
মহাবিশ্ব এবং মহাজাগতিক ঘটনা সম্পর্কে মানুষের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যিনি, তিনি আলবার্ট আইনস্টাইন। পৃথিবীতে তাঁর মতো ‘জিনিয়াস’ দ্বিতীয় আর আসবেন কি না সন্দেহ। অনেকে মনে করেন, আইনস্টাইন যা ভেবেছেন, তাঁর মস্তিষ্কের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তা এক কথায় মানুষের পক্ষে অকল্পনীয়। তিনি আসলে ‘জিনিয়াস’ হয়েই জন্মেছিলেন। তাঁর মতো সৌভাগ্যবান আর কেউ পৃথিবীতে নেই!
আসলে বাস্তবতা হলো, আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
আইনস্টাইনের সহকর্মীদের সবাই জানতেন, তিনি ছিলেন বইয়ের পোকা। তাঁর একটি বৃহৎ ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল। গোগ্রাসে গিলতেন সেসব বই। তিনি স্বীকারও করেছেন, কিছু বই তাঁর চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছে। তাঁর পছন্দের বইগুলোর বেশিরভাগই ছিল দর্শন ও প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্পর্কিত।
পিটার এল গ্যালিসন, জেরাল্ড হোলটন এবং সিলভান এস শোয়েবার সম্পাদিত ‘আইনস্টাইন ফর দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ বইয়ে আইনস্টাইনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির একটা বর্ণনা পাওয়া যায়। লেখকেরা বলেছেন, সমসাময়িক প্রভাবশালী সব বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছিল আইনস্টাইনের। এর মধ্যে বোল্টজম্যান, বুচনার, ফ্রেডরিক হেবেল, হেইন, হেলমহোল্টজ এবং ভন হাম্বোল্টের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। আর দার্শনিকদের মধ্যে ছিলেন ইমানুয়েল কান্ট, গটহোল্ড লেসিং, নিটশে এবং শোপেনহাওয়ারের মতো লোকদের বই।
প্রচুর পড়তেন আইনস্টাইন। কিন্তু তাঁর প্রিয় বই কোনটি? আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মতো ঘোর লাগা ধারণার জন্ম যার হাতে, সেই ব্যক্তির প্রিয় বই কী হতে পারে সেই উত্তর দেওয়া সম্ভবত খুব সহজ নয়। এরপরও তাঁর বন্ধু, সহকর্মী, জীবনীকারদের মাধ্যমে আমরা যতটুকু জানতে পারি সেখান থেকে কয়েকটি বইয়ের একটি তালিকা করা যেতে পারে:
আইনস্টাইন নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্বের বিকাশ আর্নেস্ট মাকের দ্বারা প্রভাবিত। মাক উনিশ শতকের একজন অস্ট্রিয়ান দার্শনিক এবং পদার্থবিদ। মাক তাঁর ‘অ্যানালাইসিস অব সেনসেশন’ বা ‘সংবেদন বিশ্লেষণ’ বইতে মানুষের ইন্দ্রিয়ের জটিল প্রকৃতি এবং অহমের পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে লিখেছেন।
মাকের কাজে নিউটনের স্থান ও কাল তত্ত্বের সমালোচনাও রয়েছে। এ সম্পর্কিত আইনস্টাইনের নিজস্ব ধারণার অনুপ্রেরণার বড় উৎস ছিলেন এই ব্যক্তি। প্রকৃতপক্ষে, মাকের ধারণার ভিত্তিতে তৈরি একটি হাইপোথিসিস ‘মাকের নীতি’-এর মতে, জড়তা দুটি দেহের মধ্যে একটি মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়, আইনস্টাইন এই ধারণাকে কাজের কথা বলেই মনে করতেন।
১৯১৫ সালের একটি চিঠিতে আইনস্টাইন মরিৎজ শ্লিককে লিখেছিলেন, অনেক লেখক তাঁর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বিকাশে কীভাবে প্রভাবিত করেছে:
‘আপনি সঠিকভাবেই বুঝেছেন, চিন্তার এই প্রবণতা (পজিটিভিজম বা দৃষ্টবাদ/প্রত্যক্ষবাদ) আমার তত্ত্ব বিকাশ প্রচেষ্টার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে ই. মাক এবং এখনো আরও অনেক বেশি করে হিউম, বোঝাপড়ার বিষয়ে যার লেখালেখি আমি আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিষ্কারের কিছুদিন আগে উৎসাহ এবং মুগ্ধতা নিয়ে পড়েছি। এই সব দার্শনিক অধ্যয়নগুলো ছাড়া সম্ভবত আমি আপেক্ষিকতা নিয়ে একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারতাম না।’
আর্নেস্ট মাক এবং ডেভিড হিউমের কাজ তাঁর চিন্তাভাবনাকে অনুপ্রাণিত, প্রভাবিত করেছিল, সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে আইনস্টাইন মাকের কাজ এবং বিশেষ করে প্রত্যক্ষবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই মতবাদ একটি যুক্তি-কেন্দ্রিক দর্শন যা ধর্মতত্ত্ব এবং অধিবিদ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রতিটি যৌক্তিক দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে যাচাই করা সম্ভব এবং এই ‘প্রত্যক্ষ’ জ্ঞান প্রাকৃতিক ঘটনা এবং তাদের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।
লিওপোল্ড ইনফেল্ড, যিনি আইনস্টাইনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তিনি তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য কোয়েস্ট’-এ লিখেছেন, আইনস্টাইন সারভান্তেসের বিখ্যাত ক্ল্যাসিক ডন কিহোতের গল্প দারুণ পছন্দ করতেন। তিনি লিখেছেন:
‘আইনস্টাইন বিছানায় শুয়ে আছেন, শরীরে কোনো কাপড় নেই। পাশের টেবিলেই পড়ে আছে ডন কিহোতে। এই বইটি আইনস্টাইন সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতেন। মূলত মস্তিষ্ককে একটু বিরতি দিতে এই বই তিনি পড়তেন...।’
বারুচ স্পিনোজা ছিলেন সতেরো শতকের একজন ডাচ ইহুদি দার্শনিক। তাঁর লেখালেখি ইউরোপীয় আলোকায়ন এবং সমসাময়িক বাইবেলের সমালোচনার ভিত্তি তৈরি করেছিল। স্পিনোজার ‘এথিকস’ হলো পশ্চিমা চিন্তাধারার মৌলিক কাজগুলোর অন্যতম। সামগ্রিক বিশ্বতত্ত্ব এবং বাস্তবতার একটি চিত্র বর্ণনার পাশাপাশি একটি নৈতিক জীবনযাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। স্পিনোজার বইটিতে ঈশ্বরকে ‘প্রাকৃতিক নিয়ম’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, বলা হয়েছে, মানুষই ঈশ্বরের নানা রূপ। স্পিনোজার ভাবনায়, যা কিছু ঘটে তা ঈশ্বরের প্রকৃতিকে অনুসরণ করে।
স্পিনোজার ভাষ্য মতে, ঈশ্বরই হচ্ছে মহাবিশ্বের বা প্রকৃতির ‘একমাত্র’ সাবস্ট্যান্স। তিনি লিখেছেন: ‘যা কিছু অস্তিত্বশীল, তা ঈশ্বরের মধ্যেই, ঈশ্বরের ধারণা ছাড়া অন্য কোনো ধারণাকেই গ্রহণ করা সম্ভব নয় এবং গ্রহণ করা হবেও না।’ কিন্তু আজও দার্শনিকেরা এই বাক্যের অর্থ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। সাবস্ট্যান্স বা অন্তঃসার বলতে অন্তর্নিহিত সারবস্তুকে বোঝায়। স্পিনোজার ভেবেছিলেন সবকিছুর সারবস্তু একটাই। তাঁর মতে: “‘সাবস্ট্যান্স’ বলতে আমি বুঝি যা নিজেতেই ব্যাপ্ত এবং যার ধারণা স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যভাবে বললে, যা থেকে অন্য কোনো ধারণার সাহায্য ছাড়াই একটি ধারণার জন্ম হতে পারে।”
স্পিনোজার এই ‘প্যান্থেইজিম’ বা সর্বেশ্বরবাদ অর্থাৎ ঈশ্বর ও প্রকৃতিকে অভেদ কল্পনা ছিল বিশ্ব সম্পর্কে আইনস্টাইনের নিজস্ব আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ। যেমনটি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কি না—এর উত্তরে তিনি রাব্বি হারবার্ট এস গোল্ডস্টেইনকে বলেছিলেন:
‘আমি স্পিনোজার ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, যিনি নিজেকে সমস্ত কিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রকাশ করেন। এমন একজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না যিনি ভাগ্য এবং মানবজাতির কর্মকাণ্ড নিয়ে চিন্তিত।’
আইনস্টাইনের স্বীকারোক্তি অনুসারে, আঠারো শতকের স্কটিশ দার্শনিক ডেভিড হিউমের একটি বই, যেটি বিজ্ঞান এবং মানব প্রকৃতির মধ্যে যোগসূত্র বোঝার একটি প্রচেষ্টা, সেটি তাঁর ওপর দারুণ প্রভাব ফেলেছিল। বৈজ্ঞানিকভাবে নৈতিক দর্শনের বর্ণনায় হিউমের কৃতিত্ব আইনস্টাইনকে অনুপ্রাণিত করেছিল। বইটির মূল আহ্বান—আধিবিদ্যক অনুমান থেকে পর্যবেক্ষণ যোগ্য তথ্যের দিকে দৃষ্টি ফেরানো। হিউমের মতে এটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতাও ছিল— শুধু পর্যবেক্ষণ প্রকৃতির নিয়মকে উপলব্ধি করাতে পারে না। এই অন্তর্দৃষ্টি আইনস্টাইনের কাউন্টার-ইনটুইটিভ (বিরোধমূলক) ধারণাগুলো বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
আইনস্টাইনের লাইব্রেরিতে বৃহৎ সংগ্রহের সবচেয়ে বড় অংশটি ছিল জার্মান লেখক জোহান ফন গ্যেটে। গ্যেটের ৩৬ ভলিউমের একটি সংকলন ছিল আইনস্টাইনের সংগ্রহে। এ ছাড়া এর পাশাপাশি ১২টি খণ্ডের একটি সংগ্রহ এবং দুই খণ্ডের ‘অপটিকস’ (গ্যেটে এবং শিলারের মধ্যে চিঠি বিনিময়) এবং ‘ফাউস্ত’-এর আরেকটি ভলিউম।
আইনস্টাইন তাঁর ঘরে গ্যেটের একটি আবক্ষ মূর্তি রেখেছিলেন। তাঁর জার্মান-ভাষী সহকারীদের কাছে প্রায়ই এই লেখকের উদ্ধৃতি দিতেন তিনি। ১৯৩২ সালে লিওপোল্ড ক্যাসপারকে লেখা একটি চিঠিতে আইনস্টাইন লিখেছিলেন, ‘গ্যেটে এমন একজন কবি যার সমকক্ষ কেউ নেই। সর্বকালের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন তিনি। এমনকি তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ণ ধারণাগুলোও উচ্চ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য এবং তাঁর ত্রুটিগুলোও যে কোনো মহান ব্যক্তিরই মতো।’

মহাবিশ্ব এবং মহাজাগতিক ঘটনা সম্পর্কে মানুষের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যিনি, তিনি আলবার্ট আইনস্টাইন। পৃথিবীতে তাঁর মতো ‘জিনিয়াস’ দ্বিতীয় আর আসবেন কি না সন্দেহ। অনেকে মনে করেন, আইনস্টাইন যা ভেবেছেন, তাঁর মস্তিষ্কের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তা এক কথায় মানুষের পক্ষে অকল্পনীয়। তিনি আসলে ‘জিনিয়াস’ হয়েই জন্মেছিলেন। তাঁর মতো সৌভাগ্যবান আর কেউ পৃথিবীতে নেই!
আসলে বাস্তবতা হলো, আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
আইনস্টাইনের সহকর্মীদের সবাই জানতেন, তিনি ছিলেন বইয়ের পোকা। তাঁর একটি বৃহৎ ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল। গোগ্রাসে গিলতেন সেসব বই। তিনি স্বীকারও করেছেন, কিছু বই তাঁর চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছে। তাঁর পছন্দের বইগুলোর বেশিরভাগই ছিল দর্শন ও প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্পর্কিত।
পিটার এল গ্যালিসন, জেরাল্ড হোলটন এবং সিলভান এস শোয়েবার সম্পাদিত ‘আইনস্টাইন ফর দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ বইয়ে আইনস্টাইনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির একটা বর্ণনা পাওয়া যায়। লেখকেরা বলেছেন, সমসাময়িক প্রভাবশালী সব বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছিল আইনস্টাইনের। এর মধ্যে বোল্টজম্যান, বুচনার, ফ্রেডরিক হেবেল, হেইন, হেলমহোল্টজ এবং ভন হাম্বোল্টের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। আর দার্শনিকদের মধ্যে ছিলেন ইমানুয়েল কান্ট, গটহোল্ড লেসিং, নিটশে এবং শোপেনহাওয়ারের মতো লোকদের বই।
প্রচুর পড়তেন আইনস্টাইন। কিন্তু তাঁর প্রিয় বই কোনটি? আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মতো ঘোর লাগা ধারণার জন্ম যার হাতে, সেই ব্যক্তির প্রিয় বই কী হতে পারে সেই উত্তর দেওয়া সম্ভবত খুব সহজ নয়। এরপরও তাঁর বন্ধু, সহকর্মী, জীবনীকারদের মাধ্যমে আমরা যতটুকু জানতে পারি সেখান থেকে কয়েকটি বইয়ের একটি তালিকা করা যেতে পারে:
আইনস্টাইন নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্বের বিকাশ আর্নেস্ট মাকের দ্বারা প্রভাবিত। মাক উনিশ শতকের একজন অস্ট্রিয়ান দার্শনিক এবং পদার্থবিদ। মাক তাঁর ‘অ্যানালাইসিস অব সেনসেশন’ বা ‘সংবেদন বিশ্লেষণ’ বইতে মানুষের ইন্দ্রিয়ের জটিল প্রকৃতি এবং অহমের পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে লিখেছেন।
মাকের কাজে নিউটনের স্থান ও কাল তত্ত্বের সমালোচনাও রয়েছে। এ সম্পর্কিত আইনস্টাইনের নিজস্ব ধারণার অনুপ্রেরণার বড় উৎস ছিলেন এই ব্যক্তি। প্রকৃতপক্ষে, মাকের ধারণার ভিত্তিতে তৈরি একটি হাইপোথিসিস ‘মাকের নীতি’-এর মতে, জড়তা দুটি দেহের মধ্যে একটি মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়, আইনস্টাইন এই ধারণাকে কাজের কথা বলেই মনে করতেন।
১৯১৫ সালের একটি চিঠিতে আইনস্টাইন মরিৎজ শ্লিককে লিখেছিলেন, অনেক লেখক তাঁর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বিকাশে কীভাবে প্রভাবিত করেছে:
‘আপনি সঠিকভাবেই বুঝেছেন, চিন্তার এই প্রবণতা (পজিটিভিজম বা দৃষ্টবাদ/প্রত্যক্ষবাদ) আমার তত্ত্ব বিকাশ প্রচেষ্টার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে ই. মাক এবং এখনো আরও অনেক বেশি করে হিউম, বোঝাপড়ার বিষয়ে যার লেখালেখি আমি আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিষ্কারের কিছুদিন আগে উৎসাহ এবং মুগ্ধতা নিয়ে পড়েছি। এই সব দার্শনিক অধ্যয়নগুলো ছাড়া সম্ভবত আমি আপেক্ষিকতা নিয়ে একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারতাম না।’
আর্নেস্ট মাক এবং ডেভিড হিউমের কাজ তাঁর চিন্তাভাবনাকে অনুপ্রাণিত, প্রভাবিত করেছিল, সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে আইনস্টাইন মাকের কাজ এবং বিশেষ করে প্রত্যক্ষবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই মতবাদ একটি যুক্তি-কেন্দ্রিক দর্শন যা ধর্মতত্ত্ব এবং অধিবিদ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রতিটি যৌক্তিক দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে যাচাই করা সম্ভব এবং এই ‘প্রত্যক্ষ’ জ্ঞান প্রাকৃতিক ঘটনা এবং তাদের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।
লিওপোল্ড ইনফেল্ড, যিনি আইনস্টাইনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তিনি তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য কোয়েস্ট’-এ লিখেছেন, আইনস্টাইন সারভান্তেসের বিখ্যাত ক্ল্যাসিক ডন কিহোতের গল্প দারুণ পছন্দ করতেন। তিনি লিখেছেন:
‘আইনস্টাইন বিছানায় শুয়ে আছেন, শরীরে কোনো কাপড় নেই। পাশের টেবিলেই পড়ে আছে ডন কিহোতে। এই বইটি আইনস্টাইন সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতেন। মূলত মস্তিষ্ককে একটু বিরতি দিতে এই বই তিনি পড়তেন...।’
বারুচ স্পিনোজা ছিলেন সতেরো শতকের একজন ডাচ ইহুদি দার্শনিক। তাঁর লেখালেখি ইউরোপীয় আলোকায়ন এবং সমসাময়িক বাইবেলের সমালোচনার ভিত্তি তৈরি করেছিল। স্পিনোজার ‘এথিকস’ হলো পশ্চিমা চিন্তাধারার মৌলিক কাজগুলোর অন্যতম। সামগ্রিক বিশ্বতত্ত্ব এবং বাস্তবতার একটি চিত্র বর্ণনার পাশাপাশি একটি নৈতিক জীবনযাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। স্পিনোজার বইটিতে ঈশ্বরকে ‘প্রাকৃতিক নিয়ম’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, বলা হয়েছে, মানুষই ঈশ্বরের নানা রূপ। স্পিনোজার ভাবনায়, যা কিছু ঘটে তা ঈশ্বরের প্রকৃতিকে অনুসরণ করে।
স্পিনোজার ভাষ্য মতে, ঈশ্বরই হচ্ছে মহাবিশ্বের বা প্রকৃতির ‘একমাত্র’ সাবস্ট্যান্স। তিনি লিখেছেন: ‘যা কিছু অস্তিত্বশীল, তা ঈশ্বরের মধ্যেই, ঈশ্বরের ধারণা ছাড়া অন্য কোনো ধারণাকেই গ্রহণ করা সম্ভব নয় এবং গ্রহণ করা হবেও না।’ কিন্তু আজও দার্শনিকেরা এই বাক্যের অর্থ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। সাবস্ট্যান্স বা অন্তঃসার বলতে অন্তর্নিহিত সারবস্তুকে বোঝায়। স্পিনোজার ভেবেছিলেন সবকিছুর সারবস্তু একটাই। তাঁর মতে: “‘সাবস্ট্যান্স’ বলতে আমি বুঝি যা নিজেতেই ব্যাপ্ত এবং যার ধারণা স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যভাবে বললে, যা থেকে অন্য কোনো ধারণার সাহায্য ছাড়াই একটি ধারণার জন্ম হতে পারে।”
স্পিনোজার এই ‘প্যান্থেইজিম’ বা সর্বেশ্বরবাদ অর্থাৎ ঈশ্বর ও প্রকৃতিকে অভেদ কল্পনা ছিল বিশ্ব সম্পর্কে আইনস্টাইনের নিজস্ব আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ। যেমনটি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কি না—এর উত্তরে তিনি রাব্বি হারবার্ট এস গোল্ডস্টেইনকে বলেছিলেন:
‘আমি স্পিনোজার ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, যিনি নিজেকে সমস্ত কিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রকাশ করেন। এমন একজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না যিনি ভাগ্য এবং মানবজাতির কর্মকাণ্ড নিয়ে চিন্তিত।’
আইনস্টাইনের স্বীকারোক্তি অনুসারে, আঠারো শতকের স্কটিশ দার্শনিক ডেভিড হিউমের একটি বই, যেটি বিজ্ঞান এবং মানব প্রকৃতির মধ্যে যোগসূত্র বোঝার একটি প্রচেষ্টা, সেটি তাঁর ওপর দারুণ প্রভাব ফেলেছিল। বৈজ্ঞানিকভাবে নৈতিক দর্শনের বর্ণনায় হিউমের কৃতিত্ব আইনস্টাইনকে অনুপ্রাণিত করেছিল। বইটির মূল আহ্বান—আধিবিদ্যক অনুমান থেকে পর্যবেক্ষণ যোগ্য তথ্যের দিকে দৃষ্টি ফেরানো। হিউমের মতে এটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতাও ছিল— শুধু পর্যবেক্ষণ প্রকৃতির নিয়মকে উপলব্ধি করাতে পারে না। এই অন্তর্দৃষ্টি আইনস্টাইনের কাউন্টার-ইনটুইটিভ (বিরোধমূলক) ধারণাগুলো বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
আইনস্টাইনের লাইব্রেরিতে বৃহৎ সংগ্রহের সবচেয়ে বড় অংশটি ছিল জার্মান লেখক জোহান ফন গ্যেটে। গ্যেটের ৩৬ ভলিউমের একটি সংকলন ছিল আইনস্টাইনের সংগ্রহে। এ ছাড়া এর পাশাপাশি ১২টি খণ্ডের একটি সংগ্রহ এবং দুই খণ্ডের ‘অপটিকস’ (গ্যেটে এবং শিলারের মধ্যে চিঠি বিনিময়) এবং ‘ফাউস্ত’-এর আরেকটি ভলিউম।
আইনস্টাইন তাঁর ঘরে গ্যেটের একটি আবক্ষ মূর্তি রেখেছিলেন। তাঁর জার্মান-ভাষী সহকারীদের কাছে প্রায়ই এই লেখকের উদ্ধৃতি দিতেন তিনি। ১৯৩২ সালে লিওপোল্ড ক্যাসপারকে লেখা একটি চিঠিতে আইনস্টাইন লিখেছিলেন, ‘গ্যেটে এমন একজন কবি যার সমকক্ষ কেউ নেই। সর্বকালের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন তিনি। এমনকি তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ণ ধারণাগুলোও উচ্চ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য এবং তাঁর ত্রুটিগুলোও যে কোনো মহান ব্যক্তিরই মতো।’

মহাবিশ্ব এবং মহাজাগতিক ঘটনা সম্পর্কে মানুষের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যিনি, তিনি আলবার্ট আইনস্টাইন। পৃথিবীতে তাঁর মতো ‘জিনিয়াস’ দ্বিতীয় আর আসবেন কি না সন্দেহ। অনেকে মনে করেন, আইনস্টাইন যা ভেবেছেন, তাঁর মস্তিষ্কের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তা এক কথায় মানুষের পক্ষে অকল্পনীয়। তিনি আসলে ‘জিনিয়াস’ হয়েই জন্মেছিলেন। তাঁর মতো সৌভাগ্যবান আর কেউ পৃথিবীতে নেই!
আসলে বাস্তবতা হলো, আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
আইনস্টাইনের সহকর্মীদের সবাই জানতেন, তিনি ছিলেন বইয়ের পোকা। তাঁর একটি বৃহৎ ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল। গোগ্রাসে গিলতেন সেসব বই। তিনি স্বীকারও করেছেন, কিছু বই তাঁর চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছে। তাঁর পছন্দের বইগুলোর বেশিরভাগই ছিল দর্শন ও প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্পর্কিত।
পিটার এল গ্যালিসন, জেরাল্ড হোলটন এবং সিলভান এস শোয়েবার সম্পাদিত ‘আইনস্টাইন ফর দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ বইয়ে আইনস্টাইনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির একটা বর্ণনা পাওয়া যায়। লেখকেরা বলেছেন, সমসাময়িক প্রভাবশালী সব বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছিল আইনস্টাইনের। এর মধ্যে বোল্টজম্যান, বুচনার, ফ্রেডরিক হেবেল, হেইন, হেলমহোল্টজ এবং ভন হাম্বোল্টের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। আর দার্শনিকদের মধ্যে ছিলেন ইমানুয়েল কান্ট, গটহোল্ড লেসিং, নিটশে এবং শোপেনহাওয়ারের মতো লোকদের বই।
প্রচুর পড়তেন আইনস্টাইন। কিন্তু তাঁর প্রিয় বই কোনটি? আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মতো ঘোর লাগা ধারণার জন্ম যার হাতে, সেই ব্যক্তির প্রিয় বই কী হতে পারে সেই উত্তর দেওয়া সম্ভবত খুব সহজ নয়। এরপরও তাঁর বন্ধু, সহকর্মী, জীবনীকারদের মাধ্যমে আমরা যতটুকু জানতে পারি সেখান থেকে কয়েকটি বইয়ের একটি তালিকা করা যেতে পারে:
আইনস্টাইন নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্বের বিকাশ আর্নেস্ট মাকের দ্বারা প্রভাবিত। মাক উনিশ শতকের একজন অস্ট্রিয়ান দার্শনিক এবং পদার্থবিদ। মাক তাঁর ‘অ্যানালাইসিস অব সেনসেশন’ বা ‘সংবেদন বিশ্লেষণ’ বইতে মানুষের ইন্দ্রিয়ের জটিল প্রকৃতি এবং অহমের পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে লিখেছেন।
মাকের কাজে নিউটনের স্থান ও কাল তত্ত্বের সমালোচনাও রয়েছে। এ সম্পর্কিত আইনস্টাইনের নিজস্ব ধারণার অনুপ্রেরণার বড় উৎস ছিলেন এই ব্যক্তি। প্রকৃতপক্ষে, মাকের ধারণার ভিত্তিতে তৈরি একটি হাইপোথিসিস ‘মাকের নীতি’-এর মতে, জড়তা দুটি দেহের মধ্যে একটি মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়, আইনস্টাইন এই ধারণাকে কাজের কথা বলেই মনে করতেন।
১৯১৫ সালের একটি চিঠিতে আইনস্টাইন মরিৎজ শ্লিককে লিখেছিলেন, অনেক লেখক তাঁর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বিকাশে কীভাবে প্রভাবিত করেছে:
‘আপনি সঠিকভাবেই বুঝেছেন, চিন্তার এই প্রবণতা (পজিটিভিজম বা দৃষ্টবাদ/প্রত্যক্ষবাদ) আমার তত্ত্ব বিকাশ প্রচেষ্টার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে ই. মাক এবং এখনো আরও অনেক বেশি করে হিউম, বোঝাপড়ার বিষয়ে যার লেখালেখি আমি আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিষ্কারের কিছুদিন আগে উৎসাহ এবং মুগ্ধতা নিয়ে পড়েছি। এই সব দার্শনিক অধ্যয়নগুলো ছাড়া সম্ভবত আমি আপেক্ষিকতা নিয়ে একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারতাম না।’
আর্নেস্ট মাক এবং ডেভিড হিউমের কাজ তাঁর চিন্তাভাবনাকে অনুপ্রাণিত, প্রভাবিত করেছিল, সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে আইনস্টাইন মাকের কাজ এবং বিশেষ করে প্রত্যক্ষবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই মতবাদ একটি যুক্তি-কেন্দ্রিক দর্শন যা ধর্মতত্ত্ব এবং অধিবিদ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রতিটি যৌক্তিক দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে যাচাই করা সম্ভব এবং এই ‘প্রত্যক্ষ’ জ্ঞান প্রাকৃতিক ঘটনা এবং তাদের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।
লিওপোল্ড ইনফেল্ড, যিনি আইনস্টাইনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তিনি তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য কোয়েস্ট’-এ লিখেছেন, আইনস্টাইন সারভান্তেসের বিখ্যাত ক্ল্যাসিক ডন কিহোতের গল্প দারুণ পছন্দ করতেন। তিনি লিখেছেন:
‘আইনস্টাইন বিছানায় শুয়ে আছেন, শরীরে কোনো কাপড় নেই। পাশের টেবিলেই পড়ে আছে ডন কিহোতে। এই বইটি আইনস্টাইন সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতেন। মূলত মস্তিষ্ককে একটু বিরতি দিতে এই বই তিনি পড়তেন...।’
বারুচ স্পিনোজা ছিলেন সতেরো শতকের একজন ডাচ ইহুদি দার্শনিক। তাঁর লেখালেখি ইউরোপীয় আলোকায়ন এবং সমসাময়িক বাইবেলের সমালোচনার ভিত্তি তৈরি করেছিল। স্পিনোজার ‘এথিকস’ হলো পশ্চিমা চিন্তাধারার মৌলিক কাজগুলোর অন্যতম। সামগ্রিক বিশ্বতত্ত্ব এবং বাস্তবতার একটি চিত্র বর্ণনার পাশাপাশি একটি নৈতিক জীবনযাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। স্পিনোজার বইটিতে ঈশ্বরকে ‘প্রাকৃতিক নিয়ম’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, বলা হয়েছে, মানুষই ঈশ্বরের নানা রূপ। স্পিনোজার ভাবনায়, যা কিছু ঘটে তা ঈশ্বরের প্রকৃতিকে অনুসরণ করে।
স্পিনোজার ভাষ্য মতে, ঈশ্বরই হচ্ছে মহাবিশ্বের বা প্রকৃতির ‘একমাত্র’ সাবস্ট্যান্স। তিনি লিখেছেন: ‘যা কিছু অস্তিত্বশীল, তা ঈশ্বরের মধ্যেই, ঈশ্বরের ধারণা ছাড়া অন্য কোনো ধারণাকেই গ্রহণ করা সম্ভব নয় এবং গ্রহণ করা হবেও না।’ কিন্তু আজও দার্শনিকেরা এই বাক্যের অর্থ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। সাবস্ট্যান্স বা অন্তঃসার বলতে অন্তর্নিহিত সারবস্তুকে বোঝায়। স্পিনোজার ভেবেছিলেন সবকিছুর সারবস্তু একটাই। তাঁর মতে: “‘সাবস্ট্যান্স’ বলতে আমি বুঝি যা নিজেতেই ব্যাপ্ত এবং যার ধারণা স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যভাবে বললে, যা থেকে অন্য কোনো ধারণার সাহায্য ছাড়াই একটি ধারণার জন্ম হতে পারে।”
স্পিনোজার এই ‘প্যান্থেইজিম’ বা সর্বেশ্বরবাদ অর্থাৎ ঈশ্বর ও প্রকৃতিকে অভেদ কল্পনা ছিল বিশ্ব সম্পর্কে আইনস্টাইনের নিজস্ব আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ। যেমনটি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কি না—এর উত্তরে তিনি রাব্বি হারবার্ট এস গোল্ডস্টেইনকে বলেছিলেন:
‘আমি স্পিনোজার ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, যিনি নিজেকে সমস্ত কিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রকাশ করেন। এমন একজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না যিনি ভাগ্য এবং মানবজাতির কর্মকাণ্ড নিয়ে চিন্তিত।’
আইনস্টাইনের স্বীকারোক্তি অনুসারে, আঠারো শতকের স্কটিশ দার্শনিক ডেভিড হিউমের একটি বই, যেটি বিজ্ঞান এবং মানব প্রকৃতির মধ্যে যোগসূত্র বোঝার একটি প্রচেষ্টা, সেটি তাঁর ওপর দারুণ প্রভাব ফেলেছিল। বৈজ্ঞানিকভাবে নৈতিক দর্শনের বর্ণনায় হিউমের কৃতিত্ব আইনস্টাইনকে অনুপ্রাণিত করেছিল। বইটির মূল আহ্বান—আধিবিদ্যক অনুমান থেকে পর্যবেক্ষণ যোগ্য তথ্যের দিকে দৃষ্টি ফেরানো। হিউমের মতে এটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতাও ছিল— শুধু পর্যবেক্ষণ প্রকৃতির নিয়মকে উপলব্ধি করাতে পারে না। এই অন্তর্দৃষ্টি আইনস্টাইনের কাউন্টার-ইনটুইটিভ (বিরোধমূলক) ধারণাগুলো বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
আইনস্টাইনের লাইব্রেরিতে বৃহৎ সংগ্রহের সবচেয়ে বড় অংশটি ছিল জার্মান লেখক জোহান ফন গ্যেটে। গ্যেটের ৩৬ ভলিউমের একটি সংকলন ছিল আইনস্টাইনের সংগ্রহে। এ ছাড়া এর পাশাপাশি ১২টি খণ্ডের একটি সংগ্রহ এবং দুই খণ্ডের ‘অপটিকস’ (গ্যেটে এবং শিলারের মধ্যে চিঠি বিনিময়) এবং ‘ফাউস্ত’-এর আরেকটি ভলিউম।
আইনস্টাইন তাঁর ঘরে গ্যেটের একটি আবক্ষ মূর্তি রেখেছিলেন। তাঁর জার্মান-ভাষী সহকারীদের কাছে প্রায়ই এই লেখকের উদ্ধৃতি দিতেন তিনি। ১৯৩২ সালে লিওপোল্ড ক্যাসপারকে লেখা একটি চিঠিতে আইনস্টাইন লিখেছিলেন, ‘গ্যেটে এমন একজন কবি যার সমকক্ষ কেউ নেই। সর্বকালের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন তিনি। এমনকি তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ণ ধারণাগুলোও উচ্চ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য এবং তাঁর ত্রুটিগুলোও যে কোনো মহান ব্যক্তিরই মতো।’

মহাবিশ্ব এবং মহাজাগতিক ঘটনা সম্পর্কে মানুষের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যিনি, তিনি আলবার্ট আইনস্টাইন। পৃথিবীতে তাঁর মতো ‘জিনিয়াস’ দ্বিতীয় আর আসবেন কি না সন্দেহ। অনেকে মনে করেন, আইনস্টাইন যা ভেবেছেন, তাঁর মস্তিষ্কের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তা এক কথায় মানুষের পক্ষে অকল্পনীয়। তিনি আসলে ‘জিনিয়াস’ হয়েই জন্মেছিলেন। তাঁর মতো সৌভাগ্যবান আর কেউ পৃথিবীতে নেই!
আসলে বাস্তবতা হলো, আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
আইনস্টাইনের সহকর্মীদের সবাই জানতেন, তিনি ছিলেন বইয়ের পোকা। তাঁর একটি বৃহৎ ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল। গোগ্রাসে গিলতেন সেসব বই। তিনি স্বীকারও করেছেন, কিছু বই তাঁর চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছে। তাঁর পছন্দের বইগুলোর বেশিরভাগই ছিল দর্শন ও প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্পর্কিত।
পিটার এল গ্যালিসন, জেরাল্ড হোলটন এবং সিলভান এস শোয়েবার সম্পাদিত ‘আইনস্টাইন ফর দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ বইয়ে আইনস্টাইনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির একটা বর্ণনা পাওয়া যায়। লেখকেরা বলেছেন, সমসাময়িক প্রভাবশালী সব বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছিল আইনস্টাইনের। এর মধ্যে বোল্টজম্যান, বুচনার, ফ্রেডরিক হেবেল, হেইন, হেলমহোল্টজ এবং ভন হাম্বোল্টের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। আর দার্শনিকদের মধ্যে ছিলেন ইমানুয়েল কান্ট, গটহোল্ড লেসিং, নিটশে এবং শোপেনহাওয়ারের মতো লোকদের বই।
প্রচুর পড়তেন আইনস্টাইন। কিন্তু তাঁর প্রিয় বই কোনটি? আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মতো ঘোর লাগা ধারণার জন্ম যার হাতে, সেই ব্যক্তির প্রিয় বই কী হতে পারে সেই উত্তর দেওয়া সম্ভবত খুব সহজ নয়। এরপরও তাঁর বন্ধু, সহকর্মী, জীবনীকারদের মাধ্যমে আমরা যতটুকু জানতে পারি সেখান থেকে কয়েকটি বইয়ের একটি তালিকা করা যেতে পারে:
আইনস্টাইন নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্বের বিকাশ আর্নেস্ট মাকের দ্বারা প্রভাবিত। মাক উনিশ শতকের একজন অস্ট্রিয়ান দার্শনিক এবং পদার্থবিদ। মাক তাঁর ‘অ্যানালাইসিস অব সেনসেশন’ বা ‘সংবেদন বিশ্লেষণ’ বইতে মানুষের ইন্দ্রিয়ের জটিল প্রকৃতি এবং অহমের পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে লিখেছেন।
মাকের কাজে নিউটনের স্থান ও কাল তত্ত্বের সমালোচনাও রয়েছে। এ সম্পর্কিত আইনস্টাইনের নিজস্ব ধারণার অনুপ্রেরণার বড় উৎস ছিলেন এই ব্যক্তি। প্রকৃতপক্ষে, মাকের ধারণার ভিত্তিতে তৈরি একটি হাইপোথিসিস ‘মাকের নীতি’-এর মতে, জড়তা দুটি দেহের মধ্যে একটি মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়, আইনস্টাইন এই ধারণাকে কাজের কথা বলেই মনে করতেন।
১৯১৫ সালের একটি চিঠিতে আইনস্টাইন মরিৎজ শ্লিককে লিখেছিলেন, অনেক লেখক তাঁর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বিকাশে কীভাবে প্রভাবিত করেছে:
‘আপনি সঠিকভাবেই বুঝেছেন, চিন্তার এই প্রবণতা (পজিটিভিজম বা দৃষ্টবাদ/প্রত্যক্ষবাদ) আমার তত্ত্ব বিকাশ প্রচেষ্টার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে ই. মাক এবং এখনো আরও অনেক বেশি করে হিউম, বোঝাপড়ার বিষয়ে যার লেখালেখি আমি আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিষ্কারের কিছুদিন আগে উৎসাহ এবং মুগ্ধতা নিয়ে পড়েছি। এই সব দার্শনিক অধ্যয়নগুলো ছাড়া সম্ভবত আমি আপেক্ষিকতা নিয়ে একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারতাম না।’
আর্নেস্ট মাক এবং ডেভিড হিউমের কাজ তাঁর চিন্তাভাবনাকে অনুপ্রাণিত, প্রভাবিত করেছিল, সে কথা চিঠিতে উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে আইনস্টাইন মাকের কাজ এবং বিশেষ করে প্রত্যক্ষবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই মতবাদ একটি যুক্তি-কেন্দ্রিক দর্শন যা ধর্মতত্ত্ব এবং অধিবিদ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রতিটি যৌক্তিক দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে যাচাই করা সম্ভব এবং এই ‘প্রত্যক্ষ’ জ্ঞান প্রাকৃতিক ঘটনা এবং তাদের বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।
লিওপোল্ড ইনফেল্ড, যিনি আইনস্টাইনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তিনি তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য কোয়েস্ট’-এ লিখেছেন, আইনস্টাইন সারভান্তেসের বিখ্যাত ক্ল্যাসিক ডন কিহোতের গল্প দারুণ পছন্দ করতেন। তিনি লিখেছেন:
‘আইনস্টাইন বিছানায় শুয়ে আছেন, শরীরে কোনো কাপড় নেই। পাশের টেবিলেই পড়ে আছে ডন কিহোতে। এই বইটি আইনস্টাইন সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতেন। মূলত মস্তিষ্ককে একটু বিরতি দিতে এই বই তিনি পড়তেন...।’
বারুচ স্পিনোজা ছিলেন সতেরো শতকের একজন ডাচ ইহুদি দার্শনিক। তাঁর লেখালেখি ইউরোপীয় আলোকায়ন এবং সমসাময়িক বাইবেলের সমালোচনার ভিত্তি তৈরি করেছিল। স্পিনোজার ‘এথিকস’ হলো পশ্চিমা চিন্তাধারার মৌলিক কাজগুলোর অন্যতম। সামগ্রিক বিশ্বতত্ত্ব এবং বাস্তবতার একটি চিত্র বর্ণনার পাশাপাশি একটি নৈতিক জীবনযাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। স্পিনোজার বইটিতে ঈশ্বরকে ‘প্রাকৃতিক নিয়ম’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, বলা হয়েছে, মানুষই ঈশ্বরের নানা রূপ। স্পিনোজার ভাবনায়, যা কিছু ঘটে তা ঈশ্বরের প্রকৃতিকে অনুসরণ করে।
স্পিনোজার ভাষ্য মতে, ঈশ্বরই হচ্ছে মহাবিশ্বের বা প্রকৃতির ‘একমাত্র’ সাবস্ট্যান্স। তিনি লিখেছেন: ‘যা কিছু অস্তিত্বশীল, তা ঈশ্বরের মধ্যেই, ঈশ্বরের ধারণা ছাড়া অন্য কোনো ধারণাকেই গ্রহণ করা সম্ভব নয় এবং গ্রহণ করা হবেও না।’ কিন্তু আজও দার্শনিকেরা এই বাক্যের অর্থ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। সাবস্ট্যান্স বা অন্তঃসার বলতে অন্তর্নিহিত সারবস্তুকে বোঝায়। স্পিনোজার ভেবেছিলেন সবকিছুর সারবস্তু একটাই। তাঁর মতে: “‘সাবস্ট্যান্স’ বলতে আমি বুঝি যা নিজেতেই ব্যাপ্ত এবং যার ধারণা স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যভাবে বললে, যা থেকে অন্য কোনো ধারণার সাহায্য ছাড়াই একটি ধারণার জন্ম হতে পারে।”
স্পিনোজার এই ‘প্যান্থেইজিম’ বা সর্বেশ্বরবাদ অর্থাৎ ঈশ্বর ও প্রকৃতিকে অভেদ কল্পনা ছিল বিশ্ব সম্পর্কে আইনস্টাইনের নিজস্ব আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ। যেমনটি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কি না—এর উত্তরে তিনি রাব্বি হারবার্ট এস গোল্ডস্টেইনকে বলেছিলেন:
‘আমি স্পিনোজার ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, যিনি নিজেকে সমস্ত কিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রকাশ করেন। এমন একজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না যিনি ভাগ্য এবং মানবজাতির কর্মকাণ্ড নিয়ে চিন্তিত।’
আইনস্টাইনের স্বীকারোক্তি অনুসারে, আঠারো শতকের স্কটিশ দার্শনিক ডেভিড হিউমের একটি বই, যেটি বিজ্ঞান এবং মানব প্রকৃতির মধ্যে যোগসূত্র বোঝার একটি প্রচেষ্টা, সেটি তাঁর ওপর দারুণ প্রভাব ফেলেছিল। বৈজ্ঞানিকভাবে নৈতিক দর্শনের বর্ণনায় হিউমের কৃতিত্ব আইনস্টাইনকে অনুপ্রাণিত করেছিল। বইটির মূল আহ্বান—আধিবিদ্যক অনুমান থেকে পর্যবেক্ষণ যোগ্য তথ্যের দিকে দৃষ্টি ফেরানো। হিউমের মতে এটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতাও ছিল— শুধু পর্যবেক্ষণ প্রকৃতির নিয়মকে উপলব্ধি করাতে পারে না। এই অন্তর্দৃষ্টি আইনস্টাইনের কাউন্টার-ইনটুইটিভ (বিরোধমূলক) ধারণাগুলো বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
আইনস্টাইনের লাইব্রেরিতে বৃহৎ সংগ্রহের সবচেয়ে বড় অংশটি ছিল জার্মান লেখক জোহান ফন গ্যেটে। গ্যেটের ৩৬ ভলিউমের একটি সংকলন ছিল আইনস্টাইনের সংগ্রহে। এ ছাড়া এর পাশাপাশি ১২টি খণ্ডের একটি সংগ্রহ এবং দুই খণ্ডের ‘অপটিকস’ (গ্যেটে এবং শিলারের মধ্যে চিঠি বিনিময়) এবং ‘ফাউস্ত’-এর আরেকটি ভলিউম।
আইনস্টাইন তাঁর ঘরে গ্যেটের একটি আবক্ষ মূর্তি রেখেছিলেন। তাঁর জার্মান-ভাষী সহকারীদের কাছে প্রায়ই এই লেখকের উদ্ধৃতি দিতেন তিনি। ১৯৩২ সালে লিওপোল্ড ক্যাসপারকে লেখা একটি চিঠিতে আইনস্টাইন লিখেছিলেন, ‘গ্যেটে এমন একজন কবি যার সমকক্ষ কেউ নেই। সর্বকালের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন তিনি। এমনকি তাঁর পাণ্ডিত্যপূর্ণ ধারণাগুলোও উচ্চ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য এবং তাঁর ত্রুটিগুলোও যে কোনো মহান ব্যক্তিরই মতো।’

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
১ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
০৫ আগস্ট ২০২২
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
০৫ আগস্ট ২০২২
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
১ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
০৫ আগস্ট ২০২২
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
১ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

আইনস্টাইন আকাশ থেকে পড়েননি, ভিনগ্রহের কোনো অতি বুদ্ধিমান প্রাণীর মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাননি। এত অর্জন ও বৈপ্লবিক ভাবনার দুয়ার খুলে মানুষকে মহাবিশ্ব দেখার সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আইনস্টাইনের অবিশ্বাস্য অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
০৫ আগস্ট ২০২২
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
১ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে