ইশতিয়াক হাসান

সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে আছে একটি ট্রেন। তবে এই ট্রেন ছন্দময় শব্দ তুলে ছুটে চলে না। তাই বলে এর আকর্ষণ কম নয়। একে রূপান্তর করা হয়েছে বিলাসবহুল এক হোটেলে, যেখানে আরামদায়ক পরিবেশে সময় কাটানোর পাশাপাশি দেখার সুযোগ মিলবে সবুজ বনানী আর নানা ধরনের বন্যপ্রাণী। এমন আশ্চর্য অভিজ্ঞতা পেতে আপনাকে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে।
আজব এই ট্রেন হোটেলের নাম ক্রুগার শালাতি। সেতুর ওপরে ট্রেনের ২৪টি বগিকে পর্যটকদের জন্য রূপান্তর করা হয়েছে চমৎকার ২৪টি স্যুইটে। এ ছাড়া সেতু লাগোয়া একটি বাগানে আছে সাতটি ব্রিজ হাউস। ট্রেনের ভেতরের কমরায়ই থাকুন কি বাগানের স্যুইটে—আরাম-আয়েশের সব উপকরণই পাবেন। সাধারণ বিলাসবহুল হোটেলগুলোর মতোই এখানকার কামরাগুলোও নানা ধরনের আসবাবে সুসজ্জিত। আছে হোটেলের শেফদের বানানো মুখরোচক সব খাবারের ব্যবস্থা।
একটা সময় ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক ভ্রমণে চমৎকার একটি ট্রেনযাত্রার সুযোগ ছিল। অবশ্য সেটা কয়েক দশক আগের গল্প। দক্ষিণ আফ্রিকা-মোজাম্বিক সীমান্তের কোমাটিপুর থেকে চলা শুরু করে ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের মরুভূমি ও অরণ্যের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেত ট্রেন। যাত্রা শেষ হতো জাতীয় উদ্যানের বাইরে অবস্থিত বেশ বড় শহর জানিনে গিয়ে। পথে ট্রেনটি সাবি নদীর ওপর রেলওয়ে সেতুতে থামত, যেখানে অতিথিরা নেমে পড়তেন। তারপর সশস্ত্র পার্ক রেঞ্জাররা বন্যপ্রাণী দেখাতে নিয়ে যেতেন জঙ্গলে। ওই রেলট্র্যাকের জায়গায় এখন শোভা পাচ্ছে সড়কপথ। ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনপ্রিয় ‘রাউন্ড ইন নাইন’ ট্যুর নামে পরিচিত ভ্রমণটিও তার শেষ দেখে।
তবে ওই ব্যবস্থা না থাকলেও থেবে ট্যুরিজম গ্রুপের এক উদ্যোগে একটু অন্য ধরনের রোমাঞ্চ উপভোগের সুযোগ হয় পর্যটকদের। একটি ট্রেনকে রূপান্তর করা হয়েছে বিলাসবহুল হোটেলে, যার উদ্বোধন হয় ২০২০ সালে। সাবি নদীর ওই রেলসেতুর ওপরেই বসানো হয়েছে ট্রেন হোটেলটি। এখনকার সুসজ্জিত ও বিলাসবহুল কামরাগুলোয় থেকেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন চারপাশের দৃশ্য। শুধু তাই নয়, ওই রেল সেতুর ওপর নদীর দিকে মুখ করে থাকা একটি চমৎকার সুইমিংপুলও আছে।
‘ক্রুগার শালাতির মাধ্যমে আমরা এমন একটি পর্যটন গন্তব্য এবং আতিথেয়তার ব্যবস্থা করতে চাই, যাতে সারা বিশ্বের পর্যটকেরা ছুটিতে এখানে ভ্রমণ করতে চান। স্থানীয় ভ্রমণকারীরা এমন কিছু পেয়ে সত্যিই গর্বিত হতে পারেন, যা বিশ্বের অন্য কোথাও নেই।’ হোটেলটি উদ্বোধনের আগে বলেছিলেন থেবে ট্যুরিজম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেরি মাবেনা।
এবার বরং এই রেললাইন বা রেলপথের ইতিহাস নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করা যাক। উত্তর-পূর্ব ট্রান্সভালে আবিষ্কৃত সোনার মজুত কাজে লাগাতে ১৮৯২ সালে প্রথম লাইনের কাজ শুরু হয়। পরিকল্পনাটি ছিল এমন—ট্রান্সভালের স্বর্ণখনি থেকে আকরিক ট্রেনে করে প্রথমে কোমাটিপুরে পৌঁছাবে। যেখান থেকে যাবে নতুন স্থাপিত হওয়া রেলপথের মাধ্যমে ডেলাগোয়া বে এলাকায়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকার বিভিন্ন রোগ ও বিপজ্জনক বন্যপ্রাণীর কারণে কাজটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। এই সূত্রে বলে রাখা যায়, উনিশ শতকের শেষের দিকে কেনিয়ার সাভোতে দুটি সিংহ রেলশ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তাই এই রেলপথ তৈরির কাজে যেসব শ্রমিক নিয়োগ করা হয়, তাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন জোর করে কাজ করানো কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিক। এই কাজে জড়িত ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ছেড়ে চলে আসা বেশ কিছু সেনাও।
শ্রমিকদের কাজের গতি বাড়াতে তাঁদের জন্য শিকার করা হতো বনে চড়ে বেড়ানো অ্যান্টিলোপ। মাত্র দুই বছরে ৮০ কিলোমিটারের বেশি ট্র্যাক স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতিসহ নানা কারণে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি লাইনচ্যুত হয়। লাইনটি স্কুকুজার সাবি ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছেছে তখন। এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের খাওয়ানোর জন্য হাজার হাজার প্রাণীকে গুলি করে মারা হয়। ১৫ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকার পর আবার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং ১৯১২ সালে লাইনটি জানিনে পৌঁছায়।
তারপর বেশ লম্বা সময় রেলপথটি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু স্বর্ণখনি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার সাবি গেম রিজার্ভের প্রথম ওয়ার্ডেন জেমস স্টিভেনসন-হ্যামিল্টন পর্যটকদের ব্যবহারের জন্য রেলপথকে ব্যবহারে উৎসাহিত করেন। সে সময় অবশ্য ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক গঠিত হয়নি। জায়গাটি শুধু একটি গেম রিজার্ভ ছিল। জেমস স্টিভেনসন-হ্যামিল্টন বন্যপ্রাণী সুরক্ষার জন্য একটি অভয়ারণ্যের জন্য চাপ দিয়েছিলেন। সাবি গেম রিজার্ভকে ১৯২৬ সালে ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে পরিণত করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম জাতীয় উদ্যান এটি। রেলপথটি ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত চালু থাকার পর পরিত্যক্ত হয়।
ট্রেন-হোটেলে সুইমিং পুল কিন্তু একটি নয়, তিনটি। একটি সুইমিং পুল সেতুতেই। বাকি দুটি সুইমিং পুল, অ্যারাইভেল লাউঞ্জ, অভ্যর্থনা এলাকা এবং ডাইনিংয়ের অবস্থান সেতুর ঠিক পাশে। বছরজুড়ে নদীতে পানি থাকায় এখানে তৃষ্ণা মেটাতে আসা প্রাণীদের অনায়াসে দেখতে পারবেন এই হোটেলের স্যুইটগুলো থেকে।
ক্রুগার শালাতি ‘ট্রেন অন দ্য ব্রিজ’ নামেও পরিচিত। এটি ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক এবং সম্ভবত সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বিচিত্র হোটেল। এর মাধ্যমে এই রেলপথে পর্যটকদের যে আকর্ষণীয় ভ্রমণ ছিল, ঠিক সেটা হয়তো ফিরিয়ে আনা যায়নি, তবে কোনো কোনো দিক থেকে এই ট্রেন হোটেল সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এখানে সময় কাটানো মানেই অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। সরাসরি হাতি, জলহস্তী এবং ক্রুগার জাতীয় উদ্যানের বিস্তৃত ঝোপ-জঙ্গল দেখতে পাবেন। বন্যপ্রাণীতে ভরপুর অরণ্যের ঠিক ওপরে ঘুমানো কিংবা সাঁতার কাটার রোমাঞ্চেরও কোনো তুলনা নেই।
ক্রুগার শালাতি অতিথিদের জন্য গাইড ও প্রহরীসহ চমৎকার একটি অরণ্য ভ্রমণের ব্যবস্থাও করে। এই ভ্রমণে হয়তো শাবকসহ হায়েনাদের দেখা পেয়ে যাবেন, কিংবা বিশ্রাম নিতে দেখবেন সিংহের কোনো দলকে। বুনো হাতি এত বেশি সংখ্যায় আছে যে একাকী মদ্দা হাতি থেকে শুরু করে বাচ্চাসহ হাতির পাল—সবকিছুরই দেখা পাবেন। বলা যায় না, বুনো কুকুরের দল কিংবা অসাধারণ সুন্দর প্রাণী চিতা বাঘের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে গাঁটের পয়সা একটু বেশি খরচ হলেও এই ট্রেন-হোটেল যে প্রকৃতিপ্রেমীদের ভ্রমণ এবং আনন্দময় সময় কাটানোর জন্য চমৎকার এক জায়গা, তাতে সন্দেহ নেই!
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, থ্রিলিস্ট ডট কম, ক্রুগার শালাতি ডট কম

সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে আছে একটি ট্রেন। তবে এই ট্রেন ছন্দময় শব্দ তুলে ছুটে চলে না। তাই বলে এর আকর্ষণ কম নয়। একে রূপান্তর করা হয়েছে বিলাসবহুল এক হোটেলে, যেখানে আরামদায়ক পরিবেশে সময় কাটানোর পাশাপাশি দেখার সুযোগ মিলবে সবুজ বনানী আর নানা ধরনের বন্যপ্রাণী। এমন আশ্চর্য অভিজ্ঞতা পেতে আপনাকে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে।
আজব এই ট্রেন হোটেলের নাম ক্রুগার শালাতি। সেতুর ওপরে ট্রেনের ২৪টি বগিকে পর্যটকদের জন্য রূপান্তর করা হয়েছে চমৎকার ২৪টি স্যুইটে। এ ছাড়া সেতু লাগোয়া একটি বাগানে আছে সাতটি ব্রিজ হাউস। ট্রেনের ভেতরের কমরায়ই থাকুন কি বাগানের স্যুইটে—আরাম-আয়েশের সব উপকরণই পাবেন। সাধারণ বিলাসবহুল হোটেলগুলোর মতোই এখানকার কামরাগুলোও নানা ধরনের আসবাবে সুসজ্জিত। আছে হোটেলের শেফদের বানানো মুখরোচক সব খাবারের ব্যবস্থা।
একটা সময় ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক ভ্রমণে চমৎকার একটি ট্রেনযাত্রার সুযোগ ছিল। অবশ্য সেটা কয়েক দশক আগের গল্প। দক্ষিণ আফ্রিকা-মোজাম্বিক সীমান্তের কোমাটিপুর থেকে চলা শুরু করে ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের মরুভূমি ও অরণ্যের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেত ট্রেন। যাত্রা শেষ হতো জাতীয় উদ্যানের বাইরে অবস্থিত বেশ বড় শহর জানিনে গিয়ে। পথে ট্রেনটি সাবি নদীর ওপর রেলওয়ে সেতুতে থামত, যেখানে অতিথিরা নেমে পড়তেন। তারপর সশস্ত্র পার্ক রেঞ্জাররা বন্যপ্রাণী দেখাতে নিয়ে যেতেন জঙ্গলে। ওই রেলট্র্যাকের জায়গায় এখন শোভা পাচ্ছে সড়কপথ। ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনপ্রিয় ‘রাউন্ড ইন নাইন’ ট্যুর নামে পরিচিত ভ্রমণটিও তার শেষ দেখে।
তবে ওই ব্যবস্থা না থাকলেও থেবে ট্যুরিজম গ্রুপের এক উদ্যোগে একটু অন্য ধরনের রোমাঞ্চ উপভোগের সুযোগ হয় পর্যটকদের। একটি ট্রেনকে রূপান্তর করা হয়েছে বিলাসবহুল হোটেলে, যার উদ্বোধন হয় ২০২০ সালে। সাবি নদীর ওই রেলসেতুর ওপরেই বসানো হয়েছে ট্রেন হোটেলটি। এখনকার সুসজ্জিত ও বিলাসবহুল কামরাগুলোয় থেকেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন চারপাশের দৃশ্য। শুধু তাই নয়, ওই রেল সেতুর ওপর নদীর দিকে মুখ করে থাকা একটি চমৎকার সুইমিংপুলও আছে।
‘ক্রুগার শালাতির মাধ্যমে আমরা এমন একটি পর্যটন গন্তব্য এবং আতিথেয়তার ব্যবস্থা করতে চাই, যাতে সারা বিশ্বের পর্যটকেরা ছুটিতে এখানে ভ্রমণ করতে চান। স্থানীয় ভ্রমণকারীরা এমন কিছু পেয়ে সত্যিই গর্বিত হতে পারেন, যা বিশ্বের অন্য কোথাও নেই।’ হোটেলটি উদ্বোধনের আগে বলেছিলেন থেবে ট্যুরিজম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেরি মাবেনা।
এবার বরং এই রেললাইন বা রেলপথের ইতিহাস নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করা যাক। উত্তর-পূর্ব ট্রান্সভালে আবিষ্কৃত সোনার মজুত কাজে লাগাতে ১৮৯২ সালে প্রথম লাইনের কাজ শুরু হয়। পরিকল্পনাটি ছিল এমন—ট্রান্সভালের স্বর্ণখনি থেকে আকরিক ট্রেনে করে প্রথমে কোমাটিপুরে পৌঁছাবে। যেখান থেকে যাবে নতুন স্থাপিত হওয়া রেলপথের মাধ্যমে ডেলাগোয়া বে এলাকায়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকার বিভিন্ন রোগ ও বিপজ্জনক বন্যপ্রাণীর কারণে কাজটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। এই সূত্রে বলে রাখা যায়, উনিশ শতকের শেষের দিকে কেনিয়ার সাভোতে দুটি সিংহ রেলশ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তাই এই রেলপথ তৈরির কাজে যেসব শ্রমিক নিয়োগ করা হয়, তাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন জোর করে কাজ করানো কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিক। এই কাজে জড়িত ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ছেড়ে চলে আসা বেশ কিছু সেনাও।
শ্রমিকদের কাজের গতি বাড়াতে তাঁদের জন্য শিকার করা হতো বনে চড়ে বেড়ানো অ্যান্টিলোপ। মাত্র দুই বছরে ৮০ কিলোমিটারের বেশি ট্র্যাক স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতিসহ নানা কারণে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি লাইনচ্যুত হয়। লাইনটি স্কুকুজার সাবি ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছেছে তখন। এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের খাওয়ানোর জন্য হাজার হাজার প্রাণীকে গুলি করে মারা হয়। ১৫ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকার পর আবার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং ১৯১২ সালে লাইনটি জানিনে পৌঁছায়।
তারপর বেশ লম্বা সময় রেলপথটি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু স্বর্ণখনি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার সাবি গেম রিজার্ভের প্রথম ওয়ার্ডেন জেমস স্টিভেনসন-হ্যামিল্টন পর্যটকদের ব্যবহারের জন্য রেলপথকে ব্যবহারে উৎসাহিত করেন। সে সময় অবশ্য ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক গঠিত হয়নি। জায়গাটি শুধু একটি গেম রিজার্ভ ছিল। জেমস স্টিভেনসন-হ্যামিল্টন বন্যপ্রাণী সুরক্ষার জন্য একটি অভয়ারণ্যের জন্য চাপ দিয়েছিলেন। সাবি গেম রিজার্ভকে ১৯২৬ সালে ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে পরিণত করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম জাতীয় উদ্যান এটি। রেলপথটি ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত চালু থাকার পর পরিত্যক্ত হয়।
ট্রেন-হোটেলে সুইমিং পুল কিন্তু একটি নয়, তিনটি। একটি সুইমিং পুল সেতুতেই। বাকি দুটি সুইমিং পুল, অ্যারাইভেল লাউঞ্জ, অভ্যর্থনা এলাকা এবং ডাইনিংয়ের অবস্থান সেতুর ঠিক পাশে। বছরজুড়ে নদীতে পানি থাকায় এখানে তৃষ্ণা মেটাতে আসা প্রাণীদের অনায়াসে দেখতে পারবেন এই হোটেলের স্যুইটগুলো থেকে।
ক্রুগার শালাতি ‘ট্রেন অন দ্য ব্রিজ’ নামেও পরিচিত। এটি ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক এবং সম্ভবত সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বিচিত্র হোটেল। এর মাধ্যমে এই রেলপথে পর্যটকদের যে আকর্ষণীয় ভ্রমণ ছিল, ঠিক সেটা হয়তো ফিরিয়ে আনা যায়নি, তবে কোনো কোনো দিক থেকে এই ট্রেন হোটেল সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এখানে সময় কাটানো মানেই অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। সরাসরি হাতি, জলহস্তী এবং ক্রুগার জাতীয় উদ্যানের বিস্তৃত ঝোপ-জঙ্গল দেখতে পাবেন। বন্যপ্রাণীতে ভরপুর অরণ্যের ঠিক ওপরে ঘুমানো কিংবা সাঁতার কাটার রোমাঞ্চেরও কোনো তুলনা নেই।
ক্রুগার শালাতি অতিথিদের জন্য গাইড ও প্রহরীসহ চমৎকার একটি অরণ্য ভ্রমণের ব্যবস্থাও করে। এই ভ্রমণে হয়তো শাবকসহ হায়েনাদের দেখা পেয়ে যাবেন, কিংবা বিশ্রাম নিতে দেখবেন সিংহের কোনো দলকে। বুনো হাতি এত বেশি সংখ্যায় আছে যে একাকী মদ্দা হাতি থেকে শুরু করে বাচ্চাসহ হাতির পাল—সবকিছুরই দেখা পাবেন। বলা যায় না, বুনো কুকুরের দল কিংবা অসাধারণ সুন্দর প্রাণী চিতা বাঘের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে গাঁটের পয়সা একটু বেশি খরচ হলেও এই ট্রেন-হোটেল যে প্রকৃতিপ্রেমীদের ভ্রমণ এবং আনন্দময় সময় কাটানোর জন্য চমৎকার এক জায়গা, তাতে সন্দেহ নেই!
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, থ্রিলিস্ট ডট কম, ক্রুগার শালাতি ডট কম

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ ঘণ্টা আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১৬ ঘণ্টা আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে আছে একটি ট্রেন। তবে এই ট্রেন ছন্দময় শব্দ তুলে ছুটে চলে না। তাই বলে এর আকর্ষণ কম নয়। একে রূপান্তর করা হয়েছে বিলাসবহুল এক হোটেলে, যেখানে আরামদায়ক পরিবেশে সময় কাটানোর পাশাপাশি দেখার সুযোগ মিলবে সবুজ বনানী আর নানা ধরনের বন্যপ্রাণী। এমন আশ্চর্য অভিজ্ঞতা পেতে আপনাকে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রি
০৫ অক্টোবর ২০২৩
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১৬ ঘণ্টা আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে আছে একটি ট্রেন। তবে এই ট্রেন ছন্দময় শব্দ তুলে ছুটে চলে না। তাই বলে এর আকর্ষণ কম নয়। একে রূপান্তর করা হয়েছে বিলাসবহুল এক হোটেলে, যেখানে আরামদায়ক পরিবেশে সময় কাটানোর পাশাপাশি দেখার সুযোগ মিলবে সবুজ বনানী আর নানা ধরনের বন্যপ্রাণী। এমন আশ্চর্য অভিজ্ঞতা পেতে আপনাকে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রি
০৫ অক্টোবর ২০২৩
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ ঘণ্টা আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে আছে একটি ট্রেন। তবে এই ট্রেন ছন্দময় শব্দ তুলে ছুটে চলে না। তাই বলে এর আকর্ষণ কম নয়। একে রূপান্তর করা হয়েছে বিলাসবহুল এক হোটেলে, যেখানে আরামদায়ক পরিবেশে সময় কাটানোর পাশাপাশি দেখার সুযোগ মিলবে সবুজ বনানী আর নানা ধরনের বন্যপ্রাণী। এমন আশ্চর্য অভিজ্ঞতা পেতে আপনাকে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রি
০৫ অক্টোবর ২০২৩
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ ঘণ্টা আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১৬ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে আছে একটি ট্রেন। তবে এই ট্রেন ছন্দময় শব্দ তুলে ছুটে চলে না। তাই বলে এর আকর্ষণ কম নয়। একে রূপান্তর করা হয়েছে বিলাসবহুল এক হোটেলে, যেখানে আরামদায়ক পরিবেশে সময় কাটানোর পাশাপাশি দেখার সুযোগ মিলবে সবুজ বনানী আর নানা ধরনের বন্যপ্রাণী। এমন আশ্চর্য অভিজ্ঞতা পেতে আপনাকে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রি
০৫ অক্টোবর ২০২৩
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ ঘণ্টা আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
১৬ ঘণ্টা আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৩ দিন আগে