অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। এই সাক্ষাৎটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর আগে ট্রাম্প ও বেজোসের মধ্যে বিবাদ দেখা গেছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে একে অপরের সমালোচনা করেন তারা। তবে মহাকাশ বাণিজ্যে সুবিধা পেতে এবং ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চান বেজোস।
আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে বেজোসের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্পেসএক্সের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তৈরি হচ্ছে বেজোসের কুইপার প্রকল্প। তবে প্রকল্পটি কার্যক্রম এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হয়নি। কুইপার প্রকল্পের অর্ধীনে বেজোস ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ শুরু করা কথা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত একাধিকবার স্যাপটেলাইট উৎক্ষেপনের সময়সীমা পিছিয়ে গেছে।
ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স (ইউএলএ) জানায়, তারা আগামী বছরের শেষের দিকে দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্পেস ফোর্স মিশন সম্পন্ন করতে চাইছে ইউএলএ। এর কারণে কুইপার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের আরো বিলম্ব হতে পারে।
কুইপার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে এই খরচ ১০ বিলিয়ন ধরা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই প্রকল্পটি সফলভাবে চালু করতে হলে কোম্পানির হাতে আরও পর্যাপ্ত সময় ও তহবিল থাকতে হবে। বিশেষ করে যখন কোম্পানিটির লক্ষ্য হলো—২০২৬ সালের মধ্যেই ১ হাজার ৬০০ টিরও বেশি স্যাটেলাইট চালু করা। তবে এই সময়সীমার মধ্য লক্ষ্য পূরণের জন্য বেজোসকে ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি)-এর কাছ থেকে একটি বিশেষ অনুমোদন নিতে হতে পারে।
তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই অনুমোদন পাওয়া বেজোসের কোম্পানির জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কুইপার স্যাটেলাইটের জন্য এফসিসি–এর নির্ধারিত সময়সীমা ২০২৬ সালের জুলাই পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওই সময়ের মধ্যে যদি কমিশনে রিপাবলিকানদের অধিকাংশ থাকে, তবে বেজোসের জন্য তারা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে চাইলেও অ্যামাজনের নিজস্ব রকেট নেই। তারা ইউএলএ-এর অ্যাটলাস ৫ রকেট, ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান আয়ারিয়ানস্পেস, এবং বেজোসের নিজস্ব স্টার্টআপ ব্লু অরিজিনের মাধ্যমে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা করছে।
ব্লু অরিজিনের নিউ গ্লেন রকেটটি তৈরিতে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে কোম্পানিটি তবে আশা করা যাচ্ছে এটি শীঘ্রই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করবে। অথচ ইউএলএ এবং আয়ারিয়ানস্পেসের রকেটগুলো পরীক্ষায় কিছুটা সফল হলেও, স্পেসএক্সের মতো দ্রুতগতিতে উৎক্ষেপণের সক্ষমতা তাদের এখনো নেই।
বেজোসের কাছে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কুইপার ২০২৫ সালের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে চাইছে, যাতে ফেডারেল সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলা সম্ভব হয়। তবে বর্তমানে কুইপার প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় টুল তৈরি এবং উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা বেজোসের জন্য ক্রমাগত কঠিন হয়ে পড়ছে। অনেকের মতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাজারে একক আধিপত্য বিস্তার করবে।
কুইপার প্রকল্পের সফলতা নির্ভর করছে তার দ্রুততম সময়ে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের ওপর। কুইপারে প্রকল্পের আওতায় ২০২৬ সালের মধ্যে ৩ হাজার ২০০ টিরও বেশি স্যাটেলাইট কার্যক্রমে নিয়ে আসার পরিকল্পনা। তবে এই চাপের মধ্যে বেজোসের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে আমাজনের সমালোচনা করেছিলেন। অন্যদিকে বেজোসও অতীতে ট্রাম্পের কিছু বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন। ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বেজোসের মালিকানাধীন দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাটি।
এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বেজোস বলেছিলেন, ‘অনেকেই মনে করেন সংবাদমাধ্যমে পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। তাই ওয়াশিংটন পোস্টসহ অন্যান্য সংবাদপত্রকে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় লাভের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান জেফ বেজোস।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের তহবিলে ১০ লাখ ডলার অনুদান দেবে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এই অভিষেক অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে আমাজন প্রাইম ভিডিও। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোম্পানিটির এ পরিকল্পনার কথা নিশ্চিত করেন আমাজনের এক মুখপাত্র।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। এই সাক্ষাৎটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর আগে ট্রাম্প ও বেজোসের মধ্যে বিবাদ দেখা গেছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে একে অপরের সমালোচনা করেন তারা। তবে মহাকাশ বাণিজ্যে সুবিধা পেতে এবং ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চান বেজোস।
আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে বেজোসের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্পেসএক্সের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তৈরি হচ্ছে বেজোসের কুইপার প্রকল্প। তবে প্রকল্পটি কার্যক্রম এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হয়নি। কুইপার প্রকল্পের অর্ধীনে বেজোস ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ শুরু করা কথা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত একাধিকবার স্যাপটেলাইট উৎক্ষেপনের সময়সীমা পিছিয়ে গেছে।
ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স (ইউএলএ) জানায়, তারা আগামী বছরের শেষের দিকে দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্পেস ফোর্স মিশন সম্পন্ন করতে চাইছে ইউএলএ। এর কারণে কুইপার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের আরো বিলম্ব হতে পারে।
কুইপার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে এই খরচ ১০ বিলিয়ন ধরা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই প্রকল্পটি সফলভাবে চালু করতে হলে কোম্পানির হাতে আরও পর্যাপ্ত সময় ও তহবিল থাকতে হবে। বিশেষ করে যখন কোম্পানিটির লক্ষ্য হলো—২০২৬ সালের মধ্যেই ১ হাজার ৬০০ টিরও বেশি স্যাটেলাইট চালু করা। তবে এই সময়সীমার মধ্য লক্ষ্য পূরণের জন্য বেজোসকে ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি)-এর কাছ থেকে একটি বিশেষ অনুমোদন নিতে হতে পারে।
তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই অনুমোদন পাওয়া বেজোসের কোম্পানির জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কুইপার স্যাটেলাইটের জন্য এফসিসি–এর নির্ধারিত সময়সীমা ২০২৬ সালের জুলাই পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওই সময়ের মধ্যে যদি কমিশনে রিপাবলিকানদের অধিকাংশ থাকে, তবে বেজোসের জন্য তারা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে চাইলেও অ্যামাজনের নিজস্ব রকেট নেই। তারা ইউএলএ-এর অ্যাটলাস ৫ রকেট, ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান আয়ারিয়ানস্পেস, এবং বেজোসের নিজস্ব স্টার্টআপ ব্লু অরিজিনের মাধ্যমে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা করছে।
ব্লু অরিজিনের নিউ গ্লেন রকেটটি তৈরিতে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে কোম্পানিটি তবে আশা করা যাচ্ছে এটি শীঘ্রই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করবে। অথচ ইউএলএ এবং আয়ারিয়ানস্পেসের রকেটগুলো পরীক্ষায় কিছুটা সফল হলেও, স্পেসএক্সের মতো দ্রুতগতিতে উৎক্ষেপণের সক্ষমতা তাদের এখনো নেই।
বেজোসের কাছে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কুইপার ২০২৫ সালের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে চাইছে, যাতে ফেডারেল সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলা সম্ভব হয়। তবে বর্তমানে কুইপার প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় টুল তৈরি এবং উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে স্পেসএক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা বেজোসের জন্য ক্রমাগত কঠিন হয়ে পড়ছে। অনেকের মতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাজারে একক আধিপত্য বিস্তার করবে।
কুইপার প্রকল্পের সফলতা নির্ভর করছে তার দ্রুততম সময়ে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের ওপর। কুইপারে প্রকল্পের আওতায় ২০২৬ সালের মধ্যে ৩ হাজার ২০০ টিরও বেশি স্যাটেলাইট কার্যক্রমে নিয়ে আসার পরিকল্পনা। তবে এই চাপের মধ্যে বেজোসের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে আমাজনের সমালোচনা করেছিলেন। অন্যদিকে বেজোসও অতীতে ট্রাম্পের কিছু বক্তব্যের সমালোচনা করেছিলেন। ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বেজোসের মালিকানাধীন দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাটি।
এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বেজোস বলেছিলেন, ‘অনেকেই মনে করেন সংবাদমাধ্যমে পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। তাই ওয়াশিংটন পোস্টসহ অন্যান্য সংবাদপত্রকে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় লাভের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান জেফ বেজোস।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের তহবিলে ১০ লাখ ডলার অনুদান দেবে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এই অভিষেক অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে আমাজন প্রাইম ভিডিও। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোম্পানিটির এ পরিকল্পনার কথা নিশ্চিত করেন আমাজনের এক মুখপাত্র।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ
আদালতের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের সেবা বন্ধ করা হয়েছে। তবে চীনা শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পরিষেবা পুনরায় চালুর কাজ চলছে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির পর এই সিদ্ধান্ত এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগেমাত্র সাত বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ কোটির বেশি ব্যবহারকারী পেয়েছিল টিকটক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মকে নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মুছে ফেলা হয়েছে মার্কিন ব্যবহারকারীদের অ্যাপল এবং গুগলের অ্যাপ স্টোর থেকেও।
৭ ঘণ্টা আগে২০৩০ সালের মধ্যে ৬ থেকে ৮ মিলিয়ন দক্ষ আইটি পেশাদার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আজ শনিবার পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ: দ্য ইমার্জিং আইসিটি পাওয়ার হাউস’ শীর্ষক এক সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ...
১ দিন আগেচলতি বছরে স্মার্টফোন শিল্প অত্যন্ত উদ্ভাবনমুখী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ডিভাইসগুলোতে উন্নত ক্যামেরা, বিশেষ এআই ফিচারের পাশাপাশি শক্তিশালী ও বড় আকারের ব্যাটারি দেখতে পাওয়া যাবে। ফ্ল্যাগশিপ ফোন থেকে বাজেট স্মার্টফোনেও এই ধরনের শক্তিশালী ব্যাটারি থাকবে।
১ দিন আগে