রাশেদ নিজাম, ঢাকা

২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ এর ২০ নভেম্বরের পার্থক্য প্রায় নয় বছর। জঙ্গিরা তাদের অপারেশন ধরন পাল্টে ঢাকার আদালতের ফটক থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সহযোগীদের। কিন্তু পাল্টায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকা কারাগার ও পুলিশ প্রশাসনের মনোভাব।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলি হয়। গুলি ও বোমার আঘাতে আতিকুল ইসলাম (৩০) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হন। আহত হন আরও দুজন।
সালাহউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮), জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজান (৩৫) ও হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসান (৩৫) নামের জেএমবির তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। তিনজনের মধ্যে সালাহউদ্দিন ও রাকিব মৃত্যুদণ্ড ও বোমা মিজান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
ওই দিনই বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের তক্তারচালা এলাকা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসানকে আরও এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতেই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি। বাকি দুজনকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
গোয়েন্দারা তখন জানিয়েছিলেন, জঙ্গিরা ওই অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন ত্রিশাল’। প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনতাইয়ের এই ঘটনা বাংলাদেশজুড়ে তোলপাড় তোলে। ঘটনার পরপরই সালেহীন ও মিজান ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্তারা।
ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণ মামলার আসামি বোমা মিজান বেঙ্গালুরুতে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) অভিযানে ধরা পড়েন। কিন্তু এখনো সালেহীনের সন্ধান মেলেনি দুই দেশের কোনো সূত্র থেকেই।
ওই ঘটনার তদন্তে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। পুরো ঘটনায় পুলিশ ও কারাগারের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে।
তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) নাজিম উদ্দীন চৌধুরীর পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—কারাগারে ‘জ্যামার’ নষ্ট থাকার অজুহাতে দুর্ধর্ষ আসামিরা মোবাইলে নিয়মিত কথা বলছেন। ওই ঘটনার আগে জঙ্গিরা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ আসামি আদালতে আনা-নেওয়ার জন্য আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করে কমিটি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির নেতাদের আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে জুতসই নিরাপত্তা ছিল না, যা মোটেও কাম্য নয়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় আদালতে আসামি নেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশের সুযোগ ছিল কারা কর্তৃপক্ষের। তাঁরা প্রিজন ভ্যানের সামনে-পেছনে প্রহরা রাখার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের কাছে আবেদন করতে পারত। তা না করে এ ধরনের ভয়ংকর জঙ্গিদের অল্পসংখ্যক পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ত্রিশালের প্রায় নয় বছরের মাথায় আজ রোববার ঢাকার আদালত এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁরা হলেন—মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব। এরা দুজনই জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আবু সিদ্দিক ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলারও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে অন্য একটি মামলার শুনানি শেষে তাদের হাজত খানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত ভবন থেকে হাজতখানায় আসামিদের নেওয়ার সময় সিজেএম আদালতের প্রধান ফটকের কাছে পৌঁছালে জঙ্গি আসামিরাও পুলিশ সদস্যদের ঘুষি মারে। এ সময় কনস্টেবল আজাদের নাক মুখ ফেটে যায়। আরও দুজন কনস্টেবল অন্য আসামিদের নিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দায়িত্বে থাকা এএসআই মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে আসামিরাই এ কে আজাদকে ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কনস্টেবলদের চোখে স্প্রে করে।’
ত্রিশালের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্ধর্ষ আসামিদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা। কিন্তু তা যে মানা হয়নি তার উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের যেভাবে নিরাপত্তার মাধ্যমে আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় আজ রোববার সেরকম কোনো নিরাপত্তা ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চারজন জঙ্গিকে একজন পুলিশ কনস্টেবল নিয়ে ট্রাইব্যুনালে যান। আবার ট্রাইব্যুনাল থেকে হাজতখানায় ফেরানোর সময় একই ভাবে নেওয়া হয়। সাধারণত দুজন আসামিকে একটি হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নেওয়া হয়। কিন্তু আজ দুই আসামিকে পৃথক ভাবে হাতকড়া পরানো ছিল।
বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ধর্ষ আসামিদের বিশেষ করে জঙ্গিদের যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেরকম নিরাপত্তা ছিল না। অন্তত ওখানে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থাকা উচিত ছিল।’
আসামি ছিনতাই নিয়ে উপকমিশনার (ডিসি) প্রসিকিউশন জসিম উদ্দিন কোনো কথা বলতে রাজি হননি। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এরই মধ্যে জানিয়েছেন, আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বাহিনীর কেউ দায়ী থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই রেড অ্যালার্ট চলছে। সীমান্তেও সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ এর ২০ নভেম্বরের পার্থক্য প্রায় নয় বছর। জঙ্গিরা তাদের অপারেশন ধরন পাল্টে ঢাকার আদালতের ফটক থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সহযোগীদের। কিন্তু পাল্টায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকা কারাগার ও পুলিশ প্রশাসনের মনোভাব।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলি হয়। গুলি ও বোমার আঘাতে আতিকুল ইসলাম (৩০) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হন। আহত হন আরও দুজন।
সালাহউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮), জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজান (৩৫) ও হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসান (৩৫) নামের জেএমবির তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। তিনজনের মধ্যে সালাহউদ্দিন ও রাকিব মৃত্যুদণ্ড ও বোমা মিজান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
ওই দিনই বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের তক্তারচালা এলাকা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসানকে আরও এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতেই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি। বাকি দুজনকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
গোয়েন্দারা তখন জানিয়েছিলেন, জঙ্গিরা ওই অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন ত্রিশাল’। প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনতাইয়ের এই ঘটনা বাংলাদেশজুড়ে তোলপাড় তোলে। ঘটনার পরপরই সালেহীন ও মিজান ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্তারা।
ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণ মামলার আসামি বোমা মিজান বেঙ্গালুরুতে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) অভিযানে ধরা পড়েন। কিন্তু এখনো সালেহীনের সন্ধান মেলেনি দুই দেশের কোনো সূত্র থেকেই।
ওই ঘটনার তদন্তে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। পুরো ঘটনায় পুলিশ ও কারাগারের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে।
তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) নাজিম উদ্দীন চৌধুরীর পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—কারাগারে ‘জ্যামার’ নষ্ট থাকার অজুহাতে দুর্ধর্ষ আসামিরা মোবাইলে নিয়মিত কথা বলছেন। ওই ঘটনার আগে জঙ্গিরা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ আসামি আদালতে আনা-নেওয়ার জন্য আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করে কমিটি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির নেতাদের আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে জুতসই নিরাপত্তা ছিল না, যা মোটেও কাম্য নয়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় আদালতে আসামি নেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশের সুযোগ ছিল কারা কর্তৃপক্ষের। তাঁরা প্রিজন ভ্যানের সামনে-পেছনে প্রহরা রাখার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের কাছে আবেদন করতে পারত। তা না করে এ ধরনের ভয়ংকর জঙ্গিদের অল্পসংখ্যক পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ত্রিশালের প্রায় নয় বছরের মাথায় আজ রোববার ঢাকার আদালত এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁরা হলেন—মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব। এরা দুজনই জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আবু সিদ্দিক ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলারও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে অন্য একটি মামলার শুনানি শেষে তাদের হাজত খানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত ভবন থেকে হাজতখানায় আসামিদের নেওয়ার সময় সিজেএম আদালতের প্রধান ফটকের কাছে পৌঁছালে জঙ্গি আসামিরাও পুলিশ সদস্যদের ঘুষি মারে। এ সময় কনস্টেবল আজাদের নাক মুখ ফেটে যায়। আরও দুজন কনস্টেবল অন্য আসামিদের নিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দায়িত্বে থাকা এএসআই মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে আসামিরাই এ কে আজাদকে ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কনস্টেবলদের চোখে স্প্রে করে।’
ত্রিশালের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্ধর্ষ আসামিদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা। কিন্তু তা যে মানা হয়নি তার উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের যেভাবে নিরাপত্তার মাধ্যমে আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় আজ রোববার সেরকম কোনো নিরাপত্তা ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চারজন জঙ্গিকে একজন পুলিশ কনস্টেবল নিয়ে ট্রাইব্যুনালে যান। আবার ট্রাইব্যুনাল থেকে হাজতখানায় ফেরানোর সময় একই ভাবে নেওয়া হয়। সাধারণত দুজন আসামিকে একটি হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নেওয়া হয়। কিন্তু আজ দুই আসামিকে পৃথক ভাবে হাতকড়া পরানো ছিল।
বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ধর্ষ আসামিদের বিশেষ করে জঙ্গিদের যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেরকম নিরাপত্তা ছিল না। অন্তত ওখানে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থাকা উচিত ছিল।’
আসামি ছিনতাই নিয়ে উপকমিশনার (ডিসি) প্রসিকিউশন জসিম উদ্দিন কোনো কথা বলতে রাজি হননি। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এরই মধ্যে জানিয়েছেন, আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বাহিনীর কেউ দায়ী থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই রেড অ্যালার্ট চলছে। সীমান্তেও সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
রাশেদ নিজাম, ঢাকা

২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ এর ২০ নভেম্বরের পার্থক্য প্রায় নয় বছর। জঙ্গিরা তাদের অপারেশন ধরন পাল্টে ঢাকার আদালতের ফটক থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সহযোগীদের। কিন্তু পাল্টায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকা কারাগার ও পুলিশ প্রশাসনের মনোভাব।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলি হয়। গুলি ও বোমার আঘাতে আতিকুল ইসলাম (৩০) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হন। আহত হন আরও দুজন।
সালাহউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮), জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজান (৩৫) ও হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসান (৩৫) নামের জেএমবির তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। তিনজনের মধ্যে সালাহউদ্দিন ও রাকিব মৃত্যুদণ্ড ও বোমা মিজান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
ওই দিনই বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের তক্তারচালা এলাকা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসানকে আরও এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতেই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি। বাকি দুজনকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
গোয়েন্দারা তখন জানিয়েছিলেন, জঙ্গিরা ওই অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন ত্রিশাল’। প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনতাইয়ের এই ঘটনা বাংলাদেশজুড়ে তোলপাড় তোলে। ঘটনার পরপরই সালেহীন ও মিজান ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্তারা।
ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণ মামলার আসামি বোমা মিজান বেঙ্গালুরুতে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) অভিযানে ধরা পড়েন। কিন্তু এখনো সালেহীনের সন্ধান মেলেনি দুই দেশের কোনো সূত্র থেকেই।
ওই ঘটনার তদন্তে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। পুরো ঘটনায় পুলিশ ও কারাগারের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে।
তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) নাজিম উদ্দীন চৌধুরীর পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—কারাগারে ‘জ্যামার’ নষ্ট থাকার অজুহাতে দুর্ধর্ষ আসামিরা মোবাইলে নিয়মিত কথা বলছেন। ওই ঘটনার আগে জঙ্গিরা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ আসামি আদালতে আনা-নেওয়ার জন্য আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করে কমিটি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির নেতাদের আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে জুতসই নিরাপত্তা ছিল না, যা মোটেও কাম্য নয়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় আদালতে আসামি নেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশের সুযোগ ছিল কারা কর্তৃপক্ষের। তাঁরা প্রিজন ভ্যানের সামনে-পেছনে প্রহরা রাখার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের কাছে আবেদন করতে পারত। তা না করে এ ধরনের ভয়ংকর জঙ্গিদের অল্পসংখ্যক পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ত্রিশালের প্রায় নয় বছরের মাথায় আজ রোববার ঢাকার আদালত এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁরা হলেন—মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব। এরা দুজনই জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আবু সিদ্দিক ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলারও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে অন্য একটি মামলার শুনানি শেষে তাদের হাজত খানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত ভবন থেকে হাজতখানায় আসামিদের নেওয়ার সময় সিজেএম আদালতের প্রধান ফটকের কাছে পৌঁছালে জঙ্গি আসামিরাও পুলিশ সদস্যদের ঘুষি মারে। এ সময় কনস্টেবল আজাদের নাক মুখ ফেটে যায়। আরও দুজন কনস্টেবল অন্য আসামিদের নিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দায়িত্বে থাকা এএসআই মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে আসামিরাই এ কে আজাদকে ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কনস্টেবলদের চোখে স্প্রে করে।’
ত্রিশালের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্ধর্ষ আসামিদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা। কিন্তু তা যে মানা হয়নি তার উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের যেভাবে নিরাপত্তার মাধ্যমে আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় আজ রোববার সেরকম কোনো নিরাপত্তা ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চারজন জঙ্গিকে একজন পুলিশ কনস্টেবল নিয়ে ট্রাইব্যুনালে যান। আবার ট্রাইব্যুনাল থেকে হাজতখানায় ফেরানোর সময় একই ভাবে নেওয়া হয়। সাধারণত দুজন আসামিকে একটি হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নেওয়া হয়। কিন্তু আজ দুই আসামিকে পৃথক ভাবে হাতকড়া পরানো ছিল।
বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ধর্ষ আসামিদের বিশেষ করে জঙ্গিদের যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেরকম নিরাপত্তা ছিল না। অন্তত ওখানে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থাকা উচিত ছিল।’
আসামি ছিনতাই নিয়ে উপকমিশনার (ডিসি) প্রসিকিউশন জসিম উদ্দিন কোনো কথা বলতে রাজি হননি। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এরই মধ্যে জানিয়েছেন, আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বাহিনীর কেউ দায়ী থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই রেড অ্যালার্ট চলছে। সীমান্তেও সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ এর ২০ নভেম্বরের পার্থক্য প্রায় নয় বছর। জঙ্গিরা তাদের অপারেশন ধরন পাল্টে ঢাকার আদালতের ফটক থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সহযোগীদের। কিন্তু পাল্টায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকা কারাগার ও পুলিশ প্রশাসনের মনোভাব।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলি হয়। গুলি ও বোমার আঘাতে আতিকুল ইসলাম (৩০) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হন। আহত হন আরও দুজন।
সালাহউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮), জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে বোমা মিজান (৩৫) ও হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসান (৩৫) নামের জেএমবির তিন শীর্ষ নেতাকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। তিনজনের মধ্যে সালাহউদ্দিন ও রাকিব মৃত্যুদণ্ড ও বোমা মিজান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
ওই দিনই বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের তক্তারচালা এলাকা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসানকে আরও এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতেই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন তিনি। বাকি দুজনকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
গোয়েন্দারা তখন জানিয়েছিলেন, জঙ্গিরা ওই অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন ত্রিশাল’। প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনতাইয়ের এই ঘটনা বাংলাদেশজুড়ে তোলপাড় তোলে। ঘটনার পরপরই সালেহীন ও মিজান ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্তারা।
ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণ মামলার আসামি বোমা মিজান বেঙ্গালুরুতে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) অভিযানে ধরা পড়েন। কিন্তু এখনো সালেহীনের সন্ধান মেলেনি দুই দেশের কোনো সূত্র থেকেই।
ওই ঘটনার তদন্তে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। পুরো ঘটনায় পুলিশ ও কারাগারের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে।
তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) নাজিম উদ্দীন চৌধুরীর পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—কারাগারে ‘জ্যামার’ নষ্ট থাকার অজুহাতে দুর্ধর্ষ আসামিরা মোবাইলে নিয়মিত কথা বলছেন। ওই ঘটনার আগে জঙ্গিরা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ আসামি আদালতে আনা-নেওয়ার জন্য আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করে কমিটি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির নেতাদের আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে জুতসই নিরাপত্তা ছিল না, যা মোটেও কাম্য নয়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় আদালতে আসামি নেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশের সুযোগ ছিল কারা কর্তৃপক্ষের। তাঁরা প্রিজন ভ্যানের সামনে-পেছনে প্রহরা রাখার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের কাছে আবেদন করতে পারত। তা না করে এ ধরনের ভয়ংকর জঙ্গিদের অল্পসংখ্যক পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ত্রিশালের প্রায় নয় বছরের মাথায় আজ রোববার ঢাকার আদালত এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁরা হলেন—মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব। এরা দুজনই জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আবু সিদ্দিক ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলারও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ছিনিয়ে নেওয়া ওই আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে অন্য একটি মামলার শুনানি শেষে তাদের হাজত খানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত ভবন থেকে হাজতখানায় আসামিদের নেওয়ার সময় সিজেএম আদালতের প্রধান ফটকের কাছে পৌঁছালে জঙ্গি আসামিরাও পুলিশ সদস্যদের ঘুষি মারে। এ সময় কনস্টেবল আজাদের নাক মুখ ফেটে যায়। আরও দুজন কনস্টেবল অন্য আসামিদের নিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দায়িত্বে থাকা এএসআই মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে আসামিরাই এ কে আজাদকে ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কনস্টেবলদের চোখে স্প্রে করে।’
ত্রিশালের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্ধর্ষ আসামিদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা। কিন্তু তা যে মানা হয়নি তার উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের যেভাবে নিরাপত্তার মাধ্যমে আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয় আজ রোববার সেরকম কোনো নিরাপত্তা ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চারজন জঙ্গিকে একজন পুলিশ কনস্টেবল নিয়ে ট্রাইব্যুনালে যান। আবার ট্রাইব্যুনাল থেকে হাজতখানায় ফেরানোর সময় একই ভাবে নেওয়া হয়। সাধারণত দুজন আসামিকে একটি হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নেওয়া হয়। কিন্তু আজ দুই আসামিকে পৃথক ভাবে হাতকড়া পরানো ছিল।
বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ধর্ষ আসামিদের বিশেষ করে জঙ্গিদের যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেরকম নিরাপত্তা ছিল না। অন্তত ওখানে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা থাকা উচিত ছিল।’
আসামি ছিনতাই নিয়ে উপকমিশনার (ডিসি) প্রসিকিউশন জসিম উদ্দিন কোনো কথা বলতে রাজি হননি। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এরই মধ্যে জানিয়েছেন, আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বাহিনীর কেউ দায়ী থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই রেড অ্যালার্ট চলছে। সীমান্তেও সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলি হয়। গুলি ও বোমার আঘাতে আতিকুল ইসলাম (৩০) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত
২০ নভেম্বর ২০২২
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলি হয়। গুলি ও বোমার আঘাতে আতিকুল ইসলাম (৩০) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত
২০ নভেম্বর ২০২২
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলি হয়। গুলি ও বোমার আঘাতে আতিকুল ইসলাম (৩০) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত
২০ নভেম্বর ২০২২
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৮ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গোলাগুলি হয়। গুলি ও বোমার আঘাতে আতিকুল ইসলাম (৩০) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত
২০ নভেম্বর ২০২২
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে