রানা আব্বাস, ঢাকা

‘আফগানিস্তানের টাকা নেই, আছে বুলেট! ওদের কাছেই আমরা হারি। ২০ (২১) বছর হয়ে গেল, এখনো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আমরা নয়ে-দশে আছি’—বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হক দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। অর্থবিত্তে গত এক দশকে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অবস্থান যতটা শক্তিশালী হয়েছে, ব্যাটে-বলে সাফল্যের গ্রাফ ততটা ওপরে ওঠেনি। শুধু সৈয়দ আশরাফ কেন, দেশের সব ক্রিকেটপ্রেমীরই এই আফসোস হবে।
টাকা ও মাঠের পারফরম্যান্সে অদ্ভুত বৈপরীত্য
গত ১০ বছরে বিসিবির পুঞ্জিভূত তহবিল বা স্থিতি বেড়েছে ৪০০ কোটি টাকা। ফিক্সড ডিপোজিটে (এফডিআর) বিনিয়োগ করে গত তিন অর্থবছরেই বিসিবি সুদ থেকে আয় করেছে ১৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরেই বিসিবির এফডিআর ছিল ৫৪৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশের মতো মধ্যম আয়ের দেশের একটি ক্রীড়া সংস্থার তহবিল বিশাল হলেও ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁদের সাফল্য তুলনামূলক কমই। শীর্ষ ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই (ভারত), ইসিবি (ইংল্যান্ড), সিএ (অস্ট্রেলিয়া)-কে যদি বাদও দেওয়া হয়; বাকিদের চেয়ে সাফল্যের বিবেচনায় পিছিয়েই থাকবে বিসিবি।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রায় ১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকার পরও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ক্যাবিনেটে গত এক দশকে উঠেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো শিরোপা। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতেছে তারা। পাকিস্তান জিতেছে ২০১২ এশিয়া কাপ।
আর্থিকভাবে ক্রমেই দুর্বল হতে থাকা শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) শোকেসে গত এক দশকে উঠেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৪ এশিয়া কাপের ট্রফি। শ্রীলঙ্কা খেলেছে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল। আর্থিকভাবে বিসিবির চেয়ে স্পষ্ট দূরত্বে থাকা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) কদিন আগে ভারতকে হারিয়ে জিতেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি। যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে (ডব্লউআইসিবি) সিরিজ আয়োজন করতে হাত পাততে হয় বিসিবির কাছে, তারা টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন (২০১২, ২০১৬)।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র বৈশ্বিক শিরোপা এসেছে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে, সেটিও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হাত ধরে। তার আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ নারী দলের এশিয়া কাপ জয়টাই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিসিবির সবচেয়ে বড় সাফল্য। কিন্তু যে দলকে কেন্দ্র করে বিসিবির এত আয়, নামডাক, মানুষের বিপুল আগ্রহ—যে দল গত এক দশকে সমৃদ্ধ হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো বড় বড় তারকার উপস্থিতিতে; সেই দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। খোদ বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও স্বীকার করছেন আর্থিক শক্তি বাড়ার সমানতালে বাড়েনি মাঠের সাফল্য, ‘শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু আমরা তো চ্যাম্পিয়ন নই...।’ তবে তিনি টাকার সঙ্গে সাফল্য মেলাতে আগ্রহী নন। নিজাম উদ্দিন বলছেন, ‘টাকার সঙ্গে (মাঠের) সাফল্যের তুলনা হয় না। এটা তো এমন নয় ব্যবসায় বিনিয়োগ করলেন আর সঙ্গে সঙ্গে রিটার্ন পেলেন। শেয়ার মার্কেটও এটা না। এখানে একটু সময় দিতে হবে। আমরা হয়তো একটু বেশি সময় নিচ্ছি—এটি বলতে পারেন।’
বড় শিরোপা না জিতলেও বাংলাদেশ দল বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সাফল্য অবশ্য পেয়েছে। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়, ২০১৭ সালে টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার মাঠে টেস্ট সিরিজ ড্র; ২০১২, ২০১৬, ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা। ২০০৭ বিশ্বকাপে সুপার এইট, ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা কিংবা ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল তো আছেই, ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ভারত-পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জয়—এসব সাফল্য বিসিবিকে সহায়তা করেছে বড় অঙ্কের স্পন্সরশিপ মানি পেতে।
শিরোপা জয়েই নয়, আইসিসির তিন সংস্করণের র্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশ দলের বড় অগ্রগতি নেই। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে ওঠাই বাংলাদেশের বড় সাফল্য। টেস্ট, টি-টোয়েন্টিতে এখনো নয়-দশ নম্বরেই আটকে আছে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে দুরবস্থার কারণে দুই মাস পর হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে বাছাই পর্বের বৈতরণি পেরোতে হবে স্কটল্যান্ড, ওমান আর পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে খেলে। অথচ আর্থিকভাবে যথেষ্ট পিছিয়ে থাকা নবীন আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে সরাসরি।
উন্নয়নে যেভাবে টাকার ব্যবহার
ক্রিকেটের উন্নয়নের চিত্রটা কেমন হওয়া দরকার, আজকের পত্রিকার কাছে সেটি খোলামেলাই ব্যাখ্যা করলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, আমরা একটা দিকে (আর্থিক) উন্নত করেছি, এখন আরেকটি দিকে (মাঠের পারফরম্যান্স) উন্নতি করতে হবে। আমরা কৃচ্ছ্র সাধন করছি, তা নয়। প্রচুর ব্যয় করছি। ফল আসতে সময় লাগবে। পাঁচ-সাত বছর আগে আইসিসিতে বলেছিলাম, আমরা বেশি করে খেলতে চাই। এখন আমরা অনেক ম্যাচ পাচ্ছি। উন্নতি করতে হলে আপনাকে প্রচুর খেলতে হবে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলছি। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জিতলাম, আয়ারল্যান্ডে ট্রফি জিতলাম—এগুলো উন্নয়নে প্রভাব ফেলে না। আমাদের উন্নয়ন তখন বোঝাবে, যখন অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ম্যাচ জিতব, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে জিতব।
বিপুল টাকা থাকার পরও বিসিবির সাফল্য কেন কম, এ প্রশ্নে যে উত্তরটা মিলছে—মিরপুরের বাইরে খেলোয়াড় তৈরির ‘কারখানা’য় ক্রিকেট বোর্ডের বিনিয়োগ তুলনামূলক কম। বিসিবি খুব একটা ব্যয় করে না জেলা কিংবা বিভাগভিত্তিক ক্রিকেট উন্নয়নে। যদিও গেম ডেভেলপমেন্টে বেশ বড় অঙ্কই বরাদ্দ রাখে বিসিবি। চলতি অর্থবছরেও তাদের বরাদ্দ আছে ১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ক্রিকেট উন্নয়নে ব্যয় করেছিল ২২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। তার আগের অর্থবছরে ২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। গত এক দশকে বিসিবি ক্রিকেট উন্নয়নে গড়ে প্রতি অর্থবছরে ১৬-১৭ কোটি টাকা খরচ করেছে। যদিও লজিস্টিক অ্যান্ড প্রটোকলেই এর দ্বিগুণ খরচ করে বিসিবি। সৈয়দ আশরাফের প্রশ্ন, ‘আমাদের কোচ, আম্পায়ারিং এমনকি মাঠকর্মীদের উন্নয়নে কতটা খরচ করছি? এত টাকা যখন আছে, যদি পরিকল্পিতভাবে খরচ করা হতো, গত ১৫ বছরে আমাদের দেশের ক্রিকেট অনেক উন্নত হয়ে যেত। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্রিকেট উন্নত করা দরকার। প্রান্তিক পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার।’
উন্নয়ন যত ঢাকায়
ভুল বলেননি সৈয়দ আশরাফ। গেম ডেভেলপমেন্টে যে ব্যয় হোক, বেশির ভাগই ঢাকাকেন্দ্রিক। বয়সভিত্তিক দলের পরিচর্যা, হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দল, ক্রিকেট সরঞ্জামাদি কেনা, খেলোয়াড়দের চিকিৎসা, মেয়েদের ক্রিকেট উন্নয়ন, মাঠের উন্নয়ন ইত্যাদি খরচ ঢাকাকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। অনেকে তাই রসিকতা করে বিসিবিকে ‘ডিসিবি’ বা ‘ঢাকা ক্রিকেট বোর্ড’ বলেন! অথচ বেশির ভাগ ক্রিকেটার উঠে আসে বিভিন্ন জেলা, প্রান্তিক এলাকা আর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে। গত দুই দশকে বাংলাদেশ দল সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার পেয়েছে খুলনা অঞ্চল থেকে। অথচ এই অঞ্চলে ক্রিকেটীয় কাঠামো কিংবা সুযোগ-সুবিধা কখনোই ঢাকার সঙ্গে তুলনীয় নয়। যে ঢাকায় এত সুযোগ-সুবিধা, বর্তমান জাতীয় দলে এই শহর থেকে উঠে আসা ক্রিকেটার আছেন মাত্র তিনজন।
আঞ্চলিক ক্রিকেট উন্নয়নে বিসিবি
ঢাকার বাইরের খেলাটার উন্নয়নে বিসিবির ব্যয়ও খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়। গত ১০ বছরে বিসিবি জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রিকেট উন্নয়নে অনুদান কিংবা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে মোট ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। সেটিও নিয়মিত নয়। ২০১১ সালে ১৭ লাখ, ২০১২ সালে ১ কোটি ৪২ লাখ, ২০১৬ সালে ১২ লাখ, ২০১৭ সালে ৩২ লাখ আর ২০১৯ সালে দেওয়া হয়েছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
ঢাকার বাইরের ক্রিকেট উন্নয়নের ব্যয় নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, ‘আমরা দিই না (টাকা), কথাটা ঠিক না। যেসব জেলা আমাদের কাছে প্রতি বছরের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা দেয়, তাদেরকে আমরা একটি অঙ্ক দিই। যারা দেয় না, তাদের হয়তো দিতে পারিনি। আমরা তো সঠিক নিরীক্ষা আর পরিকল্পনা ছাড়া দিতে পারব না। বিভাগীয় বিনিয়োগ তখনই হবে, যখন আঞ্চলিক ক্রিকেটের কাঠামো আরও সুসংগঠিত হবে। যখন প্রত্যেকটা অঞ্চলে একটি ‘‘মিনি বিসিবি’’ থাকবে।’
মিনি বিসিবির ধারণাটা নিজাম উদ্দিন আরও স্পষ্ট করছেন এভাবে, ‘যখন আমরা এটি করতে পারব, তখন হয়তো আমাদের বরাদ্দ আরও বেশি হবে। খরচটা তখন কেন্দ্রীয়ভাবে না হয়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা যাবে। ইয়ুথ ক্রিকেট, স্কুল ক্রিকেট তারা করবে। কাঠামো দাঁড়িয়ে গেলে সেখানে আমার একজন ম্যানেজার দিতে পারব। পেশাদার কাঠামো না দাঁড় করালে আসলে ফলপ্রসূ হবে না।’
গত তিন বছরে বিসিবি অবশ্য ‘আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা’র নামে কিছু অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। ২০১৯ সালে এই খাতে ১৭ লাখ ৮৯ হাজার, ২০২০ সালে ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিলেও চলতি অর্থবছরে আকস্মিকভাবে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেট অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিসিবি
অবকাঠামোগত ও মাঠ উন্নয়নে অন্যান্য খাতের তুলনায় বিসিবির ব্যয় কমই বলতে হবে। গত তিন অর্থবছরে বোর্ড স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করেছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বেশির ভাগ স্টেডিয়াম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) আওতাধীন। তবে বিসিবি নিজ খরচে তৈরি করতে যাচ্ছে ঢাকার পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটির মূল নির্মাণকাজ শুরুর আগেই গত চার বছরে বিসিবির খরচ প্রায় দেড় কোটি টাকা। এর আগে বিসিবি সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে তাদের আওতায় থাকা কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। গত ১০ বছরে এই স্টেডিয়ামে খরচ প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
‘বিভিন্ন অঞ্চলে আমরা আমাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো উন্নত করব, যেন খেলোয়াড়েরা সুফল পায়। কক্সবাজারে যেমন আমরা একটা ইনডোর করার ব্যবস্থা করতে পারি। বরিশালে ভাঙাচোরা ইনডোরকে উন্নত করতে পারি। কার্যক্রমগুলো চলমান আছে। এত দিন জিমের সরঞ্জামাদি দেওয়ার মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে। (গত দেড় বছরে) অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে আমরা যেতে পারিনি শুধুমাত্র মহামারির কারণে। আমাদের পরিকল্পনা কিন্তু আছে’—নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলছিলেন আঞ্চলিক ক্রিকেট উন্নয়নে তাঁদের পরিকল্পনার কথা।
খেলোয়াড় তৈরি হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হচ্ছে জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরগুলোর টুর্নামেন্ট। প্রতিটি জেলা কিংবা বিভাগে টুর্নামেন্ট আয়োজন বিসিবির পক্ষে সম্ভব নয়, এই যুক্তি সামনে আসতে পারে। কিন্তু বিসিবির অধীনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের মান নিয়ে গত কয়েক বছরে নিয়মিতই উঠেছে প্রশ্ন। সবচেয়ে নিচে থাকা তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট লিগ থেকে ২০১১ ও ২০১২ সালে বিসিবির আয় ছিল ২২ লাখ টাকা। ২০১৯ ও ২০২০ সালে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ টাকায়।
তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট লিগ থেকে আয়টা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, একটা সময় বাছাইটা ছিল ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ৪০-৫০টা ক্লাব নির্ধারিত এন্ট্রি ফি দিয়ে অংশ নিত তৃতীয় বিভাগে ওঠার লড়াইয়ে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমেই উঠে আসত অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার। এটিই একজন পেশাদার ক্রিকেটারের প্রথম ধাপ। এখন সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা লিগটার মর্যাদা নেই বলে অনেক পৃষ্ঠপোষক আর দল গড়ার আগ্রহ খুঁজে পান না। নামে মাত্র দুটি দল এন্ট্রি ফি দিয়ে চলে আসে তৃতীয় বিভাগে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবশ্য মনে করেন, তৃতীয় বিভাগে না পারলেও প্রতিভার প্রমাণ দেওয়ার আরও মঞ্চ আছে দেশের ক্রিকেটে, ‘আগে ক্লাব বেচা-কেনার সুযোগ ছিল। বোর্ড সেই বেচা-কেনার সুযোগ দেবে কেন? এটি হয়তো থামানো গেছে। আবার এটির অন্য প্রভাবও যে নেই, বলব না। হয়তো আমরা ট্যালেন্ট মিস করছি। কিন্তু ট্যালেন্টদের প্রমাণ করার অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। স্কুল ক্রিকেট আছে। সেখানেও প্রতিভার প্রমাণ হতে পারে।’
এফডিআরের সুদ, আইসিসি থেকে পাওয়া লভ্যাংশ কিংবা স্পনসরশিপ মানি—সব মিলিয়ে বিপুল অর্থে বিসিবির ওপরের দিকটা উজ্জ্বল। কিন্তু মূল খেলা অবহেলিত থাকলে সৈয়দ আশরাফুল হকদের দীর্ঘশ্বাস আরও দীর্ঘায়িত হবে।
আরও পড়ুন:
ক্রিকেট বিশ্বে পঞ্চম ধনী বিসিবি

‘আফগানিস্তানের টাকা নেই, আছে বুলেট! ওদের কাছেই আমরা হারি। ২০ (২১) বছর হয়ে গেল, এখনো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আমরা নয়ে-দশে আছি’—বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হক দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। অর্থবিত্তে গত এক দশকে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অবস্থান যতটা শক্তিশালী হয়েছে, ব্যাটে-বলে সাফল্যের গ্রাফ ততটা ওপরে ওঠেনি। শুধু সৈয়দ আশরাফ কেন, দেশের সব ক্রিকেটপ্রেমীরই এই আফসোস হবে।
টাকা ও মাঠের পারফরম্যান্সে অদ্ভুত বৈপরীত্য
গত ১০ বছরে বিসিবির পুঞ্জিভূত তহবিল বা স্থিতি বেড়েছে ৪০০ কোটি টাকা। ফিক্সড ডিপোজিটে (এফডিআর) বিনিয়োগ করে গত তিন অর্থবছরেই বিসিবি সুদ থেকে আয় করেছে ১৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরেই বিসিবির এফডিআর ছিল ৫৪৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশের মতো মধ্যম আয়ের দেশের একটি ক্রীড়া সংস্থার তহবিল বিশাল হলেও ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁদের সাফল্য তুলনামূলক কমই। শীর্ষ ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই (ভারত), ইসিবি (ইংল্যান্ড), সিএ (অস্ট্রেলিয়া)-কে যদি বাদও দেওয়া হয়; বাকিদের চেয়ে সাফল্যের বিবেচনায় পিছিয়েই থাকবে বিসিবি।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রায় ১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকার পরও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ক্যাবিনেটে গত এক দশকে উঠেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো শিরোপা। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতেছে তারা। পাকিস্তান জিতেছে ২০১২ এশিয়া কাপ।
আর্থিকভাবে ক্রমেই দুর্বল হতে থাকা শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) শোকেসে গত এক দশকে উঠেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৪ এশিয়া কাপের ট্রফি। শ্রীলঙ্কা খেলেছে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল। আর্থিকভাবে বিসিবির চেয়ে স্পষ্ট দূরত্বে থাকা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) কদিন আগে ভারতকে হারিয়ে জিতেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি। যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে (ডব্লউআইসিবি) সিরিজ আয়োজন করতে হাত পাততে হয় বিসিবির কাছে, তারা টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন (২০১২, ২০১৬)।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র বৈশ্বিক শিরোপা এসেছে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে, সেটিও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হাত ধরে। তার আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ নারী দলের এশিয়া কাপ জয়টাই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিসিবির সবচেয়ে বড় সাফল্য। কিন্তু যে দলকে কেন্দ্র করে বিসিবির এত আয়, নামডাক, মানুষের বিপুল আগ্রহ—যে দল গত এক দশকে সমৃদ্ধ হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো বড় বড় তারকার উপস্থিতিতে; সেই দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। খোদ বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও স্বীকার করছেন আর্থিক শক্তি বাড়ার সমানতালে বাড়েনি মাঠের সাফল্য, ‘শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু আমরা তো চ্যাম্পিয়ন নই...।’ তবে তিনি টাকার সঙ্গে সাফল্য মেলাতে আগ্রহী নন। নিজাম উদ্দিন বলছেন, ‘টাকার সঙ্গে (মাঠের) সাফল্যের তুলনা হয় না। এটা তো এমন নয় ব্যবসায় বিনিয়োগ করলেন আর সঙ্গে সঙ্গে রিটার্ন পেলেন। শেয়ার মার্কেটও এটা না। এখানে একটু সময় দিতে হবে। আমরা হয়তো একটু বেশি সময় নিচ্ছি—এটি বলতে পারেন।’
বড় শিরোপা না জিতলেও বাংলাদেশ দল বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সাফল্য অবশ্য পেয়েছে। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়, ২০১৭ সালে টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার মাঠে টেস্ট সিরিজ ড্র; ২০১২, ২০১৬, ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা। ২০০৭ বিশ্বকাপে সুপার এইট, ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা কিংবা ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল তো আছেই, ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ভারত-পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জয়—এসব সাফল্য বিসিবিকে সহায়তা করেছে বড় অঙ্কের স্পন্সরশিপ মানি পেতে।
শিরোপা জয়েই নয়, আইসিসির তিন সংস্করণের র্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশ দলের বড় অগ্রগতি নেই। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে ওঠাই বাংলাদেশের বড় সাফল্য। টেস্ট, টি-টোয়েন্টিতে এখনো নয়-দশ নম্বরেই আটকে আছে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে দুরবস্থার কারণে দুই মাস পর হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে বাছাই পর্বের বৈতরণি পেরোতে হবে স্কটল্যান্ড, ওমান আর পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে খেলে। অথচ আর্থিকভাবে যথেষ্ট পিছিয়ে থাকা নবীন আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে সরাসরি।
উন্নয়নে যেভাবে টাকার ব্যবহার
ক্রিকেটের উন্নয়নের চিত্রটা কেমন হওয়া দরকার, আজকের পত্রিকার কাছে সেটি খোলামেলাই ব্যাখ্যা করলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, আমরা একটা দিকে (আর্থিক) উন্নত করেছি, এখন আরেকটি দিকে (মাঠের পারফরম্যান্স) উন্নতি করতে হবে। আমরা কৃচ্ছ্র সাধন করছি, তা নয়। প্রচুর ব্যয় করছি। ফল আসতে সময় লাগবে। পাঁচ-সাত বছর আগে আইসিসিতে বলেছিলাম, আমরা বেশি করে খেলতে চাই। এখন আমরা অনেক ম্যাচ পাচ্ছি। উন্নতি করতে হলে আপনাকে প্রচুর খেলতে হবে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলছি। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জিতলাম, আয়ারল্যান্ডে ট্রফি জিতলাম—এগুলো উন্নয়নে প্রভাব ফেলে না। আমাদের উন্নয়ন তখন বোঝাবে, যখন অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ম্যাচ জিতব, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে জিতব।
বিপুল টাকা থাকার পরও বিসিবির সাফল্য কেন কম, এ প্রশ্নে যে উত্তরটা মিলছে—মিরপুরের বাইরে খেলোয়াড় তৈরির ‘কারখানা’য় ক্রিকেট বোর্ডের বিনিয়োগ তুলনামূলক কম। বিসিবি খুব একটা ব্যয় করে না জেলা কিংবা বিভাগভিত্তিক ক্রিকেট উন্নয়নে। যদিও গেম ডেভেলপমেন্টে বেশ বড় অঙ্কই বরাদ্দ রাখে বিসিবি। চলতি অর্থবছরেও তাদের বরাদ্দ আছে ১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ক্রিকেট উন্নয়নে ব্যয় করেছিল ২২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। তার আগের অর্থবছরে ২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। গত এক দশকে বিসিবি ক্রিকেট উন্নয়নে গড়ে প্রতি অর্থবছরে ১৬-১৭ কোটি টাকা খরচ করেছে। যদিও লজিস্টিক অ্যান্ড প্রটোকলেই এর দ্বিগুণ খরচ করে বিসিবি। সৈয়দ আশরাফের প্রশ্ন, ‘আমাদের কোচ, আম্পায়ারিং এমনকি মাঠকর্মীদের উন্নয়নে কতটা খরচ করছি? এত টাকা যখন আছে, যদি পরিকল্পিতভাবে খরচ করা হতো, গত ১৫ বছরে আমাদের দেশের ক্রিকেট অনেক উন্নত হয়ে যেত। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্রিকেট উন্নত করা দরকার। প্রান্তিক পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার।’
উন্নয়ন যত ঢাকায়
ভুল বলেননি সৈয়দ আশরাফ। গেম ডেভেলপমেন্টে যে ব্যয় হোক, বেশির ভাগই ঢাকাকেন্দ্রিক। বয়সভিত্তিক দলের পরিচর্যা, হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দল, ক্রিকেট সরঞ্জামাদি কেনা, খেলোয়াড়দের চিকিৎসা, মেয়েদের ক্রিকেট উন্নয়ন, মাঠের উন্নয়ন ইত্যাদি খরচ ঢাকাকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। অনেকে তাই রসিকতা করে বিসিবিকে ‘ডিসিবি’ বা ‘ঢাকা ক্রিকেট বোর্ড’ বলেন! অথচ বেশির ভাগ ক্রিকেটার উঠে আসে বিভিন্ন জেলা, প্রান্তিক এলাকা আর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে। গত দুই দশকে বাংলাদেশ দল সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার পেয়েছে খুলনা অঞ্চল থেকে। অথচ এই অঞ্চলে ক্রিকেটীয় কাঠামো কিংবা সুযোগ-সুবিধা কখনোই ঢাকার সঙ্গে তুলনীয় নয়। যে ঢাকায় এত সুযোগ-সুবিধা, বর্তমান জাতীয় দলে এই শহর থেকে উঠে আসা ক্রিকেটার আছেন মাত্র তিনজন।
আঞ্চলিক ক্রিকেট উন্নয়নে বিসিবি
ঢাকার বাইরের খেলাটার উন্নয়নে বিসিবির ব্যয়ও খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়। গত ১০ বছরে বিসিবি জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রিকেট উন্নয়নে অনুদান কিংবা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে মোট ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। সেটিও নিয়মিত নয়। ২০১১ সালে ১৭ লাখ, ২০১২ সালে ১ কোটি ৪২ লাখ, ২০১৬ সালে ১২ লাখ, ২০১৭ সালে ৩২ লাখ আর ২০১৯ সালে দেওয়া হয়েছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
ঢাকার বাইরের ক্রিকেট উন্নয়নের ব্যয় নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, ‘আমরা দিই না (টাকা), কথাটা ঠিক না। যেসব জেলা আমাদের কাছে প্রতি বছরের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা দেয়, তাদেরকে আমরা একটি অঙ্ক দিই। যারা দেয় না, তাদের হয়তো দিতে পারিনি। আমরা তো সঠিক নিরীক্ষা আর পরিকল্পনা ছাড়া দিতে পারব না। বিভাগীয় বিনিয়োগ তখনই হবে, যখন আঞ্চলিক ক্রিকেটের কাঠামো আরও সুসংগঠিত হবে। যখন প্রত্যেকটা অঞ্চলে একটি ‘‘মিনি বিসিবি’’ থাকবে।’
মিনি বিসিবির ধারণাটা নিজাম উদ্দিন আরও স্পষ্ট করছেন এভাবে, ‘যখন আমরা এটি করতে পারব, তখন হয়তো আমাদের বরাদ্দ আরও বেশি হবে। খরচটা তখন কেন্দ্রীয়ভাবে না হয়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা যাবে। ইয়ুথ ক্রিকেট, স্কুল ক্রিকেট তারা করবে। কাঠামো দাঁড়িয়ে গেলে সেখানে আমার একজন ম্যানেজার দিতে পারব। পেশাদার কাঠামো না দাঁড় করালে আসলে ফলপ্রসূ হবে না।’
গত তিন বছরে বিসিবি অবশ্য ‘আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা’র নামে কিছু অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। ২০১৯ সালে এই খাতে ১৭ লাখ ৮৯ হাজার, ২০২০ সালে ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিলেও চলতি অর্থবছরে আকস্মিকভাবে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেট অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিসিবি
অবকাঠামোগত ও মাঠ উন্নয়নে অন্যান্য খাতের তুলনায় বিসিবির ব্যয় কমই বলতে হবে। গত তিন অর্থবছরে বোর্ড স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করেছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বেশির ভাগ স্টেডিয়াম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) আওতাধীন। তবে বিসিবি নিজ খরচে তৈরি করতে যাচ্ছে ঢাকার পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটির মূল নির্মাণকাজ শুরুর আগেই গত চার বছরে বিসিবির খরচ প্রায় দেড় কোটি টাকা। এর আগে বিসিবি সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে তাদের আওতায় থাকা কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। গত ১০ বছরে এই স্টেডিয়ামে খরচ প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
‘বিভিন্ন অঞ্চলে আমরা আমাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো উন্নত করব, যেন খেলোয়াড়েরা সুফল পায়। কক্সবাজারে যেমন আমরা একটা ইনডোর করার ব্যবস্থা করতে পারি। বরিশালে ভাঙাচোরা ইনডোরকে উন্নত করতে পারি। কার্যক্রমগুলো চলমান আছে। এত দিন জিমের সরঞ্জামাদি দেওয়ার মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে। (গত দেড় বছরে) অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে আমরা যেতে পারিনি শুধুমাত্র মহামারির কারণে। আমাদের পরিকল্পনা কিন্তু আছে’—নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলছিলেন আঞ্চলিক ক্রিকেট উন্নয়নে তাঁদের পরিকল্পনার কথা।
খেলোয়াড় তৈরি হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হচ্ছে জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরগুলোর টুর্নামেন্ট। প্রতিটি জেলা কিংবা বিভাগে টুর্নামেন্ট আয়োজন বিসিবির পক্ষে সম্ভব নয়, এই যুক্তি সামনে আসতে পারে। কিন্তু বিসিবির অধীনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের মান নিয়ে গত কয়েক বছরে নিয়মিতই উঠেছে প্রশ্ন। সবচেয়ে নিচে থাকা তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট লিগ থেকে ২০১১ ও ২০১২ সালে বিসিবির আয় ছিল ২২ লাখ টাকা। ২০১৯ ও ২০২০ সালে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ টাকায়।
তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট লিগ থেকে আয়টা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, একটা সময় বাছাইটা ছিল ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ৪০-৫০টা ক্লাব নির্ধারিত এন্ট্রি ফি দিয়ে অংশ নিত তৃতীয় বিভাগে ওঠার লড়াইয়ে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমেই উঠে আসত অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার। এটিই একজন পেশাদার ক্রিকেটারের প্রথম ধাপ। এখন সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা লিগটার মর্যাদা নেই বলে অনেক পৃষ্ঠপোষক আর দল গড়ার আগ্রহ খুঁজে পান না। নামে মাত্র দুটি দল এন্ট্রি ফি দিয়ে চলে আসে তৃতীয় বিভাগে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবশ্য মনে করেন, তৃতীয় বিভাগে না পারলেও প্রতিভার প্রমাণ দেওয়ার আরও মঞ্চ আছে দেশের ক্রিকেটে, ‘আগে ক্লাব বেচা-কেনার সুযোগ ছিল। বোর্ড সেই বেচা-কেনার সুযোগ দেবে কেন? এটি হয়তো থামানো গেছে। আবার এটির অন্য প্রভাবও যে নেই, বলব না। হয়তো আমরা ট্যালেন্ট মিস করছি। কিন্তু ট্যালেন্টদের প্রমাণ করার অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে। স্কুল ক্রিকেট আছে। সেখানেও প্রতিভার প্রমাণ হতে পারে।’
এফডিআরের সুদ, আইসিসি থেকে পাওয়া লভ্যাংশ কিংবা স্পনসরশিপ মানি—সব মিলিয়ে বিপুল অর্থে বিসিবির ওপরের দিকটা উজ্জ্বল। কিন্তু মূল খেলা অবহেলিত থাকলে সৈয়দ আশরাফুল হকদের দীর্ঘশ্বাস আরও দীর্ঘায়িত হবে।
আরও পড়ুন:
ক্রিকেট বিশ্বে পঞ্চম ধনী বিসিবি

প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে....
১১ ঘণ্টা আগে
বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
১২ ঘণ্টা আগে
লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
১২ ঘণ্টা আগে
ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে সোনা জিতেছে মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সান জুটি।
পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রথম সেটে শুরুর কয়েকটি পয়েন্ট মালয়েশিয়ান জুটি আদায় করে বেশ সহজেই। তবে এরপর ঘুরে দাঁড়ান জুমার-ঊর্মি। টাইব্রেকারে নিয়ে যান সেট। ২৫ পয়েন্টের পর আর পেরে ওঠেননি তারা। দ্বিতীয় সেটে একটা সময় পয়েন্ট ছিল ১২-১২। এরপর মালয়েশিয়ার জুটি দেখায় একচ্ছত্র আধিপত্য।
রুপা জিতে ৮৪০ ডলার প্রাইজমানি পেয়েছেন জুমার-ঊর্মি। একইসঙ্গে তাঁদের ১ হাজার ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন ব্যাডমিন্টনের সভাপতি হাবিব উল্যা ডন। ফাইনাল শেষে উর্মি আক্তার পৃষ্ঠপোষকহীনতা ও কম প্রশিক্ষণকে দায়ী করলেন, ‘ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক পার্থক্য। ওদের ড্রেস দেখলেই বুঝবেন। ওরা বড় বড় স্পন্সর নিয়ে খেলে। আমাদের সেভাবে কোনো স্পন্সর নেই। দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেনিংয়ের সুবিধা নেই। আমরাও যদি ওদের মতো সব ধরনের সুবিধা পেতাম, তাহলে আরও অনেকদূর যেতে পারতাম। কারণ ওরাও মানুষ, আমরাও মানুষ।’
খানিকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জুমারের, ‘প্রথমবারের মতো আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরেছি এটা যেমন আনন্দের, তেমনি চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে একটু তো খারাপ লাগছেই।’
গতকাল পুরুষ এককে ভারতের মেইরাবা মাইসনাম, নারী এককে যুক্তরাষ্ট্রের ইশিকা জয়সওয়াল, পুরুষ দ্বৈতে ভারতের নিরঞ্জন নন্দকুমার ও রুবেন কুমার এবং নারী দ্বৈতে থাইল্যান্ডের ফাত্তারিন ও সারিসা জানপেং।

প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে সোনা জিতেছে মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সান জুটি।
পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রথম সেটে শুরুর কয়েকটি পয়েন্ট মালয়েশিয়ান জুটি আদায় করে বেশ সহজেই। তবে এরপর ঘুরে দাঁড়ান জুমার-ঊর্মি। টাইব্রেকারে নিয়ে যান সেট। ২৫ পয়েন্টের পর আর পেরে ওঠেননি তারা। দ্বিতীয় সেটে একটা সময় পয়েন্ট ছিল ১২-১২। এরপর মালয়েশিয়ার জুটি দেখায় একচ্ছত্র আধিপত্য।
রুপা জিতে ৮৪০ ডলার প্রাইজমানি পেয়েছেন জুমার-ঊর্মি। একইসঙ্গে তাঁদের ১ হাজার ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন ব্যাডমিন্টনের সভাপতি হাবিব উল্যা ডন। ফাইনাল শেষে উর্মি আক্তার পৃষ্ঠপোষকহীনতা ও কম প্রশিক্ষণকে দায়ী করলেন, ‘ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক পার্থক্য। ওদের ড্রেস দেখলেই বুঝবেন। ওরা বড় বড় স্পন্সর নিয়ে খেলে। আমাদের সেভাবে কোনো স্পন্সর নেই। দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেনিংয়ের সুবিধা নেই। আমরাও যদি ওদের মতো সব ধরনের সুবিধা পেতাম, তাহলে আরও অনেকদূর যেতে পারতাম। কারণ ওরাও মানুষ, আমরাও মানুষ।’
খানিকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জুমারের, ‘প্রথমবারের মতো আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরেছি এটা যেমন আনন্দের, তেমনি চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে একটু তো খারাপ লাগছেই।’
গতকাল পুরুষ এককে ভারতের মেইরাবা মাইসনাম, নারী এককে যুক্তরাষ্ট্রের ইশিকা জয়সওয়াল, পুরুষ দ্বৈতে ভারতের নিরঞ্জন নন্দকুমার ও রুবেন কুমার এবং নারী দ্বৈতে থাইল্যান্ডের ফাত্তারিন ও সারিসা জানপেং।

‘আফগানিস্তানের টাকা নেই, আছে বুলেট! ওদের কাছেই আমরা হারি। ২০ (২১) বছর হয়ে গেল, এখনো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আমরা নয়ে-দশে আছি’—বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হক দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
২৯ জুলাই ২০২১
বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
১২ ঘণ্টা আগে
লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
১২ ঘণ্টা আগে
ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। এই মূল্যে শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড ও গ্রিন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা যাবে। শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ড গ্যালারির মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। ক্লাব হাউজ (জিরো ওয়েস্ট জোন) ৬০০ টাকা ও ক্লাব হাউজ (আপার) ৫০০ টাকা। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখতে হলে খরচ করতে হবে ২ হাজার টাকা।
টিকিটের জন্য ভিজিট করতে হবে www.gobcbticket.com.bd ওয়েবসাইটে। অফলাইনে কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না। আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সিলেট পর্ব।

বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। এই মূল্যে শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড ও গ্রিন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা যাবে। শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ড গ্যালারির মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। ক্লাব হাউজ (জিরো ওয়েস্ট জোন) ৬০০ টাকা ও ক্লাব হাউজ (আপার) ৫০০ টাকা। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখতে হলে খরচ করতে হবে ২ হাজার টাকা।
টিকিটের জন্য ভিজিট করতে হবে www.gobcbticket.com.bd ওয়েবসাইটে। অফলাইনে কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না। আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সিলেট পর্ব।

‘আফগানিস্তানের টাকা নেই, আছে বুলেট! ওদের কাছেই আমরা হারি। ২০ (২১) বছর হয়ে গেল, এখনো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আমরা নয়ে-দশে আছি’—বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হক দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
২৯ জুলাই ২০২১
প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে....
১১ ঘণ্টা আগে
লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
১২ ঘণ্টা আগে
ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ভালো-খারাপের ভেতরই চলছে। আজ তাদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তলানির দল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ফর্টিস এফসি তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে পুলিশের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে কিংস। চমক উপহার দিতে তিন মিনিট সময় নেয় পুলিশ। ওরগিয়েন শেরিংয়ের পাসে কোনাকুনি শটে গোলের খাতা খোলেন রাব্বি হোসেন রাহুল। ৩২ মিনিটে কিংসকে সমতায় ফেরান ছন্দে থাকা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ইমানুয়েল সানডের বাড়ানো বলে বক্সের ভেতর প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। এনিয়ে লিগে তাঁর গোলসংখ্যা ৫।
দ্বিতীয়ার্ধে শেষ দিকে কিংসের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে পুলিশ। একের পর এক আক্রমণে গোলের খুব কাছ থেকে ফেরে তারা। তবে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত এনে দেন শাফিক কাগিমু। আমিরুল ইসলামের সহায়তায় জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। এই হারের পরও এই পরাজয়ের পরও সপ্তম রাউন্ড শেষে লিগের শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। তাদের পয়েন্ট ১৬। ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে পুলিশ।
কুমিল্লায় ম্যাচের ২৬ মিনিটে মেহেদী হাসান মিঠুর গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। সেই সুখ অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। ৩৮ মিনিটে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। কিছুটা জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে মোহামেডানের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।
দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আরামবাগের এক খেলোয়াড়, তবে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। ৭৬তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে ছুটেছিলেন মোহামেডানের মোহাম্মদ জুয়েল, একই সময় পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলকিপার আজাদ হোসেন, বল গ্রিুপে নিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান তিনি। তবে জুয়েলের সংঘর্ষে ব্যথা পেয়ে মাঠে পড়ে থাকেন কিছুক্ষণ। চিকিৎসা নিয়ে বাকিটা সময় পোস্ট আগলে রেখে মূল্যবান ১ পয়েন্ট এনে দেন তিনি। এই পয়েন্টের সুবাদেই লিগ টেবিলে তলানি থেকে একধাপ উপরে উঠে এসেছে আরামবাগ। ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে আছে মোহামেডান।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিসকে ৮ মিনিটে এগিয়ে দেন পা ওমর বাবু। ১৯ মিনিটে বাবুর সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়াজ সাগর। ৫৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান বাবু। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে ফর্টিস।

লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ভালো-খারাপের ভেতরই চলছে। আজ তাদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তলানির দল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ফর্টিস এফসি তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে পুলিশের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে কিংস। চমক উপহার দিতে তিন মিনিট সময় নেয় পুলিশ। ওরগিয়েন শেরিংয়ের পাসে কোনাকুনি শটে গোলের খাতা খোলেন রাব্বি হোসেন রাহুল। ৩২ মিনিটে কিংসকে সমতায় ফেরান ছন্দে থাকা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ইমানুয়েল সানডের বাড়ানো বলে বক্সের ভেতর প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। এনিয়ে লিগে তাঁর গোলসংখ্যা ৫।
দ্বিতীয়ার্ধে শেষ দিকে কিংসের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে পুলিশ। একের পর এক আক্রমণে গোলের খুব কাছ থেকে ফেরে তারা। তবে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত এনে দেন শাফিক কাগিমু। আমিরুল ইসলামের সহায়তায় জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। এই হারের পরও এই পরাজয়ের পরও সপ্তম রাউন্ড শেষে লিগের শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। তাদের পয়েন্ট ১৬। ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে পুলিশ।
কুমিল্লায় ম্যাচের ২৬ মিনিটে মেহেদী হাসান মিঠুর গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। সেই সুখ অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। ৩৮ মিনিটে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। কিছুটা জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে মোহামেডানের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।
দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আরামবাগের এক খেলোয়াড়, তবে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। ৭৬তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে ছুটেছিলেন মোহামেডানের মোহাম্মদ জুয়েল, একই সময় পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলকিপার আজাদ হোসেন, বল গ্রিুপে নিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান তিনি। তবে জুয়েলের সংঘর্ষে ব্যথা পেয়ে মাঠে পড়ে থাকেন কিছুক্ষণ। চিকিৎসা নিয়ে বাকিটা সময় পোস্ট আগলে রেখে মূল্যবান ১ পয়েন্ট এনে দেন তিনি। এই পয়েন্টের সুবাদেই লিগ টেবিলে তলানি থেকে একধাপ উপরে উঠে এসেছে আরামবাগ। ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে আছে মোহামেডান।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিসকে ৮ মিনিটে এগিয়ে দেন পা ওমর বাবু। ১৯ মিনিটে বাবুর সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়াজ সাগর। ৫৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান বাবু। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে ফর্টিস।

‘আফগানিস্তানের টাকা নেই, আছে বুলেট! ওদের কাছেই আমরা হারি। ২০ (২১) বছর হয়ে গেল, এখনো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আমরা নয়ে-দশে আছি’—বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হক দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
২৯ জুলাই ২০২১
প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে....
১১ ঘণ্টা আগে
বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
১২ ঘণ্টা আগে
ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট।
১২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট। অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের নেতৃত্বে এই পরিবর্তন।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত এনগারাভা বর্তমানে ব্লেসিং মুজারাবানির সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫০টিরও বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর।
নতুন অধিনায়ক হিসেবে এনগারাভার নাম ঘোষণা করে জেডসি চেয়ারম্যান তাভেঙ্গা মুকুহলানি বলেন, ‘বছরের পর বছর এনগারাভা খেলোয়াড় ও নেতা হিসেবে অসাধারণ উন্নতি দেখিয়েছে। ড্রেসিংরুমে তার প্রতি সবার সম্মান রয়েছে এবং সব সংস্করণেই সে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, দলের নতুন অধ্যায়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সে প্রস্তুত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘সহ অধিনায়ক হিসেবে ব্রায়ানের নিয়োগ তার ক্রিকেটীয় বুদ্ধিমত্তা, পরিপক্বতা ও দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্বগুণের প্রতি আমাদের আস্থার প্রতিফলন।’

ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট। অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের নেতৃত্বে এই পরিবর্তন।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত এনগারাভা বর্তমানে ব্লেসিং মুজারাবানির সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫০টিরও বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর।
নতুন অধিনায়ক হিসেবে এনগারাভার নাম ঘোষণা করে জেডসি চেয়ারম্যান তাভেঙ্গা মুকুহলানি বলেন, ‘বছরের পর বছর এনগারাভা খেলোয়াড় ও নেতা হিসেবে অসাধারণ উন্নতি দেখিয়েছে। ড্রেসিংরুমে তার প্রতি সবার সম্মান রয়েছে এবং সব সংস্করণেই সে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, দলের নতুন অধ্যায়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সে প্রস্তুত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘সহ অধিনায়ক হিসেবে ব্রায়ানের নিয়োগ তার ক্রিকেটীয় বুদ্ধিমত্তা, পরিপক্বতা ও দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্বগুণের প্রতি আমাদের আস্থার প্রতিফলন।’

‘আফগানিস্তানের টাকা নেই, আছে বুলেট! ওদের কাছেই আমরা হারি। ২০ (২১) বছর হয়ে গেল, এখনো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আমরা নয়ে-দশে আছি’—বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হক দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
২৯ জুলাই ২০২১
প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে....
১১ ঘণ্টা আগে
বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
১২ ঘণ্টা আগে
লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
১২ ঘণ্টা আগে