মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

‘এই যে নারী দিবস, নারী দিবস কারে বলে, আমরা তো জানি না। আমাদের কারখানায় পুরুষেরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পায়, কিন্তু আমরা ওভারটাইম করলেও ন্যায্য মজুরি পাই না।’ কথাটা তৈরি পোশাক কারখানা লোডস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের অপারেটর লাইজু বেগমের। নারী দিবস কী, কেন ইত্যাদি না জানলেও বৈষম্যের পাঠটা তিনি নিজের জীবন দিয়েই নিয়েছেন।
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর সম-অধিকার আদায়ের একটা দিন। পুরো বিশ্ব এই দিবসকে কেন্দ্র করে নানা কর্মসূচি পালন করে। সভা, সমাবেশ, মিছিল, মিটিং থেকে শুরু করে অনলাইন আর অফলাইনে চলে নানা কর্মসূচি পালনের প্রতিযোগিতা। কিন্তু আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ইতিহাস, সে কথা অনেকেই ভুলতে বসেছেন। লাইজু বেগমের মতো নারীরা এখনো দেশে-বিদেশে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে।
এই বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘টেকসই আগামীর লক্ষ্যে লৈঙ্গিক সাম্য’। নারীর জেগে ওঠার কথা তো অনেক আগে থেকেই বলা হচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকাঠামো কতটা সহায় হয়েছে, সে প্রশ্ন তোলাই যায়।
ফেরা যাক লাইজু বেগমের কাছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের যাত্রা যে নারী শ্রমিকদের হাতে হয়েছিল, লাইজুও তেমনই একজন শ্রমিক। নারীর প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার নারীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দিবসের শুরুটা হলেও বৈষম্যের শেষ হয়নি। লাইজু বেগমেরা তাই নারী দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে না জানলেও ঠিকই জানেন বৈষম্যের প্রকরণ। অথচ নারী দিবসের সূত্রপাত হয়েছিল কিন্তু পোশাক কারখানায় নারীদের ন্যায্য মজুরি ও বাড়তি কাজ বাতিলের দাবিতে করা আন্দোলন থেকে।
লোডস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের অপারেটর লাইজু বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কারখানায় পুরুষেরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু আমরা ওভারটাইম করলেও ন্যায্য মজুরি পাই না। আমরা সেই সকাল ৮টায় কারখানায় ঢুকি আর বের হই রাত ৮টায়। কারখানায় অতিরিক্ত সময় কাজ করেও টাকা পাই কম। এই কম টাকা দিয়ে তো সংসার চালাইতে পারি না। আমার তিন বছরের সন্তানের খাবারের টাকা জোগাড় করতে পারি না। ঘরভাড়া দিতে পারি না। যেখানে কম টাকার বাসা খুঁজে পাই, সেখানেই থাকতে হয়।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস রচনা করেছিলেন নারী শ্রমিকেরা। স্বল্প মজুরিতে নারী শ্রমিকের সস্তা শ্রম কেনার প্রতিবাদে গড়ে উঠেছিল সেই আন্দোলন। একটু খেয়াল করলে দেখা যায়, সেদিনের নিউইয়র্ক শহরের সেই পরিস্থিতির সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির তেমন কোনো পার্থক্য নেই। আজও বাংলাদেশের নারী শ্রমিকেরা কর্মক্ষেত্রে পাচ্ছেন না কাজের সঠিক মূল্যায়ন। নারীর কাছ থেকে সস্তায় শ্রম কেনায় কারখানাগুলোর মধ্যে তেমন ভিন্নতা দেখা যায় না। বলা যায়, সেদিনের নিউইয়র্ক শহরে পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের বৈষম্য আজ বাংলাদেশের পোশাক কারখানায়ও বিরাজমান। এর মূল্য দিতে হচ্ছে শুধু সেই শ্রমিককে নয়, তার সন্তানকেও।
লাইজু বেগম বলেন, ‘বাজারের প্রতিটা জিনিসের দাম বেশি। আমরা একদিন হয়তো শাক খাই, আরেকদিন খাই আলু ভর্তা। ভালো খাবার আমরা খুব কম সময়ই খাই। নিজের পোলাটারেও ভালো-মন্দ খাওয়াতে পারি না। এভাবে থাকা আমাদের জন্য অনেক কষ্টের। আমরা তো কারখানায় প্রতিদিন আট ঘণ্টার বেশি কাজ করি। আমরা কেন কম টাকা পাব?’
লাইজুর এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। সভা-সমিতিতে কিংবা নারী দিবসের নানা কর্মসূচিতে নারী-পুরুষ সমানাধিকারের কথা বলা হয়, এবারও হবে। কিন্তু বাংলাদেশে এটি এখনো অনেকটাই কাগজকলমে রয়ে গেছে। লোডস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের আরেক অপারেটর রিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের মালিকপক্ষ ন্যায্য টাকা দেয় না। আমি ২০১৪ সাল থেকে ঢাকায় আছি। এই কারখানায় আমরা অসুস্থ হলে ছুটি পাই না। মাঝে মাঝে এখানকার কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করে, গালাগালি করে। আমরা কোথাও গিয়া শান্তি পাই না।’
রিনা আক্তার শুধু কর্মক্ষেত্রে নন, ঘরেও শান্তির খোঁজ পান না। অধিকারের প্রশ্নে সেখানেও তাঁকে একই আচরণ সহ্য করতে হয়। তিনি বলেন, ‘এত খাটাখাটনির পর ঘরে গিয়া শুনতে হয় জামাইয়ের কথা। ঠিকঠাক নাকি কাজ করতে পারি না। আমরা নারীরা কী করব? সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ডিউটি করি। এরপর বাসায় গিয়া সংসারের কাজ। আমি নারী হয়ে ঘরে, কারখানায় এত কাজ করি, কিন্তু আমার জামাই শুধু বাইরে কাজ করে। আমার জামাই ঘরের কোনো কাজকর্ম করে না। তারে ঘরের কাজ করতে বললে গায়ে হাত তোলে।’
রিনা আক্তারের বর পেশায় একজন গাড়িচালক। তাঁরা দুজনই পরিশ্রম করেন। কিন্তু ঘরের পরিশ্রমটা শুধু রিনার জন্যই তোলা থাকে। সেখানে তাঁর স্বামীর হাত চলে না। এটা শুধু রিনার একার অভিজ্ঞতা নয়, কর্মজীবী নারীমাত্রই এ অভিজ্ঞতা কম-বেশি সবার আছে। রিনা বলেন, ‘আমরা তো দুজনই পরিশ্রম করি। আমি একদিন বাসায় দেরি করে এলে বা শরীর খারাপ লাগলে যদি তারে বলি ভাতটা একটু চুলায় বসায় দিয়ো, সে কিন্তু আমার কথা শোনে না। বরং কথা শোনায়, মেয়েদের জন্ম ঘরের কাজের জন্য। আমরা নারীরা আসলেই অসহায়।’
নিজের কাজের পরিসর, যোগ্যতা এবং বৈষম্য—এসব নিয়ে সচেতন রিনা বলেন, ‘আমাকে কারখানার যেই মেশিনে কাজ দেয়, আমি সে মেশিনে কাজ করতে পারি। কিন্তু মাস শেষে অনেক কম টাকা পাই। আমরা তো মালিক থেকে টাকা ভিক্ষা করছি না। আমরা আমাদের শ্রমের বিনিময়ে মাস শেষে বেতন পাই। সে বেতন আবার একই কাজ করা পুরুষদের সমান না। আমরা তো নারী, আমাদের কেউ সম্মান করে না। ঘরেও অত্যাচার সইতে হয়। কারখানায়ও কথা শুনতে হয়। আবার দেখেন নারীরা নির্যাতনের শিকারও হয় বেশি। আমাদের সরকার কি এসব দেখে না? আমরা আমাদের কাজের সমান মজুরি চাই।’
দেশে নারী দিবস নানা আয়োজনে পালন করা হলেও বাল্যবিবাহ, যৌতুকসহ নানাভাবে নারীরা নির্যাতিত। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২৬৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮৮ জন। তার মধ্যে ৪৬ জন কন্যাশিশুসহ ৭৫ জন ধর্ষণের শিকার, ৩ জন কন্যাশিশুসহ ১২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, ১ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে। এ পরিসংখ্যান কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা খবরের ভিত্তিতে তৈরি। বলে রাখা ভালো—বহু নারী নির্যাতনের খবর সংবাদমাধ্যমে আসেই না। আর মজুরি বৈষম্য রয়ে গেছে সব স্তরে; কখনো প্রত্যক্ষ, কখনো পরোক্ষভাবে।
এ নিয়ে কথা হয় হবিগঞ্জের চা-বাগানের সাধারণ চা-শ্রমিক সন্ধ্যা রানী ভৌমিকের সঙ্গে। চা-বাগানে নারী-পুরুষ বৈষম্যের একটা চিত্র তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল। বললেন, ‘আমি চা-বাগানে ১০ বছর ধরে কাজ করছি। আমাদের এখানে নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য না থাকলেও গাছ ছাঁটাইয়ের সময় শ্রম বৈষম্যের কবলে পড়তে হয়। যেমন আমরা যে সময়ে ১ হাজার ২০০ গাছের চারা কাটি, ঠিক সেই সময়ে পুরুষেরা কাটে ২০০ গাছের চারা। এই কাজ ছেলেরা ৬ ঘণ্টা করলেও নারীদের করতে হয় ৮ ঘণ্টা। এ ক্ষেত্রে ছেলেরা কম চারা গাছ কাটলেও কেউ কিছু বলে না। কিন্তু আমরা কম চারা গাছ কাটলে আমাদের টাকা কেটে রাখে। এ ভারী অন্যায়। আমাদের শ্রমের কি কোনো মূল্য নেই?’
সন্ধ্যা রানী নারী দিবস ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানেন। এ ক্ষেত্রে তিনি রিনা ও লাইজুর চেয়ে এগিয়ে বলা যায়। নারী দিবস কেন পালন করা হয়, জানতে চাইলে সন্ধ্যা রানী বলেন, ‘নারী দিবসটা হচ্ছে ১৮৫৭ সালে নারীদের মজুরি বৈষম্য কমানোর জন্য আন্দোলন হয়েছিল, সেখান থেকে। সেখানে নারীরা এই আন্দোলন সংগঠিত করেছিল। সেই আন্দোলনে মূল ভূমিকা পালন করেন ক্লারা জেটকিন নামের এক নেত্রী। তিনি এই দিবসের সূচনা করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমি যেটা বুঝি সেটা হলো, নারীরা এখনো তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমাদের বাগানগুলো টিকিয়ে রাখছে নারীরা। তারাই কাজ করে বেশি। কিন্তু দিন শেষে নারীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।’
সন্ধ্যা রানী এক অর্থে ঠিকই বলেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্পর্কে জানতে হলে ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চে যেতে হবে। ঘটনাস্থল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর। ন্যায্য মজুরির দাবিতে রাস্তায় নামেন সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেদিনের আন্দোলনরত নারী শ্রমিকদের আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল অতিরিক্ত শ্রমঘণ্টা বাতিল, কর্মক্ষেত্রে অমানবিক আচরণ, ন্যায্য মজুরি, কাজের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবি। সেদিনের সুচ কারখানার নারী শ্রমিকদের মিছিলে চলে সরকারি বাহিনীর দমনপীড়ন। গ্রেপ্তার করা হয় আন্দোলনকারীদের। ফলে এই আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ে। জোরদার হয় আন্দোলন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তিন বছর পর ১৮৬০ সালে সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা তাঁদের নিজস্ব ইউনিয়ন গঠন করেন। এরপর ১৯০৮ সালে ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকেরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম বাতিলের দাবিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই আন্দোলনে প্রায় ২০ হাজার নারী শ্রমিক অংশ নেন। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সম-অধিকারের ঐক্যবদ্ধ এ আন্দোলন থেকেই এই দিবসের সূচনা।
এরপর এল ঐতিহাসিক ১৯১০ সাল। জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেতা ক্লারা জেটকিন কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নারীদের অধিকারের দিন হিসেবে নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান। এই সম্মেলনে ১৭টি দেশ থেকে প্রায় ১০০ জন নারী প্রতিনিধি অংশ নেন। সম্মেলনে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। পরে বিভিন্ন দেশের সমাজতান্ত্রিক নেতারা দিনটি পালনের বিশেষ উদ্যোগ নেন। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জাতিসংঘ বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায়। এরপর থেকে সারা বিশ্বে নারীর সম-অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যথাযথ মর্যাদায় পালন হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বাংলাদেশেও হচ্ছে। কিন্তু লাইজু বেগম, রিনা আক্তার, সন্ধ্যা রানীরা যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই রয়ে যাচ্ছেন।

‘এই যে নারী দিবস, নারী দিবস কারে বলে, আমরা তো জানি না। আমাদের কারখানায় পুরুষেরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পায়, কিন্তু আমরা ওভারটাইম করলেও ন্যায্য মজুরি পাই না।’ কথাটা তৈরি পোশাক কারখানা লোডস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের অপারেটর লাইজু বেগমের। নারী দিবস কী, কেন ইত্যাদি না জানলেও বৈষম্যের পাঠটা তিনি নিজের জীবন দিয়েই নিয়েছেন।
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর সম-অধিকার আদায়ের একটা দিন। পুরো বিশ্ব এই দিবসকে কেন্দ্র করে নানা কর্মসূচি পালন করে। সভা, সমাবেশ, মিছিল, মিটিং থেকে শুরু করে অনলাইন আর অফলাইনে চলে নানা কর্মসূচি পালনের প্রতিযোগিতা। কিন্তু আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ইতিহাস, সে কথা অনেকেই ভুলতে বসেছেন। লাইজু বেগমের মতো নারীরা এখনো দেশে-বিদেশে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে।
এই বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘টেকসই আগামীর লক্ষ্যে লৈঙ্গিক সাম্য’। নারীর জেগে ওঠার কথা তো অনেক আগে থেকেই বলা হচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকাঠামো কতটা সহায় হয়েছে, সে প্রশ্ন তোলাই যায়।
ফেরা যাক লাইজু বেগমের কাছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের যাত্রা যে নারী শ্রমিকদের হাতে হয়েছিল, লাইজুও তেমনই একজন শ্রমিক। নারীর প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার নারীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দিবসের শুরুটা হলেও বৈষম্যের শেষ হয়নি। লাইজু বেগমেরা তাই নারী দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে না জানলেও ঠিকই জানেন বৈষম্যের প্রকরণ। অথচ নারী দিবসের সূত্রপাত হয়েছিল কিন্তু পোশাক কারখানায় নারীদের ন্যায্য মজুরি ও বাড়তি কাজ বাতিলের দাবিতে করা আন্দোলন থেকে।
লোডস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের অপারেটর লাইজু বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কারখানায় পুরুষেরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু আমরা ওভারটাইম করলেও ন্যায্য মজুরি পাই না। আমরা সেই সকাল ৮টায় কারখানায় ঢুকি আর বের হই রাত ৮টায়। কারখানায় অতিরিক্ত সময় কাজ করেও টাকা পাই কম। এই কম টাকা দিয়ে তো সংসার চালাইতে পারি না। আমার তিন বছরের সন্তানের খাবারের টাকা জোগাড় করতে পারি না। ঘরভাড়া দিতে পারি না। যেখানে কম টাকার বাসা খুঁজে পাই, সেখানেই থাকতে হয়।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস রচনা করেছিলেন নারী শ্রমিকেরা। স্বল্প মজুরিতে নারী শ্রমিকের সস্তা শ্রম কেনার প্রতিবাদে গড়ে উঠেছিল সেই আন্দোলন। একটু খেয়াল করলে দেখা যায়, সেদিনের নিউইয়র্ক শহরের সেই পরিস্থিতির সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির তেমন কোনো পার্থক্য নেই। আজও বাংলাদেশের নারী শ্রমিকেরা কর্মক্ষেত্রে পাচ্ছেন না কাজের সঠিক মূল্যায়ন। নারীর কাছ থেকে সস্তায় শ্রম কেনায় কারখানাগুলোর মধ্যে তেমন ভিন্নতা দেখা যায় না। বলা যায়, সেদিনের নিউইয়র্ক শহরে পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের বৈষম্য আজ বাংলাদেশের পোশাক কারখানায়ও বিরাজমান। এর মূল্য দিতে হচ্ছে শুধু সেই শ্রমিককে নয়, তার সন্তানকেও।
লাইজু বেগম বলেন, ‘বাজারের প্রতিটা জিনিসের দাম বেশি। আমরা একদিন হয়তো শাক খাই, আরেকদিন খাই আলু ভর্তা। ভালো খাবার আমরা খুব কম সময়ই খাই। নিজের পোলাটারেও ভালো-মন্দ খাওয়াতে পারি না। এভাবে থাকা আমাদের জন্য অনেক কষ্টের। আমরা তো কারখানায় প্রতিদিন আট ঘণ্টার বেশি কাজ করি। আমরা কেন কম টাকা পাব?’
লাইজুর এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। সভা-সমিতিতে কিংবা নারী দিবসের নানা কর্মসূচিতে নারী-পুরুষ সমানাধিকারের কথা বলা হয়, এবারও হবে। কিন্তু বাংলাদেশে এটি এখনো অনেকটাই কাগজকলমে রয়ে গেছে। লোডস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের আরেক অপারেটর রিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের মালিকপক্ষ ন্যায্য টাকা দেয় না। আমি ২০১৪ সাল থেকে ঢাকায় আছি। এই কারখানায় আমরা অসুস্থ হলে ছুটি পাই না। মাঝে মাঝে এখানকার কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করে, গালাগালি করে। আমরা কোথাও গিয়া শান্তি পাই না।’
রিনা আক্তার শুধু কর্মক্ষেত্রে নন, ঘরেও শান্তির খোঁজ পান না। অধিকারের প্রশ্নে সেখানেও তাঁকে একই আচরণ সহ্য করতে হয়। তিনি বলেন, ‘এত খাটাখাটনির পর ঘরে গিয়া শুনতে হয় জামাইয়ের কথা। ঠিকঠাক নাকি কাজ করতে পারি না। আমরা নারীরা কী করব? সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ডিউটি করি। এরপর বাসায় গিয়া সংসারের কাজ। আমি নারী হয়ে ঘরে, কারখানায় এত কাজ করি, কিন্তু আমার জামাই শুধু বাইরে কাজ করে। আমার জামাই ঘরের কোনো কাজকর্ম করে না। তারে ঘরের কাজ করতে বললে গায়ে হাত তোলে।’
রিনা আক্তারের বর পেশায় একজন গাড়িচালক। তাঁরা দুজনই পরিশ্রম করেন। কিন্তু ঘরের পরিশ্রমটা শুধু রিনার জন্যই তোলা থাকে। সেখানে তাঁর স্বামীর হাত চলে না। এটা শুধু রিনার একার অভিজ্ঞতা নয়, কর্মজীবী নারীমাত্রই এ অভিজ্ঞতা কম-বেশি সবার আছে। রিনা বলেন, ‘আমরা তো দুজনই পরিশ্রম করি। আমি একদিন বাসায় দেরি করে এলে বা শরীর খারাপ লাগলে যদি তারে বলি ভাতটা একটু চুলায় বসায় দিয়ো, সে কিন্তু আমার কথা শোনে না। বরং কথা শোনায়, মেয়েদের জন্ম ঘরের কাজের জন্য। আমরা নারীরা আসলেই অসহায়।’
নিজের কাজের পরিসর, যোগ্যতা এবং বৈষম্য—এসব নিয়ে সচেতন রিনা বলেন, ‘আমাকে কারখানার যেই মেশিনে কাজ দেয়, আমি সে মেশিনে কাজ করতে পারি। কিন্তু মাস শেষে অনেক কম টাকা পাই। আমরা তো মালিক থেকে টাকা ভিক্ষা করছি না। আমরা আমাদের শ্রমের বিনিময়ে মাস শেষে বেতন পাই। সে বেতন আবার একই কাজ করা পুরুষদের সমান না। আমরা তো নারী, আমাদের কেউ সম্মান করে না। ঘরেও অত্যাচার সইতে হয়। কারখানায়ও কথা শুনতে হয়। আবার দেখেন নারীরা নির্যাতনের শিকারও হয় বেশি। আমাদের সরকার কি এসব দেখে না? আমরা আমাদের কাজের সমান মজুরি চাই।’
দেশে নারী দিবস নানা আয়োজনে পালন করা হলেও বাল্যবিবাহ, যৌতুকসহ নানাভাবে নারীরা নির্যাতিত। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২৬৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮৮ জন। তার মধ্যে ৪৬ জন কন্যাশিশুসহ ৭৫ জন ধর্ষণের শিকার, ৩ জন কন্যাশিশুসহ ১২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, ১ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে। এ পরিসংখ্যান কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা খবরের ভিত্তিতে তৈরি। বলে রাখা ভালো—বহু নারী নির্যাতনের খবর সংবাদমাধ্যমে আসেই না। আর মজুরি বৈষম্য রয়ে গেছে সব স্তরে; কখনো প্রত্যক্ষ, কখনো পরোক্ষভাবে।
এ নিয়ে কথা হয় হবিগঞ্জের চা-বাগানের সাধারণ চা-শ্রমিক সন্ধ্যা রানী ভৌমিকের সঙ্গে। চা-বাগানে নারী-পুরুষ বৈষম্যের একটা চিত্র তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল। বললেন, ‘আমি চা-বাগানে ১০ বছর ধরে কাজ করছি। আমাদের এখানে নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য না থাকলেও গাছ ছাঁটাইয়ের সময় শ্রম বৈষম্যের কবলে পড়তে হয়। যেমন আমরা যে সময়ে ১ হাজার ২০০ গাছের চারা কাটি, ঠিক সেই সময়ে পুরুষেরা কাটে ২০০ গাছের চারা। এই কাজ ছেলেরা ৬ ঘণ্টা করলেও নারীদের করতে হয় ৮ ঘণ্টা। এ ক্ষেত্রে ছেলেরা কম চারা গাছ কাটলেও কেউ কিছু বলে না। কিন্তু আমরা কম চারা গাছ কাটলে আমাদের টাকা কেটে রাখে। এ ভারী অন্যায়। আমাদের শ্রমের কি কোনো মূল্য নেই?’
সন্ধ্যা রানী নারী দিবস ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানেন। এ ক্ষেত্রে তিনি রিনা ও লাইজুর চেয়ে এগিয়ে বলা যায়। নারী দিবস কেন পালন করা হয়, জানতে চাইলে সন্ধ্যা রানী বলেন, ‘নারী দিবসটা হচ্ছে ১৮৫৭ সালে নারীদের মজুরি বৈষম্য কমানোর জন্য আন্দোলন হয়েছিল, সেখান থেকে। সেখানে নারীরা এই আন্দোলন সংগঠিত করেছিল। সেই আন্দোলনে মূল ভূমিকা পালন করেন ক্লারা জেটকিন নামের এক নেত্রী। তিনি এই দিবসের সূচনা করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমি যেটা বুঝি সেটা হলো, নারীরা এখনো তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমাদের বাগানগুলো টিকিয়ে রাখছে নারীরা। তারাই কাজ করে বেশি। কিন্তু দিন শেষে নারীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।’
সন্ধ্যা রানী এক অর্থে ঠিকই বলেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্পর্কে জানতে হলে ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চে যেতে হবে। ঘটনাস্থল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর। ন্যায্য মজুরির দাবিতে রাস্তায় নামেন সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেদিনের আন্দোলনরত নারী শ্রমিকদের আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল অতিরিক্ত শ্রমঘণ্টা বাতিল, কর্মক্ষেত্রে অমানবিক আচরণ, ন্যায্য মজুরি, কাজের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবি। সেদিনের সুচ কারখানার নারী শ্রমিকদের মিছিলে চলে সরকারি বাহিনীর দমনপীড়ন। গ্রেপ্তার করা হয় আন্দোলনকারীদের। ফলে এই আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ে। জোরদার হয় আন্দোলন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তিন বছর পর ১৮৬০ সালে সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা তাঁদের নিজস্ব ইউনিয়ন গঠন করেন। এরপর ১৯০৮ সালে ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকেরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম বাতিলের দাবিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই আন্দোলনে প্রায় ২০ হাজার নারী শ্রমিক অংশ নেন। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সম-অধিকারের ঐক্যবদ্ধ এ আন্দোলন থেকেই এই দিবসের সূচনা।
এরপর এল ঐতিহাসিক ১৯১০ সাল। জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেতা ক্লারা জেটকিন কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নারীদের অধিকারের দিন হিসেবে নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান। এই সম্মেলনে ১৭টি দেশ থেকে প্রায় ১০০ জন নারী প্রতিনিধি অংশ নেন। সম্মেলনে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। পরে বিভিন্ন দেশের সমাজতান্ত্রিক নেতারা দিনটি পালনের বিশেষ উদ্যোগ নেন। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জাতিসংঘ বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায়। এরপর থেকে সারা বিশ্বে নারীর সম-অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যথাযথ মর্যাদায় পালন হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বাংলাদেশেও হচ্ছে। কিন্তু লাইজু বেগম, রিনা আক্তার, সন্ধ্যা রানীরা যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই রয়ে যাচ্ছেন।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

‘এই যে নারী দিবস, নারী দিবস কারে বলে, আমরা তো জানি না। আমাদের কারখানায় পুরুষেরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু আমরা ওভারটাইম করলেও ন্যায্য মজুরি পাই না।’ কথাটা তৈরি পোশাক কারখানা লোডস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের অপারেটর লাইজু বেগমের। নারী দিবস কী, কেন ইত্যাদি না জানলেও বৈষম্যের পাঠটা তিনি নিজের জীবন দিয়েই ন
০৮ মার্চ ২০২২
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

‘এই যে নারী দিবস, নারী দিবস কারে বলে, আমরা তো জানি না। আমাদের কারখানায় পুরুষেরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু আমরা ওভারটাইম করলেও ন্যায্য মজুরি পাই না।’ কথাটা তৈরি পোশাক কারখানা লোডস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের অপারেটর লাইজু বেগমের। নারী দিবস কী, কেন ইত্যাদি না জানলেও বৈষম্যের পাঠটা তিনি নিজের জীবন দিয়েই ন
০৮ মার্চ ২০২২
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

‘এই যে নারী দিবস, নারী দিবস কারে বলে, আমরা তো জানি না। আমাদের কারখানায় পুরুষেরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু আমরা ওভারটাইম করলেও ন্যায্য মজুরি পাই না।’ কথাটা তৈরি পোশাক কারখানা লোডস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের অপারেটর লাইজু বেগমের। নারী দিবস কী, কেন ইত্যাদি না জানলেও বৈষম্যের পাঠটা তিনি নিজের জীবন দিয়েই ন
০৮ মার্চ ২০২২
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ এসব মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবিএল) সাবেক পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং সাবেক পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য বশির আহম্মেদ পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই কাজে কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ব্যবহার করেন তাঁরা। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঋণের নামে ইউসিবিএলের বিভিন্ন শাখা থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, সাধারণ শ্রমিক, দিনমজুর ও অসহায় মানুষকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হয়। পরে সেগুলো ব্যবহার করে আটটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণ আবেদন করা হয়। ঋণ অনুমোদনের পর ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
ইউসিবিএলের চকবাজার শাখায় আমির হামজাকে এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, মঈন উদ্দিনকে মুন এন্টারপ্রাইজ, নুরুল ইসলামকে ইসলাম এন্টারপ্রাইজ, সাইফু উদ্দিনকে সান সাইন এন্টারপ্রাইজ, দিদারুল আলমকে আলম এন্টারপ্রাইজ, জসীম উদ্দিনকে জুপিটার এন্টারপ্রাইজ, নাজিম উদ্দিনকে নাজিম অ্যান্ড সন্স এবং রাজধন কর্মকারকে আল রাজি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী দেখিয়ে আটটি চলতি হিসাব খোলা হয়।
তদন্তে দেখা গেছে, ইউসিবিএলের চকবাজার শাখা থেকে এশিয়া এন্টারপ্রাইজের নামে ৮ কোটি টাকা, মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৭ কোটি টাকা, ইসলাম এন্টারপ্রাইজের নামে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং সান সাইন এন্টারপ্রাইজের নামে ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। ইউসিবিএলের পোর্ট শাখা থেকে আলম এন্টারপ্রাইজের নামে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, জুপিটার এন্টারপ্রাইজের নামে ৯ কোটি টাকা, পাহাড়তলী শাখা থেকে নাজিম অ্যান্ড সন্সের নামে ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বহদ্দারহাট শাখা থেকে আল রাজি এন্টারপ্রাইজের নামে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সব মিলিয়ে আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ এসব মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবিএল) সাবেক পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং সাবেক পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য বশির আহম্মেদ পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই কাজে কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ব্যবহার করেন তাঁরা। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঋণের নামে ইউসিবিএলের বিভিন্ন শাখা থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, সাধারণ শ্রমিক, দিনমজুর ও অসহায় মানুষকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হয়। পরে সেগুলো ব্যবহার করে আটটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণ আবেদন করা হয়। ঋণ অনুমোদনের পর ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
ইউসিবিএলের চকবাজার শাখায় আমির হামজাকে এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, মঈন উদ্দিনকে মুন এন্টারপ্রাইজ, নুরুল ইসলামকে ইসলাম এন্টারপ্রাইজ, সাইফু উদ্দিনকে সান সাইন এন্টারপ্রাইজ, দিদারুল আলমকে আলম এন্টারপ্রাইজ, জসীম উদ্দিনকে জুপিটার এন্টারপ্রাইজ, নাজিম উদ্দিনকে নাজিম অ্যান্ড সন্স এবং রাজধন কর্মকারকে আল রাজি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী দেখিয়ে আটটি চলতি হিসাব খোলা হয়।
তদন্তে দেখা গেছে, ইউসিবিএলের চকবাজার শাখা থেকে এশিয়া এন্টারপ্রাইজের নামে ৮ কোটি টাকা, মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৭ কোটি টাকা, ইসলাম এন্টারপ্রাইজের নামে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং সান সাইন এন্টারপ্রাইজের নামে ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। ইউসিবিএলের পোর্ট শাখা থেকে আলম এন্টারপ্রাইজের নামে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, জুপিটার এন্টারপ্রাইজের নামে ৯ কোটি টাকা, পাহাড়তলী শাখা থেকে নাজিম অ্যান্ড সন্সের নামে ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বহদ্দারহাট শাখা থেকে আল রাজি এন্টারপ্রাইজের নামে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সব মিলিয়ে আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

‘এই যে নারী দিবস, নারী দিবস কারে বলে, আমরা তো জানি না। আমাদের কারখানায় পুরুষেরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু আমরা ওভারটাইম করলেও ন্যায্য মজুরি পাই না।’ কথাটা তৈরি পোশাক কারখানা লোডস্টার ফ্যাশন লিমিটেডের অপারেটর লাইজু বেগমের। নারী দিবস কী, কেন ইত্যাদি না জানলেও বৈষম্যের পাঠটা তিনি নিজের জীবন দিয়েই ন
০৮ মার্চ ২০২২
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে