
দেশে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। স্থিতিশীল সরকার না থাকলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়, নতুন কর্মসংস্থানে ব্যাঘাত ঘটে। মানুষের আয় কমে বা স্থির থাকে, আর মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি ক্রয়ক্ষমতাকে সীমিত করে। এর প্রভাব পড়ে উৎপাদন ও চাহিদার ওপর, যা শেষমেশ অর্থনৈতিক প্রবাহকে ধীর করে দেয়।

চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) সেপ্টেম্বর মাসে বাড়লেও অক্টোবরে এসে আবারও কমেছে দেশের মূল্যস্ফীতি। সরকারি হিসাবে সদ্য শেষ হওয়া অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ; সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তবে বেড়েছে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি।

অর্থনৈতিক সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর দৈনন্দিন খাবারের তালিকা ছোট হয়ে আসছে। বর্তমানে প্রতি ১০টি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ছয়টি পরিবার পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারছে না।

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বড় উদ্বেগ রয়ে গেছে কর্মসংস্থান সংকোচন এবং দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধিতে; মূল্যস্ফীতির স্তর এখনো উচ্চপর্যায়ে রয়ে গেছে। এতে দীর্ঘ মেয়াদে বৈষম্য বাড়ার আশঙ্কা আছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক জানাল এমন তথ্য। সংস্থাটির ‘বাংলাদেশ আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন বলছে