
আগামীকাল ঈদুল আজহা। কোরবানির জন্য গরু কিনে ফেলেছেন অনেকেই, কেউ আবার এখনো গরুর হাটে ছোটাছুটি করছেন গরু কিনতে। অর্থাৎ গরুর দিকে এখন সবার নজর। এই সুযোগে গরু নিয়ে মজার কিছু তথ্য দিচ্ছি। এর মধ্যে আছে প্রথম উড়োজাহাজে চড়া গরু, গরুর জন্য যুদ্ধ, সবচেয়ে বড় গরু, ছোট গরু, দামি গরুসহ গরুবিষয়ক আরও নানান খবর।
১. বুনো গরু থেকে পোষা বা গৃহপালিত গরুর উৎপত্তি হয়। যত দূর জানা যায়, আজ থেকে ১০ হাজার ৫০০ বছর আগে প্রথম গৃহপালিত গরুর উদ্ভব হয় বর্তমান তুরস্কে। এই গরুদের নাম তরিন কাউ। মোটামুটি ৭ হাজার বছর আগে জেবু ক্যাটল নামে আরেক ধরনের গৃহপালিত গরুর উদ্ভব হয় ভারতে।
২. গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরুর তকমাটি ব্লোসম নামের একটি স্ত্রী হলস্টেইন গরুর দখলে। প্রায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (৭৪.৮ ইঞ্চি) উচ্চতার গরুটি অবশ্য মারা যায় ২০১৫ সালে। মজার ঘটনা, ব্লোসম যে বছর মারা যায় অর্থাৎ ২০১৫ সালে, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ একে দীর্ঘতম জীবিত গরুর মর্যাদা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েসের অরেঞ্জভিলে ব্লোসমের মালিক পেটি মিডস–হ্যানসনের বাড়িতে গিয়ে যাচাই করে স্বীকৃতিটি দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই বছরের মে মাসে পায়ের ক্ষতের কারণে ১৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে ব্লোসম। তারপর অবশ্য একে এযাবৎকালের দীর্ঘতম গরুর স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
মিডস-হ্যানসন জানান, গরুটি আসলে ছিল তাঁর বাবার। ওটার বয়স যখন দুই মাস, তখন থেকে তাঁদের অরেঞ্জভিলের খামারে এটিকে লালনপালন শুরু করেন। গরুটি জন্মের সময় সাধারণ একটি বাছুরের দ্বিগুণ ছিল গায়ে-গতরে। মারা যাওয়ার আগে এটার ওজন ছিল ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড।
আগের রেকর্ডের মালিক ছিলেন মাউন্ট কাতাহদিন। ১৯০০ সালের প্রথম দশকে রেকর্ডটি নিজের ঝুলিতে পুরে গরুটি। কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা ছিল ছয় ফুট দুই ইঞ্চি। এক অগ্নি দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৩. দুঃখজনক ঘটনা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরু ব্লোসম যেমন পৃথিবী বিদায় নিয়েছে তেমনি মারা গেছে গিনেস বুকের হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট গরু রানিও। গরুটি কিন্তু ছিল বাংলাদেশে। তাও সাভারে। মাত্র ২০ ইঞ্চি উচ্চতার রানির ওজন ছিল ২৬ কেজি। দুই বছরের ভুটানি জাতের গরুটি মারা যায় ২০২১ সালের আগস্টে। রানি বড় হয় শিকড় অ্যাগ্রো লিমিটেড নামের একটি খামারে।
এর আগ পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট প্রাপ্তবয়স্ক গরুটির নাম মানিকিয়াম। উচ্চতা মোটে দুই ফুট, একটা ল্যাব্রাডার কুকুরের চেয়েও ছোট। দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালার আথোলিতে বাস মানিকিয়ামের। ওটার মালিক অক্ষয় এনভি নামের এক লোক। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেকর্ডটি ছিল তার ঝুলিতে।
৪. গরুর হজম প্রক্রিয়ায় ঢেকুর এবং বায়ু ছাড়ার মাধ্যমে প্রচুর গ্রিনহাউস গ্যাস, বিশেষ করে মিথেন বাতাসে ছেড়ে দেয়। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বলা হয় এ ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাসের ১৪.৫ শতাংশ আসে গবাদিপশু থেকে।
৫. অনেক সময় বলা হয় গরুর চারটি পাকস্থলী আছে। সত্যি কথা হলো গরুর একটা বড় পাকস্থলী আছে, চার মধ্যে চারটি ভাগ আছে। এই চারটি অংশের কাজ অবশ্য আলাদা।
৬. পৃথিবীর বড় খামারগুলোর অনেকগুলোর অবস্থানই চীন কিংবা অস্ট্রেলিয়ায়। অবশ্য সব ধরনের খামার এক রকম নয়। কোনো খামারের লক্ষ্য থাকে কৃষিপণ্য উৎপাদনে। অন্যরা আবার পশুপালনের জন্য বিখ্যাত। তবে এই খামারগুলোর মধ্যে মুদানজিয়াংয়ের হিসেবটা আলাদা। কারণ একে বিবেচনা করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খামার হিসেবে।
কোনো কোনো সূত্রে এর আয়তন ২ কোটি ২৫ লাখ একর বা ৯১ হাজার ৫৪ বর্গকিলোমিটার বলা হলেও অন্য কোনো সূত্রের হিসেবে এর আকার মোটে ২ লাখ হেক্টর বা ২ হাজার বর্গকিলোমিটার। সেক্ষেত্রে অবশ্য আর একে সবচেয়ে বড় খামার বলা যাবে না। খামারটিতে গরু আছে এক লাখের বেশি। এটাও যদি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে না পারে তাহলে বলি, খামারটি প্রতি বছর উৎপাদন করে ৮০ কোটি লিটার গরুর দুধ।
খামারটির অবস্থান উত্তর–পূর্ব চীনের মুদানজিয়াং এলাকায়। এই জায়গাটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে। মজার ঘটনা এই খামারের গরুগুলো কিন্তু চীনা গরু নয়। বরং নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, উরুগুয়ে ও চীন থেকে এখানে উন্নত জাতের গরু আমদানি করা হয়। তবে এই খামারে সাধারণত গরুদের উন্মুক্ত জায়গায় রাখা হয় না। বরং দালানের ভেতরে রেখে যত্ন করা হয়।
২০১৫ সালে খামারটি প্রতিষ্ঠিত করা হয় মূলত রাশিয়ায় দুগ্ধজাত বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের জন্য। গরুর খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য নানা ধরনের শস্যেরও চাষ করা হয়।
পৃথিবীর বড় খামারগুলোর আরেকটি চায়না মডার্ন ডেয়ারি। এতে গরুর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার। তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার অ্যানা ক্রিক নামের খামারটি। ৬০ লাখ একরের খামারটিতে গবাদিপশু অবশ্য খুব বেশি নেই, মোটে ৯ হাজার ৫০০। বড় খামারগুলোর তালিকায় আছে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি খামারও। ৪২ লাখ একরের খামারটির নাম ক্লিফটন হিলস, পশু আছে ১৪ হাজার। তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরির আলেকজান্দ্রিয়া। এতে পশু আছে ৫৫ হাজার।
৭. আজ থেকে ৯৩ বছর আগেও উড়োজাহাজে চড়েছিল গরু। এর নাম এলম ফার্ম ওলি। ১৯৩০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির সেন্ট লুইসে একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে প্লেনে চড়ার সৌভাগ্য হয় এই গরুটির। মজার ঘটনা ওই যাত্রার সময় গরুটি থেকে ২২ লিটার দুধও সংগ্রহ করা হয়।
৮. গরু নিয়ে যুদ্ধও হয়েছে। ১২৭২-৭৮ সাল পর্যন্ত ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে হয়েছিল ওয়ার অব দ্য কাউ। যুদ্ধ বাঁধে একটি গরু চুরিকে কেন্দ্র করে।
৯. কানাডার আলবার্টার পোনোকার মোরসান খামার নাম কামিয়েছে দুষ্প্রাপ্য জাতের গরুর জন্য। এখানকার গরুগুলো বিক্রি হয় চড়া দামে। মিজি নামের একটি গরু অবশ্য এক্ষেত্রে ছাড়িয়ে গেছে অন্যদের। ২০০৯ সালে টরেন্টোয় এক নিলামে এটি বিক্রি হয় ১২ লাখ ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি টাকায়।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, ট্রি হাগার ডট কম, এ জেড অ্যানিমেলস, পোনাকো নিউজ, উইকিপিডিয়া

আগামীকাল ঈদুল আজহা। কোরবানির জন্য গরু কিনে ফেলেছেন অনেকেই, কেউ আবার এখনো গরুর হাটে ছোটাছুটি করছেন গরু কিনতে। অর্থাৎ গরুর দিকে এখন সবার নজর। এই সুযোগে গরু নিয়ে মজার কিছু তথ্য দিচ্ছি। এর মধ্যে আছে প্রথম উড়োজাহাজে চড়া গরু, গরুর জন্য যুদ্ধ, সবচেয়ে বড় গরু, ছোট গরু, দামি গরুসহ গরুবিষয়ক আরও নানান খবর।
১. বুনো গরু থেকে পোষা বা গৃহপালিত গরুর উৎপত্তি হয়। যত দূর জানা যায়, আজ থেকে ১০ হাজার ৫০০ বছর আগে প্রথম গৃহপালিত গরুর উদ্ভব হয় বর্তমান তুরস্কে। এই গরুদের নাম তরিন কাউ। মোটামুটি ৭ হাজার বছর আগে জেবু ক্যাটল নামে আরেক ধরনের গৃহপালিত গরুর উদ্ভব হয় ভারতে।
২. গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরুর তকমাটি ব্লোসম নামের একটি স্ত্রী হলস্টেইন গরুর দখলে। প্রায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (৭৪.৮ ইঞ্চি) উচ্চতার গরুটি অবশ্য মারা যায় ২০১৫ সালে। মজার ঘটনা, ব্লোসম যে বছর মারা যায় অর্থাৎ ২০১৫ সালে, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ একে দীর্ঘতম জীবিত গরুর মর্যাদা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েসের অরেঞ্জভিলে ব্লোসমের মালিক পেটি মিডস–হ্যানসনের বাড়িতে গিয়ে যাচাই করে স্বীকৃতিটি দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই বছরের মে মাসে পায়ের ক্ষতের কারণে ১৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে ব্লোসম। তারপর অবশ্য একে এযাবৎকালের দীর্ঘতম গরুর স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
মিডস-হ্যানসন জানান, গরুটি আসলে ছিল তাঁর বাবার। ওটার বয়স যখন দুই মাস, তখন থেকে তাঁদের অরেঞ্জভিলের খামারে এটিকে লালনপালন শুরু করেন। গরুটি জন্মের সময় সাধারণ একটি বাছুরের দ্বিগুণ ছিল গায়ে-গতরে। মারা যাওয়ার আগে এটার ওজন ছিল ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড।
আগের রেকর্ডের মালিক ছিলেন মাউন্ট কাতাহদিন। ১৯০০ সালের প্রথম দশকে রেকর্ডটি নিজের ঝুলিতে পুরে গরুটি। কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা ছিল ছয় ফুট দুই ইঞ্চি। এক অগ্নি দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৩. দুঃখজনক ঘটনা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরু ব্লোসম যেমন পৃথিবী বিদায় নিয়েছে তেমনি মারা গেছে গিনেস বুকের হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট গরু রানিও। গরুটি কিন্তু ছিল বাংলাদেশে। তাও সাভারে। মাত্র ২০ ইঞ্চি উচ্চতার রানির ওজন ছিল ২৬ কেজি। দুই বছরের ভুটানি জাতের গরুটি মারা যায় ২০২১ সালের আগস্টে। রানি বড় হয় শিকড় অ্যাগ্রো লিমিটেড নামের একটি খামারে।
এর আগ পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট প্রাপ্তবয়স্ক গরুটির নাম মানিকিয়াম। উচ্চতা মোটে দুই ফুট, একটা ল্যাব্রাডার কুকুরের চেয়েও ছোট। দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালার আথোলিতে বাস মানিকিয়ামের। ওটার মালিক অক্ষয় এনভি নামের এক লোক। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেকর্ডটি ছিল তার ঝুলিতে।
৪. গরুর হজম প্রক্রিয়ায় ঢেকুর এবং বায়ু ছাড়ার মাধ্যমে প্রচুর গ্রিনহাউস গ্যাস, বিশেষ করে মিথেন বাতাসে ছেড়ে দেয়। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বলা হয় এ ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাসের ১৪.৫ শতাংশ আসে গবাদিপশু থেকে।
৫. অনেক সময় বলা হয় গরুর চারটি পাকস্থলী আছে। সত্যি কথা হলো গরুর একটা বড় পাকস্থলী আছে, চার মধ্যে চারটি ভাগ আছে। এই চারটি অংশের কাজ অবশ্য আলাদা।
৬. পৃথিবীর বড় খামারগুলোর অনেকগুলোর অবস্থানই চীন কিংবা অস্ট্রেলিয়ায়। অবশ্য সব ধরনের খামার এক রকম নয়। কোনো খামারের লক্ষ্য থাকে কৃষিপণ্য উৎপাদনে। অন্যরা আবার পশুপালনের জন্য বিখ্যাত। তবে এই খামারগুলোর মধ্যে মুদানজিয়াংয়ের হিসেবটা আলাদা। কারণ একে বিবেচনা করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খামার হিসেবে।
কোনো কোনো সূত্রে এর আয়তন ২ কোটি ২৫ লাখ একর বা ৯১ হাজার ৫৪ বর্গকিলোমিটার বলা হলেও অন্য কোনো সূত্রের হিসেবে এর আকার মোটে ২ লাখ হেক্টর বা ২ হাজার বর্গকিলোমিটার। সেক্ষেত্রে অবশ্য আর একে সবচেয়ে বড় খামার বলা যাবে না। খামারটিতে গরু আছে এক লাখের বেশি। এটাও যদি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে না পারে তাহলে বলি, খামারটি প্রতি বছর উৎপাদন করে ৮০ কোটি লিটার গরুর দুধ।
খামারটির অবস্থান উত্তর–পূর্ব চীনের মুদানজিয়াং এলাকায়। এই জায়গাটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে। মজার ঘটনা এই খামারের গরুগুলো কিন্তু চীনা গরু নয়। বরং নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, উরুগুয়ে ও চীন থেকে এখানে উন্নত জাতের গরু আমদানি করা হয়। তবে এই খামারে সাধারণত গরুদের উন্মুক্ত জায়গায় রাখা হয় না। বরং দালানের ভেতরে রেখে যত্ন করা হয়।
২০১৫ সালে খামারটি প্রতিষ্ঠিত করা হয় মূলত রাশিয়ায় দুগ্ধজাত বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের জন্য। গরুর খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য নানা ধরনের শস্যেরও চাষ করা হয়।
পৃথিবীর বড় খামারগুলোর আরেকটি চায়না মডার্ন ডেয়ারি। এতে গরুর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার। তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার অ্যানা ক্রিক নামের খামারটি। ৬০ লাখ একরের খামারটিতে গবাদিপশু অবশ্য খুব বেশি নেই, মোটে ৯ হাজার ৫০০। বড় খামারগুলোর তালিকায় আছে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি খামারও। ৪২ লাখ একরের খামারটির নাম ক্লিফটন হিলস, পশু আছে ১৪ হাজার। তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরির আলেকজান্দ্রিয়া। এতে পশু আছে ৫৫ হাজার।
৭. আজ থেকে ৯৩ বছর আগেও উড়োজাহাজে চড়েছিল গরু। এর নাম এলম ফার্ম ওলি। ১৯৩০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির সেন্ট লুইসে একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে প্লেনে চড়ার সৌভাগ্য হয় এই গরুটির। মজার ঘটনা ওই যাত্রার সময় গরুটি থেকে ২২ লিটার দুধও সংগ্রহ করা হয়।
৮. গরু নিয়ে যুদ্ধও হয়েছে। ১২৭২-৭৮ সাল পর্যন্ত ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে হয়েছিল ওয়ার অব দ্য কাউ। যুদ্ধ বাঁধে একটি গরু চুরিকে কেন্দ্র করে।
৯. কানাডার আলবার্টার পোনোকার মোরসান খামার নাম কামিয়েছে দুষ্প্রাপ্য জাতের গরুর জন্য। এখানকার গরুগুলো বিক্রি হয় চড়া দামে। মিজি নামের একটি গরু অবশ্য এক্ষেত্রে ছাড়িয়ে গেছে অন্যদের। ২০০৯ সালে টরেন্টোয় এক নিলামে এটি বিক্রি হয় ১২ লাখ ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি টাকায়।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, ট্রি হাগার ডট কম, এ জেড অ্যানিমেলস, পোনাকো নিউজ, উইকিপিডিয়া

আগামীকাল ঈদুল আজহা। কোরবানির জন্য গরু কিনে ফেলেছেন অনেকেই, কেউ আবার এখনো গরুর হাটে ছোটাছুটি করছেন গরু কিনতে। অর্থাৎ গরুর দিকে এখন সবার নজর। এই সুযোগে গরু নিয়ে মজার কিছু তথ্য দিচ্ছি। এর মধ্যে আছে প্রথম উড়োজাহাজে চড়া গরু, গরুর জন্য যুদ্ধ, সবচেয়ে বড় গরু, ছোট গরু, দামি গরুসহ গরুবিষয়ক আরও নানান খবর।
১. বুনো গরু থেকে পোষা বা গৃহপালিত গরুর উৎপত্তি হয়। যত দূর জানা যায়, আজ থেকে ১০ হাজার ৫০০ বছর আগে প্রথম গৃহপালিত গরুর উদ্ভব হয় বর্তমান তুরস্কে। এই গরুদের নাম তরিন কাউ। মোটামুটি ৭ হাজার বছর আগে জেবু ক্যাটল নামে আরেক ধরনের গৃহপালিত গরুর উদ্ভব হয় ভারতে।
২. গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরুর তকমাটি ব্লোসম নামের একটি স্ত্রী হলস্টেইন গরুর দখলে। প্রায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (৭৪.৮ ইঞ্চি) উচ্চতার গরুটি অবশ্য মারা যায় ২০১৫ সালে। মজার ঘটনা, ব্লোসম যে বছর মারা যায় অর্থাৎ ২০১৫ সালে, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ একে দীর্ঘতম জীবিত গরুর মর্যাদা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েসের অরেঞ্জভিলে ব্লোসমের মালিক পেটি মিডস–হ্যানসনের বাড়িতে গিয়ে যাচাই করে স্বীকৃতিটি দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই বছরের মে মাসে পায়ের ক্ষতের কারণে ১৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে ব্লোসম। তারপর অবশ্য একে এযাবৎকালের দীর্ঘতম গরুর স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
মিডস-হ্যানসন জানান, গরুটি আসলে ছিল তাঁর বাবার। ওটার বয়স যখন দুই মাস, তখন থেকে তাঁদের অরেঞ্জভিলের খামারে এটিকে লালনপালন শুরু করেন। গরুটি জন্মের সময় সাধারণ একটি বাছুরের দ্বিগুণ ছিল গায়ে-গতরে। মারা যাওয়ার আগে এটার ওজন ছিল ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড।
আগের রেকর্ডের মালিক ছিলেন মাউন্ট কাতাহদিন। ১৯০০ সালের প্রথম দশকে রেকর্ডটি নিজের ঝুলিতে পুরে গরুটি। কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা ছিল ছয় ফুট দুই ইঞ্চি। এক অগ্নি দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৩. দুঃখজনক ঘটনা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরু ব্লোসম যেমন পৃথিবী বিদায় নিয়েছে তেমনি মারা গেছে গিনেস বুকের হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট গরু রানিও। গরুটি কিন্তু ছিল বাংলাদেশে। তাও সাভারে। মাত্র ২০ ইঞ্চি উচ্চতার রানির ওজন ছিল ২৬ কেজি। দুই বছরের ভুটানি জাতের গরুটি মারা যায় ২০২১ সালের আগস্টে। রানি বড় হয় শিকড় অ্যাগ্রো লিমিটেড নামের একটি খামারে।
এর আগ পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট প্রাপ্তবয়স্ক গরুটির নাম মানিকিয়াম। উচ্চতা মোটে দুই ফুট, একটা ল্যাব্রাডার কুকুরের চেয়েও ছোট। দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালার আথোলিতে বাস মানিকিয়ামের। ওটার মালিক অক্ষয় এনভি নামের এক লোক। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেকর্ডটি ছিল তার ঝুলিতে।
৪. গরুর হজম প্রক্রিয়ায় ঢেকুর এবং বায়ু ছাড়ার মাধ্যমে প্রচুর গ্রিনহাউস গ্যাস, বিশেষ করে মিথেন বাতাসে ছেড়ে দেয়। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বলা হয় এ ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাসের ১৪.৫ শতাংশ আসে গবাদিপশু থেকে।
৫. অনেক সময় বলা হয় গরুর চারটি পাকস্থলী আছে। সত্যি কথা হলো গরুর একটা বড় পাকস্থলী আছে, চার মধ্যে চারটি ভাগ আছে। এই চারটি অংশের কাজ অবশ্য আলাদা।
৬. পৃথিবীর বড় খামারগুলোর অনেকগুলোর অবস্থানই চীন কিংবা অস্ট্রেলিয়ায়। অবশ্য সব ধরনের খামার এক রকম নয়। কোনো খামারের লক্ষ্য থাকে কৃষিপণ্য উৎপাদনে। অন্যরা আবার পশুপালনের জন্য বিখ্যাত। তবে এই খামারগুলোর মধ্যে মুদানজিয়াংয়ের হিসেবটা আলাদা। কারণ একে বিবেচনা করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খামার হিসেবে।
কোনো কোনো সূত্রে এর আয়তন ২ কোটি ২৫ লাখ একর বা ৯১ হাজার ৫৪ বর্গকিলোমিটার বলা হলেও অন্য কোনো সূত্রের হিসেবে এর আকার মোটে ২ লাখ হেক্টর বা ২ হাজার বর্গকিলোমিটার। সেক্ষেত্রে অবশ্য আর একে সবচেয়ে বড় খামার বলা যাবে না। খামারটিতে গরু আছে এক লাখের বেশি। এটাও যদি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে না পারে তাহলে বলি, খামারটি প্রতি বছর উৎপাদন করে ৮০ কোটি লিটার গরুর দুধ।
খামারটির অবস্থান উত্তর–পূর্ব চীনের মুদানজিয়াং এলাকায়। এই জায়গাটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে। মজার ঘটনা এই খামারের গরুগুলো কিন্তু চীনা গরু নয়। বরং নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, উরুগুয়ে ও চীন থেকে এখানে উন্নত জাতের গরু আমদানি করা হয়। তবে এই খামারে সাধারণত গরুদের উন্মুক্ত জায়গায় রাখা হয় না। বরং দালানের ভেতরে রেখে যত্ন করা হয়।
২০১৫ সালে খামারটি প্রতিষ্ঠিত করা হয় মূলত রাশিয়ায় দুগ্ধজাত বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের জন্য। গরুর খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য নানা ধরনের শস্যেরও চাষ করা হয়।
পৃথিবীর বড় খামারগুলোর আরেকটি চায়না মডার্ন ডেয়ারি। এতে গরুর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার। তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার অ্যানা ক্রিক নামের খামারটি। ৬০ লাখ একরের খামারটিতে গবাদিপশু অবশ্য খুব বেশি নেই, মোটে ৯ হাজার ৫০০। বড় খামারগুলোর তালিকায় আছে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি খামারও। ৪২ লাখ একরের খামারটির নাম ক্লিফটন হিলস, পশু আছে ১৪ হাজার। তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরির আলেকজান্দ্রিয়া। এতে পশু আছে ৫৫ হাজার।
৭. আজ থেকে ৯৩ বছর আগেও উড়োজাহাজে চড়েছিল গরু। এর নাম এলম ফার্ম ওলি। ১৯৩০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির সেন্ট লুইসে একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে প্লেনে চড়ার সৌভাগ্য হয় এই গরুটির। মজার ঘটনা ওই যাত্রার সময় গরুটি থেকে ২২ লিটার দুধও সংগ্রহ করা হয়।
৮. গরু নিয়ে যুদ্ধও হয়েছে। ১২৭২-৭৮ সাল পর্যন্ত ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে হয়েছিল ওয়ার অব দ্য কাউ। যুদ্ধ বাঁধে একটি গরু চুরিকে কেন্দ্র করে।
৯. কানাডার আলবার্টার পোনোকার মোরসান খামার নাম কামিয়েছে দুষ্প্রাপ্য জাতের গরুর জন্য। এখানকার গরুগুলো বিক্রি হয় চড়া দামে। মিজি নামের একটি গরু অবশ্য এক্ষেত্রে ছাড়িয়ে গেছে অন্যদের। ২০০৯ সালে টরেন্টোয় এক নিলামে এটি বিক্রি হয় ১২ লাখ ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি টাকায়।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, ট্রি হাগার ডট কম, এ জেড অ্যানিমেলস, পোনাকো নিউজ, উইকিপিডিয়া

আগামীকাল ঈদুল আজহা। কোরবানির জন্য গরু কিনে ফেলেছেন অনেকেই, কেউ আবার এখনো গরুর হাটে ছোটাছুটি করছেন গরু কিনতে। অর্থাৎ গরুর দিকে এখন সবার নজর। এই সুযোগে গরু নিয়ে মজার কিছু তথ্য দিচ্ছি। এর মধ্যে আছে প্রথম উড়োজাহাজে চড়া গরু, গরুর জন্য যুদ্ধ, সবচেয়ে বড় গরু, ছোট গরু, দামি গরুসহ গরুবিষয়ক আরও নানান খবর।
১. বুনো গরু থেকে পোষা বা গৃহপালিত গরুর উৎপত্তি হয়। যত দূর জানা যায়, আজ থেকে ১০ হাজার ৫০০ বছর আগে প্রথম গৃহপালিত গরুর উদ্ভব হয় বর্তমান তুরস্কে। এই গরুদের নাম তরিন কাউ। মোটামুটি ৭ হাজার বছর আগে জেবু ক্যাটল নামে আরেক ধরনের গৃহপালিত গরুর উদ্ভব হয় ভারতে।
২. গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরুর তকমাটি ব্লোসম নামের একটি স্ত্রী হলস্টেইন গরুর দখলে। প্রায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (৭৪.৮ ইঞ্চি) উচ্চতার গরুটি অবশ্য মারা যায় ২০১৫ সালে। মজার ঘটনা, ব্লোসম যে বছর মারা যায় অর্থাৎ ২০১৫ সালে, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ একে দীর্ঘতম জীবিত গরুর মর্যাদা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েসের অরেঞ্জভিলে ব্লোসমের মালিক পেটি মিডস–হ্যানসনের বাড়িতে গিয়ে যাচাই করে স্বীকৃতিটি দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই বছরের মে মাসে পায়ের ক্ষতের কারণে ১৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে ব্লোসম। তারপর অবশ্য একে এযাবৎকালের দীর্ঘতম গরুর স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
মিডস-হ্যানসন জানান, গরুটি আসলে ছিল তাঁর বাবার। ওটার বয়স যখন দুই মাস, তখন থেকে তাঁদের অরেঞ্জভিলের খামারে এটিকে লালনপালন শুরু করেন। গরুটি জন্মের সময় সাধারণ একটি বাছুরের দ্বিগুণ ছিল গায়ে-গতরে। মারা যাওয়ার আগে এটার ওজন ছিল ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড।
আগের রেকর্ডের মালিক ছিলেন মাউন্ট কাতাহদিন। ১৯০০ সালের প্রথম দশকে রেকর্ডটি নিজের ঝুলিতে পুরে গরুটি। কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা ছিল ছয় ফুট দুই ইঞ্চি। এক অগ্নি দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৩. দুঃখজনক ঘটনা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরু ব্লোসম যেমন পৃথিবী বিদায় নিয়েছে তেমনি মারা গেছে গিনেস বুকের হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট গরু রানিও। গরুটি কিন্তু ছিল বাংলাদেশে। তাও সাভারে। মাত্র ২০ ইঞ্চি উচ্চতার রানির ওজন ছিল ২৬ কেজি। দুই বছরের ভুটানি জাতের গরুটি মারা যায় ২০২১ সালের আগস্টে। রানি বড় হয় শিকড় অ্যাগ্রো লিমিটেড নামের একটি খামারে।
এর আগ পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট প্রাপ্তবয়স্ক গরুটির নাম মানিকিয়াম। উচ্চতা মোটে দুই ফুট, একটা ল্যাব্রাডার কুকুরের চেয়েও ছোট। দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালার আথোলিতে বাস মানিকিয়ামের। ওটার মালিক অক্ষয় এনভি নামের এক লোক। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেকর্ডটি ছিল তার ঝুলিতে।
৪. গরুর হজম প্রক্রিয়ায় ঢেকুর এবং বায়ু ছাড়ার মাধ্যমে প্রচুর গ্রিনহাউস গ্যাস, বিশেষ করে মিথেন বাতাসে ছেড়ে দেয়। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বলা হয় এ ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাসের ১৪.৫ শতাংশ আসে গবাদিপশু থেকে।
৫. অনেক সময় বলা হয় গরুর চারটি পাকস্থলী আছে। সত্যি কথা হলো গরুর একটা বড় পাকস্থলী আছে, চার মধ্যে চারটি ভাগ আছে। এই চারটি অংশের কাজ অবশ্য আলাদা।
৬. পৃথিবীর বড় খামারগুলোর অনেকগুলোর অবস্থানই চীন কিংবা অস্ট্রেলিয়ায়। অবশ্য সব ধরনের খামার এক রকম নয়। কোনো খামারের লক্ষ্য থাকে কৃষিপণ্য উৎপাদনে। অন্যরা আবার পশুপালনের জন্য বিখ্যাত। তবে এই খামারগুলোর মধ্যে মুদানজিয়াংয়ের হিসেবটা আলাদা। কারণ একে বিবেচনা করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খামার হিসেবে।
কোনো কোনো সূত্রে এর আয়তন ২ কোটি ২৫ লাখ একর বা ৯১ হাজার ৫৪ বর্গকিলোমিটার বলা হলেও অন্য কোনো সূত্রের হিসেবে এর আকার মোটে ২ লাখ হেক্টর বা ২ হাজার বর্গকিলোমিটার। সেক্ষেত্রে অবশ্য আর একে সবচেয়ে বড় খামার বলা যাবে না। খামারটিতে গরু আছে এক লাখের বেশি। এটাও যদি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে না পারে তাহলে বলি, খামারটি প্রতি বছর উৎপাদন করে ৮০ কোটি লিটার গরুর দুধ।
খামারটির অবস্থান উত্তর–পূর্ব চীনের মুদানজিয়াং এলাকায়। এই জায়গাটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে। মজার ঘটনা এই খামারের গরুগুলো কিন্তু চীনা গরু নয়। বরং নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, উরুগুয়ে ও চীন থেকে এখানে উন্নত জাতের গরু আমদানি করা হয়। তবে এই খামারে সাধারণত গরুদের উন্মুক্ত জায়গায় রাখা হয় না। বরং দালানের ভেতরে রেখে যত্ন করা হয়।
২০১৫ সালে খামারটি প্রতিষ্ঠিত করা হয় মূলত রাশিয়ায় দুগ্ধজাত বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের জন্য। গরুর খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য নানা ধরনের শস্যেরও চাষ করা হয়।
পৃথিবীর বড় খামারগুলোর আরেকটি চায়না মডার্ন ডেয়ারি। এতে গরুর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার। তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার অ্যানা ক্রিক নামের খামারটি। ৬০ লাখ একরের খামারটিতে গবাদিপশু অবশ্য খুব বেশি নেই, মোটে ৯ হাজার ৫০০। বড় খামারগুলোর তালিকায় আছে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি খামারও। ৪২ লাখ একরের খামারটির নাম ক্লিফটন হিলস, পশু আছে ১৪ হাজার। তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরির আলেকজান্দ্রিয়া। এতে পশু আছে ৫৫ হাজার।
৭. আজ থেকে ৯৩ বছর আগেও উড়োজাহাজে চড়েছিল গরু। এর নাম এলম ফার্ম ওলি। ১৯৩০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরির সেন্ট লুইসে একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে প্লেনে চড়ার সৌভাগ্য হয় এই গরুটির। মজার ঘটনা ওই যাত্রার সময় গরুটি থেকে ২২ লিটার দুধও সংগ্রহ করা হয়।
৮. গরু নিয়ে যুদ্ধও হয়েছে। ১২৭২-৭৮ সাল পর্যন্ত ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে হয়েছিল ওয়ার অব দ্য কাউ। যুদ্ধ বাঁধে একটি গরু চুরিকে কেন্দ্র করে।
৯. কানাডার আলবার্টার পোনোকার মোরসান খামার নাম কামিয়েছে দুষ্প্রাপ্য জাতের গরুর জন্য। এখানকার গরুগুলো বিক্রি হয় চড়া দামে। মিজি নামের একটি গরু অবশ্য এক্ষেত্রে ছাড়িয়ে গেছে অন্যদের। ২০০৯ সালে টরেন্টোয় এক নিলামে এটি বিক্রি হয় ১২ লাখ ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি টাকায়।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, ট্রি হাগার ডট কম, এ জেড অ্যানিমেলস, পোনাকো নিউজ, উইকিপিডিয়া

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ ঘণ্টা আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

গরুর দিকে এখন সবার নজর। এই সুযোগে পশুটিকে নিয়ে মজার কিছু তথ্য দিচ্ছি। এর মধ্যে আছে প্রথম উড়োজাহাজে চড়া গরু, গরুর জন্য যুদ্ধ, সবচেয়ে বড় গরু, ছোট গরু, দামি গরুসহ গরু নিয়ে আরও নানা ধরনের খবর।
২৮ জুন ২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

গরুর দিকে এখন সবার নজর। এই সুযোগে পশুটিকে নিয়ে মজার কিছু তথ্য দিচ্ছি। এর মধ্যে আছে প্রথম উড়োজাহাজে চড়া গরু, গরুর জন্য যুদ্ধ, সবচেয়ে বড় গরু, ছোট গরু, দামি গরুসহ গরু নিয়ে আরও নানা ধরনের খবর।
২৮ জুন ২০২৩
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

গরুর দিকে এখন সবার নজর। এই সুযোগে পশুটিকে নিয়ে মজার কিছু তথ্য দিচ্ছি। এর মধ্যে আছে প্রথম উড়োজাহাজে চড়া গরু, গরুর জন্য যুদ্ধ, সবচেয়ে বড় গরু, ছোট গরু, দামি গরুসহ গরু নিয়ে আরও নানা ধরনের খবর।
২৮ জুন ২০২৩
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ ঘণ্টা আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

গরুর দিকে এখন সবার নজর। এই সুযোগে পশুটিকে নিয়ে মজার কিছু তথ্য দিচ্ছি। এর মধ্যে আছে প্রথম উড়োজাহাজে চড়া গরু, গরুর জন্য যুদ্ধ, সবচেয়ে বড় গরু, ছোট গরু, দামি গরুসহ গরু নিয়ে আরও নানা ধরনের খবর।
২৮ জুন ২০২৩
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১ ঘণ্টা আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে