
পাঁচতলা দালানটিতে রুম আছে প্রায় ১০০। সেখানে বাস করে ১৯৯ জন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামের বাকতাওয়াং গ্রামটিতে এই পরিবারের বাস। অনেকের মতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবার এটি। তারা সবাই মিলেমিশে থাকে একটি বাড়িতে। বিশাল পরিবারটির কর্তা ছিলেন জিওনা চানা। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০২১ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান জিওনা চানা। তবে তাঁর তৈরি করা অসাধারণ পারিবারিক কাঠামো রয়ে গেছে এখনো।
জাওনা মৃত্যুর সময় ৩৮ জন স্ত্রী রেখে যান। এই স্ত্রীদের ঘরে ৮৯ জন সন্তান আছে। এ ছাড়া এই সন্তানদের স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের ঘরে হওয়া নাতি-নাতনি তো আছেই। বুঝতেই পারছেন, এখনো বাড়ছে পরিবারটির সদস্যসংখ্যা।
পরিবারটি জিওনার তৈরি করা বাড়িতেই একসঙ্গে বসবাস করে চলেছে। গ্রামটির অবস্থান বেশ প্রত্যন্ত এলাকায়। তবে পাঁচতলা এক দালানে বসবাস করা এই পরিবারের কারণে গ্রামটি পর্যটকদের বেশ পছন্দের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
জিওনা চানা ‘চানা’ নামের একটি স্বতন্ত্র মতবিশ্বাসের সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ১৯৪২ সালে জিওনার বাবা এটি প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক শ পরিবার এর সদস্য।
জিওনা প্রথম বিয়ে করেন ১৭ বছর বয়সে। বলা হয়, কোনো এক বছরে ১০ জন নারীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
মজার ঘটনা, পরিবারটির এই বিশাল আকারের পরও ২০১১ সালের বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিওনা বলেছিলেন, পরিবারটিকে আরও বড় করতে চান তিনি। আরও বিয়ে করতেও ইচ্ছুক।
জিওনা তখন বলেন, ‘আমার যত্ন নেওয়ার এবং দেখাশোনা করার জন্য অনেক লোক রয়েছে। নিজেকে একজন ভাগ্যবান মানুষ বলে মনে করি।’
পরিবারের সদস্যরা যখন দিনে দুবার খাওয়ার জন্য জড়ো হন, এমন একটি দৃশ্যের সৃষ্টি হয়, যা পরিবারের ডাইনিং রুমের চেয়ে ব্যস্ত ক্যানটিন কিংবা কোনো হোস্টেলের ডাইনিংয়ের মতো দেখায়।
পরিবারের সদস্যরা জিওনা চানার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে একসঙ্গে বসবাস করতে চান। তার পরও অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জিওনার এক ছেলে রেকর্ড জানান, তিনি তাঁর বাবার মতো নন, বরং সাধারণ একজন মানুষ। তাঁর একাধিক স্ত্রীও থাকার সুযোগ নেই।
এদিকে পরিবারের সদস্যদের উন্নত শিক্ষার জন্য সন্তানদের অন্য কোথাও পাঠানোতেও আপত্তি নেই এখন। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান পরিবারের সদস্যদের জন্য গ্রামে আরেকটি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে।
এমনকি মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পরেও জিওনার প্রভাব তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে চোখে পড়ে। তাঁর ছবি ও আঁকা প্রতিকৃতি এখনো বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় শোভা পায়।
১৯৯ জন সদস্যের একটি পরিবার একসঙ্গে থাকা, তাদের খাওয়া-পড়া ও পোশাকের ব্যবস্থা করা কিংবা অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো চাট্টিখানি কথা নয়। সৌভাগ্যবশত প্রত্যেকেই কাজ করেন। কেউ পারিবারিক পাঁচটি শূকরের খোঁয়াড়ের একটিতে সময় দেন। কেউ খেতে বিভিন্ন ফসল রোপণ করেন, কেউ আবার পরিবারের চারটি কাঠের আসবাবের কোনো দোকানে কিংবা অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কশপে কাজ করেন।
প্রতিদিনের দুটি খাবারের আয়োজনকে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ বলা যায়। কারণ এতে কমপক্ষে ৮০ কেজি চাল এবং অন্যান্য অনেক উপাদানের পাশাপাশি জোগাড়যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। অবশ্য এই কাজগুলোও সবাই ভাগ করা নেওয়ায় কোনো জটিলতা তৈরি হয় না।
‘মানুষ হিসেবে আমরা সবাই বিভিন্ন ঝুটঝামেলা ও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হই। তবে আমাদের বড় পরিবারটিতে সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করায় অনেক ইতিবাচক দিকই রয়েছে।’ বলেন জিওনার পুত্রবধূদের একজন, ‘যখন আমরা অসুস্থ হই, একে অপরকে সাহায্য করি।’
জিওনার বড় ছেলে নুনপারলিয়ানা সচেতন যে পরিবারটির বহুবিবাহের রীতি তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমেই শেষ হয়ে যেতে পারে। তাঁর দুই স্ত্রী রয়েছেন। তবে তিনি আশাবাদী, পরিবারটি আরও বহু বছর একতাবদ্ধ থাকবে।
সূত্র: এনডিটিভি, অডিটি সেন্ট্রাল, দ্য স্ট্রেইটস টাইমস

পাঁচতলা দালানটিতে রুম আছে প্রায় ১০০। সেখানে বাস করে ১৯৯ জন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামের বাকতাওয়াং গ্রামটিতে এই পরিবারের বাস। অনেকের মতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবার এটি। তারা সবাই মিলেমিশে থাকে একটি বাড়িতে। বিশাল পরিবারটির কর্তা ছিলেন জিওনা চানা। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০২১ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান জিওনা চানা। তবে তাঁর তৈরি করা অসাধারণ পারিবারিক কাঠামো রয়ে গেছে এখনো।
জাওনা মৃত্যুর সময় ৩৮ জন স্ত্রী রেখে যান। এই স্ত্রীদের ঘরে ৮৯ জন সন্তান আছে। এ ছাড়া এই সন্তানদের স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের ঘরে হওয়া নাতি-নাতনি তো আছেই। বুঝতেই পারছেন, এখনো বাড়ছে পরিবারটির সদস্যসংখ্যা।
পরিবারটি জিওনার তৈরি করা বাড়িতেই একসঙ্গে বসবাস করে চলেছে। গ্রামটির অবস্থান বেশ প্রত্যন্ত এলাকায়। তবে পাঁচতলা এক দালানে বসবাস করা এই পরিবারের কারণে গ্রামটি পর্যটকদের বেশ পছন্দের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
জিওনা চানা ‘চানা’ নামের একটি স্বতন্ত্র মতবিশ্বাসের সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ১৯৪২ সালে জিওনার বাবা এটি প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক শ পরিবার এর সদস্য।
জিওনা প্রথম বিয়ে করেন ১৭ বছর বয়সে। বলা হয়, কোনো এক বছরে ১০ জন নারীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
মজার ঘটনা, পরিবারটির এই বিশাল আকারের পরও ২০১১ সালের বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিওনা বলেছিলেন, পরিবারটিকে আরও বড় করতে চান তিনি। আরও বিয়ে করতেও ইচ্ছুক।
জিওনা তখন বলেন, ‘আমার যত্ন নেওয়ার এবং দেখাশোনা করার জন্য অনেক লোক রয়েছে। নিজেকে একজন ভাগ্যবান মানুষ বলে মনে করি।’
পরিবারের সদস্যরা যখন দিনে দুবার খাওয়ার জন্য জড়ো হন, এমন একটি দৃশ্যের সৃষ্টি হয়, যা পরিবারের ডাইনিং রুমের চেয়ে ব্যস্ত ক্যানটিন কিংবা কোনো হোস্টেলের ডাইনিংয়ের মতো দেখায়।
পরিবারের সদস্যরা জিওনা চানার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে একসঙ্গে বসবাস করতে চান। তার পরও অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জিওনার এক ছেলে রেকর্ড জানান, তিনি তাঁর বাবার মতো নন, বরং সাধারণ একজন মানুষ। তাঁর একাধিক স্ত্রীও থাকার সুযোগ নেই।
এদিকে পরিবারের সদস্যদের উন্নত শিক্ষার জন্য সন্তানদের অন্য কোথাও পাঠানোতেও আপত্তি নেই এখন। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান পরিবারের সদস্যদের জন্য গ্রামে আরেকটি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে।
এমনকি মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পরেও জিওনার প্রভাব তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে চোখে পড়ে। তাঁর ছবি ও আঁকা প্রতিকৃতি এখনো বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় শোভা পায়।
১৯৯ জন সদস্যের একটি পরিবার একসঙ্গে থাকা, তাদের খাওয়া-পড়া ও পোশাকের ব্যবস্থা করা কিংবা অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো চাট্টিখানি কথা নয়। সৌভাগ্যবশত প্রত্যেকেই কাজ করেন। কেউ পারিবারিক পাঁচটি শূকরের খোঁয়াড়ের একটিতে সময় দেন। কেউ খেতে বিভিন্ন ফসল রোপণ করেন, কেউ আবার পরিবারের চারটি কাঠের আসবাবের কোনো দোকানে কিংবা অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কশপে কাজ করেন।
প্রতিদিনের দুটি খাবারের আয়োজনকে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ বলা যায়। কারণ এতে কমপক্ষে ৮০ কেজি চাল এবং অন্যান্য অনেক উপাদানের পাশাপাশি জোগাড়যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। অবশ্য এই কাজগুলোও সবাই ভাগ করা নেওয়ায় কোনো জটিলতা তৈরি হয় না।
‘মানুষ হিসেবে আমরা সবাই বিভিন্ন ঝুটঝামেলা ও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হই। তবে আমাদের বড় পরিবারটিতে সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করায় অনেক ইতিবাচক দিকই রয়েছে।’ বলেন জিওনার পুত্রবধূদের একজন, ‘যখন আমরা অসুস্থ হই, একে অপরকে সাহায্য করি।’
জিওনার বড় ছেলে নুনপারলিয়ানা সচেতন যে পরিবারটির বহুবিবাহের রীতি তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমেই শেষ হয়ে যেতে পারে। তাঁর দুই স্ত্রী রয়েছেন। তবে তিনি আশাবাদী, পরিবারটি আরও বহু বছর একতাবদ্ধ থাকবে।
সূত্র: এনডিটিভি, অডিটি সেন্ট্রাল, দ্য স্ট্রেইটস টাইমস

পাঁচতলা দালানটিতে রুম আছে প্রায় ১০০। সেখানে বাস করে ১৯৯ জন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামের বাকতাওয়াং গ্রামটিতে এই পরিবারের বাস। অনেকের মতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবার এটি। তারা সবাই মিলেমিশে থাকে একটি বাড়িতে। বিশাল পরিবারটির কর্তা ছিলেন জিওনা চানা। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০২১ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান জিওনা চানা। তবে তাঁর তৈরি করা অসাধারণ পারিবারিক কাঠামো রয়ে গেছে এখনো।
জাওনা মৃত্যুর সময় ৩৮ জন স্ত্রী রেখে যান। এই স্ত্রীদের ঘরে ৮৯ জন সন্তান আছে। এ ছাড়া এই সন্তানদের স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের ঘরে হওয়া নাতি-নাতনি তো আছেই। বুঝতেই পারছেন, এখনো বাড়ছে পরিবারটির সদস্যসংখ্যা।
পরিবারটি জিওনার তৈরি করা বাড়িতেই একসঙ্গে বসবাস করে চলেছে। গ্রামটির অবস্থান বেশ প্রত্যন্ত এলাকায়। তবে পাঁচতলা এক দালানে বসবাস করা এই পরিবারের কারণে গ্রামটি পর্যটকদের বেশ পছন্দের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
জিওনা চানা ‘চানা’ নামের একটি স্বতন্ত্র মতবিশ্বাসের সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ১৯৪২ সালে জিওনার বাবা এটি প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক শ পরিবার এর সদস্য।
জিওনা প্রথম বিয়ে করেন ১৭ বছর বয়সে। বলা হয়, কোনো এক বছরে ১০ জন নারীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
মজার ঘটনা, পরিবারটির এই বিশাল আকারের পরও ২০১১ সালের বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিওনা বলেছিলেন, পরিবারটিকে আরও বড় করতে চান তিনি। আরও বিয়ে করতেও ইচ্ছুক।
জিওনা তখন বলেন, ‘আমার যত্ন নেওয়ার এবং দেখাশোনা করার জন্য অনেক লোক রয়েছে। নিজেকে একজন ভাগ্যবান মানুষ বলে মনে করি।’
পরিবারের সদস্যরা যখন দিনে দুবার খাওয়ার জন্য জড়ো হন, এমন একটি দৃশ্যের সৃষ্টি হয়, যা পরিবারের ডাইনিং রুমের চেয়ে ব্যস্ত ক্যানটিন কিংবা কোনো হোস্টেলের ডাইনিংয়ের মতো দেখায়।
পরিবারের সদস্যরা জিওনা চানার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে একসঙ্গে বসবাস করতে চান। তার পরও অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জিওনার এক ছেলে রেকর্ড জানান, তিনি তাঁর বাবার মতো নন, বরং সাধারণ একজন মানুষ। তাঁর একাধিক স্ত্রীও থাকার সুযোগ নেই।
এদিকে পরিবারের সদস্যদের উন্নত শিক্ষার জন্য সন্তানদের অন্য কোথাও পাঠানোতেও আপত্তি নেই এখন। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান পরিবারের সদস্যদের জন্য গ্রামে আরেকটি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে।
এমনকি মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পরেও জিওনার প্রভাব তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে চোখে পড়ে। তাঁর ছবি ও আঁকা প্রতিকৃতি এখনো বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় শোভা পায়।
১৯৯ জন সদস্যের একটি পরিবার একসঙ্গে থাকা, তাদের খাওয়া-পড়া ও পোশাকের ব্যবস্থা করা কিংবা অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো চাট্টিখানি কথা নয়। সৌভাগ্যবশত প্রত্যেকেই কাজ করেন। কেউ পারিবারিক পাঁচটি শূকরের খোঁয়াড়ের একটিতে সময় দেন। কেউ খেতে বিভিন্ন ফসল রোপণ করেন, কেউ আবার পরিবারের চারটি কাঠের আসবাবের কোনো দোকানে কিংবা অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কশপে কাজ করেন।
প্রতিদিনের দুটি খাবারের আয়োজনকে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ বলা যায়। কারণ এতে কমপক্ষে ৮০ কেজি চাল এবং অন্যান্য অনেক উপাদানের পাশাপাশি জোগাড়যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। অবশ্য এই কাজগুলোও সবাই ভাগ করা নেওয়ায় কোনো জটিলতা তৈরি হয় না।
‘মানুষ হিসেবে আমরা সবাই বিভিন্ন ঝুটঝামেলা ও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হই। তবে আমাদের বড় পরিবারটিতে সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করায় অনেক ইতিবাচক দিকই রয়েছে।’ বলেন জিওনার পুত্রবধূদের একজন, ‘যখন আমরা অসুস্থ হই, একে অপরকে সাহায্য করি।’
জিওনার বড় ছেলে নুনপারলিয়ানা সচেতন যে পরিবারটির বহুবিবাহের রীতি তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমেই শেষ হয়ে যেতে পারে। তাঁর দুই স্ত্রী রয়েছেন। তবে তিনি আশাবাদী, পরিবারটি আরও বহু বছর একতাবদ্ধ থাকবে।
সূত্র: এনডিটিভি, অডিটি সেন্ট্রাল, দ্য স্ট্রেইটস টাইমস

পাঁচতলা দালানটিতে রুম আছে প্রায় ১০০। সেখানে বাস করে ১৯৯ জন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামের বাকতাওয়াং গ্রামটিতে এই পরিবারের বাস। অনেকের মতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবার এটি। তারা সবাই মিলেমিশে থাকে একটি বাড়িতে। বিশাল পরিবারটির কর্তা ছিলেন জিওনা চানা। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০২১ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান জিওনা চানা। তবে তাঁর তৈরি করা অসাধারণ পারিবারিক কাঠামো রয়ে গেছে এখনো।
জাওনা মৃত্যুর সময় ৩৮ জন স্ত্রী রেখে যান। এই স্ত্রীদের ঘরে ৮৯ জন সন্তান আছে। এ ছাড়া এই সন্তানদের স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের ঘরে হওয়া নাতি-নাতনি তো আছেই। বুঝতেই পারছেন, এখনো বাড়ছে পরিবারটির সদস্যসংখ্যা।
পরিবারটি জিওনার তৈরি করা বাড়িতেই একসঙ্গে বসবাস করে চলেছে। গ্রামটির অবস্থান বেশ প্রত্যন্ত এলাকায়। তবে পাঁচতলা এক দালানে বসবাস করা এই পরিবারের কারণে গ্রামটি পর্যটকদের বেশ পছন্দের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
জিওনা চানা ‘চানা’ নামের একটি স্বতন্ত্র মতবিশ্বাসের সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ১৯৪২ সালে জিওনার বাবা এটি প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক শ পরিবার এর সদস্য।
জিওনা প্রথম বিয়ে করেন ১৭ বছর বয়সে। বলা হয়, কোনো এক বছরে ১০ জন নারীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
মজার ঘটনা, পরিবারটির এই বিশাল আকারের পরও ২০১১ সালের বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিওনা বলেছিলেন, পরিবারটিকে আরও বড় করতে চান তিনি। আরও বিয়ে করতেও ইচ্ছুক।
জিওনা তখন বলেন, ‘আমার যত্ন নেওয়ার এবং দেখাশোনা করার জন্য অনেক লোক রয়েছে। নিজেকে একজন ভাগ্যবান মানুষ বলে মনে করি।’
পরিবারের সদস্যরা যখন দিনে দুবার খাওয়ার জন্য জড়ো হন, এমন একটি দৃশ্যের সৃষ্টি হয়, যা পরিবারের ডাইনিং রুমের চেয়ে ব্যস্ত ক্যানটিন কিংবা কোনো হোস্টেলের ডাইনিংয়ের মতো দেখায়।
পরিবারের সদস্যরা জিওনা চানার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে একসঙ্গে বসবাস করতে চান। তার পরও অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জিওনার এক ছেলে রেকর্ড জানান, তিনি তাঁর বাবার মতো নন, বরং সাধারণ একজন মানুষ। তাঁর একাধিক স্ত্রীও থাকার সুযোগ নেই।
এদিকে পরিবারের সদস্যদের উন্নত শিক্ষার জন্য সন্তানদের অন্য কোথাও পাঠানোতেও আপত্তি নেই এখন। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান পরিবারের সদস্যদের জন্য গ্রামে আরেকটি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে।
এমনকি মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পরেও জিওনার প্রভাব তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে চোখে পড়ে। তাঁর ছবি ও আঁকা প্রতিকৃতি এখনো বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় শোভা পায়।
১৯৯ জন সদস্যের একটি পরিবার একসঙ্গে থাকা, তাদের খাওয়া-পড়া ও পোশাকের ব্যবস্থা করা কিংবা অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো চাট্টিখানি কথা নয়। সৌভাগ্যবশত প্রত্যেকেই কাজ করেন। কেউ পারিবারিক পাঁচটি শূকরের খোঁয়াড়ের একটিতে সময় দেন। কেউ খেতে বিভিন্ন ফসল রোপণ করেন, কেউ আবার পরিবারের চারটি কাঠের আসবাবের কোনো দোকানে কিংবা অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কশপে কাজ করেন।
প্রতিদিনের দুটি খাবারের আয়োজনকে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ বলা যায়। কারণ এতে কমপক্ষে ৮০ কেজি চাল এবং অন্যান্য অনেক উপাদানের পাশাপাশি জোগাড়যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। অবশ্য এই কাজগুলোও সবাই ভাগ করা নেওয়ায় কোনো জটিলতা তৈরি হয় না।
‘মানুষ হিসেবে আমরা সবাই বিভিন্ন ঝুটঝামেলা ও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হই। তবে আমাদের বড় পরিবারটিতে সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করায় অনেক ইতিবাচক দিকই রয়েছে।’ বলেন জিওনার পুত্রবধূদের একজন, ‘যখন আমরা অসুস্থ হই, একে অপরকে সাহায্য করি।’
জিওনার বড় ছেলে নুনপারলিয়ানা সচেতন যে পরিবারটির বহুবিবাহের রীতি তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমেই শেষ হয়ে যেতে পারে। তাঁর দুই স্ত্রী রয়েছেন। তবে তিনি আশাবাদী, পরিবারটি আরও বহু বছর একতাবদ্ধ থাকবে।
সূত্র: এনডিটিভি, অডিটি সেন্ট্রাল, দ্য স্ট্রেইটস টাইমস

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
২ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

পাঁচতলা দালানটিতে রুম আছে প্রায় ১০০। সেখানে বাস করে ১৯৯ জন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
১৫ নভেম্বর ২০২৩
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

পাঁচতলা দালানটিতে রুম আছে প্রায় ১০০। সেখানে বাস করে ১৯৯ জন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
১৫ নভেম্বর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
২ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

পাঁচতলা দালানটিতে রুম আছে প্রায় ১০০। সেখানে বাস করে ১৯৯ জন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
১৫ নভেম্বর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
২ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

পাঁচতলা দালানটিতে রুম আছে প্রায় ১০০। সেখানে বাস করে ১৯৯ জন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
১৫ নভেম্বর ২০২৩
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
২ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে