জাহাঙ্গীর আলম

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ইউটিউব এখন জনপ্রিয়তায় শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম। তবে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতো এখানেও রয়েছে কঠোর কমিউনিটি গাইডলাইন। সব বিষয় নিয়ে এখানে কনটেন্ট বানানো যায় না। নির্দিষ্ট কিছু বিষয় কভার করা, চিত্রিত করা, প্রচার করা বা সেগুলো সম্পর্কে কথা বলার কারণে আপনি স্ট্রাইক পেতে পারেন।
আর টানা ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি স্ট্রাইক পেলে আপনার চ্যানেল স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার চ্যানেল যতো বড় আর জনপ্রিয় হোক না কেন তিনটি স্ট্রাইক পেলে সেটি আর ফেরানো সম্ভব নয়। সুতরাং কোন কোন বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে ইউটিউবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেগুলো জানাটা জরুরি। এখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কনটেন্ট
ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসারে, স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের যেসব বিষয় অন্তুর্ভুক্ত-
ক. বিভ্রান্তিকর মেটাডেটা বা থাম্বনেইল
আপনার মেটাডেটা এবং থাম্বনেইল বিভ্রান্তিকর বলে ধরা হবে যদি:
আপনার শিরোনাম ভিডিওর বিষয়বস্তুর সঙ্গে না মেলে।
আপনার থাম্বনেইল ভিডিওর প্রকৃত বিষয়বস্তু প্রতিফলিত না করে।
ভিডিওতে ক্লিক করায় প্রলুব্ধ করতে দর্শকদের বোকা বানানোর জন্য বিবরণে (ডেসক্রিপশন) ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়া।
ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর ট্যাগ দেওয়া।
খ. ভিডিও স্প্যাম
আপনি ভিডিও স্প্যাম করছেন বলে ধরা হবে যদি আপনার কনটেন্ট:
একটি কনটেন্ট দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিউয়ারদের সম্পর্কিত নয় এমন (অফ-সাইট) সাইটে পুনঃনির্দেশ (রিডিরেক্ট) করে।
ক্ষতিকর সফটওয়্যার ছড়ানো, ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ করা বা অন্য কোনও ক্ষতিকর কার্যকলাপে জড়িত সাইটগুলোতে ভিউয়ারদের নিয়ে যায়।
দর্শকদের প্রলুব্ধ করার জন্য দ্রুত অর্থ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি দেয়।
গ. মন্তব্য স্প্যাম
মন্তব্য স্প্যামের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত:
মন্তব্যের একমাত্র লক্ষ্য যদি হয় দর্শকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা।
প্রতারণামূলকভাবে দর্শকদের অফ-সাইটে নিয়ে যাওয়া।
অথবা অন্যান্য নিষিদ্ধ আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া।
ঘ. পুনরাবৃত্তিমূলক মন্তব্য
একই ধরনের বিপুল পরিমাণ কনটেন্ট দেওয়া। অথবা বিষয়বস্তুর বাইরে বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলা। এতে মন্তব্য বিভাগে একটা জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি করে।
ঙ. অনিয়ম/দুর্নীতি
আপনার কনটেন্ট অনিয়ম বা দুর্নীতি করছে বলে ধরা হবে যদি-
প্রণোদনা হিসাবে নগদ উপহার অফার করেন।
দ্রুত ধনী হওয়ার কৌশল বা স্কিম প্রচার করেন।
পিরামিড স্কিমের (এমএলএম এর মতো) পক্ষের প্রচারণা চালানো।
চ. লাইভ স্ট্রিমের অপব্যবহার
আপনি ইউটিউবের কনটেন্ট গাইডলাইন লঙ্ঘন করছেন বলে ধরা হবে, যদি আপনি অন্যের কনটেন্ট লাইভ স্ট্রিম করেন এবং বারবার সতর্ক করার পরেও সেই কনটেন্ট নামাতে অস্বীকার করেন।
ছ. অন্যান্য নিষিদ্ধ স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক চর্চা এড়ানোর জন্য ইউটিউব আরও কিছু বিষয়বস্তুকে সন্দেহের তালিকায় রাখে:
একজন ব্যক্তি, ব্র্যান্ড বা সত্তাকে এমনভাবে নকল করা যাতে সেই সাদৃশ্যে ভিউয়াররা সত্যি সত্যি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে আপনিই সেই ব্যক্তি বা ব্র্যান্ড।
পর্নোগ্রাফি বা ম্যালওয়্যারযুক্ত সাইটের মতো ওয়েবসাইটগুলোর লিংক যুক্ত করে এক্সটারনাল লিংক সুবিধার অপব্যবহার করা।
লাইক, ভিউ, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অনৈতিক উপায় অবলম্বন করা।
নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে রেসট্রিক্টেড বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হওয়া কোনো ক্রিয়েটরের মুছে ফেলা কনটেন্ট পুনরায় পোস্ট করা।
২. সংবেদনশীল বিষয়বস্তু
শিশুদের ক্ষতি, যৌনতা এবং নগ্নতা, নিজের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউব কোনোভাবেই অনুমতি দেয় না। এসব কনটেন্টকে ইউটিউব সংবেদনশীল বলে মনে করে। এ তালিকায় যা রয়েছে:
ক. নগ্নতা এবং যৌন বিষয়বস্তু
একজন ইউটিউব ক্রিয়েটর হিসেবে, আপনার যৌন তৃপ্তিদায়ক বিষয়বস্তু পোস্ট করার অনুমতি নেই।
ইউটিউবের মতে, নগ্নতা এবং যৌন বিষয়বস্তুতে রয়েছে:
পর্নোগ্রাফি বা অ-পর্নোগ্রাফিক ক্লিপ, যেখানে যৌন তৃপ্তির জন্য সুস্পষ্ট বিষয়বস্তু রয়েছে।
ফেটিশ (কামনা উদ্রেগকারী), যৌনাঙ্গ বা তেমন বস্তু হাতড়ানো, শিৎকার, প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করা, নিম্নাঙ্গের ছবি/ভিডিও, অন্যের সঙ্গম দেখে মজা নেওয়া, কামুকতার প্রদর্শনী।
যৌনাঙ্গ, স্তন বা নিতম্ব (ঢাকা বা বস্ত্রহীন উভয়)।
সম্মতি ছাড়াই যৌনতাপূর্ণ আচরণ।
খ. আপত্তিকর থাম্বনেইল
ইউটিউবের থাম্বনেইল নীতিতে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করে এমন কিছু দেওয়া নিষিদ্ধ। এসব থাম্বনেইল এড়িয়ে চলুন:
ক্লিকবেট হিসেবে কাজ করে, দর্শকদের প্রতারিত করে ক্লিক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে থাম্বনেইল ছবি ব্যবহার।
যৌন তৃপ্তির উদ্দেশ্যে পর্নোগ্রাফিক, নগ্ন বা খোলামেলা ছবি দেওয়া।
হিংসাত্মক, সহিংস এবং জঘন্য ছবি দেওয়া।
রক্ত বা রক্ত দিয়ে গ্রাফিক বা অস্বস্তিকর ছবি ব্যবহার করা।
অশ্লীল বা অমার্জিত ভাষা ব্যবহার করা।
গ. শিশুর ক্ষতি
শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভাবে না এমন কনটেন্ট ইউটিউব গ্রহণ করে না। বয়স-অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু এড়িয়ে চলা বলতে যা বুঝায়:
নাবালকদের যৌনতা এবং যৌন কাজে ব্যবহার।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিপজ্জনক বা ক্ষতিকারক কাজ।
অশ্লীলতা বা অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের বিষয়বস্তু পারিবারিক কনটেন্টে জুড়ে দেওয়া।
নাবালকদের মানসিক পীড়ন দেওয়া।
সাইবার বুলিং এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের যেকোনো প্রকারের হয়রানি।
ঘ. আত্মহত্যা এবং নিজের ক্ষতি সাধন
আত্মহত্যা বা অন্য ধরনের নিজের ক্ষতি সাধনকে উৎসাহিত করে এমন কন্টেন্ট ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। এর মধ্যে রয়েছে:
আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনকে উৎসাহিত করে প্রচার বা এমন বিষয়কে মহিমান্বিত করা।
কীভাবে আত্মহত্যা করা যায় বা নিজের ক্ষতি সাধন করা যায় সেসব শেখানো।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের লক্ষ্য করে নিজের ক্ষতি সাধনের গ্রাফিক ছবি বা ফুটেজ দেওয়া।
মোমো-এর মতো আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনের চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণের নির্দেশিকা প্রদান বা এ ধরনের কাজে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট।
৩. হিংসাত্মক বা বিপজ্জনক বিষয়বস্তু
ক্ষতিকারক বা বিপজ্জনক এবং অবৈধ কার্যকলাপকে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। ইউটিউবের নীতি অনুসারে বিপজ্জনক এবং ক্ষতিকারক কনটেন্ট সেগুলোই যার মধ্যে রয়েছে:
অত্যন্ত বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ প্রচার করে যা শারীরিক আঘাতের ঝুঁকি তৈরি করে।
ক্ষতিকারক এবং হুমকিমূলক প্রাঙ্ক উৎসাহিত করে।
শক্তিশালী মাদকের ব্যবহার বা তৈরি শেখায়।
হত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনের নির্দেশিকা রয়েছে।
প্রতারণা, চুরি এবং অসৎ আচরণকে উৎসাহিত করে।
অনৈতিক হ্যাকিং প্রচার করে।
ব্যবহার করা পরিষেবার জন্য পেমেন্ট বাইপাস শেখানো। যেমন: পণ্য বা সেবা কিনে টাকা না দেওয়ার কৌশল।
অ্যানোরেক্সিয়া (খাদ্যে অহীহা) বা অন্যান্য খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কিত ব্যাধিকে স্বাভাবিক বলে প্রতিষ্ঠিত করে। সেই সঙ্গে দর্শকদের তাকে অনুকরণ করতে উৎসাহিত করে।
স্কুলে গোলাগুলির মতো ঘটনার প্রশংসা বা মহিমা বর্ণনা করা।
সহিংস অপরাধী সংগঠন, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, গ্রাফিক বা হিংসাত্মক কাজ এবং হয়রানি এবং সাইবার বুলিংকে মহিমান্বিত করে এমন কনটেন্টেও বিধিনিষেধ রয়েছে।
৪. ভুল তথ্য
বিভ্রান্তিকর বা প্রতারণামূলক তথ্য ছড়ায় এমন কনটেন্ট ইউটিউব অনুমোদন দেয় না কারণ এসব গুরুতর হুমকি বা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই ধরনের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে:
ক. নির্বাচনের ভুল তথ্য
আপনি ইউটিউবে নির্বাচন-সম্পর্কিত কনটেন্ট পোস্ট করতে পারবেন না যদি এতে থাকে:
মাধ্যম, স্থান, সময় বা ভোট দেওয়ার যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো বিষয়। এটি ভোটারদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালিত করে।
প্রার্থীদের বদনাম করার জন্য যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যাচার।
বিগত নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনী অনিয়মের মিথ্যা দাবি।
হ্যাক করা তথ্য যার প্রকাশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
নির্বাচনী বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে অন্যদের উৎসাহিত করা ফুটেজ।
খ. কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ভুল তথ্য
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং কোভিড সম্বন্ধে ভুল তথ্য সম্বলিত কনটেন্ট ইউটিউবে প্রচার করা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে এমন কনটেন্ট যা:
দাবি করে যে কোভিডের অস্তিত্ব নেই।
সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে অনুমোদিত নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক।
কীভাবে কোভিড সংক্রমণ ঘটে সে সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে।
কোভিড পরীক্ষা পদ্ধতির বিরোধিতা করে।
কীভাবে কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করে।
কোভিডের চিকিৎসা সম্পর্কে জনসাধারণকে ভুল তথ্য দেয়।
গ. টিকা নিয়ে ভুল তথ্য
বর্তমানে অনুমোদিত এবং প্রয়োগ করা হচ্ছে এমন টিকা সম্পর্কে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউব অনুমতি দেয় না। এমন কন্টেন্ট পোস্ট করবেন না যেটি:
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা স্বীকৃত তথ্যের বাইরে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে- টিকা সম্পর্কে এমন তথ্য রয়েছে।
টিকাদানের কার্যকারিতার বিরোধিতা করে।
টিকার প্রকৃত বিষয়বস্তু বা উপাদান সম্পর্কে ভিউয়ারদের বিভ্রান্ত করে।
৫. নিয়ন্ত্রিত পণ্য
ইউটিউব এমন সামগ্রীকে নিরুৎসাহিত করে যা আগ্নেয়াস্ত্রসহ অবৈধ বা নিয়ন্ত্রিত পণ্য বা পরিষেবার বিক্রয় বা ব্যবহারকে প্রচার করে। এতে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য বিষয়বস্তু হলো-
মদ (সব ধরনের অ্যালকোহল)।
নিকোটিন, ভ্যাপিং পণ্য।
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধপত্র।
লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসা সেবা।
যৌন বা এসকর্ট পরিষেবা।
বিপন্ন প্রজাতি বা তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
অবৈধ মাদক ও নিয়ন্ত্রিত মাদকদ্রব্য।
আগ্নেয়াস্ত্র এবং নিয়ন্ত্রিত আগ্নেয়াস্ত্র আনুষঙ্গিক বিষয়।
মানবপাচার এবং অঙ্গ বিক্রি।
সবশেষ কথা হলো- ইউটিউব তার ভিউয়ারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সব সময় গাইডলাইন মেনে চলতে উৎসাহিত করে। সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চাইলে আগে অবশ্যই এই গাইডলাইন ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। তা না হলে স্ট্রাইকের পাশাপাশি অন্যরা আপনার ভিডিও বা চ্যানেলে রিপোর্ট করতে পারে।
আপনি দোষী প্রমাণিত হলে, ইউটিউব আপনার ভিডিও সরিয়ে দিতে পারে। বারবার একই অপরাধ করলে স্ট্রাইট পাবেন। আর ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি স্ট্রাইক পেলে ইউটিউব আপনাকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করবে।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ইউটিউব এখন জনপ্রিয়তায় শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম। তবে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতো এখানেও রয়েছে কঠোর কমিউনিটি গাইডলাইন। সব বিষয় নিয়ে এখানে কনটেন্ট বানানো যায় না। নির্দিষ্ট কিছু বিষয় কভার করা, চিত্রিত করা, প্রচার করা বা সেগুলো সম্পর্কে কথা বলার কারণে আপনি স্ট্রাইক পেতে পারেন।
আর টানা ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি স্ট্রাইক পেলে আপনার চ্যানেল স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার চ্যানেল যতো বড় আর জনপ্রিয় হোক না কেন তিনটি স্ট্রাইক পেলে সেটি আর ফেরানো সম্ভব নয়। সুতরাং কোন কোন বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে ইউটিউবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেগুলো জানাটা জরুরি। এখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কনটেন্ট
ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসারে, স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের যেসব বিষয় অন্তুর্ভুক্ত-
ক. বিভ্রান্তিকর মেটাডেটা বা থাম্বনেইল
আপনার মেটাডেটা এবং থাম্বনেইল বিভ্রান্তিকর বলে ধরা হবে যদি:
আপনার শিরোনাম ভিডিওর বিষয়বস্তুর সঙ্গে না মেলে।
আপনার থাম্বনেইল ভিডিওর প্রকৃত বিষয়বস্তু প্রতিফলিত না করে।
ভিডিওতে ক্লিক করায় প্রলুব্ধ করতে দর্শকদের বোকা বানানোর জন্য বিবরণে (ডেসক্রিপশন) ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়া।
ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর ট্যাগ দেওয়া।
খ. ভিডিও স্প্যাম
আপনি ভিডিও স্প্যাম করছেন বলে ধরা হবে যদি আপনার কনটেন্ট:
একটি কনটেন্ট দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিউয়ারদের সম্পর্কিত নয় এমন (অফ-সাইট) সাইটে পুনঃনির্দেশ (রিডিরেক্ট) করে।
ক্ষতিকর সফটওয়্যার ছড়ানো, ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ করা বা অন্য কোনও ক্ষতিকর কার্যকলাপে জড়িত সাইটগুলোতে ভিউয়ারদের নিয়ে যায়।
দর্শকদের প্রলুব্ধ করার জন্য দ্রুত অর্থ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি দেয়।
গ. মন্তব্য স্প্যাম
মন্তব্য স্প্যামের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত:
মন্তব্যের একমাত্র লক্ষ্য যদি হয় দর্শকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা।
প্রতারণামূলকভাবে দর্শকদের অফ-সাইটে নিয়ে যাওয়া।
অথবা অন্যান্য নিষিদ্ধ আচরণকে প্রশ্রয় দেওয়া।
ঘ. পুনরাবৃত্তিমূলক মন্তব্য
একই ধরনের বিপুল পরিমাণ কনটেন্ট দেওয়া। অথবা বিষয়বস্তুর বাইরে বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলা। এতে মন্তব্য বিভাগে একটা জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি করে।
ঙ. অনিয়ম/দুর্নীতি
আপনার কনটেন্ট অনিয়ম বা দুর্নীতি করছে বলে ধরা হবে যদি-
প্রণোদনা হিসাবে নগদ উপহার অফার করেন।
দ্রুত ধনী হওয়ার কৌশল বা স্কিম প্রচার করেন।
পিরামিড স্কিমের (এমএলএম এর মতো) পক্ষের প্রচারণা চালানো।
চ. লাইভ স্ট্রিমের অপব্যবহার
আপনি ইউটিউবের কনটেন্ট গাইডলাইন লঙ্ঘন করছেন বলে ধরা হবে, যদি আপনি অন্যের কনটেন্ট লাইভ স্ট্রিম করেন এবং বারবার সতর্ক করার পরেও সেই কনটেন্ট নামাতে অস্বীকার করেন।
ছ. অন্যান্য নিষিদ্ধ স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক চর্চা এড়ানোর জন্য ইউটিউব আরও কিছু বিষয়বস্তুকে সন্দেহের তালিকায় রাখে:
একজন ব্যক্তি, ব্র্যান্ড বা সত্তাকে এমনভাবে নকল করা যাতে সেই সাদৃশ্যে ভিউয়াররা সত্যি সত্যি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে আপনিই সেই ব্যক্তি বা ব্র্যান্ড।
পর্নোগ্রাফি বা ম্যালওয়্যারযুক্ত সাইটের মতো ওয়েবসাইটগুলোর লিংক যুক্ত করে এক্সটারনাল লিংক সুবিধার অপব্যবহার করা।
লাইক, ভিউ, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অনৈতিক উপায় অবলম্বন করা।
নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে রেসট্রিক্টেড বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হওয়া কোনো ক্রিয়েটরের মুছে ফেলা কনটেন্ট পুনরায় পোস্ট করা।
২. সংবেদনশীল বিষয়বস্তু
শিশুদের ক্ষতি, যৌনতা এবং নগ্নতা, নিজের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউব কোনোভাবেই অনুমতি দেয় না। এসব কনটেন্টকে ইউটিউব সংবেদনশীল বলে মনে করে। এ তালিকায় যা রয়েছে:
ক. নগ্নতা এবং যৌন বিষয়বস্তু
একজন ইউটিউব ক্রিয়েটর হিসেবে, আপনার যৌন তৃপ্তিদায়ক বিষয়বস্তু পোস্ট করার অনুমতি নেই।
ইউটিউবের মতে, নগ্নতা এবং যৌন বিষয়বস্তুতে রয়েছে:
পর্নোগ্রাফি বা অ-পর্নোগ্রাফিক ক্লিপ, যেখানে যৌন তৃপ্তির জন্য সুস্পষ্ট বিষয়বস্তু রয়েছে।
ফেটিশ (কামনা উদ্রেগকারী), যৌনাঙ্গ বা তেমন বস্তু হাতড়ানো, শিৎকার, প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করা, নিম্নাঙ্গের ছবি/ভিডিও, অন্যের সঙ্গম দেখে মজা নেওয়া, কামুকতার প্রদর্শনী।
যৌনাঙ্গ, স্তন বা নিতম্ব (ঢাকা বা বস্ত্রহীন উভয়)।
সম্মতি ছাড়াই যৌনতাপূর্ণ আচরণ।
খ. আপত্তিকর থাম্বনেইল
ইউটিউবের থাম্বনেইল নীতিতে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করে এমন কিছু দেওয়া নিষিদ্ধ। এসব থাম্বনেইল এড়িয়ে চলুন:
ক্লিকবেট হিসেবে কাজ করে, দর্শকদের প্রতারিত করে ক্লিক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে থাম্বনেইল ছবি ব্যবহার।
যৌন তৃপ্তির উদ্দেশ্যে পর্নোগ্রাফিক, নগ্ন বা খোলামেলা ছবি দেওয়া।
হিংসাত্মক, সহিংস এবং জঘন্য ছবি দেওয়া।
রক্ত বা রক্ত দিয়ে গ্রাফিক বা অস্বস্তিকর ছবি ব্যবহার করা।
অশ্লীল বা অমার্জিত ভাষা ব্যবহার করা।
গ. শিশুর ক্ষতি
শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভাবে না এমন কনটেন্ট ইউটিউব গ্রহণ করে না। বয়স-অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু এড়িয়ে চলা বলতে যা বুঝায়:
নাবালকদের যৌনতা এবং যৌন কাজে ব্যবহার।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিপজ্জনক বা ক্ষতিকারক কাজ।
অশ্লীলতা বা অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের বিষয়বস্তু পারিবারিক কনটেন্টে জুড়ে দেওয়া।
নাবালকদের মানসিক পীড়ন দেওয়া।
সাইবার বুলিং এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের যেকোনো প্রকারের হয়রানি।
ঘ. আত্মহত্যা এবং নিজের ক্ষতি সাধন
আত্মহত্যা বা অন্য ধরনের নিজের ক্ষতি সাধনকে উৎসাহিত করে এমন কন্টেন্ট ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। এর মধ্যে রয়েছে:
আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনকে উৎসাহিত করে প্রচার বা এমন বিষয়কে মহিমান্বিত করা।
কীভাবে আত্মহত্যা করা যায় বা নিজের ক্ষতি সাধন করা যায় সেসব শেখানো।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের লক্ষ্য করে নিজের ক্ষতি সাধনের গ্রাফিক ছবি বা ফুটেজ দেওয়া।
মোমো-এর মতো আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনের চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণের নির্দেশিকা প্রদান বা এ ধরনের কাজে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট।
৩. হিংসাত্মক বা বিপজ্জনক বিষয়বস্তু
ক্ষতিকারক বা বিপজ্জনক এবং অবৈধ কার্যকলাপকে উৎসাহিত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। ইউটিউবের নীতি অনুসারে বিপজ্জনক এবং ক্ষতিকারক কনটেন্ট সেগুলোই যার মধ্যে রয়েছে:
অত্যন্ত বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ প্রচার করে যা শারীরিক আঘাতের ঝুঁকি তৈরি করে।
ক্ষতিকারক এবং হুমকিমূলক প্রাঙ্ক উৎসাহিত করে।
শক্তিশালী মাদকের ব্যবহার বা তৈরি শেখায়।
হত্যা বা নিজের ক্ষতি সাধনের নির্দেশিকা রয়েছে।
প্রতারণা, চুরি এবং অসৎ আচরণকে উৎসাহিত করে।
অনৈতিক হ্যাকিং প্রচার করে।
ব্যবহার করা পরিষেবার জন্য পেমেন্ট বাইপাস শেখানো। যেমন: পণ্য বা সেবা কিনে টাকা না দেওয়ার কৌশল।
অ্যানোরেক্সিয়া (খাদ্যে অহীহা) বা অন্যান্য খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কিত ব্যাধিকে স্বাভাবিক বলে প্রতিষ্ঠিত করে। সেই সঙ্গে দর্শকদের তাকে অনুকরণ করতে উৎসাহিত করে।
স্কুলে গোলাগুলির মতো ঘটনার প্রশংসা বা মহিমা বর্ণনা করা।
সহিংস অপরাধী সংগঠন, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, গ্রাফিক বা হিংসাত্মক কাজ এবং হয়রানি এবং সাইবার বুলিংকে মহিমান্বিত করে এমন কনটেন্টেও বিধিনিষেধ রয়েছে।
৪. ভুল তথ্য
বিভ্রান্তিকর বা প্রতারণামূলক তথ্য ছড়ায় এমন কনটেন্ট ইউটিউব অনুমোদন দেয় না কারণ এসব গুরুতর হুমকি বা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই ধরনের বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে:
ক. নির্বাচনের ভুল তথ্য
আপনি ইউটিউবে নির্বাচন-সম্পর্কিত কনটেন্ট পোস্ট করতে পারবেন না যদি এতে থাকে:
মাধ্যম, স্থান, সময় বা ভোট দেওয়ার যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো বিষয়। এটি ভোটারদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালিত করে।
প্রার্থীদের বদনাম করার জন্য যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যাচার।
বিগত নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনী অনিয়মের মিথ্যা দাবি।
হ্যাক করা তথ্য যার প্রকাশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
নির্বাচনী বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে অন্যদের উৎসাহিত করা ফুটেজ।
খ. কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ভুল তথ্য
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং কোভিড সম্বন্ধে ভুল তথ্য সম্বলিত কনটেন্ট ইউটিউবে প্রচার করা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে এমন কনটেন্ট যা:
দাবি করে যে কোভিডের অস্তিত্ব নেই।
সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে অনুমোদিত নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক।
কীভাবে কোভিড সংক্রমণ ঘটে সে সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে।
কোভিড পরীক্ষা পদ্ধতির বিরোধিতা করে।
কীভাবে কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করে।
কোভিডের চিকিৎসা সম্পর্কে জনসাধারণকে ভুল তথ্য দেয়।
গ. টিকা নিয়ে ভুল তথ্য
বর্তমানে অনুমোদিত এবং প্রয়োগ করা হচ্ছে এমন টিকা সম্পর্কে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে এমন কনটেন্ট ইউটিউব অনুমতি দেয় না। এমন কন্টেন্ট পোস্ট করবেন না যেটি:
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা স্বীকৃত তথ্যের বাইরে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে- টিকা সম্পর্কে এমন তথ্য রয়েছে।
টিকাদানের কার্যকারিতার বিরোধিতা করে।
টিকার প্রকৃত বিষয়বস্তু বা উপাদান সম্পর্কে ভিউয়ারদের বিভ্রান্ত করে।
৫. নিয়ন্ত্রিত পণ্য
ইউটিউব এমন সামগ্রীকে নিরুৎসাহিত করে যা আগ্নেয়াস্ত্রসহ অবৈধ বা নিয়ন্ত্রিত পণ্য বা পরিষেবার বিক্রয় বা ব্যবহারকে প্রচার করে। এতে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য বিষয়বস্তু হলো-
মদ (সব ধরনের অ্যালকোহল)।
নিকোটিন, ভ্যাপিং পণ্য।
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধপত্র।
লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসা সেবা।
যৌন বা এসকর্ট পরিষেবা।
বিপন্ন প্রজাতি বা তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
অবৈধ মাদক ও নিয়ন্ত্রিত মাদকদ্রব্য।
আগ্নেয়াস্ত্র এবং নিয়ন্ত্রিত আগ্নেয়াস্ত্র আনুষঙ্গিক বিষয়।
মানবপাচার এবং অঙ্গ বিক্রি।
সবশেষ কথা হলো- ইউটিউব তার ভিউয়ারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সব সময় গাইডলাইন মেনে চলতে উৎসাহিত করে। সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চাইলে আগে অবশ্যই এই গাইডলাইন ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। তা না হলে স্ট্রাইকের পাশাপাশি অন্যরা আপনার ভিডিও বা চ্যানেলে রিপোর্ট করতে পারে।
আপনি দোষী প্রমাণিত হলে, ইউটিউব আপনার ভিডিও সরিয়ে দিতে পারে। বারবার একই অপরাধ করলে স্ট্রাইট পাবেন। আর ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি স্ট্রাইক পেলে ইউটিউব আপনাকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করবে।

বিজয় দিবস ছুটির দিন। তাই খাবার টেবিলেও থাকে রোজকার খাবারের পরিবর্তে বিশেষ খাবার। বিজয়ের লাল-সবুজ রং থাকুক খাবার টেবিলেও। তবে খাবারে কোনো ধরনের রং ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করুন। আপনাদের জন্য এ রকম কয়েকটি খাবারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়...
১৫ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া...
১৯ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিজয় দিবস ছুটির দিন। তাই খাবার টেবিলেও থাকে রোজকার খাবারের পরিবর্তে বিশেষ খাবার। বিজয়ের লাল-সবুজ রং থাকুক খাবার টেবিলেও। তবে খাবারে কোনো ধরনের রং ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করুন। আপনাদের জন্য এ রকম কয়েকটি খাবারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
মাংসের লাল-সবুজ সালাদ
উপকরণ
পাতলা করে কাটা গরু, খাসি বা মুরগির মাংস ২ কাপ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, কিউব করে কাটা শসা ও গাজর আধা কাপ করে, লাল ও সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম কিউব করে কাটা আধা কাপ করে, টমেটো কাটা ১ কাপ, কাজু বাদাম আধা কাপ, লেবু রস ও কুচি করে কাটা কাঁচা মরিচ ১ টেবিল চামচ করে, ৩টি পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা এবং পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ করে।

প্রণালি
প্রথমে মাংসের টুকরোগুলো সয়াসস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে ১ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। এবার শসা, গাজর, টমেটো, লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা, পুদিনাপাতা ও পেঁয়াজ কুচি করে কেটে আলাদা করে রাখুন। ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে মাংসের টুকরোগুলো ভেজে নিন। বাটিতে সব সবজি, লেবুর রস, লবণ, কাজুবাদাম দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে ভাজা মাংসগুলোর মধ্যে দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে আবারও মিশিয়ে নিন।
স্ট্রবেরির লাল পুডিং
উপকরণ
স্ট্রবেরি ২৫০ গ্রাম, চায়না গ্রাস ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, তরল দুধ আধা লিটার, কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ, স্ট্রবেরি এসেন্স ২ ফোঁটা এবং পানি ৪ কাপ।

প্রণালি
স্ট্রবেরি ৮ থেকে ১০ পিস টুকরো করে কেটে নিন। বাকিগুলো জুস করে নিন। এবার একটা হাঁড়িতে পানি দিয়ে তাতে চায়না গ্রাস ফুটিয়ে নিন। এরপর তাতে স্ট্রবেরির জুস এবং চিনি দিয়ে রান্না করুন। এরপর এই মিশ্রণ দুই ভাগ করে রাখুন। এবার তরল দুধ, কনডেন্সড মিল্ক ও এক ভাগ জুস একসঙ্গে রান্না করুন। পরে পছন্দের মোল্ডে স্ট্রবেরি চার টুকরো করে কেটে রেখে দিয়ে আলাদা করে রাখা জুসের অর্ধেক মিশ্রণ ঢালুন। দুধ ও জুস দিয়ে তৈরি মিশ্রণটি ঢেলে নরমাল ফ্রিজে রাখুন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু স্ট্রবেরি পুডিং।
পেঁপের সবুজ হালুয়া
উপকরণ
সুজি ১ কাপ, পেঁপে গ্রেট করা ২ কাপ, চিনি ৩ কাপ, ঘি ১ কাপ, এলাচি ও দারুচিনি ২ থেকে ৩টি করে, কাঠবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ এবং পানি পরিমাণমতো।

প্রণালি
কড়াইয়ে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে সুজি সামান্য ভেজে নিন। এরপর কড়াইয়ে ঘি দিয়ে ভাজা সুজি, গ্রেট করা পেঁপে, এলাচি ও দারুচিনি, চিনি ও পানি দিয়ে নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে কাঠবাদাম কুচি দিন। মোল্ডের গায়ে ঘি ব্রাশ করে হালুয়া চেপে চেপে ভরে শেপ এলে বের করে নিন। নয়তো হাতেই আস্ত পেঁপের শেপ দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু পেঁপের হালুয়া।
লাল-সবুজ ফলে চিড়ার ডিশ
উপকরণ
চিড়া ২ কাপ, আখের গুড় ৪ টেবিল চামচ, কলা ২টি, ডালিমের দানা ৪ টেবিল চামচ, কুচি করা আপেল ১টি, স্ট্রবেরি ৬টি, সবুজ আঙুর ২ টেবিল চামচ, ঘন দুধ ২ কাপ, মধু ২ চা-চামচ।

প্রণালি
চিড়া ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার লিকুইড দুধ চুলায় জ্বাল দিয়ে সামান্য ঘন করে নিন। এবার ফল ধুয়ে কেটে রাখুন। বাটিতে চিড়া দিন। এরপর দুধ ঢালুন। ফল ছড়িয়ে দিয়ে মধু ও গুড় ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

বিজয় দিবস ছুটির দিন। তাই খাবার টেবিলেও থাকে রোজকার খাবারের পরিবর্তে বিশেষ খাবার। বিজয়ের লাল-সবুজ রং থাকুক খাবার টেবিলেও। তবে খাবারে কোনো ধরনের রং ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করুন। আপনাদের জন্য এ রকম কয়েকটি খাবারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
মাংসের লাল-সবুজ সালাদ
উপকরণ
পাতলা করে কাটা গরু, খাসি বা মুরগির মাংস ২ কাপ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, কিউব করে কাটা শসা ও গাজর আধা কাপ করে, লাল ও সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম কিউব করে কাটা আধা কাপ করে, টমেটো কাটা ১ কাপ, কাজু বাদাম আধা কাপ, লেবু রস ও কুচি করে কাটা কাঁচা মরিচ ১ টেবিল চামচ করে, ৩টি পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা এবং পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ করে।

প্রণালি
প্রথমে মাংসের টুকরোগুলো সয়াসস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে ১ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। এবার শসা, গাজর, টমেটো, লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা, পুদিনাপাতা ও পেঁয়াজ কুচি করে কেটে আলাদা করে রাখুন। ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে মাংসের টুকরোগুলো ভেজে নিন। বাটিতে সব সবজি, লেবুর রস, লবণ, কাজুবাদাম দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে ভাজা মাংসগুলোর মধ্যে দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে আবারও মিশিয়ে নিন।
স্ট্রবেরির লাল পুডিং
উপকরণ
স্ট্রবেরি ২৫০ গ্রাম, চায়না গ্রাস ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, তরল দুধ আধা লিটার, কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ, স্ট্রবেরি এসেন্স ২ ফোঁটা এবং পানি ৪ কাপ।

প্রণালি
স্ট্রবেরি ৮ থেকে ১০ পিস টুকরো করে কেটে নিন। বাকিগুলো জুস করে নিন। এবার একটা হাঁড়িতে পানি দিয়ে তাতে চায়না গ্রাস ফুটিয়ে নিন। এরপর তাতে স্ট্রবেরির জুস এবং চিনি দিয়ে রান্না করুন। এরপর এই মিশ্রণ দুই ভাগ করে রাখুন। এবার তরল দুধ, কনডেন্সড মিল্ক ও এক ভাগ জুস একসঙ্গে রান্না করুন। পরে পছন্দের মোল্ডে স্ট্রবেরি চার টুকরো করে কেটে রেখে দিয়ে আলাদা করে রাখা জুসের অর্ধেক মিশ্রণ ঢালুন। দুধ ও জুস দিয়ে তৈরি মিশ্রণটি ঢেলে নরমাল ফ্রিজে রাখুন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু স্ট্রবেরি পুডিং।
পেঁপের সবুজ হালুয়া
উপকরণ
সুজি ১ কাপ, পেঁপে গ্রেট করা ২ কাপ, চিনি ৩ কাপ, ঘি ১ কাপ, এলাচি ও দারুচিনি ২ থেকে ৩টি করে, কাঠবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ এবং পানি পরিমাণমতো।

প্রণালি
কড়াইয়ে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে সুজি সামান্য ভেজে নিন। এরপর কড়াইয়ে ঘি দিয়ে ভাজা সুজি, গ্রেট করা পেঁপে, এলাচি ও দারুচিনি, চিনি ও পানি দিয়ে নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে কাঠবাদাম কুচি দিন। মোল্ডের গায়ে ঘি ব্রাশ করে হালুয়া চেপে চেপে ভরে শেপ এলে বের করে নিন। নয়তো হাতেই আস্ত পেঁপের শেপ দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু পেঁপের হালুয়া।
লাল-সবুজ ফলে চিড়ার ডিশ
উপকরণ
চিড়া ২ কাপ, আখের গুড় ৪ টেবিল চামচ, কলা ২টি, ডালিমের দানা ৪ টেবিল চামচ, কুচি করা আপেল ১টি, স্ট্রবেরি ৬টি, সবুজ আঙুর ২ টেবিল চামচ, ঘন দুধ ২ কাপ, মধু ২ চা-চামচ।

প্রণালি
চিড়া ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার লিকুইড দুধ চুলায় জ্বাল দিয়ে সামান্য ঘন করে নিন। এবার ফল ধুয়ে কেটে রাখুন। বাটিতে চিড়া দিন। এরপর দুধ ঢালুন। ফল ছড়িয়ে দিয়ে মধু ও গুড় ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

আপনার চ্যানেল যতো বড় আর জনপ্রিয় হোক না কেন তিনটি স্ট্রাইক পেলে সেটি আর ফেরানো সম্ভব নয়। সুতরাং কোন কোন বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে ইউটিউবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেগুলো জানাটা জরুরি। এখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত
২৩ নভেম্বর ২০২১
মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়...
১৫ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া...
১৯ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আধুনিক স্থাপনা ও অতিথিপরায়ণ মানুষের জন্য আবুধাবি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর হিসেবে পরিচিত। মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়, সে জন্য স্থানীয় সংস্কৃতি, সামাজিক আচরণ এবং কিছু নিয়মকানুন সম্পর্কে আগেভাগে ধারণা রাখা জরুরি। সামান্য প্রস্তুতি ও সচেতনতা থাকলে আবুধাবি ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে স্মরণীয় ও ঝামেলামুক্ত।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
কমপক্ষে চার দিন সময় রাখুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় রাজ্য হলো আবুধাবি। রাজধানী শহরের আধুনিক জীবনধারার পাশাপাশি এই রাজ্যে রয়েছে বিস্তৃত মরুভূমি, পাহাড়ি অঞ্চল, দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত এবং প্রায় ২০০ ছোট-বড় দ্বীপ। এই বৈচিত্র্যই আবুধাবিকে আলাদা করে তুলেছে। দ্রুত দেখে নেওয়ার চেয়ে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দেখলেই এখানকার প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব। এ জন্য হাতে চার দিন সময় রাখা ভালো। তাতে ঘুরে ঘুরে দেখা যাবে অনেক কিছু।
বাইরের কাজে উপযোগী পোশাক নিন: এখানে সাইক্লিং, কায়াকিং, মরুভূমি ভ্রমণ বা গলফ খেলার সুযোগ আছে। তাই আরামদায়ক পোশাক, জুতা ও টুপি রাখুন সঙ্গে। নভেম্বর থেকে মার্চে হালকা জ্যাকেট কাজে আসে, আর গ্রীষ্মে সুতি বা লিনেন কাপড় ভালো।
যাতায়াত ব্যবস্থা
ট্যাক্সি অ্যাপ ডাউনলোড করুন: আবুধাবিতে ট্যাক্সি অ্যাপ ব্যবহার করলে সহজে ট্যাক্সি পাওয়া যায়, তীব্র গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। সারা দেশে চলাচলের জন্য ‘করিম’ নামের অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়।
ফ্রি শাটল ও বাস: লুভর আবুধাবি, শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্রি শাটল বাস চলে। সাধারণ বাসে যাতায়াতের জন্য ‘হাফিলাত স্মার্ট কার্ড’ ব্যবহার করা হয়।
পোশাক ও আচরণ
সম্মানজনক পোশাক পরুন: মিউজিয়াম, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ছোট শহরগুলো ঘুরে দেখার সময় কাঁধ এবং হাঁটু ঢাকা শালীন পোশাক পরা ভদ্রতা ও সম্মানের অংশ হিসেবে ধরা হয়। এতে স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো হয় এবং অপ্রয়োজনীয় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়। ধর্মীয় স্থান, বিশেষ করে মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই ঢিলেঢালা ও সম্পূর্ণ ঢাকা পোশাক পরা বাধ্যতামূলক। এ সময় নারীদের মাথা ঢাকার জন্য স্কার্ফ ব্যবহার করতে হয়, যা অনেক মসজিদে প্রয়োজনে ধারও দেওয়া হয়।
ছবি তোলার সময় সতর্কতা: আবুধাবিতে মানুষের ছবি তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। কোনো ব্যক্তির; বিশেষ করে নারী ও শিশুর ছবি তোলার আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া কারও ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। তাই ভ্রমণের সময় ছবি তোলার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং স্থানীয় আইন মেনে চলা নিরাপদ ও দায়িত্বশীল আচরণ।
স্থানীয় অভিবাদন জানুন: আবুধাবিতে সাধারণভাবে ইংরেজি প্রচলিত হলেও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় আরবি অভিবাদন তারা বেশি পছন্দ করে। ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে শুভেচ্ছা জানালে স্থানীয়রা সাধারণত খুশি হয় এবং এতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। একইভাবে কথোপকথনের শেষে বা সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ‘শুকরান’ (ধন্যবাদ) বলা ভালো।
সামাজিক শিষ্টাচার
মদ্যপান ও আচরণ
লাইসেন্সপ্রাপ্ত বার ও হোটেলে অ্যালকোহল পাওয়া যায়, তবে মাতাল আচরণ, উচ্চ স্বরে ঝগড়া বা বিশৃঙ্খলা একেবারেই নিষিদ্ধ। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো কঠোরভাবে দণ্ডনীয়।
নিরাপত্তা ও আইন
আবুধাবি বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ শহর। চুরি-ছিনতাই খুবই বিরল এ শহরে। তবে সমলিঙ্গ সম্পর্ক ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যসংক্রান্ত আইন কঠোর। এ বিষয়ে পর্যটকদের সতর্ক থাকতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের নম্বর ৯৯৯।
আবুধাবি আধুনিক এবং অতিথিপরায়ণ হলেও এখানকার সংস্কৃতি ও আইন মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য সচেতনতা থাকলেই এই শহরের ভ্রমণ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্মরণীয়।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আধুনিক স্থাপনা ও অতিথিপরায়ণ মানুষের জন্য আবুধাবি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর হিসেবে পরিচিত। মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়, সে জন্য স্থানীয় সংস্কৃতি, সামাজিক আচরণ এবং কিছু নিয়মকানুন সম্পর্কে আগেভাগে ধারণা রাখা জরুরি। সামান্য প্রস্তুতি ও সচেতনতা থাকলে আবুধাবি ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে স্মরণীয় ও ঝামেলামুক্ত।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
কমপক্ষে চার দিন সময় রাখুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় রাজ্য হলো আবুধাবি। রাজধানী শহরের আধুনিক জীবনধারার পাশাপাশি এই রাজ্যে রয়েছে বিস্তৃত মরুভূমি, পাহাড়ি অঞ্চল, দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত এবং প্রায় ২০০ ছোট-বড় দ্বীপ। এই বৈচিত্র্যই আবুধাবিকে আলাদা করে তুলেছে। দ্রুত দেখে নেওয়ার চেয়ে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দেখলেই এখানকার প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব। এ জন্য হাতে চার দিন সময় রাখা ভালো। তাতে ঘুরে ঘুরে দেখা যাবে অনেক কিছু।
বাইরের কাজে উপযোগী পোশাক নিন: এখানে সাইক্লিং, কায়াকিং, মরুভূমি ভ্রমণ বা গলফ খেলার সুযোগ আছে। তাই আরামদায়ক পোশাক, জুতা ও টুপি রাখুন সঙ্গে। নভেম্বর থেকে মার্চে হালকা জ্যাকেট কাজে আসে, আর গ্রীষ্মে সুতি বা লিনেন কাপড় ভালো।
যাতায়াত ব্যবস্থা
ট্যাক্সি অ্যাপ ডাউনলোড করুন: আবুধাবিতে ট্যাক্সি অ্যাপ ব্যবহার করলে সহজে ট্যাক্সি পাওয়া যায়, তীব্র গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। সারা দেশে চলাচলের জন্য ‘করিম’ নামের অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়।
ফ্রি শাটল ও বাস: লুভর আবুধাবি, শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্রি শাটল বাস চলে। সাধারণ বাসে যাতায়াতের জন্য ‘হাফিলাত স্মার্ট কার্ড’ ব্যবহার করা হয়।
পোশাক ও আচরণ
সম্মানজনক পোশাক পরুন: মিউজিয়াম, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ছোট শহরগুলো ঘুরে দেখার সময় কাঁধ এবং হাঁটু ঢাকা শালীন পোশাক পরা ভদ্রতা ও সম্মানের অংশ হিসেবে ধরা হয়। এতে স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো হয় এবং অপ্রয়োজনীয় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়। ধর্মীয় স্থান, বিশেষ করে মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই ঢিলেঢালা ও সম্পূর্ণ ঢাকা পোশাক পরা বাধ্যতামূলক। এ সময় নারীদের মাথা ঢাকার জন্য স্কার্ফ ব্যবহার করতে হয়, যা অনেক মসজিদে প্রয়োজনে ধারও দেওয়া হয়।
ছবি তোলার সময় সতর্কতা: আবুধাবিতে মানুষের ছবি তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। কোনো ব্যক্তির; বিশেষ করে নারী ও শিশুর ছবি তোলার আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া কারও ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। তাই ভ্রমণের সময় ছবি তোলার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং স্থানীয় আইন মেনে চলা নিরাপদ ও দায়িত্বশীল আচরণ।
স্থানীয় অভিবাদন জানুন: আবুধাবিতে সাধারণভাবে ইংরেজি প্রচলিত হলেও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় আরবি অভিবাদন তারা বেশি পছন্দ করে। ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে শুভেচ্ছা জানালে স্থানীয়রা সাধারণত খুশি হয় এবং এতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। একইভাবে কথোপকথনের শেষে বা সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ‘শুকরান’ (ধন্যবাদ) বলা ভালো।
সামাজিক শিষ্টাচার
মদ্যপান ও আচরণ
লাইসেন্সপ্রাপ্ত বার ও হোটেলে অ্যালকোহল পাওয়া যায়, তবে মাতাল আচরণ, উচ্চ স্বরে ঝগড়া বা বিশৃঙ্খলা একেবারেই নিষিদ্ধ। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো কঠোরভাবে দণ্ডনীয়।
নিরাপত্তা ও আইন
আবুধাবি বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ শহর। চুরি-ছিনতাই খুবই বিরল এ শহরে। তবে সমলিঙ্গ সম্পর্ক ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যসংক্রান্ত আইন কঠোর। এ বিষয়ে পর্যটকদের সতর্ক থাকতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের নম্বর ৯৯৯।
আবুধাবি আধুনিক এবং অতিথিপরায়ণ হলেও এখানকার সংস্কৃতি ও আইন মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য সচেতনতা থাকলেই এই শহরের ভ্রমণ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্মরণীয়।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

আপনার চ্যানেল যতো বড় আর জনপ্রিয় হোক না কেন তিনটি স্ট্রাইক পেলে সেটি আর ফেরানো সম্ভব নয়। সুতরাং কোন কোন বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে ইউটিউবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেগুলো জানাটা জরুরি। এখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত
২৩ নভেম্বর ২০২১
বিজয় দিবস ছুটির দিন। তাই খাবার টেবিলেও থাকে রোজকার খাবারের পরিবর্তে বিশেষ খাবার। বিজয়ের লাল-সবুজ রং থাকুক খাবার টেবিলেও। তবে খাবারে কোনো ধরনের রং ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করুন। আপনাদের জন্য এ রকম কয়েকটি খাবারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া...
১৯ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ভুল প্রস্তুতি, সামান্য অসাবধানতা কিংবা জ্ঞানের অভাব—এগুলো যেকোনো খাবারকে মুহূর্তে পরিণত করতে পারে নীরব ঘাতকে। পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া যাক, যেগুলো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক রন্ধনশৈলীর অংশ হলেও সেগুলোর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা অপরিহার্য।
বীজ, ফল ও সবজি
সাধারণ কিছু ফল ও সবজির ভুল অংশ কিংবা ভুল প্রস্তুতি মারাত্মক হতে পারে। কামরাঙায় নিউরোটক্সিন থাকে, যা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাদের এটি খেলে মারাত্মক বিভ্রান্তি, খিঁচুনি বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। তবে সুস্থ ব্যক্তিরা এটি পরিমিত খেতে পারে।

জ্যামাইকার অ্যাকি নামের একটি ফল কাঁচা অবস্থায় হাইপোগ্লাইসিন এ নামে বিষাক্ত পদার্থ ধারণ করে। এ ফল খেলে বমি হতে পারে। এ ছাড়া এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে কোমা বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। কাসাভা একটি মূলজাতীয় সবজি। এটিতে সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড থাকে, যা ভুলভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হলে সায়ানাইড নির্গত করে। এতে বমি বমি ভাব, বমি বা মৃত্যু হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্যাংগিয়াম ইড্যুলে নামের বীজে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামক মারাত্মক বিষ থাকে। খাওয়ার আগে অবশ্যই বীজটিকে বিষমুক্ত করার জন্য গাঁজানো বা প্রক্রিয়াকরণ করতে হয়।
কাঁচা কাজুতে উরুশিওল নামে বিষাক্ত তেল থাকে। এটি না ভেজে বা না সেঁকে খেলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বা শ্বাসযন্ত্রের কষ্ট হতে পারে। কাঁচা বা অপর্যাপ্ত রান্না করা লাল কিডনি বিনসে ফাইটোইমাগ্লুটিনিন নামে একটি টক্সিন থাকে। এভাবে লাল কিডনি বিনস খেলে বমি বমি ভাব, বমি এবং হজমের গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে। এই বিষাক্ত পদার্থ নিষ্ক্রিয় করতে এগুলোকে উচ্চ তাপমাত্রায় পুরোপুরি রান্না করতে হয়।

চেরির বীজ এবং অন্যান্য স্টোন ফলের বীজে অ্যামিগডালিন থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড নির্গত করে। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সায়ানাইড বিষক্রিয়া হতে পারে। রুবাবের ডাঁটা নিরাপদ হলেও এর পাতায় অক্সালিক অ্যাসিড ও অ্যানথ্রাকুইনোন গ্লাইকোসাইডের মতো বিষাক্ত যৌগ থাকে। এল্ডারবেরিস নামক উদ্ভিদের কাঁচা ফল, পাতা, বাকল এবং মূলে লেকটিন ও সায়ানাইড থাকে, যা বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া ঘটাতে পারে। তবে বীজ এবং বেরিগুলো সঠিকভাবে রান্না করলে সায়ানাইড দূর হয়।
মাশরুম ও মসলা
ডেথ ক্যাপ মাশরুম বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ছত্রাকগুলোর অন্যতম। এতে অ্যামাটক্সিনের মতো শক্তিশালী বিষাক্ত পদার্থ থাকে, যা লিভার ও কিডনি বিকল করে দিতে পারে। জায়ফল বেশি পরিমাণে খেলে মাইরিস্টিসিন নামক যৌগটির কারণে হ্যালুসিনেশন, বমি বমি ভাব এবং খিঁচুনি হতে পারে। এটি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে অঙ্গ ব্যর্থতার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বের অন্যতম ঝাল মরিচের নাম ড্রাগন’স ব্রেথ। এর ঝালের মাত্রা ২.৪৮ মিলিয়ন স্কোভিল ইউনিট। এটি খাওয়ার ফলে গলা পুড়ে যাওয়া, শ্বাস পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অ্যানাফাইল্যাকটিক শক হতে পারে।

তৈরি খাবার ও তরল
কাঁচা মধুতে বটুলিজম স্পোর থাকতে পারে, যা এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এই স্পোরগুলো নিউরোটক্সিন তৈরি করে, যা শিশুদের পক্ষাঘাত এবং মৃত্যু ঘটাতে পারে। এ ছাড়া পাস্তুরায়ন করা হয়নি; এমন দুধ ও পনিরে সালমোনেলা, লিস্টেরিয়া বা ই. কোলাইয়ের মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। গর্ভবতী, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এটি বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
কাসু মার্তজু নামক সার্ডিনিয়ার পনিরে ইচ্ছাকৃতভাবে জীবন্ত লার্ভা রাখা হয়। এই লার্ভা হজমের পরেও জীবিত থাকতে পারে এবং অন্ত্রে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ল্যাই নামক ক্ষারযুক্ত পানিতে ভেজানো শুকনো মাছ দিয়ে তৈরি একটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান খাবার লুটফিস্ক। সঠিকভাবে ধুয়ে না ফেললে উচ্চ মাত্রার ল্যাই রাসায়নিক পোড়া বা হজমজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আলফা স্প্রাউটস একটি পুষ্টিকর স্প্রাউট। এটি উষ্ণ ও আর্দ্র পরিস্থিতিতে বেড়ে ওঠার কারণে ই. কোলাই বা সালমোনেলার মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে দূষিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
প্রাণী ও মাছ থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি
কিছু প্রাণী ও মাছের শরীরে মারাত্মক বিষ লুকিয়ে থাকে। যেমন জাপানের জনপ্রিয় খাবার ফুগু। এতে আছে টেট্রোডোটক্সিনের মতো অত্যন্ত শক্তিশালী একটি নিউরোটক্সিন। দুর্ঘটনাক্রমে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকায় শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত শেফরাই এটি প্রস্তুত করার অনুমতি পান। সিলভার-স্ট্রাইপ ব্লাসোপ পাফারফিশের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এতেও মারাত্মক টেট্রোডোটক্সিন থাকে। ভুলভাবে প্রস্তুত করলে এটি পক্ষাঘাত, শ্বাসযন্ত্রের বিকলতা এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সুশি বা স্টেক টার্টারের মতো কাঁচা মাছ বা মাংস খেলে ই. কোলাই বা সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা পরজীবীর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ঐতিহ্যবাহী মিসরীয় খাবার ফেসিখ নামের গাঁজানো মাছের পদটি যদি সঠিকভাবে রান্না করা না হয়, তবে এটি বটুলিজম নামক মারাত্মক স্নায়ুতন্ত্রের রোগের কারণ হতে পারে।
ঝিনুক এবং অন্যান্য শেলফিশ ক্ষতিকর শেওলা বহন করতে পারে, সেগুলো প্যারালিটিক শেলফিশ পয়জনিং সৃষ্টি করে। এটি পক্ষাঘাত বা শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কোরিয়ার একটি খাবারে জীবন্ত অক্টোপাস পরিবেশন করা হয়। এর কাটা শুঁড়গুলো তখনো নড়াচড়া করতে পারে, যা ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে শ্বাসরোধের কারণ হতে পারে। নামিবিয়ার কিছু অঞ্চলে আফ্রিকান বুলফ্রগ নামের একটি ব্যাঙ খাওয়া হয়। তবে এর চামড়া ও অঙ্গে থাকা বিষাক্ত পদার্থ কিডনি ফেইলিওর ঘটাতে পারে, যদি এটি সঠিকভাবে রান্না হয়ে না থাকে।
দূষিত পানি থেকে সংগ্রহ করা ক্ল্যামস হেপাটাইটিস এবং টাইফয়েডের মতো বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে। খাদ্যজনিত অসুস্থতা এড়াতে এটি সঠিকভাবে রান্না করা অপরিহার্য। কিছু সংস্কৃতিতে এটি বিশেষ খাবার হিসেবে খাওয়া হয় বানরের মাথা। এটি ক্রিউটজফেল্ড-জেকব রোগর মতো রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বহন করে, যা একটি মারাত্মক স্নায়ু-অবক্ষয়কারী রোগ।
মূলকথা হলো, খাবার হিসেবে সবই হয়তো কোনো না কোনো সংস্কৃতির স্মারক। নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ সেসব খাবার মজা করেই খায় তাদের প্রজন্মগত অভিজ্ঞতার কারণে। তবে মনে রাখতে হবে, খাবারগুলো সঠিকভাবে রান্না না হলে কিংবা সেসব খাবারে অভ্যস্ত না হলে সেগুলো ঝুঁকির কারণ তো বটেই, মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

ভুল প্রস্তুতি, সামান্য অসাবধানতা কিংবা জ্ঞানের অভাব—এগুলো যেকোনো খাবারকে মুহূর্তে পরিণত করতে পারে নীরব ঘাতকে। পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া যাক, যেগুলো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক রন্ধনশৈলীর অংশ হলেও সেগুলোর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা অপরিহার্য।
বীজ, ফল ও সবজি
সাধারণ কিছু ফল ও সবজির ভুল অংশ কিংবা ভুল প্রস্তুতি মারাত্মক হতে পারে। কামরাঙায় নিউরোটক্সিন থাকে, যা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাদের এটি খেলে মারাত্মক বিভ্রান্তি, খিঁচুনি বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। তবে সুস্থ ব্যক্তিরা এটি পরিমিত খেতে পারে।

জ্যামাইকার অ্যাকি নামের একটি ফল কাঁচা অবস্থায় হাইপোগ্লাইসিন এ নামে বিষাক্ত পদার্থ ধারণ করে। এ ফল খেলে বমি হতে পারে। এ ছাড়া এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে কোমা বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। কাসাভা একটি মূলজাতীয় সবজি। এটিতে সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড থাকে, যা ভুলভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হলে সায়ানাইড নির্গত করে। এতে বমি বমি ভাব, বমি বা মৃত্যু হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্যাংগিয়াম ইড্যুলে নামের বীজে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামক মারাত্মক বিষ থাকে। খাওয়ার আগে অবশ্যই বীজটিকে বিষমুক্ত করার জন্য গাঁজানো বা প্রক্রিয়াকরণ করতে হয়।
কাঁচা কাজুতে উরুশিওল নামে বিষাক্ত তেল থাকে। এটি না ভেজে বা না সেঁকে খেলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বা শ্বাসযন্ত্রের কষ্ট হতে পারে। কাঁচা বা অপর্যাপ্ত রান্না করা লাল কিডনি বিনসে ফাইটোইমাগ্লুটিনিন নামে একটি টক্সিন থাকে। এভাবে লাল কিডনি বিনস খেলে বমি বমি ভাব, বমি এবং হজমের গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে। এই বিষাক্ত পদার্থ নিষ্ক্রিয় করতে এগুলোকে উচ্চ তাপমাত্রায় পুরোপুরি রান্না করতে হয়।

চেরির বীজ এবং অন্যান্য স্টোন ফলের বীজে অ্যামিগডালিন থাকে, যা হজমের সময় সায়ানাইড নির্গত করে। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সায়ানাইড বিষক্রিয়া হতে পারে। রুবাবের ডাঁটা নিরাপদ হলেও এর পাতায় অক্সালিক অ্যাসিড ও অ্যানথ্রাকুইনোন গ্লাইকোসাইডের মতো বিষাক্ত যৌগ থাকে। এল্ডারবেরিস নামক উদ্ভিদের কাঁচা ফল, পাতা, বাকল এবং মূলে লেকটিন ও সায়ানাইড থাকে, যা বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া ঘটাতে পারে। তবে বীজ এবং বেরিগুলো সঠিকভাবে রান্না করলে সায়ানাইড দূর হয়।
মাশরুম ও মসলা
ডেথ ক্যাপ মাশরুম বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ছত্রাকগুলোর অন্যতম। এতে অ্যামাটক্সিনের মতো শক্তিশালী বিষাক্ত পদার্থ থাকে, যা লিভার ও কিডনি বিকল করে দিতে পারে। জায়ফল বেশি পরিমাণে খেলে মাইরিস্টিসিন নামক যৌগটির কারণে হ্যালুসিনেশন, বমি বমি ভাব এবং খিঁচুনি হতে পারে। এটি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে অঙ্গ ব্যর্থতার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বের অন্যতম ঝাল মরিচের নাম ড্রাগন’স ব্রেথ। এর ঝালের মাত্রা ২.৪৮ মিলিয়ন স্কোভিল ইউনিট। এটি খাওয়ার ফলে গলা পুড়ে যাওয়া, শ্বাস পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অ্যানাফাইল্যাকটিক শক হতে পারে।

তৈরি খাবার ও তরল
কাঁচা মধুতে বটুলিজম স্পোর থাকতে পারে, যা এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এই স্পোরগুলো নিউরোটক্সিন তৈরি করে, যা শিশুদের পক্ষাঘাত এবং মৃত্যু ঘটাতে পারে। এ ছাড়া পাস্তুরায়ন করা হয়নি; এমন দুধ ও পনিরে সালমোনেলা, লিস্টেরিয়া বা ই. কোলাইয়ের মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। গর্ভবতী, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এটি বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
কাসু মার্তজু নামক সার্ডিনিয়ার পনিরে ইচ্ছাকৃতভাবে জীবন্ত লার্ভা রাখা হয়। এই লার্ভা হজমের পরেও জীবিত থাকতে পারে এবং অন্ত্রে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ল্যাই নামক ক্ষারযুক্ত পানিতে ভেজানো শুকনো মাছ দিয়ে তৈরি একটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান খাবার লুটফিস্ক। সঠিকভাবে ধুয়ে না ফেললে উচ্চ মাত্রার ল্যাই রাসায়নিক পোড়া বা হজমজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আলফা স্প্রাউটস একটি পুষ্টিকর স্প্রাউট। এটি উষ্ণ ও আর্দ্র পরিস্থিতিতে বেড়ে ওঠার কারণে ই. কোলাই বা সালমোনেলার মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে দূষিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
প্রাণী ও মাছ থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি
কিছু প্রাণী ও মাছের শরীরে মারাত্মক বিষ লুকিয়ে থাকে। যেমন জাপানের জনপ্রিয় খাবার ফুগু। এতে আছে টেট্রোডোটক্সিনের মতো অত্যন্ত শক্তিশালী একটি নিউরোটক্সিন। দুর্ঘটনাক্রমে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকায় শুধু লাইসেন্সপ্রাপ্ত শেফরাই এটি প্রস্তুত করার অনুমতি পান। সিলভার-স্ট্রাইপ ব্লাসোপ পাফারফিশের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এতেও মারাত্মক টেট্রোডোটক্সিন থাকে। ভুলভাবে প্রস্তুত করলে এটি পক্ষাঘাত, শ্বাসযন্ত্রের বিকলতা এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সুশি বা স্টেক টার্টারের মতো কাঁচা মাছ বা মাংস খেলে ই. কোলাই বা সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা পরজীবীর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ঐতিহ্যবাহী মিসরীয় খাবার ফেসিখ নামের গাঁজানো মাছের পদটি যদি সঠিকভাবে রান্না করা না হয়, তবে এটি বটুলিজম নামক মারাত্মক স্নায়ুতন্ত্রের রোগের কারণ হতে পারে।
ঝিনুক এবং অন্যান্য শেলফিশ ক্ষতিকর শেওলা বহন করতে পারে, সেগুলো প্যারালিটিক শেলফিশ পয়জনিং সৃষ্টি করে। এটি পক্ষাঘাত বা শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কোরিয়ার একটি খাবারে জীবন্ত অক্টোপাস পরিবেশন করা হয়। এর কাটা শুঁড়গুলো তখনো নড়াচড়া করতে পারে, যা ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে শ্বাসরোধের কারণ হতে পারে। নামিবিয়ার কিছু অঞ্চলে আফ্রিকান বুলফ্রগ নামের একটি ব্যাঙ খাওয়া হয়। তবে এর চামড়া ও অঙ্গে থাকা বিষাক্ত পদার্থ কিডনি ফেইলিওর ঘটাতে পারে, যদি এটি সঠিকভাবে রান্না হয়ে না থাকে।
দূষিত পানি থেকে সংগ্রহ করা ক্ল্যামস হেপাটাইটিস এবং টাইফয়েডের মতো বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে। খাদ্যজনিত অসুস্থতা এড়াতে এটি সঠিকভাবে রান্না করা অপরিহার্য। কিছু সংস্কৃতিতে এটি বিশেষ খাবার হিসেবে খাওয়া হয় বানরের মাথা। এটি ক্রিউটজফেল্ড-জেকব রোগর মতো রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বহন করে, যা একটি মারাত্মক স্নায়ু-অবক্ষয়কারী রোগ।
মূলকথা হলো, খাবার হিসেবে সবই হয়তো কোনো না কোনো সংস্কৃতির স্মারক। নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ সেসব খাবার মজা করেই খায় তাদের প্রজন্মগত অভিজ্ঞতার কারণে। তবে মনে রাখতে হবে, খাবারগুলো সঠিকভাবে রান্না না হলে কিংবা সেসব খাবারে অভ্যস্ত না হলে সেগুলো ঝুঁকির কারণ তো বটেই, মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

আপনার চ্যানেল যতো বড় আর জনপ্রিয় হোক না কেন তিনটি স্ট্রাইক পেলে সেটি আর ফেরানো সম্ভব নয়। সুতরাং কোন কোন বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে ইউটিউবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেগুলো জানাটা জরুরি। এখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত
২৩ নভেম্বর ২০২১
বিজয় দিবস ছুটির দিন। তাই খাবার টেবিলেও থাকে রোজকার খাবারের পরিবর্তে বিশেষ খাবার। বিজয়ের লাল-সবুজ রং থাকুক খাবার টেবিলেও। তবে খাবারে কোনো ধরনের রং ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করুন। আপনাদের জন্য এ রকম কয়েকটি খাবারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়...
১৫ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১ দিন আগেনিশাত তামান্না

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
পোশাক
বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র্যান্ড।
সাজ
এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’
শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।
এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
পোশাক
বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র্যান্ড।
সাজ
এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’
শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।
এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

আপনার চ্যানেল যতো বড় আর জনপ্রিয় হোক না কেন তিনটি স্ট্রাইক পেলে সেটি আর ফেরানো সম্ভব নয়। সুতরাং কোন কোন বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে ইউটিউবে নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে সেগুলো জানাটা জরুরি। এখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত
২৩ নভেম্বর ২০২১
বিজয় দিবস ছুটির দিন। তাই খাবার টেবিলেও থাকে রোজকার খাবারের পরিবর্তে বিশেষ খাবার। বিজয়ের লাল-সবুজ রং থাকুক খাবার টেবিলেও। তবে খাবারে কোনো ধরনের রং ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করুন। আপনাদের জন্য এ রকম কয়েকটি খাবারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
মরুভূমির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, নীল সমুদ্র, আধুনিক আকাশচুম্বী ভবন আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের কারণে এই শহর পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার মানুষজন সাধারণত বন্ধুবৎসল, যা পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তোলে। তবে এই বৈচিত্র্যময় শহরের ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন ও আনন্দদায়ক হয়...
১৫ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো দেখতে লোভনীয় হলেও সেগুলোর ভেতরে লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। বিষাক্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে মারাত্মক বিষ বহনকারী প্রাণী—সবই থাকে এই খাবারগুলোতে। সেগুলো খেলে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আসুন, বিশ্বের এমন কিছু বিপজ্জনক খাবারের দিকে নজর দেওয়া...
১৯ ঘণ্টা আগে