ইশতিয়াক হাসান

মরুভূমির মধ্যে পানির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে নেভাদার এক মরুভূমিতে পাবেন একটি উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলের ঝরনা। ছয় থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত ওঠে যাচ্ছে গরম পানির ফোয়ারা। নিশ্চয় ভাবছেন এটা এখানে এল কীভাবে? যখন শুনবেন এটা তৈরির পেছনে মানুষের হাত আছে আর অঘটনে এর জন্ম, তখন নিশ্চয় চোখ কপালে গিয়ে ঠেকবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর নেভাদার ব্ল্যাক রক মরুভূমির মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ একর আয়তনের ফ্লাই র্যাঞ্চ। সেখানেই দেখা পাবেন আশ্চর্য ওই উষ্ণ প্রস্রবণের, নাম ফ্লাই গিজার। তা একটা নয়, মোচাকৃতি তিনটা কাঠামো দেখবেন এখানে পাশাপাশি। এটা আরও বেশি নজর কাড়ে নানা রঙের মিশেলের কারণে। এমনিতে উচ্চতা বেশি নয়, ফুট ছয়েক। তবে যে খুদে ঢিবি বা টিলাটার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেটিকে বিবেচনায় আনলে উচ্চতাটা গিয়ে ঠেকবে ১২ ফুটে। তবে এর থেকে বের হওয়া গরম জলের ফোয়ারা ১২ ফুট পর্যন্ত ওঠে যায়।
তবে ফ্লাই গিজারের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি নয় এটি। আরও পরিষ্কারভাবে বললে, জিওথার্মাল এনার্জির (পৃথিবীর মধ্যে থাকা উত্তাপ) সঙ্গে মানুষের ভূমিকা মিলিয়েই এর জন্ম।
মরু এলাকা হলেও ফ্লাই র্যাঞ্চ গড়ে উঠেছে নেভাদার হুয়ালাপাই জিওথার্মাল এলাকায়। মজার ঘটনা, আসলে এই এলাকায় প্রথম যে গিজারের জন্ম হয়, সেটি কিন্তু ফ্লাই গিজার নয়। ঘটনার শুরু ১০০ বছরের বেশি আগে। মরুকে কৃষিকাজের উপযোগী করতে গিয়ে এর জন্ম।
ওই সময় একটি কূপ খুনন করতে মাটির তলার উত্তপ্ত পানির রাজ্যে আঘাত করে বসেন কৃষিশ্রমিকেরা। ওই পানির তাপমাত্রা ছিল ২০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে এই উত্তপ্ত পানি কৃষিকাজে ব্যবহারের উপযোগী না হওয়ায় একে এভাবেই ফেলে রেখে চলে যান তাঁরা। কিন্তু এর ফলে জন্ম হয় এক উষ্ণ প্রস্রবণের। সেখান দিয়ে উত্তপ্ত পানি বের হতে থাকে বছরের পর বছর ধরে।
পরের ঘটনাটি আরও কয়েক যুগ পরের। ১৯৬৪ সালে একটি এনার্জি কোম্পানি প্রথম কূপটার কাছেই দ্বিতীয় আরেকটি কূপ খনন করে। তবে এ ক্ষেত্রে আবার পানি তাঁদের চাহিদামতো গরম ছিল না। এবার এখানে আরেকটি উষ্ণ প্রস্রবণের জন্ম হয়ে ফোয়ারার মতো উষ্ণ পানি বের হতে থাকে। আর এই কূপে যথেষ্ট পানির চাপ থাকায় মূল গিজারটি শুকিয়ে যায়।
বলা হয় কোম্পানিটি কূপ খননের ফলে জন্ম নেওয়া গিজারটির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন। তবে প্রবল গতির উষ্ণ জল খুব বেশি দিন আটকানো সম্ভব হয়নি। আর এভাবেই জন্ম দ্বিতীয় উষ্ণ পানির ঝরনার, যেটিকে আমরা ফ্লাই গিজার হিসেবে চিনি। এদিকে আগের উষ্ণ প্রস্রবণ ও এবারেরটার পানির ক্যালসিয়াম কার্বোনেটসহ অন্য খনিজগুলো জমে তিনটি মোচাকৃতির কাঠামো তৈরি করে। শুরুতে আকারে ছোট থাকলেও ধীরে ধীরে এগুলো বড় হয়। মোটামুটি ছয় ফুট উচ্চতার এই কাঠামোগুলোর মুখ দিয়েই তীব্র গতিতে উত্তপ্ত পানি বেরিয়ে আসতে থাকে।
২০০৬ সালে উইলস গিজার নামে আরেকটি গরম জলের ঝরনার খোঁজ পাওয়া যায় এ এলাকায়। এর জন্ম অবশ্য প্রাকৃতিকভাবে। তবে ফ্লাই গিজারের সৌন্দর্যের কারণে এটির প্রতি মানুষের আগ্রহ কমই।
মোটামুটি নানা খনিজ আর উষ্ণ পানিতে বাস করতে পারে এমন শৈবাল মিলিয়ে সবুজ, লালসহ নানা রঙে রাঙিয়েছে ফ্লাই গিজারের মোচাকৃতির কাঠামোগুলোকে। আর এটাই উষ্ণ প্রস্রবণটাকে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্য দিয়েছে।
ফ্লাই গিজারটির আগের মালিক ছিলেন টড জেকসিক নামের এক ব্যক্তি। পরে ২০১৬ সালের জুনে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বার্নিং মান প্রজেক্ট ৬৫ লাখ ডলার দিয়ে ফ্লাই র্যাঞ্চটি কিনে নেয়। মরুর বুকে হলেও ফ্লাই র্যাঞ্চে জলা জায়গা, ঝরনা আর ঘেসো জমি আছে। এগুলোকে রক্ষা করাই প্রতিষ্ঠানটি উদ্দেশ্য।
নেভাদার ওয়াশোও কাউন্টির গারলাক শহর থেকে মোটামুটি ২০ মাইল দূরত্বে ফ্লাই গিজারের অবস্থান। স্টেট রুট ৩৪ থেকে খুব বেশি নয় এটি। এমনকি রাস্তা থেকেই চোখে পড়বে এটি। ২০১৮ সালের মে থেকে র্যাঞ্চ এলাকাটিকে সাধারণ মানুষের দেখার সুযোগ তৈরি হলেও চাইলেই জায়গাটির একেবারে কাছে যাওয়া যায় না। এখানকার পরিবেশ রক্ষার কারণে সীমিত আকারে পর্যটকদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত ১০ জন কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি পর্যটকের একেকটি দলকে আড়াই ঘণ্টায় ফ্লাই গিজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
সূত্র: এল দেট ইন্টারেস্টিং ডট কম, এটলাস অবসকিউরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া

মরুভূমির মধ্যে পানির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে নেভাদার এক মরুভূমিতে পাবেন একটি উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলের ঝরনা। ছয় থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত ওঠে যাচ্ছে গরম পানির ফোয়ারা। নিশ্চয় ভাবছেন এটা এখানে এল কীভাবে? যখন শুনবেন এটা তৈরির পেছনে মানুষের হাত আছে আর অঘটনে এর জন্ম, তখন নিশ্চয় চোখ কপালে গিয়ে ঠেকবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর নেভাদার ব্ল্যাক রক মরুভূমির মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ একর আয়তনের ফ্লাই র্যাঞ্চ। সেখানেই দেখা পাবেন আশ্চর্য ওই উষ্ণ প্রস্রবণের, নাম ফ্লাই গিজার। তা একটা নয়, মোচাকৃতি তিনটা কাঠামো দেখবেন এখানে পাশাপাশি। এটা আরও বেশি নজর কাড়ে নানা রঙের মিশেলের কারণে। এমনিতে উচ্চতা বেশি নয়, ফুট ছয়েক। তবে যে খুদে ঢিবি বা টিলাটার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেটিকে বিবেচনায় আনলে উচ্চতাটা গিয়ে ঠেকবে ১২ ফুটে। তবে এর থেকে বের হওয়া গরম জলের ফোয়ারা ১২ ফুট পর্যন্ত ওঠে যায়।
তবে ফ্লাই গিজারের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি নয় এটি। আরও পরিষ্কারভাবে বললে, জিওথার্মাল এনার্জির (পৃথিবীর মধ্যে থাকা উত্তাপ) সঙ্গে মানুষের ভূমিকা মিলিয়েই এর জন্ম।
মরু এলাকা হলেও ফ্লাই র্যাঞ্চ গড়ে উঠেছে নেভাদার হুয়ালাপাই জিওথার্মাল এলাকায়। মজার ঘটনা, আসলে এই এলাকায় প্রথম যে গিজারের জন্ম হয়, সেটি কিন্তু ফ্লাই গিজার নয়। ঘটনার শুরু ১০০ বছরের বেশি আগে। মরুকে কৃষিকাজের উপযোগী করতে গিয়ে এর জন্ম।
ওই সময় একটি কূপ খুনন করতে মাটির তলার উত্তপ্ত পানির রাজ্যে আঘাত করে বসেন কৃষিশ্রমিকেরা। ওই পানির তাপমাত্রা ছিল ২০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে এই উত্তপ্ত পানি কৃষিকাজে ব্যবহারের উপযোগী না হওয়ায় একে এভাবেই ফেলে রেখে চলে যান তাঁরা। কিন্তু এর ফলে জন্ম হয় এক উষ্ণ প্রস্রবণের। সেখান দিয়ে উত্তপ্ত পানি বের হতে থাকে বছরের পর বছর ধরে।
পরের ঘটনাটি আরও কয়েক যুগ পরের। ১৯৬৪ সালে একটি এনার্জি কোম্পানি প্রথম কূপটার কাছেই দ্বিতীয় আরেকটি কূপ খনন করে। তবে এ ক্ষেত্রে আবার পানি তাঁদের চাহিদামতো গরম ছিল না। এবার এখানে আরেকটি উষ্ণ প্রস্রবণের জন্ম হয়ে ফোয়ারার মতো উষ্ণ পানি বের হতে থাকে। আর এই কূপে যথেষ্ট পানির চাপ থাকায় মূল গিজারটি শুকিয়ে যায়।
বলা হয় কোম্পানিটি কূপ খননের ফলে জন্ম নেওয়া গিজারটির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন। তবে প্রবল গতির উষ্ণ জল খুব বেশি দিন আটকানো সম্ভব হয়নি। আর এভাবেই জন্ম দ্বিতীয় উষ্ণ পানির ঝরনার, যেটিকে আমরা ফ্লাই গিজার হিসেবে চিনি। এদিকে আগের উষ্ণ প্রস্রবণ ও এবারেরটার পানির ক্যালসিয়াম কার্বোনেটসহ অন্য খনিজগুলো জমে তিনটি মোচাকৃতির কাঠামো তৈরি করে। শুরুতে আকারে ছোট থাকলেও ধীরে ধীরে এগুলো বড় হয়। মোটামুটি ছয় ফুট উচ্চতার এই কাঠামোগুলোর মুখ দিয়েই তীব্র গতিতে উত্তপ্ত পানি বেরিয়ে আসতে থাকে।
২০০৬ সালে উইলস গিজার নামে আরেকটি গরম জলের ঝরনার খোঁজ পাওয়া যায় এ এলাকায়। এর জন্ম অবশ্য প্রাকৃতিকভাবে। তবে ফ্লাই গিজারের সৌন্দর্যের কারণে এটির প্রতি মানুষের আগ্রহ কমই।
মোটামুটি নানা খনিজ আর উষ্ণ পানিতে বাস করতে পারে এমন শৈবাল মিলিয়ে সবুজ, লালসহ নানা রঙে রাঙিয়েছে ফ্লাই গিজারের মোচাকৃতির কাঠামোগুলোকে। আর এটাই উষ্ণ প্রস্রবণটাকে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্য দিয়েছে।
ফ্লাই গিজারটির আগের মালিক ছিলেন টড জেকসিক নামের এক ব্যক্তি। পরে ২০১৬ সালের জুনে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বার্নিং মান প্রজেক্ট ৬৫ লাখ ডলার দিয়ে ফ্লাই র্যাঞ্চটি কিনে নেয়। মরুর বুকে হলেও ফ্লাই র্যাঞ্চে জলা জায়গা, ঝরনা আর ঘেসো জমি আছে। এগুলোকে রক্ষা করাই প্রতিষ্ঠানটি উদ্দেশ্য।
নেভাদার ওয়াশোও কাউন্টির গারলাক শহর থেকে মোটামুটি ২০ মাইল দূরত্বে ফ্লাই গিজারের অবস্থান। স্টেট রুট ৩৪ থেকে খুব বেশি নয় এটি। এমনকি রাস্তা থেকেই চোখে পড়বে এটি। ২০১৮ সালের মে থেকে র্যাঞ্চ এলাকাটিকে সাধারণ মানুষের দেখার সুযোগ তৈরি হলেও চাইলেই জায়গাটির একেবারে কাছে যাওয়া যায় না। এখানকার পরিবেশ রক্ষার কারণে সীমিত আকারে পর্যটকদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত ১০ জন কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি পর্যটকের একেকটি দলকে আড়াই ঘণ্টায় ফ্লাই গিজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
সূত্র: এল দেট ইন্টারেস্টিং ডট কম, এটলাস অবসকিউরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া
ইশতিয়াক হাসান

মরুভূমির মধ্যে পানির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে নেভাদার এক মরুভূমিতে পাবেন একটি উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলের ঝরনা। ছয় থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত ওঠে যাচ্ছে গরম পানির ফোয়ারা। নিশ্চয় ভাবছেন এটা এখানে এল কীভাবে? যখন শুনবেন এটা তৈরির পেছনে মানুষের হাত আছে আর অঘটনে এর জন্ম, তখন নিশ্চয় চোখ কপালে গিয়ে ঠেকবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর নেভাদার ব্ল্যাক রক মরুভূমির মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ একর আয়তনের ফ্লাই র্যাঞ্চ। সেখানেই দেখা পাবেন আশ্চর্য ওই উষ্ণ প্রস্রবণের, নাম ফ্লাই গিজার। তা একটা নয়, মোচাকৃতি তিনটা কাঠামো দেখবেন এখানে পাশাপাশি। এটা আরও বেশি নজর কাড়ে নানা রঙের মিশেলের কারণে। এমনিতে উচ্চতা বেশি নয়, ফুট ছয়েক। তবে যে খুদে ঢিবি বা টিলাটার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেটিকে বিবেচনায় আনলে উচ্চতাটা গিয়ে ঠেকবে ১২ ফুটে। তবে এর থেকে বের হওয়া গরম জলের ফোয়ারা ১২ ফুট পর্যন্ত ওঠে যায়।
তবে ফ্লাই গিজারের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি নয় এটি। আরও পরিষ্কারভাবে বললে, জিওথার্মাল এনার্জির (পৃথিবীর মধ্যে থাকা উত্তাপ) সঙ্গে মানুষের ভূমিকা মিলিয়েই এর জন্ম।
মরু এলাকা হলেও ফ্লাই র্যাঞ্চ গড়ে উঠেছে নেভাদার হুয়ালাপাই জিওথার্মাল এলাকায়। মজার ঘটনা, আসলে এই এলাকায় প্রথম যে গিজারের জন্ম হয়, সেটি কিন্তু ফ্লাই গিজার নয়। ঘটনার শুরু ১০০ বছরের বেশি আগে। মরুকে কৃষিকাজের উপযোগী করতে গিয়ে এর জন্ম।
ওই সময় একটি কূপ খুনন করতে মাটির তলার উত্তপ্ত পানির রাজ্যে আঘাত করে বসেন কৃষিশ্রমিকেরা। ওই পানির তাপমাত্রা ছিল ২০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে এই উত্তপ্ত পানি কৃষিকাজে ব্যবহারের উপযোগী না হওয়ায় একে এভাবেই ফেলে রেখে চলে যান তাঁরা। কিন্তু এর ফলে জন্ম হয় এক উষ্ণ প্রস্রবণের। সেখান দিয়ে উত্তপ্ত পানি বের হতে থাকে বছরের পর বছর ধরে।
পরের ঘটনাটি আরও কয়েক যুগ পরের। ১৯৬৪ সালে একটি এনার্জি কোম্পানি প্রথম কূপটার কাছেই দ্বিতীয় আরেকটি কূপ খনন করে। তবে এ ক্ষেত্রে আবার পানি তাঁদের চাহিদামতো গরম ছিল না। এবার এখানে আরেকটি উষ্ণ প্রস্রবণের জন্ম হয়ে ফোয়ারার মতো উষ্ণ পানি বের হতে থাকে। আর এই কূপে যথেষ্ট পানির চাপ থাকায় মূল গিজারটি শুকিয়ে যায়।
বলা হয় কোম্পানিটি কূপ খননের ফলে জন্ম নেওয়া গিজারটির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন। তবে প্রবল গতির উষ্ণ জল খুব বেশি দিন আটকানো সম্ভব হয়নি। আর এভাবেই জন্ম দ্বিতীয় উষ্ণ পানির ঝরনার, যেটিকে আমরা ফ্লাই গিজার হিসেবে চিনি। এদিকে আগের উষ্ণ প্রস্রবণ ও এবারেরটার পানির ক্যালসিয়াম কার্বোনেটসহ অন্য খনিজগুলো জমে তিনটি মোচাকৃতির কাঠামো তৈরি করে। শুরুতে আকারে ছোট থাকলেও ধীরে ধীরে এগুলো বড় হয়। মোটামুটি ছয় ফুট উচ্চতার এই কাঠামোগুলোর মুখ দিয়েই তীব্র গতিতে উত্তপ্ত পানি বেরিয়ে আসতে থাকে।
২০০৬ সালে উইলস গিজার নামে আরেকটি গরম জলের ঝরনার খোঁজ পাওয়া যায় এ এলাকায়। এর জন্ম অবশ্য প্রাকৃতিকভাবে। তবে ফ্লাই গিজারের সৌন্দর্যের কারণে এটির প্রতি মানুষের আগ্রহ কমই।
মোটামুটি নানা খনিজ আর উষ্ণ পানিতে বাস করতে পারে এমন শৈবাল মিলিয়ে সবুজ, লালসহ নানা রঙে রাঙিয়েছে ফ্লাই গিজারের মোচাকৃতির কাঠামোগুলোকে। আর এটাই উষ্ণ প্রস্রবণটাকে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্য দিয়েছে।
ফ্লাই গিজারটির আগের মালিক ছিলেন টড জেকসিক নামের এক ব্যক্তি। পরে ২০১৬ সালের জুনে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বার্নিং মান প্রজেক্ট ৬৫ লাখ ডলার দিয়ে ফ্লাই র্যাঞ্চটি কিনে নেয়। মরুর বুকে হলেও ফ্লাই র্যাঞ্চে জলা জায়গা, ঝরনা আর ঘেসো জমি আছে। এগুলোকে রক্ষা করাই প্রতিষ্ঠানটি উদ্দেশ্য।
নেভাদার ওয়াশোও কাউন্টির গারলাক শহর থেকে মোটামুটি ২০ মাইল দূরত্বে ফ্লাই গিজারের অবস্থান। স্টেট রুট ৩৪ থেকে খুব বেশি নয় এটি। এমনকি রাস্তা থেকেই চোখে পড়বে এটি। ২০১৮ সালের মে থেকে র্যাঞ্চ এলাকাটিকে সাধারণ মানুষের দেখার সুযোগ তৈরি হলেও চাইলেই জায়গাটির একেবারে কাছে যাওয়া যায় না। এখানকার পরিবেশ রক্ষার কারণে সীমিত আকারে পর্যটকদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত ১০ জন কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি পর্যটকের একেকটি দলকে আড়াই ঘণ্টায় ফ্লাই গিজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
সূত্র: এল দেট ইন্টারেস্টিং ডট কম, এটলাস অবসকিউরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া

মরুভূমির মধ্যে পানির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে নেভাদার এক মরুভূমিতে পাবেন একটি উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলের ঝরনা। ছয় থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত ওঠে যাচ্ছে গরম পানির ফোয়ারা। নিশ্চয় ভাবছেন এটা এখানে এল কীভাবে? যখন শুনবেন এটা তৈরির পেছনে মানুষের হাত আছে আর অঘটনে এর জন্ম, তখন নিশ্চয় চোখ কপালে গিয়ে ঠেকবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর নেভাদার ব্ল্যাক রক মরুভূমির মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ একর আয়তনের ফ্লাই র্যাঞ্চ। সেখানেই দেখা পাবেন আশ্চর্য ওই উষ্ণ প্রস্রবণের, নাম ফ্লাই গিজার। তা একটা নয়, মোচাকৃতি তিনটা কাঠামো দেখবেন এখানে পাশাপাশি। এটা আরও বেশি নজর কাড়ে নানা রঙের মিশেলের কারণে। এমনিতে উচ্চতা বেশি নয়, ফুট ছয়েক। তবে যে খুদে ঢিবি বা টিলাটার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেটিকে বিবেচনায় আনলে উচ্চতাটা গিয়ে ঠেকবে ১২ ফুটে। তবে এর থেকে বের হওয়া গরম জলের ফোয়ারা ১২ ফুট পর্যন্ত ওঠে যায়।
তবে ফ্লাই গিজারের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি নয় এটি। আরও পরিষ্কারভাবে বললে, জিওথার্মাল এনার্জির (পৃথিবীর মধ্যে থাকা উত্তাপ) সঙ্গে মানুষের ভূমিকা মিলিয়েই এর জন্ম।
মরু এলাকা হলেও ফ্লাই র্যাঞ্চ গড়ে উঠেছে নেভাদার হুয়ালাপাই জিওথার্মাল এলাকায়। মজার ঘটনা, আসলে এই এলাকায় প্রথম যে গিজারের জন্ম হয়, সেটি কিন্তু ফ্লাই গিজার নয়। ঘটনার শুরু ১০০ বছরের বেশি আগে। মরুকে কৃষিকাজের উপযোগী করতে গিয়ে এর জন্ম।
ওই সময় একটি কূপ খুনন করতে মাটির তলার উত্তপ্ত পানির রাজ্যে আঘাত করে বসেন কৃষিশ্রমিকেরা। ওই পানির তাপমাত্রা ছিল ২০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে এই উত্তপ্ত পানি কৃষিকাজে ব্যবহারের উপযোগী না হওয়ায় একে এভাবেই ফেলে রেখে চলে যান তাঁরা। কিন্তু এর ফলে জন্ম হয় এক উষ্ণ প্রস্রবণের। সেখান দিয়ে উত্তপ্ত পানি বের হতে থাকে বছরের পর বছর ধরে।
পরের ঘটনাটি আরও কয়েক যুগ পরের। ১৯৬৪ সালে একটি এনার্জি কোম্পানি প্রথম কূপটার কাছেই দ্বিতীয় আরেকটি কূপ খনন করে। তবে এ ক্ষেত্রে আবার পানি তাঁদের চাহিদামতো গরম ছিল না। এবার এখানে আরেকটি উষ্ণ প্রস্রবণের জন্ম হয়ে ফোয়ারার মতো উষ্ণ পানি বের হতে থাকে। আর এই কূপে যথেষ্ট পানির চাপ থাকায় মূল গিজারটি শুকিয়ে যায়।
বলা হয় কোম্পানিটি কূপ খননের ফলে জন্ম নেওয়া গিজারটির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন। তবে প্রবল গতির উষ্ণ জল খুব বেশি দিন আটকানো সম্ভব হয়নি। আর এভাবেই জন্ম দ্বিতীয় উষ্ণ পানির ঝরনার, যেটিকে আমরা ফ্লাই গিজার হিসেবে চিনি। এদিকে আগের উষ্ণ প্রস্রবণ ও এবারেরটার পানির ক্যালসিয়াম কার্বোনেটসহ অন্য খনিজগুলো জমে তিনটি মোচাকৃতির কাঠামো তৈরি করে। শুরুতে আকারে ছোট থাকলেও ধীরে ধীরে এগুলো বড় হয়। মোটামুটি ছয় ফুট উচ্চতার এই কাঠামোগুলোর মুখ দিয়েই তীব্র গতিতে উত্তপ্ত পানি বেরিয়ে আসতে থাকে।
২০০৬ সালে উইলস গিজার নামে আরেকটি গরম জলের ঝরনার খোঁজ পাওয়া যায় এ এলাকায়। এর জন্ম অবশ্য প্রাকৃতিকভাবে। তবে ফ্লাই গিজারের সৌন্দর্যের কারণে এটির প্রতি মানুষের আগ্রহ কমই।
মোটামুটি নানা খনিজ আর উষ্ণ পানিতে বাস করতে পারে এমন শৈবাল মিলিয়ে সবুজ, লালসহ নানা রঙে রাঙিয়েছে ফ্লাই গিজারের মোচাকৃতির কাঠামোগুলোকে। আর এটাই উষ্ণ প্রস্রবণটাকে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্য দিয়েছে।
ফ্লাই গিজারটির আগের মালিক ছিলেন টড জেকসিক নামের এক ব্যক্তি। পরে ২০১৬ সালের জুনে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বার্নিং মান প্রজেক্ট ৬৫ লাখ ডলার দিয়ে ফ্লাই র্যাঞ্চটি কিনে নেয়। মরুর বুকে হলেও ফ্লাই র্যাঞ্চে জলা জায়গা, ঝরনা আর ঘেসো জমি আছে। এগুলোকে রক্ষা করাই প্রতিষ্ঠানটি উদ্দেশ্য।
নেভাদার ওয়াশোও কাউন্টির গারলাক শহর থেকে মোটামুটি ২০ মাইল দূরত্বে ফ্লাই গিজারের অবস্থান। স্টেট রুট ৩৪ থেকে খুব বেশি নয় এটি। এমনকি রাস্তা থেকেই চোখে পড়বে এটি। ২০১৮ সালের মে থেকে র্যাঞ্চ এলাকাটিকে সাধারণ মানুষের দেখার সুযোগ তৈরি হলেও চাইলেই জায়গাটির একেবারে কাছে যাওয়া যায় না। এখানকার পরিবেশ রক্ষার কারণে সীমিত আকারে পর্যটকদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত ১০ জন কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি পর্যটকের একেকটি দলকে আড়াই ঘণ্টায় ফ্লাই গিজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
সূত্র: এল দেট ইন্টারেস্টিং ডট কম, এটলাস অবসকিউরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, উইকিপিডিয়া

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

মরুভূমির মধ্যে পানির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে নেভাদার এক মরুভূমিতে পাবেন একটি উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলের ঝরনার। ছয় থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে গরম পানির ফোয়ারা। নিশ্চয় অবাক হয়ে ভাবছেন, এটা এখানে এল কীভাবে?
০৯ জুলাই ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

মরুভূমির মধ্যে পানির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে নেভাদার এক মরুভূমিতে পাবেন একটি উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলের ঝরনার। ছয় থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে গরম পানির ফোয়ারা। নিশ্চয় অবাক হয়ে ভাবছেন, এটা এখানে এল কীভাবে?
০৯ জুলাই ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

মরুভূমির মধ্যে পানির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে নেভাদার এক মরুভূমিতে পাবেন একটি উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলের ঝরনার। ছয় থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে গরম পানির ফোয়ারা। নিশ্চয় অবাক হয়ে ভাবছেন, এটা এখানে এল কীভাবে?
০৯ জুলাই ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

মরুভূমির মধ্যে পানির দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে নেভাদার এক মরুভূমিতে পাবেন একটি উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলের ঝরনার। ছয় থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে গরম পানির ফোয়ারা। নিশ্চয় অবাক হয়ে ভাবছেন, এটা এখানে এল কীভাবে?
০৯ জুলাই ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে