
মহাবিশ্ব এবং মহাজাগতিক ঘটনা সম্পর্কে মানুষের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যিনি, তিনি আলবার্ট আইনস্টাইন। পৃথিবীতে তাঁর মতো ‘জিনিয়াস’ দ্বিতীয় আর আসবেন কি না সন্দেহ। অনেকে মনে করেন, আইনস্টাইন যা ভেবেছেন, তাঁর মস্তিষ্কের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তা এক কথায় মানুষের পক্ষে অকল্পনীয়। তিনি আসলে ‘জিনিয়াস’ হয়েই জন্মেছিলেন। তাঁর মতো সৌভাগ্যবান আর কেউ পৃথিবীতে নেই!
আসলে বাস্তবতা হলো, আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
আইনস্টাইনের সহকর্মীদের সবাই জানতেন, তিনি ছিলেন বইয়ের পোকা। তাঁর একটি বৃহৎ ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল। গোগ্রাসে গিলতেন সেসব বই। তিনি স্বীকারও করেছেন, কিছু বই তাঁর চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছে। তাঁর পছন্দের বইগুলোর বেশিরভাগই ছিল দর্শন ও প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্পর্কিত।
পিটার এল গ্যালিসন, জেরাল্ড হোলটন এবং সিলভান এস শোয়েবার সম্পাদিত ‘আইনস্টাইন ফর দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ বইয়ে আইনস্টাইনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির একটা বর্ণনা পাওয়া যায়। লেখকেরা বলেছেন, সমসাময়িক প্রভাবশালী সব বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছিল আইনস্টাইনের। এর মধ্যে বোল্টজম্যান, বুচনার, ফ্রেডরিক হেবেল, হেইন, হেলমহোল্টজ এবং ভন হাম্বোল্টের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। আর দার্শনিকদের মধ্যে ছিলেন ইমানুয়েল কান্ট, গটহোল্ড লেসিং, নিটশে এবং শোপেনহাওয়ারের মতো লোকদের বই।
প্রচুর পড়তেন আইনস্টাইন। কিন্তু তাঁর প্রিয় বই কোনটি? আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মতো ঘোর লাগা ধারণার জন্ম যার হাতে, সেই ব্যক্তির প্রিয় বই কী হতে পারে সেই উত্তর দেওয়া সম্ভবত খুব সহজ নয়। এরপরও তাঁর বন্ধু, সহকর্মী, জীবনীকারদের মাধ্যমে আমরা যতটুকু জানতে পারি সেখান থেকে কয়েকটি বইয়ের একটি তালিকা করা যেতে পারে:
আইনস্টাইন নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্বের বিকাশ আর্নেস্ট মাকের দ্বারা প্রভাবিত। মাক উনিশ শতকের একজন অস্ট্রিয়ান দার্শনিক এবং পদার্থবিদ। মাক তাঁর ‘অ্যানালাইসিস অব সেনসেশন’ বা ‘সংবেদন বিশ্লেষণ’ বইতে মানুষের ইন্দ্রিয়ের জটিল প্রকৃতি এবং অহমের পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে লিখেছেন।
মাকের কাজে নিউটনের স্থান ও কাল তত্ত্বের সমালোচনাও রয়েছে। এ সম্পর্কিত আইনস্টাইনের নিজস্ব ধারণার অনুপ্রেরণার বড় উৎস ছিলেন এই ব্যক্তি। প্রকৃতপক্ষে, মাকের ধারণার ভিত্তিতে তৈরি একটি হাইপোথিসিস ‘মাকের নীতি’-এর মতে, জড়তা দুটি দেহের মধ্যে একটি মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়, আইনস্টাইন এই ধারণাকে কাজের কথা বলেই মনে করতেন।
১৯১৫ সালের একটি চিঠিতে আইনস্টাইন মরিৎজ শ্লিককে লিখেছিলেন, অনেক লেখক তাঁর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বিকাশে কীভাবে প্রভাবিত করেছে:
‘আপনি সঠিকভাবেই বুঝেছেন, চিন্তার এই প্রবণতা (পজিটিভিজম বা দৃষ্টবাদ/প্রত্যক্ষবাদ) আমার তত্ত্ব বিকাশ প্রচেষ্টার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে ই. মাক এবং এখনো আরও অনেক বেশি করে হিউম, বোঝাপড়ার বিষয়ে যার লেখালেখি আমি আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিষ্কারের কিছুদিন আগে উৎসাহ এবং মুগ্ধতা নিয়ে পড়েছি। এই সব দার্শনিক অধ্যয়নগুলো ছাড়া সম্ভবত আমি আপেক্ষিকতা নিয়ে একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারতাম না।’
আর্নেস্ট মাক এবং ডেভিড হিউমের কাজ তাঁর চিন্তাভাবনাকে অনুপ্রাণিত, প্রভাবিত করেছিল, সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে আইনস্টাইন মাকের কাজ এবং বিশেষ করে প্রত্যক্ষবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই মতবাদ একটি যুক্তি-কেন্দ্রিক দর্শন যা ধর্মতত্ত্ব এবং অধিবিদ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রতিটি যৌক্তিক দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে যাচাই করা সম্ভব এবং এই ‘প্রত্যক্ষ’ জ্ঞান প্রাকৃতিক ঘটনা এবং তাদের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।
লিওপোল্ড ইনফেল্ড, যিনি আইনস্টাইনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তিনি তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য কোয়েস্ট’-এ লিখেছেন, আইনস্টাইন সারভান্তেসের বিখ্যাত ক্ল্যাসিক ডন কিহোতের গল্প দারুণ পছন্দ করতেন। তিনি লিখেছেন:
‘আইনস্টাইন বিছানায় শুয়ে আছেন, শরীরে কোনো কাপড় নেই। পাশের টেবিলেই পড়ে আছে ডন কিহোতে। এই বইটি আইনস্টাইন সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতেন। মূলত মস্তিষ্ককে একটু বিরতি দিতে এই বই তিনি পড়তেন...।’
বারুচ স্পিনোজা ছিলেন সতেরো শতকের একজন ডাচ ইহুদি দার্শনিক। তাঁর লেখালেখি ইউরোপীয় আলোকায়ন এবং সমসাময়িক বাইবেলের সমালোচনার ভিত্তি তৈরি করেছিল। স্পিনোজার ‘এথিকস’ হলো পশ্চিমা চিন্তাধারার মৌলিক কাজগুলোর অন্যতম। সামগ্রিক বিশ্বতত্ত্ব এবং বাস্তবতার একটি চিত্র বর্ণনার পাশাপাশি একটি নৈতিক জীবনযাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। স্পিনোজার বইটিতে ঈশ্বরকে ‘প্রাকৃতিক নিয়ম’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, বলা হয়েছে, মানুষই ঈশ্বরের নানা রূপ। স্পিনোজার ভাবনায়, যা কিছু ঘটে তা ঈশ্বরের প্রকৃতিকে অনুসরণ করে।
স্পিনোজার ভাষ্য মতে, ঈশ্বরই হচ্ছে মহাবিশ্বের বা প্রকৃতির ‘একমাত্র’ সাবস্ট্যান্স। তিনি লিখেছেন: ‘যা কিছু অস্তিত্বশীল, তা ঈশ্বরের মধ্যেই, ঈশ্বরের ধারণা ছাড়া অন্য কোনো ধারণাকেই গ্রহণ করা সম্ভব নয় এবং গ্রহণ করা হবেও না।’ কিন্তু আজও দার্শনিকেরা এই বাক্যের অর্থ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। সাবস্ট্যান্স বা অন্তঃসার বলতে অন্তর্নিহিত সারবস্তুকে বোঝায়। স্পিনোজার ভেবেছিলেন সবকিছুর সারবস্তু একটাই। তাঁর মতে: “‘সাবস্ট্যান্স’ বলতে আমি বুঝি যা নিজেতেই ব্যাপ্ত এবং যার ধারণা স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যভাবে বললে, যা থেকে অন্য কোনো ধারণার সাহায্য ছাড়াই একটি ধারণার জন্ম হতে পারে।”
স্পিনোজার এই ‘প্যান্থেইজিম’ বা সর্বেশ্বরবাদ অর্থাৎ ঈশ্বর ও প্রকৃতিকে অভেদ কল্পনা ছিল বিশ্ব সম্পর্কে আইনস্টাইনের নিজস্ব আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ। যেমনটি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কি না—এর উত্তরে তিনি রাব্বি হারবার্ট এস গোল্ডস্টেইনকে বলেছিলেন:
‘আমি স্পিনোজার ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, যিনি নিজেকে সমস্ত কিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রকাশ করেন। এমন একজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না যিনি ভাগ্য এবং মানবজাতির কর্মকাণ্ড নিয়ে চিন্তিত।’
আইনস্টাইনের স্বীকারোক্তি অনুসারে, আঠারো শতকের স্কটিশ দার্শনিক ডেভিড হিউমের একটি বই, যেটি বিজ্ঞান এবং মানব প্রকৃতির মধ্যে যোগসূত্র বোঝার একটি প্রচেষ্টা, সেটি তাঁর ওপর দারুণ প্রভাব ফেলেছিল। বৈজ্ঞানিকভাবে নৈতিক দর্শনের বর্ণনায় হিউমের কৃতিত্ব আইনস্টাইনকে অনুপ্রাণিত করেছিল। বইটির মূল আহ্বান—আধিবিদ্যক অনুমান থেকে পর্যবেক্ষণ যোগ্য তথ্যের দিকে দৃষ্টি ফেরানো। হিউমের মতে এটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতাও ছিল— শুধু পর্যবেক্ষণ প্রকৃতির নিয়মকে উপলব্ধি করাতে পারে না। এই অন্তর্দৃষ্টি আইনস্টাইনের কাউন্টার-ইনটুইটিভ (বিরোধমূলক) ধারণাগুলো বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
আইনস্টাইনের লাইব্রেরিতে বৃহৎ সংগ্রহের সবচেয়ে বড় অংশটি ছিল জার্মান লেখক জোহান ফন গ্যেটে। গ্যেটের ৩৬ ভলিউমের একটি সংকলন ছিল আইনস্টাইনের সংগ্রহে। এ ছাড়া এর পাশাপাশি ১২টি খণ্ডের একটি সংগ্রহ এবং দুই খণ্ডের ‘অপটিকস’ (গ্যেটে এবং শিলারের মধ্যে চিঠি বিনিময়) এবং ‘ফাউস্ত’-এর আরেকটি ভলিউম।
আইনস্টাইন তাঁর ঘরে গ্যেটের একটি আবক্ষ মূর্তি রেখেছিলেন। তাঁর জার্মান-ভাষী সহকারীদের কাছে প্রায়ই এই লেখকের উদ্ধৃতি দিতেন তিনি। ১৯৩২ সালে লিওপোল্ড ক্যাসপারকে লেখা একটি চিঠিতে আইনস্টাইন লিখেছিলেন, ‘গ্যেটে এমন একজন কবি যার সমকক্ষ কেউ নেই। সর্বকালের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন তিনি। এমনকি তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ণ ধারণাগুলোও উচ্চ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য এবং তাঁর ত্রুটিগুলোও যে কোনো মহান ব্যক্তিরই মতো।’

মহাবিশ্ব এবং মহাজাগতিক ঘটনা সম্পর্কে মানুষের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যিনি, তিনি আলবার্ট আইনস্টাইন। পৃথিবীতে তাঁর মতো ‘জিনিয়াস’ দ্বিতীয় আর আসবেন কি না সন্দেহ। অনেকে মনে করেন, আইনস্টাইন যা ভেবেছেন, তাঁর মস্তিষ্কের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তা এক কথায় মানুষের পক্ষে অকল্পনীয়। তিনি আসলে ‘জিনিয়াস’ হয়েই জন্মেছিলেন। তাঁর মতো সৌভাগ্যবান আর কেউ পৃথিবীতে নেই!
আসলে বাস্তবতা হলো, আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
আইনস্টাইনের সহকর্মীদের সবাই জানতেন, তিনি ছিলেন বইয়ের পোকা। তাঁর একটি বৃহৎ ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল। গোগ্রাসে গিলতেন সেসব বই। তিনি স্বীকারও করেছেন, কিছু বই তাঁর চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছে। তাঁর পছন্দের বইগুলোর বেশিরভাগই ছিল দর্শন ও প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্পর্কিত।
পিটার এল গ্যালিসন, জেরাল্ড হোলটন এবং সিলভান এস শোয়েবার সম্পাদিত ‘আইনস্টাইন ফর দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ বইয়ে আইনস্টাইনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির একটা বর্ণনা পাওয়া যায়। লেখকেরা বলেছেন, সমসাময়িক প্রভাবশালী সব বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছিল আইনস্টাইনের। এর মধ্যে বোল্টজম্যান, বুচনার, ফ্রেডরিক হেবেল, হেইন, হেলমহোল্টজ এবং ভন হাম্বোল্টের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। আর দার্শনিকদের মধ্যে ছিলেন ইমানুয়েল কান্ট, গটহোল্ড লেসিং, নিটশে এবং শোপেনহাওয়ারের মতো লোকদের বই।
প্রচুর পড়তেন আইনস্টাইন। কিন্তু তাঁর প্রিয় বই কোনটি? আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মতো ঘোর লাগা ধারণার জন্ম যার হাতে, সেই ব্যক্তির প্রিয় বই কী হতে পারে সেই উত্তর দেওয়া সম্ভবত খুব সহজ নয়। এরপরও তাঁর বন্ধু, সহকর্মী, জীবনীকারদের মাধ্যমে আমরা যতটুকু জানতে পারি সেখান থেকে কয়েকটি বইয়ের একটি তালিকা করা যেতে পারে:
আইনস্টাইন নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্বের বিকাশ আর্নেস্ট মাকের দ্বারা প্রভাবিত। মাক উনিশ শতকের একজন অস্ট্রিয়ান দার্শনিক এবং পদার্থবিদ। মাক তাঁর ‘অ্যানালাইসিস অব সেনসেশন’ বা ‘সংবেদন বিশ্লেষণ’ বইতে মানুষের ইন্দ্রিয়ের জটিল প্রকৃতি এবং অহমের পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে লিখেছেন।
মাকের কাজে নিউটনের স্থান ও কাল তত্ত্বের সমালোচনাও রয়েছে। এ সম্পর্কিত আইনস্টাইনের নিজস্ব ধারণার অনুপ্রেরণার বড় উৎস ছিলেন এই ব্যক্তি। প্রকৃতপক্ষে, মাকের ধারণার ভিত্তিতে তৈরি একটি হাইপোথিসিস ‘মাকের নীতি’-এর মতে, জড়তা দুটি দেহের মধ্যে একটি মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়, আইনস্টাইন এই ধারণাকে কাজের কথা বলেই মনে করতেন।
১৯১৫ সালের একটি চিঠিতে আইনস্টাইন মরিৎজ শ্লিককে লিখেছিলেন, অনেক লেখক তাঁর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বিকাশে কীভাবে প্রভাবিত করেছে:
‘আপনি সঠিকভাবেই বুঝেছেন, চিন্তার এই প্রবণতা (পজিটিভিজম বা দৃষ্টবাদ/প্রত্যক্ষবাদ) আমার তত্ত্ব বিকাশ প্রচেষ্টার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে ই. মাক এবং এখনো আরও অনেক বেশি করে হিউম, বোঝাপড়ার বিষয়ে যার লেখালেখি আমি আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিষ্কারের কিছুদিন আগে উৎসাহ এবং মুগ্ধতা নিয়ে পড়েছি। এই সব দার্শনিক অধ্যয়নগুলো ছাড়া সম্ভবত আমি আপেক্ষিকতা নিয়ে একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারতাম না।’
আর্নেস্ট মাক এবং ডেভিড হিউমের কাজ তাঁর চিন্তাভাবনাকে অনুপ্রাণিত, প্রভাবিত করেছিল, সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে আইনস্টাইন মাকের কাজ এবং বিশেষ করে প্রত্যক্ষবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই মতবাদ একটি যুক্তি-কেন্দ্রিক দর্শন যা ধর্মতত্ত্ব এবং অধিবিদ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রতিটি যৌক্তিক দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে যাচাই করা সম্ভব এবং এই ‘প্রত্যক্ষ’ জ্ঞান প্রাকৃতিক ঘটনা এবং তাদের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।
লিওপোল্ড ইনফেল্ড, যিনি আইনস্টাইনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তিনি তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য কোয়েস্ট’-এ লিখেছেন, আইনস্টাইন সারভান্তেসের বিখ্যাত ক্ল্যাসিক ডন কিহোতের গল্প দারুণ পছন্দ করতেন। তিনি লিখেছেন:
‘আইনস্টাইন বিছানায় শুয়ে আছেন, শরীরে কোনো কাপড় নেই। পাশের টেবিলেই পড়ে আছে ডন কিহোতে। এই বইটি আইনস্টাইন সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতেন। মূলত মস্তিষ্ককে একটু বিরতি দিতে এই বই তিনি পড়তেন...।’
বারুচ স্পিনোজা ছিলেন সতেরো শতকের একজন ডাচ ইহুদি দার্শনিক। তাঁর লেখালেখি ইউরোপীয় আলোকায়ন এবং সমসাময়িক বাইবেলের সমালোচনার ভিত্তি তৈরি করেছিল। স্পিনোজার ‘এথিকস’ হলো পশ্চিমা চিন্তাধারার মৌলিক কাজগুলোর অন্যতম। সামগ্রিক বিশ্বতত্ত্ব এবং বাস্তবতার একটি চিত্র বর্ণনার পাশাপাশি একটি নৈতিক জীবনযাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। স্পিনোজার বইটিতে ঈশ্বরকে ‘প্রাকৃতিক নিয়ম’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, বলা হয়েছে, মানুষই ঈশ্বরের নানা রূপ। স্পিনোজার ভাবনায়, যা কিছু ঘটে তা ঈশ্বরের প্রকৃতিকে অনুসরণ করে।
স্পিনোজার ভাষ্য মতে, ঈশ্বরই হচ্ছে মহাবিশ্বের বা প্রকৃতির ‘একমাত্র’ সাবস্ট্যান্স। তিনি লিখেছেন: ‘যা কিছু অস্তিত্বশীল, তা ঈশ্বরের মধ্যেই, ঈশ্বরের ধারণা ছাড়া অন্য কোনো ধারণাকেই গ্রহণ করা সম্ভব নয় এবং গ্রহণ করা হবেও না।’ কিন্তু আজও দার্শনিকেরা এই বাক্যের অর্থ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। সাবস্ট্যান্স বা অন্তঃসার বলতে অন্তর্নিহিত সারবস্তুকে বোঝায়। স্পিনোজার ভেবেছিলেন সবকিছুর সারবস্তু একটাই। তাঁর মতে: “‘সাবস্ট্যান্স’ বলতে আমি বুঝি যা নিজেতেই ব্যাপ্ত এবং যার ধারণা স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যভাবে বললে, যা থেকে অন্য কোনো ধারণার সাহায্য ছাড়াই একটি ধারণার জন্ম হতে পারে।”
স্পিনোজার এই ‘প্যান্থেইজিম’ বা সর্বেশ্বরবাদ অর্থাৎ ঈশ্বর ও প্রকৃতিকে অভেদ কল্পনা ছিল বিশ্ব সম্পর্কে আইনস্টাইনের নিজস্ব আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ। যেমনটি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কি না—এর উত্তরে তিনি রাব্বি হারবার্ট এস গোল্ডস্টেইনকে বলেছিলেন:
‘আমি স্পিনোজার ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, যিনি নিজেকে সমস্ত কিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রকাশ করেন। এমন একজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না যিনি ভাগ্য এবং মানবজাতির কর্মকাণ্ড নিয়ে চিন্তিত।’
আইনস্টাইনের স্বীকারোক্তি অনুসারে, আঠারো শতকের স্কটিশ দার্শনিক ডেভিড হিউমের একটি বই, যেটি বিজ্ঞান এবং মানব প্রকৃতির মধ্যে যোগসূত্র বোঝার একটি প্রচেষ্টা, সেটি তাঁর ওপর দারুণ প্রভাব ফেলেছিল। বৈজ্ঞানিকভাবে নৈতিক দর্শনের বর্ণনায় হিউমের কৃতিত্ব আইনস্টাইনকে অনুপ্রাণিত করেছিল। বইটির মূল আহ্বান—আধিবিদ্যক অনুমান থেকে পর্যবেক্ষণ যোগ্য তথ্যের দিকে দৃষ্টি ফেরানো। হিউমের মতে এটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতাও ছিল— শুধু পর্যবেক্ষণ প্রকৃতির নিয়মকে উপলব্ধি করাতে পারে না। এই অন্তর্দৃষ্টি আইনস্টাইনের কাউন্টার-ইনটুইটিভ (বিরোধমূলক) ধারণাগুলো বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
আইনস্টাইনের লাইব্রেরিতে বৃহৎ সংগ্রহের সবচেয়ে বড় অংশটি ছিল জার্মান লেখক জোহান ফন গ্যেটে। গ্যেটের ৩৬ ভলিউমের একটি সংকলন ছিল আইনস্টাইনের সংগ্রহে। এ ছাড়া এর পাশাপাশি ১২টি খণ্ডের একটি সংগ্রহ এবং দুই খণ্ডের ‘অপটিকস’ (গ্যেটে এবং শিলারের মধ্যে চিঠি বিনিময়) এবং ‘ফাউস্ত’-এর আরেকটি ভলিউম।
আইনস্টাইন তাঁর ঘরে গ্যেটের একটি আবক্ষ মূর্তি রেখেছিলেন। তাঁর জার্মান-ভাষী সহকারীদের কাছে প্রায়ই এই লেখকের উদ্ধৃতি দিতেন তিনি। ১৯৩২ সালে লিওপোল্ড ক্যাসপারকে লেখা একটি চিঠিতে আইনস্টাইন লিখেছিলেন, ‘গ্যেটে এমন একজন কবি যার সমকক্ষ কেউ নেই। সর্বকালের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন তিনি। এমনকি তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ণ ধারণাগুলোও উচ্চ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য এবং তাঁর ত্রুটিগুলোও যে কোনো মহান ব্যক্তিরই মতো।’

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
৮ ঘণ্টা আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
২ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।
সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’
ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’
এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’
এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’
আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।
সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’
ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’
এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’
এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’
আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
০৫ আগস্ট ২০২২
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
২ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
০৫ আগস্ট ২০২২
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
৮ ঘণ্টা আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
২ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
০৫ আগস্ট ২০২২
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
৮ ঘণ্টা আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
০৫ আগস্ট ২০২২
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
৮ ঘণ্টা আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
১ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
২ দিন আগে