পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় চেতনানাশক ছিটিয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করেছেন। গতকাল সোমবার রাতে ছয়জনকে আসামি করে তিনি এই মামলা করেন।
এর আগে ২১ মে রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ওই স্কুলছাত্রী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুলছাত্রী বিভিন্ন সময় স্কুলে যাওয়ার পথে একই এলাকার ইয়াকুব হাওলাদারের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২২) তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি অভিযুক্ত সাইফুলের পরিবারের লোকজনকে জানালে সাইফুল তাঁকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার হুমকি দেন। বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হন। এরই জের ধরে ওই রাতে সাইফুল পাঁচজন সহযোগীসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজন সহযোগী নিয়ে ওই দিন গভীর রাতে নাকে চেতনানাশক স্প্রে করে ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান। এ সময় বাধা দিলে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করেন তাঁরা। এ সময় ঘরে থাকা ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করা হয়। পরের দিন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতী জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে একই পরিবারের চার সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রাতে তাঁরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বাকি আসামিদের নাম জানানো যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে