মেজবাহ নূর, ঢাকা

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
এর মধ্যে প্রধান হলো কম্পিউটারের ভাষা বা প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি এক ধরনের কৃত্রিম ভাষা। এ ভাষা কম্পিউটারের আচরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। মানুষের মুখের ভাষার মতো প্রোগ্রামিং ভাষারও নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে। তথ্য সুবিন্যস্তকরণ ও প্রক্রিয়াকরণে এবং অ্যালগরিদমগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশ করতে মূলত প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়।
কিছু কিছু লেখক প্রোগ্রামিং ভাষা বলতে শুধু সেসব ভাষাকেই বোঝান যেগুলো সম্ভাব্য সমস্ত অ্যালগরিদম প্রকাশ করতে সক্ষম। কখনো কখনো কৃত্রিম ভাষাগুলোকে প্রোগ্রামিং ভাষা না বলে কম্পিউটারের ভাষা বলা হয়। এ পর্যন্ত হাজারেরও বেশি প্রোগ্রামিং ভাষা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া, নিয়মিতই উদ্ভাবিত হচ্ছে নতুন নতুন প্রোগ্রামিং ভাষা। পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয় অ্যাডা লাভলেসকে। লাভলেস ছিলেন চার্লস ব্যাবেজের পৃষ্ঠপোষক এবং ব্যবসায়িক অংশীদার। তিনি ব্রিটিশ কবি লর্ড বাইরনের সন্তান।
কম্পিউটারের ভাষার ইতিহাস
প্রোগ্রামিংয়ের ভাষাগুলোকে বিভিন্ন প্রজন্মে ভাগে প্রকাশ করা হয়। এগুলো নিয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
প্রথম প্রজন্ম (মেশিন ভাষা)
প্রথম-প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলোকে প্রোগ্রাম করতে ব্যবহৃত মেশিন স্তরের ভাষা। মূলত, প্রথম প্রজন্মের ভাষা কম্পাইল বা অ্যাসেম্বল করতে কোনো অনুবাদক ব্যবহার করা হতো না। প্রথম প্রজন্মের প্রোগ্রামিং নির্দেশাবলি কম্পিউটার সিস্টেমের সামনের প্যানেলের সুইচগুলোর মাধ্যমে প্রবেশ করানো হতো। মেশিন ভাষা মূলত বাইনারি সংখ্যা দিয়ে তৈরি। বাইনারি ভাষা ১ ও ০ (শূন্য) দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্ম (অ্যাসেম্বলি ভাষা)
১৯৫০ সালে দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা বা অ্যাসেম্বলি ভাষা আবিষ্কার হয়। অ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম লেখার জন্য ০ ও ১ ব্যবহার না করে বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করা হয়।
এই সংকেতকে বলে সাংকেতিক কোড বা নেমোনিক। এটি সর্বোচ্চ পাঁচটি অক্ষরের সমন্বয়ে হয়, যেমন-SUB (বিয়োগের জন্য), MUL (গুণের জন্য), ADD (যোগের জন্য), DIV (ভাগের জন্য) ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রজন্ম
তৃতীয় প্রজন্মের ভাষাগুলোকে উচ্চস্তরের ভাষা বলা হয়ে থাকে। সাংকেতিক ভাষা (অ্যাসেম্বলি ভাষা) এবং যন্ত্র ভাষায় (মেশিন ভাষা) প্রোগ্রাম লেখা একজন সাধারণ প্রোগ্রামারের পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য। এই অসুবিধা দূর করতেই আসে উচ্চস্তরের ভাষা। উচ্চতর ভাষায় মানুষের বোধগম্য বর্ণ, সংখ্যা, বাক্য ব্যবহার করে প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়। ফলে যেকোনো প্রোগ্রামারের পক্ষে এই ভাষায় প্রোগ্রাম লিখতে ও প্রোগ্রামটি বুঝতে আর তেমন বেগ পেতে হয় না। এই ভাষায় অতি সহজে এবং দ্রুত প্রোগ্রাম লেখা যায়। মূলত এ কারণে উচ্চতর ভাষা জনপ্রিয়তা পায়।
তৃতীয় প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—সি, সি প্লাস প্লাস, সি শার্প, জাভা, পাইথন, পিএইচপি, পার্ল, বিএএসআইসি (বেসিক), প্যাসকেল, ফোরট্র্যান, এএলজিওএল এবং সিওবিওএল (কোবল)।
চতুর্থ প্রজন্ম
চতুর্থ প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—এবিএপি, ইউনিক্স শেল, এসকিউএল, পিএল/এসকিউএল, ওরাকল রিপোর্টস এবং আর।
ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোয়েরি এবং রিপোর্ট জেনারেটর ও ডেটা সংশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত ভাষাগুলোকে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পঞ্চম প্রজন্ম
পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাকে ‘স্বাভাবিক ভাষাও’ বলা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর যন্ত্র তৈরিতে এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহৃত হয়। পঞ্চম প্রজন্মের ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় রূপান্তরের জন্য ইন্টেলিজেন্ট কম্পাইলার প্রয়োজন হয়। এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহার করে মানুষ যন্ত্রকে মৌখিক নির্দেশ দিতে পারে।
পঞ্চম প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—প্রোলগ, ওপিএস ৫, মারকিউরি ইত্যাদি।
এ প্রজন্মের ভাষাগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে কম্পিউটার কোনো প্রোগ্রামার ছাড়াই নিজে নিজে একটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। ব্যবহারকারীকে শুধু কোন সমস্যাগুলো সমাধান করা দরকার এবং কোন শর্ত পূরণ করা দরকার তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আর সেগুলো সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় রুটিন বা অ্যালগরিদম প্রয়োগ করার কাজটি কম্পিউটার নিজেই করবে।
জনপ্রিয় কিছু উচ্চস্তরের ভাষা
সি (C)
১৯৭২ সালে সি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন ডেনিস রিচি। এ ভাষাটি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় প্রোগ্রামারদের মাঝে। সি খুব শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা। সি দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। কম্পিউটার-বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের সি শেখা এক প্রকার বাধ্যতামূলকই বলা যায়।
বর্তমানে সফটওয়্যার শিল্পে সি ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পাইলার তৈরি, সিস্টেম প্রোগ্রামিং ও আইওটির (ইন্টারনেট অব থিংস) বিভিন্ন প্রোগ্রাম তৈরিতে। সি-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি আরেকটি প্রোগ্রামিং ভাষা সি প্লাস প্লাসও (C++) বেশ জনপ্রিয়।
জাভা (Java)
১৯৯৫ সালে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন জেমস গসলিং। এটি একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। জাভা দিয়ে তৈরি সফটওয়্যার ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চালানো যেত বলে ডেস্কটপ ও ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরিতে জাভা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
শুরুর দিকে জাভা বেশ ধীর গতির প্রোগ্রামিং ভাষা বলে বিবেচিত হতো। তবে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে এখন এটি অত্যন্ত কার্যকর ও শক্তিশালী এক ভাষা হিসেবে পরিচিত। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নেটিভ সফটওয়্যার (নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম বা যন্ত্রের জন্য তৈরি প্রোগ্রাম) জাভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)
১৯৯৫ সালে ব্র্যানডন এইখ ডিজাইন করেন জাভাস্ক্রিপ্ট। জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত ইন্টারনেটের প্রোগ্রামিং ভাষা। শুরুতে এটি শুধু ব্রাউজারের জন্য তৈরি করা হলেও ফ্রন্টএন্ড ও ব্যাকএন্ড—উভয় ক্ষেত্রেই এটি এখন বহুল ব্যবহৃত। এই প্রোগ্রামিং ভাষার ফলে ইন্টারঅ্যাকটিভ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি অনেক সহজ হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে ফাংশনাল প্রোগ্রামিং, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংসহ বিভিন্নভাবে প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়। এমনকি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির অনেক ফ্রেমওয়ার্কেও জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পাইথন (Python)
১৯৯১ সালে গুইডো ফন রুজাম পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। পাইথন একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা হলেও সি++ কিংবা জাভার তুলনায় বেশ সহজ। সুন্দর, সহজবোধ্য ও সাবলীল ভাষা হিসেবে পাইথনের বেশ সুনাম রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা এটি।
এই ভাষা শেখা তুলনামূলক সহজ। তাই অনেক প্রতিষ্ঠানেই প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে পাইথন শেখানো হচ্ছে। এটি ওয়েব জগতে জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি মেশিন লার্নিং ও ডেটা অ্যানালাইসিসের জন্যও বহুল ব্যবহৃত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান—সবখানেই পাইথনের ব্যবহার বাড়ছে।
পিএইচপি (PHP)
বলা যায়, পিএইচপি হচ্ছে ওয়েবজগতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষা। ১৯৯৫ সালে রাসমুস লেরড্রফ পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। এ ভাষাটি তৈরি করা হয়েছে সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে।
ওয়েব প্রোগ্রামিং অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে পিএইচপি। ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপাল-এর মতো জনপ্রিয় সব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (সিএমএস) পিএইচপি দিয়ে তৈরি। যদিও বর্তমানে ওয়েবের জগতে পাইথন, রুবি এবং আরও কিছু প্রোগ্রামিং ভাষা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সি শার্প (C#)
মাইক্রোসফটের ডট নেট ফ্রেমওয়ার্কে কাজ করার জন্য এই ভাষা অধিকাংশ সফটওয়্যার নির্মাতার প্রথম পছন্দ। সি শার্প একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। পূর্ববর্তী প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট করপোরেশন নতুন এই প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করে। ২০০০ সালে আলফা ভার্সন হিসেবে এটি প্রথম উন্মুক্ত করা হয়।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
এর মধ্যে প্রধান হলো কম্পিউটারের ভাষা বা প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি এক ধরনের কৃত্রিম ভাষা। এ ভাষা কম্পিউটারের আচরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। মানুষের মুখের ভাষার মতো প্রোগ্রামিং ভাষারও নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে। তথ্য সুবিন্যস্তকরণ ও প্রক্রিয়াকরণে এবং অ্যালগরিদমগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশ করতে মূলত প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়।
কিছু কিছু লেখক প্রোগ্রামিং ভাষা বলতে শুধু সেসব ভাষাকেই বোঝান যেগুলো সম্ভাব্য সমস্ত অ্যালগরিদম প্রকাশ করতে সক্ষম। কখনো কখনো কৃত্রিম ভাষাগুলোকে প্রোগ্রামিং ভাষা না বলে কম্পিউটারের ভাষা বলা হয়। এ পর্যন্ত হাজারেরও বেশি প্রোগ্রামিং ভাষা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া, নিয়মিতই উদ্ভাবিত হচ্ছে নতুন নতুন প্রোগ্রামিং ভাষা। পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয় অ্যাডা লাভলেসকে। লাভলেস ছিলেন চার্লস ব্যাবেজের পৃষ্ঠপোষক এবং ব্যবসায়িক অংশীদার। তিনি ব্রিটিশ কবি লর্ড বাইরনের সন্তান।
কম্পিউটারের ভাষার ইতিহাস
প্রোগ্রামিংয়ের ভাষাগুলোকে বিভিন্ন প্রজন্মে ভাগে প্রকাশ করা হয়। এগুলো নিয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
প্রথম প্রজন্ম (মেশিন ভাষা)
প্রথম-প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলোকে প্রোগ্রাম করতে ব্যবহৃত মেশিন স্তরের ভাষা। মূলত, প্রথম প্রজন্মের ভাষা কম্পাইল বা অ্যাসেম্বল করতে কোনো অনুবাদক ব্যবহার করা হতো না। প্রথম প্রজন্মের প্রোগ্রামিং নির্দেশাবলি কম্পিউটার সিস্টেমের সামনের প্যানেলের সুইচগুলোর মাধ্যমে প্রবেশ করানো হতো। মেশিন ভাষা মূলত বাইনারি সংখ্যা দিয়ে তৈরি। বাইনারি ভাষা ১ ও ০ (শূন্য) দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্ম (অ্যাসেম্বলি ভাষা)
১৯৫০ সালে দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা বা অ্যাসেম্বলি ভাষা আবিষ্কার হয়। অ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম লেখার জন্য ০ ও ১ ব্যবহার না করে বিভিন্ন সংকেত ব্যবহার করা হয়।
এই সংকেতকে বলে সাংকেতিক কোড বা নেমোনিক। এটি সর্বোচ্চ পাঁচটি অক্ষরের সমন্বয়ে হয়, যেমন-SUB (বিয়োগের জন্য), MUL (গুণের জন্য), ADD (যোগের জন্য), DIV (ভাগের জন্য) ইত্যাদি।
তৃতীয় প্রজন্ম
তৃতীয় প্রজন্মের ভাষাগুলোকে উচ্চস্তরের ভাষা বলা হয়ে থাকে। সাংকেতিক ভাষা (অ্যাসেম্বলি ভাষা) এবং যন্ত্র ভাষায় (মেশিন ভাষা) প্রোগ্রাম লেখা একজন সাধারণ প্রোগ্রামারের পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য। এই অসুবিধা দূর করতেই আসে উচ্চস্তরের ভাষা। উচ্চতর ভাষায় মানুষের বোধগম্য বর্ণ, সংখ্যা, বাক্য ব্যবহার করে প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়। ফলে যেকোনো প্রোগ্রামারের পক্ষে এই ভাষায় প্রোগ্রাম লিখতে ও প্রোগ্রামটি বুঝতে আর তেমন বেগ পেতে হয় না। এই ভাষায় অতি সহজে এবং দ্রুত প্রোগ্রাম লেখা যায়। মূলত এ কারণে উচ্চতর ভাষা জনপ্রিয়তা পায়।
তৃতীয় প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—সি, সি প্লাস প্লাস, সি শার্প, জাভা, পাইথন, পিএইচপি, পার্ল, বিএএসআইসি (বেসিক), প্যাসকেল, ফোরট্র্যান, এএলজিওএল এবং সিওবিওএল (কোবল)।
চতুর্থ প্রজন্ম
চতুর্থ প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—এবিএপি, ইউনিক্স শেল, এসকিউএল, পিএল/এসকিউএল, ওরাকল রিপোর্টস এবং আর।
ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোয়েরি এবং রিপোর্ট জেনারেটর ও ডেটা সংশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত ভাষাগুলোকে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পঞ্চম প্রজন্ম
পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাকে ‘স্বাভাবিক ভাষাও’ বলা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর যন্ত্র তৈরিতে এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহৃত হয়। পঞ্চম প্রজন্মের ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় রূপান্তরের জন্য ইন্টেলিজেন্ট কম্পাইলার প্রয়োজন হয়। এই প্রজন্মের ভাষা ব্যবহার করে মানুষ যন্ত্রকে মৌখিক নির্দেশ দিতে পারে।
পঞ্চম প্রজন্মের অন্যতম প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো হলো—প্রোলগ, ওপিএস ৫, মারকিউরি ইত্যাদি।
এ প্রজন্মের ভাষাগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে কম্পিউটার কোনো প্রোগ্রামার ছাড়াই নিজে নিজে একটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। ব্যবহারকারীকে শুধু কোন সমস্যাগুলো সমাধান করা দরকার এবং কোন শর্ত পূরণ করা দরকার তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আর সেগুলো সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় রুটিন বা অ্যালগরিদম প্রয়োগ করার কাজটি কম্পিউটার নিজেই করবে।
জনপ্রিয় কিছু উচ্চস্তরের ভাষা
সি (C)
১৯৭২ সালে সি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন ডেনিস রিচি। এ ভাষাটি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় প্রোগ্রামারদের মাঝে। সি খুব শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা। সি দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। কম্পিউটার-বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের সি শেখা এক প্রকার বাধ্যতামূলকই বলা যায়।
বর্তমানে সফটওয়্যার শিল্পে সি ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পাইলার তৈরি, সিস্টেম প্রোগ্রামিং ও আইওটির (ইন্টারনেট অব থিংস) বিভিন্ন প্রোগ্রাম তৈরিতে। সি-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি আরেকটি প্রোগ্রামিং ভাষা সি প্লাস প্লাসও (C++) বেশ জনপ্রিয়।
জাভা (Java)
১৯৯৫ সালে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন জেমস গসলিং। এটি একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। জাভা দিয়ে তৈরি সফটওয়্যার ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চালানো যেত বলে ডেস্কটপ ও ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরিতে জাভা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
শুরুর দিকে জাভা বেশ ধীর গতির প্রোগ্রামিং ভাষা বলে বিবেচিত হতো। তবে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে এখন এটি অত্যন্ত কার্যকর ও শক্তিশালী এক ভাষা হিসেবে পরিচিত। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নেটিভ সফটওয়্যার (নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম বা যন্ত্রের জন্য তৈরি প্রোগ্রাম) জাভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)
১৯৯৫ সালে ব্র্যানডন এইখ ডিজাইন করেন জাভাস্ক্রিপ্ট। জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত ইন্টারনেটের প্রোগ্রামিং ভাষা। শুরুতে এটি শুধু ব্রাউজারের জন্য তৈরি করা হলেও ফ্রন্টএন্ড ও ব্যাকএন্ড—উভয় ক্ষেত্রেই এটি এখন বহুল ব্যবহৃত। এই প্রোগ্রামিং ভাষার ফলে ইন্টারঅ্যাকটিভ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি অনেক সহজ হয়েছে।
জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে ফাংশনাল প্রোগ্রামিং, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংসহ বিভিন্নভাবে প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়। এমনকি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির অনেক ফ্রেমওয়ার্কেও জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পাইথন (Python)
১৯৯১ সালে গুইডো ফন রুজাম পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। পাইথন একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা হলেও সি++ কিংবা জাভার তুলনায় বেশ সহজ। সুন্দর, সহজবোধ্য ও সাবলীল ভাষা হিসেবে পাইথনের বেশ সুনাম রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা এটি।
এই ভাষা শেখা তুলনামূলক সহজ। তাই অনেক প্রতিষ্ঠানেই প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে পাইথন শেখানো হচ্ছে। এটি ওয়েব জগতে জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি মেশিন লার্নিং ও ডেটা অ্যানালাইসিসের জন্যও বহুল ব্যবহৃত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান—সবখানেই পাইথনের ব্যবহার বাড়ছে।
পিএইচপি (PHP)
বলা যায়, পিএইচপি হচ্ছে ওয়েবজগতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষা। ১৯৯৫ সালে রাসমুস লেরড্রফ পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন। এ ভাষাটি তৈরি করা হয়েছে সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে।
ওয়েব প্রোগ্রামিং অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে পিএইচপি। ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, ড্রুপাল-এর মতো জনপ্রিয় সব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (সিএমএস) পিএইচপি দিয়ে তৈরি। যদিও বর্তমানে ওয়েবের জগতে পাইথন, রুবি এবং আরও কিছু প্রোগ্রামিং ভাষা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সি শার্প (C#)
মাইক্রোসফটের ডট নেট ফ্রেমওয়ার্কে কাজ করার জন্য এই ভাষা অধিকাংশ সফটওয়্যার নির্মাতার প্রথম পছন্দ। সি শার্প একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। পূর্ববর্তী প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট করপোরেশন নতুন এই প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করে। ২০০০ সালে আলফা ভার্সন হিসেবে এটি প্রথম উন্মুক্ত করা হয়।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২১ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২১ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২১ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

একটি যন্ত্র তখনই স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে যখন সেটিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যায়। এই নির্দেশনা দেওয়ার কাজটি করে মানুষই। আর সেটি হতে হয় বিশেষ কাঠামোবদ্ধ নির্দেশনা। এই কাজটি সহজ করতেই মানুষ উদ্ভাবন করেছে যন্ত্রের জন্য উপযোগী ভাষা।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২১ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
১ দিন আগে