প্রযুক্তি ডেস্ক

ইলন মাস্ক যে দামে টুইটার কিনেছিলেন, প্ল্যাটফর্মটির বর্তমান দাম তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। টুইটার কিনতে মাস্ক খরচ করেছিলেন ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ফিডেলিটি জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটির দাম এখন দেড় হাজার কোটি ডলার। টুইটারের দাম কমেছে প্রায় তিন হাজার কোটি ডলার।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস্ক স্বীকার করেছেন, তিনি অতিরিক্ত দামে টুইটার কিনেছেন। গত মার্চে মাস্ক দুই হাজার কোটি বাজারমূল্যের ভিত্তিতে কর্মীদের টুইটারের স্টক পুরস্কারের প্রস্তাব করেছিলেন।
তবে ফিডেলিটি ঠিক কীভাবে টুইটারের দাম নির্ধারণ করেছে, তা স্পষ্ট নয়। প্রতিষ্ঠানটি টুইটারের কাছ থেকে কোনো গোপন নথি পেয়েছে কি না, তা-ও নিশ্চিত নয়। গত নভেম্বরে ফিডেলিটি টুইটারের শেয়ারের মূল্য ইলন মাস্কের ক্রয়মূল্যের ৪৪ শতাংশ দেখিয়েছিল। পরবর্তী সময় ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারিতে প্ল্যাটফর্মটির দাম আরও কমেছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে, এপ্রিলে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টুইটার পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর ও যন্ত্রণাদায়ক বলে মন্তব্য করেন মাস্ক। এই বিলিয়নিয়ার আরও বলেন, উপযুক্ত ক্রেতা পেলে তিনি টুইটার বিক্রি করে দেবেন।
টুইটার কিনে মাস্ক অনুতপ্ত কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে মাস্ক বলেন, ‘টুইটার কেনা কোনো পার্টি ছিল না, কষ্টের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এটা যেন গাড়ির চাকায় পিষ্ট হওয়া।’ তবে তিনি টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে মনে করেন।

ইলন মাস্ক যে দামে টুইটার কিনেছিলেন, প্ল্যাটফর্মটির বর্তমান দাম তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। টুইটার কিনতে মাস্ক খরচ করেছিলেন ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ফিডেলিটি জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটির দাম এখন দেড় হাজার কোটি ডলার। টুইটারের দাম কমেছে প্রায় তিন হাজার কোটি ডলার।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস্ক স্বীকার করেছেন, তিনি অতিরিক্ত দামে টুইটার কিনেছেন। গত মার্চে মাস্ক দুই হাজার কোটি বাজারমূল্যের ভিত্তিতে কর্মীদের টুইটারের স্টক পুরস্কারের প্রস্তাব করেছিলেন।
তবে ফিডেলিটি ঠিক কীভাবে টুইটারের দাম নির্ধারণ করেছে, তা স্পষ্ট নয়। প্রতিষ্ঠানটি টুইটারের কাছ থেকে কোনো গোপন নথি পেয়েছে কি না, তা-ও নিশ্চিত নয়। গত নভেম্বরে ফিডেলিটি টুইটারের শেয়ারের মূল্য ইলন মাস্কের ক্রয়মূল্যের ৪৪ শতাংশ দেখিয়েছিল। পরবর্তী সময় ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারিতে প্ল্যাটফর্মটির দাম আরও কমেছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে, এপ্রিলে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টুইটার পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর ও যন্ত্রণাদায়ক বলে মন্তব্য করেন মাস্ক। এই বিলিয়নিয়ার আরও বলেন, উপযুক্ত ক্রেতা পেলে তিনি টুইটার বিক্রি করে দেবেন।
টুইটার কিনে মাস্ক অনুতপ্ত কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে মাস্ক বলেন, ‘টুইটার কেনা কোনো পার্টি ছিল না, কষ্টের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এটা যেন গাড়ির চাকায় পিষ্ট হওয়া।’ তবে তিনি টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে মনে করেন।

আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
১ মিনিট আগে
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২৫ মিনিট আগে
হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায়...
৩৪ মিনিট আগে
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
বৃষ
শরীর চনমনে থাকবে। জীবনসঙ্গীর দেখা পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। যারা সিঙ্গেল, তারা আজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশি সময় নষ্ট করবেন। রাজনীতিবিদদের জন্য দিনটি ভালো, মানে আজ বেশি মিথ্যা বললেও কেউ ধরবে না! তবে অ্যাকাউন্ট্যান্টরা সাবধান! হিসাবে ভুল করলে বস আপনাকে ‘ডেবিট’ করে দেবে।
মিথুন
বুদ্ধির জোরে শত্রুকে কুপোকাত করবেন। তবে খরচ হবে পাগলের মতো। পকেট থেকে টাকা আজ যেন ডানার সাহায্যে উড়ে যেতে চাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের জন্য কর্মচারীদের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স আছে। চা খাওয়ার সময় চিনির বদলে কর্মচারীর ওপর ঝাল মেটাবেন না।
কর্কট
চাঁদ আর মঙ্গলের মিলন আপনার রাশিতেই হচ্ছে! আপনি আজ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পছন্দের জায়গায় ট্রান্সফার বা ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান। কেউ যদি বলে ‘ভাই, তোর ফোনটা একটু দিবি?’ —দেবেন না! ওটা আপনার চরিত্রহননের প্রথম ধাপ হতে পারে।
সিংহ
আত্মীয়রা আজ আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে। সন্তানের উন্নতিতে আপনার বুক আজ কয়েক ইঞ্চি উন্নত হবে। কর্মক্ষেত্রে একদম শেষ মুহূর্তে কাজ আটকে যেতে পারে। মানে—গোলপোস্ট পর্যন্ত গিয়ে বল বাইরে মেরে আসার মতো অবস্থা। শান্ত থাকুন, স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে সকালে ঝগড়া করে দিনটি মাটি করবেন না।
কন্যা
পড়াশোনায় সাফল্য আসবে। প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি দারুণ রোমান্টিক। স্ত্রীর কোনো কাজে থমকে যেতে পারেন (হয়তো ভালো রান্না, নয়তো বড় শপিং লিস্ট)।
পেশি বা স্নায়ুর সমস্যায় ভুগতে পারেন। জিমের ট্রেইনারের কথা শুনে বেশি ভারি ওজন তুলতে যাবেন না, কোমর সোজা করতে কালঘাম ছুটে যাবে।
তুলা
বিনিয়োগের জন্য দিনটি দারুণ। দীর্ঘদিনের কোনো ঝুলে থাকা কাজ আজ শেষ হবে। অন্যদের সঙ্গে খুশি ভাগ করুন, কিন্তু ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড ভাগ করবেন না। আজ কেউ আপনাকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে টাকা ধার নিতে পারে। মনে রাখবেন, ধার দেওয়া টাকা আর হারানো দাঁত—একই জিনিস!
বৃশ্চিক
উপার্জনের পথ মসৃণ হবে। মানে আজ দু-টাকা বেশি আসার সম্ভাবনা। প্রেমে বিবাদ এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে! আপনার খিটখিটে মেজাজ আজ বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সঙ্গীকে ‘তুমি মোটা হয়ে গেছো’ বা ‘তোমার হাতের রান্না ভালো না’—এই জাতীয় আত্মঘাতী মন্তব্য আজ করবেন না।
ধনু
দিনটি প্রচণ্ড ব্যস্ততায় কাটবে। কাজ শেষ করতে করতে নাভিশ্বাস উঠবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। অফিসের বসের চেহারা দেখলে যদি মনে হয় কামড়ে দিই, তবে একটা চকলেট খেয়ে নিন। গুরুজনদের সঙ্গে মনোমালিন্য এড়িয়ে চলুন।
মকর
ইতিবাচক শক্তি আপনার সঙ্গে আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো মানুষের সঙ্গে দেখা হতে পারে যিনি আপনার জীবন বদলে দিতে পারেন। সবকিছু দ্রুত করার চক্করে জুতা উল্টো পায়ে পরে ফেলবেন না। পকেটমার থেকে সাবধান থাকুন, আজ আপনার পকেটে অনেকের নজর আছে।
কুম্ভ
শত বাধা সত্ত্বেও আজ সফল হবেনই। বাড়িতে আজ অতিথি সমাগম হতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার সম্ভাবনা আছে। বাড়ির বড়দের সঙ্গে তর্কে যাবেন না, কারণ শেষ পর্যন্ত তাদের কথাই ঠিক হয় (নয়তো তাদের হাতে লাঠি থাকে)।
মীন
সঞ্চয় নিয়ে চিন্তা বাড়বে। খরচ নিয়ন্ত্রণ না করলে মাসের শেষে শুধু মুড়ি খেয়ে থাকতে হবে। সঞ্চয় খোয়ানোর ভয় আছে। আজ অনলাইনে ‘ডিসকাউন্ট’ দেখে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। মনে রাখবেন, যেটা আপনার দরকার নেই, সেটা ১ টাকায় পেলেও আসলে ওটা লোকসান।

মেষ
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
বৃষ
শরীর চনমনে থাকবে। জীবনসঙ্গীর দেখা পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। যারা সিঙ্গেল, তারা আজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশি সময় নষ্ট করবেন। রাজনীতিবিদদের জন্য দিনটি ভালো, মানে আজ বেশি মিথ্যা বললেও কেউ ধরবে না! তবে অ্যাকাউন্ট্যান্টরা সাবধান! হিসাবে ভুল করলে বস আপনাকে ‘ডেবিট’ করে দেবে।
মিথুন
বুদ্ধির জোরে শত্রুকে কুপোকাত করবেন। তবে খরচ হবে পাগলের মতো। পকেট থেকে টাকা আজ যেন ডানার সাহায্যে উড়ে যেতে চাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের জন্য কর্মচারীদের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স আছে। চা খাওয়ার সময় চিনির বদলে কর্মচারীর ওপর ঝাল মেটাবেন না।
কর্কট
চাঁদ আর মঙ্গলের মিলন আপনার রাশিতেই হচ্ছে! আপনি আজ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পছন্দের জায়গায় ট্রান্সফার বা ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান। কেউ যদি বলে ‘ভাই, তোর ফোনটা একটু দিবি?’ —দেবেন না! ওটা আপনার চরিত্রহননের প্রথম ধাপ হতে পারে।
সিংহ
আত্মীয়রা আজ আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে। সন্তানের উন্নতিতে আপনার বুক আজ কয়েক ইঞ্চি উন্নত হবে। কর্মক্ষেত্রে একদম শেষ মুহূর্তে কাজ আটকে যেতে পারে। মানে—গোলপোস্ট পর্যন্ত গিয়ে বল বাইরে মেরে আসার মতো অবস্থা। শান্ত থাকুন, স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে সকালে ঝগড়া করে দিনটি মাটি করবেন না।
কন্যা
পড়াশোনায় সাফল্য আসবে। প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি দারুণ রোমান্টিক। স্ত্রীর কোনো কাজে থমকে যেতে পারেন (হয়তো ভালো রান্না, নয়তো বড় শপিং লিস্ট)।
পেশি বা স্নায়ুর সমস্যায় ভুগতে পারেন। জিমের ট্রেইনারের কথা শুনে বেশি ভারি ওজন তুলতে যাবেন না, কোমর সোজা করতে কালঘাম ছুটে যাবে।
তুলা
বিনিয়োগের জন্য দিনটি দারুণ। দীর্ঘদিনের কোনো ঝুলে থাকা কাজ আজ শেষ হবে। অন্যদের সঙ্গে খুশি ভাগ করুন, কিন্তু ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড ভাগ করবেন না। আজ কেউ আপনাকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে টাকা ধার নিতে পারে। মনে রাখবেন, ধার দেওয়া টাকা আর হারানো দাঁত—একই জিনিস!
বৃশ্চিক
উপার্জনের পথ মসৃণ হবে। মানে আজ দু-টাকা বেশি আসার সম্ভাবনা। প্রেমে বিবাদ এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে! আপনার খিটখিটে মেজাজ আজ বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সঙ্গীকে ‘তুমি মোটা হয়ে গেছো’ বা ‘তোমার হাতের রান্না ভালো না’—এই জাতীয় আত্মঘাতী মন্তব্য আজ করবেন না।
ধনু
দিনটি প্রচণ্ড ব্যস্ততায় কাটবে। কাজ শেষ করতে করতে নাভিশ্বাস উঠবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। অফিসের বসের চেহারা দেখলে যদি মনে হয় কামড়ে দিই, তবে একটা চকলেট খেয়ে নিন। গুরুজনদের সঙ্গে মনোমালিন্য এড়িয়ে চলুন।
মকর
ইতিবাচক শক্তি আপনার সঙ্গে আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো মানুষের সঙ্গে দেখা হতে পারে যিনি আপনার জীবন বদলে দিতে পারেন। সবকিছু দ্রুত করার চক্করে জুতা উল্টো পায়ে পরে ফেলবেন না। পকেটমার থেকে সাবধান থাকুন, আজ আপনার পকেটে অনেকের নজর আছে।
কুম্ভ
শত বাধা সত্ত্বেও আজ সফল হবেনই। বাড়িতে আজ অতিথি সমাগম হতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার সম্ভাবনা আছে। বাড়ির বড়দের সঙ্গে তর্কে যাবেন না, কারণ শেষ পর্যন্ত তাদের কথাই ঠিক হয় (নয়তো তাদের হাতে লাঠি থাকে)।
মীন
সঞ্চয় নিয়ে চিন্তা বাড়বে। খরচ নিয়ন্ত্রণ না করলে মাসের শেষে শুধু মুড়ি খেয়ে থাকতে হবে। সঞ্চয় খোয়ানোর ভয় আছে। আজ অনলাইনে ‘ডিসকাউন্ট’ দেখে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। মনে রাখবেন, যেটা আপনার দরকার নেই, সেটা ১ টাকায় পেলেও আসলে ওটা লোকসান।

ইলন মাস্ক যে দামে টুইটার কিনেছিলেন, প্ল্যাটফর্মটির বর্তমান দাম তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। টুইটার কিনতে মাস্ক খরচ করেছিলেন ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ফিডেলিটি জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটির দাম এখন দেড় হাজার কোটি ডলার। টুইটারের দাম কমেছে প্রায়
৩১ মে ২০২৩
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২৫ মিনিট আগে
হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায়...
৩৪ মিনিট আগে
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি।
শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল। গল্পের শুরু ১৯৮১ সালে। আমেরিকান এয়ারলাইনস তখন গভীর আর্থিক সংকটে। জ্বালানি তেলের আকাশচুম্বী দাম আর তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে টিকে থাকতে তাদের জরুরি ভিত্তিতে বিপুল নগদ অর্থের প্রয়োজন ছিল। দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে তারা এক অভিনব বুদ্ধি বের করল।
চালু করা হলো এয়ার পাস। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করল, মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিলে মিলবে আজীবন আনলিমিটেড ফার্স্ট ক্লাস ভ্রমণের সুবিধা। বর্তমানে বাজারমূল্যে যা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। প্রতিষ্ঠানটি ভেবেছিল, বড় বড় ব্যবসায়ী হয়তো তাঁদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য এগুলো কিনবেন। কিন্তু তারা যা কল্পনা করতে পারেনি তা হলো, তাদের দেওয়া সেই গোল্ডেন টিকিট অল্প দিনের মধ্যেই তাদের কোটি কোটি ডলারের লোকসানে রূপ নেবে।
গোল্ডেন টিকিটের সুযোগ লুফে নেওয়া ৬৬ জনের মধ্যে একজন ছিলেন শিকাগোর বিনিয়োগ ব্যাংকার স্টিভেন রথস্টাইন। ১৯৮৭ সালে তিনি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারে নিজের জন্য এবং পরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে একজন সঙ্গীর জন্য আজীবন পাস কেনেন। রথস্টাইনের স্ত্রী ন্যান্সির ভাষায়, স্টিভেন প্লেনে উঠতেন ঠিক সেভাবেই, যেভাবে সাধারণ মানুষ বাসে ওঠে। তবে পরবর্তী ২০ বছরে তিনি যা করেন, তা অবিশ্বাস্য। তিনি মোট ১০ হাজারের বেশিবার ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তিনি বছরে গড়ে ৪৭৬টি ফ্লাইট অর্থাৎ দিনে অন্তত একটির বেশি ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তাঁর মোট ভ্রমণের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩ কোটি মাইল!
স্টিভেন নিউইয়র্কে গেছেন ১ হাজার বার, লন্ডনে ৫০০ বার, এমনকি টোকিও অথবা প্যারিসেও গেছেন শত শত বার। মাঝে মাঝে তিনি শিকাগো থেকে স্রেফ তাঁর প্রিয় রেস্তোরাঁ থেকে একটি স্যান্ডউইচ খাওয়ার জন্য অন্য শহরে পাড়ি দিতেন। আমেরিকান এয়ারলাইনসের জন্য তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক চলন্ত লোকসান। একসময় হিসাব করে দেখা গেল, তাঁর এই ভ্রমণ করার পেছনে এয়ারলাইনসটির ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ২১ মিলিয়ন ডলার।
তবে স্টিভেন রথস্টাইনের এই অবিরাম ছুটে চলার পেছনে শুধু বিলাসিতা ছিল না; ছিল এক গভীর বিষাদও। ২০০২ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় রথস্টাইনের কিশোর ছেলে জশ মারা যায়। এরপর রথস্টাইন আরও বেশি একা হয়ে পড়েন। রাতের বেলা যখন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে থাকত, তিনি একাকিত্ব কাটাতে এয়ারলাইনসের বুকিং এজেন্টদের ফোন দিতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতেন তাঁদের সঙ্গে। ফোন রাখার আগে এজেন্টরা যখন জিজ্ঞাসা করতেন, কোনো বুকিং করতে চান কি না। তখন তিনি অবলীলায় বলে দিতেন, ‘আচ্ছা, পরের সপ্তাহে আমাকে সানফ্রান্সিসকোর একটা টিকিট দাও।’ আসলে তাঁর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না, তিনি কেবল মানুষের কণ্ঠস্বর শুনতে চাইতেন।
রথস্টাইনের এই যাত্রায় ছেদ পড়ে ২০০৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর। সেবার ও’হারে বিমানবন্দরে স্টিভেন যখন তাঁর বন্ধুর সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার জন্য গেটে পৌঁছালেন, তখন তাঁকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হলো। চিঠিতে বলা ছিল, তাঁর আজীবন পাসের মেয়াদ আজ থেকে শেষ। এয়ারলাইনস অভিযোগ তুলল, রথস্টাইন ‘প্রতারণা’ করেছেন। তারা দাবি করে, রথস্টাইন ভুয়া নামে পাশের সিট বুক করতেন, যাতে কেউ তাঁর পাশে বসতে না পারেন। এ ছাড়া তিনি মাঝেমধ্যে বিমানবন্দরে অপরিচিত মানুষদের তাঁর ‘কম্প্যানিয়ন পাস’ দিয়ে ফার্স্ট ক্লাসে আপগ্রেড করে দিতেন; যাকে এয়ারলাইনস নিয়মবহির্ভূত বলে দাবি করে। এদিকে স্টিভেন পাল্টা মামলা করলেন। তাঁর দাবি ছিল, তিনি কেবল অভাবী মানুষদের সাহায্য করেছেন, কাউকে নিজের পাস ব্যবহার করতে দেননি। বছরের পর বছর ধরে চলা এই আইনি লড়াই ২০১২ সালে একটি গোপন মীমাংসার মাধ্যমে শেষ হয়।
এয়ারলাইনসটি ১৯৯৪ সালে এই স্কিম বন্ধ করে দেয়। ২০০৪ সালে একবার ৩ মিলিয়ন ডলারে এটি পুনরায় বিক্রির চেষ্টা করা হলেও কেউ তা কেনেনি। স্টিভেনের মতো আরেকজন গ্রাহক জ্যাক ভ্রুমও একইভাবে তাঁর পাস হারিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়ান। আজকের যুগে যেখানে প্রতিটি মাইলের হিসাব রাখা হয় এবং কঠোর পরিচয়পত্র ছাড়া বিমানে ওঠা অসম্ভব, সেখানে স্টিভেন রথস্টাইন কিংবা জ্যাক ভ্রুমের এই গল্প এক সোনালি অতীতের সাক্ষী হয়ে আছে।
সূত্র: এরোটাইম, ফোর্বস

কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি।
শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল। গল্পের শুরু ১৯৮১ সালে। আমেরিকান এয়ারলাইনস তখন গভীর আর্থিক সংকটে। জ্বালানি তেলের আকাশচুম্বী দাম আর তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে টিকে থাকতে তাদের জরুরি ভিত্তিতে বিপুল নগদ অর্থের প্রয়োজন ছিল। দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে তারা এক অভিনব বুদ্ধি বের করল।
চালু করা হলো এয়ার পাস। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করল, মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিলে মিলবে আজীবন আনলিমিটেড ফার্স্ট ক্লাস ভ্রমণের সুবিধা। বর্তমানে বাজারমূল্যে যা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। প্রতিষ্ঠানটি ভেবেছিল, বড় বড় ব্যবসায়ী হয়তো তাঁদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য এগুলো কিনবেন। কিন্তু তারা যা কল্পনা করতে পারেনি তা হলো, তাদের দেওয়া সেই গোল্ডেন টিকিট অল্প দিনের মধ্যেই তাদের কোটি কোটি ডলারের লোকসানে রূপ নেবে।
গোল্ডেন টিকিটের সুযোগ লুফে নেওয়া ৬৬ জনের মধ্যে একজন ছিলেন শিকাগোর বিনিয়োগ ব্যাংকার স্টিভেন রথস্টাইন। ১৯৮৭ সালে তিনি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারে নিজের জন্য এবং পরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে একজন সঙ্গীর জন্য আজীবন পাস কেনেন। রথস্টাইনের স্ত্রী ন্যান্সির ভাষায়, স্টিভেন প্লেনে উঠতেন ঠিক সেভাবেই, যেভাবে সাধারণ মানুষ বাসে ওঠে। তবে পরবর্তী ২০ বছরে তিনি যা করেন, তা অবিশ্বাস্য। তিনি মোট ১০ হাজারের বেশিবার ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তিনি বছরে গড়ে ৪৭৬টি ফ্লাইট অর্থাৎ দিনে অন্তত একটির বেশি ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তাঁর মোট ভ্রমণের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩ কোটি মাইল!
স্টিভেন নিউইয়র্কে গেছেন ১ হাজার বার, লন্ডনে ৫০০ বার, এমনকি টোকিও অথবা প্যারিসেও গেছেন শত শত বার। মাঝে মাঝে তিনি শিকাগো থেকে স্রেফ তাঁর প্রিয় রেস্তোরাঁ থেকে একটি স্যান্ডউইচ খাওয়ার জন্য অন্য শহরে পাড়ি দিতেন। আমেরিকান এয়ারলাইনসের জন্য তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক চলন্ত লোকসান। একসময় হিসাব করে দেখা গেল, তাঁর এই ভ্রমণ করার পেছনে এয়ারলাইনসটির ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ২১ মিলিয়ন ডলার।
তবে স্টিভেন রথস্টাইনের এই অবিরাম ছুটে চলার পেছনে শুধু বিলাসিতা ছিল না; ছিল এক গভীর বিষাদও। ২০০২ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় রথস্টাইনের কিশোর ছেলে জশ মারা যায়। এরপর রথস্টাইন আরও বেশি একা হয়ে পড়েন। রাতের বেলা যখন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে থাকত, তিনি একাকিত্ব কাটাতে এয়ারলাইনসের বুকিং এজেন্টদের ফোন দিতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতেন তাঁদের সঙ্গে। ফোন রাখার আগে এজেন্টরা যখন জিজ্ঞাসা করতেন, কোনো বুকিং করতে চান কি না। তখন তিনি অবলীলায় বলে দিতেন, ‘আচ্ছা, পরের সপ্তাহে আমাকে সানফ্রান্সিসকোর একটা টিকিট দাও।’ আসলে তাঁর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না, তিনি কেবল মানুষের কণ্ঠস্বর শুনতে চাইতেন।
রথস্টাইনের এই যাত্রায় ছেদ পড়ে ২০০৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর। সেবার ও’হারে বিমানবন্দরে স্টিভেন যখন তাঁর বন্ধুর সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার জন্য গেটে পৌঁছালেন, তখন তাঁকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হলো। চিঠিতে বলা ছিল, তাঁর আজীবন পাসের মেয়াদ আজ থেকে শেষ। এয়ারলাইনস অভিযোগ তুলল, রথস্টাইন ‘প্রতারণা’ করেছেন। তারা দাবি করে, রথস্টাইন ভুয়া নামে পাশের সিট বুক করতেন, যাতে কেউ তাঁর পাশে বসতে না পারেন। এ ছাড়া তিনি মাঝেমধ্যে বিমানবন্দরে অপরিচিত মানুষদের তাঁর ‘কম্প্যানিয়ন পাস’ দিয়ে ফার্স্ট ক্লাসে আপগ্রেড করে দিতেন; যাকে এয়ারলাইনস নিয়মবহির্ভূত বলে দাবি করে। এদিকে স্টিভেন পাল্টা মামলা করলেন। তাঁর দাবি ছিল, তিনি কেবল অভাবী মানুষদের সাহায্য করেছেন, কাউকে নিজের পাস ব্যবহার করতে দেননি। বছরের পর বছর ধরে চলা এই আইনি লড়াই ২০১২ সালে একটি গোপন মীমাংসার মাধ্যমে শেষ হয়।
এয়ারলাইনসটি ১৯৯৪ সালে এই স্কিম বন্ধ করে দেয়। ২০০৪ সালে একবার ৩ মিলিয়ন ডলারে এটি পুনরায় বিক্রির চেষ্টা করা হলেও কেউ তা কেনেনি। স্টিভেনের মতো আরেকজন গ্রাহক জ্যাক ভ্রুমও একইভাবে তাঁর পাস হারিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়ান। আজকের যুগে যেখানে প্রতিটি মাইলের হিসাব রাখা হয় এবং কঠোর পরিচয়পত্র ছাড়া বিমানে ওঠা অসম্ভব, সেখানে স্টিভেন রথস্টাইন কিংবা জ্যাক ভ্রুমের এই গল্প এক সোনালি অতীতের সাক্ষী হয়ে আছে।
সূত্র: এরোটাইম, ফোর্বস

ইলন মাস্ক যে দামে টুইটার কিনেছিলেন, প্ল্যাটফর্মটির বর্তমান দাম তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। টুইটার কিনতে মাস্ক খরচ করেছিলেন ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ফিডেলিটি জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটির দাম এখন দেড় হাজার কোটি ডলার। টুইটারের দাম কমেছে প্রায়
৩১ মে ২০২৩
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
১ মিনিট আগে
হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায়...
৩৪ মিনিট আগে
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার।
ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখা ভালো। এটি রুমে ভ্যাপসা আর্দ্রতা ছড়ানো রোধ করে এবং কর্মীদের কাজগুলো দ্রুত করতে সাহায্য করে।
ভ্যানিটি টেবিল বা ডেস্কের ওপর আপনার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছড়িয়ে না রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ব্যবহৃত কাপ, পানির খালি বোতল অথবা অন্যান্য আবর্জনা ময়লার ঝুড়িতে রাখতে পারেন। এ ছাড়া রুমের দরজার কাছে এক পাশে গুছিয়ে রাখুন।
লন্ড্রিতে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত তোয়ালেগুলো বাথরুমের মেঝেতে কিংবা বাথটাবের এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা ভালো। তবে রুমের নির্দিষ্ট জায়গায় তোয়ালে রাখলে কর্মীরা খুব সহজে বুঝতে পারবেন না যে কোন তোয়ালেগুলো বদল করা প্রয়োজন।
হাউসকিপিং একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে কাজ করে। আপনি যদি দীর্ঘ সময় রুমে থাকতে চান কিংবা দ্রুততম সময়ে রুম পরিষ্কারের প্রয়োজন হয়, তাহলে বিষয়টি আগেভাগে কর্মীদের জানান।
ছোট একটি ‘ধন্যবাদ’ লেখা চিরকুট কর্মীদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে। অনেক হোটেলের কর্মীরাও এমন চিরকুটের মজাদার উত্তর দিয়ে থাকেন, যা আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলবে।
টিপস বা বকশিশ কর্মীদের পরিশ্রমের একটি স্বীকৃতি। তাই তাদের জন্য কিছু বকশিশ খামে ভরে ‘হাউসকিপিং’ লিখে টেবিলের ওপর রাখতে পারেন।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার।
ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখা ভালো। এটি রুমে ভ্যাপসা আর্দ্রতা ছড়ানো রোধ করে এবং কর্মীদের কাজগুলো দ্রুত করতে সাহায্য করে।
ভ্যানিটি টেবিল বা ডেস্কের ওপর আপনার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছড়িয়ে না রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ব্যবহৃত কাপ, পানির খালি বোতল অথবা অন্যান্য আবর্জনা ময়লার ঝুড়িতে রাখতে পারেন। এ ছাড়া রুমের দরজার কাছে এক পাশে গুছিয়ে রাখুন।
লন্ড্রিতে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত তোয়ালেগুলো বাথরুমের মেঝেতে কিংবা বাথটাবের এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা ভালো। তবে রুমের নির্দিষ্ট জায়গায় তোয়ালে রাখলে কর্মীরা খুব সহজে বুঝতে পারবেন না যে কোন তোয়ালেগুলো বদল করা প্রয়োজন।
হাউসকিপিং একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে কাজ করে। আপনি যদি দীর্ঘ সময় রুমে থাকতে চান কিংবা দ্রুততম সময়ে রুম পরিষ্কারের প্রয়োজন হয়, তাহলে বিষয়টি আগেভাগে কর্মীদের জানান।
ছোট একটি ‘ধন্যবাদ’ লেখা চিরকুট কর্মীদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে। অনেক হোটেলের কর্মীরাও এমন চিরকুটের মজাদার উত্তর দিয়ে থাকেন, যা আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলবে।
টিপস বা বকশিশ কর্মীদের পরিশ্রমের একটি স্বীকৃতি। তাই তাদের জন্য কিছু বকশিশ খামে ভরে ‘হাউসকিপিং’ লিখে টেবিলের ওপর রাখতে পারেন।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

ইলন মাস্ক যে দামে টুইটার কিনেছিলেন, প্ল্যাটফর্মটির বর্তমান দাম তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। টুইটার কিনতে মাস্ক খরচ করেছিলেন ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ফিডেলিটি জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটির দাম এখন দেড় হাজার কোটি ডলার। টুইটারের দাম কমেছে প্রায়
৩১ মে ২০২৩
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
১ মিনিট আগে
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২৫ মিনিট আগে
পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন মাধ্যম।
সম্প্রতি জাপানের উদ্যোক্তা ইউসাকু মায়েজাওয়া টোকিওতে আমান গ্রুপের একটি ব্র্যান্ডেড রেসিডেন্স কিনেছেন বলে জানা গেছে, যার মূল্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ইয়েন। এটি শুধু একটি উদাহরণ। বিশ্বজুড়ে বিলাসী হোটেলগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য আরও ব্যতিক্রমী সেবা বিক্রি করছে।
ধনীদের চাহিদাই বদলে দিচ্ছে ব্যবসার ধরন
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো ধনীদের সম্পদ দ্রুত বাড়ছে। অক্সফামের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেড়েছে! ফলে এই শ্রেণির গ্রাহকেরা শুধু থাকার জায়গা নয়, এর সঙ্গে বিশেষ অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত সেবা চাইছেন। ‘বিজনেস ইনসাইডার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফোর সিজনসের প্রধান নির্বাহী আলেহান্দ্রো রেনাল জানান, যদিও তাঁদের মোট আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে হোটেল ও রিসোর্ট থেকে, তবে ব্যক্তিগত জেট ট্যুরের মতো অতিরিক্ত সেবা ধনী গ্রাহকদের আকর্ষণ আরও বাড়ায়। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে একজন অতিধনী অতিথির একবারের সফর হোটেলকক্ষের ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি আয় এনে দিতে পারে।

ব্যক্তিগত জেট ও আকাশপথের ভ্রমণ
ফোর সিজনসের ব্যক্তিগত জেট সেবার মাধ্যমে অতিথিরা বিভিন্ন হোটেলে ভ্রমণ করতে পারেন বিশেষভাবে সাজানো এয়ারবাস বিমানে। এসব ভ্রমণে থাকে বিলাসবহুল আসন, আলাদা শেফ এবং প্রতিটি গন্তব্যের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিশেষ আয়োজন। এমন একটি রাতের ভ্রমণের খরচ জনপ্রতি প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার পাউন্ড, যা একটি হোটেলের সবচেয়ে দামি কক্ষের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি।
সমুদ্রে বিলাস: হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট
বিলাসী পর্যটকদের কাছে এখন শুধু নৌভ্রমণ নয়, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়টে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া নতুন ট্রেন্ড। ফোর সিজনস ও আমান শিগগির নিজেদের ইয়ট সেবা চালু করতে যাচ্ছে। এর আগেই রিটজ কার্লটন তাদের ইয়ট কালেকশন চালু করেছে, যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ঘরের ভেতরও হোটেলের ছোঁয়া
শুধু ভ্রমণ বা রাতযাপন নয়, এখন অনেক বিলাসবহুল হোটেল তাদের অভ্যন্তরীণ নকশা ও আসবাবকেও আলাদা ব্যবসা হিসেবে তুলে ধরছে। হোটেলে থাকার সময় অতিথিদের যেসব আসবাব, আলো, পর্দা বা সাজসজ্জা ভালো লাগে, সেগুলোই এখন তারা নিজের ঘরের জন্য কিনে নিতে চাইছেন। এই চাহিদা কাজে লাগিয়ে অনেক হোটেল ব্র্যান্ড তাদের ডিজাইনকে পণ্যে রূপ দিয়েছে। এর সফল উদাহরণ হলো সোহো হাউসের সহযোগী ব্র্যান্ড সোহো হোম। হোটেল ও প্রাইভেট ক্লাবের অভ্যন্তরীণ নকশায় ব্যবহৃত আসবাব ও ডেকর আইটেম এখন সরাসরি বাজারে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সোফা, আলো, কার্পেট থেকে শুরু করে টেবিলওয়্যার পর্যন্ত। ফলে যারা সোহো হাউসের পরিবেশ পছন্দ করেন, তাঁরা সেই অভিজ্ঞতা নিজেদের ঘরেও নিয়ে যেতে পারছেন।

হোটেল পণ্যই এখন স্ট্যাটাস
হোটেলের লোগো দেওয়া তোয়ালে, ব্যাগ বা পোশাক এখন ধনীদের কাছে নতুন ফ্যাশন। ফ্রান্সের হোটেল দ্যু ক্যাপ এদেন রকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অনলাইন স্টোর চালু করেছে। কেউ কেউ আবার হোটেলের নামে তৈরি বিশেষ স্পিডবোট পর্যন্ত কিনছেন।
সামাজিক ক্লাব ও স্থানীয় সদস্যপদ
অনেক বিলাসবহুল হোটেল এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সামাজিক ক্লাব চালু করছে। এর মাধ্যমে হোটেলের বার, রেস্তোরাঁ ও স্পা সব সময় প্রাণবন্ত থাকে, যা আয়ের দ্বিতীয় বড় উৎস। মেক্সিকোর ওয়ানঅ্যান্ডঅনলি পামিলার মতো রিসোর্টে এমন ক্লাব বিনা ফিতেও চালু হয়েছে। যেখানে আয়োজন করা হয় বই পড়ার আসর, বাজার বা মেডিটেশন সেশন।
পাঁচ তারকা হোটেলের ব্যবসা এখন আর শুধু রাতযাপন ‘বিক্রি’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আকাশ, সমুদ্র, ঘর আর সামাজিক জীবন—সবখানেই নিজেদের ব্র্যান্ড ছড়িয়ে দিয়ে তারা বিলাসী অভিজ্ঞতাকেই মূল পণ্য হিসেবে তুলে ধরছে। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে তাদের আসল আয়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

পাঁচ তারকা হোটেল যে শুধু বিলাসবহুল কক্ষে রাতযাপন থেকে আয় করে, তেমন নয়। আধুনিক বিলাসী পর্যটনশিল্পে টিকে থাকতে হোটেলগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা খাতে। ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট, বিলাসবহুল আবাসন, এমনকি সংগীত স্টুডিও কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টোরেজ সুবিধাও এখন তাদের আয়ের নতুন মাধ্যম।
সম্প্রতি জাপানের উদ্যোক্তা ইউসাকু মায়েজাওয়া টোকিওতে আমান গ্রুপের একটি ব্র্যান্ডেড রেসিডেন্স কিনেছেন বলে জানা গেছে, যার মূল্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ইয়েন। এটি শুধু একটি উদাহরণ। বিশ্বজুড়ে বিলাসী হোটেলগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য আরও ব্যতিক্রমী সেবা বিক্রি করছে।
ধনীদের চাহিদাই বদলে দিচ্ছে ব্যবসার ধরন
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো ধনীদের সম্পদ দ্রুত বাড়ছে। অক্সফামের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেড়েছে! ফলে এই শ্রেণির গ্রাহকেরা শুধু থাকার জায়গা নয়, এর সঙ্গে বিশেষ অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিগত সেবা চাইছেন। ‘বিজনেস ইনসাইডার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফোর সিজনসের প্রধান নির্বাহী আলেহান্দ্রো রেনাল জানান, যদিও তাঁদের মোট আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে হোটেল ও রিসোর্ট থেকে, তবে ব্যক্তিগত জেট ট্যুরের মতো অতিরিক্ত সেবা ধনী গ্রাহকদের আকর্ষণ আরও বাড়ায়। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে একজন অতিধনী অতিথির একবারের সফর হোটেলকক্ষের ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি আয় এনে দিতে পারে।

ব্যক্তিগত জেট ও আকাশপথের ভ্রমণ
ফোর সিজনসের ব্যক্তিগত জেট সেবার মাধ্যমে অতিথিরা বিভিন্ন হোটেলে ভ্রমণ করতে পারেন বিশেষভাবে সাজানো এয়ারবাস বিমানে। এসব ভ্রমণে থাকে বিলাসবহুল আসন, আলাদা শেফ এবং প্রতিটি গন্তব্যের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিশেষ আয়োজন। এমন একটি রাতের ভ্রমণের খরচ জনপ্রতি প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার পাউন্ড, যা একটি হোটেলের সবচেয়ে দামি কক্ষের ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি।
সমুদ্রে বিলাস: হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়ট
বিলাসী পর্যটকদের কাছে এখন শুধু নৌভ্রমণ নয়, হোটেল-ব্র্যান্ডেড ইয়টে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া নতুন ট্রেন্ড। ফোর সিজনস ও আমান শিগগির নিজেদের ইয়ট সেবা চালু করতে যাচ্ছে। এর আগেই রিটজ কার্লটন তাদের ইয়ট কালেকশন চালু করেছে, যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ঘরের ভেতরও হোটেলের ছোঁয়া
শুধু ভ্রমণ বা রাতযাপন নয়, এখন অনেক বিলাসবহুল হোটেল তাদের অভ্যন্তরীণ নকশা ও আসবাবকেও আলাদা ব্যবসা হিসেবে তুলে ধরছে। হোটেলে থাকার সময় অতিথিদের যেসব আসবাব, আলো, পর্দা বা সাজসজ্জা ভালো লাগে, সেগুলোই এখন তারা নিজের ঘরের জন্য কিনে নিতে চাইছেন। এই চাহিদা কাজে লাগিয়ে অনেক হোটেল ব্র্যান্ড তাদের ডিজাইনকে পণ্যে রূপ দিয়েছে। এর সফল উদাহরণ হলো সোহো হাউসের সহযোগী ব্র্যান্ড সোহো হোম। হোটেল ও প্রাইভেট ক্লাবের অভ্যন্তরীণ নকশায় ব্যবহৃত আসবাব ও ডেকর আইটেম এখন সরাসরি বাজারে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সোফা, আলো, কার্পেট থেকে শুরু করে টেবিলওয়্যার পর্যন্ত। ফলে যারা সোহো হাউসের পরিবেশ পছন্দ করেন, তাঁরা সেই অভিজ্ঞতা নিজেদের ঘরেও নিয়ে যেতে পারছেন।

হোটেল পণ্যই এখন স্ট্যাটাস
হোটেলের লোগো দেওয়া তোয়ালে, ব্যাগ বা পোশাক এখন ধনীদের কাছে নতুন ফ্যাশন। ফ্রান্সের হোটেল দ্যু ক্যাপ এদেন রকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অনলাইন স্টোর চালু করেছে। কেউ কেউ আবার হোটেলের নামে তৈরি বিশেষ স্পিডবোট পর্যন্ত কিনছেন।
সামাজিক ক্লাব ও স্থানীয় সদস্যপদ
অনেক বিলাসবহুল হোটেল এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সামাজিক ক্লাব চালু করছে। এর মাধ্যমে হোটেলের বার, রেস্তোরাঁ ও স্পা সব সময় প্রাণবন্ত থাকে, যা আয়ের দ্বিতীয় বড় উৎস। মেক্সিকোর ওয়ানঅ্যান্ডঅনলি পামিলার মতো রিসোর্টে এমন ক্লাব বিনা ফিতেও চালু হয়েছে। যেখানে আয়োজন করা হয় বই পড়ার আসর, বাজার বা মেডিটেশন সেশন।
পাঁচ তারকা হোটেলের ব্যবসা এখন আর শুধু রাতযাপন ‘বিক্রি’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আকাশ, সমুদ্র, ঘর আর সামাজিক জীবন—সবখানেই নিজেদের ব্র্যান্ড ছড়িয়ে দিয়ে তারা বিলাসী অভিজ্ঞতাকেই মূল পণ্য হিসেবে তুলে ধরছে। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে তাদের আসল আয়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

ইলন মাস্ক যে দামে টুইটার কিনেছিলেন, প্ল্যাটফর্মটির বর্তমান দাম তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। টুইটার কিনতে মাস্ক খরচ করেছিলেন ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ফিডেলিটি জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটির দাম এখন দেড় হাজার কোটি ডলার। টুইটারের দাম কমেছে প্রায়
৩১ মে ২০২৩
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
১ মিনিট আগে
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২৫ মিনিট আগে
হোটেলে আপনার অবস্থানকে আরামদায়ক করতে পর্দার আড়ালে নিরলস কাজ করে চলেন হাউসকিপিং কর্মীরা। তাঁদের কাজ সহজ করার জন্য এবং আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করতে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার। ভেজা তোয়ালে অথবা সমুদ্রসৈকতে ব্যবহারের পোশাক যত্রতত্র ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট হ্যাঙ্গারে কিংবা বারান্দায়...
৩৪ মিনিট আগে