আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুইডিশ ইউটিউবার ফেলিক্স আর্ভিড উলফ শেলবার্গ, তিনি পিউডিপাই নামেই বেশি পরিচিত। মূলত গেমিং ভিডিওর জন্য তিনি বিখ্যাত। ইউটিউবে ফেলিক্সের জনপ্রিয়তা এবং তাঁর প্রতি গণমাধ্যমের মনোযোগ তাঁকে অন্যতম উল্লেখযোগ্য অনলাইন ব্যক্তিত্ব এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরে পরিণত করেছে। বর্তমানে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১১০ মিলিয়ন।
সম্প্রতি এক ভিডিওতে পিউডিপাই জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে তিনি ডেস্কটপে ওপেনসোর্স অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স ইনস্টল করেন। গেমার হয়েও মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ বাদ দিয়ে প্রথমে লিনাক্স মিন্ট (লিনাক্সের একটি জনপ্রিয় সংস্করণ) এবং আর্চ লিনাক্সের (কমিউনিটি পরিচালিত লিনাক্স সংস্করণ) সঙ্গে হাইপারল্যান্ড টাইলিং উইন্ডো ম্যানেজার ব্যবহার শুরু করেন।
লিনাক্সের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো, এই অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কম্পিউটার গেমের সংখ্যা খুবই সীমিত। এ ছাড়া জনপ্রিয় গ্রাফিকস কার্ডের জন্য উপযুক্ত ড্রাইভারও পাওয়া যায় না।
এরপরও পিউডিপাইয়ের মতো গেমার কেন উইন্ডোজ ছেড়ে লিনাক্স ব্যবহার শুরু করলেন? সেটির জবাব তাঁর ভিডিওতে তুলে ধরেছেন পিউডিপাই:
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ
উইন্ডোজ ব্যবহার থেকে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার উদ্বেগকেই উল্লেখ করেছেন পিউডিপাই। তিনি বলছেন, লিনাক্স যেহেতু ওপেনসোর্স, এটি ব্যবহারকারীকে কোড দেখার সুযোগ দেয়, ফলে তারা প্রোপ্রায়েটরি টেলিমেট্রি (যা ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে) এড়াতে পারে। এই সুবিধা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় সহায়ক। যেখানে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা এখন বেশির ভাগ মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
লিনাক্সে অনন্য অভিজ্ঞতা
লিনাক্সে একটি মসৃণ এবং আরও কাস্টমাইজ যোগ্য অভিজ্ঞতা উপভোগ করার কথা উল্লেখ করেছেন পিউডিপাই। ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং স্থিতিশীল (স্ট্যাবল) হওয়ার কারণে লিনাক্স মিন্ট ছিল তাঁর প্রথম পছন্দ। তবে আর্চ লিনাক্স তাঁকে আরও বেশি কাস্টমাইজেশনের সুযোগ দিয়েছে।
গেমিং এবং পারফরম্যান্স
লিনাক্স এখন গেমিংয়ের জন্য অনেক বেশি কার্যকর হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে স্টিমের প্রোটন এবং স্টিম ডেক টুলের সাহায্যে। পিউডিপাই গেম খেলতে ও তা নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে পছন্দ করেন। তাই লিনাক্সে গেম খেলার সুযোগ তাঁর জন্য বড় বিষয়। কারণ এর আগে লিনাক্সে সেভাবে গেমিংয়ের সুযোগ ছিল না। তবে বর্তমানে লিনাক্সের মাধ্যমে পিউডিপাই তাঁর গেম খেলার চাহিদা ভালোভাবে পূরণ করতে পারছেন।
ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ ও কৌতূহল
পিউডিপাই সব সময় নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী আর বিভিন্ন শখে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ার ইতিহাসও তাঁর আছে—যেমন পেইন্টিং বা রক ক্লাইম্বিং। আর্চ লিনাক্স ব্যবহার শুরু করাও তাঁর এমন এক নতুন চ্যালেঞ্জ। কারণ আর্চ লিনাক্স ব্যবহার করতে কিছুটা প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রয়োজন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেখা যায়, তিনি জিএসএইচ (zsh), কিটি টার্মিনাল (টার্মিনাল ইম্যুলেটর) ও হাইপারল্যান্ডের মতো কম্পোজিটর টুল ব্যবহার করছেন। এতে বোঝা যায়, তিনি লিনাক্স সেটআপ নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করতে সময় ও মনোযোগ দিয়েছেন।
উইন্ডোজ নিয়ে অসন্তুষ্টি
অনেক ব্যবহারকারীর মতো পিউডিপাইও উইন্ডোজ, বিশেষ করে উইন্ডোজ ১১–এর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সমস্যা, অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার (ব্লোটওয়্যার) এবং ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিয়ে হতাশ হতে পারেন। বিভিন্ন ফোরাম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মন্তব্যগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি মাইক্রোসফটের বর্তমান নীতিমালা নিয়ে অসন্তুষ্ট এবং এ জন্যই লিনাক্স ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পিউডিপাইকে প্রথম গত ফেব্রুয়ারিতে একটি গেমিং পিসি তৈরির ভিডিওতে লিনাক্স মিন্ট ব্যবহার করতে দেখা যায়, তাঁর সেসময়ের ভিডিওতে শুধু মিন্টের টাস্কবার দেখা দেখা যায়। এরপর মার্চের মধ্যে তিনি আরও উন্নত ও কাস্টমাইজযোগ্য আর্চ লিনাক্সে চলে যান, যেখানে হাইপারল্যান্ড উইন্ডো ম্যানেজার ব্যবহার করছেন।

২০২৫ কি তাহলে লিনাক্স ডেস্কটপের বছর!
‘লিনাক্স ডেস্কটপের বছর’ বলতে লিনাক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রচলিত একটি মিম বোঝায়। এটি সেই সময়কে ইঙ্গিত করে যখন লিনাক্স মূলধারার ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। যদিও এই কথা অনেক বছর ধরেই অনেকে বলে আসছে তবে, ২০২৫ সালে পিউডিপাইয়ের মতো জনপ্রিয় একজন ইউটিউবারের লিনাক্স ব্যবহার এই আলোচনাকে নতুন করে উসকে দিয়েছে।
২০২৫ সালকে ‘লিনাক্স ডেস্কটপের বছর’ হিসেবে সমর্থন করেছেন অনেকেই। তাদের যুক্তিগুলো হলো—
পিউডিপায়ের প্রভাব: ১১০ মিলিয়নেরও বেশি ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার নিয়ে বিশাল প্রভাবশালী ব্যক্তি পিউডিপাই। তাই তিনি যখন লিনাক্স মিন্ট এবং পরে আর্চ লিনাক্স ব্যবহার শুরু করেন, তখন তা প্রযুক্তি জগতে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তাঁর অনেক ভক্তই তরুণ এবং প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহী। ফলে উইন্ডোজের পরিবর্তে তাঁর লিনাক্সের ব্যবহার অনেককে উৎসাহ দিতে পারে। এমনকি সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই এটিকে ‘টাইমলাইন বদলে দেওয়ার’ মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গেমিংয়ের উন্নতি
স্টিম প্রোটন প্রযুক্তির মাধ্যমে লিনাক্সে গেম খেলা এখন অনেক সহজ ও কার্যকর হয়েছে। এর মাধ্যমে এখন লিনাক্সে হাজার হাজার উইন্ডোজ গেম চালানো সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে, গেমিং জগতে লিনাক্সের অবস্থানকে আরও শক্ত করেছে লিনাক্স-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্টিম ডেকও। পিউডিপাই এই সক্ষমতাগুলো তাঁর বিশাল দর্শকগোষ্ঠীর সামনে তুলে ধরছেন।
উইন্ডোজের সমস্যা
উইন্ডোজ ১১–এর গোপনীয়তা লঙ্ঘন, জোরপূর্বক আপডেট এবং অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের কারণে অনেক ব্যবহারকারী বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন। বিভিন্ন ফোরাম পোস্টে বলা হয়েছে, অনেক সময় লিনাক্সের প্রতি আগ্রহ লিনাক্সের গুণের চেয়ে বরং উইন্ডোজের দুর্বলতা থেকেই তৈরি হয়।
সাংস্কৃতিক প্রভাব
সোশ্যাল মিডিয়া এক্স এবং রেডিট–এর অনেক পোস্টে ২০২৫ সালকে এক ধরনের ‘লিনাক্স সিটকম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছে। এসব প্ল্যাটফর্মে পিউডিপাইয়ের লিনাক্স ব্যবহার, হাইপারল্যান্ডের জনপ্রিয়তা এবং লিনাক্স কার্নেল নিয়ে বিতর্ক মিলিয়ে এক অনন্য প্রযুক্তিগত সংস্কৃতি তৈরি করেছে। পিউডিপাইয়ের মতো একজন জনপ্রিয় সেলিব্রিটি লিনাক্স ব্যবহার শুরু করায় এটি অনেকের চোখে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
লিনাক্স বিরোধী যুক্তি:
লিনাক্সের সীমাবদ্ধতা: পিউডিপাইয়ের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব লিনাক্স ব্যবহার শুরু করলেও, সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য লিনাক্স এখনো কিছুটা জটিল। বিশেষ করে আর্চ লিনাক্স একেবারে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত নয়। এমনকি লিনাক্স মিন্টের মতো সহজ ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহারেও উইন্ডোজ বা ম্যাকের তুলনায় কিছুটা বেশি প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। লিনাক্সের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার জন্য সহজ সংস্করণ এবং প্রি-ইনস্টল করা লিনাক্স ল্যাপটপের প্রয়োজন।
বর্তমানে লিনাক্স ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের মার্কেট শেয়ার এখনো ৫ শতাংশের নিচে, যেখানে উইন্ডোজ প্রায় ৭০ শতাংশ এবং ম্যাকওএস প্রায় ১৫ শতাংশ দখল করে আছে। অতীতে বহুবার ‘লিনাক্স ডেস্কটপের বছর’ আসবে বলে বলা হয়েছে, তবে তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবে পরিণত হয়নি। তাই পিউডিপাইয়ের এই পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তা পুরো বিশ্বের ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের আচরণ বদলে দেবে—এমনটা এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। ।
করপোরেট এবং ইকোসিস্টেম বাধা: ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্কুলগুলো মূলত উইন্ডোজ বা ম্যাকওএস ব্যবহার করে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ্লিকেশন (যেমন মাইক্রোসফট অফিস, অ্যাডোবি স্যুট) লিনাক্স সমর্থন করে না।
গেমিংয়ের সীমাবদ্ধতা: যদিও লিনাক্স গেমিং অভিজ্ঞতা আগের চেয়ে উন্নত হলেও কিছু অ্যান্টি-চিট সিস্টেমসহ গেম ভালোভাবে খেলা যায় না।

সুইডিশ ইউটিউবার ফেলিক্স আর্ভিড উলফ শেলবার্গ, তিনি পিউডিপাই নামেই বেশি পরিচিত। মূলত গেমিং ভিডিওর জন্য তিনি বিখ্যাত। ইউটিউবে ফেলিক্সের জনপ্রিয়তা এবং তাঁর প্রতি গণমাধ্যমের মনোযোগ তাঁকে অন্যতম উল্লেখযোগ্য অনলাইন ব্যক্তিত্ব এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরে পরিণত করেছে। বর্তমানে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১১০ মিলিয়ন।
সম্প্রতি এক ভিডিওতে পিউডিপাই জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে তিনি ডেস্কটপে ওপেনসোর্স অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স ইনস্টল করেন। গেমার হয়েও মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ বাদ দিয়ে প্রথমে লিনাক্স মিন্ট (লিনাক্সের একটি জনপ্রিয় সংস্করণ) এবং আর্চ লিনাক্সের (কমিউনিটি পরিচালিত লিনাক্স সংস্করণ) সঙ্গে হাইপারল্যান্ড টাইলিং উইন্ডো ম্যানেজার ব্যবহার শুরু করেন।
লিনাক্সের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো, এই অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কম্পিউটার গেমের সংখ্যা খুবই সীমিত। এ ছাড়া জনপ্রিয় গ্রাফিকস কার্ডের জন্য উপযুক্ত ড্রাইভারও পাওয়া যায় না।
এরপরও পিউডিপাইয়ের মতো গেমার কেন উইন্ডোজ ছেড়ে লিনাক্স ব্যবহার শুরু করলেন? সেটির জবাব তাঁর ভিডিওতে তুলে ধরেছেন পিউডিপাই:
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ
উইন্ডোজ ব্যবহার থেকে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার উদ্বেগকেই উল্লেখ করেছেন পিউডিপাই। তিনি বলছেন, লিনাক্স যেহেতু ওপেনসোর্স, এটি ব্যবহারকারীকে কোড দেখার সুযোগ দেয়, ফলে তারা প্রোপ্রায়েটরি টেলিমেট্রি (যা ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে) এড়াতে পারে। এই সুবিধা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় সহায়ক। যেখানে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা এখন বেশির ভাগ মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
লিনাক্সে অনন্য অভিজ্ঞতা
লিনাক্সে একটি মসৃণ এবং আরও কাস্টমাইজ যোগ্য অভিজ্ঞতা উপভোগ করার কথা উল্লেখ করেছেন পিউডিপাই। ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং স্থিতিশীল (স্ট্যাবল) হওয়ার কারণে লিনাক্স মিন্ট ছিল তাঁর প্রথম পছন্দ। তবে আর্চ লিনাক্স তাঁকে আরও বেশি কাস্টমাইজেশনের সুযোগ দিয়েছে।
গেমিং এবং পারফরম্যান্স
লিনাক্স এখন গেমিংয়ের জন্য অনেক বেশি কার্যকর হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে স্টিমের প্রোটন এবং স্টিম ডেক টুলের সাহায্যে। পিউডিপাই গেম খেলতে ও তা নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে পছন্দ করেন। তাই লিনাক্সে গেম খেলার সুযোগ তাঁর জন্য বড় বিষয়। কারণ এর আগে লিনাক্সে সেভাবে গেমিংয়ের সুযোগ ছিল না। তবে বর্তমানে লিনাক্সের মাধ্যমে পিউডিপাই তাঁর গেম খেলার চাহিদা ভালোভাবে পূরণ করতে পারছেন।
ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ ও কৌতূহল
পিউডিপাই সব সময় নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী আর বিভিন্ন শখে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ার ইতিহাসও তাঁর আছে—যেমন পেইন্টিং বা রক ক্লাইম্বিং। আর্চ লিনাক্স ব্যবহার শুরু করাও তাঁর এমন এক নতুন চ্যালেঞ্জ। কারণ আর্চ লিনাক্স ব্যবহার করতে কিছুটা প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রয়োজন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেখা যায়, তিনি জিএসএইচ (zsh), কিটি টার্মিনাল (টার্মিনাল ইম্যুলেটর) ও হাইপারল্যান্ডের মতো কম্পোজিটর টুল ব্যবহার করছেন। এতে বোঝা যায়, তিনি লিনাক্স সেটআপ নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করতে সময় ও মনোযোগ দিয়েছেন।
উইন্ডোজ নিয়ে অসন্তুষ্টি
অনেক ব্যবহারকারীর মতো পিউডিপাইও উইন্ডোজ, বিশেষ করে উইন্ডোজ ১১–এর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সমস্যা, অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার (ব্লোটওয়্যার) এবং ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিয়ে হতাশ হতে পারেন। বিভিন্ন ফোরাম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মন্তব্যগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি মাইক্রোসফটের বর্তমান নীতিমালা নিয়ে অসন্তুষ্ট এবং এ জন্যই লিনাক্স ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পিউডিপাইকে প্রথম গত ফেব্রুয়ারিতে একটি গেমিং পিসি তৈরির ভিডিওতে লিনাক্স মিন্ট ব্যবহার করতে দেখা যায়, তাঁর সেসময়ের ভিডিওতে শুধু মিন্টের টাস্কবার দেখা দেখা যায়। এরপর মার্চের মধ্যে তিনি আরও উন্নত ও কাস্টমাইজযোগ্য আর্চ লিনাক্সে চলে যান, যেখানে হাইপারল্যান্ড উইন্ডো ম্যানেজার ব্যবহার করছেন।

২০২৫ কি তাহলে লিনাক্স ডেস্কটপের বছর!
‘লিনাক্স ডেস্কটপের বছর’ বলতে লিনাক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রচলিত একটি মিম বোঝায়। এটি সেই সময়কে ইঙ্গিত করে যখন লিনাক্স মূলধারার ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। যদিও এই কথা অনেক বছর ধরেই অনেকে বলে আসছে তবে, ২০২৫ সালে পিউডিপাইয়ের মতো জনপ্রিয় একজন ইউটিউবারের লিনাক্স ব্যবহার এই আলোচনাকে নতুন করে উসকে দিয়েছে।
২০২৫ সালকে ‘লিনাক্স ডেস্কটপের বছর’ হিসেবে সমর্থন করেছেন অনেকেই। তাদের যুক্তিগুলো হলো—
পিউডিপায়ের প্রভাব: ১১০ মিলিয়নেরও বেশি ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার নিয়ে বিশাল প্রভাবশালী ব্যক্তি পিউডিপাই। তাই তিনি যখন লিনাক্স মিন্ট এবং পরে আর্চ লিনাক্স ব্যবহার শুরু করেন, তখন তা প্রযুক্তি জগতে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তাঁর অনেক ভক্তই তরুণ এবং প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহী। ফলে উইন্ডোজের পরিবর্তে তাঁর লিনাক্সের ব্যবহার অনেককে উৎসাহ দিতে পারে। এমনকি সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই এটিকে ‘টাইমলাইন বদলে দেওয়ার’ মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গেমিংয়ের উন্নতি
স্টিম প্রোটন প্রযুক্তির মাধ্যমে লিনাক্সে গেম খেলা এখন অনেক সহজ ও কার্যকর হয়েছে। এর মাধ্যমে এখন লিনাক্সে হাজার হাজার উইন্ডোজ গেম চালানো সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে, গেমিং জগতে লিনাক্সের অবস্থানকে আরও শক্ত করেছে লিনাক্স-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্টিম ডেকও। পিউডিপাই এই সক্ষমতাগুলো তাঁর বিশাল দর্শকগোষ্ঠীর সামনে তুলে ধরছেন।
উইন্ডোজের সমস্যা
উইন্ডোজ ১১–এর গোপনীয়তা লঙ্ঘন, জোরপূর্বক আপডেট এবং অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের কারণে অনেক ব্যবহারকারী বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন। বিভিন্ন ফোরাম পোস্টে বলা হয়েছে, অনেক সময় লিনাক্সের প্রতি আগ্রহ লিনাক্সের গুণের চেয়ে বরং উইন্ডোজের দুর্বলতা থেকেই তৈরি হয়।
সাংস্কৃতিক প্রভাব
সোশ্যাল মিডিয়া এক্স এবং রেডিট–এর অনেক পোস্টে ২০২৫ সালকে এক ধরনের ‘লিনাক্স সিটকম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছে। এসব প্ল্যাটফর্মে পিউডিপাইয়ের লিনাক্স ব্যবহার, হাইপারল্যান্ডের জনপ্রিয়তা এবং লিনাক্স কার্নেল নিয়ে বিতর্ক মিলিয়ে এক অনন্য প্রযুক্তিগত সংস্কৃতি তৈরি করেছে। পিউডিপাইয়ের মতো একজন জনপ্রিয় সেলিব্রিটি লিনাক্স ব্যবহার শুরু করায় এটি অনেকের চোখে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
লিনাক্স বিরোধী যুক্তি:
লিনাক্সের সীমাবদ্ধতা: পিউডিপাইয়ের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব লিনাক্স ব্যবহার শুরু করলেও, সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য লিনাক্স এখনো কিছুটা জটিল। বিশেষ করে আর্চ লিনাক্স একেবারে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত নয়। এমনকি লিনাক্স মিন্টের মতো সহজ ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহারেও উইন্ডোজ বা ম্যাকের তুলনায় কিছুটা বেশি প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। লিনাক্সের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার জন্য সহজ সংস্করণ এবং প্রি-ইনস্টল করা লিনাক্স ল্যাপটপের প্রয়োজন।
বর্তমানে লিনাক্স ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের মার্কেট শেয়ার এখনো ৫ শতাংশের নিচে, যেখানে উইন্ডোজ প্রায় ৭০ শতাংশ এবং ম্যাকওএস প্রায় ১৫ শতাংশ দখল করে আছে। অতীতে বহুবার ‘লিনাক্স ডেস্কটপের বছর’ আসবে বলে বলা হয়েছে, তবে তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবে পরিণত হয়নি। তাই পিউডিপাইয়ের এই পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তা পুরো বিশ্বের ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের আচরণ বদলে দেবে—এমনটা এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। ।
করপোরেট এবং ইকোসিস্টেম বাধা: ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্কুলগুলো মূলত উইন্ডোজ বা ম্যাকওএস ব্যবহার করে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ্লিকেশন (যেমন মাইক্রোসফট অফিস, অ্যাডোবি স্যুট) লিনাক্স সমর্থন করে না।
গেমিংয়ের সীমাবদ্ধতা: যদিও লিনাক্স গেমিং অভিজ্ঞতা আগের চেয়ে উন্নত হলেও কিছু অ্যান্টি-চিট সিস্টেমসহ গেম ভালোভাবে খেলা যায় না।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সুইডিশ ইউটিউবার ফেলিক্স আর্ভিড উলফ শেলবার্গ, তিনি পিউডিপাই নামেই বেশি পরিচিত। মূলত গেমিং ভিডিওর জন্য তিনি বিখ্যাত। ইউটিউবে ফেলিক্সের জনপ্রিয়তা এবং তাঁর প্রতি গণমাধ্যমের মনোযোগ তাঁকে অন্যতম উল্লেখযোগ্য অনলাইন ব্যক্তিত্ব এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরে পরিণত করেছে। বর্তমানে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১
২৮ এপ্রিল ২০২৫
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

সুইডিশ ইউটিউবার ফেলিক্স আর্ভিড উলফ শেলবার্গ, তিনি পিউডিপাই নামেই বেশি পরিচিত। মূলত গেমিং ভিডিওর জন্য তিনি বিখ্যাত। ইউটিউবে ফেলিক্সের জনপ্রিয়তা এবং তাঁর প্রতি গণমাধ্যমের মনোযোগ তাঁকে অন্যতম উল্লেখযোগ্য অনলাইন ব্যক্তিত্ব এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরে পরিণত করেছে। বর্তমানে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১
২৮ এপ্রিল ২০২৫
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

সুইডিশ ইউটিউবার ফেলিক্স আর্ভিড উলফ শেলবার্গ, তিনি পিউডিপাই নামেই বেশি পরিচিত। মূলত গেমিং ভিডিওর জন্য তিনি বিখ্যাত। ইউটিউবে ফেলিক্সের জনপ্রিয়তা এবং তাঁর প্রতি গণমাধ্যমের মনোযোগ তাঁকে অন্যতম উল্লেখযোগ্য অনলাইন ব্যক্তিত্ব এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরে পরিণত করেছে। বর্তমানে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১
২৮ এপ্রিল ২০২৫
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

সুইডিশ ইউটিউবার ফেলিক্স আর্ভিড উলফ শেলবার্গ, তিনি পিউডিপাই নামেই বেশি পরিচিত। মূলত গেমিং ভিডিওর জন্য তিনি বিখ্যাত। ইউটিউবে ফেলিক্সের জনপ্রিয়তা এবং তাঁর প্রতি গণমাধ্যমের মনোযোগ তাঁকে অন্যতম উল্লেখযোগ্য অনলাইন ব্যক্তিত্ব এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরে পরিণত করেছে। বর্তমানে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১
২৮ এপ্রিল ২০২৫
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
২ দিন আগে