
রাতের রেলগাড়িতে আলেকজান্দ্রিয়া থেকে কায়রো এসে পৌঁছেছি মাঝরাতে। তো বেশ বেলা করে পাবলিক বাসে রওনা হই আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে। এক জায়গায় ট্রাফিক জ্যামে বাস দাঁড়িয়ে থাকে বেশ কিছুক্ষণ।

স্বপ্নটা ঠিক ২০১৮ সাল থেকেই দেখে আসছিলাম, যখন আমার কাছের এক বন্ধু ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন হিসেবে ভারত ভ্রমণ করে আসে। ফিরে এসে নানা গল্প শুনিয়েছে, আমিও অনেক প্রশ্ন করেছি, সবশেষে বন্ধু আমার একটা কথাই বলল, ডেলিগেশন হিসেবে না গেলে কখনোই এর আনন্দটা অনুভব করতে পারবি না।

আমরা আবারও আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে যাচ্ছি। এবার তুলনামূলক নিচের দিকে, গ্যাংটকের উদ্দেশে। আবারও সবার গানের সুরে আনন্দ করতে করতে। আগের মতো আকাশ ভাই আর ভুবন গান গেয়ে মাতিয়ে রাখলেও এদিন সৌরভ ভাইয়ের প্রতিভাটা ছেয়ে ছিল সবার মনে।

ঘুরে বেড়ানোর জন্য হাতে আরও সপ্তাখানেকের মতো অবসর আছে। কিন্তু জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে আমি আর থাকতে চাচ্ছি না। ভাবছি পোলান্ডের দিকে যাব। ওয়ারশ শহরে জাহাজি শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে খানিক খোঁজখবর নেব।