Ajker Patrika

এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নয়, সীমিত পরিসরে ক্লাস চলবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ১১
এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নয়, সীমিত পরিসরে ক্লাস চলবে: শিক্ষামন্ত্রী

করোনার সংক্রমণ বাড়লেও এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে সীমিত পরিসরে ক্লাস চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদানে জোর দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল রোববার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সেই সভার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় এসব তথ্য জানান তিনি।  

দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। এটিকে আরও মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে চাই। মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। করোনার সংক্রমণের হার ৭ শতাংশ থাকার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছিলাম। এখন সংক্রমণের হার তার কাছাকাছি হলেও আমরা ভালো অবস্থায় আছি। কারণ অনেকেই টিকা নিয়েছেন। এ মাসের মধ্যে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে।’ 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করব না। টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করব। স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মনিটরিং জোরদার করব। সীমিত পরিসরে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলছে, সেভাবেই চলবে। পরামর্শক কমিটির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করব। বন্ধ করার প্রয়োজন হলে বন্ধ করে দেব। তবে আমরা মনে করছি টিকা দেওয়া গেলে তার প্রয়োজন হবে না।’ 

করোনার সংক্রমণ হার কত শতাংশে উঠলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

এক ডোজ টিকা না নিয়ে স্কুল-কলেজে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফলে যারা করোনার টিকা নেয়নি তাদের অনলাইনে ক্লাস করার পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী। এ ছাড়া যেসব শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি রয়েছে তাদেরও অনলাইনে ক্লাস ও টিভির ক্লাস অনুসরণ করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। 

দীপু মনি জানান, ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের এখনই টিকা দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষায় আছেন তারা। 

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। টানা দেড় বছর বন্ধ রেখে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। ছবি: ফেসবুক
আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। ছবি: ফেসবুক

আলোচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন মাসের আটকাদেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আজ বুধবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লা আল মামুন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ রাখা হয়েছে।

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, আসাদুল্লাহ বা আতাউর নামেও পরিচিত। তাঁর বাবার নাম হুমায়ুন সর্দার, মা রোকেয়া বেগম।

আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী উপজেলার আমতলী গ্রামে। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ইস্তা গ্রামে অবস্থিত মারকাজুল হুনাফা আল মুসলিমিন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল (অধ্যক্ষ)। এ ছাড়া হুনাফা ইসলামীক স্কুলেরও প্রিন্সিপাল।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ঝিকরগাছা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা এফআইআর (নং- ১৮ / ৭৭)-এর এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।

মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। রাজধানীতেও বিভিন্ন আন্দোলন বিক্ষোভের সময় তাঁকে সামনের সারিতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, আতাউর রহমান, আযাদী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শানে সাহাবা পদে রয়েছেন।

গত অক্টোবরে গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলায় হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। একই মাসে গাজীপুরের একটি মসজিদের ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর কথিত ‘অপহরণ’ ঘটনা সারা দেশে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। দুটি ঘটনা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপর ছিলেন আতাউর রহমান। এ দুটি বিষয় নিয়ে সশরীরে থানা-পুলিশ করেন তিনি। যদিও মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর ঘটনাটি পরে ‘অপহরণ’ নয় বলে জানায় পুলিশ।

সর্ব সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত বিক্ষোভের একটি অংশে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। যদিও অন্য বিক্ষোভকারীরা তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখায় তিনি মাঝপথে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে চলে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন ও গণভোটের প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক হলেন আলী রীয়াজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৯
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট-সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ছিলেন আলী রীয়াজ। পরে তাঁকে উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিদ্যুৎ খাতে ৯৬ শতাংশ বিনিয়োগই জীবাশ্ম জ্বালানিতে: টিআইবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫২
বিদ্যুৎ খাতে ৯৬ শতাংশ বিনিয়োগই জীবাশ্ম জ্বালানিতে: টিআইবি

দেশে বিদ্যুৎ খাতে বিপুল বিনিয়োগ হলেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর কার্যত থমকে আছে। ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ হলেও এর ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যয় হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে। বিপরীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সুশাসনের ঘাটতি, নীতিগত দুর্বলতা ও প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ধানমন্ডি কার্যালয়ে আজ বুধবার সকালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। এটি উপস্থাপন করেন নেওয়াজুল মওলা ও আশনা ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের ও আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৮ হাজার ৬১৬ দশমিক ৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ মাত্র ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ৭ মেগাওয়াট; যা মোট সক্ষমতার ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮-এ ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে তিন গুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং দ্বিগুণ জ্বালানি দক্ষতা অর্জনের বিষয়ে দেশগুলো একমত হয়। এই অঙ্গীকার কপ-২৯ ও কপ-৩০ সম্মেলনেও বহাল রয়েছে।

টিআইবি বলছে, দেশে বর্তমানে মাত্র ১৭টি গ্রিড-সংযুক্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প রয়েছে, যার মোট সক্ষমতা ১ হাজার ২২১ দশমিক ৪ মেগাওয়াট। ভূমি স্বল্পতাকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রসারে ‘প্রধান বাধা’ হিসেবে দেখানো হলেও সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো একে ‘মিথ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত সৌরশক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবর্তে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয়ের প্রবণতা বাড়ছে। অধিকাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পই আনসলিসিটেড, অর্থাৎ প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়াই আইপিপির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে; যা সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

জ্বালানি খাত থেকে কার্বন নিঃসরণও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে যেখানে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ ছিল ৪১ মিলিয়ন টন, ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৯ মিলিয়ন টনে। অর্থাৎ ১১৮ শতাংশ বৃদ্ধি। ২০৩০ সালে এই নিঃসরণ ১৭০ মিলিয়ন টনে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা ২০০৮ সালের তুলনায় ৪১৫ শতাংশ বেশি।

টিআইবির মতে, জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্প্রসারণ প্যারিস চুক্তি, জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) ও জাতিসংঘের টেকসই অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পরিপন্থী। একই সঙ্গে আমদানিনির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থার কারণে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ক্রমেই ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বর্তমান ক্ষুদ্র অবদান এবং চলমান প্রকল্পগুলোর ধীর অগ্রগতি ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক নয়।

গবেষণায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়। এ লক্ষ্যে ২০০৮ থেকে ২০২৫ সাল সময়কালে আইন, নীতি ও পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করা হয়।

পাশাপাশি ২০১২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে গৃহীত নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোর পরিকল্পনা, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির ধরন পর্যালোচনা করা হয়।

টিআইবি মনে করে, ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ন্যায়সংগত জ্বালানি রূপান্তরের জন্য বিদ্যমান নীতি পুনর্মূল্যায়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রামপুরায় ২৮ জন হত্যা: সাবেক দুই বিজিবি কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রামপুরায় ২৮ জন হত্যা: সাবেক দুই বিজিবি কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরা এলাকায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সেইসঙ্গে এই মামলায় প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।

অপর তিন আসামি হলেন—বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম মুন এবং পলাতক আসামি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান।

অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর ট্রাইব্যুনাল উপস্থিত বিজিবির সাবেক দুই কর্মকর্তার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান। পলাতক দুই আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। আর উপস্থিত দুই আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত