
কোরআনুল কারিমের সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াতটি হলো ‘আয়াতুল কুরসি’। এটি কোরআনের সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন ও সর্ববৃহৎ আয়াত হিসেবে পরিচিত। এই আয়াতে আল্লাহ তাআলার তাওহিদ (একত্ববাদ) এবং তাঁর মহিমান্বিত গুণাবলির বর্ণনা এক অত্যাশ্চর্য ও অনুপম ভঙ্গিতে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মহাবিশ্বে আল্লাহর নিরঙ্কুশ...

বিশ্বমানবতার জন্য অবতীর্ণ চিরন্তন ও বিশ্বজনীন গ্রন্থ আল-কোরআন। নাজিলের পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত এই গ্রন্থ অনুসরণীয়। পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবসমূহ ছিল নির্দিষ্ট জাতি বা সময়ের জন্য হিদায়াতের উৎস, কিন্তু কোরআন কোনো নির্দিষ্ট দেশ, জাতি বা কালকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়নি।

পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন এক মহামানবের ওপর নাজিল হয়েছে, যিনি ছিলেন উম্মি; যাঁর কোনো অক্ষরজ্ঞান ছিল না। এটিই প্রমাণ করে, এ গ্রন্থের চমকপ্রদ আলংকারিক ভাষা ও শৈলী কোনো নিরক্ষর মানুষের ব্যক্তিগত ভাষা হতে পারে না। এই মহাগ্রন্থের অলৌকিকতা বিশেষ করে এর সাহিত্য ও ভাষাশৈলীতে নিহিত।

ইসলাম আমাদের জন্য মহান আল্লাহর এক অপরিমেয় নিয়ামত, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তিনি অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন।