Ajker Patrika

ইউটিউবে নিষিদ্ধ হতে পারেন যেসব কারণে

জাহাঙ্গীর আলম
ইউটিউবে নিষিদ্ধ হতে পারেন যেসব কারণে

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ইউটিউব এখন জনপ্রিয়তায় শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম। তবে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতো এখানেও রয়েছে কঠোর কমিউনিটি গাইডলাইন। সব বিষয় নিয়ে এখানে কনটেন্ট বানানো যায় না। নির্দিষ্ট কিছু বিষয় কভার করা, চিত্রিত করা, প্রচার করা বা সেগুলো সম্পর্কে কথা বলার কারণে আপনি স্ট্রাইক পেতে পারেন। 

আর টানা ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি স্ট্রাইক পেলে আপনার চ্যানেল স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার চ্যানেল যতো বড় আর জনপ্রিয় হোক না কেন তিনটি স্ট্রাইক পেলে সেটি আর ফেরানো সম্ভব নয়। সুতরাং কোন কোন বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে ইউটিউবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেগুলো জানাটা জরুরি। এখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো: 

১. স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কনটেন্ট
ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসারে, স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের যেসব বিষয় অন্তুর্ভুক্ত-

ক. বিভ্রান্তিকর মেটাডেটা বা থাম্বনেইল

আপনার মেটাডেটা এবং থাম্বনেইল বিভ্রান্তিকর বলে ধরা হবে যদি: 

আপনার শিরোনাম ভিডিওর বিষয়বস্তুর সঙ্গে না মেলে। 
আপনার থাম্বনেইল ভিডিওর প্রকৃত বিষয়বস্তু প্রতিফলিত না করে। 
ভিডিওতে ক্লিক করায় প্রলুব্ধ করতে দর্শকদের বোকা বানানোর জন্য বিবরণে (ডেসক্রিপশন) ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়া। 
ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর ট্যাগ দেওয়া।

খ. ভিডিও স্প্যাম
আপনি ভিডিও স্প্যাম করছেন বলে ধরা হবে যদি আপনার কনটেন্ট: 

একটি কনটেন্ট দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিউয়ারদের সম্পর্কিত নয় এমন (অফ-সাইট) সাইটে পুনঃনির্দেশ (রিডিরেক্ট) করে। 
ক্ষতিকর সফটওয়্যার ছড়ানো, ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ করা বা অন্য কোনও ক্ষতিকর কার্যকলাপে জড়িত সাইটগুলোতে ভিউয়ারদের নিয়ে যায়। 
দর্শকদের প্রলুব্ধ করার জন্য দ্রুত অর্থ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি দেয়। 

গ. মন্তব্য স্প্যাম
মন্তব্য স্প্যামের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত: 

মন্তব্যের একমাত্র লক্ষ্য যদি হয় দর্শকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা। 
প্রতারণামূলকভাবে দর্শকদের অফ-সাইটে নিয়ে যাওয়া। 
অথবা অন্যান্য নিষিদ্ধ আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া।

ঘ. পুনরাবৃত্তিমূলক মন্তব্য
একই ধরনের বিপুল পরিমাণ কনটেন্ট দেওয়া। অথবা বিষয়বস্তুর বাইরে বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলা। এতে মন্তব্য বিভাগে একটা জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি করে। 

ঙ. অনিয়ম/দুর্নীতি
আপনার কনটেন্ট অনিয়ম বা দুর্নীতি করছে বলে ধরা হবে যদি-

প্রণোদনা হিসাবে নগদ উপহার অফার করেন। 
দ্রুত ধনী হওয়ার কৌশল বা স্কিম প্রচার করেন। 
পিরামিড স্কিমের (এমএলএম এর মতো) পক্ষের প্রচারণা চালানো। 

চ. লাইভ স্ট্রিমের অপব্যবহার
আপনি ইউটিউবের কনটেন্ট গাইডলাইন লঙ্ঘন করছেন বলে ধরা হবে, যদি আপনি অন্যের কনটেন্ট লাইভ স্ট্রিম করেন এবং বারবার সতর্ক করার পরেও সেই কনটেন্ট নামাতে অস্বীকার করেন। 

ছ. অন্যান্য নিষিদ্ধ স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক চর্চা এড়ানোর জন্য ইউটিউব আরও কিছু বিষয়বস্তুকে সন্দেহের তালিকায় রাখে: 

একজন ব্যক্তি, ব্র্যান্ড বা সত্তাকে এমনভাবে নকল করা যাতে সেই সাদৃশ্যে ভিউয়াররা সত্যি সত্যি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে আপনিই সেই ব্যক্তি বা ব্র্যান্ড। 

পর্নোগ্রাফি বা ম্যালওয়্যারযুক্ত সাইটের মতো ওয়েবসাইটগুলোর লিংক যুক্ত করে এক্সটারনাল লিংক সুবিধার অপব্যবহার করা। 

লাইক, ভিউ, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অনৈতিক উপায় অবলম্বন করা। 

নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে রেসট্রিক্টেড বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হওয়া কোনো ক্রিয়েটরের মুছে ফেলা কনটেন্ট পুনরায় পোস্ট করা। 

২. সংবেদনশীল বিষয়বস্তু
শিশুদের ক্ষতি, যৌনতা এবং নগ্নতা, নিজের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউব কোনোভাবেই অনুমতি দেয় না। এসব কনটেন্টকে ইউটিউব সংবেদনশীল বলে মনে করে। এ তালিকায় যা রয়েছে: 

ক. নগ্নতা এবং যৌন বিষয়বস্তু
একজন ইউটিউব ক্রিয়েটর হিসেবে, আপনার যৌন তৃপ্তিদায়ক বিষয়বস্তু পোস্ট করার অনুমতি নেই। 

ইউটিউবের মতে, নগ্নতা এবং যৌন বিষয়বস্তুতে রয়েছে: 

পর্নোগ্রাফি বা অ-পর্নোগ্রাফিক ক্লিপ, যেখানে যৌন তৃপ্তির জন্য সুস্পষ্ট বিষয়বস্তু রয়েছে। 

ফেটিশ (কামনা উদ্রেগকারী), যৌনাঙ্গ বা তেমন বস্তু হাতড়ানো, শিৎকার, প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করা, নিম্নাঙ্গের ছবি/ভিডিও, অন্যের সঙ্গম দেখে মজা নেওয়া, কামুকতার প্রদর্শনী। 

যৌনাঙ্গ, স্তন বা নিতম্ব (ঢাকা বা বস্ত্রহীন উভয়)। 

সম্মতি ছাড়াই যৌনতাপূর্ণ আচরণ। 

খ. আপত্তিকর থাম্বনেইল
ইউটিউবের থাম্বনেইল নীতিতে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করে এমন কিছু দেওয়া নিষিদ্ধ। এসব থাম্বনেইল এড়িয়ে চলুন: 

ক্লিকবেট হিসেবে কাজ করে, দর্শকদের প্রতারিত করে ক্লিক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে থাম্বনেইল ছবি ব্যবহার। 

যৌন তৃপ্তির উদ্দেশ্যে পর্নোগ্রাফিক, নগ্ন বা খোলামেলা ছবি দেওয়া। 

হিংসাত্মক, সহিংস এবং জঘন্য ছবি দেওয়া। 

রক্ত বা রক্ত দিয়ে গ্রাফিক বা অস্বস্তিকর ছবি ব্যবহার করা। 

অশ্লীল বা অমার্জিত ভাষা ব্যবহার করা। 

গ. শিশুর ক্ষতি
শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভাবে না এমন কনটেন্ট ইউটিউব গ্রহণ করে না। বয়স-অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু এড়িয়ে চলা বলতে যা বুঝায়: 

নাবালকদের যৌনতা এবং যৌন কাজে ব্যবহার। 
অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিপজ্জনক বা ক্ষতিকারক কাজ। 
অশ্লীলতা বা অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের বিষয়বস্তু পারিবারিক কনটেন্টে জুড়ে দেওয়া। 
নাবালকদের মানসিক পীড়ন দেওয়া। 
সাইবার বুলিং এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের যেকোনো প্রকারের হয়রানি।

ঘ. আত্মহত্যা এবং নিজের ক্ষতি সাধন
আত্মহত্যা বা অন্য ধরনের নিজের ক্ষতি সাধনকে উৎসাহিত করে এমন কন্টেন্ট ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। এর মধ্যে রয়েছে: 

আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনকে উৎসাহিত করে প্রচার বা এমন বিষয়কে মহিমান্বিত করা। 
কীভাবে আত্মহত্যা করা যায় বা নিজের ক্ষতি সাধন করা যায় সেসব শেখানো।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের লক্ষ্য করে নিজের ক্ষতি সাধনের গ্রাফিক ছবি বা ফুটেজ দেওয়া। 
মোমো-এর মতো আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনের চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণের নির্দেশিকা প্রদান বা এ ধরনের কাজে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট। 

৩. হিংসাত্মক বা বিপজ্জনক বিষয়বস্তু
ক্ষতিকারক বা বিপজ্জনক এবং অবৈধ কার্যকলাপকে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। ইউটিউবের নীতি অনুসারে বিপজ্জনক এবং ক্ষতিকারক কনটেন্ট সেগুলোই যার মধ্যে রয়েছে: 

অত্যন্ত বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ প্রচার করে যা শারীরিক আঘাতের ঝুঁকি তৈরি করে। 
ক্ষতিকারক এবং হুমকিমূলক প্রাঙ্ক উৎসাহিত করে। 
শক্তিশালী মাদকের ব্যবহার বা তৈরি শেখায়। 
হত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনের নির্দেশিকা রয়েছে। 
প্রতারণা, চুরি এবং অসৎ আচরণকে উৎসাহিত করে। 
অনৈতিক হ্যাকিং প্রচার করে। 
ব্যবহার করা পরিষেবার জন্য পেমেন্ট বাইপাস শেখানো। যেমন: পণ্য বা সেবা কিনে টাকা না দেওয়ার কৌশল। 
অ্যানোরেক্সিয়া (খাদ্যে অহীহা) বা অন্যান্য খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কিত ব্যাধিকে স্বাভাবিক বলে প্রতিষ্ঠিত করে। সেই সঙ্গে দর্শকদের তাকে অনুকরণ করতে উৎসাহিত করে। 
স্কুলে গোলাগুলির মতো ঘটনার প্রশংসা বা মহিমা বর্ণনা করা। 

সহিংস অপরাধী সংগঠন, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, গ্রাফিক বা হিংসাত্মক কাজ এবং হয়রানি এবং সাইবার বুলিংকে মহিমান্বিত করে এমন কনটেন্টেও বিধিনিষেধ রয়েছে। 

 ৪. ভুল তথ্য
বিভ্রান্তিকর বা প্রতারণামূলক তথ্য ছড়ায় এমন কনটেন্ট ইউটিউব অনুমোদন দেয় না কারণ এসব গুরুতর হুমকি বা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই ধরনের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে: 

ক. নির্বাচনের ভুল তথ্য
আপনি ইউটিউবে নির্বাচন-সম্পর্কিত কনটেন্ট পোস্ট করতে পারবেন না যদি এতে থাকে: 

মাধ্যম, স্থান, সময় বা ভোট দেওয়ার যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো বিষয়। এটি ভোটারদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালিত করে। 
প্রার্থীদের বদনাম করার জন্য যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যাচার। 
বিগত নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনী অনিয়মের মিথ্যা দাবি। 
হ্যাক করা তথ্য যার প্রকাশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। 
নির্বাচনী বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে অন্যদের উৎসাহিত করা ফুটেজ। 

খ. কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ভুল তথ্য
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং কোভিড সম্বন্ধে ভুল তথ্য সম্বলিত কনটেন্ট ইউটিউবে প্রচার করা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে এমন কনটেন্ট যা: 

দাবি করে যে কোভিডের অস্তিত্ব নেই। 
সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে অনুমোদিত নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক। 
কীভাবে কোভিড সংক্রমণ ঘটে সে সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে। 
কোভিড পরীক্ষা পদ্ধতির বিরোধিতা করে। 
কীভাবে কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করে। 
কোভিডের চিকিৎসা সম্পর্কে জনসাধারণকে ভুল তথ্য দেয়। 

গ. টিকা নিয়ে ভুল তথ্য
বর্তমানে অনুমোদিত এবং প্রয়োগ করা হচ্ছে এমন টিকা সম্পর্কে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউব অনুমতি দেয় না। এমন কন্টেন্ট পোস্ট করবেন না যেটি: 

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা স্বীকৃত তথ্যের বাইরে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে- টিকা সম্পর্কে এমন তথ্য রয়েছে। 
টিকাদানের কার্যকারিতার বিরোধিতা করে। 
টিকার প্রকৃত বিষয়বস্তু বা উপাদান সম্পর্কে ভিউয়ারদের বিভ্রান্ত করে। 

৫. নিয়ন্ত্রিত পণ্য
ইউটিউব এমন সামগ্রীকে নিরুৎসাহিত করে যা আগ্নেয়াস্ত্রসহ অবৈধ বা নিয়ন্ত্রিত পণ্য বা পরিষেবার বিক্রয় বা ব্যবহারকে প্রচার করে। এতে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য বিষয়বস্তু হলো-

মদ (সব ধরনের অ্যালকোহল)। 
নিকোটিন, ভ্যাপিং পণ্য। 
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধপত্র। 
লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসা সেবা। 
যৌন বা এসকর্ট পরিষেবা। 
বিপন্ন প্রজাতি বা তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। 
অবৈধ মাদক ও নিয়ন্ত্রিত মাদকদ্রব্য। 
আগ্নেয়াস্ত্র এবং নিয়ন্ত্রিত আগ্নেয়াস্ত্র আনুষঙ্গিক বিষয়। 
মানবপাচার এবং অঙ্গ বিক্রি। 

সবশেষ কথা হলো- ইউটিউব তার ভিউয়ারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সব সময় গাইডলাইন মেনে চলতে উৎসাহিত করে। সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চাইলে আগে অবশ্যই এই গাইডলাইন ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। তা না হলে স্ট্রাইকের পাশাপাশি অন্যরা আপনার ভিডিও বা চ্যানেলে রিপোর্ট করতে পারে। 

আপনি দোষী প্রমাণিত হলে, ইউটিউব আপনার ভিডিও সরিয়ে দিতে পারে। বারবার একই অপরাধ করলে স্ট্রাইট পাবেন। আর ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি স্ট্রাইক পেলে ইউটিউব আপনাকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যেসব বিপজ্জনক খাবার মৃত্যুর কারণ হতে পারে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৫
খাবার সব সময় আনন্দের বিষয় নয়। কিছু কিছু খাবার ঝুঁকির কারণও হতে পারে। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
খাবার সব সময় আনন্দের বিষয় নয়। কিছু কিছু খাবার ঝুঁকির কারণও হতে পারে। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

ভুল প্রস্তুতি, সামান্য অসাবধানতা কিংবা জ্ঞানের অভাব—এগুলো যেকোনো খাবারকে মুহূর্তে পরিণত করতে পারে নীরব ঘাতকে। পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া যাক, যেগুলো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক রন্ধনশৈলীর অংশ হলেও সেগুলোর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা অপরিহার্য।

বীজ, ফল ও সবজি

সাধারণ কিছু ফল ও সবজির ভুল অংশ কিংবা ভুল প্রস্তুতি মারাত্মক হতে পারে। কামরাঙায় নিউরোটক্সিন থাকে, যা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাদের এটি খেলে মারাত্মক বিভ্রান্তি, খিঁচুনি বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। তবে সুস্থ ব্যক্তিরা এটি পরিমিত খেতে পারে।

কামরাঙায় নিউরোটক্সিন থাকে, যা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক
কামরাঙায় নিউরোটক্সিন থাকে, যা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক

জ্যামাইকার অ্যাকি নামের একটি ফল কাঁচা অবস্থায় হাইপোগ্লাইসিন এ নামে বিষাক্ত পদার্থ ধারণ করে। এ ফল খেলে বমি হতে পারে। এ ছাড়া এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে কোমা বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। কাসাভা একটি মূলজাতীয় সবজি। এটিতে সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড থাকে, যা ভুলভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হলে সায়ানাইড নির্গত করে। এতে বমি বমি ভাব, বমি বা মৃত্যু হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্যাংগিয়াম ইড্যুলে নামের বীজে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামক মারাত্মক বিষ থাকে। খাওয়ার আগে অবশ্যই বীজটিকে বিষমুক্ত করার জন্য গাঁজানো বা প্রক্রিয়াকরণ করতে হয়।

কাঁচা কাজুতে উরুশিওল নামে বিষাক্ত তেল থাকে। এটি না ভেজে বা না সেঁকে খেলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বা শ্বাসযন্ত্রের কষ্ট হতে পারে। কাঁচা বা অপর্যাপ্ত রান্না করা লাল কিডনি বিনসে ফাইটোইমাগ্লুটিনিন নামে একটি টক্সিন থাকে। এভাবে লাল কিডনি বিনস খেলে বমি বমি ভাব, বমি এবং হজমের গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে। এই বিষাক্ত পদার্থ নিষ্ক্রিয় করতে এগুলোকে উচ্চ তাপমাত্রায় পুরোপুরি রান্না করতে হয়।

কাঁচা কাজুতে উরুশিওল নামে বিষাক্ত তেল থাকে। এটি না ভেজে খেলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বা শ্বাসযন্ত্রের কষ্ট হতে পারে। ছবি: উইকিপিডিয়া
কাঁচা কাজুতে উরুশিওল নামে বিষাক্ত তেল থাকে। এটি না ভেজে খেলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বা শ্বাসযন্ত্রের কষ্ট হতে পারে। ছবি: উইকিপিডিয়া

চেরির বীজ এবং অন্যান্য স্টোন ফলের বীজে অ্যামিগডালিন থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড নির্গত করে। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সায়ানাইড বিষক্রিয়া হতে পারে। রুবাবের ডাঁটা নিরাপদ হলেও এর পাতায় অক্সালিক অ্যাসিড ও অ্যানথ্রাকুইনোন গ্লাইকোসাইডের মতো বিষাক্ত যৌগ থাকে। এল্ডারবেরিস নামক উদ্ভিদের কাঁচা ফল, পাতা, বাকল এবং মূলে লেকটিন ও সায়ানাইড থাকে, যা বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া ঘটাতে পারে। তবে বীজ এবং বেরিগুলো সঠিকভাবে রান্না করলে সায়ানাইড দূর হয়।

মাশরুম ও মসলা

ডেথ ক্যাপ মাশরুম বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ছত্রাকগুলোর অন্যতম। এতে অ্যামাটক্সিনের মতো শক্তিশালী বিষাক্ত পদার্থ থাকে, যা লিভার ও কিডনি বিকল করে দিতে পারে। জায়ফল বেশি পরিমাণে খেলে মাইরিস্টিসিন নামক যৌগটির কারণে হ্যালুসিনেশন, বমি বমি ভাব এবং খিঁচুনি হতে পারে। এটি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে অঙ্গ ব্যর্থতার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বের অন্যতম ঝাল মরিচের নাম ড্রাগন’স ব্রেথ। এর ঝালের মাত্রা ২.৪৮ মিলিয়ন স্কোভিল ইউনিট। এটি খাওয়ার ফলে গলা পুড়ে যাওয়া, শ্বাস পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অ্যানাফাইল্যাকটিক শক হতে পারে।

জায়ফল বেশি পরিমাণে খেলে হ্যালুসিনেশন, বমি বমি ভাব, খিঁচুনি এবং কখনো কখনো মৃত্যুর কারণও হতে পারে। ছবি: ইউকিপিডিয়া
জায়ফল বেশি পরিমাণে খেলে হ্যালুসিনেশন, বমি বমি ভাব, খিঁচুনি এবং কখনো কখনো মৃত্যুর কারণও হতে পারে। ছবি: ইউকিপিডিয়া

তৈরি খাবার ও তরল

কাঁচা মধুতে বটুলিজম স্পোর থাকতে পারে, যা এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এই স্পোরগুলো নিউরোটক্সিন তৈরি করে, যা শিশুদের পক্ষাঘাত এবং মৃত্যু ঘটাতে পারে। এ ছাড়া পাস্তুরায়ন করা হয়নি; এমন দুধ ও পনিরে সালমোনেলা, লিস্টেরিয়া বা ই. কোলাইয়ের মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। গর্ভবতী, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এটি বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।

কাসু মার্তজু নামক সার্ডিনিয়ার পনিরে ইচ্ছাকৃতভাবে জীবন্ত লার্ভা রাখা হয়। এই লার্ভা হজমের পরেও জীবিত থাকতে পারে এবং অন্ত্রে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ল্যাই নামক ক্ষারযুক্ত পানিতে ভেজানো শুকনো মাছ দিয়ে তৈরি একটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান খাবার লুটফিস্ক। সঠিকভাবে ধুয়ে না ফেললে উচ্চ মাত্রার ল্যাই রাসায়নিক পোড়া বা হজমজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আলফা স্প্রাউটস একটি পুষ্টিকর স্প্রাউট। এটি উষ্ণ ও আর্দ্র পরিস্থিতিতে বেড়ে ওঠার কারণে ই. কোলাই বা সালমোনেলার মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে দূষিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

প্রাণী ও মাছ থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি

কিছু প্রাণী ও মাছের শরীরে মারাত্মক বিষ লুকিয়ে থাকে। যেমন জাপানের জনপ্রিয় খাবার ফুগু। এতে আছে টেট্রোডোটক্সিনের মতো অত্যন্ত শক্তিশালী একটি নিউরোটক্সিন। দুর্ঘটনাক্রমে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকায় শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত শেফরাই এটি প্রস্তুত করার অনুমতি পান। সিলভার-স্ট্রাইপ ব্লাসোপ পাফারফিশের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এতেও মারাত্মক টেট্রোডোটক্সিন থাকে। ভুলভাবে প্রস্তুত করলে এটি পক্ষাঘাত, শ্বাসযন্ত্রের বিকলতা এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সুশি বা স্টেক টার্টারের মতো কাঁচা মাছ বা মাংস খেলে ই. কোলাই বা সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা পরজীবীর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ঐতিহ্যবাহী মিসরীয় খাবার ফেসিখ নামের গাঁজানো মাছের পদটি যদি সঠিকভাবে রান্না করা না হয়, তবে এটি বটুলিজম নামক মারাত্মক স্নায়ুতন্ত্রের রোগের কারণ হতে পারে।

ঝিনুক এবং অন্যান্য শেলফিশ ক্ষতিকর শেওলা বহন করতে পারে, সেগুলো প্যারালিটিক শেলফিশ পয়জনিং সৃষ্টি করে। এটি পক্ষাঘাত বা শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কোরিয়ার একটি খাবারে জীবন্ত অক্টোপাস পরিবেশন করা হয়। এর কাটা শুঁড়গুলো তখনো নড়াচড়া করতে পারে, যা ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে শ্বাসরোধের কারণ হতে পারে। নামিবিয়ার কিছু অঞ্চলে আফ্রিকান বুলফ্রগ নামের একটি ব্যাঙ খাওয়া হয়। তবে এর চামড়া ও অঙ্গে থাকা বিষাক্ত পদার্থ কিডনি ফেইলিওর ঘটাতে পারে, যদি এটি সঠিকভাবে রান্না হয়ে না থাকে।

দূষিত পানি থেকে সংগ্রহ করা ক্ল্যামস হেপাটাইটিস এবং টাইফয়েডের মতো বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে। খাদ্যজনিত অসুস্থতা এড়াতে এটি সঠিকভাবে রান্না করা অপরিহার্য। কিছু সংস্কৃতিতে এটি বিশেষ খাবার হিসেবে খাওয়া হয় বানরের মাথা। এটি ক্রিউটজফেল্ড-জেকব রোগর মতো রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বহন করে, যা একটি মারাত্মক স্নায়ু-অবক্ষয়কারী রোগ।

মূলকথা হলো, খাবার হিসেবে সবই হয়তো কোনো না কোনো সংস্কৃতির স্মারক। নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ সেসব খাবার মজা করেই খায় তাদের প্রজন্মগত অভিজ্ঞতার কারণে। তবে মনে রাখতে হবে, খাবারগুলো সঠিকভাবে রান্না না হলে কিংবা সেসব খাবারে অভ্যস্ত না হলে সেগুলো ঝুঁকির কারণ তো বটেই, মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে।

সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাজি ভালোবাসার লাল-সবুজে

নিশাত তামান্না
ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ
ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।

পোশাক

বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’

সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’

সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র‍্যান্ড।

সাজ

এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ
ছবি সৌজন্য: রঙ বাংলাদেশ

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’

শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।

এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।

চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

মেষ

আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।

বৃষ

সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’

মিথুন

সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।

কর্কট

আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।

সিংহ

প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!

কন্যা

সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।

তুলা

ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।

বৃশ্চিক

আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

ধনু

আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।

মকর

জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।

কুম্ভ

শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।

মীন

আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে চামড়া বা কাপড়ের জুতা পরুন

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪০
শীতে চামড়া বা কাপড়ের জুতা পরুন

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?

স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা

উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।

এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর

উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।

প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।

নীল মজুমদার, সোনারগাঁ

উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর

উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।

পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত