ইশতিয়াক হাসান

দক্ষিণ নামিবিয়ার নামিব মরুভূমিতে দেখা পাবেন কোলমানস্কপ নামের শহরটির। এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বেশ কিছু ঘর-বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর ভেতরে কেবলই বালুর রাজত্ব। কোনো মানুষের বসতি নেই। এভাবে একে খালি করে কেন চলে গেল শহরটির বাসিন্দারা?
কোলমানস্কোপ আসলে পরিত্যক্ত এক হীরার খনির শহর। জাকারায়েস লওয়ালা নামের এক রেলশ্রমিক প্রথম হীরার খোঁজ পান এখানে। জাকারায়েস একে কেবল অস্বাভাবিক উজ্জ্বল একটি পাথর ভেবেছিলেন। রেলশ্রমিকদের সুপারভাইজার আগস্ট স্টচের কাছে নিয়ে যান তিনি পাথরটি। এটা যে মহামূল্যবান হীরা, বুঝতে বাকি রইল না তাঁর। দেরি না করে প্রসপেক্টরের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন স্টচ। ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেল সত্যি হীরার সন্ধান পাওয়া গেছে মরুতে।
গোড়া থেকেই এখানে হীরা পাওয়ার হার ছিল চমকে দেওয়ার মতো। এখানে এই পরিমাণ হীরা ছিল যে খালি হাতেই মাটি থেকে তুলতে পারত মানুষ। দ্রুতই খবরটা ছড়িয়ে পড়ল। আশপাশের এলাকা থেকে মানুষ দলে দলে হাজির হতে লাগল মরুরাজ্যে বড়লোক হওয়ার আশায়। বলা চলে, রাতারাতি এক খনি শহরে পরিণত হলো এটি।
বিপুল আশা নিয়ে মানুষ আসার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হতে লাগল দালানকোঠা। ওই সময় জায়গাটি ছিল কলোনিয়াল জার্মান দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার অংশ। ধনী ব্যক্তিরা মূলত জার্মান স্থাপত্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বড় বড় বাড়ি তুলতে লাগলেন। তৈরি হলো বলরুম, ক্যাসিনো, নাট্যশালা, হাসপাতাল এমনকি মরুর বুকে বসল বরফ তৈরির কারখানাও। তৈরি হয় কসাইখানা, বেকারি, পোস্ট অফিস। বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি আসত ট্রেনে করে। খনি শহরটি তখন এতটাই রমরমা যে ইউরোপীয় নামি অপেরা দলগুলোও এখানে শো করতে আসত। মজার ঘটনা, এখানকার একটি পরিবার একটি উট পাখিও পুষত। যেটা শহরের মানুষদের বেশ আতঙ্কে রাখত।
১৯১২ সালের দিকে মোটামুটি চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেল এখান থেকে আহরিত হীরার পরিমাণ। এ সময় এক বছরে এখান থেকে উৎপাদিত হয় ১০ লাখ ক্যারেট হীরা, যা ওই সময়ে পৃথিবীর মোট হিরা উৎপাদনের ১১.৭ শতাংশ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ হীরা আরোহণ করা হলো মরুর বুক থেকে। বলা চলে, হীরার খনির জন্য বিপুল নাম হয়ে গেল শহরটির। তবে যুদ্ধের সময় হীরার দরপতন ঘটল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরও কয়েকটা বছর মোটামুটি ভালোই চলল। তারপর দেখা গেল হীরার ভান্ডার ফুরিয়ে এসেছে। এখানে বসতি গাড়া মানুষ বাড়ি-ঘর ফেলে অন্য জায়গায় পাড়ি জমাতে শুরু করল কাজের খোঁজে। এ ছাড়া একপর্যায়ে কোলমানস্কোপের দক্ষিণে অরেঞ্জমান্ডে বড় বড় হিরার খোঁজ মিলল। অনেকে সেখানেও চলে গেল। ১৯৫৬ সালের মধ্যে পুরো খালি হয়ে গেল শহরটি।
শহরটি পরিত্যক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মরু ধীরে ধীরে নিজের জমির দখল বুঝে নিতে লাগল। দালানগুলো ক্ষয় হতে লাগল, এদিকে বালুতে ভরে যেতে লাগল বিভিন্ন বাড়ি ও কামরাগুলো। কোনো কোনোটির তো এখন ছাদ পর্যন্ত দখল নিয়ে নিয়েছে বালু।
তবে শহরটি পরিত্যক্ত হওয়া মনেই যে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া তা নয়। এর অন্যরকম এক আকর্ষণ তৈরি হলো। সেটা পর্যটক ও আলোকচিত্রীদের কাছে। ধু-ধু বালুর রাজ্যে দাঁড়িয়ে থাকা ঘর-বাড়ি, সেগুলোর ভেতরে বালুর রাজত্ব—এসব দেখতে বছরে এখন ৩৫ হাজারের মতো মানুষ ভ্রমণ করে জায়গাটিতে।
নামিবিয়ার এই পরিত্যক্ত মরু শহরে পৌঁছাবেন কীভাবে? এর সবচেয়ে কাছের শহর লাডারিজ। কোলমানস্কোপের দূরত্ব সেখান থেকে মোটে ১০ কিলোমিটার। লাডারিজ থেকে বি৪ হাইওয়ে ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন কোলমানস্কোপে। মানুষের ভিড়ে, কর্মব্যস্ততায় ভরপুর ছিল একসময় যেটি। এখন সেখানে কেবলই বালুর আধিপত্য।
আগেই বলে রাখছি, পরিত্যক্ত মরু শহরে অনেক দালানকোঠা থাকলেও থাকতে হবে আপনাকে লাডারিজে। একটি জাদুঘর আর রেস্তোরাঁ আছে শহরটির ধারে। সকাল ৯টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত খোলা থাকে এগুলো। তবে সেখানে গেলে ট্যুর গাইডদের মাধ্যমে যাওয়াই ভালো। সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় শহরটি ঘুরিয়ে দেখাতে এবং বালুময় সব কামরার অন্দিসন্ধিতে। গাইডরা মূলত এক ঘণ্টা শহরের বিভিন্ন স্থাপনা এবং এর ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে আপনাকে। ইংরেজি আর জার্মান দুই ভাষাতেই তথ্য দেন তাঁরা। অবশ্য এর আগে-পরে নিজের ইচ্ছামতো চলাফেরা করতে পারবেন। ছবি তুলে ও ঘুরেফিরে দেখে সময় কাটাতে পারবেন।
তবে পরিত্যাক্ত শহরটিতে যাওয়ার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, জায়গাটি নামিব মরুভূমির অংশ। কাজেই মরু অঞ্চলের স্বাভাবিক উষ্ণ আবহাওয়ার দেখা পাবেন এখানে। শীত মৌসুমে গেলে দিনের শুরুটা বেশ শীতল থাকবে। তবে সূর্য যত ওপরে উঠতে থাকবে, তাপমাত্রা তত বাড়তে থাকবে। সেখানে একবার পৌঁছে গেলে মরুর বুকে পুরোনো খনি শহরের চিহ্ন দেখতে দেখতে সময়টা যে চমৎকার কাটবে তাতে সন্দেহ নেই।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ট্রাভেলেশনশিপ ডট কম, এটলাস অবসকিউরা

দক্ষিণ নামিবিয়ার নামিব মরুভূমিতে দেখা পাবেন কোলমানস্কপ নামের শহরটির। এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বেশ কিছু ঘর-বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর ভেতরে কেবলই বালুর রাজত্ব। কোনো মানুষের বসতি নেই। এভাবে একে খালি করে কেন চলে গেল শহরটির বাসিন্দারা?
কোলমানস্কোপ আসলে পরিত্যক্ত এক হীরার খনির শহর। জাকারায়েস লওয়ালা নামের এক রেলশ্রমিক প্রথম হীরার খোঁজ পান এখানে। জাকারায়েস একে কেবল অস্বাভাবিক উজ্জ্বল একটি পাথর ভেবেছিলেন। রেলশ্রমিকদের সুপারভাইজার আগস্ট স্টচের কাছে নিয়ে যান তিনি পাথরটি। এটা যে মহামূল্যবান হীরা, বুঝতে বাকি রইল না তাঁর। দেরি না করে প্রসপেক্টরের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন স্টচ। ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেল সত্যি হীরার সন্ধান পাওয়া গেছে মরুতে।
গোড়া থেকেই এখানে হীরা পাওয়ার হার ছিল চমকে দেওয়ার মতো। এখানে এই পরিমাণ হীরা ছিল যে খালি হাতেই মাটি থেকে তুলতে পারত মানুষ। দ্রুতই খবরটা ছড়িয়ে পড়ল। আশপাশের এলাকা থেকে মানুষ দলে দলে হাজির হতে লাগল মরুরাজ্যে বড়লোক হওয়ার আশায়। বলা চলে, রাতারাতি এক খনি শহরে পরিণত হলো এটি।
বিপুল আশা নিয়ে মানুষ আসার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হতে লাগল দালানকোঠা। ওই সময় জায়গাটি ছিল কলোনিয়াল জার্মান দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার অংশ। ধনী ব্যক্তিরা মূলত জার্মান স্থাপত্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বড় বড় বাড়ি তুলতে লাগলেন। তৈরি হলো বলরুম, ক্যাসিনো, নাট্যশালা, হাসপাতাল এমনকি মরুর বুকে বসল বরফ তৈরির কারখানাও। তৈরি হয় কসাইখানা, বেকারি, পোস্ট অফিস। বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি আসত ট্রেনে করে। খনি শহরটি তখন এতটাই রমরমা যে ইউরোপীয় নামি অপেরা দলগুলোও এখানে শো করতে আসত। মজার ঘটনা, এখানকার একটি পরিবার একটি উট পাখিও পুষত। যেটা শহরের মানুষদের বেশ আতঙ্কে রাখত।
১৯১২ সালের দিকে মোটামুটি চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেল এখান থেকে আহরিত হীরার পরিমাণ। এ সময় এক বছরে এখান থেকে উৎপাদিত হয় ১০ লাখ ক্যারেট হীরা, যা ওই সময়ে পৃথিবীর মোট হিরা উৎপাদনের ১১.৭ শতাংশ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ হীরা আরোহণ করা হলো মরুর বুক থেকে। বলা চলে, হীরার খনির জন্য বিপুল নাম হয়ে গেল শহরটির। তবে যুদ্ধের সময় হীরার দরপতন ঘটল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরও কয়েকটা বছর মোটামুটি ভালোই চলল। তারপর দেখা গেল হীরার ভান্ডার ফুরিয়ে এসেছে। এখানে বসতি গাড়া মানুষ বাড়ি-ঘর ফেলে অন্য জায়গায় পাড়ি জমাতে শুরু করল কাজের খোঁজে। এ ছাড়া একপর্যায়ে কোলমানস্কোপের দক্ষিণে অরেঞ্জমান্ডে বড় বড় হিরার খোঁজ মিলল। অনেকে সেখানেও চলে গেল। ১৯৫৬ সালের মধ্যে পুরো খালি হয়ে গেল শহরটি।
শহরটি পরিত্যক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মরু ধীরে ধীরে নিজের জমির দখল বুঝে নিতে লাগল। দালানগুলো ক্ষয় হতে লাগল, এদিকে বালুতে ভরে যেতে লাগল বিভিন্ন বাড়ি ও কামরাগুলো। কোনো কোনোটির তো এখন ছাদ পর্যন্ত দখল নিয়ে নিয়েছে বালু।
তবে শহরটি পরিত্যক্ত হওয়া মনেই যে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া তা নয়। এর অন্যরকম এক আকর্ষণ তৈরি হলো। সেটা পর্যটক ও আলোকচিত্রীদের কাছে। ধু-ধু বালুর রাজ্যে দাঁড়িয়ে থাকা ঘর-বাড়ি, সেগুলোর ভেতরে বালুর রাজত্ব—এসব দেখতে বছরে এখন ৩৫ হাজারের মতো মানুষ ভ্রমণ করে জায়গাটিতে।
নামিবিয়ার এই পরিত্যক্ত মরু শহরে পৌঁছাবেন কীভাবে? এর সবচেয়ে কাছের শহর লাডারিজ। কোলমানস্কোপের দূরত্ব সেখান থেকে মোটে ১০ কিলোমিটার। লাডারিজ থেকে বি৪ হাইওয়ে ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন কোলমানস্কোপে। মানুষের ভিড়ে, কর্মব্যস্ততায় ভরপুর ছিল একসময় যেটি। এখন সেখানে কেবলই বালুর আধিপত্য।
আগেই বলে রাখছি, পরিত্যক্ত মরু শহরে অনেক দালানকোঠা থাকলেও থাকতে হবে আপনাকে লাডারিজে। একটি জাদুঘর আর রেস্তোরাঁ আছে শহরটির ধারে। সকাল ৯টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত খোলা থাকে এগুলো। তবে সেখানে গেলে ট্যুর গাইডদের মাধ্যমে যাওয়াই ভালো। সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় শহরটি ঘুরিয়ে দেখাতে এবং বালুময় সব কামরার অন্দিসন্ধিতে। গাইডরা মূলত এক ঘণ্টা শহরের বিভিন্ন স্থাপনা এবং এর ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে আপনাকে। ইংরেজি আর জার্মান দুই ভাষাতেই তথ্য দেন তাঁরা। অবশ্য এর আগে-পরে নিজের ইচ্ছামতো চলাফেরা করতে পারবেন। ছবি তুলে ও ঘুরেফিরে দেখে সময় কাটাতে পারবেন।
তবে পরিত্যাক্ত শহরটিতে যাওয়ার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, জায়গাটি নামিব মরুভূমির অংশ। কাজেই মরু অঞ্চলের স্বাভাবিক উষ্ণ আবহাওয়ার দেখা পাবেন এখানে। শীত মৌসুমে গেলে দিনের শুরুটা বেশ শীতল থাকবে। তবে সূর্য যত ওপরে উঠতে থাকবে, তাপমাত্রা তত বাড়তে থাকবে। সেখানে একবার পৌঁছে গেলে মরুর বুকে পুরোনো খনি শহরের চিহ্ন দেখতে দেখতে সময়টা যে চমৎকার কাটবে তাতে সন্দেহ নেই।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ট্রাভেলেশনশিপ ডট কম, এটলাস অবসকিউরা

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

দক্ষিণ নামিবিয়ার নামিব মরুভূমিতে দেখা পাবেন কোলমানস্কপ নামের শহরটির। এখানে–সেখানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে বেশ কিছু ঘর–বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর ভেতরে কেবলই বালুর রাজত্ব। কোনো মানুষের বসতি নেই। এভাবে একে খালি করে কেন চলে গেল শহরটির বাসিন্দারা?
১৬ জুলাই ২০২৩
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

দক্ষিণ নামিবিয়ার নামিব মরুভূমিতে দেখা পাবেন কোলমানস্কপ নামের শহরটির। এখানে–সেখানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে বেশ কিছু ঘর–বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর ভেতরে কেবলই বালুর রাজত্ব। কোনো মানুষের বসতি নেই। এভাবে একে খালি করে কেন চলে গেল শহরটির বাসিন্দারা?
১৬ জুলাই ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

দক্ষিণ নামিবিয়ার নামিব মরুভূমিতে দেখা পাবেন কোলমানস্কপ নামের শহরটির। এখানে–সেখানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে বেশ কিছু ঘর–বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর ভেতরে কেবলই বালুর রাজত্ব। কোনো মানুষের বসতি নেই। এভাবে একে খালি করে কেন চলে গেল শহরটির বাসিন্দারা?
১৬ জুলাই ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২ ঘণ্টার সফল অপারেশনে অবশেষে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আহত সাপটি। সাপটির শরীরে ৮০টি সেলাই পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বিক্রম নগর শিল্পাঞ্চলে খননকাজের সময় জেসিবি এক্সকাভেটরের আঘাত লেগে সাপটি আহত হয় এবং রক্তপাত হতে থাকে। সাপটির চামড়া ফেটে যায় এবং মাথায় মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়।
প্রথমে ভয় পেয়ে সেখানকার লোকজন সাপটির দিকে মাটি ছুড়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী ‘স্নেক ফ্রেন্ডস’খ্যাত রাহুল ও মুকুলকে খবর দেন। রাহুল ও মুকুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কোবরাটিকে নিরাপদে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রধান ভেটেরিনারি সার্জন ড. মুকেশ জৈন এবং তাঁর দল রামকন্যা গৌরব, রবি রাঠোর ও প্রশান্ত পরিহার পরীক্ষা করে দেখতে পান যে—কোবরাটির মাথা ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং শরীরের কিছু অংশের চামড়া সম্পূর্ণরূপে উঠে গেছে।
তাঁরা বুঝতে পারেন, সাপটির জন্য বড় ধরনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেন, সাপটিকে হালকা অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সেই জটিল অস্ত্রোপচার শুরু করেন।
দুই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসকেরা সাবধানে ছেঁড়া ত্বক ও পেশি সেলাই করেন এবং সব মিলিয়ে ৮০টি সেলাই দিয়ে কোবরাটির জীবন বাঁচান।
অপারেশনের পর ড. জৈন নিশ্চিত করেন, আহত সাপটি এলাপডি (Elapidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রোপচারের পর সাপটি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পোস্ট সার্জারি যত্নের জন্য উদ্ধারকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২ ঘণ্টার সফল অপারেশনে অবশেষে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আহত সাপটি। সাপটির শরীরে ৮০টি সেলাই পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বিক্রম নগর শিল্পাঞ্চলে খননকাজের সময় জেসিবি এক্সকাভেটরের আঘাত লেগে সাপটি আহত হয় এবং রক্তপাত হতে থাকে। সাপটির চামড়া ফেটে যায় এবং মাথায় মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়।
প্রথমে ভয় পেয়ে সেখানকার লোকজন সাপটির দিকে মাটি ছুড়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী ‘স্নেক ফ্রেন্ডস’খ্যাত রাহুল ও মুকুলকে খবর দেন। রাহুল ও মুকুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কোবরাটিকে নিরাপদে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রধান ভেটেরিনারি সার্জন ড. মুকেশ জৈন এবং তাঁর দল রামকন্যা গৌরব, রবি রাঠোর ও প্রশান্ত পরিহার পরীক্ষা করে দেখতে পান যে—কোবরাটির মাথা ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং শরীরের কিছু অংশের চামড়া সম্পূর্ণরূপে উঠে গেছে।
তাঁরা বুঝতে পারেন, সাপটির জন্য বড় ধরনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেন, সাপটিকে হালকা অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সেই জটিল অস্ত্রোপচার শুরু করেন।
দুই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসকেরা সাবধানে ছেঁড়া ত্বক ও পেশি সেলাই করেন এবং সব মিলিয়ে ৮০টি সেলাই দিয়ে কোবরাটির জীবন বাঁচান।
অপারেশনের পর ড. জৈন নিশ্চিত করেন, আহত সাপটি এলাপডি (Elapidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রোপচারের পর সাপটি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পোস্ট সার্জারি যত্নের জন্য উদ্ধারকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

দক্ষিণ নামিবিয়ার নামিব মরুভূমিতে দেখা পাবেন কোলমানস্কপ নামের শহরটির। এখানে–সেখানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে বেশ কিছু ঘর–বাড়ি। কিন্তু সেগুলোর ভেতরে কেবলই বালুর রাজত্ব। কোনো মানুষের বসতি নেই। এভাবে একে খালি করে কেন চলে গেল শহরটির বাসিন্দারা?
১৬ জুলাই ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগে