Ajker Patrika

সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশকে ‘হত্যাকারী রোবট’ ব্যবহারের অনুমতি

আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ১৬
সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশকে ‘হত্যাকারী রোবট’ ব্যবহারের অনুমতি

হত্যা করতে সক্ষম এমন রোবট ব্যবহার করতে পুলিশকে অনুমতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরের বোর্ড অব সুপারভাইজার। এর ফলে এখন থেকে শহরটির পুলিশ বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিস্ফোরকবাহী রোবট মোতায়েন করতে পারবে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

স্টপ কিলার রোবটস গ্রুপের কর্মকর্তা ক্যাথরিন কনোলি বলেছেন, এই পদক্ষেপ মানুষকে হত্যা থেকে দূরে রাখার সবচেয়ে খারাপ উপায়। সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশ বিভাগ (এসএফপিডি) বিবিসিকে বলেছে, তারা বর্তমানে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত কোনো রোবট পরিচালনা করে না। তবে ভবিষ্যতে বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রাণঘাতী অস্ত্রসজ্জিত রোবট ব্যবহার করতে পারে। 

সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সহিংস, সশস্ত্র বা বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রোবটগুলোকে বিস্ফোরক দিয়ে সজ্জিত করা হতে পারে। রোবটগুলো সহিংস, সশস্ত্র, বিপজ্জনক ও জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে এমন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আইনজীবীরা বলছেন, এই রোবটগুলো শুধু চরম পরিস্থিতিতেই ব্যবহার করা হবে। 

তবে বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এই পদক্ষেপ পুলিশ বাহিনীকে আরও সামরিকীকরণের দিকে নিয়ে যাবে। 

গত মঙ্গলবার নতুন এই ব্যবস্থা অনুমোদনের সময় একটি সংশোধনীও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কেবল অনন্যোপায় হলেই পুলিশ প্রাণঘাতী এসব রোবট ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া অল্প কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাই কেবল এ ধরনের রোবট ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের প্রাণঘাতী রোবট ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরেও ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে টেক্সাসের ডালাসে পুলিশ একজন স্নাইপারকে হত্যা করতে সি-ফোর বিস্ফোরক দিয়ে সজ্জিত একটি রোবট ব্যবহার করেছিল। 

পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কোন পরিস্থিতি কখন কতটা চরম আকার ধারণ করতে পারে, তা কোনো নীতি দিয়েই অনুমান করা যায় না। এ জন্য পুলিশকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। 

ফেডারেল সরকার স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সামরিক সরঞ্জাম, ছদ্মবেশী ইউনিফর্ম, বেয়নেট ও সাঁজোয়া যান সরবরাহ করছে। তবে এ বছর ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসনের পাস করা আইনে বলা হয়েছে, নগর পুলিশকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার কথা বলা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

খুবই সাধারণ খাবার খান পুতিন, দেশে-বিদেশে খাদ্যতালিকায় যা থাকে

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যোগ হতে পারে ৩০টির বেশি দেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। এএফপি
মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজের ‘দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।

সাক্ষাৎকারে নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করতে যাচ্ছে কিনা। জবাবে তিনি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না জানালেও বলেন, ‘সংখ্যা ৩০-এর বেশি হবে এবং প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশ নিয়ে বিবেচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

চলতি বছরের জুনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন এবং আরও ৭টি দেশের ওপর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করেন। বিদেশি সন্ত্রাসী ও নিরাপত্তা ঝুঁকি ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু অভিবাসনের জন্য আবেদনকারীদের নয়, পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

ক্রিস্টি নোয়েম জানান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের স্থিতিশীলতা ও পরিচয় যাচাই ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দেশের স্থিতিশীল সরকার না থাকে এবং তারা তাদের নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে কেন আমরা সেই দেশের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেব?’

ইতিপূর্বে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছে।

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি আরও কঠোর হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। ঘটনাটির সঙ্গে অভিযুক্ত আফগান নাগরিক ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন, যা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে অভিবাসন অধিকার সংগঠন ও আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্তকে কঠোর ও বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই নীতি অভিবাসন প্রক্রিয়াকে অকারণে স্থবির করছে এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রদানের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হচ্ছে।

অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রহী অনেক আবেদনকারীর ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

খুবই সাধারণ খাবার খান পুতিন, দেশে-বিদেশে খাদ্যতালিকায় যা থাকে

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কিন হামলায় বেঁচে যাওয়া দুজনকে দ্বিতীয় আঘাতে হত্যা—ভিডিও ফাঁসে হইচই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া। ছবি: এএফপি
ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া। ছবি: এএফপি

ক্যারিবিয়ান সাগরে মাদকবাহী সন্দেহে একটি নৌকার ওপর মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলায় বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তি নৌকার ভাঙা অংশ আঁকড়ে প্রায় এক ঘণ্টা পানিতে বেঁচে ছিলেন। পরে দ্বিতীয় হামলায় তাঁদের হত্যা করা হয়—এমন ভিডিও যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের হাতে পৌঁছেছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

ভিডিওতে দেখা যায়—দুই ব্যক্তি শার্টহীন, নিরস্ত্র এবং তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগযন্ত্র ছিল না। সূত্র বলছে, তাঁরা জানতেই পারছিলেন না প্রথম আঘাত কোথা থেকে এসেছে কিংবা মার্কিন সামরিক বাহিনী যে তাঁদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২ সেপ্টেম্বরের ওই হামলার ফুটেজ এখন ওয়াশিংটনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। অনেকে বলছেন, এই হামলার নির্দেশদাতারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন।

বিতর্কিত ওই হামলার ভিডিওটি দেখে ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জিম হাইমস এটিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভিডিওতে এমন দুজনকে দেখা যায় যারা স্পষ্টতই বিপদে ছিলেন। তাদের কোনো অস্ত্র বা চলার উপায় ছিল না।’

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিধি অনুযায়ী জাহাজডুবি, আহত বা আত্মসমর্পণ করা ব্যক্তিদের হত্যা করা যুদ্ধাপরাধ। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধ’ হিসেবে প্রচারণা চালালেও মার্কিন আইনবিদদের একটি বড় অংশ এই যুক্তিকে আইনগতভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে ‘আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বৈধতা’ তৈরি করতে পারে এবং এর জন্য জনসমক্ষে স্বচ্ছ তদন্ত ও জবাবদিহি জরুরি।

এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার পেন্টাগন জানিয়েছে, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে আরেকটি সন্দেহভাজন নৌকায় হামলা চালালে চারজন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন বাহিনীর হামলার সংখ্যা দাঁড়াল ২২টি এবং মৃতের সংখ্যা অন্তত ৮৭ টি।

মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের সর্বশেষ হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছে এবং এটিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের পরিচালিত নৌকায় প্রাণঘাতী হামলা’ বলে দাবি করেছে। তবে প্রথম হামলায় বেঁচে থাকা দুই ব্যক্তির ওপর দ্বিতীয় হামলার দৃশ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

ইতিপূর্বে ওয়াশিংটন পোস্ট–এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, হামলার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ মুখে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘কিল দেম অল’ অর্থাৎ ‘সবাইকে মেরে ফেলো’। তবে হামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল ফ্র্যাঙ্ক ব্র্যাডলি সিনেটরদের বলেছেন—এমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

খুবই সাধারণ খাবার খান পুতিন, দেশে-বিদেশে খাদ্যতালিকায় যা থাকে

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুতিনের নৈশভোজে যোগ দেবেন শশী থারুর, আমন্ত্রণ পাননি রাহুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের ভেতরে মতবিরোধের অন্যতম কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন শশী থারুর। ছবি: সংগৃহীত
কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের ভেতরে মতবিরোধের অন্যতম কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন শশী থারুর। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মানে আজ শুক্রবার রাতে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। কিন্তু দলের দুই জ্যেষ্ঠ নেতা—লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আমন্ত্রণ পাননি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ছয় মাস ধরে দলের সঙ্গে যাঁর সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা বাড়ছে, সেই শশী থারুর আজ সন্ধ্যায় তাঁর অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান হিসেবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা প্রটোকলের অংশ।

তবে রাহুল গান্ধী বা মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো জ্যেষ্ঠ নেতাকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে থারুর নিজেকে ‘আমন্ত্রণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অজ্ঞাত’ বলে দাবি করেছেন।

এ ঘটনার পর কংগ্রেসের আরও এক নেতা পবন খেরা থারুরের নাম উল্লেখ না করে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমন্ত্রণ পাঠানো এবং তা গ্রহণ করা বেশ আশ্চর্যজনক। যখন আমার নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি...অথচ আমাকে করা হয়েছে...তখন আমাদের বোঝা উচিত, কেন এই খেলা খেলা হচ্ছে, কে খেলছে এবং কেন আমাদের এর অংশ হওয়া উচিত নয়...।’

এদিকে, রাহুল গান্ধী ও খাড়গেকে আমন্ত্রণ না জানানোর ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, সরকার বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠককে উৎসাহিত করছে না। তাঁর মতে, আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করত, কিন্তু এখন বিদেশিরাই ঠিক করেন তাঁরা কার সঙ্গে দেখা করবেন।

এ বিষয়ে থারুর রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করে বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতা তাঁর বক্তব্য দিয়েছেন। আমার মনে হয়, সরকারের এর জবাব দেওয়া উচিত।’ অবশ্য সরকারি সূত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

থিরুবনন্তপুরমের চারবারের লোকসভা সাংসদ থারুর কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের ভেতরে মতবিরোধের অন্যতম কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তিনি অতীতে বিজেপি নেতা এল কে আদবানি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশংসা করায় দলের ভেতর থেকেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

থারুর গত মাসে রামনাথ গোয়েঙ্কা লেকচারে মোদির দেওয়া ভাষণের প্রশংসা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কংগ্রেসের এক নেতা প্রশ্ন তোলেন—‘শশী থারুরের কাছে যদি মোদি এতই ভালো, তবে তিনি কংগ্রেসে আছেন কেন?’

তবে জুন মাসে থারুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য মানেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া নয়। থারুর দাবি করেন, তিনি ১৬ বছর ধরে দলের প্রতি অনুগত আছেন।

সম্প্রতি থারুর ভারতে বংশপরম্পরার রাজনীতি নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি মেধাতন্ত্র বা যোগ্য নেতা হওয়ার পথে বাধা হিসেবে গান্ধী-নেহরু পরিবারের উল্লেখ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

খুবই সাধারণ খাবার খান পুতিন, দেশে-বিদেশে খাদ্যতালিকায় যা থাকে

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরিয়ায় নতুন বিদ্রোহের প্রস্তুতি—নেপথ্যে আসাদের নির্বাসিত গোয়েন্দাপ্রধান ও চাচাতো ভাই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৪
ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের পতনের পর দেশজুড়ে ক্ষমতার নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। দেশটির নির্বাসিত সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান কামাল হাসান ও আসাদের বিলিয়নিয়ার চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ এখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন বিদ্রোহ ও শক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন।

রয়টার্সের তদন্তে জানা গেছে, তাঁরা ইতিমধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে নতুন সশস্ত্র দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দাবি করা হচ্ছে, সশস্ত্র এই দলের সদস্যসংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাশার আল–আসাদের নির্বাসন মেনে নেওয়া হলেও তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের একটি বড় অংশ এখনো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করেনি। সাবেক সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান কামাল হাসান ও ব্যবসায়ী রামি মাখলুফ আলাদা আলাদাভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪টি গোপন সামরিক কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্রভান্ডারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এসব কেন্দ্র আসাদ শাসনের শেষ সময়ে তৈরি করা হয়েছিল।

চাচাতো ভাই মাখলুফ একসময় আসাদ সরকারের অর্থনৈতিক স্তম্ভ ছিলেন। তবে পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে একসময় তিনি গৃহবন্দী হন এবং পরে রাশিয়ার মস্কোয় পালিয়ে যান। এখন তিনি নিজেকে ধর্মীয়ভাবে ‘মসিহসদৃশ’ চরিত্র বা ত্রাণকর্তারূপে তুলে ধরে দাবি করছেন, এক চূড়ান্ত যুদ্ধের মাধ্যমে আলাওয়াইতদের ক্ষমতায় ফিরতে হবে।

অন্যদিকে কামাল হাসান সাবেক সেনা ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের একত্র করে উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ও গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সমর্থকদের উদ্দেশে বারবার বলেছেন—‘অস্ত্র ছাড়বেন না, সময় এলে আমি আপনাদের সম্মান ফিরিয়ে দেব।’

এই পরিকল্পনাকে ঠেকাতে সিরিয়ার নতুন সরকারও তৎপর। এ ক্ষেত্রে তারা আরেক সাবেক আসাদ-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি খালেদ আল–আহমাদকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। খালেদ আল–আহমাদ যুদ্ধের সময় আসাদের পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় খালেদ আল–আহমাদের কাজ হলো, আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের মানুষদের এটা বোঝানো যে—নতুন সরকারই তাঁদের নিরাপত্তার উপায়, পুরোনো শক্তি নয়।

খালেদ আল–আহমাদ ইতিমধ্যে এক ঘোষণায় বলেছেন, এই জাতির সামনে পথ শুধু একটি। আর এটা ঘৃণা নয়, পুনর্মিলন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার উপকূলে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও অতীতের ব্যর্থ বিদ্রোহে একধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত মার্চে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর প্রায় দেড় হাজার আলাওয়াইত নিহত হন। এ ঘটনার পর ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে আবারও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। তবে এই পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন কামাল হাসান ও মাখলুফ।

এদিকে বিশ্লেষকদের ধারণা, হাসান কিংবা মাখলুফের পরিকল্পনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ, দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন এবং রাশিয়া এখনো কাউকেই সমর্থন দেয়নি। এ ছাড়া আলাওয়াইত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই এখন এই নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারিয়েছে। আর নতুন সরকারও কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।

তারপরও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। যদি এই নেটওয়ার্ক সক্রিয় হয়, তবে আবারও রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাতে নিমজ্জিত হতে পারে সিরিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

খুবই সাধারণ খাবার খান পুতিন, দেশে-বিদেশে খাদ্যতালিকায় যা থাকে

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত