Ajker Patrika

বিপুল আয়েও সাফল্যের পাল্লা হালকা বিসিবির

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২১, ১০: ০৪
বিপুল আয়েও সাফল্যের পাল্লা হালকা বিসিবির

‘আফগানিস্তানের টাকা নেই, আছে বুলেট! ওদের কাছেই আমরা হারি। ২০ (২১) বছর হয়ে গেল, এখনো টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে আমরা নয়ে-দশে আছি’—বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হক দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। অর্থবিত্তে গত এক দশকে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অবস্থান যতটা শক্তিশালী হয়েছে, ব্যাটে-বলে সাফল্যের গ্রাফ ততটা ওপরে ওঠেনি। শুধু সৈয়দ আশরাফ কেন, দেশের সব ক্রিকেটপ্রেমীরই এই আফসোস হবে।

টাকা ও মাঠের পারফরম্যান্সে অদ্ভুত বৈপরীত্য
গত ১০ বছরে বিসিবির পুঞ্জিভূত তহবিল বা স্থিতি বেড়েছে ৪০০ কোটি টাকা। ফিক্সড ডিপোজিটে (এফডিআর) বিনিয়োগ করে গত তিন অর্থবছরেই বিসিবি সুদ থেকে আয় করেছে ১৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরেই বিসিবির এফডিআর ছিল ৫৪৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশের মতো মধ্যম আয়ের দেশের একটি ক্রীড়া সংস্থার তহবিল বিশাল হলেও ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁদের সাফল্য তুলনামূলক কমই। শীর্ষ ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই (ভারত), ইসিবি (ইংল্যান্ড), সিএ (অস্ট্রেলিয়া)-কে যদি বাদও দেওয়া হয়; বাকিদের চেয়ে সাফল্যের বিবেচনায় পিছিয়েই থাকবে বিসিবি।

২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রায় ১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকার পরও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ক্যাবিনেটে গত এক দশকে উঠেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো শিরোপা। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতেছে তারা। পাকিস্তান জিতেছে ২০১২ এশিয়া কাপ।

আর্থিকভাবে ক্রমেই দুর্বল হতে থাকা শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) শোকেসে গত এক দশকে উঠেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৪ এশিয়া কাপের ট্রফি। শ্রীলঙ্কা খেলেছে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল। আর্থিকভাবে বিসিবির চেয়ে স্পষ্ট দূরত্বে থাকা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) কদিন আগে ভারতকে হারিয়ে জিতেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি। যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে (ডব্লউআইসিবি) সিরিজ আয়োজন করতে হাত পাততে হয় বিসিবির কাছে, তারা টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন (২০১২, ২০১৬)।

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র বৈশ্বিক শিরোপা এসেছে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে, সেটিও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হাত ধরে। তার আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ নারী দলের এশিয়া কাপ জয়টাই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিসিবির সবচেয়ে বড় সাফল্য। কিন্তু যে দলকে কেন্দ্র করে বিসিবির এত আয়, নামডাক, মানুষের বিপুল আগ্রহ—যে দল গত এক দশকে সমৃদ্ধ হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো বড় বড় তারকার উপস্থিতিতে; সেই দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। খোদ বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও স্বীকার করছেন আর্থিক শক্তি বাড়ার সমানতালে বাড়েনি মাঠের সাফল্য, ‘শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু আমরা তো চ্যাম্পিয়ন নই...।’ তবে তিনি টাকার সঙ্গে সাফল্য মেলাতে আগ্রহী নন। নিজাম উদ্দিন বলছেন, ‘টাকার সঙ্গে (মাঠের) সাফল্যের তুলনা হয় না। এটা তো এমন নয় ব্যবসায় বিনিয়োগ করলেন আর সঙ্গে সঙ্গে রিটার্ন পেলেন। শেয়ার মার্কেটও এটা না। এখানে একটু সময় দিতে হবে। আমরা হয়তো একটু বেশি সময় নিচ্ছি—এটি বলতে পারেন।’

বড় শিরোপা না জিতলেও বাংলাদেশ দল বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সাফল্য অবশ্য পেয়েছে। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়, ২০১৭ সালে টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার মাঠে টেস্ট সিরিজ ড্র; ২০১২, ২০১৬, ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা। ২০০৭ বিশ্বকাপে সুপার এইট, ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা কিংবা ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল তো আছেই, ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ভারত-পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জয়—এসব সাফল্য বিসিবিকে সহায়তা করেছে বড় অঙ্কের স্পন্সরশিপ মানি পেতে।

শিরোপা জয়েই নয়, আইসিসির তিন সংস্করণের র‍্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশ দলের বড় অগ্রগতি নেই। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে ওঠাই বাংলাদেশের বড় সাফল্য। টেস্ট, টি-টোয়েন্টিতে এখনো নয়-দশ নম্বরেই আটকে আছে বাংলাদেশ। র‍্যাঙ্কিংয়ে দুরবস্থার কারণে দুই মাস পর হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে বাছাই পর্বের বৈতরণি পেরোতে হবে স্কটল্যান্ড, ওমান আর পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে খেলে। অথচ আর্থিকভাবে যথেষ্ট পিছিয়ে থাকা নবীন আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে সরাসরি।

উন্নয়নে যেভাবে টাকার ব্যবহার
ক্রিকেটের উন্নয়নের চিত্রটা কেমন হওয়া দরকার, আজকের পত্রিকার কাছে সেটি খোলামেলাই ব্যাখ্যা করলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, আমরা একটা দিকে (আর্থিক) উন্নত করেছি, এখন আরেকটি দিকে (মাঠের পারফরম্যান্স) উন্নতি করতে হবে। আমরা কৃচ্ছ্র সাধন করছি, তা নয়। প্রচুর ব্যয় করছি। ফল আসতে সময় লাগবে। পাঁচ-সাত বছর আগে আইসিসিতে বলেছিলাম, আমরা বেশি করে খেলতে চাই। এখন আমরা অনেক ম্যাচ পাচ্ছি। উন্নতি করতে হলে আপনাকে প্রচুর খেলতে হবে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলছি। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জিতলাম, আয়ারল্যান্ডে ট্রফি জিতলাম—এগুলো উন্নয়নে প্রভাব ফেলে না। আমাদের উন্নয়ন তখন বোঝাবে, যখন অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ম্যাচ জিতব, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে জিতব।

বিপুল টাকা থাকার পরও বিসিবির সাফল্য কেন কম, এ প্রশ্নে যে উত্তরটা মিলছে—মিরপুরের বাইরে খেলোয়াড় তৈরির ‘কারখানা’য় ক্রিকেট বোর্ডের বিনিয়োগ তুলনামূলক কম। বিসিবি খুব একটা ব্যয় করে না জেলা কিংবা বিভাগভিত্তিক ক্রিকেট উন্নয়নে। যদিও গেম ডেভেলপমেন্টে বেশ বড় অঙ্কই বরাদ্দ রাখে বিসিবি। চলতি অর্থবছরেও তাদের বরাদ্দ আছে ১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ক্রিকেট উন্নয়নে ব্যয় করেছিল ২২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। তার আগের অর্থবছরে ২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। গত এক দশকে বিসিবি ক্রিকেট উন্নয়নে গড়ে প্রতি অর্থবছরে ১৬-১৭ কোটি টাকা খরচ করেছে। যদিও লজিস্টিক অ্যান্ড প্রটোকলেই এর দ্বিগুণ খরচ করে বিসিবি। সৈয়দ আশরাফের প্রশ্ন, ‘আমাদের কোচ, আম্পায়ারিং এমনকি মাঠকর্মীদের উন্নয়নে কতটা খরচ করছি? এত টাকা যখন আছে, যদি পরিকল্পিতভাবে খরচ করা হতো, গত ১৫ বছরে আমাদের দেশের ক্রিকেট অনেক উন্নত হয়ে যেত। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্রিকেট উন্নত করা দরকার। প্রান্তিক পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার।’

উন্নয়ন যত ঢাকায়
ভুল বলেননি সৈয়দ আশরাফ। গেম ডেভেলপমেন্টে যে ব্যয় হোক, বেশির ভাগই ঢাকাকেন্দ্রিক। বয়সভিত্তিক দলের পরিচর্যা, হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দল, ক্রিকেট সরঞ্জামাদি কেনা, খেলোয়াড়দের চিকিৎসা, মেয়েদের ক্রিকেট উন্নয়ন, মাঠের উন্নয়ন ইত্যাদি খরচ ঢাকাকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। অনেকে তাই রসিকতা করে বিসিবিকে ‘ডিসিবি’ বা ‘ঢাকা ক্রিকেট বোর্ড’ বলেন! অথচ বেশির ভাগ ক্রিকেটার উঠে আসে বিভিন্ন জেলা, প্রান্তিক এলাকা আর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে। গত দুই দশকে বাংলাদেশ দল সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার পেয়েছে খুলনা অঞ্চল থেকে। অথচ এই অঞ্চলে ক্রিকেটীয় কাঠামো কিংবা সুযোগ-সুবিধা কখনোই ঢাকার সঙ্গে তুলনীয় নয়। যে ঢাকায় এত সুযোগ-সুবিধা, বর্তমান জাতীয় দলে এই শহর থেকে উঠে আসা ক্রিকেটার আছেন মাত্র তিনজন।

আঞ্চলিক ক্রিকেট উন্নয়নে বিসিবি
ঢাকার বাইরের খেলাটার উন্নয়নে বিসিবির ব্যয়ও খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়। গত ১০ বছরে বিসিবি জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রিকেট উন্নয়নে অনুদান কিংবা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে মোট ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। সেটিও নিয়মিত নয়। ২০১১ সালে ১৭ লাখ, ২০১২ সালে ১ কোটি ৪২ লাখ, ২০১৬ সালে ১২ লাখ, ২০১৭ সালে ৩২ লাখ আর ২০১৯ সালে দেওয়া হয়েছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

ঢাকার বাইরের ক্রিকেট উন্নয়নের ব্যয় নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, ‘আমরা দিই না (টাকা), কথাটা ঠিক না। যেসব জেলা আমাদের কাছে প্রতি বছরের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা দেয়, তাদেরকে আমরা একটি অঙ্ক দিই। যারা দেয় না, তাদের হয়তো দিতে পারিনি। আমরা তো সঠিক নিরীক্ষা আর পরিকল্পনা ছাড়া দিতে পারব না। বিভাগীয় বিনিয়োগ তখনই হবে, যখন আঞ্চলিক ক্রিকেটের কাঠামো আরও সুসংগঠিত হবে। যখন প্রত্যেকটা অঞ্চলে একটি ‘‘মিনি বিসিবি’’ থাকবে।’

মিনি বিসিবির ধারণাটা নিজাম উদ্দিন আরও স্পষ্ট করছেন এভাবে, ‘যখন আমরা এটি করতে পারব, তখন হয়তো আমাদের বরাদ্দ আরও বেশি হবে। খরচটা তখন কেন্দ্রীয়ভাবে না হয়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা যাবে। ইয়ুথ ক্রিকেট, স্কুল ক্রিকেট তারা করবে। কাঠামো দাঁড়িয়ে গেলে সেখানে আমার একজন ম্যানেজার দিতে পারব। পেশাদার কাঠামো না দাঁড় করালে আসলে ফলপ্রসূ হবে না।’

গত তিন বছরে বিসিবি অবশ্য ‘আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা’র নামে কিছু অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। ২০১৯ সালে এই খাতে ১৭ লাখ ৮৯ হাজার, ২০২০ সালে ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিলেও চলতি অর্থবছরে আকস্মিকভাবে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

ক্রিকেট অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিসিবি
অবকাঠামোগত ও মাঠ উন্নয়নে অন্যান্য খাতের তুলনায় বিসিবির ব্যয় কমই বলতে হবে। গত তিন অর্থবছরে বোর্ড স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করেছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বেশির ভাগ স্টেডিয়াম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) আওতাধীন। তবে বিসিবি নিজ খরচে তৈরি করতে যাচ্ছে ঢাকার পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটির মূল নির্মাণকাজ শুরুর আগেই গত চার বছরে বিসিবির খরচ প্রায় দেড় কোটি টাকা। এর আগে বিসিবি সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে তাদের আওতায় থাকা কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। গত ১০ বছরে এই স্টেডিয়ামে খরচ প্রায় ২৫ কোটি টাকা।

‘বিভিন্ন অঞ্চলে আমরা আমাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো উন্নত করব, যেন খেলোয়াড়েরা সুফল পায়। কক্সবাজারে যেমন আমরা একটা ইনডোর করার ব্যবস্থা করতে পারি। বরিশালে ভাঙাচোরা ইনডোরকে উন্নত করতে পারি। কার্যক্রমগুলো চলমান আছে। এত দিন জিমের সরঞ্জামাদি দেওয়ার মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে। (গত দেড় বছরে) অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে আমরা যেতে পারিনি শুধুমাত্র মহামারির কারণে। আমাদের পরিকল্পনা কিন্তু আছে’—নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলছিলেন আঞ্চলিক ক্রিকেট উন্নয়নে তাঁদের পরিকল্পনার কথা।

খেলোয়াড় তৈরি হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হচ্ছে জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরগুলোর টুর্নামেন্ট। প্রতিটি জেলা কিংবা বিভাগে টুর্নামেন্ট আয়োজন বিসিবির পক্ষে সম্ভব নয়, এই যুক্তি সামনে আসতে পারে। কিন্তু বিসিবির অধীনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের মান নিয়ে গত কয়েক বছরে নিয়মিতই উঠেছে প্রশ্ন। সবচেয়ে নিচে থাকা তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট লিগ থেকে ২০১১ ও ২০১২ সালে বিসিবির আয় ছিল ২২ লাখ টাকা। ২০১৯ ও ২০২০ সালে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ টাকায়।

তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট লিগ থেকে আয়টা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, একটা সময় বাছাইটা ছিল ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ৪০-৫০টা ক্লাব নির্ধারিত এন্ট্রি ফি দিয়ে অংশ নিত তৃতীয় বিভাগে ওঠার লড়াইয়ে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমেই উঠে আসত অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার। এটিই একজন পেশাদার ক্রিকেটারের প্রথম ধাপ। এখন সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা লিগটার মর্যাদা নেই বলে অনেক পৃষ্ঠপোষক আর দল গড়ার আগ্রহ খুঁজে পান না। নামে মাত্র দুটি দল এন্ট্রি ফি দিয়ে চলে আসে তৃতীয় বিভাগে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবশ্য মনে করেন, তৃতীয় বিভাগে না পারলেও প্রতিভার প্রমাণ দেওয়ার আরও মঞ্চ আছে দেশের ক্রিকেটে, ‘আগে ক্লাব বেচা-কেনার সুযোগ ছিল। বোর্ড সেই বেচা-কেনার সুযোগ দেবে কেন? এটি হয়তো থামানো গেছে। আবার এটির অন্য প্রভাবও যে নেই, বলব না। হয়তো আমরা ট্যালেন্ট মিস করছি। কিন্তু ট্যালেন্টদের প্রমাণ করার অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। স্কুল ক্রিকেট আছে। সেখানেও প্রতিভার প্রমাণ হতে পারে।’

এফডিআরের সুদ, আইসিসি থেকে পাওয়া লভ্যাংশ কিংবা স্পনসরশিপ মানি—সব মিলিয়ে বিপুল অর্থে বিসিবির ওপরের দিকটা উজ্জ্বল। কিন্তু মূল খেলা অবহেলিত থাকলে সৈয়দ আশরাফুল হকদের দীর্ঘশ্বাস আরও দীর্ঘায়িত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন হরভজন

ক্রীড়া ডেস্ক    
৩৫৮ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
৩৫৮ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং বোলার নেই।

সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং লাইনের দুর্বলতা কেমন চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই সেটার বড় প্রমাণ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রান করেও স্বস্তিতে ছিল না স্বাগতিকেরা। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও অলআউট হওয়ার আগে ৩২২ রান করে অতিথিরা।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের পুঁজি ছিল আরও বেশি; ৩৫৮ রানের। এবার আর রক্ষা হয়নি লোকেশ রাহুলদের। ৪ বল এবং সমান উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮.২ ওভারে ৮৫ রান দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ১০ ওভার বল করা হার্শিত রানার খরচ ৭০ রান। এর আগে প্রথম ম্যাচেও খরুচে বোলিং করেছিলেন আর্শদীপ সিং, রানা, কুলদীপ, রবীন্দ্র জাদেজারা।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বুমরাহ ছাড়াও সিরাজ অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। ভারত এমন সব টেস্ট জিতেছে যেখানে বুমরাহ খেলেনি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে এমন সব বোলার খুঁজে বের করতে হবে যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে। সেটা হোক পেসার কিংবা স্পিনার। এমন স্পিনার খুঁজে বের করতে হবে যারা মাঠে নেমে উইকেট নিতে পারে। দলে কুলদীপ আছে। কিন্তু বাকিদের কী হবে?’

দারুণ ফর্মে থাকার পরও অজানা কারণে দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ শামি। যেটা নিয়ে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিয়েছেন হরভজন, ‘শামি কোথায়? আমি জানি না কেন তাকে খেলাতে হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি, দলে প্রসিধ আছে। সে একজন ভালো বোলার। কিন্তু তার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। দলে কয়েকজন ভালো বোলার ছিল। ধীরে ধীরে তাদের দলের বাইরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুমরা দলে থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সে না থাকলে তেমন ধার থাকে না। তাই ভারতীয় দলকে বুমরা ছাড়া আমাদের খেলা জেতার কৌশল শিখতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাকিবের রেকর্ড ভেঙে আইসিসির সেরাদের তালিকায় তাইজুল

ক্রীড়া ডেস্ক    
আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: বিসিবি
আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: বিসিবি

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তাইজুলের।

আইসিসি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ, নারী দুই বিভাগেই নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরাদের তালিকায় তাইজুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকার সায়মন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই খেলেছেন। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সায়মন হারমার। এই ১৭ উইকেট তিনি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন। নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের নাওয়াজেরও গত মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। যার মধ্যে ১০টিই নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর ফাইনালসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। নাওয়াজের সমান ১৫ উইকেট নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।

আইসিসির নভেম্বরে মেয়েদের মাসসেরাদের তালিকাতেও তিন ক্রিকেটার তিন দেশের। ভারতের শেফালি ভার্মার সঙ্গে এই তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপাচা পুত্তাওয়াং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা। শেফালি গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেটের

ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেয়েছেন ফাইনালসেরার পুরস্কার। ৭৮ বলে ৮৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। যদি নিয়মিত হতে পারতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তাইজুলের বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর লড়াইটা হতো সমানে সমানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন সাকিব। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেট (এমআইএলসি) এই দুই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘রোনালদোর ক্ষুধা কখনোই শেষ হওয়ার নয়’

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে ৯৫০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।  ছবি: এএফপি
প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে ৯৫০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি

বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো মার্তিনেজ।

আল নাসরের হয়ে এ বছর রোনালদো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ২ গোলে। সৌদি প্রো লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। যার মধ্যে ২৩ নভেম্বর আল খালিজের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে চমকে দিয়েছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে শরীরটাকে শূন্যে ভাসিয়ে উল্টো দিকে গোল করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এক পডকাস্টে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন মার্তিনেজ। পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সফল হওয়ার পর থেমে যায় না। আরও কিছু করতে চায়। যখন আপনি কোনো কিছু জেতেন, পরের দিন আপনার ক্ষুধা কমে যায়। ক্রিস্টিয়ানো এমনই এক ব্যক্তি, গতকাল তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আজ প্রভাব ফেলে না।’

আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত রোনালদো করেছেন ৯৫৪ গোল। সংখ্যাটাকে ১০০০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। মাঝেমধ্যে সহজ গোল মিসের পর তৎক্ষণাৎ হতাশা প্রকাশ করেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। এ বছর পর্তুগালের হয়ে তিনি ৮ গোল করে ফেলেছেন। জুনে স্পেনকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন নেশনস লিগের শিরোপা।

মাঠে যখন রোনালদো নামেন, তখন ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে থাকেন। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমন সব গোল করেন, তখন গোলরক্ষকও শত চেষ্টা করে গোল ঠেকাতে পারেন না। চোটের কারণে ম্যাচ মিস করার ঘটনাও তাঁর খুব কম। রোনালদোর হার না মানা মানসিকতা দেখে মুগ্ধ মার্তিনেজ এক পডকাস্টে বলেন,

‘আমি জানি না এটা জিনগত কি না। এটাই বাস্তবতা। সে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। সেটা অনুশীলন, চোট থেকে সেরে ওঠা, মাঠের পারফরম্যান্স—যেটা নিয়ে মনে হয় তার কাজ করা দরকার, তা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী থাকে। সে হ্যাটট্রিক করল বা তিনটা সুযোগ মিস করল কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। শেষ বাঁশি বাজার পর পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটাই তাকে অনেক চঞ্চল করে রেখেছে।’

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাচ্ছে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৪১ বছর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র মঞ্চে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা তিনি জানাননি। ৩৫-৩৬ বছর হলেই যেখানে অনেকে বুটজোড়া তুলে রাখেন, রোনালদোর এমন মানসিকতায় মুগ্ধ মার্তিনেজ। ফুটবলারদের অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই রোনালদোর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি (মার্তিনেজ)। পডকাস্টে পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘‘ফুটবলাররা অবসরের সময় শরীর মস্তিষ্ককে বলে, ‘আমি আর পেরে উঠছি না।’ ক্রিস্টিয়ানোকে দেখে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার ব্যাপারে তার মস্তিষ্ক শরীরকে বলে এখনই থেমে যেতে হবে। তার প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’

লিওনেল মেসি, রোনালদো—দুজনেরই বিশ্বকাপে পথচলা ২০০৬ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। আজ এই দুজনের নিশ্চয়ই চোখ থাকবে ফিফার ওয়েবসাইটের দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ৪৮ দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বীতশোক-ক্যাসপারদের লাতিন বাংলা সুপার কাপ দেখাবে না টিভিতে, দেখবেন কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৫
লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরুর আগে অনুশীলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাতিন বাংলা সুপার কাপ শুরুর আগে অনুশীলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশে আসা প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখতে অপেক্ষায় আছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বীতশোক চাকমা, ইংল্যান্ডপ্রবাসী কাসপার হক, ইব্রাহীম নাওয়াজ ও অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ইশান মালিক—এই চার প্রবাসী ফুটবলার আছেন রেড গ্রিন ফিউচার স্টার দলে।

ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের বিপক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। এই ম্যাচ দেখতে অনেকে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করলেও তা কোনো টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে না। এএফ বক্সিং প্রমোশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তাঁরা টি-স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেটা যে চূড়ান্ত হয়নি, তা তো বোঝাই গেল। এখন তারা খেলা দেখাবে তাদের অফিশিয়াল দুই পেজ আরটিভি স্পোর্টস ও এএফ বক্সিং প্রমোশন

লাতিন বাংলা সুপার কাপের চেয়ে বড় আকর্ষণ অপেক্ষা করছে রাত ১১টার সময়। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান ফিফা প্লাস সরাসরি সম্প্রচার করবে। ফুটবলে দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল লিগের ব্রাদার্স-বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি হবে। অ্যাশেজে গোলাপি বলের টেস্টের ব্রিসবেনে দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছে। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৬ রান করেছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট খেলা সরাসরি

ব্রিসবেন টেস্ট: ২য় দিন

অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড

সকাল ১০টা

সরাসরি

স্টার স্পোর্টস ১

নারী বিগ ব্যাশ

মেলবোর্ন রেনেগেডস-সিডনি সিক্সার্স

বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট

সরাসরি

স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

ফুটবল খেলা সরাসরি

ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র

রাত ১১টা

সরাসরি

ফিফা+

বাংলাদেশ ফুটবল লিগ

ব্রাদার্স-বসুন্ধরা

বেলা ২টা ৩০ মিনিট

সরাসরি

টি স্পোর্টস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত