আনিকা জীনাত, ঢাকা

করোনা মহামারির প্রভাবে বদলে গেছে প্রযুক্তি ব্যবহারের ধরন। ২০২০ সালে অনলাইনে কেনাকাটার হার বেড়েছিল ব্যাপকভাবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স, অনলাইন কোর্স, ভিডিও কনফারেন্সের অ্যাপ জুমের দাপট দেখেছে বিশ্ব। ২০২১ সালেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। নতুন বছরে পা ফেলার আগে চলতি বছর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পাওয়া কিছু প্রযুক্তিপণ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জুম
আমেরিকান ভিডিও কমিউনিকেশন কোম্পানি জুম যত দ্রুত উত্থান দেখেছে, তার তুলনা হয়তো চলে শুধু রকেটের সঙ্গেই! ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত জুম (অ্যাপটি চালু হয় ২০১৩ সালে) ছিল অচেনা এক সফটওয়্যার কোম্পানি। করোনা মহামারিতে আচমকা সব অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জুমের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে অস্বাভাবিক গতিতে। সহজ ইউজার ইন্টারফেসই ছিল এর মূল কারণ। গত বছরের এপ্রিলে জুম জানায়, প্রতিদিন গড়ে ৩০ কোটি মানুষ তাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সভা করেছে।
২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে জুমের আয় ছিল ৭০ কোটি ডলার। এ বছর একই প্রান্তিকে তাদের আয় ৮২ কোটি ডলার। তবে আয় বাড়লেও কমেছে শেয়ারের মূল্য। গত বছর নভেম্বরে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিল ৫০০ ডলার। কমতে কমতে তা এখন দাঁড়িয়েছে ১৮২ ডলারে। তবু জুমের বার্ষিক মিটিং মিনিট দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়নে। শেয়ারবাজারের কল্যাণে কোম্পানিটির মূলধন এখন ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আগামী বছর অনেক প্রতিষ্ঠানই হয়তো হোম অফিসের বদলে কর্মীদের অফিসে এনে ফেলবে। তখন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও শেয়ারমূল্য দুটোই আরও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনলাইনে ব্যবসা
দিন দিন অনলাইনে আমাদের সময় দেওয়ার মাত্রা বেড়েই চলছে। এই পরিবর্তনের ভালো-খারাপ সব দিকই আছে। অনলাইনে সময় কাটানোর প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নতুন আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন। অনলাইন থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেইনারদের আয়ও বেড়েছে। দক্ষ ট্রেইনাররা তাদের কোর্সে বিদেশি শিক্ষার্থীও পাচ্ছেন। টেকেবল, ইউডেমি, স্কিলশেয়ার ও কোর্সেরার ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠছে। টেকেবল থেকে ৪০ হাজার ট্রেইনার আয় করেছেন ১ বিলিয়ন ডলার। কোর্সেরার মূলধন এখন ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। প্ল্যাটফর্মটিতে ৩ হাজারের বেশি কোর্স আছে। শেয়ার মার্কেটের কল্যাণে ইউডেমির মূলধন এখন সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার।
এ ছাড়া সামনের দিনে ই-কমার্স ব্যবসার বাজারও আরও ফুলে-ফেঁপে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালে ই-কমার্স ব্যবসা থেকে আয় হবে ৫ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ব্যবসা বাড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা সক্রিয় থাকবেন, তাঁদের বিক্রি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ৩২ শতাংশ বেশি।
প্রযুক্তিবিদদের অনুমান, ক্রেতাদের আচরণ ও কেনাকাটার তথ্য বিশ্লেষণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়বে আগামী দিনে। দাম ঠিক করা ও পণ্য দেখানোর ক্ষেত্রে বিক্রেতারা এআইয়ের সহায়তা পাবে। অন্যদিকে ক্রেতারা নিজস্ব চাহিদা আরও সহজে বোঝাতে পারবেন বিক্রেতাদের। পূর্বাভাস আছে, ২০২২ সালে মোবাইলের মাধ্যমে ৫০ শতাংশের বেশি অনলাইন কেনাকাটা হবে। ভিআর ও এআর প্রযুক্তির সাহায্যে যেকোনো পণ্য ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকে দেখা যাবে। ফলে পণ্যটি কাজে লাগবে কি না, তা সহজেই বোঝা যাবে। আর ২০২৫ সাল নাগাদ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির হার্ডওয়্যারের বাজার হবে ১০৫ বিলিয়ন ডলারের।
নেটফ্লিক্স
২৪ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল নেটফ্লিক্স। প্রথম দিকে তারা ডিভিডি ভাড়া দিত। ২০১৩ সালে নেটফ্লিক্স কনটেন্ট বানানোর ব্যবসায় নামে। তাদের প্রথম অরিজিনাল সিরিজ হলো আমেরিকান পলিটিক্যাল ড্রামা ‘হাউস অব কার্ডস’।
আমেরিকান এই সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিসটি বর্তমানে ১৯০টি দেশে দেখা যায়। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত নেটফ্লিক্সের গ্রাহকসংখ্যা ছিল ২১ কোটি ৪০ লাখ।
মহামারিকালীন লকডাউনের প্রভাবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ কোটি ৪০ লাখ নতুন গ্রাহক জুটেছিল নেটফ্লিক্সের। গ্রাহক বাড়ার এই হার কমার আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন সাবস্ক্রাইবার যুক্ত হয় আরও ৪৪ লাখ।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স স্মার্টফোনের জন্য গেমস নিয়ে আসে এ বছরের নভেম্বরে। ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস: ১৯৮৪ ’, ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস ৩: দ্য গেম’, কার্ড ব্লাস্ট, টিটার আপ, শুটিং হোপসসহ ৫টি গেম এনেছে তারা। নেটফ্লিক্স গ্রাহকেরা বিজ্ঞাপন ছাড়াই গেমগুলো খেলতে পারবে।
ডলারের বিপরীতে অনেক দেশের মুদ্রার মান কম হওয়ায় মার্কিনরাই এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে বিশ্বস্ত গ্রাহক। নেটফ্লিক্সে মার্কিন গ্রাহকের সংখ্যা বর্তমানে ৭ কোটি ৪০ লাখ। সে তুলনায় ভারতীয় গ্রাহকের সংখ্যা ৪৪ লাখ। অবশ্য এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রাহক ধরতে নিত্যনতুন বাণিজ্যিক কৌশল নিচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি। ভারতের বাজার দখলে নিতে সাবস্ক্রিপশন ফি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে নেটফ্লিক্স।
এ বছর নেটফ্লিক্সের অরিজিনাল কনটেন্টের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সিরিজ ‘স্কুইড গেম’। প্রথম ৪ সপ্তাহে সিরিজটি দেখেন ১৪ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক। সিরিজটি বানাতে খরচ হয় ১৬৮ কোটি টাকা। আর মুনাফা হয় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
মেটাভার্স
মার্কিন সায়েন্সফিকশন লেখক নিল স্টিফেনসনের একটি উপন্যাসে প্রথমবার মেটাভার্সের কথা লেখা হয়েছিল। ১৯৯২ সালে কল্পিত সেই জগতের দরজা খুলেছিল ‘স্নো ক্র্যাশ’ নামের বইয়ের মাধ্যমে। ৩০ বছর পর এসে মানুষের থ্রিডি অবতারের ধারণা বাস্তব রূপ লাভ করছে। আর সেই সুযোগ আনার ঘোষণা দিয়ে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় তুলেছেন মার্ক জাকারবার্গ।
বলা হচ্ছে, মেটাভার্সে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ভিডিওর মাধ্যমে ডিজিটাল জীবনযাপন করা যাবে। কেনাকাটা, অফিসের কাজ, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও খেলাধুলা করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। বিশ্বের অপর প্রান্তে চলতে থাকা যেকোনো সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়া যাবে। অর্থাৎ সশরীরে উপস্থিত থাকার প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে।
মেটাভার্স প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রধান শর্ত হলো দ্রুতগতির ইন্টারনেট। মেটার (ফেসবুক) সব ব্যবহারকারীর হাতে দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট পৌঁছালে এই প্রযুক্তির পূর্ণাঙ্গ রূপ সম্পর্কে ধারণা মিলবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য মেটাভার্সের মূল বিষয়গুলোর উন্নয়ন ঘটাতে আরও ৫ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে।
মেটাভার্স প্রযুক্তি নিয়ে শুধু ফেসবুক নয়, সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানি মাইক্রোসফট, ভিডিও গেম নির্মাতা কোম্পানি এপিক গেমস ও অনলাইন গেইম প্ল্যাটফর্ম রোবোলক্স’ও কাজ করছে।
মাইক্রোসফটের প্রযুক্তির নাম হবে ম্যাশ। তাদের নিজস্ব হলোলেন্স (মিক্সড রিয়েলিটি স্মার্টগ্লাস) ব্যবহারকারীকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও অগমেন্টেড রিয়েলিটিতে নিয়ে যাবে। হেডসেট ছাড়াও সাধারণ টু-ডি মনিটর দিয়ে ভার্চুয়াল কর্মক্ষেত্রে সভা করা যাবে। ক্লাউডভিত্তিক ডাইনামিক ৩৬৫ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড বিভাগ ও মহাকাশে থাকা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনেও ভার্চুয়ালি যাওয়া যাবে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তাদের অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে করপোরেট অফিসের কর্মীরা নিজেদের ডিজিটাল অবতার তৈরি করতে পারবেন। অফিসের জন্য তৈরি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল যেমন স্প্রেডশিট আদান-প্রদান করা যাবে। এই প্রযুক্তির প্রাথমিক রূপ কেমন হবে, তা আগামী বছরের শেষ ভাগে জানা যাবে।
এদিকে ফোর্টনাইট গেম নির্মাতা কোম্পানি এপিক গেমস ইনকরপোরেশনও মেটাভার্স প্রযুক্তির দখল নিতে মরিয়া। কোম্পানিটির সিইও টিম সুইনি জানিয়েছেন, আগামী দশকে মেটাভার্স প্রযুক্তির বাজারমূল্য হবে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরিতে এপিক, রোবোলক্স, মাইক্রোসফট ও ফেসবুকের জন্য আগামী তিন বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক শ কোটি ব্যবহারকারীকে সবাই নিজেদের ছাতার তলে আনতে চাইবে। প্রথম যারা কাজটি করতে পারবে তাদের হাতেই মান নির্ধারণের ভার চলে যাবে। পরিসংখ্যানগত পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ৫০ কোটি ভিআর সেট বিক্রি হতে পারে।
মেসেজিং অ্যাপের বাজার
এককালে মেসেজিং অ্যাপে শুধু টেক্সট পাঠানো যেত। এখন ভয়েস মেসেজ পাঠানো যায়, চলে ভিডিও চ্যাট। এ ছাড়া গ্রুপ চ্যাটের সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। সারা বিশ্বে ২৭৭ কোটি মানুষ বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করছেন। আর ২০২২ সালে এসব অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০০ কোটিতে।
মেসেজিং অ্যাপ ওয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারী সংখ্যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। তাদের অ্যাপ ব্যবহার করেন বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ। এর মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা ৩৯ কোটি। ২০০৯ সালে চালু হওয়া অ্যাপটি এখন পর্যন্ত ৫০০ কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে। বিশ্বের ১০০টি দেশে হোয়াটসঅ্যাপ সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপ কোনো বিজ্ঞাপন দেখায় না। তাদের মূল আয়ের উৎস হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস, বিভিন্ন কোম্পানিগুলো এর মূল গ্রাহক। বহুল ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ এনক্রিপ্টেড থাকে। ফলে নিরাপদ থাকতে হোয়াটসঅ্যাপে ভরসা রাখেন অনেকে।
ফেসবুক মেসেঞ্জারের ব্যবহারকারী সংখ্যা এখন প্রায় ১৩০ কোটি। তবে ফেসবুক মেসেঞ্জার বা ইনস্টাগ্রামের ডাইরেক্ট মেসেজে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধা নেই। ২০২২ সালে এই সুবিধা যুক্ত করার কথা দিয়েছিল ফেসবুক। কিন্তু তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের আগে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না অ্যাপ দুটিতে।
ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে চীনের মেসেজিং অ্যাপ উইচ্যাট আছে তৃতীয় অবস্থানে। তাদের ব্যবহারকারী সংখ্যা ১২৫ কোটি।
পরিশেষে
প্রযুক্তি বিশ্ব খুব দ্রুত বদলায়। কোনো কিছুই দীর্ঘদিন টেকে না। গুটিকয়েক প্রযুক্তি কোম্পানি বাজার নিয়ন্ত্রণ করলেও প্রতিনিয়ত পণ্য ও সেবায় তারা নতুনত্ব এনে চলেছে। আগামী বছরেও নতুন অনেক পণ্য দেখা যাবে। সেবায়ও আসবে পরিবর্তন। বিশ্লেষকদের মতে, মানুষ কী ভাবছে তা নির্ভুলভাবে অনুমান করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির দাপট বাড়বে সামনের দিনগুলোতে। হয়তো এই পথ ধরেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় আসবে নয়া বিপ্লব!
তথ্যসূত্র: ব্যাকলিংকো ডটকম, রয়টার্স, আইজিএন ডটকম, বিজনেস অব অ্যাপস, স্ট্যাটিস্টা ডটকম ও উইডেভস ডটকম
সালতামামির অন্যান্য আয়োজন:

করোনা মহামারির প্রভাবে বদলে গেছে প্রযুক্তি ব্যবহারের ধরন। ২০২০ সালে অনলাইনে কেনাকাটার হার বেড়েছিল ব্যাপকভাবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স, অনলাইন কোর্স, ভিডিও কনফারেন্সের অ্যাপ জুমের দাপট দেখেছে বিশ্ব। ২০২১ সালেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। নতুন বছরে পা ফেলার আগে চলতি বছর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পাওয়া কিছু প্রযুক্তিপণ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জুম
আমেরিকান ভিডিও কমিউনিকেশন কোম্পানি জুম যত দ্রুত উত্থান দেখেছে, তার তুলনা হয়তো চলে শুধু রকেটের সঙ্গেই! ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত জুম (অ্যাপটি চালু হয় ২০১৩ সালে) ছিল অচেনা এক সফটওয়্যার কোম্পানি। করোনা মহামারিতে আচমকা সব অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জুমের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে অস্বাভাবিক গতিতে। সহজ ইউজার ইন্টারফেসই ছিল এর মূল কারণ। গত বছরের এপ্রিলে জুম জানায়, প্রতিদিন গড়ে ৩০ কোটি মানুষ তাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সভা করেছে।
২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে জুমের আয় ছিল ৭০ কোটি ডলার। এ বছর একই প্রান্তিকে তাদের আয় ৮২ কোটি ডলার। তবে আয় বাড়লেও কমেছে শেয়ারের মূল্য। গত বছর নভেম্বরে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিল ৫০০ ডলার। কমতে কমতে তা এখন দাঁড়িয়েছে ১৮২ ডলারে। তবু জুমের বার্ষিক মিটিং মিনিট দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়নে। শেয়ারবাজারের কল্যাণে কোম্পানিটির মূলধন এখন ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আগামী বছর অনেক প্রতিষ্ঠানই হয়তো হোম অফিসের বদলে কর্মীদের অফিসে এনে ফেলবে। তখন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও শেয়ারমূল্য দুটোই আরও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনলাইনে ব্যবসা
দিন দিন অনলাইনে আমাদের সময় দেওয়ার মাত্রা বেড়েই চলছে। এই পরিবর্তনের ভালো-খারাপ সব দিকই আছে। অনলাইনে সময় কাটানোর প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নতুন আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন। অনলাইন থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেইনারদের আয়ও বেড়েছে। দক্ষ ট্রেইনাররা তাদের কোর্সে বিদেশি শিক্ষার্থীও পাচ্ছেন। টেকেবল, ইউডেমি, স্কিলশেয়ার ও কোর্সেরার ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠছে। টেকেবল থেকে ৪০ হাজার ট্রেইনার আয় করেছেন ১ বিলিয়ন ডলার। কোর্সেরার মূলধন এখন ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। প্ল্যাটফর্মটিতে ৩ হাজারের বেশি কোর্স আছে। শেয়ার মার্কেটের কল্যাণে ইউডেমির মূলধন এখন সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার।
এ ছাড়া সামনের দিনে ই-কমার্স ব্যবসার বাজারও আরও ফুলে-ফেঁপে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালে ই-কমার্স ব্যবসা থেকে আয় হবে ৫ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ব্যবসা বাড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা সক্রিয় থাকবেন, তাঁদের বিক্রি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ৩২ শতাংশ বেশি।
প্রযুক্তিবিদদের অনুমান, ক্রেতাদের আচরণ ও কেনাকাটার তথ্য বিশ্লেষণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়বে আগামী দিনে। দাম ঠিক করা ও পণ্য দেখানোর ক্ষেত্রে বিক্রেতারা এআইয়ের সহায়তা পাবে। অন্যদিকে ক্রেতারা নিজস্ব চাহিদা আরও সহজে বোঝাতে পারবেন বিক্রেতাদের। পূর্বাভাস আছে, ২০২২ সালে মোবাইলের মাধ্যমে ৫০ শতাংশের বেশি অনলাইন কেনাকাটা হবে। ভিআর ও এআর প্রযুক্তির সাহায্যে যেকোনো পণ্য ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকে দেখা যাবে। ফলে পণ্যটি কাজে লাগবে কি না, তা সহজেই বোঝা যাবে। আর ২০২৫ সাল নাগাদ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির হার্ডওয়্যারের বাজার হবে ১০৫ বিলিয়ন ডলারের।
নেটফ্লিক্স
২৪ বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল নেটফ্লিক্স। প্রথম দিকে তারা ডিভিডি ভাড়া দিত। ২০১৩ সালে নেটফ্লিক্স কনটেন্ট বানানোর ব্যবসায় নামে। তাদের প্রথম অরিজিনাল সিরিজ হলো আমেরিকান পলিটিক্যাল ড্রামা ‘হাউস অব কার্ডস’।
আমেরিকান এই সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিসটি বর্তমানে ১৯০টি দেশে দেখা যায়। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত নেটফ্লিক্সের গ্রাহকসংখ্যা ছিল ২১ কোটি ৪০ লাখ।
মহামারিকালীন লকডাউনের প্রভাবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ কোটি ৪০ লাখ নতুন গ্রাহক জুটেছিল নেটফ্লিক্সের। গ্রাহক বাড়ার এই হার কমার আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন সাবস্ক্রাইবার যুক্ত হয় আরও ৪৪ লাখ।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স স্মার্টফোনের জন্য গেমস নিয়ে আসে এ বছরের নভেম্বরে। ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস: ১৯৮৪ ’, ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস ৩: দ্য গেম’, কার্ড ব্লাস্ট, টিটার আপ, শুটিং হোপসসহ ৫টি গেম এনেছে তারা। নেটফ্লিক্স গ্রাহকেরা বিজ্ঞাপন ছাড়াই গেমগুলো খেলতে পারবে।
ডলারের বিপরীতে অনেক দেশের মুদ্রার মান কম হওয়ায় মার্কিনরাই এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে বিশ্বস্ত গ্রাহক। নেটফ্লিক্সে মার্কিন গ্রাহকের সংখ্যা বর্তমানে ৭ কোটি ৪০ লাখ। সে তুলনায় ভারতীয় গ্রাহকের সংখ্যা ৪৪ লাখ। অবশ্য এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রাহক ধরতে নিত্যনতুন বাণিজ্যিক কৌশল নিচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি। ভারতের বাজার দখলে নিতে সাবস্ক্রিপশন ফি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে নেটফ্লিক্স।
এ বছর নেটফ্লিক্সের অরিজিনাল কনটেন্টের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সিরিজ ‘স্কুইড গেম’। প্রথম ৪ সপ্তাহে সিরিজটি দেখেন ১৪ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক। সিরিজটি বানাতে খরচ হয় ১৬৮ কোটি টাকা। আর মুনাফা হয় ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
মেটাভার্স
মার্কিন সায়েন্সফিকশন লেখক নিল স্টিফেনসনের একটি উপন্যাসে প্রথমবার মেটাভার্সের কথা লেখা হয়েছিল। ১৯৯২ সালে কল্পিত সেই জগতের দরজা খুলেছিল ‘স্নো ক্র্যাশ’ নামের বইয়ের মাধ্যমে। ৩০ বছর পর এসে মানুষের থ্রিডি অবতারের ধারণা বাস্তব রূপ লাভ করছে। আর সেই সুযোগ আনার ঘোষণা দিয়ে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় তুলেছেন মার্ক জাকারবার্গ।
বলা হচ্ছে, মেটাভার্সে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ভিডিওর মাধ্যমে ডিজিটাল জীবনযাপন করা যাবে। কেনাকাটা, অফিসের কাজ, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও খেলাধুলা করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। বিশ্বের অপর প্রান্তে চলতে থাকা যেকোনো সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়া যাবে। অর্থাৎ সশরীরে উপস্থিত থাকার প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে।
মেটাভার্স প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রধান শর্ত হলো দ্রুতগতির ইন্টারনেট। মেটার (ফেসবুক) সব ব্যবহারকারীর হাতে দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট পৌঁছালে এই প্রযুক্তির পূর্ণাঙ্গ রূপ সম্পর্কে ধারণা মিলবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য মেটাভার্সের মূল বিষয়গুলোর উন্নয়ন ঘটাতে আরও ৫ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে।
মেটাভার্স প্রযুক্তি নিয়ে শুধু ফেসবুক নয়, সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানি মাইক্রোসফট, ভিডিও গেম নির্মাতা কোম্পানি এপিক গেমস ও অনলাইন গেইম প্ল্যাটফর্ম রোবোলক্স’ও কাজ করছে।
মাইক্রোসফটের প্রযুক্তির নাম হবে ম্যাশ। তাদের নিজস্ব হলোলেন্স (মিক্সড রিয়েলিটি স্মার্টগ্লাস) ব্যবহারকারীকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও অগমেন্টেড রিয়েলিটিতে নিয়ে যাবে। হেডসেট ছাড়াও সাধারণ টু-ডি মনিটর দিয়ে ভার্চুয়াল কর্মক্ষেত্রে সভা করা যাবে। ক্লাউডভিত্তিক ডাইনামিক ৩৬৫ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড বিভাগ ও মহাকাশে থাকা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনেও ভার্চুয়ালি যাওয়া যাবে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তাদের অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে করপোরেট অফিসের কর্মীরা নিজেদের ডিজিটাল অবতার তৈরি করতে পারবেন। অফিসের জন্য তৈরি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল যেমন স্প্রেডশিট আদান-প্রদান করা যাবে। এই প্রযুক্তির প্রাথমিক রূপ কেমন হবে, তা আগামী বছরের শেষ ভাগে জানা যাবে।
এদিকে ফোর্টনাইট গেম নির্মাতা কোম্পানি এপিক গেমস ইনকরপোরেশনও মেটাভার্স প্রযুক্তির দখল নিতে মরিয়া। কোম্পানিটির সিইও টিম সুইনি জানিয়েছেন, আগামী দশকে মেটাভার্স প্রযুক্তির বাজারমূল্য হবে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরিতে এপিক, রোবোলক্স, মাইক্রোসফট ও ফেসবুকের জন্য আগামী তিন বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক শ কোটি ব্যবহারকারীকে সবাই নিজেদের ছাতার তলে আনতে চাইবে। প্রথম যারা কাজটি করতে পারবে তাদের হাতেই মান নির্ধারণের ভার চলে যাবে। পরিসংখ্যানগত পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ৫০ কোটি ভিআর সেট বিক্রি হতে পারে।
মেসেজিং অ্যাপের বাজার
এককালে মেসেজিং অ্যাপে শুধু টেক্সট পাঠানো যেত। এখন ভয়েস মেসেজ পাঠানো যায়, চলে ভিডিও চ্যাট। এ ছাড়া গ্রুপ চ্যাটের সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। সারা বিশ্বে ২৭৭ কোটি মানুষ বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করছেন। আর ২০২২ সালে এসব অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০০ কোটিতে।
মেসেজিং অ্যাপ ওয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারী সংখ্যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। তাদের অ্যাপ ব্যবহার করেন বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ। এর মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা ৩৯ কোটি। ২০০৯ সালে চালু হওয়া অ্যাপটি এখন পর্যন্ত ৫০০ কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে। বিশ্বের ১০০টি দেশে হোয়াটসঅ্যাপ সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপ কোনো বিজ্ঞাপন দেখায় না। তাদের মূল আয়ের উৎস হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস, বিভিন্ন কোম্পানিগুলো এর মূল গ্রাহক। বহুল ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ এনক্রিপ্টেড থাকে। ফলে নিরাপদ থাকতে হোয়াটসঅ্যাপে ভরসা রাখেন অনেকে।
ফেসবুক মেসেঞ্জারের ব্যবহারকারী সংখ্যা এখন প্রায় ১৩০ কোটি। তবে ফেসবুক মেসেঞ্জার বা ইনস্টাগ্রামের ডাইরেক্ট মেসেজে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধা নেই। ২০২২ সালে এই সুবিধা যুক্ত করার কথা দিয়েছিল ফেসবুক। কিন্তু তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের আগে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না অ্যাপ দুটিতে।
ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে চীনের মেসেজিং অ্যাপ উইচ্যাট আছে তৃতীয় অবস্থানে। তাদের ব্যবহারকারী সংখ্যা ১২৫ কোটি।
পরিশেষে
প্রযুক্তি বিশ্ব খুব দ্রুত বদলায়। কোনো কিছুই দীর্ঘদিন টেকে না। গুটিকয়েক প্রযুক্তি কোম্পানি বাজার নিয়ন্ত্রণ করলেও প্রতিনিয়ত পণ্য ও সেবায় তারা নতুনত্ব এনে চলেছে। আগামী বছরেও নতুন অনেক পণ্য দেখা যাবে। সেবায়ও আসবে পরিবর্তন। বিশ্লেষকদের মতে, মানুষ কী ভাবছে তা নির্ভুলভাবে অনুমান করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির দাপট বাড়বে সামনের দিনগুলোতে। হয়তো এই পথ ধরেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় আসবে নয়া বিপ্লব!
তথ্যসূত্র: ব্যাকলিংকো ডটকম, রয়টার্স, আইজিএন ডটকম, বিজনেস অব অ্যাপস, স্ট্যাটিস্টা ডটকম ও উইডেভস ডটকম
সালতামামির অন্যান্য আয়োজন:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

করোনা মহামারির প্রভাবে বদলে গেছে প্রযুক্তি ব্যবহারের ধরন। ২০২০ সালে অনলাইনে কেনাকাটার হার বেড়েছিল ব্যাপকভাবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স, অনলাইন কোর্স, ভিডিও কনফারেন্সের অ্যাপ জুমের দাপট দেখেছে বিশ্ব। ২০২১ সালেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। নতুন বছরে পা ফেলার আগে চলতি বছর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পাওয়া কিছু
২৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

করোনা মহামারির প্রভাবে বদলে গেছে প্রযুক্তি ব্যবহারের ধরন। ২০২০ সালে অনলাইনে কেনাকাটার হার বেড়েছিল ব্যাপকভাবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স, অনলাইন কোর্স, ভিডিও কনফারেন্সের অ্যাপ জুমের দাপট দেখেছে বিশ্ব। ২০২১ সালেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। নতুন বছরে পা ফেলার আগে চলতি বছর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পাওয়া কিছু
২৭ ডিসেম্বর ২০২১
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

করোনা মহামারির প্রভাবে বদলে গেছে প্রযুক্তি ব্যবহারের ধরন। ২০২০ সালে অনলাইনে কেনাকাটার হার বেড়েছিল ব্যাপকভাবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স, অনলাইন কোর্স, ভিডিও কনফারেন্সের অ্যাপ জুমের দাপট দেখেছে বিশ্ব। ২০২১ সালেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। নতুন বছরে পা ফেলার আগে চলতি বছর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পাওয়া কিছু
২৭ ডিসেম্বর ২০২১
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

করোনা মহামারির প্রভাবে বদলে গেছে প্রযুক্তি ব্যবহারের ধরন। ২০২০ সালে অনলাইনে কেনাকাটার হার বেড়েছিল ব্যাপকভাবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স, অনলাইন কোর্স, ভিডিও কনফারেন্সের অ্যাপ জুমের দাপট দেখেছে বিশ্ব। ২০২১ সালেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। নতুন বছরে পা ফেলার আগে চলতি বছর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পাওয়া কিছু
২৭ ডিসেম্বর ২০২১
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে