
ইন্টেলের সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির ওপর উৎপাদন পরীক্ষা চালাচ্ছে চিপ ডিজাইনার এনভিডিয়া এবং ব্রডকম। এই পরীক্ষার মাধ্যমে তারা ইন্টেলের উন্নত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে আস্থা অর্জন করবে। পরীক্ষাগুলো ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এই পরীক্ষা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
ইন্টেলের সঙ্গে কোটি কোটি ডলার মূল্যের উৎপাদন চুক্তি করবে কি না, তার সিদ্ধান্ত নিতে কোম্পানি দুটি পরীক্ষাগুলো চালাচ্ছে। যদি তারা ইন্টেলের সঙ্গে চুক্তি করে, তা কোম্পানিটির জন্য বিপুল আয়ের উৎস হতে পারে। এই চুক্তি ইন্টেলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে ইন্টেলের ১৮এ প্রযুক্তির ওপর পরীক্ষা চালাচ্ছে এনভিডিয়া ও ব্রডকম। এই প্রযুক্তি দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হয়েছে, এটির মাধ্যমে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রসেসর এবং অন্যান্য জটিল চিপ তৈরি করা সম্ভব। ইন্টেলের এই প্রযুক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে তাইওয়ানের টিএসএমসি, যা বিশ্বব্যাপী চিপ বাজারে প্রাধান্য বিস্তার করেছে।
এএমডি ইন্টেলের ১৮এ উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করছে। তবে পরীক্ষামূলক চিপ পাঠানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ইন্টেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা নির্দিষ্ট গ্রাহকদের বিষয়ে মন্তব্য করি না, তবে ১৮এ প্রযুক্তির জন্য ব্যাপক আগ্রহ ও প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি।’
পরীক্ষাগুলো পূর্ণাঙ্গ চিপ ডিজাইনের ওপর করা হচ্ছে না বরং এর উদ্দেশ্য হলো ইন্টেলের ১৮এ প্রক্রিয়ার আচরণ এবং সক্ষমতা পরীক্ষা করা। চিপ ডিজাইনাররা কখনো কখনো চিপের নির্দিষ্ট উপাদান পরীক্ষা করার জন্য ওয়েফার কিনে থাকেন, যাতে উচ্চ পরিমাণে পূর্ণ ডিজাইন উৎপাদনে যাওয়ার আগে কোনো ত্রুটি বা সমস্যা চিহ্নিত করা যেতে পারে।
পরীক্ষাগুলো বর্তমানে চলছে এবং কয়েক মাস পর্যন্ত চলতে পারে। তবে, পরীক্ষা শেষে ইন্টেল শেষ পর্যন্ত নতুন চুক্তি পাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। গত বছর রয়টার্স জানায়, ব্রডকমের কিছু পরীক্ষার ফলাফল তাদের নির্বাহী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য হতাশাজনক ছিল। তখন ব্রডকম জানিয়েছিল যে, তারা ইন্টেলের চিপ উৎপাদন নিয়ে পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইন্টেলের পূর্ববর্তী সিইও প্যাট গেলসিঙ্গারের পরিকল্পনার মূল অংশ ছিল কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা, বা ফাউন্ড্রি (চিপ উৎপাদন), যার মাধ্যমে তিনি একসময়ের প্রখ্যাত আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন। তবে, গত ডিসেম্বরে গেলসিঙ্গারকে অপসারণ করে ইন্টেলের বোর্ড। অন্তর্বর্তীকালীন কো-সিইওরা ইন্টেলের আসন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপটি স্থগিত করে দিয়েছেন, যার ফলে কোম্পানির নিজের কোনো কার্যকরী এআই চিপের উৎপাদনের সম্ভাবনা কমপক্ষে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে।
ইন্টেলের সংকটাপন্ন ব্যবসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনক্ষমতা পুনরুদ্ধার এবং চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আগ্রহী। ইন্টেলকে যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র আশা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশে সবচেয়ে উন্নত সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করতে সক্ষম।
চলতি বছরের শুরুতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিউইয়র্কে তাইওয়ানের টিএসএমসির সিইওর সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে ইন্টেলের ফ্যাক্টরি ইউনিটে একটি যৌথ উদ্যোগে বেশির ভাগ শেয়ার অধিগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা থেকে জানা গেছে, নতুন এই উদ্যোগে অন্যান্য চিপ ডিজাইনারেরও ইকুইটি শেয়ার কেনার সম্ভাবনা ছিল।
বিষয়টি নিয়ে টিএসএমসি বা ইন্টেল কোনো মন্তব্য করেনি।
ইন্টেল জানিয়েছে, তারা মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের সঙ্গে ১৮এ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিপ উৎপাদনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইন্টেল এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট চিপ বা পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি, যেমন: মাইক্রোসফট কোন চিপের জন্য ইন্টেলের কারখানা ব্যবহার করবে বা আমাজনের ক্ষেত্রে কী পণ্য তৈরি হবে। এ ছাড়া, এই চুক্তির মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণও পরিষ্কার নয়।
ইন্টেল ১৮এ প্রযুক্তির জন্য যে গ্রাহকদের চুক্তি করার সম্ভাবনা রয়েছে, তার সময়সীমা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে ইন্টেলের কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নথি পর্যালোচনা করে রয়টার্স জানায়, এই সময়সীমা আরও ছয় মাস পিছিয়ে দিয়েছে ইন্টেল।
এই বিলম্বের কারণ হলো ১৮এ প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিমত্তা (আইপি) যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন, যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে। ছোট ও মাঝারি আকারের চিপ ডিজাইনাররা মৌলিক আইপি ব্লকগুলোর ওপর নির্ভর করে চিপ তৈরি করে। তবে সেই ব্লকগুলো নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য না হলে অনেক সম্ভাব্য গ্রাহক ১৮এ প্রক্রিয়ায় চিপ উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন না। আর সেটি অন্তত ২০২৬ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
তবে বুদ্ধিমত্তা (আইপি) যোগ্যতা অর্জনে বিলম্ব হওয়ার কারণ স্পষ্ট নয়। আইপি যোগ্যতা অর্জন করা মানে হলো সরবরাহকারী থেকে একটি গ্যারান্টি পাওয়া, যে এটি নির্দিষ্ট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাজ করবে।
বিলম্বের বিষয়ে ইন্টেল জানিয়েছে, ‘এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছি এবং আমাদের গ্রাহকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পালন করব। কোম্পানিটি আরও বলে, তারা আশা করছে তাদের কারখানাগুলো চলতি বছরেই গ্রাহকদের ডিজাইন গ্রহণ করবে।
এদিকে, ইন্টেলের চিপ উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে, যা কোম্পানির জন্য বড় ধরনের রাজস্ব আয়ের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ২০২৫ সালে ইন্টেলের চিপ উৎপাদন ব্যবসায় ১৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৬৪৭ কোটি ডলার আয় করতে পারে। তবে প্রায় সবই ইন্টেলের নিজেদের চিপ উৎপাদন থেকে আসবে।
এ ছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টেলের উৎপাদন ব্যবসা থেকে আয় কমে গেছে ৬০ শতাংশ। কোম্পানি বলছে, তারা ২০২৭ সালের আগে এই ব্যবসা থেকে আয় আশা করছে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্টেলের প্রতিদ্বন্দ্বী তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের কশাঘাত থেকে বাঁচতেই এই উদ্যোগ নেবে টিএসএমসি।

ইন্টেলের সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির ওপর উৎপাদন পরীক্ষা চালাচ্ছে চিপ ডিজাইনার এনভিডিয়া এবং ব্রডকম। এই পরীক্ষার মাধ্যমে তারা ইন্টেলের উন্নত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে আস্থা অর্জন করবে। পরীক্ষাগুলো ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এই পরীক্ষা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
ইন্টেলের সঙ্গে কোটি কোটি ডলার মূল্যের উৎপাদন চুক্তি করবে কি না, তার সিদ্ধান্ত নিতে কোম্পানি দুটি পরীক্ষাগুলো চালাচ্ছে। যদি তারা ইন্টেলের সঙ্গে চুক্তি করে, তা কোম্পানিটির জন্য বিপুল আয়ের উৎস হতে পারে। এই চুক্তি ইন্টেলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে ইন্টেলের ১৮এ প্রযুক্তির ওপর পরীক্ষা চালাচ্ছে এনভিডিয়া ও ব্রডকম। এই প্রযুক্তি দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হয়েছে, এটির মাধ্যমে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রসেসর এবং অন্যান্য জটিল চিপ তৈরি করা সম্ভব। ইন্টেলের এই প্রযুক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে তাইওয়ানের টিএসএমসি, যা বিশ্বব্যাপী চিপ বাজারে প্রাধান্য বিস্তার করেছে।
এএমডি ইন্টেলের ১৮এ উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করছে। তবে পরীক্ষামূলক চিপ পাঠানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ইন্টেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা নির্দিষ্ট গ্রাহকদের বিষয়ে মন্তব্য করি না, তবে ১৮এ প্রযুক্তির জন্য ব্যাপক আগ্রহ ও প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি।’
পরীক্ষাগুলো পূর্ণাঙ্গ চিপ ডিজাইনের ওপর করা হচ্ছে না বরং এর উদ্দেশ্য হলো ইন্টেলের ১৮এ প্রক্রিয়ার আচরণ এবং সক্ষমতা পরীক্ষা করা। চিপ ডিজাইনাররা কখনো কখনো চিপের নির্দিষ্ট উপাদান পরীক্ষা করার জন্য ওয়েফার কিনে থাকেন, যাতে উচ্চ পরিমাণে পূর্ণ ডিজাইন উৎপাদনে যাওয়ার আগে কোনো ত্রুটি বা সমস্যা চিহ্নিত করা যেতে পারে।
পরীক্ষাগুলো বর্তমানে চলছে এবং কয়েক মাস পর্যন্ত চলতে পারে। তবে, পরীক্ষা শেষে ইন্টেল শেষ পর্যন্ত নতুন চুক্তি পাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। গত বছর রয়টার্স জানায়, ব্রডকমের কিছু পরীক্ষার ফলাফল তাদের নির্বাহী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য হতাশাজনক ছিল। তখন ব্রডকম জানিয়েছিল যে, তারা ইন্টেলের চিপ উৎপাদন নিয়ে পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইন্টেলের পূর্ববর্তী সিইও প্যাট গেলসিঙ্গারের পরিকল্পনার মূল অংশ ছিল কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা, বা ফাউন্ড্রি (চিপ উৎপাদন), যার মাধ্যমে তিনি একসময়ের প্রখ্যাত আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন। তবে, গত ডিসেম্বরে গেলসিঙ্গারকে অপসারণ করে ইন্টেলের বোর্ড। অন্তর্বর্তীকালীন কো-সিইওরা ইন্টেলের আসন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপটি স্থগিত করে দিয়েছেন, যার ফলে কোম্পানির নিজের কোনো কার্যকরী এআই চিপের উৎপাদনের সম্ভাবনা কমপক্ষে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে।
ইন্টেলের সংকটাপন্ন ব্যবসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনক্ষমতা পুনরুদ্ধার এবং চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আগ্রহী। ইন্টেলকে যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র আশা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশে সবচেয়ে উন্নত সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করতে সক্ষম।
চলতি বছরের শুরুতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিউইয়র্কে তাইওয়ানের টিএসএমসির সিইওর সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে ইন্টেলের ফ্যাক্টরি ইউনিটে একটি যৌথ উদ্যোগে বেশির ভাগ শেয়ার অধিগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা থেকে জানা গেছে, নতুন এই উদ্যোগে অন্যান্য চিপ ডিজাইনারেরও ইকুইটি শেয়ার কেনার সম্ভাবনা ছিল।
বিষয়টি নিয়ে টিএসএমসি বা ইন্টেল কোনো মন্তব্য করেনি।
ইন্টেল জানিয়েছে, তারা মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের সঙ্গে ১৮এ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিপ উৎপাদনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইন্টেল এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট চিপ বা পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি, যেমন: মাইক্রোসফট কোন চিপের জন্য ইন্টেলের কারখানা ব্যবহার করবে বা আমাজনের ক্ষেত্রে কী পণ্য তৈরি হবে। এ ছাড়া, এই চুক্তির মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণও পরিষ্কার নয়।
ইন্টেল ১৮এ প্রযুক্তির জন্য যে গ্রাহকদের চুক্তি করার সম্ভাবনা রয়েছে, তার সময়সীমা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে ইন্টেলের কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নথি পর্যালোচনা করে রয়টার্স জানায়, এই সময়সীমা আরও ছয় মাস পিছিয়ে দিয়েছে ইন্টেল।
এই বিলম্বের কারণ হলো ১৮এ প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিমত্তা (আইপি) যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন, যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে। ছোট ও মাঝারি আকারের চিপ ডিজাইনাররা মৌলিক আইপি ব্লকগুলোর ওপর নির্ভর করে চিপ তৈরি করে। তবে সেই ব্লকগুলো নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য না হলে অনেক সম্ভাব্য গ্রাহক ১৮এ প্রক্রিয়ায় চিপ উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন না। আর সেটি অন্তত ২০২৬ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
তবে বুদ্ধিমত্তা (আইপি) যোগ্যতা অর্জনে বিলম্ব হওয়ার কারণ স্পষ্ট নয়। আইপি যোগ্যতা অর্জন করা মানে হলো সরবরাহকারী থেকে একটি গ্যারান্টি পাওয়া, যে এটি নির্দিষ্ট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাজ করবে।
বিলম্বের বিষয়ে ইন্টেল জানিয়েছে, ‘এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছি এবং আমাদের গ্রাহকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পালন করব। কোম্পানিটি আরও বলে, তারা আশা করছে তাদের কারখানাগুলো চলতি বছরেই গ্রাহকদের ডিজাইন গ্রহণ করবে।
এদিকে, ইন্টেলের চিপ উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে, যা কোম্পানির জন্য বড় ধরনের রাজস্ব আয়ের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ২০২৫ সালে ইন্টেলের চিপ উৎপাদন ব্যবসায় ১৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৬৪৭ কোটি ডলার আয় করতে পারে। তবে প্রায় সবই ইন্টেলের নিজেদের চিপ উৎপাদন থেকে আসবে।
এ ছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টেলের উৎপাদন ব্যবসা থেকে আয় কমে গেছে ৬০ শতাংশ। কোম্পানি বলছে, তারা ২০২৭ সালের আগে এই ব্যবসা থেকে আয় আশা করছে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্টেলের প্রতিদ্বন্দ্বী তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের কশাঘাত থেকে বাঁচতেই এই উদ্যোগ নেবে টিএসএমসি।

ইন্টেলের সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির ওপর উৎপাদন পরীক্ষা চালাচ্ছে চিপ ডিজাইনার এনভিডিয়া এবং ব্রডকম। এই পরীক্ষার মাধ্যমে তারা ইন্টেলের উন্নত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে আস্থা অর্জন করবে। পরীক্ষাগুলো ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এই পরীক্ষা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
ইন্টেলের সঙ্গে কোটি কোটি ডলার মূল্যের উৎপাদন চুক্তি করবে কি না, তার সিদ্ধান্ত নিতে কোম্পানি দুটি পরীক্ষাগুলো চালাচ্ছে। যদি তারা ইন্টেলের সঙ্গে চুক্তি করে, তা কোম্পানিটির জন্য বিপুল আয়ের উৎস হতে পারে। এই চুক্তি ইন্টেলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে ইন্টেলের ১৮এ প্রযুক্তির ওপর পরীক্ষা চালাচ্ছে এনভিডিয়া ও ব্রডকম। এই প্রযুক্তি দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হয়েছে, এটির মাধ্যমে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রসেসর এবং অন্যান্য জটিল চিপ তৈরি করা সম্ভব। ইন্টেলের এই প্রযুক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে তাইওয়ানের টিএসএমসি, যা বিশ্বব্যাপী চিপ বাজারে প্রাধান্য বিস্তার করেছে।
এএমডি ইন্টেলের ১৮এ উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করছে। তবে পরীক্ষামূলক চিপ পাঠানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ইন্টেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা নির্দিষ্ট গ্রাহকদের বিষয়ে মন্তব্য করি না, তবে ১৮এ প্রযুক্তির জন্য ব্যাপক আগ্রহ ও প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি।’
পরীক্ষাগুলো পূর্ণাঙ্গ চিপ ডিজাইনের ওপর করা হচ্ছে না বরং এর উদ্দেশ্য হলো ইন্টেলের ১৮এ প্রক্রিয়ার আচরণ এবং সক্ষমতা পরীক্ষা করা। চিপ ডিজাইনাররা কখনো কখনো চিপের নির্দিষ্ট উপাদান পরীক্ষা করার জন্য ওয়েফার কিনে থাকেন, যাতে উচ্চ পরিমাণে পূর্ণ ডিজাইন উৎপাদনে যাওয়ার আগে কোনো ত্রুটি বা সমস্যা চিহ্নিত করা যেতে পারে।
পরীক্ষাগুলো বর্তমানে চলছে এবং কয়েক মাস পর্যন্ত চলতে পারে। তবে, পরীক্ষা শেষে ইন্টেল শেষ পর্যন্ত নতুন চুক্তি পাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। গত বছর রয়টার্স জানায়, ব্রডকমের কিছু পরীক্ষার ফলাফল তাদের নির্বাহী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য হতাশাজনক ছিল। তখন ব্রডকম জানিয়েছিল যে, তারা ইন্টেলের চিপ উৎপাদন নিয়ে পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইন্টেলের পূর্ববর্তী সিইও প্যাট গেলসিঙ্গারের পরিকল্পনার মূল অংশ ছিল কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা, বা ফাউন্ড্রি (চিপ উৎপাদন), যার মাধ্যমে তিনি একসময়ের প্রখ্যাত আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন। তবে, গত ডিসেম্বরে গেলসিঙ্গারকে অপসারণ করে ইন্টেলের বোর্ড। অন্তর্বর্তীকালীন কো-সিইওরা ইন্টেলের আসন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপটি স্থগিত করে দিয়েছেন, যার ফলে কোম্পানির নিজের কোনো কার্যকরী এআই চিপের উৎপাদনের সম্ভাবনা কমপক্ষে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে।
ইন্টেলের সংকটাপন্ন ব্যবসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনক্ষমতা পুনরুদ্ধার এবং চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আগ্রহী। ইন্টেলকে যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র আশা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশে সবচেয়ে উন্নত সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করতে সক্ষম।
চলতি বছরের শুরুতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিউইয়র্কে তাইওয়ানের টিএসএমসির সিইওর সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে ইন্টেলের ফ্যাক্টরি ইউনিটে একটি যৌথ উদ্যোগে বেশির ভাগ শেয়ার অধিগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা থেকে জানা গেছে, নতুন এই উদ্যোগে অন্যান্য চিপ ডিজাইনারেরও ইকুইটি শেয়ার কেনার সম্ভাবনা ছিল।
বিষয়টি নিয়ে টিএসএমসি বা ইন্টেল কোনো মন্তব্য করেনি।
ইন্টেল জানিয়েছে, তারা মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের সঙ্গে ১৮এ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিপ উৎপাদনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইন্টেল এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট চিপ বা পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি, যেমন: মাইক্রোসফট কোন চিপের জন্য ইন্টেলের কারখানা ব্যবহার করবে বা আমাজনের ক্ষেত্রে কী পণ্য তৈরি হবে। এ ছাড়া, এই চুক্তির মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণও পরিষ্কার নয়।
ইন্টেল ১৮এ প্রযুক্তির জন্য যে গ্রাহকদের চুক্তি করার সম্ভাবনা রয়েছে, তার সময়সীমা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে ইন্টেলের কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নথি পর্যালোচনা করে রয়টার্স জানায়, এই সময়সীমা আরও ছয় মাস পিছিয়ে দিয়েছে ইন্টেল।
এই বিলম্বের কারণ হলো ১৮এ প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিমত্তা (আইপি) যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন, যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে। ছোট ও মাঝারি আকারের চিপ ডিজাইনাররা মৌলিক আইপি ব্লকগুলোর ওপর নির্ভর করে চিপ তৈরি করে। তবে সেই ব্লকগুলো নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য না হলে অনেক সম্ভাব্য গ্রাহক ১৮এ প্রক্রিয়ায় চিপ উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন না। আর সেটি অন্তত ২০২৬ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
তবে বুদ্ধিমত্তা (আইপি) যোগ্যতা অর্জনে বিলম্ব হওয়ার কারণ স্পষ্ট নয়। আইপি যোগ্যতা অর্জন করা মানে হলো সরবরাহকারী থেকে একটি গ্যারান্টি পাওয়া, যে এটি নির্দিষ্ট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাজ করবে।
বিলম্বের বিষয়ে ইন্টেল জানিয়েছে, ‘এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছি এবং আমাদের গ্রাহকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পালন করব। কোম্পানিটি আরও বলে, তারা আশা করছে তাদের কারখানাগুলো চলতি বছরেই গ্রাহকদের ডিজাইন গ্রহণ করবে।
এদিকে, ইন্টেলের চিপ উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে, যা কোম্পানির জন্য বড় ধরনের রাজস্ব আয়ের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ২০২৫ সালে ইন্টেলের চিপ উৎপাদন ব্যবসায় ১৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৬৪৭ কোটি ডলার আয় করতে পারে। তবে প্রায় সবই ইন্টেলের নিজেদের চিপ উৎপাদন থেকে আসবে।
এ ছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টেলের উৎপাদন ব্যবসা থেকে আয় কমে গেছে ৬০ শতাংশ। কোম্পানি বলছে, তারা ২০২৭ সালের আগে এই ব্যবসা থেকে আয় আশা করছে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্টেলের প্রতিদ্বন্দ্বী তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের কশাঘাত থেকে বাঁচতেই এই উদ্যোগ নেবে টিএসএমসি।

ইন্টেলের সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির ওপর উৎপাদন পরীক্ষা চালাচ্ছে চিপ ডিজাইনার এনভিডিয়া এবং ব্রডকম। এই পরীক্ষার মাধ্যমে তারা ইন্টেলের উন্নত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে আস্থা অর্জন করবে। পরীক্ষাগুলো ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এই পরীক্ষা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
ইন্টেলের সঙ্গে কোটি কোটি ডলার মূল্যের উৎপাদন চুক্তি করবে কি না, তার সিদ্ধান্ত নিতে কোম্পানি দুটি পরীক্ষাগুলো চালাচ্ছে। যদি তারা ইন্টেলের সঙ্গে চুক্তি করে, তা কোম্পানিটির জন্য বিপুল আয়ের উৎস হতে পারে। এই চুক্তি ইন্টেলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে ইন্টেলের ১৮এ প্রযুক্তির ওপর পরীক্ষা চালাচ্ছে এনভিডিয়া ও ব্রডকম। এই প্রযুক্তি দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হয়েছে, এটির মাধ্যমে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রসেসর এবং অন্যান্য জটিল চিপ তৈরি করা সম্ভব। ইন্টেলের এই প্রযুক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে তাইওয়ানের টিএসএমসি, যা বিশ্বব্যাপী চিপ বাজারে প্রাধান্য বিস্তার করেছে।
এএমডি ইন্টেলের ১৮এ উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করছে। তবে পরীক্ষামূলক চিপ পাঠানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ইন্টেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা নির্দিষ্ট গ্রাহকদের বিষয়ে মন্তব্য করি না, তবে ১৮এ প্রযুক্তির জন্য ব্যাপক আগ্রহ ও প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি।’
পরীক্ষাগুলো পূর্ণাঙ্গ চিপ ডিজাইনের ওপর করা হচ্ছে না বরং এর উদ্দেশ্য হলো ইন্টেলের ১৮এ প্রক্রিয়ার আচরণ এবং সক্ষমতা পরীক্ষা করা। চিপ ডিজাইনাররা কখনো কখনো চিপের নির্দিষ্ট উপাদান পরীক্ষা করার জন্য ওয়েফার কিনে থাকেন, যাতে উচ্চ পরিমাণে পূর্ণ ডিজাইন উৎপাদনে যাওয়ার আগে কোনো ত্রুটি বা সমস্যা চিহ্নিত করা যেতে পারে।
পরীক্ষাগুলো বর্তমানে চলছে এবং কয়েক মাস পর্যন্ত চলতে পারে। তবে, পরীক্ষা শেষে ইন্টেল শেষ পর্যন্ত নতুন চুক্তি পাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। গত বছর রয়টার্স জানায়, ব্রডকমের কিছু পরীক্ষার ফলাফল তাদের নির্বাহী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য হতাশাজনক ছিল। তখন ব্রডকম জানিয়েছিল যে, তারা ইন্টেলের চিপ উৎপাদন নিয়ে পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইন্টেলের পূর্ববর্তী সিইও প্যাট গেলসিঙ্গারের পরিকল্পনার মূল অংশ ছিল কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা, বা ফাউন্ড্রি (চিপ উৎপাদন), যার মাধ্যমে তিনি একসময়ের প্রখ্যাত আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন। তবে, গত ডিসেম্বরে গেলসিঙ্গারকে অপসারণ করে ইন্টেলের বোর্ড। অন্তর্বর্তীকালীন কো-সিইওরা ইন্টেলের আসন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপটি স্থগিত করে দিয়েছেন, যার ফলে কোম্পানির নিজের কোনো কার্যকরী এআই চিপের উৎপাদনের সম্ভাবনা কমপক্ষে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে।
ইন্টেলের সংকটাপন্ন ব্যবসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনক্ষমতা পুনরুদ্ধার এবং চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আগ্রহী। ইন্টেলকে যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র আশা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশে সবচেয়ে উন্নত সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করতে সক্ষম।
চলতি বছরের শুরুতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিউইয়র্কে তাইওয়ানের টিএসএমসির সিইওর সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে ইন্টেলের ফ্যাক্টরি ইউনিটে একটি যৌথ উদ্যোগে বেশির ভাগ শেয়ার অধিগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা থেকে জানা গেছে, নতুন এই উদ্যোগে অন্যান্য চিপ ডিজাইনারেরও ইকুইটি শেয়ার কেনার সম্ভাবনা ছিল।
বিষয়টি নিয়ে টিএসএমসি বা ইন্টেল কোনো মন্তব্য করেনি।
ইন্টেল জানিয়েছে, তারা মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের সঙ্গে ১৮এ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিপ উৎপাদনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইন্টেল এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট চিপ বা পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি, যেমন: মাইক্রোসফট কোন চিপের জন্য ইন্টেলের কারখানা ব্যবহার করবে বা আমাজনের ক্ষেত্রে কী পণ্য তৈরি হবে। এ ছাড়া, এই চুক্তির মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণও পরিষ্কার নয়।
ইন্টেল ১৮এ প্রযুক্তির জন্য যে গ্রাহকদের চুক্তি করার সম্ভাবনা রয়েছে, তার সময়সীমা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে ইন্টেলের কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নথি পর্যালোচনা করে রয়টার্স জানায়, এই সময়সীমা আরও ছয় মাস পিছিয়ে দিয়েছে ইন্টেল।
এই বিলম্বের কারণ হলো ১৮এ প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিমত্তা (আইপি) যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন, যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে। ছোট ও মাঝারি আকারের চিপ ডিজাইনাররা মৌলিক আইপি ব্লকগুলোর ওপর নির্ভর করে চিপ তৈরি করে। তবে সেই ব্লকগুলো নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য না হলে অনেক সম্ভাব্য গ্রাহক ১৮এ প্রক্রিয়ায় চিপ উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন না। আর সেটি অন্তত ২০২৬ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
তবে বুদ্ধিমত্তা (আইপি) যোগ্যতা অর্জনে বিলম্ব হওয়ার কারণ স্পষ্ট নয়। আইপি যোগ্যতা অর্জন করা মানে হলো সরবরাহকারী থেকে একটি গ্যারান্টি পাওয়া, যে এটি নির্দিষ্ট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাজ করবে।
বিলম্বের বিষয়ে ইন্টেল জানিয়েছে, ‘এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছি এবং আমাদের গ্রাহকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পালন করব। কোম্পানিটি আরও বলে, তারা আশা করছে তাদের কারখানাগুলো চলতি বছরেই গ্রাহকদের ডিজাইন গ্রহণ করবে।
এদিকে, ইন্টেলের চিপ উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে, যা কোম্পানির জন্য বড় ধরনের রাজস্ব আয়ের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ২০২৫ সালে ইন্টেলের চিপ উৎপাদন ব্যবসায় ১৬ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৬৪৭ কোটি ডলার আয় করতে পারে। তবে প্রায় সবই ইন্টেলের নিজেদের চিপ উৎপাদন থেকে আসবে।
এ ছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টেলের উৎপাদন ব্যবসা থেকে আয় কমে গেছে ৬০ শতাংশ। কোম্পানি বলছে, তারা ২০২৭ সালের আগে এই ব্যবসা থেকে আয় আশা করছে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্টেলের প্রতিদ্বন্দ্বী তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের কশাঘাত থেকে বাঁচতেই এই উদ্যোগ নেবে টিএসএমসি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

ইন্টেলের সঙ্গে উৎপাদন পরীক্ষা চালাচ্ছে চিপ ডিজাইনার এনভিডিয়া এবং ব্রডকম। এ পরীক্ষার মাধ্যমে তারা ইন্টেলের উন্নত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে আস্থা অর্জন করবে। পরীক্ষাগুলো ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এই পরীক্ষা কয়েকমাস ধরে চলতে পারে।
০৪ মার্চ ২০২৫
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ইন্টেলের সঙ্গে উৎপাদন পরীক্ষা চালাচ্ছে চিপ ডিজাইনার এনভিডিয়া এবং ব্রডকম। এ পরীক্ষার মাধ্যমে তারা ইন্টেলের উন্নত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে আস্থা অর্জন করবে। পরীক্ষাগুলো ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এই পরীক্ষা কয়েকমাস ধরে চলতে পারে।
০৪ মার্চ ২০২৫
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

ইন্টেলের সঙ্গে উৎপাদন পরীক্ষা চালাচ্ছে চিপ ডিজাইনার এনভিডিয়া এবং ব্রডকম। এ পরীক্ষার মাধ্যমে তারা ইন্টেলের উন্নত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে আস্থা অর্জন করবে। পরীক্ষাগুলো ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এই পরীক্ষা কয়েকমাস ধরে চলতে পারে।
০৪ মার্চ ২০২৫
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

ইন্টেলের সঙ্গে উৎপাদন পরীক্ষা চালাচ্ছে চিপ ডিজাইনার এনভিডিয়া এবং ব্রডকম। এ পরীক্ষার মাধ্যমে তারা ইন্টেলের উন্নত প্রযুক্তি এবং উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে আস্থা অর্জন করবে। পরীক্ষাগুলো ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এই পরীক্ষা কয়েকমাস ধরে চলতে পারে।
০৪ মার্চ ২০২৫
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে