সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং রাজস্ব সুরক্ষা জোরদার করার পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআই (IMEI) যুক্ত মোবাইল ফোন দেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৪ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি ঘটে অবৈধ ডিভাইস ও সিমের মাধ্যমে। অবৈধ হ্যান্ডসেটের কারণে সরকার প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত সুবিধা নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় ও গ্রাহক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সিমের মাধ্যমে প্রতারণা, আর্থিক লেনদেন জালিয়াতি কমিয়ে আনবে।
বিটিআরসি বলছে, এনইআইআর চালু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সিম-সংক্রান্ত প্রতারণা সহজে শনাক্ত করা যাবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে থাকার কারণে মোবাইল ফোনের দাম কমছে না। এনইআইআর কার্যকর হলে দেশীয় ১৮টি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ফোন বিক্রি করতে পারবে।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে করণীয়:
১৬ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো মাধ্যম থেকে (বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে যাচাই করবেন এবং ক্রয়কৃত হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করবেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
ধাপ-১:
মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space>১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345।
ধাপ-২:
IMEI নম্বরটি লেখার পর ১৬০০২ নম্বরে পাঠান।
ধাপ-৩:
ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া:
বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিলকৃত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করার পর শুধু বৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করা হবে।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করার পদ্ধতি:
ধাপ-১:
neir. btrc. gov. bd লিংকে ভিজিট করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন।
ধাপ-২:
পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট-এর IMEI নম্বরটি দিন।
ধাপ-৩:
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি/স্ক্যান কপি (পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন এবং Submit বাটন প্রেস করুন।
ধাপ-৪:
হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করে নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এই সেবা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বাদে সর্বোচ্চ একটি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে এবং শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে আরও একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আনতে পারবেন।
স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি (বিদেশ থেকে আনা ফোনের জন্য প্রযোজ্য) :
কেনা ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে);
উপহার পাওয়া ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি; (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে) ;
৪। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৫। উপহার প্রদানকারীর প্রত্যয়পত্র (শুধু উপহার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে)
এয়ার মেইলে আনা ফোন:
১। প্রেরকের পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতা অথবা জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি; (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
২। প্রাপকের জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। শুল্ক প্রদানের রসিদের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে)।
ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া:
বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জানতে:
ধাপ-১: মোবাইল হ্যান্ডসেট হতে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ-২: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে পাঠান।
ধাপ-৩: ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
উল্লেখ্য, neir. btrc. gov. bd লিংকের মাধ্যমে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল অথবা মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যে বর্ণিত সেবা গ্রহণ করা যাবে।
নিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন বাতিল) করার প্রক্রিয়া:
১৬ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহক কর্তৃক ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটটি বিক্রয়/হস্তান্তরের প্রয়োজন হলে ডি-রেজিস্ট্রেশন করে হস্তান্তর করা যাবে। De-Registration করার সময় অবশ্যই NID-এর শেষের ৪ (চার) ডিজিট দিতে হবে। গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে যেভাবে:
ক) Citizen Portal (neir. btrc. gov. bd)
খ) MNO Portal
গ) Mobile Apps
ঘ) USSD Channel (* ১৬১৬১ #)
ডি-রেজিস্ট্রেশনের শর্ত:
ক) ডি-রেজিস্ট্রেশন করার জন্য গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিমটি অবশ্যই নিজ NID-তে নিবন্ধিত হতে হবে।
খ) ক্লোন/ডুপ্লিকেট IMEI-সংবলিত হ্যান্ডসেটটি ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে পরবর্তী ব্যবহারকারীর সিম নম্বর দিতে হবে।
করপোরেট সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডি-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:
করপোরেট সিম ব্যবহারকারীদের ৩০ দিনের মধ্যে USSD চ্যানেল অথবা সিটিজেন পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত NID-এর তথ্য দেওয়ার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। করপোরেট গ্রাহক বর্ণিত তথ্য জমা প্রদান সাপেক্ষে ব্যক্তিগত NID অথবা কি কন্টাক্ট-পয়েন্ট (KCP)-এর NID দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। অন্যথায় শুধু কি কন্টাক্ট পয়েন্ট (KCP)-এর NID-এর তথ্য দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
ফোন চুরি হওয়া বা হারালে ব্লক করবেন যেভাবে:
গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটসমূহ চুরি হওয়া বা হারানো গেলে এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd)-এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যেকোনো সময়ে লক/আনলক করা যাবে।
ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে এনইআইআর সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া:
দেশের জনসাধারণ USSD চ্যানেল/এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd) এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে এনইআইআর সিস্টেমের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তবে যেসব মোবাইল গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ নেই তাঁরা USSD চ্যানেল/ ১২১ ডায়াল করে/সংশ্লিষ্ট অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে এনইআইআর-এর সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানির ক্ষেত্রে করণীয়:
বর্তমানে কমিশনের নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেশের চাহিদার বেশির ভাগ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে থাকে। এ ছাড়া কমিশনের নিবন্ধিত ভেন্ডর কর্তৃক অল্প কিছু মডেলের (যেগুলো দেশে উৎপাদন সম্ভব নয়) মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট আমদানি করে থাকে। হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশিকা অনুযায়ী মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করতে হবে।
খ) উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলো বাজারজাতকরণের আগে IMEI নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কমিশনে জমা দিতে হবে।
গ) বাজারজাতকরণের আগে IMEI কমিশনে জমা না দিলে বৈধভাবে উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
মোবাইল ফোন বিক্রেতার করণীয়:
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) উৎপাদনকারী/আমদানিকারক থেকে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ডেলিভারি নেওয়ার পূর্বে IMEI যাচাই করতে হবে।
খ) ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট (যেগুলো BTRC-এর ডেটাবেইসে নেই) বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
এনইআইআর সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে বিটিআরসির হেল্প ডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১-এ ডায়াল করে এবং অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে জানা যাবে।

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং রাজস্ব সুরক্ষা জোরদার করার পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআই (IMEI) যুক্ত মোবাইল ফোন দেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৪ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি ঘটে অবৈধ ডিভাইস ও সিমের মাধ্যমে। অবৈধ হ্যান্ডসেটের কারণে সরকার প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত সুবিধা নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় ও গ্রাহক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সিমের মাধ্যমে প্রতারণা, আর্থিক লেনদেন জালিয়াতি কমিয়ে আনবে।
বিটিআরসি বলছে, এনইআইআর চালু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সিম-সংক্রান্ত প্রতারণা সহজে শনাক্ত করা যাবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে থাকার কারণে মোবাইল ফোনের দাম কমছে না। এনইআইআর কার্যকর হলে দেশীয় ১৮টি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ফোন বিক্রি করতে পারবে।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে করণীয়:
১৬ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো মাধ্যম থেকে (বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে যাচাই করবেন এবং ক্রয়কৃত হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করবেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
ধাপ-১:
মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space>১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345।
ধাপ-২:
IMEI নম্বরটি লেখার পর ১৬০০২ নম্বরে পাঠান।
ধাপ-৩:
ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া:
বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিলকৃত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করার পর শুধু বৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করা হবে।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করার পদ্ধতি:
ধাপ-১:
neir. btrc. gov. bd লিংকে ভিজিট করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন।
ধাপ-২:
পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট-এর IMEI নম্বরটি দিন।
ধাপ-৩:
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি/স্ক্যান কপি (পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন এবং Submit বাটন প্রেস করুন।
ধাপ-৪:
হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করে নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এই সেবা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বাদে সর্বোচ্চ একটি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে এবং শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে আরও একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আনতে পারবেন।
স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি (বিদেশ থেকে আনা ফোনের জন্য প্রযোজ্য) :
কেনা ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে);
উপহার পাওয়া ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি; (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে) ;
৪। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৫। উপহার প্রদানকারীর প্রত্যয়পত্র (শুধু উপহার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে)
এয়ার মেইলে আনা ফোন:
১। প্রেরকের পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতা অথবা জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি; (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
২। প্রাপকের জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। শুল্ক প্রদানের রসিদের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে)।
ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া:
বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জানতে:
ধাপ-১: মোবাইল হ্যান্ডসেট হতে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ-২: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে পাঠান।
ধাপ-৩: ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
উল্লেখ্য, neir. btrc. gov. bd লিংকের মাধ্যমে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল অথবা মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যে বর্ণিত সেবা গ্রহণ করা যাবে।
নিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন বাতিল) করার প্রক্রিয়া:
১৬ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহক কর্তৃক ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটটি বিক্রয়/হস্তান্তরের প্রয়োজন হলে ডি-রেজিস্ট্রেশন করে হস্তান্তর করা যাবে। De-Registration করার সময় অবশ্যই NID-এর শেষের ৪ (চার) ডিজিট দিতে হবে। গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে যেভাবে:
ক) Citizen Portal (neir. btrc. gov. bd)
খ) MNO Portal
গ) Mobile Apps
ঘ) USSD Channel (* ১৬১৬১ #)
ডি-রেজিস্ট্রেশনের শর্ত:
ক) ডি-রেজিস্ট্রেশন করার জন্য গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিমটি অবশ্যই নিজ NID-তে নিবন্ধিত হতে হবে।
খ) ক্লোন/ডুপ্লিকেট IMEI-সংবলিত হ্যান্ডসেটটি ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে পরবর্তী ব্যবহারকারীর সিম নম্বর দিতে হবে।
করপোরেট সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডি-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:
করপোরেট সিম ব্যবহারকারীদের ৩০ দিনের মধ্যে USSD চ্যানেল অথবা সিটিজেন পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত NID-এর তথ্য দেওয়ার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। করপোরেট গ্রাহক বর্ণিত তথ্য জমা প্রদান সাপেক্ষে ব্যক্তিগত NID অথবা কি কন্টাক্ট-পয়েন্ট (KCP)-এর NID দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। অন্যথায় শুধু কি কন্টাক্ট পয়েন্ট (KCP)-এর NID-এর তথ্য দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
ফোন চুরি হওয়া বা হারালে ব্লক করবেন যেভাবে:
গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটসমূহ চুরি হওয়া বা হারানো গেলে এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd)-এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যেকোনো সময়ে লক/আনলক করা যাবে।
ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে এনইআইআর সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া:
দেশের জনসাধারণ USSD চ্যানেল/এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd) এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে এনইআইআর সিস্টেমের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তবে যেসব মোবাইল গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ নেই তাঁরা USSD চ্যানেল/ ১২১ ডায়াল করে/সংশ্লিষ্ট অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে এনইআইআর-এর সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানির ক্ষেত্রে করণীয়:
বর্তমানে কমিশনের নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেশের চাহিদার বেশির ভাগ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে থাকে। এ ছাড়া কমিশনের নিবন্ধিত ভেন্ডর কর্তৃক অল্প কিছু মডেলের (যেগুলো দেশে উৎপাদন সম্ভব নয়) মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট আমদানি করে থাকে। হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশিকা অনুযায়ী মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করতে হবে।
খ) উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলো বাজারজাতকরণের আগে IMEI নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কমিশনে জমা দিতে হবে।
গ) বাজারজাতকরণের আগে IMEI কমিশনে জমা না দিলে বৈধভাবে উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
মোবাইল ফোন বিক্রেতার করণীয়:
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) উৎপাদনকারী/আমদানিকারক থেকে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ডেলিভারি নেওয়ার পূর্বে IMEI যাচাই করতে হবে।
খ) ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট (যেগুলো BTRC-এর ডেটাবেইসে নেই) বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
এনইআইআর সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে বিটিআরসির হেল্প ডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১-এ ডায়াল করে এবং অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে জানা যাবে।
সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং রাজস্ব সুরক্ষা জোরদার করার পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআই (IMEI) যুক্ত মোবাইল ফোন দেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৪ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি ঘটে অবৈধ ডিভাইস ও সিমের মাধ্যমে। অবৈধ হ্যান্ডসেটের কারণে সরকার প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত সুবিধা নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় ও গ্রাহক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সিমের মাধ্যমে প্রতারণা, আর্থিক লেনদেন জালিয়াতি কমিয়ে আনবে।
বিটিআরসি বলছে, এনইআইআর চালু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সিম-সংক্রান্ত প্রতারণা সহজে শনাক্ত করা যাবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে থাকার কারণে মোবাইল ফোনের দাম কমছে না। এনইআইআর কার্যকর হলে দেশীয় ১৮টি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ফোন বিক্রি করতে পারবে।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে করণীয়:
১৬ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো মাধ্যম থেকে (বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে যাচাই করবেন এবং ক্রয়কৃত হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করবেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
ধাপ-১:
মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space>১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345।
ধাপ-২:
IMEI নম্বরটি লেখার পর ১৬০০২ নম্বরে পাঠান।
ধাপ-৩:
ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া:
বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিলকৃত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করার পর শুধু বৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করা হবে।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করার পদ্ধতি:
ধাপ-১:
neir. btrc. gov. bd লিংকে ভিজিট করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন।
ধাপ-২:
পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট-এর IMEI নম্বরটি দিন।
ধাপ-৩:
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি/স্ক্যান কপি (পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন এবং Submit বাটন প্রেস করুন।
ধাপ-৪:
হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করে নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এই সেবা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বাদে সর্বোচ্চ একটি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে এবং শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে আরও একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আনতে পারবেন।
স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি (বিদেশ থেকে আনা ফোনের জন্য প্রযোজ্য) :
কেনা ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে);
উপহার পাওয়া ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি; (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে) ;
৪। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৫। উপহার প্রদানকারীর প্রত্যয়পত্র (শুধু উপহার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে)
এয়ার মেইলে আনা ফোন:
১। প্রেরকের পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতা অথবা জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি; (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
২। প্রাপকের জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। শুল্ক প্রদানের রসিদের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে)।
ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া:
বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জানতে:
ধাপ-১: মোবাইল হ্যান্ডসেট হতে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ-২: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে পাঠান।
ধাপ-৩: ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
উল্লেখ্য, neir. btrc. gov. bd লিংকের মাধ্যমে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল অথবা মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যে বর্ণিত সেবা গ্রহণ করা যাবে।
নিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন বাতিল) করার প্রক্রিয়া:
১৬ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহক কর্তৃক ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটটি বিক্রয়/হস্তান্তরের প্রয়োজন হলে ডি-রেজিস্ট্রেশন করে হস্তান্তর করা যাবে। De-Registration করার সময় অবশ্যই NID-এর শেষের ৪ (চার) ডিজিট দিতে হবে। গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে যেভাবে:
ক) Citizen Portal (neir. btrc. gov. bd)
খ) MNO Portal
গ) Mobile Apps
ঘ) USSD Channel (* ১৬১৬১ #)
ডি-রেজিস্ট্রেশনের শর্ত:
ক) ডি-রেজিস্ট্রেশন করার জন্য গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিমটি অবশ্যই নিজ NID-তে নিবন্ধিত হতে হবে।
খ) ক্লোন/ডুপ্লিকেট IMEI-সংবলিত হ্যান্ডসেটটি ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে পরবর্তী ব্যবহারকারীর সিম নম্বর দিতে হবে।
করপোরেট সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডি-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:
করপোরেট সিম ব্যবহারকারীদের ৩০ দিনের মধ্যে USSD চ্যানেল অথবা সিটিজেন পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত NID-এর তথ্য দেওয়ার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। করপোরেট গ্রাহক বর্ণিত তথ্য জমা প্রদান সাপেক্ষে ব্যক্তিগত NID অথবা কি কন্টাক্ট-পয়েন্ট (KCP)-এর NID দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। অন্যথায় শুধু কি কন্টাক্ট পয়েন্ট (KCP)-এর NID-এর তথ্য দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
ফোন চুরি হওয়া বা হারালে ব্লক করবেন যেভাবে:
গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটসমূহ চুরি হওয়া বা হারানো গেলে এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd)-এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যেকোনো সময়ে লক/আনলক করা যাবে।
ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে এনইআইআর সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া:
দেশের জনসাধারণ USSD চ্যানেল/এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd) এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে এনইআইআর সিস্টেমের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তবে যেসব মোবাইল গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ নেই তাঁরা USSD চ্যানেল/ ১২১ ডায়াল করে/সংশ্লিষ্ট অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে এনইআইআর-এর সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানির ক্ষেত্রে করণীয়:
বর্তমানে কমিশনের নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেশের চাহিদার বেশির ভাগ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে থাকে। এ ছাড়া কমিশনের নিবন্ধিত ভেন্ডর কর্তৃক অল্প কিছু মডেলের (যেগুলো দেশে উৎপাদন সম্ভব নয়) মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট আমদানি করে থাকে। হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশিকা অনুযায়ী মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করতে হবে।
খ) উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলো বাজারজাতকরণের আগে IMEI নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কমিশনে জমা দিতে হবে।
গ) বাজারজাতকরণের আগে IMEI কমিশনে জমা না দিলে বৈধভাবে উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
মোবাইল ফোন বিক্রেতার করণীয়:
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) উৎপাদনকারী/আমদানিকারক থেকে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ডেলিভারি নেওয়ার পূর্বে IMEI যাচাই করতে হবে।
খ) ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট (যেগুলো BTRC-এর ডেটাবেইসে নেই) বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
এনইআইআর সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে বিটিআরসির হেল্প ডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১-এ ডায়াল করে এবং অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে জানা যাবে।

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং রাজস্ব সুরক্ষা জোরদার করার পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআই (IMEI) যুক্ত মোবাইল ফোন দেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৪ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি ঘটে অবৈধ ডিভাইস ও সিমের মাধ্যমে। অবৈধ হ্যান্ডসেটের কারণে সরকার প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এনইআইআর কেবল প্রযুক্তিগত সুবিধা নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় ও গ্রাহক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সিমের মাধ্যমে প্রতারণা, আর্থিক লেনদেন জালিয়াতি কমিয়ে আনবে।
বিটিআরসি বলছে, এনইআইআর চালু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং সিম-সংক্রান্ত প্রতারণা সহজে শনাক্ত করা যাবে। চোরাই ও রিফারবিশড হ্যান্ডসেট বাজারে থাকার কারণে মোবাইল ফোনের দাম কমছে না। এনইআইআর কার্যকর হলে দেশীয় ১৮টি মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ফোন বিক্রি করতে পারবে।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে করণীয়:
১৬ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো মাধ্যম থেকে (বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে যাচাই করবেন এবং ক্রয়কৃত হ্যান্ডসেটের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করবেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
ধাপ-১:
মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space>১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ: KYD 123456789012345।
ধাপ-২:
IMEI নম্বরটি লেখার পর ১৬০০২ নম্বরে পাঠান।
ধাপ-৩:
ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন প্রক্রিয়া:
বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে এবং এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিলকৃত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করার পর শুধু বৈধ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সচল করা হবে।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করার পদ্ধতি:
ধাপ-১:
neir. btrc. gov. bd লিংকে ভিজিট করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন।
ধাপ-২:
পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট-এর IMEI নম্বরটি দিন।
ধাপ-৩:
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি/স্ক্যান কপি (পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন এবং Submit বাটন প্রেস করুন।
ধাপ-৪:
হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করে নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এই সেবা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বাদে সর্বোচ্চ একটি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে এবং শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে আরও একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আনতে পারবেন।
স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি (বিদেশ থেকে আনা ফোনের জন্য প্রযোজ্য) :
কেনা ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে);
উপহার পাওয়া ফোন:
১। পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতার স্ক্যান/ছবি;
২। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান/ছবি;
৩। কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি; (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে) ;
৪। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৫। উপহার প্রদানকারীর প্রত্যয়পত্র (শুধু উপহার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে)
এয়ার মেইলে আনা ফোন:
১। প্রেরকের পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যাদির পাতা অথবা জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি; (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
২। প্রাপকের জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান/ছবি;
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান/ছবি;
৪। শুল্ক প্রদানের রসিদের স্ক্যান/ছবি (১টি হ্যান্ডসেটের অধিক হলে)।
ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া:
বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জানতে:
ধাপ-১: মোবাইল হ্যান্ডসেট হতে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ-২: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে পাঠান।
ধাপ-৩: ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
উল্লেখ্য, neir. btrc. gov. bd লিংকের মাধ্যমে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল অথবা মোবাইল অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যে বর্ণিত সেবা গ্রহণ করা যাবে।
নিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন বাতিল) করার প্রক্রিয়া:
১৬ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহক কর্তৃক ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটটি বিক্রয়/হস্তান্তরের প্রয়োজন হলে ডি-রেজিস্ট্রেশন করে হস্তান্তর করা যাবে। De-Registration করার সময় অবশ্যই NID-এর শেষের ৪ (চার) ডিজিট দিতে হবে। গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে যেভাবে:
ক) Citizen Portal (neir. btrc. gov. bd)
খ) MNO Portal
গ) Mobile Apps
ঘ) USSD Channel (* ১৬১৬১ #)
ডি-রেজিস্ট্রেশনের শর্ত:
ক) ডি-রেজিস্ট্রেশন করার জন্য গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিমটি অবশ্যই নিজ NID-তে নিবন্ধিত হতে হবে।
খ) ক্লোন/ডুপ্লিকেট IMEI-সংবলিত হ্যান্ডসেটটি ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে পরবর্তী ব্যবহারকারীর সিম নম্বর দিতে হবে।
করপোরেট সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডি-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:
করপোরেট সিম ব্যবহারকারীদের ৩০ দিনের মধ্যে USSD চ্যানেল অথবা সিটিজেন পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত NID-এর তথ্য দেওয়ার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। করপোরেট গ্রাহক বর্ণিত তথ্য জমা প্রদান সাপেক্ষে ব্যক্তিগত NID অথবা কি কন্টাক্ট-পয়েন্ট (KCP)-এর NID দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। অন্যথায় শুধু কি কন্টাক্ট পয়েন্ট (KCP)-এর NID-এর তথ্য দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
ফোন চুরি হওয়া বা হারালে ব্লক করবেন যেভাবে:
গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটসমূহ চুরি হওয়া বা হারানো গেলে এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd)-এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যেকোনো সময়ে লক/আনলক করা যাবে।
ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে এনইআইআর সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া:
দেশের জনসাধারণ USSD চ্যানেল/এনইআইআর (neir. btrc. gov. bd) এর Citizen Portal/Mobile Apps/মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে এনইআইআর সিস্টেমের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তবে যেসব মোবাইল গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ নেই তাঁরা USSD চ্যানেল/ ১২১ ডায়াল করে/সংশ্লিষ্ট অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে এনইআইআর-এর সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানির ক্ষেত্রে করণীয়:
বর্তমানে কমিশনের নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেশের চাহিদার বেশির ভাগ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে থাকে। এ ছাড়া কমিশনের নিবন্ধিত ভেন্ডর কর্তৃক অল্প কিছু মডেলের (যেগুলো দেশে উৎপাদন সম্ভব নয়) মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট আমদানি করে থাকে। হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশিকা অনুযায়ী মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি করতে হবে।
খ) উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলো বাজারজাতকরণের আগে IMEI নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কমিশনে জমা দিতে হবে।
গ) বাজারজাতকরণের আগে IMEI কমিশনে জমা না দিলে বৈধভাবে উৎপাদন/আমদানি করা হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
মোবাইল ফোন বিক্রেতার করণীয়:
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত:
ক) উৎপাদনকারী/আমদানিকারক থেকে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ডেলিভারি নেওয়ার পূর্বে IMEI যাচাই করতে হবে।
খ) ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট (যেগুলো BTRC-এর ডেটাবেইসে নেই) বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, ফেক/নকল IMEI যুক্ত হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক এক্সেস করতে পারবে না।
এনইআইআর সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে বিটিআরসির হেল্প ডেস্ক নম্বর ১০০ অথবা মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১-এ ডায়াল করে এবং অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে জানা যাবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
৩১ অক্টোবর ২০২৫
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
৩১ অক্টোবর ২০২৫
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
৩১ অক্টোবর ২০২৫
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ঠেকানো, আর্থিক জালিয়াতি ও চুরি নিয়ন্ত্রণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু হচ্ছে।
৩১ অক্টোবর ২০২৫
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে