নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা একরাম (মরণোত্তর)
২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছিল প্রথম নারী উপাচার্য। স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক খালেদা একরাম সে পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে বগুড়ায় জন্ম নেওয়া খালেদা একরাম ১৯৭৪ সালে বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পরের বছর প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৫ সালে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করেন অধ্যাপক খালেদা একরাম। দুরারোগ্য নন-হজকিন লিমফোমাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ২০১৬ সালে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর)
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা ছিলেন নেত্রকোনার শিক্ষা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃস্থানীয় মানুষ। কৈশোরে তিনি জাতীয় পর্যায়ের ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য, প্যারা অলিম্পিকের নির্বাহী সদস্য, বিশেষ অলিম্পিকের কেন্দ্রীয় পরিচালক, শেখ রাসেল ক্রীড়া একাডেমির সহসভাপতি, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২২ উপলক্ষে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় অসাধারণ অবদান রাখায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পুরস্কারে ভূষিত হন কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা। এ বছরের ১ জুন কিডনির অসুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ড. হালিদা হানুম আখতার
ছোটবেলায় চিকিৎসক মায়ের ব্যস্ততা দেখে বেড়ে ওঠেন তিনি। সেটা দেখেই হয়তো তিনি চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে একদিন সত্যিই চিকিৎসক হিসেবে পড়াশোনা শেষ করলেন হালিদা হানুম। অল্পদিনেই উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে পাঠানো হলো বিদেশে। দেড় বছরের সন্তান রেখে পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার আগেই শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ! ১৯৭১ সালের অক্টোবরে দেশে ফিরে কাজ শুরু করেন সেবাসদন হাসপাতালে। তারপর ওবি বা জিওয়াইএন হিসেবে ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণের পর হালিদা হানুম আখতার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে জনস্বাস্থ্যে ডক্টরেট লাভ করেন। তিনি প্রজননস্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক। প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি গবেষণার কাজ করেন নিবিড়ভাবে। তাঁর গবেষণার বিষয় গর্ভনিরোধক কার্যকারিতা, প্রজননস্বাস্থ্য চাহিদা ও পরিষেবা, গর্ভপাত, মাতৃত্বকালীন অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার। নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা ও কাজের জন্য তিনি ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি নারী হিসেবে ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে বাংলা একাডেমি এ বছর সাম্মানিক ফেলোশিপ দেয়। এ ছাড়া তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ড. হালিদা হানুম আখতার মনে করেন, আগে থেকে পরিকল্পনা থাকলে মেয়েদের গর্ভকালীন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার হার কমে। তিনি মনে করেন, শুধু আইন করলেই হবে না, তার প্রয়োগ হতে হবে যথাযথ।
রনিতা বালা
বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণির বই আনার পর বাবার তাড়া খেয়ে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি রনিতা বালার। ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। যৌতুকের জন্য প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। স্বামীর পরিবার অতিদরিদ্র হওয়ার কারণে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। ২০১৪ সালে একটি এনজিও থেকে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ৪ মাস বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমে পড়াশোনা করে নিজেকে সাক্ষর করে তোলেন। এমনি লড়াইয়ের গল্প ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পরদেশিপাড়া গ্রামের রনিতা বালার।
১০ বছর আগে পরদেশিপাড়া, নাউরিয়াপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ৭৬ জন নারীকে নিয়ে গড়ে তোলেন নাউরিয়াপাড়া গ্রাম উন্নয়ন মহিলা সংগঠন। গত ১০ বছরে সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা থেকে ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ১২টি গ্রুপের মাধ্যমে শিশু ও কিশোরীদের উন্নয়নের জন্য একটি সংগঠনও তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর তৈরি কৃষক মাঠ স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন এলাকার প্রায় ৫০০ কৃষক। রনিতা বালার সংগঠনে এখন তিন শর বেশি নারী সদস্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। বাল্যবিবাহ, নারী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি আদায়, ধর্ষণ ও ইভ টিজিং প্রতিরোধ এবং মাদক নির্মূলে তাঁর ভূমিকায় নতুন জীবনে ফিরেছেন অনেকে। ২০১৯ সালে রনিতা বালার আন্দোলনের কারণে স্থানীয়ভাবে নারী শ্রমিকদের মজুরি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় উন্নীত হয়।
নিশাত মজুমদার
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে প্রথমবার বান্দরবান ঘুরতে গিয়ে প্রেমে পড়েন পাহাড়ের। তারপর নিজেকে তৈরি করতে থাকেন তিলে তিলে। ছোট-বড় নানা ধাপ পেরিয়ে চলে যান এভারেস্টের চূড়ায়। বনে যান এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করা প্রথম বাংলাদেশি নারী। সমতলের মেয়ের এই পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসা যেমন তাঁকে ইতিহাসের একজন করে তুলেছে, তেমনি এনে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত এবারের পাঁচ নারীর একজন নিশাত মজুমদার। পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এভারেস্টের চূড়া থেকে নেমে এসে মনে হয়েছিল, বেঁচে ফিরেছি! হয়তো লোকে কিছুটা চিনবে। কিন্তু যখন এয়ারপোর্টে পা রাখি, সেই দৃশ্যটা দেখে মনে হচ্ছিল, একটা দায়িত্ব আমার ওপরে দেওয়া হয়েছে। সেই ভারটা অনেক বেশি। এই পদকটা পেয়ে ঠিক তেমনই দায়িত্ব বোধ করছি। দায়িত্বটা এখন আরও বেড়ে গেল। মনে হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এটা আমার জন্য একটা মেসেজ।’ নিশাত আরও বলেন, নারীদের আগে সবকিছু দেখিয়ে দিতে হবে। তারপর তাঁকে বলতে হবে, এবার বেছে নাও, তুমি কী চাও। পৃথিবীটা না দেখিয়ে, দরজা বন্ধ করে পথ বেছে নিতে বলাটা অন্যায়।

খালেদা একরাম (মরণোত্তর)
২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছিল প্রথম নারী উপাচার্য। স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক খালেদা একরাম সে পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে বগুড়ায় জন্ম নেওয়া খালেদা একরাম ১৯৭৪ সালে বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পরের বছর প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৫ সালে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করেন অধ্যাপক খালেদা একরাম। দুরারোগ্য নন-হজকিন লিমফোমাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ২০১৬ সালে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর)
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা ছিলেন নেত্রকোনার শিক্ষা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃস্থানীয় মানুষ। কৈশোরে তিনি জাতীয় পর্যায়ের ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য, প্যারা অলিম্পিকের নির্বাহী সদস্য, বিশেষ অলিম্পিকের কেন্দ্রীয় পরিচালক, শেখ রাসেল ক্রীড়া একাডেমির সহসভাপতি, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২২ উপলক্ষে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় অসাধারণ অবদান রাখায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পুরস্কারে ভূষিত হন কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা। এ বছরের ১ জুন কিডনির অসুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ড. হালিদা হানুম আখতার
ছোটবেলায় চিকিৎসক মায়ের ব্যস্ততা দেখে বেড়ে ওঠেন তিনি। সেটা দেখেই হয়তো তিনি চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে একদিন সত্যিই চিকিৎসক হিসেবে পড়াশোনা শেষ করলেন হালিদা হানুম। অল্পদিনেই উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে পাঠানো হলো বিদেশে। দেড় বছরের সন্তান রেখে পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার আগেই শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ! ১৯৭১ সালের অক্টোবরে দেশে ফিরে কাজ শুরু করেন সেবাসদন হাসপাতালে। তারপর ওবি বা জিওয়াইএন হিসেবে ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণের পর হালিদা হানুম আখতার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে জনস্বাস্থ্যে ডক্টরেট লাভ করেন। তিনি প্রজননস্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক। প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি গবেষণার কাজ করেন নিবিড়ভাবে। তাঁর গবেষণার বিষয় গর্ভনিরোধক কার্যকারিতা, প্রজননস্বাস্থ্য চাহিদা ও পরিষেবা, গর্ভপাত, মাতৃত্বকালীন অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার। নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা ও কাজের জন্য তিনি ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি নারী হিসেবে ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে বাংলা একাডেমি এ বছর সাম্মানিক ফেলোশিপ দেয়। এ ছাড়া তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ড. হালিদা হানুম আখতার মনে করেন, আগে থেকে পরিকল্পনা থাকলে মেয়েদের গর্ভকালীন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার হার কমে। তিনি মনে করেন, শুধু আইন করলেই হবে না, তার প্রয়োগ হতে হবে যথাযথ।
রনিতা বালা
বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণির বই আনার পর বাবার তাড়া খেয়ে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি রনিতা বালার। ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। যৌতুকের জন্য প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। স্বামীর পরিবার অতিদরিদ্র হওয়ার কারণে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। ২০১৪ সালে একটি এনজিও থেকে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ৪ মাস বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমে পড়াশোনা করে নিজেকে সাক্ষর করে তোলেন। এমনি লড়াইয়ের গল্প ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পরদেশিপাড়া গ্রামের রনিতা বালার।
১০ বছর আগে পরদেশিপাড়া, নাউরিয়াপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ৭৬ জন নারীকে নিয়ে গড়ে তোলেন নাউরিয়াপাড়া গ্রাম উন্নয়ন মহিলা সংগঠন। গত ১০ বছরে সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা থেকে ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ১২টি গ্রুপের মাধ্যমে শিশু ও কিশোরীদের উন্নয়নের জন্য একটি সংগঠনও তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর তৈরি কৃষক মাঠ স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন এলাকার প্রায় ৫০০ কৃষক। রনিতা বালার সংগঠনে এখন তিন শর বেশি নারী সদস্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। বাল্যবিবাহ, নারী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি আদায়, ধর্ষণ ও ইভ টিজিং প্রতিরোধ এবং মাদক নির্মূলে তাঁর ভূমিকায় নতুন জীবনে ফিরেছেন অনেকে। ২০১৯ সালে রনিতা বালার আন্দোলনের কারণে স্থানীয়ভাবে নারী শ্রমিকদের মজুরি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় উন্নীত হয়।
নিশাত মজুমদার
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে প্রথমবার বান্দরবান ঘুরতে গিয়ে প্রেমে পড়েন পাহাড়ের। তারপর নিজেকে তৈরি করতে থাকেন তিলে তিলে। ছোট-বড় নানা ধাপ পেরিয়ে চলে যান এভারেস্টের চূড়ায়। বনে যান এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করা প্রথম বাংলাদেশি নারী। সমতলের মেয়ের এই পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসা যেমন তাঁকে ইতিহাসের একজন করে তুলেছে, তেমনি এনে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত এবারের পাঁচ নারীর একজন নিশাত মজুমদার। পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এভারেস্টের চূড়া থেকে নেমে এসে মনে হয়েছিল, বেঁচে ফিরেছি! হয়তো লোকে কিছুটা চিনবে। কিন্তু যখন এয়ারপোর্টে পা রাখি, সেই দৃশ্যটা দেখে মনে হচ্ছিল, একটা দায়িত্ব আমার ওপরে দেওয়া হয়েছে। সেই ভারটা অনেক বেশি। এই পদকটা পেয়ে ঠিক তেমনই দায়িত্ব বোধ করছি। দায়িত্বটা এখন আরও বেড়ে গেল। মনে হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এটা আমার জন্য একটা মেসেজ।’ নিশাত আরও বলেন, নারীদের আগে সবকিছু দেখিয়ে দিতে হবে। তারপর তাঁকে বলতে হবে, এবার বেছে নাও, তুমি কী চাও। পৃথিবীটা না দেখিয়ে, দরজা বন্ধ করে পথ বেছে নিতে বলাটা অন্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা একরাম (মরণোত্তর)
২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছিল প্রথম নারী উপাচার্য। স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক খালেদা একরাম সে পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে বগুড়ায় জন্ম নেওয়া খালেদা একরাম ১৯৭৪ সালে বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পরের বছর প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৫ সালে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করেন অধ্যাপক খালেদা একরাম। দুরারোগ্য নন-হজকিন লিমফোমাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ২০১৬ সালে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর)
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা ছিলেন নেত্রকোনার শিক্ষা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃস্থানীয় মানুষ। কৈশোরে তিনি জাতীয় পর্যায়ের ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য, প্যারা অলিম্পিকের নির্বাহী সদস্য, বিশেষ অলিম্পিকের কেন্দ্রীয় পরিচালক, শেখ রাসেল ক্রীড়া একাডেমির সহসভাপতি, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২২ উপলক্ষে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় অসাধারণ অবদান রাখায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পুরস্কারে ভূষিত হন কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা। এ বছরের ১ জুন কিডনির অসুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ড. হালিদা হানুম আখতার
ছোটবেলায় চিকিৎসক মায়ের ব্যস্ততা দেখে বেড়ে ওঠেন তিনি। সেটা দেখেই হয়তো তিনি চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে একদিন সত্যিই চিকিৎসক হিসেবে পড়াশোনা শেষ করলেন হালিদা হানুম। অল্পদিনেই উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে পাঠানো হলো বিদেশে। দেড় বছরের সন্তান রেখে পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার আগেই শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ! ১৯৭১ সালের অক্টোবরে দেশে ফিরে কাজ শুরু করেন সেবাসদন হাসপাতালে। তারপর ওবি বা জিওয়াইএন হিসেবে ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণের পর হালিদা হানুম আখতার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে জনস্বাস্থ্যে ডক্টরেট লাভ করেন। তিনি প্রজননস্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক। প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি গবেষণার কাজ করেন নিবিড়ভাবে। তাঁর গবেষণার বিষয় গর্ভনিরোধক কার্যকারিতা, প্রজননস্বাস্থ্য চাহিদা ও পরিষেবা, গর্ভপাত, মাতৃত্বকালীন অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার। নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা ও কাজের জন্য তিনি ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি নারী হিসেবে ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে বাংলা একাডেমি এ বছর সাম্মানিক ফেলোশিপ দেয়। এ ছাড়া তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ড. হালিদা হানুম আখতার মনে করেন, আগে থেকে পরিকল্পনা থাকলে মেয়েদের গর্ভকালীন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার হার কমে। তিনি মনে করেন, শুধু আইন করলেই হবে না, তার প্রয়োগ হতে হবে যথাযথ।
রনিতা বালা
বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণির বই আনার পর বাবার তাড়া খেয়ে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি রনিতা বালার। ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। যৌতুকের জন্য প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। স্বামীর পরিবার অতিদরিদ্র হওয়ার কারণে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। ২০১৪ সালে একটি এনজিও থেকে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ৪ মাস বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমে পড়াশোনা করে নিজেকে সাক্ষর করে তোলেন। এমনি লড়াইয়ের গল্প ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পরদেশিপাড়া গ্রামের রনিতা বালার।
১০ বছর আগে পরদেশিপাড়া, নাউরিয়াপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ৭৬ জন নারীকে নিয়ে গড়ে তোলেন নাউরিয়াপাড়া গ্রাম উন্নয়ন মহিলা সংগঠন। গত ১০ বছরে সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা থেকে ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ১২টি গ্রুপের মাধ্যমে শিশু ও কিশোরীদের উন্নয়নের জন্য একটি সংগঠনও তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর তৈরি কৃষক মাঠ স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন এলাকার প্রায় ৫০০ কৃষক। রনিতা বালার সংগঠনে এখন তিন শর বেশি নারী সদস্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। বাল্যবিবাহ, নারী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি আদায়, ধর্ষণ ও ইভ টিজিং প্রতিরোধ এবং মাদক নির্মূলে তাঁর ভূমিকায় নতুন জীবনে ফিরেছেন অনেকে। ২০১৯ সালে রনিতা বালার আন্দোলনের কারণে স্থানীয়ভাবে নারী শ্রমিকদের মজুরি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় উন্নীত হয়।
নিশাত মজুমদার
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে প্রথমবার বান্দরবান ঘুরতে গিয়ে প্রেমে পড়েন পাহাড়ের। তারপর নিজেকে তৈরি করতে থাকেন তিলে তিলে। ছোট-বড় নানা ধাপ পেরিয়ে চলে যান এভারেস্টের চূড়ায়। বনে যান এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করা প্রথম বাংলাদেশি নারী। সমতলের মেয়ের এই পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসা যেমন তাঁকে ইতিহাসের একজন করে তুলেছে, তেমনি এনে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত এবারের পাঁচ নারীর একজন নিশাত মজুমদার। পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এভারেস্টের চূড়া থেকে নেমে এসে মনে হয়েছিল, বেঁচে ফিরেছি! হয়তো লোকে কিছুটা চিনবে। কিন্তু যখন এয়ারপোর্টে পা রাখি, সেই দৃশ্যটা দেখে মনে হচ্ছিল, একটা দায়িত্ব আমার ওপরে দেওয়া হয়েছে। সেই ভারটা অনেক বেশি। এই পদকটা পেয়ে ঠিক তেমনই দায়িত্ব বোধ করছি। দায়িত্বটা এখন আরও বেড়ে গেল। মনে হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এটা আমার জন্য একটা মেসেজ।’ নিশাত আরও বলেন, নারীদের আগে সবকিছু দেখিয়ে দিতে হবে। তারপর তাঁকে বলতে হবে, এবার বেছে নাও, তুমি কী চাও। পৃথিবীটা না দেখিয়ে, দরজা বন্ধ করে পথ বেছে নিতে বলাটা অন্যায়।

খালেদা একরাম (মরণোত্তর)
২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছিল প্রথম নারী উপাচার্য। স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক খালেদা একরাম সে পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে বগুড়ায় জন্ম নেওয়া খালেদা একরাম ১৯৭৪ সালে বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পরের বছর প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৫ সালে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করেন অধ্যাপক খালেদা একরাম। দুরারোগ্য নন-হজকিন লিমফোমাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ২০১৬ সালে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর)
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা ছিলেন নেত্রকোনার শিক্ষা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃস্থানীয় মানুষ। কৈশোরে তিনি জাতীয় পর্যায়ের ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য, প্যারা অলিম্পিকের নির্বাহী সদস্য, বিশেষ অলিম্পিকের কেন্দ্রীয় পরিচালক, শেখ রাসেল ক্রীড়া একাডেমির সহসভাপতি, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২২ উপলক্ষে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় অসাধারণ অবদান রাখায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পুরস্কারে ভূষিত হন কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা। এ বছরের ১ জুন কিডনির অসুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ড. হালিদা হানুম আখতার
ছোটবেলায় চিকিৎসক মায়ের ব্যস্ততা দেখে বেড়ে ওঠেন তিনি। সেটা দেখেই হয়তো তিনি চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে একদিন সত্যিই চিকিৎসক হিসেবে পড়াশোনা শেষ করলেন হালিদা হানুম। অল্পদিনেই উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে পাঠানো হলো বিদেশে। দেড় বছরের সন্তান রেখে পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার আগেই শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ! ১৯৭১ সালের অক্টোবরে দেশে ফিরে কাজ শুরু করেন সেবাসদন হাসপাতালে। তারপর ওবি বা জিওয়াইএন হিসেবে ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণের পর হালিদা হানুম আখতার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে জনস্বাস্থ্যে ডক্টরেট লাভ করেন। তিনি প্রজননস্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক। প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি গবেষণার কাজ করেন নিবিড়ভাবে। তাঁর গবেষণার বিষয় গর্ভনিরোধক কার্যকারিতা, প্রজননস্বাস্থ্য চাহিদা ও পরিষেবা, গর্ভপাত, মাতৃত্বকালীন অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার। নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা ও কাজের জন্য তিনি ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি নারী হিসেবে ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে বাংলা একাডেমি এ বছর সাম্মানিক ফেলোশিপ দেয়। এ ছাড়া তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ড. হালিদা হানুম আখতার মনে করেন, আগে থেকে পরিকল্পনা থাকলে মেয়েদের গর্ভকালীন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার হার কমে। তিনি মনে করেন, শুধু আইন করলেই হবে না, তার প্রয়োগ হতে হবে যথাযথ।
রনিতা বালা
বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণির বই আনার পর বাবার তাড়া খেয়ে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি রনিতা বালার। ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। যৌতুকের জন্য প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। স্বামীর পরিবার অতিদরিদ্র হওয়ার কারণে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। ২০১৪ সালে একটি এনজিও থেকে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ৪ মাস বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমে পড়াশোনা করে নিজেকে সাক্ষর করে তোলেন। এমনি লড়াইয়ের গল্প ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পরদেশিপাড়া গ্রামের রনিতা বালার।
১০ বছর আগে পরদেশিপাড়া, নাউরিয়াপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ৭৬ জন নারীকে নিয়ে গড়ে তোলেন নাউরিয়াপাড়া গ্রাম উন্নয়ন মহিলা সংগঠন। গত ১০ বছরে সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা থেকে ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ১২টি গ্রুপের মাধ্যমে শিশু ও কিশোরীদের উন্নয়নের জন্য একটি সংগঠনও তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর তৈরি কৃষক মাঠ স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন এলাকার প্রায় ৫০০ কৃষক। রনিতা বালার সংগঠনে এখন তিন শর বেশি নারী সদস্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। বাল্যবিবাহ, নারী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি আদায়, ধর্ষণ ও ইভ টিজিং প্রতিরোধ এবং মাদক নির্মূলে তাঁর ভূমিকায় নতুন জীবনে ফিরেছেন অনেকে। ২০১৯ সালে রনিতা বালার আন্দোলনের কারণে স্থানীয়ভাবে নারী শ্রমিকদের মজুরি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় উন্নীত হয়।
নিশাত মজুমদার
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে প্রথমবার বান্দরবান ঘুরতে গিয়ে প্রেমে পড়েন পাহাড়ের। তারপর নিজেকে তৈরি করতে থাকেন তিলে তিলে। ছোট-বড় নানা ধাপ পেরিয়ে চলে যান এভারেস্টের চূড়ায়। বনে যান এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করা প্রথম বাংলাদেশি নারী। সমতলের মেয়ের এই পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসা যেমন তাঁকে ইতিহাসের একজন করে তুলেছে, তেমনি এনে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত এবারের পাঁচ নারীর একজন নিশাত মজুমদার। পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এভারেস্টের চূড়া থেকে নেমে এসে মনে হয়েছিল, বেঁচে ফিরেছি! হয়তো লোকে কিছুটা চিনবে। কিন্তু যখন এয়ারপোর্টে পা রাখি, সেই দৃশ্যটা দেখে মনে হচ্ছিল, একটা দায়িত্ব আমার ওপরে দেওয়া হয়েছে। সেই ভারটা অনেক বেশি। এই পদকটা পেয়ে ঠিক তেমনই দায়িত্ব বোধ করছি। দায়িত্বটা এখন আরও বেড়ে গেল। মনে হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এটা আমার জন্য একটা মেসেজ।’ নিশাত আরও বলেন, নারীদের আগে সবকিছু দেখিয়ে দিতে হবে। তারপর তাঁকে বলতে হবে, এবার বেছে নাও, তুমি কী চাও। পৃথিবীটা না দেখিয়ে, দরজা বন্ধ করে পথ বেছে নিতে বলাটা অন্যায়।

বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
১ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
১ দিন আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি। বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
গত মঙ্গলবার গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য নিয়ে এ গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এমন সহিংসতার কারণে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এইডস এবং অন্যান্য ক্রনিক রোগের সংক্রমণের হারও বেশি।
এই গবেষণার জন্য ২০২৩ সালের ‘গ্লোবাল বার্ডেন ডিজিজের’ (জিবিডি) তথ্য নেওয়া হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনসহ ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। ল্যানসেটের ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, জীবনসঙ্গীর ওপর চালানো নির্যাতন ও শিশুদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম একটি উপায়। এটি সমাজে এবং ভুক্তভোগীদের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে প্রভাব ফেলছে। এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব ভয়ংকর।
তবে এটি জানার পরও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিকারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এই নিয়ে ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এমন সহিসংতার কারণে ভুক্তভোগীরা যে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি ও প্রতিবন্ধিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এর চিত্র উঠে এসেছে গবেষণায়। নারীরা যে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন এর অন্যতম আটটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত রোগ। সহিংসতার শিকার নারীরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে তাদের অনেকে প্রতিবন্ধিতা বরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া শিশুরা যারা এমন যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে, তারা মানসিক এবং এইডস, ডায়াবেটিসসহ ক্রনিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে জীবনসঙ্গীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বিশ্বজুড়ে ২০২৩ সালে মারা গেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। অনেকে আত্মহত্যা করেছে। আবার নির্যাতনের কারণে এইডসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কেউ কেউ। ল্যানসেট বলছে, ২০২৩ সালে ৩০ হাজার নারীকে হত্যা করেছেন তাঁর সঙ্গী। ২০২৩ সালে যৌন সহিংসতার কারণে মারা গেছে ২ লাখ ৯০ হাজার শিশু। এর একটি বড় অংশ আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া এইডস, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেকে। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণও ছিল যৌন সহিংসতা।
দক্ষিণ এশিয়ায় এখন যাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, যারা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে আত্মঘাতী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর নারীরা যাঁরা কিনা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুশ্চিন্তাজনিত রোগ বেড়েছে।
ল্যানসেটের এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের সহকারী অধ্যাপক লুইসা সোরিও ফ্লোর। তিনি বলেন, শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে দীর্ঘ সময় ধরে যেভাবে সমাজ দেখে আসছে, নতুন এই গবেষণা সেটাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এমন ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা কী, সেটাও সামনে এনেছে।

বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি। বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
গত মঙ্গলবার গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য নিয়ে এ গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এমন সহিংসতার কারণে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এইডস এবং অন্যান্য ক্রনিক রোগের সংক্রমণের হারও বেশি।
এই গবেষণার জন্য ২০২৩ সালের ‘গ্লোবাল বার্ডেন ডিজিজের’ (জিবিডি) তথ্য নেওয়া হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনসহ ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। ল্যানসেটের ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, জীবনসঙ্গীর ওপর চালানো নির্যাতন ও শিশুদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম একটি উপায়। এটি সমাজে এবং ভুক্তভোগীদের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে প্রভাব ফেলছে। এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব ভয়ংকর।
তবে এটি জানার পরও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিকারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এই নিয়ে ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এমন সহিসংতার কারণে ভুক্তভোগীরা যে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি ও প্রতিবন্ধিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এর চিত্র উঠে এসেছে গবেষণায়। নারীরা যে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন এর অন্যতম আটটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত রোগ। সহিংসতার শিকার নারীরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে তাদের অনেকে প্রতিবন্ধিতা বরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া শিশুরা যারা এমন যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে, তারা মানসিক এবং এইডস, ডায়াবেটিসসহ ক্রনিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে জীবনসঙ্গীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বিশ্বজুড়ে ২০২৩ সালে মারা গেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। অনেকে আত্মহত্যা করেছে। আবার নির্যাতনের কারণে এইডসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কেউ কেউ। ল্যানসেট বলছে, ২০২৩ সালে ৩০ হাজার নারীকে হত্যা করেছেন তাঁর সঙ্গী। ২০২৩ সালে যৌন সহিংসতার কারণে মারা গেছে ২ লাখ ৯০ হাজার শিশু। এর একটি বড় অংশ আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া এইডস, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেকে। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণও ছিল যৌন সহিংসতা।
দক্ষিণ এশিয়ায় এখন যাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, যারা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে আত্মঘাতী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর নারীরা যাঁরা কিনা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুশ্চিন্তাজনিত রোগ বেড়েছে।
ল্যানসেটের এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের সহকারী অধ্যাপক লুইসা সোরিও ফ্লোর। তিনি বলেন, শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে দীর্ঘ সময় ধরে যেভাবে সমাজ দেখে আসছে, নতুন এই গবেষণা সেটাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এমন ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা কী, সেটাও সামনে এনেছে।

সমাজ উন্নয়ন, নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া হয় প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার এ পদক পেয়েছেন পাঁচজন।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
১ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
১ দিন আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
১ দিন আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

সমাজ উন্নয়ন, নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া হয় প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার এ পদক পেয়েছেন পাঁচজন।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
১ দিন আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
১ দিন আগেব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

সমাজ উন্নয়ন, নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া হয় প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার এ পদক পেয়েছেন পাঁচজন।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
১ দিন আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
১ দিন আগেকেনিয়ার ‘ইঙ্কড সিস্টারহুড’
ফিচার ডেস্ক

পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন, পরিবর্তনের ডাক দেওয়া একটি নীরব আন্দোলন এই বাইক যাত্রা। এই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা। এই দলের নাম ইঙ্কড সিস্টারহুড। দলটি পরিণত হয়েছে সংহতি ও নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গভীর সৌহার্দ্যের প্রতীকে।
২০১৭ সালে নাইরোবির একটি রাইডিং স্কুল থেকে তাদের যাত্রা শুরু। এর সদস্যরা একটি বিশেষ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু পুরুষেরাই মোটরসাইকেল চালানো উপভোগ করেন, এমন ধারণা তাঁরা ভেঙে দিতে চান। এই দলের সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী লুসি মোনিয়েন্যে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা শতাধিক সদস্যে উন্নীত হয়েছি। এই সংখ্যা বাড়ছে আবার কমছেও। কারণ, জীবনে নানা ঘটনা ঘটে।’ প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ইঙ্কড সিস্টারহুড নামের এই ক্লাব কেনিয়ার প্রচলিত আইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত। এই ক্লাবের মাধ্যমে নারীরা মোটরসাইকেল চালানোকে স্বাধীনতার প্রতীক এবং করপোরেট চাকরি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ইঙ্কড সিস্টারহুড শখের ক্লাব নয়, এটি কেনিয়ার নারীদের সামাজিক ও মানসিক সমর্থনেরও উৎস।
এর সদস্যরা সড়কের নিরাপত্তা প্রচার এবং দাতব্য রাইড, বৃক্ষরোপণ, স্মৃতি রাইড এবং লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রচারণার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহত্তর কমিউনিটিকে সহায়তা করছেন। তাঁদের মার্কেটিং পরামর্শক ও রাইডার আমান্ডা খামাতি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কারও সন্তান হলে বা কেউ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, আমরা তাঁর পরিবারে যাই। শুধু বাইকিং নয়, আমরা একসঙ্গে সামাজিকতা করি এবং সময় কাটাই।’
কেউ কেউ এই শখকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। সমাজবিজ্ঞানী কিসিয়ানান কেনানা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বসলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়। সবাই ভাবে, রাইডিং শুধু পুরুষদের জন্য। আর আমি সেই নারীদের একজন, যারা দেখাতে এসেছে, এটা সবাই করতে পারে।’
পুরুষতান্ত্রিক ধারণার পরিবর্তন
কেনিয়ার নারীরা শিক্ষা, রাজনীতি ও খেলাধুলায় এগিয়ে এলেও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখনো। কেনিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে এখনো এমন গ্রাম আছে, যেগুলোর তিন মিটার গভীর কংক্রিটের ট্যাংক থেকে পানি নিতে হয়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করে নারীরা। উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। এমন সামাজিক অবস্থায় এই নারী বাইকারদের যাত্রাকে উল্টো ধারারই বলতে হবে। এই বাইকারদের বড় বাধা কেনিয়ার সামাজিক পুরোনো স্টেরিওটাইপ ধারণা।
এ বিষয়ে কেনানা বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, একজন নারী বাইকার পুরুষদের চেয়ে ধীরে চালাবে, তারা লম্বা দূরত্বে যেতে পারবে না, তারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া তারা টমবয়, জেদি এবং শুধু অ্যাড্রেনালিন পছন্দ করে। হ্যাঁ, শেষ অংশটি হয়তো সত্যি হতে পারে, কিন্তু বাকিটা...।’
গত কয়েক বছরে ইঙ্কড সিস্টারহুডের সদস্যদের সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্যাক্স পরামর্শক এবং মোটরবাইকপ্রেমী মাইকেল ওথিয়েনো বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, নারীরা আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের সন্ধান করেন এবং এতে তাঁরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা হেলমেট খুললে তার নিচে ড্রেডলকস বা বিনুনি দেখা যাবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, তাঁরা বাইকিং মন থেকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা পুরুষের মতোই দক্ষ। কেউ কেউ তো আরও ভালো।’
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ

পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন, পরিবর্তনের ডাক দেওয়া একটি নীরব আন্দোলন এই বাইক যাত্রা। এই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা। এই দলের নাম ইঙ্কড সিস্টারহুড। দলটি পরিণত হয়েছে সংহতি ও নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গভীর সৌহার্দ্যের প্রতীকে।
২০১৭ সালে নাইরোবির একটি রাইডিং স্কুল থেকে তাদের যাত্রা শুরু। এর সদস্যরা একটি বিশেষ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু পুরুষেরাই মোটরসাইকেল চালানো উপভোগ করেন, এমন ধারণা তাঁরা ভেঙে দিতে চান। এই দলের সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী লুসি মোনিয়েন্যে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা শতাধিক সদস্যে উন্নীত হয়েছি। এই সংখ্যা বাড়ছে আবার কমছেও। কারণ, জীবনে নানা ঘটনা ঘটে।’ প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ইঙ্কড সিস্টারহুড নামের এই ক্লাব কেনিয়ার প্রচলিত আইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত। এই ক্লাবের মাধ্যমে নারীরা মোটরসাইকেল চালানোকে স্বাধীনতার প্রতীক এবং করপোরেট চাকরি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ইঙ্কড সিস্টারহুড শখের ক্লাব নয়, এটি কেনিয়ার নারীদের সামাজিক ও মানসিক সমর্থনেরও উৎস।
এর সদস্যরা সড়কের নিরাপত্তা প্রচার এবং দাতব্য রাইড, বৃক্ষরোপণ, স্মৃতি রাইড এবং লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রচারণার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহত্তর কমিউনিটিকে সহায়তা করছেন। তাঁদের মার্কেটিং পরামর্শক ও রাইডার আমান্ডা খামাতি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কারও সন্তান হলে বা কেউ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, আমরা তাঁর পরিবারে যাই। শুধু বাইকিং নয়, আমরা একসঙ্গে সামাজিকতা করি এবং সময় কাটাই।’
কেউ কেউ এই শখকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। সমাজবিজ্ঞানী কিসিয়ানান কেনানা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বসলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়। সবাই ভাবে, রাইডিং শুধু পুরুষদের জন্য। আর আমি সেই নারীদের একজন, যারা দেখাতে এসেছে, এটা সবাই করতে পারে।’
পুরুষতান্ত্রিক ধারণার পরিবর্তন
কেনিয়ার নারীরা শিক্ষা, রাজনীতি ও খেলাধুলায় এগিয়ে এলেও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখনো। কেনিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে এখনো এমন গ্রাম আছে, যেগুলোর তিন মিটার গভীর কংক্রিটের ট্যাংক থেকে পানি নিতে হয়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করে নারীরা। উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। এমন সামাজিক অবস্থায় এই নারী বাইকারদের যাত্রাকে উল্টো ধারারই বলতে হবে। এই বাইকারদের বড় বাধা কেনিয়ার সামাজিক পুরোনো স্টেরিওটাইপ ধারণা।
এ বিষয়ে কেনানা বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, একজন নারী বাইকার পুরুষদের চেয়ে ধীরে চালাবে, তারা লম্বা দূরত্বে যেতে পারবে না, তারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া তারা টমবয়, জেদি এবং শুধু অ্যাড্রেনালিন পছন্দ করে। হ্যাঁ, শেষ অংশটি হয়তো সত্যি হতে পারে, কিন্তু বাকিটা...।’
গত কয়েক বছরে ইঙ্কড সিস্টারহুডের সদস্যদের সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্যাক্স পরামর্শক এবং মোটরবাইকপ্রেমী মাইকেল ওথিয়েনো বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, নারীরা আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের সন্ধান করেন এবং এতে তাঁরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা হেলমেট খুললে তার নিচে ড্রেডলকস বা বিনুনি দেখা যাবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, তাঁরা বাইকিং মন থেকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা পুরুষের মতোই দক্ষ। কেউ কেউ তো আরও ভালো।’
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ

সমাজ উন্নয়ন, নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া হয় প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার এ পদক পেয়েছেন পাঁচজন।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
১ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
১ দিন আগে