নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের মতো খুলনার গণসমাবেশ থেকেও সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আর তা হলে, জনগণের দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে বাংলাদেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। শত ভয়ভীতি, বাধা-বিপত্তি এবং হামলা-মামলায় আর জনগণ ভয় পায় না। তারই প্রমাণ খুলনার এই বিশাল গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশের যে দাবি, তা মেনে নিয়ে সরকারকে স্বেচ্ছায়, মানে মানে কেটে পড়া উচিত। অন্যথায় এই অবৈধ সরকারকে কীভাবে নামাতে হয় তা জনগণের আন্দোলনই ঠিক করে দেবে।’
বিএনপির বিভাগীয় পর্যায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার বিকেলে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরের যশোর মহাসড়কে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রক্ত দিচ্ছেন, তা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার আমাদের সে অধিকার ও গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে। দেশকে আজ নরকে পরিণত করেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গেছে। মধ্য রাতে ভোট ডাকাতি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে, আমাদের সকল অর্জন ধ্বংস করেছে। আবার ২০২৩ সালে নির্বাচন আসছে। সে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা গণতন্ত্র নষ্ট করে দিয়েছে। এই সরকার দেশের ভোট ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এই সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা শেখ হাসিনার তৈরি করা নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটা নিরপেক্ষ হাব-ভাব দেখিয়ে তার প্রমাণ করতে চাইছেন, তারা স্বাধীন। নির্বাচন কমিশনের কথা ডিসি, এসপিরা শোনে না। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনো কাজ হবে না। এই জন্য এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কোনো কথা বলছি না। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই লক্ষ্যেই আমরা আন্দোলন করছি।’
বিভিন্ন দুর্নীতি ও লোডশেডিংয়ের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে, শেয়ার বাজারে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বিদ্যুৎ সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে আজ বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। বিদ্যুতের উন্নয়নের নামে দিনে ৫ / ৬ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। ইদানীং শেখ হাসিনা দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির কথা বলছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে খাদ্য সংকট হবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, তারা ১০ টাকা কেজি দরে চল খাওয়াবে। সেই চালের দাম এখন ৯০ টাকা হয়েছে। তারা বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। এখন চাকরি পেতে হলে আওয়ামী লীগের লোকজন ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়। এরা মিথ্যা প্রচার করে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। দেশে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। তারা উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে, লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। আর আমরা জনগণ কষ্টে আছি। বর্গিরা এসে আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এরা বর্গি।’
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে ক্ষমতাসীন দলের পেটোয়া বাহিনী এবং পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আহত করেছে। এর বিচার একদিন হবেই। আমরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন। আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে আপনারা পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন। আপনারাই সন্ত্রাস করেন।’
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন, দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাবা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন এ্যানি, নিতাই চন্দ্র রায় ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
বিএনপির গণসমাবেশে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে গণসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও এর আগে থেকেই স্থানীয় নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।
এদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় সমাবেশে আসতে নানা বাধা ও ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে বলে জানান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অনেকে হেঁটে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ও নৌপথে এসেছেন। পথে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘গত (শুক্রবার) রাত থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি দেখালেও মানুষ ভীত নয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, এ সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায় না।’
এসব অভিযোগের বিষয় খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচিতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা রাজপথে ছিল। তাদের বাধা দেওয়ার বা সংঘর্ষের খবর আমাদের কাছে নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর তাদের বাধা দেয়নি।’
যানবাহন বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাবুল রানা বলেন, ‘এটা পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের বিষয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কী কারণে বন্ধ করেছেন, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের মতো খুলনার গণসমাবেশ থেকেও সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আর তা হলে, জনগণের দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে বাংলাদেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। শত ভয়ভীতি, বাধা-বিপত্তি এবং হামলা-মামলায় আর জনগণ ভয় পায় না। তারই প্রমাণ খুলনার এই বিশাল গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশের যে দাবি, তা মেনে নিয়ে সরকারকে স্বেচ্ছায়, মানে মানে কেটে পড়া উচিত। অন্যথায় এই অবৈধ সরকারকে কীভাবে নামাতে হয় তা জনগণের আন্দোলনই ঠিক করে দেবে।’
বিএনপির বিভাগীয় পর্যায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার বিকেলে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরের যশোর মহাসড়কে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রক্ত দিচ্ছেন, তা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার আমাদের সে অধিকার ও গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে। দেশকে আজ নরকে পরিণত করেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গেছে। মধ্য রাতে ভোট ডাকাতি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে, আমাদের সকল অর্জন ধ্বংস করেছে। আবার ২০২৩ সালে নির্বাচন আসছে। সে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা গণতন্ত্র নষ্ট করে দিয়েছে। এই সরকার দেশের ভোট ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এই সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা শেখ হাসিনার তৈরি করা নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটা নিরপেক্ষ হাব-ভাব দেখিয়ে তার প্রমাণ করতে চাইছেন, তারা স্বাধীন। নির্বাচন কমিশনের কথা ডিসি, এসপিরা শোনে না। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনো কাজ হবে না। এই জন্য এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কোনো কথা বলছি না। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই লক্ষ্যেই আমরা আন্দোলন করছি।’
বিভিন্ন দুর্নীতি ও লোডশেডিংয়ের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে, শেয়ার বাজারে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বিদ্যুৎ সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে আজ বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। বিদ্যুতের উন্নয়নের নামে দিনে ৫ / ৬ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। ইদানীং শেখ হাসিনা দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির কথা বলছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে খাদ্য সংকট হবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, তারা ১০ টাকা কেজি দরে চল খাওয়াবে। সেই চালের দাম এখন ৯০ টাকা হয়েছে। তারা বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। এখন চাকরি পেতে হলে আওয়ামী লীগের লোকজন ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়। এরা মিথ্যা প্রচার করে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। দেশে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। তারা উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে, লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। আর আমরা জনগণ কষ্টে আছি। বর্গিরা এসে আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এরা বর্গি।’
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে ক্ষমতাসীন দলের পেটোয়া বাহিনী এবং পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আহত করেছে। এর বিচার একদিন হবেই। আমরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন। আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে আপনারা পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন। আপনারাই সন্ত্রাস করেন।’
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন, দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাবা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন এ্যানি, নিতাই চন্দ্র রায় ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
বিএনপির গণসমাবেশে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে গণসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও এর আগে থেকেই স্থানীয় নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।
এদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় সমাবেশে আসতে নানা বাধা ও ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে বলে জানান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অনেকে হেঁটে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ও নৌপথে এসেছেন। পথে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘গত (শুক্রবার) রাত থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি দেখালেও মানুষ ভীত নয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, এ সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায় না।’
এসব অভিযোগের বিষয় খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচিতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা রাজপথে ছিল। তাদের বাধা দেওয়ার বা সংঘর্ষের খবর আমাদের কাছে নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর তাদের বাধা দেয়নি।’
যানবাহন বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাবুল রানা বলেন, ‘এটা পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের বিষয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কী কারণে বন্ধ করেছেন, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার আততায়ীদের গুলিতে আহত জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি হেনস্তার শিকার হন প্রবীণ সম্পাদক নূরুল কবীরও। জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। তাই সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা এই মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি ও গুরুতর আঘাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আদর্শ, রাজনীতি ও চিন্তাধারা থাকতে পারে এবং তা নিয়ে মতভেদ ও সমালোচনাও থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে, কোনো সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে নয়।
আমরা আরও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে ধর্ম অবমাননা একটি চরম অন্যায় ও গর্হিত কাজ। কিন্তু বিচার নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা এবং সেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। তাই নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনাও গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
শরিফ ওসমান হাদি বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক লড়াই এবং আধিপত্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে উগ্র ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তারা জুলাইবিরোধী শক্তি। একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট, এসব ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেমন আমরা ছাত্র-জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তেমনি মিডিয়াসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের সব ছাত্র-জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার আততায়ীদের গুলিতে আহত জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি হেনস্তার শিকার হন প্রবীণ সম্পাদক নূরুল কবীরও। জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। তাই সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা এই মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি ও গুরুতর আঘাত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আদর্শ, রাজনীতি ও চিন্তাধারা থাকতে পারে এবং তা নিয়ে মতভেদ ও সমালোচনাও থাকতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে, কোনো সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে নয়।
আমরা আরও গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, গতকাল ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিঃসন্দেহে ধর্ম অবমাননা একটি চরম অন্যায় ও গর্হিত কাজ। কিন্তু বিচার নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা এবং সেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। তাই নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনাও গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
শরিফ ওসমান হাদি বাংলাদেশপন্থী সাংস্কৃতিক লড়াই এবং আধিপত্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা, তখন একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে উগ্র ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তারা জুলাইবিরোধী শক্তি। একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট, এসব ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতিদ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিডিয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেমন আমরা ছাত্র-জনতা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তেমনি মিডিয়াসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ যেন জাতিকে বিভক্ত করতে না পারে, সে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের সব ছাত্র-জনতাকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।

‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে ক্ষমতাসীন দলের পেটোয় বাহিনী এবং পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আহত করেছে। এর বিচার একদিন হবেই। আমরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন। আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে
২২ অক্টোবর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে চলেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
হাদির মৃত্যু ঘিরে নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায় বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে ক্ষমতাসীন দলের পেটোয় বাহিনী এবং পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আহত করেছে। এর বিচার একদিন হবেই। আমরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন। আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে
২২ অক্টোবর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৫ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
এতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কাপুরুষোচিত এই হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ঘৃণা প্রকাশ করছি।
‘যে ঘটনা প্রমাণ করে, একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়ে চলেছে।
‘উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের সব দল প্রতিবাদ করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে চলছে।
‘হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এরূপ পরিস্থিতিতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
‘যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
বিএনপি হাদির মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি তালিকাও দিয়েছে:
১) খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারতের হাইকমিশনের কার্যালয় ও বাসভবনে হামলা।
২) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ঢাকার প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৩) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
৪) ছায়ানটের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৫) ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৬) উত্তরাতে ৩২টি দোকান ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
৭) রাজশাহীতে ডেইলি স্টার-প্রথম আলোর কার্যালয় ভাঙচুর।
৮) ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা!
৯) চট্টগ্রামের প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় পুনরায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
১০) সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
১১) নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা।

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
এতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কাপুরুষোচিত এই হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল মাঝরাতে দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ অগ্নিসংযোগ করেছে। কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজের সম্পাদক ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সাহসী ব্যক্তিত্ব দেশবরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হয়েছে। আমরা এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ঘৃণা প্রকাশ করছি।
‘যে ঘটনা প্রমাণ করে, একটি পুরোনো চিহ্নিত মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ধাবিত করতে চায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করতে চাচ্ছে। সরকারের নাকের ডগায়ই তারা এই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণও মনে করে, সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে দেশ-বিদেশে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়ে চলেছে।
‘উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের সব দল প্রতিবাদ করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে চলছে।
‘হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এরূপ পরিস্থিতিতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা আগামী জাতীয় নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেব না। এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নৈরাজ্যবিরোধী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির আজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
‘যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নির্বাচন আদায় করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
বিএনপি হাদির মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি তালিকাও দিয়েছে:
১) খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারতের হাইকমিশনের কার্যালয় ও বাসভবনে হামলা।
২) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ঢাকার প্রধান কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৩) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারও অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
৪) ছায়ানটের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৫) ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।
৬) উত্তরাতে ৩২টি দোকান ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
৭) রাজশাহীতে ডেইলি স্টার-প্রথম আলোর কার্যালয় ভাঙচুর।
৮) ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা!
৯) চট্টগ্রামের প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় পুনরায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর।
১০) সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ।
১১) নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা।

‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে ক্ষমতাসীন দলের পেটোয় বাহিনী এবং পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আহত করেছে। এর বিচার একদিন হবেই। আমরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন। আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে
২২ অক্টোবর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা ডেইলি স্টারে যান।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ফার্মগেট এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রথম আলো ভবন পরিদর্শনে করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা ডেইলি স্টারে যান।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে ক্ষমতাসীন দলের পেটোয় বাহিনী এবং পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আহত করেছে। এর বিচার একদিন হবেই। আমরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন। আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে
২২ অক্টোবর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছায়ানটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ মনে করছে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলটির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এই নিন্দা জানায়।
৬ ঘণ্টা আগে