Ajker Patrika

ইউটিউবে নিষিদ্ধ হতে পারেন যেসব কারণে

জাহাঙ্গীর আলম
ইউটিউবে নিষিদ্ধ হতে পারেন যেসব কারণে

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ইউটিউব এখন জনপ্রিয়তায় শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম। তবে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতো এখানেও রয়েছে কঠোর কমিউনিটি গাইডলাইন। সব বিষয় নিয়ে এখানে কনটেন্ট বানানো যায় না। নির্দিষ্ট কিছু বিষয় কভার করা, চিত্রিত করা, প্রচার করা বা সেগুলো সম্পর্কে কথা বলার কারণে আপনি স্ট্রাইক পেতে পারেন। 

আর টানা ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি স্ট্রাইক পেলে আপনার চ্যানেল স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার চ্যানেল যতো বড় আর জনপ্রিয় হোক না কেন তিনটি স্ট্রাইক পেলে সেটি আর ফেরানো সম্ভব নয়। সুতরাং কোন কোন বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে ইউটিউবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেগুলো জানাটা জরুরি। এখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো: 

১. স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কনটেন্ট
ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসারে, স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের যেসব বিষয় অন্তুর্ভুক্ত-

ক. বিভ্রান্তিকর মেটাডেটা বা থাম্বনেইল

আপনার মেটাডেটা এবং থাম্বনেইল বিভ্রান্তিকর বলে ধরা হবে যদি: 

আপনার শিরোনাম ভিডিওর বিষয়বস্তুর সঙ্গে না মেলে। 
আপনার থাম্বনেইল ভিডিওর প্রকৃত বিষয়বস্তু প্রতিফলিত না করে। 
ভিডিওতে ক্লিক করায় প্রলুব্ধ করতে দর্শকদের বোকা বানানোর জন্য বিবরণে (ডেসক্রিপশন) ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়া। 
ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর ট্যাগ দেওয়া।

খ. ভিডিও স্প্যাম
আপনি ভিডিও স্প্যাম করছেন বলে ধরা হবে যদি আপনার কনটেন্ট: 

একটি কনটেন্ট দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিউয়ারদের সম্পর্কিত নয় এমন (অফ-সাইট) সাইটে পুনঃনির্দেশ (রিডিরেক্ট) করে। 
ক্ষতিকর সফটওয়্যার ছড়ানো, ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ করা বা অন্য কোনও ক্ষতিকর কার্যকলাপে জড়িত সাইটগুলোতে ভিউয়ারদের নিয়ে যায়। 
দর্শকদের প্রলুব্ধ করার জন্য দ্রুত অর্থ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি দেয়। 

গ. মন্তব্য স্প্যাম
মন্তব্য স্প্যামের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত: 

মন্তব্যের একমাত্র লক্ষ্য যদি হয় দর্শকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা। 
প্রতারণামূলকভাবে দর্শকদের অফ-সাইটে নিয়ে যাওয়া। 
অথবা অন্যান্য নিষিদ্ধ আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া।

ঘ. পুনরাবৃত্তিমূলক মন্তব্য
একই ধরনের বিপুল পরিমাণ কনটেন্ট দেওয়া। অথবা বিষয়বস্তুর বাইরে বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলা। এতে মন্তব্য বিভাগে একটা জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি করে। 

ঙ. অনিয়ম/দুর্নীতি
আপনার কনটেন্ট অনিয়ম বা দুর্নীতি করছে বলে ধরা হবে যদি-

প্রণোদনা হিসাবে নগদ উপহার অফার করেন। 
দ্রুত ধনী হওয়ার কৌশল বা স্কিম প্রচার করেন। 
পিরামিড স্কিমের (এমএলএম এর মতো) পক্ষের প্রচারণা চালানো। 

চ. লাইভ স্ট্রিমের অপব্যবহার
আপনি ইউটিউবের কনটেন্ট গাইডলাইন লঙ্ঘন করছেন বলে ধরা হবে, যদি আপনি অন্যের কনটেন্ট লাইভ স্ট্রিম করেন এবং বারবার সতর্ক করার পরেও সেই কনটেন্ট নামাতে অস্বীকার করেন। 

ছ. অন্যান্য নিষিদ্ধ স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক চর্চা এড়ানোর জন্য ইউটিউব আরও কিছু বিষয়বস্তুকে সন্দেহের তালিকায় রাখে: 

একজন ব্যক্তি, ব্র্যান্ড বা সত্তাকে এমনভাবে নকল করা যাতে সেই সাদৃশ্যে ভিউয়াররা সত্যি সত্যি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে আপনিই সেই ব্যক্তি বা ব্র্যান্ড। 

পর্নোগ্রাফি বা ম্যালওয়্যারযুক্ত সাইটের মতো ওয়েবসাইটগুলোর লিংক যুক্ত করে এক্সটারনাল লিংক সুবিধার অপব্যবহার করা। 

লাইক, ভিউ, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অনৈতিক উপায় অবলম্বন করা। 

নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে রেসট্রিক্টেড বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হওয়া কোনো ক্রিয়েটরের মুছে ফেলা কনটেন্ট পুনরায় পোস্ট করা। 

২. সংবেদনশীল বিষয়বস্তু
শিশুদের ক্ষতি, যৌনতা এবং নগ্নতা, নিজের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউব কোনোভাবেই অনুমতি দেয় না। এসব কনটেন্টকে ইউটিউব সংবেদনশীল বলে মনে করে। এ তালিকায় যা রয়েছে: 

ক. নগ্নতা এবং যৌন বিষয়বস্তু
একজন ইউটিউব ক্রিয়েটর হিসেবে, আপনার যৌন তৃপ্তিদায়ক বিষয়বস্তু পোস্ট করার অনুমতি নেই। 

ইউটিউবের মতে, নগ্নতা এবং যৌন বিষয়বস্তুতে রয়েছে: 

পর্নোগ্রাফি বা অ-পর্নোগ্রাফিক ক্লিপ, যেখানে যৌন তৃপ্তির জন্য সুস্পষ্ট বিষয়বস্তু রয়েছে। 

ফেটিশ (কামনা উদ্রেগকারী), যৌনাঙ্গ বা তেমন বস্তু হাতড়ানো, শিৎকার, প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করা, নিম্নাঙ্গের ছবি/ভিডিও, অন্যের সঙ্গম দেখে মজা নেওয়া, কামুকতার প্রদর্শনী। 

যৌনাঙ্গ, স্তন বা নিতম্ব (ঢাকা বা বস্ত্রহীন উভয়)। 

সম্মতি ছাড়াই যৌনতাপূর্ণ আচরণ। 

খ. আপত্তিকর থাম্বনেইল
ইউটিউবের থাম্বনেইল নীতিতে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করে এমন কিছু দেওয়া নিষিদ্ধ। এসব থাম্বনেইল এড়িয়ে চলুন: 

ক্লিকবেট হিসেবে কাজ করে, দর্শকদের প্রতারিত করে ক্লিক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে থাম্বনেইল ছবি ব্যবহার। 

যৌন তৃপ্তির উদ্দেশ্যে পর্নোগ্রাফিক, নগ্ন বা খোলামেলা ছবি দেওয়া। 

হিংসাত্মক, সহিংস এবং জঘন্য ছবি দেওয়া। 

রক্ত বা রক্ত দিয়ে গ্রাফিক বা অস্বস্তিকর ছবি ব্যবহার করা। 

অশ্লীল বা অমার্জিত ভাষা ব্যবহার করা। 

গ. শিশুর ক্ষতি
শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভাবে না এমন কনটেন্ট ইউটিউব গ্রহণ করে না। বয়স-অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু এড়িয়ে চলা বলতে যা বুঝায়: 

নাবালকদের যৌনতা এবং যৌন কাজে ব্যবহার। 
অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিপজ্জনক বা ক্ষতিকারক কাজ। 
অশ্লীলতা বা অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের বিষয়বস্তু পারিবারিক কনটেন্টে জুড়ে দেওয়া। 
নাবালকদের মানসিক পীড়ন দেওয়া। 
সাইবার বুলিং এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের যেকোনো প্রকারের হয়রানি।

ঘ. আত্মহত্যা এবং নিজের ক্ষতি সাধন
আত্মহত্যা বা অন্য ধরনের নিজের ক্ষতি সাধনকে উৎসাহিত করে এমন কন্টেন্ট ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। এর মধ্যে রয়েছে: 

আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনকে উৎসাহিত করে প্রচার বা এমন বিষয়কে মহিমান্বিত করা। 
কীভাবে আত্মহত্যা করা যায় বা নিজের ক্ষতি সাধন করা যায় সেসব শেখানো।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের লক্ষ্য করে নিজের ক্ষতি সাধনের গ্রাফিক ছবি বা ফুটেজ দেওয়া। 
মোমো-এর মতো আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনের চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণের নির্দেশিকা প্রদান বা এ ধরনের কাজে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট। 

৩. হিংসাত্মক বা বিপজ্জনক বিষয়বস্তু
ক্ষতিকারক বা বিপজ্জনক এবং অবৈধ কার্যকলাপকে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। ইউটিউবের নীতি অনুসারে বিপজ্জনক এবং ক্ষতিকারক কনটেন্ট সেগুলোই যার মধ্যে রয়েছে: 

অত্যন্ত বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ প্রচার করে যা শারীরিক আঘাতের ঝুঁকি তৈরি করে। 
ক্ষতিকারক এবং হুমকিমূলক প্রাঙ্ক উৎসাহিত করে। 
শক্তিশালী মাদকের ব্যবহার বা তৈরি শেখায়। 
হত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনের নির্দেশিকা রয়েছে। 
প্রতারণা, চুরি এবং অসৎ আচরণকে উৎসাহিত করে। 
অনৈতিক হ্যাকিং প্রচার করে। 
ব্যবহার করা পরিষেবার জন্য পেমেন্ট বাইপাস শেখানো। যেমন: পণ্য বা সেবা কিনে টাকা না দেওয়ার কৌশল। 
অ্যানোরেক্সিয়া (খাদ্যে অহীহা) বা অন্যান্য খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কিত ব্যাধিকে স্বাভাবিক বলে প্রতিষ্ঠিত করে। সেই সঙ্গে দর্শকদের তাকে অনুকরণ করতে উৎসাহিত করে। 
স্কুলে গোলাগুলির মতো ঘটনার প্রশংসা বা মহিমা বর্ণনা করা। 

সহিংস অপরাধী সংগঠন, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, গ্রাফিক বা হিংসাত্মক কাজ এবং হয়রানি এবং সাইবার বুলিংকে মহিমান্বিত করে এমন কনটেন্টেও বিধিনিষেধ রয়েছে। 

 ৪. ভুল তথ্য
বিভ্রান্তিকর বা প্রতারণামূলক তথ্য ছড়ায় এমন কনটেন্ট ইউটিউব অনুমোদন দেয় না কারণ এসব গুরুতর হুমকি বা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই ধরনের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে: 

ক. নির্বাচনের ভুল তথ্য
আপনি ইউটিউবে নির্বাচন-সম্পর্কিত কনটেন্ট পোস্ট করতে পারবেন না যদি এতে থাকে: 

মাধ্যম, স্থান, সময় বা ভোট দেওয়ার যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো বিষয়। এটি ভোটারদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালিত করে। 
প্রার্থীদের বদনাম করার জন্য যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যাচার। 
বিগত নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনী অনিয়মের মিথ্যা দাবি। 
হ্যাক করা তথ্য যার প্রকাশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। 
নির্বাচনী বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে অন্যদের উৎসাহিত করা ফুটেজ। 

খ. কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ভুল তথ্য
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং কোভিড সম্বন্ধে ভুল তথ্য সম্বলিত কনটেন্ট ইউটিউবে প্রচার করা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে এমন কনটেন্ট যা: 

দাবি করে যে কোভিডের অস্তিত্ব নেই। 
সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে অনুমোদিত নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক। 
কীভাবে কোভিড সংক্রমণ ঘটে সে সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে। 
কোভিড পরীক্ষা পদ্ধতির বিরোধিতা করে। 
কীভাবে কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করে। 
কোভিডের চিকিৎসা সম্পর্কে জনসাধারণকে ভুল তথ্য দেয়। 

গ. টিকা নিয়ে ভুল তথ্য
বর্তমানে অনুমোদিত এবং প্রয়োগ করা হচ্ছে এমন টিকা সম্পর্কে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউব অনুমতি দেয় না। এমন কন্টেন্ট পোস্ট করবেন না যেটি: 

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা স্বীকৃত তথ্যের বাইরে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে- টিকা সম্পর্কে এমন তথ্য রয়েছে। 
টিকাদানের কার্যকারিতার বিরোধিতা করে। 
টিকার প্রকৃত বিষয়বস্তু বা উপাদান সম্পর্কে ভিউয়ারদের বিভ্রান্ত করে। 

৫. নিয়ন্ত্রিত পণ্য
ইউটিউব এমন সামগ্রীকে নিরুৎসাহিত করে যা আগ্নেয়াস্ত্রসহ অবৈধ বা নিয়ন্ত্রিত পণ্য বা পরিষেবার বিক্রয় বা ব্যবহারকে প্রচার করে। এতে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য বিষয়বস্তু হলো-

মদ (সব ধরনের অ্যালকোহল)। 
নিকোটিন, ভ্যাপিং পণ্য। 
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধপত্র। 
লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসা সেবা। 
যৌন বা এসকর্ট পরিষেবা। 
বিপন্ন প্রজাতি বা তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। 
অবৈধ মাদক ও নিয়ন্ত্রিত মাদকদ্রব্য। 
আগ্নেয়াস্ত্র এবং নিয়ন্ত্রিত আগ্নেয়াস্ত্র আনুষঙ্গিক বিষয়। 
মানবপাচার এবং অঙ্গ বিক্রি। 

সবশেষ কথা হলো- ইউটিউব তার ভিউয়ারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সব সময় গাইডলাইন মেনে চলতে উৎসাহিত করে। সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চাইলে আগে অবশ্যই এই গাইডলাইন ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। তা না হলে স্ট্রাইকের পাশাপাশি অন্যরা আপনার ভিডিও বা চ্যানেলে রিপোর্ট করতে পারে। 

আপনি দোষী প্রমাণিত হলে, ইউটিউব আপনার ভিডিও সরিয়ে দিতে পারে। বারবার একই অপরাধ করলে স্ট্রাইট পাবেন। আর ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি স্ট্রাইক পেলে ইউটিউব আপনাকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল ঠিক রাখতে জেনে নিন এই পদ্ধতিগুলো

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
ভুলভাবে ব্যবহারের কারণে স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিলে হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
ভুলভাবে ব্যবহারের কারণে স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিলে হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।

অতিরিক্ত তাপে গরম করা

স্টেইনলেস স্টিল খুব দ্রুত এবং সমানভাবে গরম হয়। তাই শুরুতে বেশি আঁচে পাত্র বসালে তলার অংশ পুড়ে যেতে পারে বা কালচে দাগ পড়তে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে ব্যবহার করলে ধাতুর গঠন দুর্বল হয়ে পাত্র বাঁকা হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এতে চুলার ওপর পাত্র ঠিকভাবে বসে না এবং রান্নার সময় তাপ সমানভাবে ছড়ায় না।

সমাধান: রান্না শুরু করুন কম বা মাঝারি আঁচে। পাত্র হালকা গরম হওয়ার পর প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে আঁচ বাড়ান। খালি পাত্র বেশি সময় চুলায় রাখবেন না।

গরম পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালা

রান্না শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম হাঁড়িতে ঠান্ডা পানি ঢাললে পাত্রে হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। এতে স্টেইনলেস স্টিলের ধাতব গঠনে চাপ পড়ে এবং পাত্র বেঁকে যেতে পারে বা তলার অংশ বিকৃত হয়ে যায়। এর ফলে পরে পাত্রে তাপ সমানভাবে ছড়ায় না এবং রান্নার মানও ব্যাহত হয়।

সমাধান: রান্না শেষ হলে পাত্র কিছুক্ষণ স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন। সম্পূর্ণ ঠান্ডা হওয়ার পরেই ধোয়া শুরু করলে পাত্রের গঠন ও কার্যকারিতা দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

ডিশওয়াশারে নিয়মিত ধোয়া

স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র পরিষ্কারে সাধারণত ডিশওয়াশার নিরাপদ হলেও নিয়মিত এটি দিয়ে পাত্রগুলো ধোয়া ক্ষতিকর হতে পারে। ডিশওয়াশারে ব্যবহৃত শক্ত রাসায়নিক ডিটারজেন্ট এবং উচ্চ তাপমাত্রার পানির প্রভাবে পাত্রের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে কমে যায়। এর ফলে পাত্রে দাগ পড়তে শুরু করে, যা দেখতে অস্বস্তিকর এবং পরিষ্কার করাও কঠিন হয়ে ওঠে।

সমাধান: মাঝে মাঝে এ ধরনের পাত্র শুধু পানি দিয়ে অথবা সাধারণ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।

ঠান্ডা পানিতে লবণ দেওয়া

অনেকে রান্নার শুরুতে ঠান্ডা পানিতে লবণ দিয়ে দেন। এটি স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রের জন্য ক্ষতিকর। ঠান্ডা পানিতে দেওয়া লবণের ক্লোরাইড, স্টিলের ক্রোমিয়াম এবং পানির অক্সিজেন একসঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে পাত্রের গায়ে ছোট ছোট গর্তের মতো স্থায়ী দাগ তৈরি হয়, যাকে সহজে পরিষ্কার বা ঠিক করা যায় না এবং পাত্রের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব—দুটোই কমে যায়।

সমাধান: সব সময় পানি ফুটে ওঠার পরেই তাতে লবণ যোগ করুন।

ধোয়ার পর পাত্র না শুকানো

ধোয়ার পর স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে পানি জমে থাকলে খুব দ্রুত চুনের দাগ বা সাদা আস্তরণ পড়ে। পানির সঙ্গে থাকা খনিজ উপাদান শুকানোর সময় পাত্রের গায়ে লেগে যায় এবং ধীরে ধীরে দাগ স্থায়ী হয়ে ওঠে, যা পরে পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে।

সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার ও শুকনো কাপড় দিয়ে ভেতর ও বাইরে জমে থাকা পানি মুছে ফেলুন। এতে দাগ পড়া অনেক দেরি হবে এবং পাত্র দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকবে।

রোদে শুকাতে দেওয়া

অনেকে পাত্র ধুয়ে রোদে রেখে দেন, এটি ক্ষতিকর অভ্যাস। রোদে শুকানোর সময় পানির খনিজ উপাদান দ্রুত জমে গিয়ে স্টেইনলেস স্টিলের গায়ে দাগ তৈরি করতে পারে। এসব দাগ সহজে ওঠে না এবং পাত্রের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে।

সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন এবং ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন।

দাগ পড়লে করণীয়

বেকিং সোডা ও ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করুন। এতে দাগ উঠে যাবে এবং পাত্র আবার ঝকঝকে হবে।

সঠিক নিয়মে ব্যবহার ও নিয়মিত যত্ন নিলে স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকে। এতে পাত্রের সৌন্দর্য যেমন বজায় থাকে, তেমনি তাপ পরিবহনের ক্ষমতাও নষ্ট হয় না। ফলে রান্না হয় সমান ও স্বাস্থ্যসম্মত এবং বারবার নতুন পাত্র কেনার প্রয়োজনও পড়ে না। একটু সচেতন ব্যবহারেই এই পাত্রগুলো বহু বছর ব্যবহার করা সম্ভব।

সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেনাকাটার জন্য যে দেশে নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে নগদ অর্থ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মার্শাল আইল্যান্ডসের নাগরিকেরা এখন নিয়মিত নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। ছবি: মার্শাল আইল্যান্ডস জার্নাল
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মার্শাল আইল্যান্ডসের নাগরিকেরা এখন নিয়মিত নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। ছবি: মার্শাল আইল্যান্ডস জার্নাল

একবার ভাবুন, কেনাকাটার জন্য রাষ্ট্র আপনার অ্যাকাউন্টে নিয়ম করে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছে! কেমন হবে বিষয়টি? না, এটি কোনো কল্পনা নয়। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মার্শাল আইল্যান্ডসের নাগরিকেরা এখন নিয়মিত নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষতিপূরণ তহবিল থেকে দেশটির প্রত্যেক নাগরিককে তিন মাস পরপর প্রায় ২০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হচ্ছে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে।

গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্‌যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম (ইউবিআই) কর্মসূচির অর্থ বিতরণ।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, মার্শাল আইল্যান্ডসে বসবাসরত প্রত্যেক নাগরিক তিন মাস পর প্রায় ২০০ ডলার পাবেন। আর বছরে পাবেন প্রায় ৮০০ ডলার। প্রায় ৪২ হাজার জনসংখ্যার এই দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসনের চাপ বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশটির অর্থমন্ত্রী ডেভিড পল এই ভাতাকে ‘মানসিক শক্তি জোগানোর উপায়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে।’

ডিজিটাল ওয়ালেটে টাকা পাওয়ার সুযোগ

গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। ছবি: উইকিপিডিয়া
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। ছবি: উইকিপিডিয়া

এই কর্মসূচির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নাগরিকেরা শুধু প্রচলিত ব্যাংক ট্রান্সফার বা চেকের ওপর নির্ভরশীল নন; চাইলে তাঁরা ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমেও সরাসরি অর্থ গ্রহণ করতে পারছেন। এই পদ্ধতিতে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিরাপদ ও স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত করে। এটি মার্শাল আইল্যান্ডসকে বিশ্বে একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণে পরিণত করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য দ্বীপে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি কার্যকর ও আধুনিক সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রকল্পের অর্থ ব্যবস্থাপক আনেলি সারানা জানান, প্রথম কিস্তির অর্থ বিতরণের পর রাজধানী এবং আশপাশের এলাকায় একধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তাঁর ভাষায়, ‘রাস্তাঘাটে এমন ভিড় আগে দেখা যায়নি। মনে হচ্ছিল, যেন বড় কোনো উৎসব চলছে।’ তিনি আরও জানান, কর্মসূচির আওতায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে তাঁর দলকে অনেক দুর্গম দ্বীপে নৌকায় করে যেতে হয়েছে। সেখানে গিয়ে নাগরিকদের নিবন্ধন, পরিচয় যাচাই এবং অর্থ গ্রহণের পদ্ধতি বোঝানোর কাজ করতে হয়েছে, যা পুরো উদ্যোগকে আরও মানবিক ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলেছে।

প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ

অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ড. ফাম হুই মনে করেন, জাতীয় পর্যায়ে ব্লক চেইন ব্যবহার করে ইউবিআই বিতরণ করা একটি অভিনব পদক্ষেপ। তাঁর মতে, মার্কিন ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত স্টেবল কয়েন ব্যবহারের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা শত শত ছোট দ্বীপে নগদ অর্থ পরিবহনের ব্যয় ও ঝুঁকি অনেকটাই কমে। তবে প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তোলা সহজ নয়। পরিসংখ্যান বলছে, এখনো প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাকিরা চেক পছন্দ করছেন। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে মাত্র ১২ জন নাগরিক ই-ওয়ালেট ব্যবহারে নিবন্ধন করেছিলেন।

ড. হুইর মতে, এ পদ্ধতির বড় বাধা হলো অবকাঠামো—স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ এবং স্মার্টফোন। এই দুটি সুবিধা এখনো মার্শাল আইল্যান্ডসের অনেক অঞ্চলে বিলাসিতার পর্যায়ে রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান না হলে ডিজিটাল অর্থ প্রদান পুরোপুরি কার্যকর হবে না।

আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ

যদিও দেশের ভেতরে এই উদ্যোগ ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে এটি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) কর্মসূচিটির আর্থিক ঝুঁকি এবং তদারকি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছে। বর্তমানে এই ইউবিআই কর্মসূচির অর্থ আসছে ১৩০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের একটি ট্রাস্ট ফান্ড থেকে। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্র অতীতে মার্শাল আইল্যান্ডসে পরিচালিত পারমাণবিক পরীক্ষার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়েছিল।

ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার চাপ কমাতে মার্শাল আইল্যান্ডসের এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রযুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তার এমন সমন্বয় ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোর জন্যও উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৮
আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

মেষ

আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, বসের কাছে আপনার পণ্ডিতি আসলে ‘উলুবনে মুক্তা ছড়ানো’। আজ রাস্তায় কোনো পরিচিত পুরোনো শত্রু বা পাওনাদার দেখলে সরাসরি উল্টো দিকে স্প্রিন্ট দিন। টাকা ধার চাইলে ‘ভুলে গেছি’ বলার চেয়ে ‘আমি তো ফকির’ বলা বেশি কার্যকর।

বৃষ

আপনার অলসতা আজ হিমালয় পর্বতের উচ্চতাকে হেলায় হারিয়ে দেবে। বিছানা থেকে এক ইঞ্চি নড়তে গেলেই মনে হবে পৃথিবীটা গোল নয়, বরং চৌকো এবং আরামদায়ক একটা গদি। ফ্রিজ খোলার সময় চরম সাবধানতা অবলম্বন করুন। গত সপ্তাহের পচা তরকারি আজ ‘জম্বি’ হয়ে আপনাকে আক্রমণ করতে পারে। কেউ যদি বলে ‘একটু কাজ আছে’, তবে দেরি না করে তড়িৎ গতিতে কানে হেডফোন গুঁজে দিন এবং ধ্যান করার ভান করুন।

মিথুন

মনের ভেতর আজ একটা অদ্ভুত দুরু দুরু ভাব কাজ করবে। তবে ভুল করবেন না, ওটা প্রেমের হাওয়া নয়; ওটা হলো মাসের শেষের দিকে আপনার মানিব্যাগের অতল গহ্বর বা বিশাল ব্ল্যাকহোল দেখে তৈরি হওয়া আতঙ্ক। শ্বশুরবাড়ি থেকে বড় কোনো উপহার বা সাহায্যের আশা করছেন? সাবধান! তারা হয়তো আপনার কাছেই আজ এক লম্বা ফিরিস্তি বা সাহায্যের আবেদন পাঠিয়ে বসবে। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলোসফিক্যাল বা জ্ঞানী কথা কম পোস্ট করুন। ফ্রেন্ডলিস্টের সবাই জানে যে আপনি আসলে কপি-পেস্টের দোকান!

কর্কট

আপনি আজ কোনো কারণ ছাড়াই অতি আবেগপ্রবণ। ইউটিউবে বিড়ালের কান্নার ভিডিও দেখে বা রাস্তার কুকুরের লেজ নাড়া দেখেও দুই চোখ প্লাবিত হতে পারে। পুরোনো প্রেমিকের ‘হাই’ লেখা মেসেজ সিন করবেন না। ওটা আসলে মহাজাগতিক কোনো ফান বা ভুতুড়ে ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আজ বেশি হাসাহাসি করবেন না, বিশেষ করে একা একা। আশপাশের লোক আপনাকে এমনিতেই পাগল ভাবে, সেটা আবার প্রমাণ করে দেওয়ার দরকার নেই।

সিংহ

আপনার রাজকীয় গর্জন আজ কেবল বাথরুমের শাওয়ারের নিচে গান গাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বাইরে বেরোলে আপনাকে পাড়ার নেড়ি কুকুরের চেয়েও বেশি নিরীহ দেখাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রূপচর্চা করতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট করবেন না। আপনার রূপ কমেনি ঠিকই, কিন্তু মেকআপের খরচ বাজেটে আগুন লাগিয়ে দেবে। শেয়ারবাজারে বড় ইনভেস্টমেন্টের কথা ভাবছেন? ওটা স্বপ্নের মধ্যেই রাখুন, বাস্তবে আপনার পকেটে এখন শুধু বাস ভাড়ার টাকাই অবশিষ্ট আছে।

কন্যা

আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব আজ এভারেস্টের চূড়ায় উঠবে। ঘরের কোণে এক কণা ধুলা দেখলে বা চাদরে একটা ভাঁজ থাকলে আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। রান্নাঘরে বেশি কারসাজি করতে যাবেন না। লবণের বদলে চিনি ঢেলে দিলে বাড়ির লোক আপনাকে আজ ‘উন্মাদ’ ঘোষণা করে দেবে। পৃথিবীটা আপনার পারফেকশন অনুযায়ী চলে না—এই তিতা সত্যটা আজ অন্তত মেনে নিন এবং একটু অগোছালো হয়ে বাঁচুন।

তুলা

আপনি আজ লাইফ ব্যালেন্স করতে গিয়ে সারা দিন শুধু ডিগবাজি খাবেন। শপিং মলে ঢুকলে আপনার মাসের বাজেটের দফারফা হওয়া নিশ্চিত। অজানা কারও সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে ১০ টাকা নিয়ে মারপিট করতে গেলে মানসম্মান প্লাস্টিকের মতো গলে যাবে। পকেটে টাকা না থাকলে আইফোন ১৬-এর স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে ছবি তোলা প্র্যাকটিস করুন।

বৃশ্চিক

আপনার ভেতর আজ একটা ‘শার্লক হোমস’ সত্তা জেগে উঠবে। অকারণে বাড়ির লোকের ফোন চেক করা বা অন্যের গোপন কথা শোনার তীব্র ইচ্ছা হবে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে খামখেয়ালি আচরণ করবেন না। ওনার মেজাজ আজ হাইড্রোজেনের বেলুন, একটু চিমটি কাটলেই প্রচণ্ড শব্দে ফেটে যাবে। অন্যের গোপন রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে ভুলেও নিজের পাসওয়ার্ড বা ব্রাউজার হিস্ট্রি প্রকাশ করে দেবেন না।

ধনু

আপনি আজ বিশ্বভ্রমণে যেতে চাইবেন, ব্যাকপ্যাক গুছিয়েও ফেলবেন, কিন্তু শেষমেশ রেলওয়ের অ্যাপে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ দেখে সোফায় এসে বসে পড়বেন। বাড়িতে স্ত্রীর সব কথা বিনা বাক্যে মেনে চলুন। ‘ওয়াইফ ইজ অলওয়েজ রাইট’ থিওরি আজ আপনার জন্য আইনত বাধ্যতামূলক। নতুন সাদা শার্ট পরে বাইরে বেরোবেন না। কারণ, পাশ দিয়ে যাওয়া বাইকের কাদা আজ আপনার শার্টেই ঠিকানার খোঁজ করবে।

মকর

আজ এতই গম্ভীর আর কাঠখোট্টা হয়ে থাকবেন যে পাড়ার ছোট শিশুরা আপনাকে ভুল করে পুলিশ বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার ভাবতে পারে। কাজের চাপে মাথা এত বেশি চুলকাবেন না যে দিনের শেষে আয়নায় শুধু টাক দেখা যায়। একটু রিলাক্স করুন। মাঝেমধ্যে ৩২ পাটি দাঁত বের করে হাসুন। হাসিটা ভুতুড়ে হলেও লোকে অন্তত আপনাকে মানুষ বলে বিশ্বাস করবে।

কুম্ভ

আপনার চিন্তাভাবনা আজ সরাসরি মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দেবে। ইলন মাস্কের সঙ্গে মনে মনে কফি খেলেও বাস্তব দুনিয়ার ট্যাক্স ফাইল আপনাকে মাটিতে টেনে নামাবে। ছোট ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। সেই ঝগড়ায় জেতার জন্য পুরোনো কাসুন্দি না ঘাঁটাই ভালো। মন বড় করে আজ কাউকে কিছু দান করুন। অন্তত ওয়ার্ডরোবের সেই ছিদ্র হওয়া মোজাগুলো ডাস্টবিনে ফেলে বিশ্বকে রক্ষা করুন।

মীন

আজ কল্পনার রাজপ্রাসাদে রাজকীয় ডিনার করছেন। বাস্তবে মেনুতে মাছে-ভাতে দিন কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও স্রেফ আলুভাত জুটলে সেটাকেই ভাগ্য মেনে নিন। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোন টিপবেন না। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আজ আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, নাক চ্যাপ্টা হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা! কারও মিষ্টি কথায় গলে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের পিন বা ওটিপি দিয়ে দেবেন না। মনে রাখবেন, গ্রহের ফেরের চেয়ে হ্যাকারের ফের বেশি বিপজ্জনক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড় দিনে কেক হবে না!

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
বড়দিনে বিভিন্ন ধরনের কেক খাওয়া হয় খ্রিষ্টধর্মীয় সংস্কৃতিতে। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
বড়দিনে বিভিন্ন ধরনের কেক খাওয়া হয় খ্রিষ্টধর্মীয় সংস্কৃতিতে। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের খাবারের আলাদা এক ঐতিহ্য দেখা যায়। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে তাঁরা সেদিন অনেক স্বাদের কেক তৈরি করে থাকেন। বড় দিনে তৈরির জন্য দুটি কেকের রেসিপি রইল আপনাদের জন্য। রেসিপি ও ছ‌বি দি‌য়ে‌ছেন ফুড কলামিস্ট ও রন্ধনশিল্পী ছন্দা ব্যানার্জি

মাফিন কেক

মাফিন কেক
মাফিন কেক

উপকরণ

একটা ডিম, ২০০ গ্রাম গুঁড়া চিনি, ১২০ মিলিলিটার দুধ, ১২০ মিলিলিটার সাদা তেল, এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার, এক কাপ ময়দা, পাঁচ গ্রাম বেকিং সোডা, এক চিমটি লবণ।

প্রণালি

প্রথমে একটা পাত্রে ডিম, চিনি, দুধ, সাদা তেল, ভিনেগার একসঙ্গে নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটা মসৃণ, ক্রিমি হ‌ওয়া পর্যন্ত ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে রেখা দিন। অন্য একটা পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা, লবণ ভালো করে ছেঁকে (যাতে ময়দার কোন লাম্প বা দলা না থাকে) মেশাতে হবে। এবার ধীরে ধীরে ডিম ফ্যাটানো পাত্রের মধ্যে এই শুকনো উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কাপ কেক মোল্ডারের মধ্যে সমপরিমাণে ওই মিশ্রণ দিয়ে একটু ট্যাপ করে নিতে হবে; যাতে কোনো বাবল না থাকে।

ওভেন করে নিতে হবে ১৮০ ডিগ্রিতে। একই তাপে ২০ থেকে ২৫ মিনিট বেক করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার মাফিন কেক।

ড্রাই ফ্রুট কেক

ড্রাই ফ্রুট কেক
ড্রাই ফ্রুট কেক

উপকরণ

১০০ গ্রাম ময়দা, ১০০ গ্রাম চিনি, ১০০ গ্রাম বাটার, দুটি ডিম, বড় আকারের একটা কমলালেবু। ১ চা-চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১ চা-চামচ বেকিং পাউডার, সামান্য লবণ, দেড় টেবিল চামচ ক্যারামেল সস, শুকনো কাজু, আমন্ড, কিশমিশ, ব্ল্যাক কিশমিশ, মোরব্বা, খেজুর, টুটি ফ্রুটি, চেরি, ১ চা-চামচ মসলা।

ক্যারামেল সস

একটা সস প্যান চুলায় বসিয়ে গরম করে তাতে আধা কাপ চিনি দিতে হবে। হালকা আঁচে চিনি গলিয়ে নিন। বাদামি রং হলে তাতে পরিমাণমতো পানি দিন। ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন, যাতে এটি রঙের জন্য কেকে ব্যবহার করা যায়।

প্রণালি

প্রথমে কমলালেবুর ওপরের খোসা গ্রেটার দিয়ে ঘষে নিন। সাদা অংশ নেওয়া যাবে না। এরপর কমলালেবু থেকে রস বের করে নিতে হবে। এই রসে টুটি ফ্রুটি, কিশমিশ, ব্ল্যাক কিশমিশ ভিজিয়ে রাখতে হবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। ১০০ গ্রাম চিনি গুঁড়া করে নিয়ে তাতে ভ্যানিলা এসেন্স ও বাটার দিতে হবে। চিনি, এসেন্স আর বাটার বেলুন হুইক্স দিয়ে খুব ভালো করে বিট করে নিতে হবে। বাটারের কালার পুরো সাদা হয়ে যাবে। তখন এর মধ্যে দুটো ডিম দিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর ১০০ গ্রাম ময়দা, এক চা-চামচ বেকিং পাউডার ও এক চিমটি লবণ এতে যোগ করতে হবে চালুনি দিয়ে চেলে। ময়দা দেওয়ার পর ভালো করে আবারও মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে দিতে হবে ক্যারামেল সস, কমলালেবুতে ভেজানো ফ্রুটসসহ লেবুর রস, গ্রেট করা কমলালেবুর খোসা এবং অন্যান্য শুকনো ফল। সবকিছু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার আগে থেকে রেডি করে রাখা একটা ছয় ইঞ্চির বাটিতে কেকের ব্যাটার ঢেলে দিতে হবে। এই বাটিতে বাটার বা তেল মাখিয়ে তার ভেতরে বাটার পেপার দিয়ে রাখতে হবে। বাটিতে কেকের ব্যাটার ঢালার পর বাটি একটু ট্যাপ করে নিতে হবে। এরপর ওপরে ইচ্ছা অনুযায়ী শুকনো ফল সাজিয়ে দিতে হবে।

এবার মাইক্রোওভেন ১৮০ ডিগ্রি তাপে প্রি-হিট করে নিতে হবে ৫ মিনিট। এপর বাটিটা বসিয়ে বেক করতে দিতে হবে এক ঘণ্টা। অবশ্য বেকিং টাইম কখনো বেশিও লাগতে পারে।

তবে যদি ওভেন না থাকে, তাহলে এই কেক গ্যাসের তাপেও তৈরি করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি কড়াইতে ছোট স্ট্যান্ড বসিয়ে নিন। তারপর ভালো করে ঢাকনা দিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট প্রি-হিট করে নিতে হবে। এবার প্রি-হিট করা কড়াইয়ের মধ্যে বাটিটি বসিয়ে দিতে হবে। বসিয়ে আবারও ঢাকা দিয়ে মোটামুটি এক থেকে দেড় ঘণ্টা জ্বাল দিতে হবে ফ্রুট কেক তৈরি করতে।

নামাবার আগে কেকে টুথপিক ঢুকিয়ে দেখে নিতে হবে কেক বেক হয়েছে কি না। হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট রেখে তারপর কেকটা বের করে নিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত