমডি আশা প্রকাশ করেন, এই হেল্প ডেস্ক ডিএসইর বাজার অংশগ্রহণকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পুঁজিবাজারসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্যের জন্য +৮৮-০২-৪১০৪০১৮৯, ০৯৬৬৬৭০২০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাভেল ও ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড: লিড স্পনসর ‘গ্যালাক্সি’, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ট্রাভেল ও ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড: লিড স্পনসর ‘গ্যালাক্সি’, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা

দেশের অন্যতম ভ্রমণ ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি অ্যাওয়ার্ড (BTTHA) ২০২৫’-এর লিড স্পনসর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশের ভ্রমণশিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সি গ্রুপ।

একই সঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা এই আয়োজনের হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

দেশের ভ্রমণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে একমাত্র স্বীকৃত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

গতকাল বুধবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট চুক্তিসমূহ স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশ মনিটরের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। গ্যালাক্সি গ্রুপের পক্ষে লিড স্পনসর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। অন্যদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার পক্ষে হসপিটালিটি পার্টনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হোটেলটির জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, গ্যালাক্সি ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার সম্পৃক্ততায় অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের মর্যাদা ও পরিসর আরও বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে দেশের ভ্রমণ ও আতিথেয়তা শিল্পে উৎকর্ষতা অর্জন এবং উত্তম চর্চা উৎসাহিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতে উদ্ভাবন, সেবার মান এবং টেকসই উন্নয়নকে স্বীকৃতি প্রদানকারী একটি মহতী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে তারা গর্বিত।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন বিশ্বমানের আতিথেয়তা প্রদানের পাশাপাশি অসাধারণ অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে এমন একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

চলতি বছর ২৫টি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। শুধু আবেদনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিত্বকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিচারক প্যানেল বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন এবং পাবলিক ভোটিংয়ের ভিত্তিতে বিজয়ীদের চূড়ান্ত করবেন।

এবার নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে দুটি বিশেষ ক্যাটাগরি—সর্বাধিক পর্যটনবান্ধব বিদেশি গন্তব্য, বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। এই দুটি ক্যাটাগরির বিজয়ী সরাসরি পাবলিক ভোটিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

বাংলাদেশের পর্যটন ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ মনিটর ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে।

প্রথম আসরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ বছর আরও বৃহৎ পরিসরে এই আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে অংশগ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৃশ্যমানতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল নজরদারি করবে এনবিআর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল আরও স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ‘ট্রাক মুভমেন্ট’ নামে নতুন একটি সাব-মডিউল চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মাধ্যমে প্রতিটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ, অবস্থানকাল এবং খালি ট্রাকের ফেরত-সংক্রান্ত তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে সংরক্ষণ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এনবিআর।

এনবিআর জানায়, প্রাথমিকভাবে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই সাব-মডিউলের পাইলট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ট্রাক প্রবেশ ও বহির্গমনের তথ্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

নতুন মডিউল চালুর ফলে ভারতীয় প্রতিটি ট্রাকের আগমন ও বহির্গমনের প্রকৃত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এতে ট্রাকের অবস্থানকাল নির্ধারণ, সীমান্ত এলাকায় ট্রাক চলাচল কার্যকরভাবে মনিটরিং এবং রিয়েল-টাইম রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে, রাজস্বহানি রোধে সহায়ক হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।

এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় এই ডিজিটাল উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ট্রাক চলাচলের নির্ভুল তথ্য থাকায় শুল্ক ও কর ব্যবস্থাপনায় নজরদারি জোরদার হবে, একই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষাও বাড়বে।

খুব শিগগির দেশের সব স্থলবন্দরে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ‘ট্রাক মুভমেন্ট’ সাব-মডিউলটি লাইভ অপারেশনে আনার পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের। এতে স্থলবন্দরভিত্তিক আমদানি কার্যক্রম আরও গতিশীল ও আধুনিক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত