নাসিম আহমেদ

ঢাকা: দেহতাত্ত্বিকেরা বলেন—‘যা নেই ভাণ্ডে, তা নেই ব্রহ্মাণ্ডে।’ কথাটা একটু হেঁয়ালিপূর্ণ নিশ্চিতভাবে। কিন্তু এই হেঁয়ালির জটগুলো খুলতে শুরু করলেই নড়চড়ে বসতে হয়। এই যেমন আজকের দিনের সবচেয়ে আলোচিত করোনাভাইরাসের টিকা বা ভ্যাকসিন, তার যে কর্মপন্থা, তার মূল নির্দেশনা আদতে আছে দেহের ভেতরেই।
মানুষের দেহ এমন এক দুর্গ, যেখানে বাইরে থেকে আসা যেকোনো কিছুকেই সন্দেহের চোখে দেখা হয়; চেষ্টা করা হয় প্রতিহতের। কিন্তু যদি এমন কোনো শত্রু এসে ঢুকে পড়ে, যার সম্পর্কে আগে থেকে জানা–বোঝা নেই, তবে পড়তে হয় বিপাকে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটিই হয়েছে। পাহারাদারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই ভাইরাস ঢুকে পড়েছে মূল দেহ–দুর্গে। শুধু ঢুকেই ক্ষান্ত হয়নি সে। অতি ধুরন্ধর এই ভাইরাস প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলে নিয়ে নাকাল করছে দেহের ভেতরে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের।
কথা হলো এই প্রহরী বা নিরাপত্তারক্ষী আদতে কারা? রক্তের মধ্যেই আছে এই পাহারাদারেরা। এই রক্তের কাজকর্ম অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা নানা বাহিনীর মতোই। এর মধ্যে থাকা তিন ধরনের কোষের কাজ একেবারে নির্দিষ্ট। এই তিন ধরনের কোষ হচ্ছে শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকা। এর মধ্যে শ্বেত রক্তকণিকাকে নিখাদ সৈনিক বলা যায়। শরীরকে বহিঃশত্রু থেকে রক্ষা করাই তার একমাত্র ব্রত। আর লোহিত রক্তকণিকাকে বলা যায়, যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা সেই দল, যে খাবারসহ নানা রসদ সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে। শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন সরবরাহ থেকে শুরু করে শরীরের জন্য অতি জরুরি কিছু উপাদান বহনের কাজটি এই রক্তকণিকা করে। বাকি থাকে অণুচক্রিকা। এই রক্তকণিকা হচ্ছে সেই জরুরি সেবা ইউনিট, যে ক্ষত সারাতে এবং শরীরের শুশ্রূষা দিতে নিযুক্ত থাকে সব সময়।
করোনাভাইরাস থেকে শুরু করে যেকোনো ভাইরাস বা জীবাণু প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যে মুখ্য ভূমিকাটি রাখে, সে হলো শ্বেত রক্তকণিকা। এই শ্বেত রক্তকণিকারও আবার আছে নানা প্রকারভেদ। এগুলো হলো নিউট্রোফিল, লিম্ফোসাইট, ইওসিনোফিল, মনোসাইট ও ব্যাসোফিল। এদের একেকজনের দক্ষতা একেক রকম। এদের লড়াইয়ের কৌশলও আলাদা। অনেকটা ওই যুদ্ধক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সেনা সমাবেশের মতো বিষয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইনের তথ্যমতে, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাককে নিকেশ করার দায়িত্বটি নিউট্রোফিলের ওপর। বাইরে থেকে কোনো শত্রু শরীরে প্রবেশ করতে চাইলে শ্বেত রক্তকণিকার এই অগণিত সেনা সমাবেশকে ডিঙিয়েই যেতে হবে। এর পরেই রয়েছে লিম্ফোসাইটের প্রাচীর। এরা অ্যান্টিবডি তৈরি করে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ সম্ভাব্য সব ক্ষতিকর কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রয়েছে ইওসিনোফিলের মতো অভিজ্ঞ কোষেরা, যারা বিভিন্ন অণুজীব ও ক্যানসার কোষকে হত্যা করে। বাকি থাকল মনোসাইট ও ব্যাসোফিল। শ্বেতকণিকায় থাকা পাঁচ ধরনের কোষের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ আয়ুষ্কাল রয়েছে মনোসাইটের। এরা মুখ্যত ব্যাকটেরিয়া প্রতিহতে কাজ করে। আর ব্যাসোফিল মূলত সেই ঘণ্টাবাদক, যে যেকোনো বহিঃশত্রুর অণুপ্রবেশ টের পেলেই নিজের সবটা শক্তি দিয়ে সতর্ক সংকেতটি বাজায়।
তাহলে এই যে শরীর, তা এই বাইরের দুনিয়া থেকে আলাদা হলো কী প্রকারে? এই শরীরে ভেতরে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরাও কাজ করে চেনা পৃথিবীর অন্যসব নিরাপত্তা ব্যবস্থার মতো করেই। বিভিন্ন ধরনের শ্বেত রক্তকোষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্বেত রক্তকণার লিম্ফোসাইট কোষগুলোই সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। সঙ্গে মনোসাইট ও নিউট্রোফিলসের ব্যস্ততাও কম নয়। এই মূল পাঁচ ধরনের কোষের মধ্যে কিছু কোষ আবার বহিঃশত্রুকে একেবারে গিলে ফেলতে ভালোবাসে। এরা হলো ম্যাক্রোফাজ।
জীবাণুর সঙ্গে লড়াই–টড়াই নয়, ম্যাক্রাফাজ জীবাণুকে একেবারে গিলে ফেলে। এখানেই ক্ষান্ত হয় না তারা। জীবাণুর একটি উপাদানকে রক্তে ছড়িয়ে দেয় ম্যাক্রোফাজ, যাকে বলা হয় অ্যান্টিজেন। শরীর অ্যান্টিজেনকে বিপজ্জনক বিবেচনা করে এর বিপক্ষে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলার জন্য অ্যান্টিবডিগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। আর এই সক্রিয় করার কাজটি করে বি লিম্ফোসাইট। রক্তে ছড়িয়ে পড়া অ্যান্টিজেনকে ধ্বংসের জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করে বি–লিম্ফোসাইট। এই কাজ যখন চলে, ঠিক তখন গোটা দেহে সাঁড়াশি অভিযান চালায় টি–লিম্ফোসাইট। এটি এরই মধ্যে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলে।
আমরা কখন কোনো একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কাবু হই? এর উত্তর খুব সোজা। এই বি–লিম্ফোসাইট ও টি–লিম্ফোসাইট কোষগুলো যদি অ্যান্টিজেন ও ভাইরাসের কারণে আক্রান্ত কোষগুলোকে চিনতে না পারে, তবেই আমরা কাবু হই। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঠিক এ ঘটনাই ঘটেছে। অধিকাংশ মানুষের শরীরের সুরক্ষা প্রাচীরকে ফাঁকি দিতে পেরেছে এই নতুন করোনাভাইরাস। ফলে শরীরের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা কোষগুলোকে এখন প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। এই প্রশিক্ষণের কাজটি করার জন্যই আনা হচ্ছে ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন বা টিকা কীভাবে কাজ করে?
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়ার জন্য একেক ধরনের ভ্যাকসিন একেকভাবে কাজ করে। তবে সব ধরনের ভ্যাকসিন একটি সাধারণ কাজ করে। সেই সাধারণ কাজটি হলো– ভ্যাকসিন শরীরে মেমোরি টি–লিম্ফোসাইট ও মেমরি বি–লিম্ফোাসাইট কোষ তৈরি করে রাখে। ফলে ভাইরাসটির বিপক্ষে ভবিষ্যতে কীভাবে লড়াই করতে হবে, তা শরীরের জানা থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকা নেওয়ার পর শরীরের টি–লিম্ফোসাইট ও বি–লিম্ফোসাইট তৈরি করার জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। ফলে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার কিছু আগে বা কিছু পরেও করোনা হতে পারে। কারণ ভ্যাকসিন শরীরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়ার মতো যথেষ্ট সময় তখনো পায়নি। অনেক সময় প্রতিরক্ষা তৈরির সময় কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। যেমন জ্বর হতে পারে। এটা নির্দেশ করে যে শরীরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। তাই টিকা নেওয়ার পর গা–ব্যথা বা জ্বর হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
কত ধরনের ভ্যাকসিন?
কর্মপদ্ধতি ভেদে ভ্যাকসিন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত চার ধরনের ভ্যাকসিন এসেছে। গোটা বিশ্বে করোনা টিকাগুলোর মধ্যে ভেক্টর ভ্যাকসিনই এখন সবচেয়ে বেশি অনুমোদন পেয়েছে এবং প্রয়োগও হচ্ছে।
ভেক্টর ভ্যাকসিন
এ ধরনের ভ্যাকসিন বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ধারণ করে। কোভিড–১৯ রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল এই মডিফায়েড ভার্সনের ভাইরাসের শেলের মধ্যে থাকে। একে বলা হয় ভাইরাল ভেক্টর। সিডিসি বলছে, টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই ভাইরাল ভেক্টর আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এটি শরীরের এক–একটি কোষের কোষীয় জৈব প্রক্রিয়ায় ঢুকে পড়ে এবং কোভিড–১৯ সৃষ্টিকারী স্পাইক প্রোটিন তৈরি করে। এই প্রোটিন কোষটির গায়ে লেবেল আকারে যুক্ত হয়ে যায়। এই চিহ্ন দেখে শরীরের প্রতিরক্ষা কোষগুলো একে বহিঃশত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। এই প্রোটিনগুলোকে ধ্বংসের জন্য শরীর টি–লিম্ফোসাইট ও বি–লিম্ফোসাইট তৈরি করে।
এই স্মৃতি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে পেয়ে শরীরে তৈরি হয় মেমোরি টি–লিম্ফোসাইট ও মেমোরি বি–লিম্ফোসাইট কোষ। ফলে ভবিষ্যতে যখন স্পাইক প্রোটিনসমৃদ্ধ কোভিড–১৯ ভাইরাস আক্রমণ করে, তখন এই কোষগুলো তা প্রতিহত করে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, রাশিয়ার স্পুটনিক–ভি, জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি টিকা— এ সবগুলোই ভাইরাল ভেক্টর ধরনের।
এদিকে চীনের সিনোফার্মের তৈরি সিনোভ্যাক টিকাটি মূলত মৃত ভাইরাসের সমষ্টি। শরীরে মৃত ভাইরাস ঢুকিয়ে এর তথ্যটি নিরাপত্তারক্ষীদের জানা দেওয়া হয়। ভারতের ভারত বায়োটেক কোম্পানির তৈরি কোভ্যাকসিনও মৃত ভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলোও আদতে ভাইরাল ভেক্টর ধরনের ভ্যাকসিন।
এমআরএনএ ভ্যাকসিন
মেসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি তুলনামূলক বেশ নতুন। ফাইজার এবং মডার্নার তৈরি কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনই প্রথম এমআরএনএ প্রযুক্তির ভ্যাকসিন হিসেবে মানুষের শরীরে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে।
এমআরএনএ ভ্যাকসিন নিলে এটি কোষের মধ্যে ঢুকে চাতুরি করে শরীরকে নির্দোষ বা নিরীহ স্পাইক প্রোটিন তৈরি করতে উৎসাহিত করে। এই প্রোটিন কোষের গায়ে লেবেল আকারে থাকে। প্রতিরক্ষা কোষগুলো তখন একে বহিরাগত পদার্থ (ফরেন বডি) হিসেবে বিবেচনা করে এবং এই প্রোটিনগুলোকে ধ্বংসের জন্য শরীর টি–লিম্ফোসাইট ও বি–লিম্ফোসাইট তৈরি করে। যেহেতু কোষটির গায়ে লেবেল আকারে প্রোটিনগুলো থাকে, তাই টি–লিম্ফোসাইট ও বি–লিম্ফোসাইট সংশ্লিষ্ট কোষটিকে ধ্বংস করে। এই কার্যক্রমের স্মৃতি আবার মেমোরি টি–লিম্ফোসাইট ও মেমোরি বি–লিম্ফোসাইট কোষে সংরক্ষিত থাকে, যা ভাইরাসটির পরবর্তী সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
ফাইজার–বায়োএনটেক, মডার্না এবং বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের বঙ্গটেক এমআরএনএ প্রযুক্তির ভ্যাকসিন।
প্রোটিন সাব–ইউনিট ভ্যাকসিন
এই ভ্যাকসিন ভাইরাসের সেই প্রোটিন দিয়ে তৈরি, যা কোনো ক্ষতি করে না। টিকার মধ্য দিয়ে শরীরে এই প্রোটিন ঢুকে যায়। তখন শরীর সিদ্ধান্ত নেয় এই প্রোটিন শরীরে থাকা যাবে না। ফলে শরীর টি–লিম্ফোসাইট ও অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই টি–লিম্ফোসাইট ও অ্যান্টিবডি ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রতিরক্ষা দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের নোভাভ্যাক্স হচ্ছে প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি ভ্যাকসিন। সানোফি–গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের যৌথ উদ্যোগে আরেকটি প্রোটিনভিত্তিক ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে।
তবুও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে
নিজেকে ও অন্যকে কোভিড–১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখতে ভ্যাকসিনেশন অনেকগুলো উপায়ের একটি। টিকা নিলেও ভিড় এড়ানো, নিয়মিত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক পরা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ, এই কোভিড–১৯ বিষয়টি এখনো নতুন। মানুষ গবেষণার মাধ্যমে প্রতিনিয়তই শিখছে এই রোগটির বিষয়ে। তাই টিকা নেওয়ার পরও সব ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিভিন্ন নতুন ধরনের (ভ্যারিয়েন্ট) বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কাজ করে কি?
আরএনএ কোড, ভাইরাসের জেনেটিক কোড, প্রোটিনের কোড— এই পুরো ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ায় সম্মিলিতভাবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলে ভাইরাস ধ্বংসে ভূমিকা রাখে। মিউটেশনের কারণে ভাইরাসের জেনেটিক কোড বা সিকোয়েন্সে পরিবর্তন হয়। ফলে এই পুরো প্রক্রিয়া তখন ব্যাহত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভাইরাসটির বিপক্ষে টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটি একেবারেই অকার্যকর হয়ে পড়ে।

ঢাকা: দেহতাত্ত্বিকেরা বলেন—‘যা নেই ভাণ্ডে, তা নেই ব্রহ্মাণ্ডে।’ কথাটা একটু হেঁয়ালিপূর্ণ নিশ্চিতভাবে। কিন্তু এই হেঁয়ালির জটগুলো খুলতে শুরু করলেই নড়চড়ে বসতে হয়। এই যেমন আজকের দিনের সবচেয়ে আলোচিত করোনাভাইরাসের টিকা বা ভ্যাকসিন, তার যে কর্মপন্থা, তার মূল নির্দেশনা আদতে আছে দেহের ভেতরেই।
মানুষের দেহ এমন এক দুর্গ, যেখানে বাইরে থেকে আসা যেকোনো কিছুকেই সন্দেহের চোখে দেখা হয়; চেষ্টা করা হয় প্রতিহতের। কিন্তু যদি এমন কোনো শত্রু এসে ঢুকে পড়ে, যার সম্পর্কে আগে থেকে জানা–বোঝা নেই, তবে পড়তে হয় বিপাকে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটিই হয়েছে। পাহারাদারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই ভাইরাস ঢুকে পড়েছে মূল দেহ–দুর্গে। শুধু ঢুকেই ক্ষান্ত হয়নি সে। অতি ধুরন্ধর এই ভাইরাস প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলে নিয়ে নাকাল করছে দেহের ভেতরে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের।
কথা হলো এই প্রহরী বা নিরাপত্তারক্ষী আদতে কারা? রক্তের মধ্যেই আছে এই পাহারাদারেরা। এই রক্তের কাজকর্ম অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা নানা বাহিনীর মতোই। এর মধ্যে থাকা তিন ধরনের কোষের কাজ একেবারে নির্দিষ্ট। এই তিন ধরনের কোষ হচ্ছে শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকা। এর মধ্যে শ্বেত রক্তকণিকাকে নিখাদ সৈনিক বলা যায়। শরীরকে বহিঃশত্রু থেকে রক্ষা করাই তার একমাত্র ব্রত। আর লোহিত রক্তকণিকাকে বলা যায়, যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা সেই দল, যে খাবারসহ নানা রসদ সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে। শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন সরবরাহ থেকে শুরু করে শরীরের জন্য অতি জরুরি কিছু উপাদান বহনের কাজটি এই রক্তকণিকা করে। বাকি থাকে অণুচক্রিকা। এই রক্তকণিকা হচ্ছে সেই জরুরি সেবা ইউনিট, যে ক্ষত সারাতে এবং শরীরের শুশ্রূষা দিতে নিযুক্ত থাকে সব সময়।
করোনাভাইরাস থেকে শুরু করে যেকোনো ভাইরাস বা জীবাণু প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যে মুখ্য ভূমিকাটি রাখে, সে হলো শ্বেত রক্তকণিকা। এই শ্বেত রক্তকণিকারও আবার আছে নানা প্রকারভেদ। এগুলো হলো নিউট্রোফিল, লিম্ফোসাইট, ইওসিনোফিল, মনোসাইট ও ব্যাসোফিল। এদের একেকজনের দক্ষতা একেক রকম। এদের লড়াইয়ের কৌশলও আলাদা। অনেকটা ওই যুদ্ধক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সেনা সমাবেশের মতো বিষয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইনের তথ্যমতে, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাককে নিকেশ করার দায়িত্বটি নিউট্রোফিলের ওপর। বাইরে থেকে কোনো শত্রু শরীরে প্রবেশ করতে চাইলে শ্বেত রক্তকণিকার এই অগণিত সেনা সমাবেশকে ডিঙিয়েই যেতে হবে। এর পরেই রয়েছে লিম্ফোসাইটের প্রাচীর। এরা অ্যান্টিবডি তৈরি করে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ সম্ভাব্য সব ক্ষতিকর কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রয়েছে ইওসিনোফিলের মতো অভিজ্ঞ কোষেরা, যারা বিভিন্ন অণুজীব ও ক্যানসার কোষকে হত্যা করে। বাকি থাকল মনোসাইট ও ব্যাসোফিল। শ্বেতকণিকায় থাকা পাঁচ ধরনের কোষের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ আয়ুষ্কাল রয়েছে মনোসাইটের। এরা মুখ্যত ব্যাকটেরিয়া প্রতিহতে কাজ করে। আর ব্যাসোফিল মূলত সেই ঘণ্টাবাদক, যে যেকোনো বহিঃশত্রুর অণুপ্রবেশ টের পেলেই নিজের সবটা শক্তি দিয়ে সতর্ক সংকেতটি বাজায়।
তাহলে এই যে শরীর, তা এই বাইরের দুনিয়া থেকে আলাদা হলো কী প্রকারে? এই শরীরে ভেতরে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরাও কাজ করে চেনা পৃথিবীর অন্যসব নিরাপত্তা ব্যবস্থার মতো করেই। বিভিন্ন ধরনের শ্বেত রক্তকোষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্বেত রক্তকণার লিম্ফোসাইট কোষগুলোই সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। সঙ্গে মনোসাইট ও নিউট্রোফিলসের ব্যস্ততাও কম নয়। এই মূল পাঁচ ধরনের কোষের মধ্যে কিছু কোষ আবার বহিঃশত্রুকে একেবারে গিলে ফেলতে ভালোবাসে। এরা হলো ম্যাক্রোফাজ।
জীবাণুর সঙ্গে লড়াই–টড়াই নয়, ম্যাক্রাফাজ জীবাণুকে একেবারে গিলে ফেলে। এখানেই ক্ষান্ত হয় না তারা। জীবাণুর একটি উপাদানকে রক্তে ছড়িয়ে দেয় ম্যাক্রোফাজ, যাকে বলা হয় অ্যান্টিজেন। শরীর অ্যান্টিজেনকে বিপজ্জনক বিবেচনা করে এর বিপক্ষে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলার জন্য অ্যান্টিবডিগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। আর এই সক্রিয় করার কাজটি করে বি লিম্ফোসাইট। রক্তে ছড়িয়ে পড়া অ্যান্টিজেনকে ধ্বংসের জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি করে বি–লিম্ফোসাইট। এই কাজ যখন চলে, ঠিক তখন গোটা দেহে সাঁড়াশি অভিযান চালায় টি–লিম্ফোসাইট। এটি এরই মধ্যে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলে।
আমরা কখন কোনো একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কাবু হই? এর উত্তর খুব সোজা। এই বি–লিম্ফোসাইট ও টি–লিম্ফোসাইট কোষগুলো যদি অ্যান্টিজেন ও ভাইরাসের কারণে আক্রান্ত কোষগুলোকে চিনতে না পারে, তবেই আমরা কাবু হই। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঠিক এ ঘটনাই ঘটেছে। অধিকাংশ মানুষের শরীরের সুরক্ষা প্রাচীরকে ফাঁকি দিতে পেরেছে এই নতুন করোনাভাইরাস। ফলে শরীরের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা কোষগুলোকে এখন প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। এই প্রশিক্ষণের কাজটি করার জন্যই আনা হচ্ছে ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন বা টিকা কীভাবে কাজ করে?
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়ার জন্য একেক ধরনের ভ্যাকসিন একেকভাবে কাজ করে। তবে সব ধরনের ভ্যাকসিন একটি সাধারণ কাজ করে। সেই সাধারণ কাজটি হলো– ভ্যাকসিন শরীরে মেমোরি টি–লিম্ফোসাইট ও মেমরি বি–লিম্ফোাসাইট কোষ তৈরি করে রাখে। ফলে ভাইরাসটির বিপক্ষে ভবিষ্যতে কীভাবে লড়াই করতে হবে, তা শরীরের জানা থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকা নেওয়ার পর শরীরের টি–লিম্ফোসাইট ও বি–লিম্ফোসাইট তৈরি করার জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। ফলে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার কিছু আগে বা কিছু পরেও করোনা হতে পারে। কারণ ভ্যাকসিন শরীরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়ার মতো যথেষ্ট সময় তখনো পায়নি। অনেক সময় প্রতিরক্ষা তৈরির সময় কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। যেমন জ্বর হতে পারে। এটা নির্দেশ করে যে শরীরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। তাই টিকা নেওয়ার পর গা–ব্যথা বা জ্বর হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
কত ধরনের ভ্যাকসিন?
কর্মপদ্ধতি ভেদে ভ্যাকসিন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত চার ধরনের ভ্যাকসিন এসেছে। গোটা বিশ্বে করোনা টিকাগুলোর মধ্যে ভেক্টর ভ্যাকসিনই এখন সবচেয়ে বেশি অনুমোদন পেয়েছে এবং প্রয়োগও হচ্ছে।
ভেক্টর ভ্যাকসিন
এ ধরনের ভ্যাকসিন বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ধারণ করে। কোভিড–১৯ রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল এই মডিফায়েড ভার্সনের ভাইরাসের শেলের মধ্যে থাকে। একে বলা হয় ভাইরাল ভেক্টর। সিডিসি বলছে, টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই ভাইরাল ভেক্টর আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এটি শরীরের এক–একটি কোষের কোষীয় জৈব প্রক্রিয়ায় ঢুকে পড়ে এবং কোভিড–১৯ সৃষ্টিকারী স্পাইক প্রোটিন তৈরি করে। এই প্রোটিন কোষটির গায়ে লেবেল আকারে যুক্ত হয়ে যায়। এই চিহ্ন দেখে শরীরের প্রতিরক্ষা কোষগুলো একে বহিঃশত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। এই প্রোটিনগুলোকে ধ্বংসের জন্য শরীর টি–লিম্ফোসাইট ও বি–লিম্ফোসাইট তৈরি করে।
এই স্মৃতি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে পেয়ে শরীরে তৈরি হয় মেমোরি টি–লিম্ফোসাইট ও মেমোরি বি–লিম্ফোসাইট কোষ। ফলে ভবিষ্যতে যখন স্পাইক প্রোটিনসমৃদ্ধ কোভিড–১৯ ভাইরাস আক্রমণ করে, তখন এই কোষগুলো তা প্রতিহত করে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, রাশিয়ার স্পুটনিক–ভি, জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি টিকা— এ সবগুলোই ভাইরাল ভেক্টর ধরনের।
এদিকে চীনের সিনোফার্মের তৈরি সিনোভ্যাক টিকাটি মূলত মৃত ভাইরাসের সমষ্টি। শরীরে মৃত ভাইরাস ঢুকিয়ে এর তথ্যটি নিরাপত্তারক্ষীদের জানা দেওয়া হয়। ভারতের ভারত বায়োটেক কোম্পানির তৈরি কোভ্যাকসিনও মৃত ভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলোও আদতে ভাইরাল ভেক্টর ধরনের ভ্যাকসিন।
এমআরএনএ ভ্যাকসিন
মেসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি তুলনামূলক বেশ নতুন। ফাইজার এবং মডার্নার তৈরি কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনই প্রথম এমআরএনএ প্রযুক্তির ভ্যাকসিন হিসেবে মানুষের শরীরে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে।
এমআরএনএ ভ্যাকসিন নিলে এটি কোষের মধ্যে ঢুকে চাতুরি করে শরীরকে নির্দোষ বা নিরীহ স্পাইক প্রোটিন তৈরি করতে উৎসাহিত করে। এই প্রোটিন কোষের গায়ে লেবেল আকারে থাকে। প্রতিরক্ষা কোষগুলো তখন একে বহিরাগত পদার্থ (ফরেন বডি) হিসেবে বিবেচনা করে এবং এই প্রোটিনগুলোকে ধ্বংসের জন্য শরীর টি–লিম্ফোসাইট ও বি–লিম্ফোসাইট তৈরি করে। যেহেতু কোষটির গায়ে লেবেল আকারে প্রোটিনগুলো থাকে, তাই টি–লিম্ফোসাইট ও বি–লিম্ফোসাইট সংশ্লিষ্ট কোষটিকে ধ্বংস করে। এই কার্যক্রমের স্মৃতি আবার মেমোরি টি–লিম্ফোসাইট ও মেমোরি বি–লিম্ফোসাইট কোষে সংরক্ষিত থাকে, যা ভাইরাসটির পরবর্তী সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
ফাইজার–বায়োএনটেক, মডার্না এবং বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের বঙ্গটেক এমআরএনএ প্রযুক্তির ভ্যাকসিন।
প্রোটিন সাব–ইউনিট ভ্যাকসিন
এই ভ্যাকসিন ভাইরাসের সেই প্রোটিন দিয়ে তৈরি, যা কোনো ক্ষতি করে না। টিকার মধ্য দিয়ে শরীরে এই প্রোটিন ঢুকে যায়। তখন শরীর সিদ্ধান্ত নেয় এই প্রোটিন শরীরে থাকা যাবে না। ফলে শরীর টি–লিম্ফোসাইট ও অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই টি–লিম্ফোসাইট ও অ্যান্টিবডি ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে প্রতিরক্ষা দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের নোভাভ্যাক্স হচ্ছে প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি ভ্যাকসিন। সানোফি–গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের যৌথ উদ্যোগে আরেকটি প্রোটিনভিত্তিক ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে।
তবুও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে
নিজেকে ও অন্যকে কোভিড–১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখতে ভ্যাকসিনেশন অনেকগুলো উপায়ের একটি। টিকা নিলেও ভিড় এড়ানো, নিয়মিত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক পরা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ, এই কোভিড–১৯ বিষয়টি এখনো নতুন। মানুষ গবেষণার মাধ্যমে প্রতিনিয়তই শিখছে এই রোগটির বিষয়ে। তাই টিকা নেওয়ার পরও সব ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিভিন্ন নতুন ধরনের (ভ্যারিয়েন্ট) বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কাজ করে কি?
আরএনএ কোড, ভাইরাসের জেনেটিক কোড, প্রোটিনের কোড— এই পুরো ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ায় সম্মিলিতভাবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলে ভাইরাস ধ্বংসে ভূমিকা রাখে। মিউটেশনের কারণে ভাইরাসের জেনেটিক কোড বা সিকোয়েন্সে পরিবর্তন হয়। ফলে এই পুরো প্রক্রিয়া তখন ব্যাহত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভাইরাসটির বিপক্ষে টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটি একেবারেই অকার্যকর হয়ে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
১ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৪ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।
গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।
নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।
সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।
যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’
মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।
গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।
নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।
সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।
যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’
মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

মানুষের দেহ এমন এক দুর্গ, যেখানে বাইরে থেকে আসা যেকোনো কিছুকেই সন্দেহের চোখে দেখা হয়; চেষ্টা করা হয় প্রতিহতের। কিন্তু যদি এমন কোনো শত্রু এসে ঢুকে পড়ে, যার সম্পর্কে আগে থেকে জানা–বোঝা নেই, তবে পড়তে হয় বিপাকে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটিই হয়েছে। পাহারাদারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই ভাইরাস ঢুকে পড়েছে ম
১২ মে ২০২১
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৪ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।
যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’
ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।
এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।
স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।
যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’
ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।
এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।
স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

মানুষের দেহ এমন এক দুর্গ, যেখানে বাইরে থেকে আসা যেকোনো কিছুকেই সন্দেহের চোখে দেখা হয়; চেষ্টা করা হয় প্রতিহতের। কিন্তু যদি এমন কোনো শত্রু এসে ঢুকে পড়ে, যার সম্পর্কে আগে থেকে জানা–বোঝা নেই, তবে পড়তে হয় বিপাকে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটিই হয়েছে। পাহারাদারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই ভাইরাস ঢুকে পড়েছে ম
১২ মে ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
১ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৪ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।
অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।
আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।
খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।
কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।
এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।
অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।
আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।
খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।
কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।
এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

মানুষের দেহ এমন এক দুর্গ, যেখানে বাইরে থেকে আসা যেকোনো কিছুকেই সন্দেহের চোখে দেখা হয়; চেষ্টা করা হয় প্রতিহতের। কিন্তু যদি এমন কোনো শত্রু এসে ঢুকে পড়ে, যার সম্পর্কে আগে থেকে জানা–বোঝা নেই, তবে পড়তে হয় বিপাকে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটিই হয়েছে। পাহারাদারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই ভাইরাস ঢুকে পড়েছে ম
১২ মে ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
১ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।
এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।
এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

মানুষের দেহ এমন এক দুর্গ, যেখানে বাইরে থেকে আসা যেকোনো কিছুকেই সন্দেহের চোখে দেখা হয়; চেষ্টা করা হয় প্রতিহতের। কিন্তু যদি এমন কোনো শত্রু এসে ঢুকে পড়ে, যার সম্পর্কে আগে থেকে জানা–বোঝা নেই, তবে পড়তে হয় বিপাকে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটিই হয়েছে। পাহারাদারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই ভাইরাস ঢুকে পড়েছে ম
১২ মে ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
১ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৪ দিন আগে